শুরু হচ্ছে সিসিমপুরের নতুন মৌসুম, সিজন-১৫



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শুরু হচ্ছে শিশুদের প্রিয় অনুষ্ঠান সিসিমপুরের নতুন মৌসুম, সিজন-১৫। নতুন এই মৌসুমে হালুম, টুকটুকি, ইকরি ও শিকু হাজির হবে নতুন নতুন সব গল্প নিয়ে আর সঙ্গে থাকবে তাদের নতুন বন্ধু জুলিয়া। জুলিয়া চরিত্রটি সিসিমপুরে বিশেষ সংযোজন। তার মধ্যে আছে অটিজম বিষয়ক বৈশিষ্ট্য। সিসিমপুরে বাংলাদেশের অটিজমসম্পন্ন শিশুদের প্রতিনিধিত্ব করবে জুলিয়া।

ইউএসএআইডি/বাংলাদেশের আর্থিক সহযোগিতায় নির্মিত নতুন এই সিজনের স্লোগান- ছন্দে ছন্দে পনেরো এলো- সবাই মিলে এগোই চলো। আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে সিজন-১৫ এর আনকোরা পর্বগুলো দেখা যাবে দুরন্ত টেলিভিশনের পর্দায়।

সবাইকে অন্তর্ভুক্তিকরণ এবং নিজের প্রতি যত্নশীল হওয়া- এই বিষয় দুটিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে সাজানো হয়েছে সিসিমপুরের ১৫তম মৌসুম। এছাড়া মজার মজার গল্পের মাধ্যমে প্রাক-গণিত, প্রাক-পঠন, অটিজম, পুষ্টিকর খাবারের গুরুত্ব, বিশ্লেষণী চিন্তা-ভাবনা, জেন্ডার বিষয়ক প্রচলিত সংস্কারকে জয় করা এবং ভিন্ন ভিন্ন ভাবপ্রকাশের উপায়কে সম্মান দেখানোর মতো বিষয়গুলোকে তুলে ধরা হবে। থাকবে গণিত, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও বিজ্ঞান নিয়ে দারুণ সব এনিমেশন। আর শিশুদের নিয়ে লাইভ এ্যাকশন ফিল্ম। এছাড়া ‘ইকরির সাথে বর্ণ চেনা’ এবং ‘টুকটুকির সাথে সংখ্যা চেনা’র প্রতিটি পর্বে  ইকরি একটি করে বর্ণ এবং টুকটুকি একটি করে সংখ্যা চেনাবে।


১৫তম সিজনের পর্বগুলো বর্ণনামূলক, ‘শিকুর বিজ্ঞানের জগৎ’ এবং ‘ইকরির সাথে খেলার সময়’ এই তিন ধরনের ফরমেটে তৈরি। এবারের পর্বগুলোতে সিসিমপুরের বন্ধু হালুম, টুকটুকি, ইকরি, শিকুর সাথে নতুন বন্ধু জুলিয়া ছাড়াও অংশ নিয়েছে আমিরা এবং শিকুর সহকারি বানর। এছাড়া থাকছে প্রতিবন্ধী, প্রান্তিক এবং আদিবাসী শিশুরাও। আর সিসিমপুরের নিয়মিত অন্যান্য চরিত্ররা তো থাকছেই। এই সিজনের একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য কিছু পর্বে ব্যবহার করা হয়েছে ইশারা ভাষা।

সিসিমপুরের সিজন-১৫ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত ও অনুষ্ঠানের সম্মানিত অতিথি ইউএসএআইডি’র মিশন ডিরেক্টর ক্যাথরিন ডেভিস স্টিভেন্স। রাজধানীর আগারগাঁওয়ের ফিল্ম আর্কাইভ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত নতুন সিজনের উদ্বোধনী আয়োজনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক ড. উত্তম কুমার দাশ, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সদস্য ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান এবং সূচনা ফাউন্ডেশনের সিইওও ডা. সাকী খন্দকার। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন এশিয়াটিকের কো-চেয়ারম্যান সারা যাকের, বিটিভি’র পরিচালক জগদীশ এষ, মাছরাঙা টেলিভিশনের নির্বাহী পরিচালক অজয় কুমার কুণ্ডু এবং ‘ইউএসএআইডি সিসিমপুর’ প্রজেক্টের চিফ অফ পার্টি মোহাম্মদ শাহ আলম-সহ অনেক গুণীজন। সঙ্গে ছিল সিসিমপুরের বন্ধু বাহাদুর, ইকরি, শিকু, টুকটুকি, হালুম ও নতুন বন্ধু জুলিয়া।

