অক্ষয়ের ভুল ধরিয়ে দিলেন সেনা কর্মকর্তা



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
গোর্খা ছবির পোস্টারে অক্ষয় কুমার

গোর্খা ছবির পোস্টারে অক্ষয় কুমার

  • Font increase
  • Font Decrease

‘রাখি বন্ধন’, ‘পৃথ্বীরাজ’ ও ‘সূর্যবংশী’সহ বেশ কয়েকটি ছবির কাজ রয়েছে অক্ষয় কুমারের হাতে। এরইমধ্যে নতুন আরও একটি ছবি ঘোষণা দিলেন বলিউডের এই সুপারস্টার।

শনিবার (১৬ অক্টোবর) সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের নতুন ছবির ঘোষণা দেওয়ার পাশাপাশি তার একটি পোস্টারও শেয়ার করেছেন অক্ষয় কুমার। আর সেই পোস্টার চোখে পড়তেই খিলাড়ি এই তারকাকে কিছু ভুল ধরিয়ে দিয়েছেন গোর্খা রাইফেলস রেজিমেন্টের মেজর মানিক এম জলি নামে এক প্রাক্তন সেনা কর্মকর্তা।

অক্ষয় কুমারের উদ্দেশে মেজর মানিক এম জলি জানান, অক্ষয় নতুন ছবির পোস্টারে ‘কুকরি’র (ছুরির মতো ধারালো অস্ত্র বিশেষ) যে আকার রয়েছে তা ভুল। ১৮ ইঞ্চি লম্বা একটা বিশেষ ছুরি গোর্খারা ব্যবহার করে যার নাম ‘কুকরি’। গোর্খা ঐতিহ্যের প্রতীক বলে ধরা হয় এই কুকরি-কে।

কুকরির একটি ছবি টুইটারে পোস্ট করে প্রাক্তন এই সেনা কর্মকর্তা লিখেছেন, ‘প্রিয় অক্ষয় কুমারজি, আমি একজন প্রাক্তন গোর্খা সেনা কর্মকর্তা। আমি আপনাকে ধন্যবাদ জানাই এই ছবিটা তৈরির ভাবনার জন্য। কিন্তু ছবির সঙ্গে জড়িত ছোট ছোট বিষয়গুলো খুব জরুরি। দয়া করে কুকরিটা ঠিক করে নেবেন। কুকরির ধারালো দিকের অভিমুখটা অন্যদিকে হবে। এটা তলোয়ার নয়। প্রকৃত আকৃতির কুকরির ছবি জুড়ে দিলাম।’

এই টুইটের জবাবে অক্ষয় কুমার লেখেন, ‘প্রিয় মেজর জলি, ধন্যবাদ এই ভুলটা ধরিয়ে দেওয়ার জন্য। আমরা ছবি তৈরির সময় এই বিষয়গুলি মাথায় রাখব। আমি গর্বিত এবং উত্তেজিত ‘গোর্খা’ ছবিটি তৈরি করতে পেরে। বাস্তবের সঙ্গে যাতে এই ছবির ফারাক না থাকে, তার জন্য যে কোনওরকম সাজেশন দিতে চাইলে আপনাকে স্বাগত জানাই।’

১৯৭১ সালে ভারত পাকিস্তান যুদ্ধে ব্যাটালিয়ন ৪/৫ গোর্খা রাইফেলসে যোগদান করেন ইয়ান কার্ডোজোর। তিনি ‘কার্তুজ সাহিব’ নামেও পরিচিত। একাত্তরের যুদ্ধে ল্যান্ডমাইনে পা পড়ে গিয়েছিল ইয়ান কার্ডোজোর। গুরুতর জখম হন। চিকিৎসকের অনুপস্থিতির কারণে নিজেই নিজের পা কুকরি দিয়ে কেটে ফেলেছিলেন!

