অভির কথা ও সুরে মাহাদিয়ার প্রথম মৌলিক গান, নির্দেশনায় নামিরা



কামরুজ্জামান মিলু, কন্ট্রিবিউটিং এডিটর, বার্তা ২৪.কম
অভির কথা ও সুরে মাহাদিয়ার প্রথম মৌলিক গান, নির্দেশনায় নামিরা

অভির কথা ও সুরে মাহাদিয়ার প্রথম মৌলিক গান, নির্দেশনায় নামিরা

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের সবচেয়ে সফল-সুখী-আদর্শ তারকা দম্পতি নাইম-শাবনাজ। তাদের দুই কন্যা নামিরা ও মাহাদিয়া। ছোট মেয়ে মাহদিয়ার ছোট বেলা থেকেই গানের প্রতি ছিল ভালোলাগা, ভালোবাসা।  এবার মাহাদিয়া আসছে তার জীবনের প্রথম মৌলিক গান নিয়ে। গানের শিরোনাম ‘দিনগুণে’। গানটি লিখেছেন ও সুর করেছেন সাংবাদিক অভি মঈনুদ্দীন।

গানের শিরোনাম ঠিক করেছেন মাহাদিয়ার বড় বোন নামিরা নাইম। গানের সার্বিক তত্ত্বাবধান এবং অনুপ্রেরণায় রয়েছেন মাহাদিয়া ও নামিরার বাবা-মা নাইম-শাবনাজ।

জীবনের প্রথম মৌলিক গান প্রসঙ্গে মাহাদিয়া বলেন, ‘অভি আঙ্কেলের সঙ্গে আমাদের পরিবারের সম্পর্কটা একেবারেই পারিবারিক। সেই ছোট্টবেলা থেকেই অভি আঙ্কেলকে দেখে আসছি। কিছুদিন আগে এক ঘরোয়া আড্ডায় অভি আঙ্কেল-ইউসুফ আঙ্কেলের সঙ্গে বসে গান নিয়ে পরিকল্পনা করা হয়।

তখনই মূলত দিনগুণে গানটি আমার শোনা হয়। আমি যে ধরনের গান করার কথা ভাবছিলাম, ঠিক সে ধরনেরই গান এটি। গানের কথা খুব সহজ সুন্দর এবং গানের সুরও আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। তাই এই গানটি করা। জীবনের প্রথম মৌলিক গান নিয়ে নিজের মধ্যে ভীষণ উচ্ছ্বাস কাজ করছে। সবার প্রতি গানটি শোনার জন্য বিনীত অনুরোধ রইল।’

নামিরা বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই আসলে আমি ক্যামেরার পেছনে থাকতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতাম। বাবা যখন নাটক নির্মাণ করতেন, তখন আমি ক্যামেরার পেছনে বা মনিটরের সামনে বসে থাকতাম। সেখান থেকেই আসলে নির্মাণের প্রতি আমার আগ্রহ। নিজের বোনের প্রথম মৌলিক গান, ভালোলাগা থেকেই আসলে তার গানটির মিউজিক ভিডিও নির্মাণের পরিকল্পনা, শুটিং লোকেশন ঠিক করা, সর্বোপরি সবই আমার করা।

গানটির মধ্যে একধরনের তারুণ্যের উদ্যমতা রয়েছে। আমার সৃষ্টি আশা করি সবার ভালো লাগবে। আর বাবা-মায়ের আশীর্বাদ তো রয়েছেই।’

অভি মঈনুদ্দীন বলেন, ‘মাহদিয়ার প্রজন্মের শোতা-দর্শকের জন্য উপযোগী একটি সুন্দর গান হয়েছে। শ্রোতাদের আশা করছি ভালো লাগবে। আমি নাইম ভাইয়া ও শাবনাজ আপুর প্রতি কৃতজ্ঞ আমাকে মাহাদিয়ার জন্য গান লেখা ও সুর করার সুযোগ করে দেয়ার জন্য।’

গানের সংগীত পরিচালনায় আছেন ইউসুফ আহমেদ খান এবং সংগীতায়োজনে সাউন্ডহ্যাকার। গানটির মিউজিক ভিডিও নির্মাণ করেছেন নামিরা নাইম, সিনেমাটোগ্রাফি ও সম্পাদনায় আছেন আবির স্বপ্নবাজ।

মাহদিয়া জানান, ৬ জুলাই দুপুরের পর তার নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলের পাশাপাশি Spotifz, Apple Music, Amazon Music প্ল্যাটফরমেও গানটি প্রকাশ পায়। উল্লেখ্য, নামিরা ও মাহাদিয়াকে মিউজিক ভিডিও নির্মাণে সহযোগিতা করেছেন তাদের দুই সহকারী মোমিন ও কমলা।

   

