ফজলুল হক স্মৃতি পুরস্কার পাচ্ছেন দুই গুণী



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা ২৪.কম
কাজী হায়াৎ

কাজী হায়াৎ

  • Font increase
  • Font Decrease

ফজলুল হক স্মৃতি পুরস্কার ২০২১ পাচ্ছেন চলচ্চিত্র পরিচালক কাজী হায়াৎ এবং অন্যদিন সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম। এতে ধারাবাহিকভাবে একজন চলচ্চিত্র পরিচালনায় ও অন্যজন চলচ্চিত্র সাংবাদিকতায় এ সম্মাননা পাচ্ছেন।

বাংলাদেশের প্রথম চলচ্চিত্র বিষয়ক পত্রিকা ‘সিনেমা’ এর সম্পাদক ও বাংলাদেশের শিশুতোষ চলচ্চিত্র প্রেসিডেন্ট এর নির্মাতা প্রয়াত ফজলুল হক স্মরণে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। আগামী ২৬ অক্টোবর চ্যানেল আই কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এ পুরস্কার প্রদান করা হবে।

ফজলুল হক স্মৃতি কমিটির সাধারণ সম্পাদক আমীরুল ইসলাম বলেন, “আগামী ২৬ অক্টোবর ফজলুল হকের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে চ্যানেল আই স্টুডিওতে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ‘ফজলুল হক স্মৃতি পুরস্কার ২০২১’ প্রদান করা হবে। এ পুরস্কারের অর্থমূল্য প্রতিটি ২৫ হাজার টাকা, সম্মাননা পত্র ও ক্রেস্ট। প্রয়াত ফজলুল হক স্মরণে ২০০৪ সাল থেকে এই পুরস্কার প্রবর্তন করেন বিশিষ্ট কথাশিল্পী রাবেয়া খাতুন।”

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন চলচ্চিত্রের এই গুণী মানুষটিকে শ্রদ্ধা জানাতে তাদের একটি মূল মিলনায়তনের নামকরণ করেছে ‘ফজলুল হক স্মৃতি মিলনায়তন’। চলচ্চিত্র ও গণমাধ্যমে কাজ করতে আগ্রহীদের জন্য সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকীর প্রত্যক্ষ তত্তাবধানে গড়ে তোলা হয়েছে ‘ফজলুল হক ইন্সটিটিউট অব মিডিয়া স্টাডিজ’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান।

ইতিমধ্যে ‘ফজলুল হক স্মৃতি পুরস্কার’ পেয়েছেন- সাইদুল আনাম টুটুল এবং ফজল শাহাবুদ্দিন (২০০৪), চাষী নজরুল ইসলাম ও আহমদ জামান চৌধুরী (২০০৫), হুমায়ূন আহমেদ ও রফিকুজ্জামান (২০০৬), সুভাষ দত্ত ও হীরেন দে (২০০৭), গোলাম রাব্বানী বিপ্লব ও আবদুর রহমান (২০০৮), আমজাদ হোসেন ও সৈয়দ শামসুল হক (২০০৯), মোরশেদুল ইসলাম ও চিন্ময় মুৎসুদ্দী (২০১০), ই আর খান ও অনুপম হায়াৎ (২০১১), নাসিরউদ্দিন ইউসুফ ও গোলাম সারোয়ার (২০১২), রাজ্জাক ও রেজানুর রহমান (২০১৩), সৈয়দ সালাহউদ্দিন জাকী ও আরেফিন বাদল (২০১৪), মাসুদ পারভেজ ও শহীদুল হক খান (২০১৫), আজিজুর রহমান ও মোস্তফা জব্বার (২০১৬), আবদুল লতিফ বাচ্চু ও নরেশ ভুঁইয়া (২০১৭), মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও শফিউজ্জামান খান লোদী (২০১৮), কোহিনূর আখতার সুচন্দা ও রাফি হোসেন (২০১৯) এবং আলমগীর ও দীপেন(২০২০)।

 

