বাংলাদেশকে উৎসর্গ করে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে পথনাট্যোৎসব
বিনোদন রিপোর্ট, বার্তা ২৪.কম
নাট্যোৎসবের ব্যানার
বিনোদন
বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বাংলাদেশকে উৎসর্গ করে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে একটি পথনাট্যোৎসব। এ রাজ্যের কালনা কোরাস নাট্যদলের পক্ষ থেকে আয়োজিত দু’দিনব্যাপী বার্ষিক পথনাট্যোৎসবটি শুরু হয়েছে আজ (২ জানুয়ারি)।
এই মহতি উদ্যোগকে স্বাগত জানানোর লক্ষ্যে কোলকাতায় অবস্থিত রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশের কিছু শিক্ষার্থীরাও আমন্ত্রিত হয়ে যাচ্ছে তাদের ‘মা ও মাতৃভূমি’ নামক একটি নাটকের পরিবেশনা নিয়ে।
মোর্শেদ আকন্দ বলেন, “নাট্যদল কালনা কোরাসের এই মহতি উদ্যোগ কে প্রসন্ন চিত্তে সাধুবাদ জানাচ্ছি এবং একইসাথে তাঁদের এই আনন্দযজ্ঞে আমাদের একটি পরিবেশনার আমন্ত্রণ পেয়ে বেশ উৎফুল্ল আমরা। জয় হোক নাটকের। জয় হোক ভারত-বাংলাদেশ পারস্পরিক বন্ধুত্বের।”
ভারতে অবস্থানরত বাংলাদেশী শিক্ষার্থী মোর্শেদ আকন্দ এর নির্দেশনায় ‘মা ও মাতৃভূমি’ নাটকটি মঞ্চায়িত হবে উৎসবের শেষ দিন (৩ জানুয়ারি)।
আবারও আসছে কফি উইথ করণ। সাতটি ফাটাফাটি সিজনের পর এবার অষ্টম সিজনের পালা। করণ জোহরের এই শো মানুষের থেকে বিপুল সাড়া পেয়েছে। এবারের যে অষ্টম সিজন আসতে চলেছে মনে করা হচ্ছে সেটা আরও বড় হবে। কারণ প্রথম পর্বে করণের সঙ্গে কফি খেতে আসতে চলেছেন শাহরুখ খান।
কফি উইথ করণের যে সাতটি সিজন অনুষ্ঠিত হল তার মধ্যে প্রতিবার কিং খান তার বন্ধুর এই অনুষ্ঠানে অতিথি হয়ে এসেছেন। কেবল সপ্তম সিজনে তিনি আসতে পারেননি। এবার সেই কমতি মেটাতেই তিনি নতুন ভাবে এই শোতে ধরা দিতে চলেছেন।
বলিউড হাঙ্গামার খবর অনুযায়ী করণ জোহর ইতিমধ্যেই তাঁর এই শোয়ের পরবর্তী সিজনের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন। সূত্রের খবর অনুযায়ী এই শোয়ের অষ্টম সিজন অগস্ট বা সেপ্টেম্বর থেকে দেখা যাবে।
জানা গিয়েছে এবারের সিজনে করণের সঙ্গে কফি খেতে আসবেন বলিউডের নতুন প্রজন্মের সঙ্গে পুরনো তারকারাও। তবে প্রথম পর্বে আল্টিমেট চমক হিসেবে থাকবেন বাদশা নিজেই। আলোচনা করবেন পাঠান নিয়ে, তার সাফল্য নিয়ে।
এছাড়া একটি রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে দক্ষিণের বহু তারকা যেমন, পুষ্পার আল্লু অর্জুন, কেজিএফের যশ, কান্তারা ঋষভ শেট্টি, প্রমুখ উপস্থিত থাকবেন অতিথি হিসেব। করণ জোহরের তরফে নাকি তাঁদের ইতিমধ্যেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এবারের সেটেও ধরা দেবে নতুন চমক। থাকবে নতুন বিভাগ।
অন্যদিকে দীর্ঘ বিরতি কাটিয়ে রকি অর রানি কী প্রেম কাহানি ছবি নিয়ে আসছেন করণ জোহর। এই ছবিটি জুলাইয়ের ২৮ তারিখ মুক্তি পেতে চলেছে। এখানে মুখ্য ভূমিকায় দেখা যাবে রণবীর সিং, আলিয়া ভাট, ধর্মেন্দ্র, জয়া বচ্চন, প্রমুখকে।
শুধু প্রিয়াঙ্কা চোপড়া নন, বলিউডে কোণঠাসা করে ফেলা হয়েছিল ঐশ্বরিয়াকেও। সম্প্রতি বলিউডের ‘নোংরা রাজনীতি’ নিয়ে মুখ খুলেছেন প্রিয়াঙ্কা। এই বিতর্কের মাঝে ভাইরাল হয়েছে ঐশ্বরিয়ার পুরানো একটি সাক্ষাৎকার, যেখানে খানদের নোংরা রাজনীতি প্রসঙ্গে কথা বলেছিলেন অভিনেত্রী।
