প্রযোজক জেনিফারের অনুদানের টাকায় শপিং করেছেন!



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
সংবাদ সম্মেলনে মাহি ও রোশন

সংবাদ সম্মেলনে মাহি ও রোশন

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রযোজক জেনিফার ফেরদৌসের সঙ্গে অভিনেত্রী মাহিয়া মাহির ঝামেলা থামবার নাম নিচ্ছে না। প্রযোজকের বিরুদ্ধে এবার একরাশ বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী।

শুধু মাহিই নন, প্রযোজকের আচরণে বিরক্ত চিত্র নায়ক রোশানও। জেনিফার ফেরদৌসের প্রযোজনায় ‘আশীবার্দ’ ছবিতে অভিনয় করেছেন মাহি ও রোশান। গত সপ্তাহেই মাহির বিরুদ্ধে সংবাদমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এ প্রযোজক।

নবীন এই প্রযোজক গণমাধ্যমে কটু মন্তব্য করেন। এতে করে ভীষণ চটেছেন এই দুই তারকা।

বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে জেনিফারের বিরুদ্ধে সরকারি অনুদান হিসাবে প্রাপ্ত টাকা ‘নয় ছয়’-এর অভিযোগ আনলেন মাহি। ৬০ লাখ টাকা সরকারি অনুদান নিয়ে তৈরি হয়েছে ‘আর্শীবাদ’ ছবিটি।

মাহি জানান, জেনিফার ফেরদৌস কোনো পেশাদার প্রযোজক নন। যেহেতু এটা সরকার ও জনগণের টাকার সিনেমা তাই জেনিফার ফেরদৌস এখানে লাইন প্রডিউসার। তাঁকে যে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল উনি বরং সেখান থেকে টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক ছবি এবং সরকারি অনুদানের ছবি বলেই ‘আশীর্বাদ’ করতে রাজি হয়েছিলাম। আরেকটি কারণ হচ্ছে এই ছবির পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান মানিক। তার সঙ্গে আমার এতো ভালো বোঝাপড়া যে ১০ লাখের জায়গায় ৫ লাখ টাকা পারিশ্রমিক নিয়েছি। আমি কিন্তু শুরু থেকে বলে আসছি জেনিফারকে দেখে আমি সিনেমাটি করিনি। কিন্তু জেনিফার শ্যুটিং এমন অপেশাদার আচরণ করবেন ভুলেও ভাবিনি। ছবি করতে গিয়ে যে তিক্ত অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছি গত ১০ বছরের কেরিয়ারে কোনও প্রযোজকের সঙ্গে এমন বাজে অভিজ্ঞতা হয়নি।’

মাহিয়া মাহি জানান, তিনি কাউকে ছোট করে কথা বলছেন না। বাধ্য হয়েই আজ সত্যিটা সামনে আনছেন। খুব স্বপ্ন নিয়ে অনুদানের সিনেমাটি করতে চেয়েছিলাম। ভেবেছিলাম কোনোভাবে যদি প্রধানমন্ত্রী কাজটি দেখেন! ৬০ লাখ টাকায় অনেক ভালো সিনেমা বানানো সম্ভব। কিন্তু আমার অভিজ্ঞতার আলোকে বলছি, সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকার মতো খরচ করেছেন প্রযোজক। বাকি টাকা প্রযোজক কোথায় খরচ করেছে সরকারের খতিয়ে দেখা উচিত। তার জবাবদিহি করা উচিত। এই টাকা ওনার নয়। সরকারি অনুদান দেওয়া হয় জনগণের ট্যাক্স থেকে।

মাহির অভিযোগ সরকারি অনুদানের টাকায় প্রযোজক জেনিফার ফেরদৌস শপিং করেছেন কিনা খতিয়ে দেখা দরকার।

মাহি আরও বলেন, ‘আমি নাকি ২৫ লিটার পানি দিয়ে গোসল করেছি। ওনার শুটিংয়ে আউটডোরেই তো যাইনি, উনি পানি কি বাসায় পাঠিয়েছিলেন?

সংবাদ সম্মেলনে রোশান বলেন, আমি মাত্র একলাখ টাকা পারিশ্রমিক নিয়েছি। বলেছি আমার বাকি টাকা সিনেমাটির ভালোর জন্য খরচ করতে। কিন্তু জেনিফার তা করেনি। বরং নিজের মন মতো যা ইচ্ছে তাই করছেন। আমাদের না জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করছেন যাতে তার ব্যক্তিগত প্রচার বাড়ে। আমাকে মিথ্যে অভিযোগ দিয়ে নিজের কাটতি বাড়াচ্ছেন। যা আমি কোনোভাবে আশা করিনি। বাধ্য হয়েই আজ সবাইকে কথাগুলো জানাতে হলো।