রাত হলেই মেজাজ হারান সৃজিত, জানালেন মিথিলা



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
রাত হলেই মেজাজ হারান সৃজিত, জানালেন মিথিলা

রাত হলেই মেজাজ হারান সৃজিত, জানালেন মিথিলা

  • Font increase
  • Font Decrease

অভিনেত্রী মিথিলা ও ভারতীয় বাংলা সিনেমার পরিচালক সৃজিত মুখার্জিকে নিয়ে একের পর এক সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে। তাদের বিচ্ছেদের গুঞ্জন কদিন পর পরই খবরের শিরোনামে আসে। তবে তারা দুজনেই এসব খবর ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। তাই এ বিষয়ে খুব বেশি একটা মাথা ঘামাচ্ছেন না নেটিজেনরা।

তবে সম্প্রতি ভারতীয় এক গণমাধ্যমে নিজের এক গোপন তথ্য ফাঁস করছেন মিথিলা। তিনি জানান, রাত হলেই তিনি মেজাজ হারান।

এ প্রসঙ্গে তিনি আরও, সত্যিই এমনটা করে থাকি। কারণ একটাই, সারাদিন আমি খাটতে রাজি আছি, কিন্তু রাতে একটা নির্দিষ্ট সময়ের পর বাড়ি ফিরতে চাই। শুটিং করতে ভালো লাগে না। কিন্তু যখন যেতে পারি না তখনই মেজাজ বিগড়ে যায়। কোনও কথাই আর শুনতে চাই না। যদিও এটা আমি সব পরিচালকের ক্ষেত্রে করি না। কেবল কাছের যারা থাকেন, তাদের সঙ্গে এমনটা করি।

কদিন আগেই মিথিলা-সৃজিতের বিচ্ছেদের গুঞ্জন উঠেছিল। শোনা গিয়েছিল দুই মাসের মধ্যে সম্পর্ক চুকিয়ে বাংলাদেশে ফিরবেন মিথিলা। কারণ হিসেবে জানা গিয়েছিল, বয়সে ছোট এক তরুণীকে মন দিয়েছেন সৃজিত। তবে তিনি কোনো অভিনেত্রী নন। ক্যামেরার পেছনে কাজ করেন। কিন্তু মিথিলা-সৃজিত দুজনেই উড়িয়ে দেন গুঞ্জনটি।

প্রসঙ্গত, সৃজিত মুখার্জীকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। ২০১৯ সালে ৬ ডিসেম্বর কলকাতায় তাদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। ওই বিয়ের প্রায় দুই মাস পর আনুষ্ঠানিকভাবে বৌভাতে বসেছিল তারার মেলা।

;

ফাঁস হওয়া ভিডিও প্রসঙ্গে যা জানালেন রাজ



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শরিফুল রাজ ও সুনেরাহ বিনতে কামালের ভাইরাল ভিডিও নিয়ে অন্তর্জালে শোরগোল অব্যাহত রয়েছে। একেকজন একেকভাবে নিজেদের মতামত প্রকাশ করছেন। বিষয়টি নিয়ে শর্তহীন দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাজ।

বুধবার (৩১ মে) বিকেলে নিজের ভেরিফাইয়েড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই প্রসঙ্গে দুঃখ প্রকাশ করে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি।

পাঠকদের জন্য অভিনেতার পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

মানুষ প্রতি মুহূর্তে একটু একটু করে পরিণত হয়। জন্মের পর নিজের পায়ে চলতে শিখতেও কয়েক বছর লেগে যায়। আর ঠিকঠাক কথা বলা শিখতে লেগে যায় আরও কিছু বছর। কিন্তু এই বলা আর চলার যাত্রা কখনও শেষ হয়না। তবে এই যাত্রায় আমরা কিছু মানুষের সঙ্গে পরিচিত হই, যাদের সঙ্গে সুখ-দুঃখ, কাজের আলাপ কিংবা কাজহীন দিনের আলাপ, সুস্থতা এবং পাগলামি সবকিছুই ভাগ করে নেওয়া যায়। যাদের সঙ্গে চলার বা কথা বলার বিশেষ কোনো শর্ত থাকে না। শর্ত থাকে কেবল একটাই- সেটার নাম বন্ধুত্ব।