‘গোর্খা’ নামের ছবিটি পরিচালনার দায়িত্বে থাকছেন সঞ্জয় চৌহান। ছবিতে ইয়ান কার্ডোজোর চরিত্রে পাওয়া যাবে অক্ষয় কুমারকে। জানা যাচ্ছে, ২০২২-এর স্বাধীনতা দিবসের অবসরে মুক্তি পাবে এই ছবিটি।

   

‘বাস্তব চরিত্রগুলো ফুটিয়ে তুলতে কবরী ছিলেন অপ্রতিদ্বন্দ্বী’



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
সারাহ বেগম কবরী

সারাহ বেগম কবরী

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢালিউডের মিষ্টি মেয়ে’খ্যাত নায়িকা কবরী। রোমান্টিক থেকে সামাজিক, বানিজ্যিক থেকে জীবনঘনিষ্ট সব ধরনের সিনেমায় অভিনয় করে নিজেকে কিংবদন্তীর কাতারে সামিল করেছিলেন।

‘এই তুমি সেই তুমি’ নামে একটি ছবির কাজ শুরু করেছিলেন তিনি। অভিনয়ের পাশাপাশি এই ছবির পরিচালক এবং প্রযোজকও তিনি। এই ছবিকে ঘিরে ছিল তার অনেক স্বপ্ন। ছবির কাজ অসম্পূর্ণ রেখেই ২০২১ সালের ১৭ এপ্রিল মারা যান বাংলার অন্যতম সেরা এই অভিনেত্রী। করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১৩ দিনের মাথায় ৭১ বছর বয়সে তিনি মারা যান। আজ তার তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী।

মীনা পাল চলচ্চিত্রে নাম লিখিয়ে কবরী হয়ে ওঠেন

চট্টগ্রামের মীনা পাল চলচ্চিত্রে নাম লিখিয়ে কবরী হয়ে ওঠেন। মিষ্টি হাসি ও অনবদ্য অভিনয় প্রতিভা দিয়ে জায়গা করে নেন দেশের কোটি মানুষের অন্তরে। এ দেশের সিনেমাকে যারা সমৃদ্ধ করেছেন, তাদের মধ্য তিনি অন্যতম।

কবরীর পুরো পরিবারই ছিল ভীষণ সংস্কৃতিমনা। বড় বোনদের মধ্যে দুই বোন নাচতেন। ছোট ভাই তবলা বাজাতেন। কবরী নাচ-গান একসঙ্গে করতেন। ৭০ বছরের জীবনে তিনি ৫৬ বছর কাটিয়ে দেন চলচ্চিত্রে। ১৯৫০ সালের ১৯ জুলাই চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে জন্মগ্রহণ করা কবরী এক সময় নিজেকেই নিজের তুলনা করে তোলেন। এমন কথা শোনা যায়, তার সমসাময়িক এবং অগ্রজ অভিনয়শিল্পীদের কণ্ঠে।

সারাহ বেগম কবরী

১৯৬৪ সালে সুভাষ দত্ত পরিচালিত ‘সুতরাং’ দিয়ে চলচ্চিত্রে অভিষেক সারাহ বেগম কবরীর। পরের বছর তিনি অভিনয় করেন ‘জলছবি’ ও ‘বাহানা’য়। ১৯৬৮ সালে ‘সাত ভাই চম্পা’, ‘আবির্ভাব’, ‘বাঁশরী’, ‘যে আগুনে পুড়ি’। ১৯৭০ সালে ‘দীপ নেভে নাই’, ‘দর্পচূর্ণ, ‘ক খ গ ঘ ঙ’, ‘বিনিময়’ ছবিগুলো। কবরী অভিনীত ‘ময়নামতি’, ‘তিতাস একটি নদীর নাম’, ‘সারেং বৌ’, ‘নীল আকাশের নীচে’, ‘সুজন সখী’র মতো ছবির মাধ্যমে দর্শক অবাক বিস্ময়ে দেখেছেন কবরীর অসামান্য এক অভিনেত্রী হয়ে ওঠা। অভিনয়ে, প্রযোজনায়, পরিচালনায় সাত দশকের জীবনটা এক আশ্চর্য সফলতার গল্প।

মাত্র ১৩ বছর বয়সে নৃত্যশিল্পী হিসেবে মঞ্চে উঠেছিলেন তিনি। তারপর টেলিভিশন ও সব শেষে সিনেমায়। শুরুর জীবনে কবরী বিয়ে করেন চিত্ত চৌধুরীকে। সম্পর্কচ্ছেদের পর ১৯৭৮ সালে তিনি বিয়ে করেন সফিউদ্দীন সরোয়ারকে। ২০০৮ সালে তার সঙ্গেও বিচ্ছেদ হয়ে যায়। কবরী ছিলেন পাঁচ সন্তানের মা।