ইউএসএআইডি’র আর্থিক সহযোগিতায় নির্মিত ‘সিসিমপুর’ ২০০৫ সাল থেকে প্রাক-প্রাথমিক শিশু বিকাশ কার্যক্রমের আওতায় ‘সর্বত্র শিশুরা হয়ে উঠুক আরও সম্পন্ন, আরও সবল এবং আরও সদয়’ এই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। সিসিমপুর অনুষ্ঠানটি সম্প্রচারে সহায়তা করছে ‘মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়’ এবং বিদ্যালয়ভিত্তিক কার্যক্রমে সহায়তা করছে ‘প্রথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়’।

   

মেগা ব্লকবাস্টার 'অ্যানিমেল'!



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
মেগা ব্লকবাস্টার 'অ্যানিমেল'!

মেগা ব্লকবাস্টার 'অ্যানিমেল'!

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বজুড়ে আজ মুক্তি পেয়েছে রণবীর কাপুরের সিনেমা 'অ্যানিমেল'। মর্নিং শো শেষ হওয়ার সাথে সাথে স্যোশাল মিডিয়া ছেয়ে গেছে সিনেমা ভক্তদের রিভিউ পোস্ট। উদ্বোধনী শোতে যারা 'অ্যানিমেল' দেখেছেন তারা সবাই বলছেন সিনেমাটি ব্লকবাস্টার। ভারতীয় টুইটার, ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম ও এক্স ব্যবহারকারীরা রণবীরের এই ব্যতিক্রমী কাজের জন্য প্রশংসা করছেন।

সিনেমাটির প্রথম শোয়ের পরপরই শুরু হয় ভক্তদের রিভিও শেয়ার করা। তবে এই তালিকার সবার আগে 'অ্যানিমেল' সিনেমার রিভিও শেয়ার করেছেন আলিয়া ভাট। রণবীরের অভিনয় দেখে “খাতারনাক” উপাধি দিয়েছেন। সাধারণ দর্শকরাও রণবীরের এমন অভিনয় দেখে মুগ্ধ হয়েছেন। তাদের মধ্যে অনেকেই 'অ্যানিমেল' কে মেগা ব্লকবাস্টার ঘোষণা দিয়েছেন। ভক্তরা বলছেন, বরফি, সানজু সিনেমায় পুরোবিশ্ব রণবীরের যে অভিনয় দেখেছে 'অ্যানিমেল' এর অভিনয় সেগুলোকেউ ছাড়িয়ে গেছে।

১ ডিসেম্বর ভারতসহ সারা বিশ্বে মুক্তি পেয়েছে 'অ্যানিমেল' সিনেমাটি। সন্দীপ রেড্ডির পরিচালনায় সিনেমাটিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন রণবীর কাপুর। ভারতসহ বাংলাদেশেও রণবীরের খুব জনপ্রিয়তা রয়েছে। জনপ্রিয়তার দিক থেকে ভারতে ৩ খানের পরেই বলা যায় রণবীরের অবস্থান।

সিনেমায় অর্জুন নামে একজন গ্যাংস্টারকে তুলে ধরা হয়েছে। যে চরিত্রে রণবীরকে দেখা গেছে। যিনি খুব নির্দয় এবং উচ্চাবিলাষী, নিজের লক্ষ্য অর্জনের জন্য যেকোনও কিছু করতে পারেন।

অপরাধ জগতকে ঘিরে সিনেমাটির দৃশ্যপট। যেখানে আনুগত্য, বিশ্বাসঘাতকতা ও ক্ষমতার লড়াই হচ্ছে মূল। আর অর্জুন হল আরডারওয়ার্ল্ডের একজন উদীয়মান ব্যক্তি। অর্জুন তার নিজের নামকে সর্বোচ্চ পর্যায় নিয়ে যেতে চায় যেন তার নাম শুনে সবাই কেঁপে উঠে। অর্জুনের এই লক্ষ্যে বাধা হয়ে দাড়ায় একজন। যার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ববি দেওল। সিনেমাটিতে অনিল কাপুর, রশ্মিকা মান্দান্নাও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছেন।

সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে

;

নিজ চোখে দেখুন তারকাজীবনের অন্দরমহল



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
নুসরাত ইমরোজ তিশা ও মোস্তফা সরয়ার ফরুকী