নিশ্চয়ই আপনাদের প্রত্যেকেরই এমন অনেক বন্ধু রয়েছে- যাদের সঙ্গে আপনারা আভিধানিক শব্দে কথা বলেন না, একসাথে পথ চলার সময় ভবিষ্যৎ ভাবনা নিয়ে পথ চলেন না। যাদের সঙ্গে অনেক বেফাঁস কথা বলেন, কারণ বন্ধুত্ব তো এমনই। লিঙ্গ, বর্ণ, বয়সসহ সকল সীমারেখার উপরে মানুষের বন্ধুত্ব।

কিন্তু সমস্যা হয়, যখন কেউ অসৎ উদ্দেশ্যে বন্ধুত্বের মতো সম্পর্কের মাঝখানে লৈঙ্গিক পরিচয়ের সীমারেখা টেনে, ব্যাপারটাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে চায়। যখন কেউ বন্ধুদের মধ্যকার দ্বিধাহীন আড্ডার আলাপ টক অব দ্য টাউনে পরিণত করে। আমিও তেমনই এক সমস্যায় পড়েছি।

আমি গত কয়েকদিন যাবৎ সিনেমার ডাবিং নিয়ে ব্যস্ত, আমার সিনেমার কিছু গল্পের স্ক্রিপ্ট রিডিং করার কথা, এইগুলা নিয়েই আমি ঠিকমতো সময় দিতে পারছিনা। যখনই সময় পাচ্ছি গল্পের ভিতরে ঢুকে যাচ্ছি, তারমধ্যে হঠাৎ করে কে বা কারা এসব করে আমাকে হেনস্তার শিকার করছে যা ভাবতেই আমি হতবাক হয়ে গেলাম। আমাকে নিয়ে শেষ যতদিন থেকে নানাবিধ সত্য মিথ্যার মিশ্রণে ঘটনার চাউর করছে আমি তার শুরু থেকেই নীরব ছিলাম। কিন্তু নীরবতা মানেই দূর্বলতা না।

আমার ফেসবুক প্রোফাইলের পাসওয়ার্ড/অ্যাকসেস এমন কারও কাছে আছে অথবা হ্যাক করে কেউ আমার দীর্ঘকালের বন্ধু ও সহকর্মীদের সঙ্গের নিতান্ত বন্ধুত্বের আড্ডার ঘটনা লিক করে দেয়। যে বা যারা এই কাজ করেছে, তাদের উদ্দেশ্য ছিল আমাদের হেনস্তা করা। হয়তো তারা সফলও হয়েছে।

আমি আমার তিন বন্ধু ও সহকর্মীর কাছে শর্তহীন দুঃখ প্রকাশ করছি, যারা আমার খুব ভাল বন্ধু দীর্ঘদিনের। সেই বন্ধুত্বের কোন লিঙ্গ নেই। আমার কারণে তাদের হেনস্তার শিকার হতে হলো বলে। আমার সকল শুভাকাঙ্ক্ষী, সমর্থক ও সমালোচকদের কাছেও আমি দুঃখ প্রকাশ করছি- বন্ধুদের আড্ডার ঘটনা নোংরা উদ্দ্যেশে স্প্রেড করে মিসলিড করা হয়েছে বলে।

বহুবার হোঁচট খেয়েই তো হাঁটতে শিখেছি! আবারও হোঁচট খেলাম। আপনাদের দোয়া ও ভালোবাসা সাথে থাকলে নিশ্চয় আরো পরিণত হবো, শিখবো অতীতের ভুল থেকে। আমাকে আপনাদের দোয়া ও ভালোবাসায় রাখবেন। কারণ আপনাদের সমর্থন ছাড়া একজন শরিফুল রাজ কিছুই নয়। জগতের সকল প্রাণী সুখী হোক। সবাইকে ভালোবাসা ও শুভকামনা।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (৩০ মে) মধ্যরাতে হঠাৎ রাজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে বেশ কয়েকটি ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হয়। এরপর থেকে এই ঘটনায় রীতিমতো উত্তাল নেটদুনিয়া। এমনকি শোবিজসহ দেশজুড়ে চলছে নানান তর্ক-বিতর্ক।