ভিডিয়োতে সিমিকে শাহরুখের নাম উল্লেখ করে বলতে দেখা যায়, ‘তোমাদের একসঙ্গে পাঁচটি ছবিতে কাজ করার কথা ছিল, তাই না অ্যাশ? বীর জারা তোমার জন্যই তো লেখা হয়েছিল।’ যাতে ঐশ্বর্য জবাব দেন, ‘আমার সঙ্গে কয়েকটি সিনেমা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে কোনো কারণ ছাড়াই সেগুলো হচ্ছে না। কেন, সেই উত্তর আমার কাছে কখনোই ছিল না’।
এরপর সিমি প্রশ্ন করেন ছবি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত কি তাঁর ছিল? তাতে অভিনেত্রীর জবাব, ‘না এটা আমার সিদ্ধান্ত ছিল না’। সঙ্গে জানান, এরকম ঘটনা শুধু যে তাঁকে বিষ্মিত বা বিভ্রান্ত করেছিল তা নয়, বড় আঘাতও পেয়েছিলেন। এরপরেই তাঁকে সিমির প্রশ্ন, ‘এই অভিজ্ঞতা কি বলিউডে কাজ করার পদ্ধতি সম্পর্কে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করেছে?’
জবাবে অভিনেত্রী বলেন, ‘এই ধরনের ঘটনা আপনাকে আরও সচেতন করে দেয়। বুঝিয়ে দেয় এখানে লোকেরা অন্য মানুষ বা প্রোজেক্টের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। এটা স্পষ্ট হয়ে উঠল যে আমার সঙ্গেও এরকম কিছু হতে পারে… আপনার সকল বক্স অফিস সাফল্য বা ইন্ডাস্ট্রিতে 'নিরাপদ অবস্থান' থাকা সত্ত্বেও।’
ঐশ্বর্য এবং শাহরুখের চলতে চলতে, কাল হো না হো এবং বীর জারা-সহ কয়েকটি ছবিতে একসঙ্গে অভিনয় করার কথা ছিল। সিমি এই শো-তেই ঐশ্বর্যর কাছে জানতে চান তিনি শাহরুখকে এই ব্যাপারে কখনও প্রশ্ন করেছেন কি না। যাতে জবাব আসে, ‘এটা আমার স্বভাবের মধ্যে নেই। যদি একজন ব্যক্তি তা ব্যাখ্যা করার প্রয়োজনীয়তা বোধ করেন, তবে করবেন। যদি তারা কখনও না করেন সেটাও তাঁদেরই ইচ্ছে। সুতরাং, কী এবং কেন তা নিয়ে প্রশ্ন করা আমার স্বভাবের মধ্যে নেই।’
সালমন খানের সঙ্গে ব্রেকআপের কারণেই অ্যাশের হাত থেকে এইসব প্রোজেক্ট বেরিয়ে যায় বলে বলিউড ইন্ডাস্ট্রিরই বড় একটা অংশের ধারণা।
২০০৩ সালের এক সাক্ষাৎকারে শাহরুখ এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে জানান, ‘কাউকে নিয়ে কোনও প্রোজেক্ট শুরু করা এবং কোনও কারণ ছাড়াই তাঁকে বাদ দিয়ে দেওয়া কখনই খুব সোজা সিদ্ধান্ত নয়। এটা খুব দুখজনক কারণ অ্যাশ আমার ভালো বন্ধু। প্রযোজক হিসেবে ওটাই তখন ঠিক সিদ্ধান্ত ছিল। আমি ওর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।’
রুচি ও মূল্যবোধের ভীষণ অবক্ষয় চলছে: অভিনয় শিল্পী সংঘ
বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত
বিনোদন
“এখন রুচির দুর্ভিক্ষ চলছে। এর মধ্য দিয়েই হিরো আলমের উত্থান হয়েছে” সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেছিলেন নাট্যকার, অভিনেতা ও সংগঠক মামুনুর রশীদ। যা নিয়ে নেট দুনিয়া রীতিমত তোলপাড়।
এমন মন্তব্যের জন্য নাট্যাঙ্গনের বেশীরভাগ মানুষের কাছে বাহবা পেলেও কিছু মানুষ কড়া সমালোচনা করছেন। গুণী এই নাট্যকার ও অভিনেতাকে কাঠগড়ায় তুলছেন অনেকেই। হিরো আলম নিজেও ফেসবুকে লাইভে এসে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন!