নুসরাত ইমরোজ তিশা ও মোস্তফা সরয়ার ফরুকী

  • Font increase
  • Font Decrease

শুরু থেকেই আলোচনায় ‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’। একে তো ছবিটির মাধ্যমে দীর্ঘদিন পর দেশি দর্শকের কাছে ফিরছেন গুণী নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। সেই সঙ্গে জনপ্রিয় অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশাও মাতৃত্বকালীন বিরতি কাটিয়ে প্রথম এই ছবিতেই অভিনয় করেছেন। বাড়তি প্রাপ্তি নির্মাতা ফারুকীর প্রথমবারের মতো অভিনয় দেখা। সেই সঙ্গে প্রচার প্রচারণার জন্য এক ধরনের আগ্রহ। সবমিলিয়ে একটি কাজ মানুষের কাছে পৌঁছাতে এর বেশি আর কী লাগে?

কিন্তু ‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’ এর থেকেও বড় কিছু, এর থেকেও স্পেশ্যাল কিছু। গতকাল ৩০ নভেম্বর ছবিটির প্রিমিয়ার শোয়ের আয়োজন করে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান চরকি। একইসঙ্গে ওটিটি প্ল্যাটফর্মটি দর্শকের জন্য চরকিতে অবমুক্ত করে ছবিটি। বড় পর্দায় ছবিটি দেখার পর একরাশ হাহাকার নিয়ে ঘরে ফিরতে হয়।

আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে তারকাজীবনের অন্দরমহল নিজ চোখে দেখার এমন সুযোগ আর হয়নি। সফল তারকা দম্পতি হিসেবে ফারুকী তিশার যে জনপ্রিয়তা, ভক্তদের চোখে তাদের নিয়ে যে কৌতুহল তার অনেকটাই এই ছবির মাধ্যমে দেখতে পাওয়া যাবে।

ছবিতে নুসরাত ইমরোজ তিশা 

মূদ্রার এপিঠ-ওপিঠ সবটাই উল্টে পাল্টে দেখিয়েছেন ফারুকী। সমাজের একাধিক বিষয়কে তিনি তুলে ধরেছেন খুবই হৃদয়গ্রাহী করে। একজন তারকার হাই অ্যাম্বিশন যেমন আছে, তেমনি আছে নিজের জীবনের সঙ্গে স্যাক্রিফাইজের গল্প। স্বামী-স্ত্রীর ইকুয়েশন যেমন আছে, তেমনি আছে সমাজের বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ তারকাদের কোন চোখে দেখে সেই বিষয়গুলো। ব্যক্তিজীবন ছাড়িয়ে ‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’ এক সময় হয়ে ওঠে সমাজ, রাজনীতি ও ক্ষমতাবৈষম্যের ছবি। পুরোটা দেখার পর মনে হয় এটি সন্তানের প্রতি বাবা মায়ের আবেগ, অনুভূতি, প্রেম, মায়া, বিসর্জন আর প্রত্যাশাহীনতার ছবি।

ফারুকীর প্রথম অভিনয়, কিন্তু তিনি সেটি বুঝতে দেননি। নিজের চরিত্রে তিশা অসম্ভব শক্তিশালী। ডলি জহুর, ডিপজল, ইরেশ জাকের, শরাফ আহমেদ জীবন, রিফাত চৌধুরী- প্রত্যেকে দারুণ সাবলিল। গল্প লিখেছেন ফারুকী-তিশা মিলেমিশে। এজন্যই হয়তো দুজনের চরিত্রের ভারসাম্য আরও সুষম হয়েছে।

প্রিমিয়ার শোতে তারকারা

প্রিমিয়ার শোতে উপস্থিত অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু, আনিসুল হক, আফজাল হোসেন, চঞ্চল চৌধুরী, শিহাব শাহিন, আশফাক নিপুণ, এলিটা করিম, নাদিয়া আহমেদ, আদনান আল রাজীব, মেহজাবীন চৌধুরী, সাবিলা নূর, তাসনিয়া ফারিণ, সারিকা সাবরিন, শবনম ফারিয়া, তাসনুভা তিশা, হৃদি শেখ, সুনেরাহ বিনতে কামাল, রায়হান রাফী, আহমেদ জামান শাওকী, আরিক আনাম খান, রুকাইয়া জাহান চমকসহ অনেক তারকাশিল্পী ছবিটির খুব প্রশংসা করেন।