;

বর্ণাঢ্য আয়োজনে ফুলজান ছবির ট্রেলার উন্মোচন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
বর্ণাঢ্য আয়োজনে ফুলজান ছবির ট্রেলার উন্মোচন

বর্ণাঢ্য আয়োজনে ফুলজান ছবির ট্রেলার উন্মোচন

  • Font increase
  • Font Decrease

বর্ণাঢ্য আয়োজনে ফুলজান চলচ্চিত্রের শুভ মুক্তি ও ট্রেলার উন্মোচন করা হয়েছে। গ্রামীণ মেয়ের জীবনী নির্ভর এই চলচ্চিত্রের ট্রেলার উন্মোচন করেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

মঙ্গলবার (৩০ মে) বিদ্যুৎ ভবনের মুক্তি হলে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

আমিনুল ইসলাম বাচ্চুর কাহিনী, চিত্রনাট্য সংলাপ ও পরিচালনায় ছবিতে অভিনয় করেছেন- মিষ্টি জান্নাত, রিয়াদ রায়হান অবাক, আমিনুল ইসলাম বাচ্চু, সনি রহমান, জেসমিন জারা, লিটন খন্দকার , মশিউল হক মনা, কবির টুটুল, আশিষ কুমার, ইসমাইল খান, শিলা পাপিয়া, সুহিৃত, রাকিব, প্রশান্ত প্রমুখ।

অজপাঁড়া গ্রামে জন্ম নেওয়া সুন্দরী মেয়ে ফুলজানের জীবনী নির্ভর সিনেমা। ফুলজানের বিয়ে, স্বামী-সংসার, সংসারের টানাপোড়েন, সন্দেহ, ষড়যন্ত্র, দ্বন্দ সংঘাত, সংসারের টানাপোড়েনে সুযোগ সন্ধানী বেয়াড়া যুবকের আবির্ভাব। এটুএস মাল্টিমিডিয়া বাংলাদেশ পরিবেশিত ওই সিনেমাটি আগামী ১৬ জুন সিনেমা হলে মুক্তি পাবে।

শুভ মুক্তি অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমিনুল ইসলামের মধ্যে লুকায়িত সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি। সারাদিন কঠিন দাপ্তরিক কাজের পর তার এই প্রচেষ্টা সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য। আমাদের দেশের অনেক মেধাবী রয়েছে, আমাদের আর্টফিল্ম দেশের বাইরেও প্রশংসিত হচ্ছে। তাদের পাশে দাঁড়ানো উচিত। আমি মনে করি বাংলা সিনেমার আবার সুদিন আসবে।

পরিচালক আমিনুল ইসলাম বাচ্চু বলেন, ছবিটির পরতে পরতে রোমাঞ্চ রয়েছে। মেয়েদের পাশাপাশি পুরুষরাও নানা ভাবে মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছে। তাদের সেই কষ্টগুলো, সামাজিক অসঙ্গতিগুলো ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে। আমার বিশ্বাস ছবি আপনাদের ভালো লাগবে, চিন্তার খোরাক যোগাবে। আপনারা হলে গিয়ে ছবিটি দেখুন, তবেই আমাদের শ্রম সার্থক হবে।

;

‘আমাদের সংসার ভাঙলে দায়ী হবে সুনেরাহ’



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জনপ্রিয় তারকা দম্পতি শরিফুল রাজ ও পরীমণি। বরেণ্য নির্মাতা নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ‘গুনিন’ সিনেমার শুটিংয়ে বিয়ে করেন তারা। ঘটনা ২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর। তবে বিষয়টি তারা প্রকাশ্যে আনেন ২০২২ সালের ১০ জানুয়ারি। তাদের সংসারে রয়েছে ফুটফুটে এক ছেলে সন্তান। নাম শাহীম মুহাম্মদ রাজ্য।