গ্রামের বাড়ির পথে খালিদের কফিন



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
গ্রামের বাড়ির পথে খালিদের কফিন

গ্রামের বাড়ির পথে খালিদের কফিন

  • Font increase
  • Font Decrease

'সরলতার প্রতিমা’ ও ‘ফেরানো গেল না তাকে’র মত গানের শিল্পী খালিদ সোমবার সন্ধ্যায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। ঢাকায় জানাজা শেষে সংগীত শিল্পী খালিদের মরদেহ গোপালগঞ্জে তার গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

সোমবার (১৮ মার্চ) রাত ১১টায় রাজধানীর গ্রিন রোড জামে মসজিদে খালিদের জানাজা হয়। এই শিল্পীকে শেষ বিদায় জানাতে সেখানে উপস্থিত ছিলেন সংগীত শিল্পী সামিনা চৌধুরী, ফাহমিদা নবী, গীতিকার কবির বকুল, চিত্রনায়ক সাইমন সাদিক, সংগীত শিল্পী জয় শাহরিয়ারসহ অনেকে।

পরিবারের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের জানানো হয়, মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) যোহরের নামাজের পর গোপালগঞ্জ শহরের কোর্ট মসজিদ প্রাঙ্গণে আরেক দফা জানাজা হবে। তারপর শহরের নয়া গোরস্থানে শায়িত হবেন খালিদ।

গোপালগঞ্জে তার বড় ভাই আছেন, তিনিই সব প্রস্তুতি দেখছেন।

সোমবার সন্ধ্যায় গ্রিনরোডের বাসায় হৃদরোগে আক্রান্ত হন খালিদ, সঙ্গে সঙ্গে তাকে নেওয়া হয় কমফোর্ট হাসপাতালে। সন্ধ্যা ৭টায় চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এই শিল্পীর পুরো নাম খালিদ সাইফুল্লাহ। আশি ও নব্বইয়ের দশকের ব্যান্ড সংগীতের শ্রোতারা তাকে খালিদ নামেই চেনেন। ১৯৬৫ সালের ১ অগাস্ট গোপালগঞ্জে জন্ম নেওয়া এ শিল্পী স্ত্রী ও এক ছেলে রেখে গেছেন।

গানের জগতে খালিদের যাত্রা ১৯৮১ সালে। ব্যান্ড দল ‘চাইম’- এ যোগ দেন ১৯৮৩ সালে।

'সরলতার প্রতিমা’, ‘যতটা মেঘ হলে বৃষ্টি নামে’, ‘কোনো কারণেই ফেরানো গেল না তাকে’, ‘হয়নি যাবারও বেলা’, ‘যদি হিমালয় হয়ে দুঃখ আসে’, ‘তুমি নেই তাই’ এমন বহু শ্রোতাপ্রিয় গানে কণ্ঠ দিয়েছেন খালিদ।

১৯৮৯ সালে ‘নাতি খাতি বেলা গেল’ গানটির তুমুল জনপ্রিয়তার পর প্রথম বিদেশ সফরের ডাক আসে। সেবার কাতারের দোহায় একটি অনুষ্ঠানে গান করতে গিয়েছিলেন খালিদ।

গত কয়েক বছর ধরে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছিলেন। সেখান থেকে সম্প্রতি দেশে ফেরেন। খালিদের স্ত্রী ও ছেলে যুক্তরাষ্ট্রেই রয়েছেন।গ্রামের বাড়ির পথে খালিদের কফিন

;

খালিদের সেরা ৫ গান



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী খালিদ

জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী খালিদ

  • Font increase
  • Font Decrease

নব্বই দশকের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী খালিদ। ৬০ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অন্যলোকে পাড়ি দিলেন তিনি। কিন্তু তার স্মৃতি, গায়কী থেকে গেছে শ্রোতাদের মাঝে। এই লেখায় থাকল খালিদের জনপ্রিয় পাঁচটি গানের কথা।

সরলতার প্রতিমা
খালিদের সবচেয়ে জনপ্রিয় গান সরলতার প্রতিমা। গানটি লিখেছিলেন তরুণ। সুর ও সঙ্গীত করেছিলেন জুয়েল-বাবু।

যতটা মেঘ হলে বৃষ্টি নামে
মধ্য নব্বইতে গেয়েছিলেন এই গান। লিখেছিলেন লতিফুল ইসলাম শিবলী। সুর করেছিলেন প্রিন্স মাহমুদ। কাব্যধর্মী গানটি অনেকেরই বেশ পছন্দের।

কোনো কারণেই
প্রিন্স মাহমুদের লেখা ও সুর করা গান। খালিদের কণ্ঠের এই গান শ্রোতাদের কাছে বিরহগীতি হিসেবেই পরিচিত।