চরকিতে ‘মিনিস্ট্রি অব লাভ’-প্রজেক্টে জনপ্রিয় ১২ জন নির্মাতা ভালোবাসার গল্প নিয়ে ১২টি চরকি অরিজিনাল ফিল্ম বানাচ্ছেন। এই পুরো প্রজেক্টের সার্বিক তত্ত্বাবধানে আছেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। তিনি নিজে নির্মাণ করেছেন দুটি সিনেমা ‘অটোবায়োগ্রাফি’ ও ‘মনোগামী’।

প্রিমিয়ার শোতে প্রেসের মুখোমুখি সিনেমার টিম

তিশা বলেন, ‘এই সিনেমা নিয়ে যদি আরও কিছু বলতে হয় তাহলে আমি ছোট্ট করে বলবো এই সিনেমাটা হচ্ছে সকল সন্তানের প্রতি তার মা বাবার অনুভূতির উপহার।’

পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বেশ ফুরফুরে মেজাজের একজন। তবে সিনেমায় প্রথমাবার অভিনয় নিয়ে আছেন মিশ্র মনোভাবে। তিনি বলেন, ‘অনেক দিন তো কাজ করছি। কখনো ভাবি নাই অভিনয় করবো। সেটাও করা হয়ে গেলো। ফলে এক ধরনের সংকোচ ভাবতো আছেই। একই সাথে উত্তেজনাও কাজ করছে। নিজেদের জীবন ছেঁনে গল্প বের করার মধ্যে একটা ভালনারেবিলিটি আছে। কিন্তু হৃদয় খুঁড়ে বেদনা বের করে আনাইতো শিল্পীর কাজ।’

;

ইয়াং স্টার সিজন-২ চ্যাম্পিয়ন অন্তু



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ইয়াং স্টার সিজন-২ বিজয়ীরা

ইয়াং স্টার সিজন-২ বিজয়ীরা

  • Font increase
  • Font Decrease

আরটিভির লোকগানের রিয়েলিটি শো ‘বাংলার গায়েন’ ও ‘বাংলার গায়েন ইউএসএ’ এবং তরুণ সংগীত শিল্পীদের অংশগ্রহণে রিয়েলিটি শো ‘ইয়াং স্টার’ ও ‘ইয়াং স্টার ইউএসএ’র বিপুল জনপ্রিয়তার ধারাবাহিকতায় এবার আয়োজন করা হয় ‘ইয়াং স্টার সিজন-২’। অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করেছিল প্রায় ১৭ হাজার প্রতিযোগী। তাদের মধ্য থেকে বাছাইকৃত ৩ হাজার, ৩শ, ৮৫ জন প্রতিযোগীকে বাছাই করা হয়। তাদের নিয়ে আয়োজন করা হয়েছে চরধহড় জড়ঁহফ এর। পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন রাউন্ডগুলো শেষ করে সেরা ৬জন প্রতিযোগীকে নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় গ্র্যান্ড ফিনালে।

আরটিভির সাড়া জাগানো রিয়েলিটি শো ইয়াং স্টার সিজন-২ এর চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন ঢাকার জাহিদ অন্তু, রানার্সআপ হয়েছেন অনিক সূত্রধর। ২য় রানার্সআপ হয়েছেন যৌথভাবে আদিবা কামাল এবং অঙ্কিতা মল্লিক। বিজয়ীদের প্রাইজমানি হিসেবে দেওয়া হয়েছে যথাক্রমে তিন লাখ, দুই লাখ ও এক লাখ টাকার চেক। রাজধানীর ৯৫ তেজগাঁও মাল্টিমিডিয়া স্টুডিওতে ধারণকৃত গ্র্যান্ড ফিনালে আয়োজনটি গতকাল ৩০ নভেম্বর রাত ৮টায় আরটিভির পর্দায় সম্প্রচার হয়।

গ্র্যান্ড ফিনালে আয়োজনে আরটিভির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আশিক রহমান বলেন, ‘আজ এই গ্র্যান্ড ফিনালে পর্বে যারা প্রতিযোগিতা করছে তাদের সবাই আমাদের কাছে যোগ্য। সম্মানিত বিচারকগণ তাদের মধ্য থেকে শ্রেষ্ঠ নির্বাচন করবেন। বাংলাদেশের এতো তরুণ শিল্পীদের প্রতিভা দেখে আমি খুবই আনন্দিত। এই শিল্পীরাই আগামীর বাংলাদেশ। তারাই বাংলা গানকে বিশ্ব দরবারে আরো প্রসার ঘটাবে।’