রোশান-মাহি ছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে ছিলেন ছবির পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান মানিক। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্ত এই পরিচালক বলেন, প্রযোজক জেনিফার যেসব অভিযোগ তুলেছেন সবটাই অবান্তর। রোশান-মাহি যা বলেছেন একেবারেই ঠিক। তারা দুজনেই ভীষণ পেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়েছেন।

   

গ্রামের বাড়ির পথে খালিদের কফিন



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
গ্রামের বাড়ির পথে খালিদের কফিন

গ্রামের বাড়ির পথে খালিদের কফিন

  • Font increase
  • Font Decrease

'সরলতার প্রতিমা’ ও ‘ফেরানো গেল না তাকে’র মত গানের শিল্পী খালিদ সোমবার সন্ধ্যায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। ঢাকায় জানাজা শেষে সংগীত শিল্পী খালিদের মরদেহ গোপালগঞ্জে তার গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

সোমবার (১৮ মার্চ) রাত ১১টায় রাজধানীর গ্রিন রোড জামে মসজিদে খালিদের জানাজা হয়। এই শিল্পীকে শেষ বিদায় জানাতে সেখানে উপস্থিত ছিলেন সংগীত শিল্পী সামিনা চৌধুরী, ফাহমিদা নবী, গীতিকার কবির বকুল, চিত্রনায়ক সাইমন সাদিক, সংগীত শিল্পী জয় শাহরিয়ারসহ অনেকে।

পরিবারের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের জানানো হয়, মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) যোহরের নামাজের পর গোপালগঞ্জ শহরের কোর্ট মসজিদ প্রাঙ্গণে আরেক দফা জানাজা হবে। তারপর শহরের নয়া গোরস্থানে শায়িত হবেন খালিদ।

গোপালগঞ্জে তার বড় ভাই আছেন, তিনিই সব প্রস্তুতি দেখছেন।

সোমবার সন্ধ্যায় গ্রিনরোডের বাসায় হৃদরোগে আক্রান্ত হন খালিদ, সঙ্গে সঙ্গে তাকে নেওয়া হয় কমফোর্ট হাসপাতালে। সন্ধ্যা ৭টায় চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এই শিল্পীর পুরো নাম খালিদ সাইফুল্লাহ। আশি ও নব্বইয়ের দশকের ব্যান্ড সংগীতের শ্রোতারা তাকে খালিদ নামেই চেনেন। ১৯৬৫ সালের ১ অগাস্ট গোপালগঞ্জে জন্ম নেওয়া এ শিল্পী স্ত্রী ও এক ছেলে রেখে গেছেন।

গানের জগতে খালিদের যাত্রা ১৯৮১ সালে। ব্যান্ড দল ‘চাইম’- এ যোগ দেন ১৯৮৩ সালে।

'সরলতার প্রতিমা’, ‘যতটা মেঘ হলে বৃষ্টি নামে’, ‘কোনো কারণেই ফেরানো গেল না তাকে’, ‘হয়নি যাবারও বেলা’, ‘যদি হিমালয় হয়ে দুঃখ আসে’, ‘তুমি নেই তাই’ এমন বহু শ্রোতাপ্রিয় গানে কণ্ঠ দিয়েছেন খালিদ।

১৯৮৯ সালে ‘নাতি খাতি বেলা গেল’ গানটির তুমুল জনপ্রিয়তার পর প্রথম বিদেশ সফরের ডাক আসে। সেবার কাতারের দোহায় একটি অনুষ্ঠানে গান করতে গিয়েছিলেন খালিদ।

গত কয়েক বছর ধরে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছিলেন। সেখান থেকে সম্প্রতি দেশে ফেরেন। খালিদের স্ত্রী ও ছেলে যুক্তরাষ্ট্রেই রয়েছেন।গ্রামের বাড়ির পথে খালিদের কফিন

;

খালিদের সেরা ৫ গান



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী খালিদ

জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী খালিদ

  • Font increase
  • Font Decrease

নব্বই দশকের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী খালিদ। ৬০ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অন্যলোকে পাড়ি দিলেন তিনি। কিন্তু তার স্মৃতি, গায়কী থেকে গেছে শ্রোতাদের মাঝে। এই লেখায় থাকল খালিদের জনপ্রিয় পাঁচটি গানের কথা।

সরলতার প্রতিমা
খালিদের সবচেয়ে জনপ্রিয় গান সরলতার প্রতিমা। গানটি লিখেছিলেন তরুণ। সুর ও সঙ্গীত করেছিলেন জুয়েল-বাবু।

যতটা মেঘ হলে বৃষ্টি নামে
মধ্য নব্বইতে গেয়েছিলেন এই গান। লিখেছিলেন লতিফুল ইসলাম শিবলী। সুর করেছিলেন প্রিন্স মাহমুদ। কাব্যধর্মী গানটি অনেকেরই বেশ পছন্দের।

কোনো কারণেই
প্রিন্স মাহমুদের লেখা ও সুর করা গান। খালিদের কণ্ঠের এই গান শ্রোতাদের কাছে বিরহগীতি হিসেবেই পরিচিত।