উজ্জ্বল ও কবরী

কবরীকে নিয়ে বলতে গিয়ে চলচ্চিত্রের গুণী শিল্পী উজ্জ্বল বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশের একজন বাঙালি নায়িকা কেমন হবে, কবরী ছিলেন তার সংজ্ঞা। চেহারা, চলন, কথাবার্তা, ব্যক্তিত্ব-সব দিক থেকে কবরী ছিলেন আদর্শ। কবরী ছিলেন একেবারে স্বচ্ছন্দ, স্বাভাবিক। আমরা তাকে দেখে মুগ্ধ ছিলাম। আমি যখন কাজ শুরু করি, কবরী তখন দেশের তুমুল জনপ্রিয় নায়িকা। তখনকার নারীর যে ইমেজ ছিল—যেমন লজ্জাবতী, আকর্ষণীয়, প্রেমিকা, সব দিক দিয়ে কবরী ছিলেন সেরা।’

কবরী ও সুজাতা আজিম

বরেণ্য অভিনয়শিল্পী সুজাতা একবার গণমাধ্যমে বলেছিলেন, ‘আমার কাছে কবরী ছিলেন একজন পাওয়ারফুল অভিনেত্রী। আর ব্যক্তিগতভাবে তিনি স্পষ্টবাদী ছিলেন। যে কারণে হয়তো অনেকেই তাকে ভুল বুঝতেন। ভালো-খারাপ দুটিই তিনি সরাসরি বলে দিতেন। এটা আমার খুব ভালো লাগত। বাস্তব চরিত্রগুলো ফুটিয়ে তুলতে অভিনেত্রী হিসেবে তিনি ছিলেন অপ্রতিদ্বন্দ্বী। তিনি সহজেই যেকোনো চরিত্রের সঙ্গে মানিয়ে যেতেন। যে কারণে তিনি ছিলেন সফল অভিনেত্রীর নাম।’

ঢাকার চলচ্চিত্রের ইতিহাসের অন্যতম জনপ্রিয় জুটি ছিলেন রাজ্জাক-কবরী

অভিনয়ে তুমুল জনপ্রিয়তা পাওয়া কবরী নিজেকে শুধু অভিনয়ে আবদ্ধ রাখেননি। মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত সৃষ্টি করতে তার ভূমিকা ছিল চোখে পড়ার মতো। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি চলে যান তিনি। সেখান থেকে পাড়ি জমান ভারতে। কলকাতায় গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত সৃষ্টি করতে বিভিন্ন সভা-সমিতি ও অনুষ্ঠানে বক্তৃতা এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

দেশ স্বাধীন হওয়ার পর আবারও চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন কবরী। শতাধিক ছবিতে অভিনয় করেন তিনি। ১৯৭৩ সালে ঋত্বিক ঘটক পরিচালিত ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ সেসবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য। নায়ক রাজ্জাকের সঙ্গে ‘রংবাজ’ পায় বেশ জনপ্রিয়তা। ৫০ বছরের বেশি সময় চলচ্চিত্রে রাজ্জাক, ফারুক, সোহেল রানা, উজ্জ্বল, জাফর ইকবাল ও বুলবুল আহমেদের মতো অভিনেতাদের সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি। ঢাকার চলচ্চিত্রের ইতিহাসের অন্যতম জনপ্রিয় জুটি ছিলেন রাজ্জাক-কবরী।

অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে কাজ করার খুব আগ্রহ ছিল কবরীর

তার সমসাময়িক এমন কেউ নেই, যার সঙ্গে চলচ্চিত্রে তিনি পর্দা ভাগাভাগি করেননি। কিন্তু মনে মনে একজনের সঙ্গে অভিনয়ের স্বপ্নটা দেখতেন, যা পূরণ হয়নি। অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে কাজ করার খুব আগ্রহ ছিল তার। বিগবির অভিনয় ও কথাবার্তা মুগ্ধ করত কবরীকে।

২০০৫ সালে এসে ‘আয়না’ নামের একটি ছবি নির্মাণের মাধ্যমে চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করেন কবরী। এরপর রাজনীতিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন তিনি। ২০০৮ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। যুক্ত হয়েছেন অসংখ্য নারী অধিকার ও সমাজসেবামূলক সংগঠনের সঙ্গে।