নাট্যজন মামুনুর রশিদের বক্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ করেছে নাটকের শিল্পীদের সংগঠন অভিনয় শিল্পী সংঘ। একটি লিখিত বিবৃতিতে তারা জানায়, “একটি বিশেষ সম্প্রদায় মামুনুর রশীদের বলা একটি শব্দ বা লাইনকে ব্যবহার করে যেভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিদ্বেষ ছড়াচ্ছেন বিভাজন তৈরি করছেন তা ভীষণ নিন্দনীয় এবং অগ্রহণযোগ্য। যে বা যারা এই কাজটি করছে তারাই শিল্প ও সংস্কৃতির প্রধান শত্রু।”
অভিনয় শিল্পী সংঘের বিবৃতিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করছেন ছোট পর্দার তারকা অভিনেতা, অভিনেত্রীরা। সেই বিবৃতিটি চ্যানেল আই অনলাইনের পাঠকদের জন্য হুবুহু তুলে ধরা হলো:
সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের অগ্রজ নাট্যজন, একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, আমাদের সবার প্রিয় শ্রদ্ধার ভালোবাসার অভিনয়শিল্পী, অভিনয়শিল্পী সংঘ বাংলাদেশের সম্মানিত উপদেষ্টা জনাব মামুনুর রশীদ একটি সাক্ষাৎকারে সাম্প্রতিক সময়ের আমাদের দেশের শিল্পসাহিত্য, রাজনীতি, সমাজনীতি, অর্থনীতি সহ নানান বিষয়ে বিশদ আলোচনা করেন। বিশেষ করে আমাদের শিল্প সাহিত্য নাটক ও চলচ্চিত্রে সাম্প্রতিক রুচির যে অবনমন, যে ধরনের বিষয়বস্তু প্রাধান্য পাচ্ছে ও আলোচিত হচ্ছে তা নিয়ে তিনি শংকিত হয়ে বলেছেন, আমাদের রুচির দুর্ভিক্ষ চলছে… উদাহরণ হিসেবে প্রতিকী অর্থে একটি নাম বলেছেন। তিনি কোনোভাবেই কোনো ব্যক্তিকে উদ্দেশ্য করে বলেননি বলেই আমরা বিশ্বাস করি। বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক বিকাশে একজন মামুনুর রশীদ এর অবদান অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি তাঁর সমগ্র জীবন উৎসর্গ করেছেন বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক বিকাশে। একটি বিশেষ সম্প্রদায় মামুনুর রশীদ এর বলা একটি শব্দ, লাইনকে ব্যবহার করে যেভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিদ্বেষ ছড়াচ্ছেন, বিভাজন তৈরি করছেন তা ভীষণ নিন্দনীয় এবং অগ্রহণযোগ্য। যে বা যারা এই কাজটি করছেন তারাই শিল্প ও সংস্কৃতির প্রধান শত্রু। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা মামুনুর রশীদ এর সাথে একমত। রুচি ও মূল্যবোধের ভীষণ অবক্ষয় চলছে। অদ্ভুত আঁধার এক পৃথিবীতে আজ!
প্রথমবার মা হলেন ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। তিনি পুত্র সন্তানের মা হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) রাত ১১টা ২০ মিনিটে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে পুত্র সন্তানের জন্ম দেন তিনি। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মাহির স্বামী রাকিব সরকার। তিনি বলেন, মা ও ছেলে দুজনেই সুস্থ আছেন।
রাকিব নিজের অভিব্যক্তি জানান এভাবে আলহামদুলিল্লাহ, সবই ভালোয় ভালোয় হয়েছে। সবার কাছে দোয়া চাই আমাদের ছেলের জন্য।
২০২১ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর গাজীপুরের ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ রাকিব সরকারের সঙ্গে দ্বিতীয়বার বিয়ের পিঁড়িতে বসেন মাহিয়া মাহি।
এর আগে ২০১৬ সালে ভালোবেসে সিলেটের ব্যবসায়ী মাহমুদ পারভেজ অপুকে বিয়ে করেন মাহি। সেই বিয়ের পর পাঁচ বছরের সংসার ২০২১ সালে মে মাসে ভেঙে যায়।