‘ইয়াং স্টার সিজন-২’এর বিচারক প্যানেল

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড.হাসান মাহমুদ এমপি বলেন, ‘বাংলা গান নিয়ে আরটিভির এ ধরণের একাধিক প্রতিযোগিতা রয়েছে যেগুলো দেশের পাশাপাশি বিদেশেও বাংলা গানের চর্চাকে প্রাণ দিয়েছে। আমি তাদের এ আয়োজনে অভিভূত। আরটিভিকে আমার আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। সামনের দিনগুলোতে আরটিভির এধরণের কার্যক্রম চালু থাকবে বলে আমার প্রত্যাশা।’

অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদানের পাশাপাশি বিজয়ীদের হাতে পদক তুলে দেন সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মোঃ আশরাফ আলী খান খসরু এমপি, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী জনাব কে এম খালিদ এমপিসহ আমন্ত্রিত বিশেষ অতিথিবৃন্দ।

সেরা ৬জনের ফাইনাল পারফর্মেন্সের সাথে গান করেছেন ইমরান মাহমুদুল ও দিলশাদ নাহার কণা।

‘ইয়াং স্টার সিজন-২’এর সেটে তারকারা

‘ইয়াং স্টার সিজন-২’এর বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন জাতীয় চলচিত্র পুরষ্কারপ্রাপ্ত সুরকার ও সংগীত পরিচালক ইমন সাহা, জাতীয় চলচিত্র পুরষ্কারপ্রাপ্ত গীতিকবি কবির বকুল এবং বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী সানিয়া সুলতানা লিজা। আয়োজনটির উপস্থাপনা করেছেন ইমতু রাতিশ ও রুহানি সালসাবিল লাবণ্য। স্টাইলিস্ট কোরিওগ্রাফার আসাদ খান।

;

অনিরুদ্ধর আগামী ছবিতে বাংলাদেশি তারকারা



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরী ও জয়া আহসান

অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরী ও জয়া আহসান

  • Font increase
  • Font Decrease

অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরী ভারতের সেই নির্মাতাদের একজন, যার সিনেমা সমালোচক থেকে শুরু করে বুদ্ধিদীপ্ত দর্শকের পছন্দের তালিকায়। বলিউডের ‘পিংক’ হোক, কিংবা কলকাতার ‘অন্তহীন’, ‘অনুরনন’, ‘অপরাজিতা তুমি’, ‘বুনো হাস’- এসব সিনেমা দর্শকের মনে অন্য রকম এক জায়গা করে আছে।

সেই নির্মাতার সিনেমা ‘কড়ক সিং’ দিয়ে বলিউডে অভিষেক হচ্ছে দুই বাংলার নন্দিত অভিনেত্রী জয়া আহসানের। আগামী ৮ ডিসেম্বর ওটিটি প্ল্যাটফর্ম জিফাইভে মুক্তি পাচ্ছে সিনেমাটি। তবে ছবিটি মুক্তির আগেই আনন্দবাজার পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পরিচালক জানিয়েছেন, তার পরের সিনেমায়ও থাকতে পারেন জয়া।

বাংলা সিনেমা দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করা অনিরুদ্ধ এখন হিন্দি সিনেমা নিয়ে ব্যস্ত। কবে আবার বাংলা সিনেমা করবেন? এমন প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়েই জয়াকে নিয়ে সিনেমার পরিকল্পনার কথা জানান তিনি। অনিরুদ্ধ বলেন, ‘দুটো বাংলা ছবি করব আগামী বছরের মধ্যে। একটি ‘কাফে কিনারা’। ছয় কি সাত বছর ধরে ছবিটা নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। আরেকটা ছবি করব মা-মেয়ের গল্প। এটাই আগে করব, ফেব্রুয়ারি-মার্চ নাগাদ। অভিনয়শিল্পী চূড়ান্ত নয়, তবে জয়াকে বলেছি, অপুকে (শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়) বলেছি।’

অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরীর ‘কড়ক সিং’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন জয়া আহসান ও পঙ্কজ ত্রিপাঠী

এ ছাড়া তিনি জানান, তার আরেকটি সিনেমা ‘কাফে কিনারা’য় বাংলাদেশের অভিনয়শিল্পীদের দেখা যেতে পারে। পরিচালক আরও জানান, তার নতুন সিনেমা ‘কড়ক সিং’ ওটিটিতে মুক্তি পেলেও ভারতের কলকাতা, মুম্বাই, দিল্লি ও বেঙ্গলুরুতে বড় পর্দায় প্রিমিয়ার হবে।

;