সোহেল রানা

কবরীর বর্ণাঢ্য জীবনকে কাছ থেকে দেখেছেন গুণী অভিনয়শিল্পী, প্রযোজক এবং পরিচালক সোহেল রানা। তিনি বলেন, ‘‘কবরীকে ‘মিষ্টি মেয়ে’ নামটা এ দেশের সাধারণ মানুষেরাই দিয়েছেন। সাধারণ লোকের দেওয়া নামটাই বোধ হয় একজন শিল্পীর বড় প্রাপ্য। একজন শিল্পী হিসেবে তার বড় সার্থকতা। এরপর শিল্পী হিসেবে তাকে নিয়ে আর দ্বিতীয় কথা বলার নেই। সি ওয়াজ জাস্ট আন প্যারালাল। ওই মিষ্টি মুখ বা ওই মিষ্টি হাসি বা ওই মিষ্টি অভিনয়—বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে আসেনি এর আগে এক কবরী ছাড়া। আগামী ৫০ বছরে আসবে বলেও আমার ধারণা নেই। আমি বিশ্বাস করি, শত বছরে কবরী একটাই জন্মায়।’

দুই ভূবনের দুই কিংবদন্তী সাবিনা ইয়াসমীন ও কবরী

বাংলা চলচ্চিত্রপ্রেমী অনেকের প্রিয় কবরী। আর তার প্রিয় তালিকায় ছিলেন সোফিয়া লরেন, এলিজাবেথ টেলর, অড্রে হেপবার্ন, গ্রেগরি পেক, উত্তম কুমার, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, বিকাশ রায় ও ছবি বিশ্বাস। তার সবচেয়ে প্রিয় সংগীতশিল্পীর তালিকায় দেশের বাইরে মান্না দে, হেমন্ত ও শ্রীকান্ত আচার্য। দেশের মধ্যে সুবীর নন্দী ও সাবিনা ইয়াসমীনের কণ্ঠ তার খুব প্রিয়।

;

সালমান খানের বাড়িতে ১০ রাউন্ড গুলি চালানোর নির্দেশ!



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
সালমান খান /  ছবি : ফেসবুক

সালমান খান / ছবি : ফেসবুক

  • Font increase
  • Font Decrease

গত রোববার ভোরে সালমানের বলিউড সুপারস্টার সালমান খানের গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের বাইরে দুজন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি গুলিবর্ষণ করেছিলেন। তারা মোটরসাইকেলে করে এসে এই হামলা করেছিলেন। অনেক নাটকীয়তার পর মুম্বাই পুলিশের রাতের ঘুম চলে গেছে। পুলিশ উঠেপড়ে লেগেছে এ মামলার তদন্তের কিনারা করতে। প্রতিদিন এই ঘটনা ঘিরে নতুন নতুন তথ্য সামনে আসছে। দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের পর ক্রাইম ব্রাঞ্চের হাতে আরও অনেক তথ্য এসেছে।

গত সোমবার মাঝরাতে পুলিশের জালে ধরা পড়েন দুই অভিযুক্ত বিক্কি এবং সাগর। মুম্বাই পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ শাখা তাদের গুজরাটের কচ্চের ভূজের এক প্রসিদ্ধ মন্দির থেকে গ্রেপ্তার করে। মঙ্গলবার সাতসকালে তাদের মুম্বাইতে আনার পর আদালতে পেশ করা হয়। আদালত বিক্কি আর সাগরকে ১০ দিন রিমান্ডে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।

সালমান খান /  ছবি : ফেসবুক

এখন ক্রাইম ব্রাঞ্চের তদন্তকারী কর্মকর্তাদের ক্রমাগত জেরার মুখে পড়তে হচ্ছে দুই অভিযুক্তকে। পুলিশি জেরায় অনেক চমকপ্রদ তথ্য মিলছে। বিক্কি আর সাগর জিজ্ঞাসাবাদের সময় জানিয়েছেন, চার নয়, তাদের ১০ রাউন্ড গুলি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। আর এই কাজে তারা সফলতা পেলে ভালো পুরস্কার দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। আর বলা হয়েছিল, তারা রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে উঠবেন। এ হামলার জন্য বিক্কি আর সাগরকে বাংলাদেশি মুদ্রায় পাঁচ লাখ টাকায় চুক্তি করা হয়। অগ্রিম হিসেবে এক লাখ টাকা দেওয়া হয়েছিল। হামলার পর তাদের আরও চার লাখ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। গুলিবর্ষণের এ ঘটনার সাক্ষী হিসেবে খুব শিগগির পুলিশ সালমানের বয়ান নেবে বলে জানা গেছে।