যদি হিমালয় হয়ে দুঃখ আসে
এই গানটিও প্রিন্স মাহমুদের কথা ও সুরে। খালিদের অসাধারণ গায়কী গানটিকে শ্রোতাদের হৃদয়ে স্থান করে দেয়। গানটি দেড় দশক পরেও জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছে।

নাতি খাতি বেলা গেল
হাফিজুর রহমানের এই গানটি করেছিল চাইম। গেয়েছিলেন খালিদ। চাচীর দুঃখ অ্যালবামে স্থান পেয়েছিল লোকগানটি, যার মধ্যেও খালিদ তার স্বাক্ষর রেখে গেছেন।

;

খালিদের সেই গান আজও ফিরে মুখে মুখে



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
সংগীতশিল্পী খালিদ

সংগীতশিল্পী খালিদ

  • Font increase
  • Font Decrease

যার গান শুনে অনেক অনেক তরুণ-তরুণীর বিকেল ঘনিয়ে সন্ধ্যা পেরিয়েছে সেই 'চাইম' ব্যান্ডের ভোকালিস্ট খালিদ পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেছেন। তার বিদায়ে সঙ্গীতাঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

গোপালগঞ্জে জন্ম নেওয়া এই শিল্পী ১৯৮১ সাল থেকে গানের ভুবনে পথচলা শুরু করেন। তিনি আশি ও নব্বইয়ের দশকে ভোকালিস্ট হিসেবে ‘চাইম’ ব্যান্ডে যোগ দিয়েছিলেন। খুব অল্প সময়ের মধ্যে তরুণ প্রজন্মের শ্রোতাদের হৃদয় জয় করেন।

তার গাওয়া জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে- ‘সরলতার প্রতিমা’, ‘যতটা মেঘ হলে বৃষ্টি নামে’, ‘কোনো কারণেই ফেরানো গেল না তাকে’, ‘হয়নি যাবারও বেলা’, ‘যদি হিমালয় হয়ে দুঃখ আসে’, ‘তুমি নেই তাই’ ইত্যাদি। গানগুলো এখনও ফিরে মানুষের মুখে মুখে।

অনেকদিন ধরেই গানের সঙ্গে নেই খালিদ। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে একেবারেই গান থেকে যেনো দূরে সরেন। বেছে নেন প্রবাস জীবন। আমেরিকার নাগরিকত্ব নিয়ে নিউইয়র্কে বসবাস করতেন। তার এক ছেলে সেখানে পড়াশুনা করেন। মাঝে মাঝে দেশে আসলেও একাই থাকতেন খালিদ। নিজের গন্ডির বাইরে খুব একটা বের হতেন না। কিছুদিন থাকতেন ফের উড়াল দিতেন প্রবাসে। এবারও এলেন। কিন্তু আর প্রবাসে ফেরা হলো না। ফিরলেন অনন্তের পথে।

;

শেষ সময়টায় প্রবাসী জীবন বেছে নিয়েছিলেন খালিদ



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
সংগীতশিল্পী খালিদ

সংগীতশিল্পী খালিদ

  • Font increase
  • Font Decrease

অনেক দিন ধরেই গানের সঙ্গে ছিলেন না 'সরলতার প্রতিমা' খ্যাত খালিদ। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে একেবারেই গান থেকে দূরে সরে যান, বেছে নেন প্রবাস জীবন।

আমেরিকার নাগরিকত্ব নিয়ে নিউইয়র্কে বসবাস করতেন। তার এক ছেলে সেখানে পড়াশুনা করেন। মাঝে মাঝে দেশে আসলেও একাই থাকতেন খালিদ।

নিজের গন্ডির বাইরে খুব একটা বের হতেন না। কিছুদিন থাকতেন ফের উড়াল দিতেন প্রবাসে। এবারও এলেন। কিন্তু আর প্রবাসে ফেরা হলো না। ফিরলেন অনন্তের পথে।

সোমবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় রাজধানীর গ্রিন রোডে একটি হাসপাতালে মারা যান চাইম ব্যান্ডের জনপ্রিয় এ সংগীতশিল্পী। এদিকে তার প্রথম নামাজে জানাজা সোমবার রাত ১১টায় গ্রিন রোড জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়।

খালিদের গাওয়া উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে আছে- সরলতার প্রতিমা, যতটা মেঘ হলে বৃষ্টি নামে, কোনো কারণেই ফেরানো গেল না তাকে, হয়নি যাবারও বেলা, যদি হিমালয় হয়ে দুঃখ আসে, তুমি নেই তাই।

অসংখ্য জনপ্রিয় গানের শিল্পী খালিদের গান একসময় পাড়া-মহল্লার শ্রোতাদের মুখে মুখে থাকত, বাজত বিপণি বিতানসহ বিভিন্ন দোকানে।

;