বিরল রোগে আক্রান্ত বরুণ ধাওয়ান!
সামান্থার অসুস্থতার খবরে কপালে চিন্তার ভাঁজ তার অনুরাগীদের। এবার জানা গেল বিরল রোগে আক্রান্ত অভিনেতা বরুণ ধাওয়ান। অভিনেতা সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন ‘ভেস্টিবুলার হাইপোফাংশন’-এর শিকার তিনি। বরুণের কথায়, করোনা পরবর্তী সময়ে ফের একবার নিজেকে প্রমাণ করবার ইঁদুর দৌড়ে সকলে শামিল হয়ে পড়েছে, ‘যুগ যুগ জিও’র প্রচারে নিজেকে এমনভাবে উজাড় করে দিয়েছিলেন তিনি যেন ‘নির্বাচনী প্রচার চলছে’।
রাজ মেহতা পরিচালিত কমেডি ড্রামা ‘যুগ যুগ জিও’-তে বরুণ ছাড়াও দেখা মিলেছিল কিয়ারা আডবানি, নীতু কাপুর ও অনিল কাপুরের। ২০২২ সালে মুক্তি পাওয়া অন্যতম হিট বলিউড ছবি এটি। বক্স অফিসে ১৩৫ কোটির ব্যবসা করেছে ‘যুগ যুগ জিও’।
ইন্ডিয়া টুডে-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে করোনা পরবর্তী সময় নিয়ে বরুণ বলেন, ‘যেই মুহূর্তেই আমরা দরজা খুললাম আবার সেই ইঁদুর দৌড়ে ঝাঁপিয়ে পড়লাম। কতজন মানুষ বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবে তাঁরা পালটেছে? আমি তো দেখছি লোকজন আরও বেশি পরিশ্রম করছে! সত্যি বলতে আমি নিজে যুগ যুগ জিও-র জন্য এতটাই পরিশ্রম করেছি, যে আমার মনে হচ্ছিল যেন কোনও নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছি আমি। সত্যি জানি না কেন, নিজের উপর বড্ড চাপ দিয়ে ফেলেছিলাম’।
তবে আপাতত সব দৌড়ঝাঁপ বন্ধ করে দিয়েছেন বরুণ। কারণ হিসাবে অভিনেতা জানান তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির কথা। বরুণ বলেন, ‘আমি জানতাম না আমার সঙ্গে কী ঘটছে। আমার একটা সমস্যা দেখা দিয়েছে, যেটাকে বলে ভেস্টিবুলার হাইপোফাংশন। মূলত এই রোগে আপনার শরীরের ব্যালেন্স বজায় রাখতে সমস্যা হয়। তার মধ্যেই আমি মারাত্মক পরিশ্রম করে ফেলেছি। কারণ আমরা সবাই দৌড়াচ্ছি, কেউ জানতে চাইছে না কেন। আমাদের সবার এইখানে থাকবার একটা নির্দিষ্ট কারণ রয়েছে, আমি সেই কারণটা খোঁজার চেষ্টা করছি। আশা করছি, মানুষ নিজেরটা খুঁজে নেবে’।
উল্লেখ্য, ভেস্টিবুলার সিস্টেমে গোলমাল হলেই ভার্টিগোর সমস্যা দেখা যায়। যে কোনও সময় শরীরের ভারসাম্য বিগড়ে যেতে পারে। যে সব স্নায়ু দেহের ভারসাম্য রক্ষা করে তা নিয়ন্ত্রণ করে মস্তিষ্কের এই অংশ (ভেস্টিবুলার সিস্টেম)। বরুণের এই সিস্টেমে গোলমাল দেখা দিয়েছে।
আগামীতে বরুণকে দেখা যাবে ভেড়িয়া ছবিতে। এই হরর কমেডি পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন অমর কৌশিক। বরুণ ছাড়াও এই ছবিতে থাকছেন কৃতী শ্যানন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়রা। আগামী ২৫শে নভেম্বর মুক্তি পাবে ‘ভেড়িয়া’।