নিয়মিত জিম করেন সালমান

বিক্কি আর সাগর পুলিশকে জানিয়েছেন, জেলবন্দী গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ভাই আনমোল বিষ্ণোই তাদের এ কাজের জন্য নিযুক্ত করেছিলেন। আনমোল চেয়েছিলেন ১৯৯৮ সালে যোধপুরের কাছে মথানিয়ার বাবড়ে কৃষ্ণকায় হরিণ শিকারের জন্য সালমানকে উপযুক্ত শাস্তি দিতে। দুই অভিযুক্ত পুলিশকে জানিয়েছেন, সালমানকে শুধু ভয় দেখানোর কথা তাদের বলা হয়েছিল। এই অভিনেতাকে হত্যার নির্দেশ তাদের দেওয়া হয়নি।

পানভেলের ফার্ম হাউসে কৃষিকাজ করেন সালমান খান /  ছবি : ফেসবুক

পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিক্কি দশম এবং সাগর চতুর্থ শ্রেণি উত্তীর্ণ। এই দুই হামলাকারী পুলিশকে জানিয়েছেন ২৪ ফেব্রুয়ারি তারা মুম্বাইতে আস্তানা গাড়েন। তারা সালমানের গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্ট ছাড়া পানভেলের ফার্ম হাউসও রেকি করেছিলেন। পানভেলে একটি কক্ষ তারা ভাড়া নিয়েছিলেন। বিক্কি আর সাগর হোলি খেলতে নিজেদের গ্রামে গিয়েছিলেন। আবার ১ এপ্রিল তারা পানভেলে ফিরে এসেছিলেন।

সালমান খান /  ছবি : ফেসবুক

সালমানের বাসার বাইরে গুলিবর্ষণের ঘটনার মামলায় পুলিশ আরও এক সন্দেহভাজনকে আটক করেছে। গতকাল বুধবার এই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে তারা। পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। পিটিআইয়ের খবর অনুযায়ী, এই সন্দেহভাজন ব্যক্তি হামলার আগে এবং পরে দুই অভিযুক্তের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন। পুলিশ এই ব্যক্তির সঙ্গে আনমোল বিষ্ণোইয়ের যোগসূত্র পেয়েছে।

 

;

এখনো জমেনি শিল্পী সমিতির নির্বাচন



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
মিশা সওদাগর ও নিপুণ

মিশা সওদাগর ও নিপুণ

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামীকাল শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচন। তবে বিগত কয়েকটি নির্বাচনের মতো এবারের নির্বাচন শেষ মুহূর্তে এসেও জমে ওঠেনি।

২১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির এই নির্বাচনে ৬ জন স্বতন্ত্রসহ ২টি প্যানেল থেকে ৪৮ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্যানেল দুটি হলো মিশা-ডিপজল ও মাহমুদ কলি-নিপুণ।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, আগামীকাল সকাল ৯টায় শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে ভোট গ্রহণ শুরু হবে। মধ্যাহ্নবিরতি দিয়ে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত চলবে এই ভোট। গণনা শেষে ওই দিন ফলাফল প্রকাশ করা হবে।

এবারের নির্বাচনটা অনেকটাই নিরুত্তাপ। রাত পোহালেই নির্বাচন, কিন্তু এখনো প্রার্থী, ভোটারদের মধ্যে তেমন প্রাণচাঞ্চল্য দেখা যাচ্ছে না। বিশেষ করে আগের নির্বাচনগুলোতে ভোটার, শিল্পী, প্রযোজক, পরিচালকসহ চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের পদভারে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত গমগম করত এফডিসি। শুধু তাই নয়, নির্বাচন ঘিরে এফডিসিতে একধরনের উত্তেজনাও ছড়িয়েছে বিগত সময়ে। নির্বাচনের ফলাফল নিয়েও সারা দেশে শিল্পীদের ভক্ত, সমর্থক ও উৎসুক সাধারণ মানুষের মধ্যে আগ্রহ দেখা গেছে। কিন্তু এবারের নির্বাচনের চিত্র ভিন্ন। সাধারণ মানুষের খুব একটা আগ্রহ নেই এবার। তবে এফডিসির মূল ফটক থেকে শুরু করে পুরো আঙিনা প্রার্থীদের রঙিন পোস্টার, ব্যানারে ছেয়ে গেছে।