যদি হিমালয় হয়ে দুঃখ আসে
এই গানটিও প্রিন্স মাহমুদের কথা ও সুরে। খালিদের অসাধারণ গায়কী গানটিকে শ্রোতাদের হৃদয়ে স্থান করে দেয়। গানটি দেড় দশক পরেও জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছে।

নাতি খাতি বেলা গেল
হাফিজুর রহমানের এই গানটি করেছিল চাইম। গেয়েছিলেন খালিদ। চাচীর দুঃখ অ্যালবামে স্থান পেয়েছিল লোকগানটি, যার মধ্যেও খালিদ তার স্বাক্ষর রেখে গেছেন।

;

খালিদের সেই গান আজও ফিরে মুখে মুখে



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
সংগীতশিল্পী খালিদ

সংগীতশিল্পী খালিদ

  • Font increase
  • Font Decrease

যার গান শুনে অনেক অনেক তরুণ-তরুণীর বিকেল ঘনিয়ে সন্ধ্যা পেরিয়েছে সেই 'চাইম' ব্যান্ডের ভোকালিস্ট খালিদ পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেছেন। তার বিদায়ে সঙ্গীতাঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

গোপালগঞ্জে জন্ম নেওয়া এই শিল্পী ১৯৮১ সাল থেকে গানের ভুবনে পথচলা শুরু করেন। তিনি আশি ও নব্বইয়ের দশকে ভোকালিস্ট হিসেবে ‘চাইম’ ব্যান্ডে যোগ দিয়েছিলেন। খুব অল্প সময়ের মধ্যে তরুণ প্রজন্মের শ্রোতাদের হৃদয় জয় করেন।

তার গাওয়া জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে- ‘সরলতার প্রতিমা’, ‘যতটা মেঘ হলে বৃষ্টি নামে’, ‘কোনো কারণেই ফেরানো গেল না তাকে’, ‘হয়নি যাবারও বেলা’, ‘যদি হিমালয় হয়ে দুঃখ আসে’, ‘তুমি নেই তাই’ ইত্যাদি। গানগুলো এখনও ফিরে মানুষের মুখে মুখে।

অনেকদিন ধরেই গানের সঙ্গে নেই খালিদ। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে একেবারেই গান থেকে যেনো দূরে সরেন। বেছে নেন প্রবাস জীবন। আমেরিকার নাগরিকত্ব নিয়ে নিউইয়র্কে বসবাস করতেন। তার এক ছেলে সেখানে পড়াশুনা করেন। মাঝে মাঝে দেশে আসলেও একাই থাকতেন খালিদ। নিজের গন্ডির বাইরে খুব একটা বের হতেন না। কিছুদিন থাকতেন ফের উড়াল দিতেন প্রবাসে। এবারও এলেন। কিন্তু আর প্রবাসে ফেরা হলো না। ফিরলেন অনন্তের পথে।

;

শেষ সময়টায় প্রবাসী জীবন বেছে নিয়েছিলেন খালিদ



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
সংগীতশিল্পী খালিদ

সংগীতশিল্পী খালিদ

  • Font increase
  • Font Decrease

অনেক দিন ধরেই গানের সঙ্গে ছিলেন না 'সরলতার প্রতিমা' খ্যাত খালিদ। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে একেবারেই গান থেকে দূরে সরে যান, বেছে নেন প্রবাস জীবন।

আমেরিকার নাগরিকত্ব নিয়ে নিউইয়র্কে বসবাস করতেন। তার এক ছেলে সেখানে পড়াশুনা করেন। মাঝে মাঝে দেশে আসলেও একাই থাকতেন খালিদ।

নিজের গন্ডির বাইরে খুব একটা বের হতেন না। কিছুদিন থাকতেন ফের উড়াল দিতেন প্রবাসে। এবারও এলেন। কিন্তু আর প্রবাসে ফেরা হলো না। ফিরলেন অনন্তের পথে।

সোমবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় রাজধানীর গ্রিন রোডে একটি হাসপাতালে মারা যান চাইম ব্যান্ডের জনপ্রিয় এ সংগীতশিল্পী। এদিকে তার প্রথম নামাজে জানাজা সোমবার রাত ১১টায় গ্রিন রোড জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়।

খালিদের গাওয়া উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে আছে- সরলতার প্রতিমা, যতটা মেঘ হলে বৃষ্টি নামে, কোনো কারণেই ফেরানো গেল না তাকে, হয়নি যাবারও বেলা, যদি হিমালয় হয়ে দুঃখ আসে, তুমি নেই তাই।

অসংখ্য জনপ্রিয় গানের শিল্পী খালিদের গান একসময় পাড়া-মহল্লার শ্রোতাদের মুখে মুখে থাকত, বাজত বিপণি বিতানসহ বিভিন্ন দোকানে।

;