মার্সেল মার্সোর মৃত্যুবার্ষিকী আজ

  • বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মার্সেল মার্সো

মার্সেল মার্সো

২২ সেপ্টেম্বর মার্সেল মার্সোর মৃত্যুবার্ষিকী। ২০০৭ সালের এই দিনে ৮৪ বছর বয়সে মার্সেল মার্সোর জীবনাবসান ঘটে।

বিশ্বখ্যাত এই শিল্পী ১৯২৩ সালের ২২ সেপ্টেম্বর ফ্রান্সের স্টার্সবুর্গ শহরে জন্মগ্রহণ করেন। বিংশ শতাব্দীর আধুনিক মূকাভিনয় চর্চা এবং মার্সোর নাম সমার্থক হয়ে ওঠায় তার প্রয়াণের পরে এ দিনটিকেই ‘বিশ্ব মূকাভিনয় দিবস’ হিসেবে পালন করা হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

মার্সেল মার্সো একজন ফরাসি অভিনেতা ও মূকাভিনেতা ছিলেন। তিনি তার মঞ্চ ব্যক্তিত্ব "বিপ দ্য ক্লাউন" চরিত্রের জন্য সর্বাধিক খ্যাতি অর্জন করেন। তিনি ৬০ বছরের অধিক সময় বিশ্বব্যাপী পেশাদার মূকাভিনয় পরিবেশন করেছেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে তিনি ফরাসি রেজিস্টেন্সে কর্মরত ছিলেন এবং ১৯৪৪ সালের আগস্ট মাসে প্যারিসের স্বাধীনতার পর ৩০০০ সৈন্যের সামনে বিশাল পরিসরে তার প্রথম পরিবেশনা উপস্থাপন করেন। যুদ্ধের পর তিনি প্যারিসে নাট্যকলা ও মূকাভিনয় নিয়ে পড়াশোনা করেন।

১৯৫৯ সালে তিনি প্যারিসে নিজের পান্তোমিম স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন এবং এই শিল্পকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রচারের জন্য মার্সো ফাউন্ডেশন গঠন করেন।

বিজ্ঞাপন

তার প্রাপ্ত বিভিন্ন পুরস্কার ও সম্মাননার মধ্যে রয়েছে ১৯৯৮ সালে লেজিওঁ দনরের গ্র্যান্ড অফিসার এবং ১৯৯৮ সালে ন্যাশনাল অর্ডার অব মেরিট। তিনি তার টেলিভিশন কর্মের জন্য একটি এমি পুরস্কার অর্জন করেন।

তিনি বার্লিনের একাডেমি অব ফাইন আর্টসের একজন নির্বাচিত সদস্য এবং জাপানে "জাতীয় সম্পদ" হিসেবে ঘোষিত। তিনি প্রায় ২০ বছর মাইকেল জ্যাকসনের বন্ধু ছিলেন এবং জ্যাকসন বলেছিলেন, তিনি নিজেও মার্সোর কিছু কৌশল তার নাচে ব্যবহার করতেন।

মাইকেল জ্যাকসন ও মার্সেল মার্সো

ফ্রান্স প্রবাসী একুশে পদক প্রাপ্ত বাংলাদেশের মূকাভিনেতা পার্থ প্রতিম মজুমদার মার্সেল মার্সোর ছাত্র। মার্সো পার্থকে তার ছেলে বলতেন। পার্থ প্রতিম মজুমদারের হাত ধরেই ১৯৭৩ সালের দিকে বাংলাদেশে মাইম শিল্পের আগমন ঘটে, পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে কাজী মশহুরুল হুদা, জিল্লুর রহমান জনসহ আরো অনেকের চর্চার মাধ্যমে বাংলাদেশের মূকাভিনয় এগুতে থাকে। কিন্তু পর্যায়ক্রমে দেশের নন্দিত মূকাভিনেতারা সবাই প্রবাসী হন। চলতি শতকের শুরুর দিকে এসে স্থবির হয়ে যায় দেশের মাইম চর্চা। তখন শিল্পটির হাল ধরেন নিথর মাহবুব। মঞ্চ ও টিভিতে তার নান্দনিক মাইম দেখে বর্তমানে অনেক শিশু-কিশোর ও তরুণরা আগ্রহী হয়ে উঠছে মূকাভিনয় চর্চায়। ফলে দেরিতে হলেও মূকাভিনয় বাংলাদেশে আলোর মুখ দেখতে শুরু করেছে।

নিথর মাহবুব ২০০৮ সাল থেকে ঢাকায় মাইম আর্ট নামে একটি মূকাভিনয় দল পরিচালনা করে আসছেন। এই দলের মাধ্যমে তৈরি হয়েছে তরুণ প্রজন্মের বেশ কিছু দক্ষ মূকাভিনয় শিল্পী। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য শিল্পীরা হলেন ফয়সাল, টুটুল, শুভ, রিপন, শুধাংশু, অনিক।