মিশা সওদাগর ও ডিপজল

একটি প্যানেলের কার্যকরী পরিষদের সদস্য পদপ্রার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্ত বলেন, ‘কিছু কিছু সাধারণ ভোটার একটি প্যানেল থেকে টাকা পয়সা পাচ্ছেন। তবে টাকা ছিটিয়ে লাভ হবে না। তারা টাকা খাবেন কিন্তু ভোটটা ঠিক জায়গায়ই দেবেন।’

টাকা ছড়ানোর ব্যাপারটি নিয়ে নিপুণ প্রতিদ্বন্দ্বী প্যানেলকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘আমরা এসব করি না। অন্য প্যানেলের কেউ কেউ করতে পারেন। যদিও হাতেনাতে কোনো প্রমাণ নেই, তবে আমরাও মাঝেমধ্যে এসব শুনি।’

টাকা ছড়ানোর বিষয়টি প্রার্থীদেরই একজন স্বীকার করার কথা মিশাকে বলা হলে তিনি বলেন, ‘কেউ করলে করতে পারে। আমি জানি না। হতে পারে, কোনো প্রার্থী যেকোনো মূল্যে জিতে এসে নিজের পরিচিতি বাড়ানোর জন্য এটি করছে।’

শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে নিপুণ, ইলিয়াস কাঞ্চন ও মাহমুদ কলি

এবার নির্বাচনে মোট ভোটার ৫৭১ জন। এর মধ্যে নতুন ভোটার হয়েছেন ৫০ জন। জায়েদ-মিশা প্যানেল ক্ষমতায় থাকাকালে অনেকের ভোটাধিকার বাতিল হয়েছিল। এরপর কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেল বিজয়ী হয়ে এসে উচ্চ আদালত থেকে ১০৩ জন ভোটাধিকার ফিরে পান। ধারণা করা হচ্ছে, নতুন ও ফিরে পাওয়া মিলে মোট ১৫৩ জনের ভোট এবারের নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে। একটি প্যানেলের জিতে আসার ক্ষেত্রে সুবিধাও দিতে পারেন এসব ভোটার।

;

সাড়া ফেলেছে বকুল-চন্দনের ‘গানেরও বন্ধনে’



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
চন্দন সিনহা, ইমরান ও কবির বকুল

চন্দন সিনহা, ইমরান ও কবির বকুল

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদে অনেক অনুষ্ঠানের মধ্যে এবার আলোচনায় ছিল ‘ইমরান শো- বকুলে চন্দনে, গানেরও বন্ধনে’ অনুষ্ঠানটি । অনুষ্ঠানটি প্রথমবারের মত উপস্থাপনা করেছেন সঙ্গীতশিল্পী ইমরান মাহমুদুল। ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল এই অনুষ্ঠানের বিভিন্ন গান। টিকটক ও রিলসেও ভাসছে গানগুলো।

অনুষ্ঠানটিতে কবির বকুলের লেখা ও চন্দন সিনহার গাওয়া সাতটি গান এ প্রজন্মের ১০ জন জনপ্রিয় শিল্পীর গেয়েছেন । উপস্থাপনার পাশাপাশি ইমরান নিজেও চন্দন সিনহার গাওয়া একটি গান পরিবেশন করেন। পুরো অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে ছিলেন গীতিকবি কবির বকুল ও শিল্পী চন্দন সিনহা। এরই মধ্যে, কিশোর দাসের কণ্ঠে ‘আমি নিঃস্ব হয়ে যাবো, সাব্বির ও খেয়ার কন্ঠে প্রেম করব, প্রেমে পড়বো’ গান দুটি কৌশিক হোসেন তাপস, ধ্রুব মিউজিকসহ অনেকে শেয়ার করেছেন। ইমরানের সাবলীল উপস্থাপনাও ভূয়সী প্রশংসা পাচ্ছে।

সাতটি গানে কণ্ঠ দিচ্ছেন রাজিব, অয়ন চাকলাদার, কিশোর, সাব্বির, খেয়া, সিঁথি সাহা, আতিয়া আনিসা, মাহতিম সাকিব, মুহিন ও ইমরান মাহমুদুল।
অনুষ্ঠানটির গ্রন্থনা, পরিকল্পনা ও পরিচালনা করেছেন কবির বকুল।

;