মাঝে সংসার জীবনের টানাপোড়ন চললেও, সন্তানের দিকে তাকিয়ে মান-অভিমান ভুলেছেন রাজ-পরী। তবে গত সোমবার দিবাগত রাতে রাজের ফেসবুক থেকে কিছু ‘গোপন’ ছবি ও ভিডিও প্রকাশ হয়। যেখানে শরিফুল রাজ ও ‘ন ডরাই’খ্যাত অভিনেত্রী সুনেরাহ বিনতে কামালকে পাওয়া গেছে মদ্যপ অবস্থায়। আর ভিডিওতে তাদের কথাবার্তাও ছিল অশ্লীল। যা নিয়ে বেজায় খেঁপেছেন পরী। তার রাগের কারণ ‘গোপন’ ভিডিও না, পরীকে নিয়ে মন্তব্য করায়।

দৈনিক আমাদের সময় অনলাইনকে পরীমণি বলেন, ‘ওই মেয়েকে (সুনেরাহ) আমি চিনিই না। ওর সঙ্গে আমার কখনো কথাই হয়নি। তাহলে কেন ও আমাকে নিয়ে আজেবাজে মন্তব্য করছে। রাজের ফেসবুক থেকে প্রকাশিত ভিডিওগুলোতে অনেকেই দেখেছেন। ওখানে ওর মুখের ভাষা কেমন ছিল। আর ওরা কি স্বাভাবিক ছিল। এটা কোন ধরণের বন্ধুত্ব? রাজের ফেসবুক হ্যাক হয়নি। এটি করেছে ওই মেয়েই! কারণ রাজ ঘুমালে তার কোন হুশ থাকে না।’

পরী আরও বলেন, ‘আমরা সংসার জীবন নিয়ে বেশ ভালোই ছিলাম। কিন্তু এটি অনেকের ভালো লাগছে না। তাই আমার সংসারের পেছনে লেগেছে তারা। তার কথা ও মাতলামি দেখেছেন? এবার বুঝেন। মানুষ মনে করে, দেশের সব মদ আমিই খাই! বাকিরা সবাই ধোয়া তুলসী পাতা। ওই মেয়ে হুমকি দিয়েছে, আইনের ভয় দেখিয়েছে- আইন কি শুধু তার জন্যই। আমিও তাকে দেখে নেব, ধৈর্যের একটা সীমা আছে! আমার মনে হয় ও (সুনেরাহ) আমার সংসারটা ভাঙার চেষ্টা করছে।’

শোবিজে গুঞ্জন আছে, আপনাদের সংসার জীবন ভালো যাচ্ছে না। বিষয়টি কি সত্যি? উত্তরে পরী বলেন, ‘এসব আজাইরা কথা মানুষ কই পায়। আমরা ভালো আছি, সুখেই আছি। আমি অভিনয় আর সংসার জীবন নিয়ে ভালো আছি- এটা কারো পছন্দ হচ্ছে না। তাই এসব কথা ছড়াচ্ছে। গেল ক’দিন ধরে ছবির প্রচারণার কারণে দম ফেলার সময় পাচ্ছি না। এর মধ্যে আবার উটকো ঝামেলা। আমাকে খেপালে এর পরিণাম ভালো হবে না!’

রাজ নাকি বাসায় ঠিকমত ফেরে না আর আপনিও নাকি নিজ বাসায় থাকেন? এমন প্রশ্নের জবাবে বিশ্বসুন্দরী’খ্যাত এই চিত্রনায়িকা বলেন, ‘এটা তো রাজের পুরোনো স্বভাব। আর আমি দুই বাসাতেই থাকি। এখন নিজ বাসায় আছি। আর আমাদের সংসার যদি ভেঙে যায়, তাহলে এর পেছনে দায়ী হবে ওই মেয়ে। আমি এর শেষটা দেখে নিতে চাই।’

;