ঈদুল আজহায় থাকছে সিয়াম আহমেদ



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা ২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে নির্মিত হয়েছে সাইবার থ্রিলার 'অন্তর্জাল'। সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন দীপংকর দীপন। এই সিনেমায় প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন সিয়াম আহমেদ।

এই চরিত্র নিয়ে এর আগে তিনি বলেন যে, এই চরিত্রটা যখন আমি পাই, তখন সিনেমাটির পরিচালক আমাকে একজন সত্যিকারের লুমিনের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। আমি সেটা হয়ে ওঠার চেষ্টা করি। আমার-আপনার ফ্রেন্ড সার্কেলের এমন কিছু মানুষ আছে যারা পড়াশোনা শেষ করার পর ভালো সুযোগের আশায় বিদেশে পাড়ি জমায়। লুমিন রাজশাহীর একটা ছেলে। তার আমেরিকা-কানাডায় গিয়ে পড়াশোনা করে সেখানে থাকার সুযোগ ছিল। কিন্তু এটা না করে লুমিন চলে যায় সাঁওতাল পল্লীতে। ছোট বাচ্চাদের প্রোগ্রামিং শিখিয়েছে। আমার মনে হয় এটাই বাংলাদেশ।

অন্তর্জাল' সিনেমার গল্প লিখেছেন দীপংকর দীপন, সাইফুল্লাহ রিয়াদ ও আশা জাহিদ। চিত্রনাট্য লিখেছেন পরিচালক নিজেই। রোববার ‘অন্তর্জাল’-এর অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে ছবিটির পোস্টার প্রকাশ করা হয়েছে। ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ‘বাংলা সিনেমার সময় বদলাচ্ছে, বিশ্বে কদর বাড়ছে আমাদের সিনেমার। নতুন ধরণের বিষয় নিয়ে নতুন নতুন সিনেমা নির্মিত হচ্ছে আর দর্শকও স্বাগত জানাচ্ছে। নতুন ধরণের বাংলা সিনেমার সাথে যারা দর্শকদেরকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন, তাদের অন্যতম পরিচালক দীপংকর দীপন এর মুক্তির অপেক্ষায় থাকা সাইবার অ্যাকশন থ্রিলার ‘অন্তর্জাল’ নিয়ে মানুষের আগ্রহ আর উত্তেজনার শেষ নেই।’

এরপর লেখা হয়েছে, ‘অবশেষে অপেক্ষার পালা শেষ করে সারা দেশে ও বিশ্বব্যাপী ঈদ-উল-আজহায় মুক্তি পেতে যাচ্ছে মোশন পিপল স্টুডিওজ ও স্পেলবাউন্ড লিও বার্নেট প্রযোজিত সিনেমা ‘অন্তর্জাল’। ‘অন্তর্জাল’ সিনেমাটি বাংলাদেশ, কানাডা, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ইউরোপ আর মধ্যপ্রাচ্যে একসাথে ঈদ উল আজহায় মুক্তি পাচ্ছে। স্বপ্ন স্কেয়ারক্রো আন্তর্জাতিক ডিস্ট্রিবিউশন চেইনের মাধ্যমে আমেরিকা ও কানাডার একাধিক শহরে প্রায় শতাধিক সিনেমা হলে নিয়মিত প্রদর্শনীর জন্য রিলিজ করা হচ্ছে সিনেমাটি।’

সিনেমায় রোবটপ্রেমী প্রিয়ম নামের চরিত্রে অভিনয় করবেন সুনেরাহ। সিয়াম-সুনেরাহ এই দুই তারকার সঙ্গে যুক্ত আছেন ছবিতে আরেক তারকা বিদ্যা সিনহা মিম। এতে মিমকে দেখা যাবে একজন সাইবার যোদ্ধার চরিত্রে।

আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে বাংলাদেশের প্রথম সাইবার থ্রিলার চলচ্চিত্র ‘অন্তর্জাল’। সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন দীপংকর দীপন। সিয়াম নতুন এই সিনেমায় ভিন্ন লুকে ঈদে চমক হিসেবে দর্শকের সামনে আসছেন ।

   

লিজার কোলজুড়ে ফুটফুটে কন্যাসন্তান



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
অন্তঃসত্ত্বা লিজা ও তার স্বামী

অন্তঃসত্ত্বা লিজা ও তার স্বামী

  • Font increase
  • Font Decrease

জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী সানিয়া সুলতানা লিজা মা হয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্লোজআপ ওয়ান তারকার মা হওয়ার খবরটি জানিয়েছেন জনপ্রিয় গীতিকার কবির বকুল।

তিনি জানান, ১৮ মার্চ বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টায় নিউ ইয়র্কের একটি হাসপাতালে কন্যাসন্তান জন্ম দেন লিজা। বর্তমানে মা ও মেয়ে দুজনই সুস্থ আছেন।

ঘরোয়া আয়োজনে ২০২২ সালে বিয়ে করেন লিজা। বর যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ী সবুজ খন্দকার। তবে লিজার বিয়ের খবরটি প্রকাশ্যে আসে গেল বছর নভেম্বরে।

;

গ্রামের বাড়ির পথে খালিদের কফিন



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
গ্রামের বাড়ির পথে খালিদের কফিন

গ্রামের বাড়ির পথে খালিদের কফিন

  • Font increase
  • Font Decrease

'সরলতার প্রতিমা’ ও ‘ফেরানো গেল না তাকে’র মত গানের শিল্পী খালিদ সোমবার সন্ধ্যায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। ঢাকায় জানাজা শেষে সংগীত শিল্পী খালিদের মরদেহ গোপালগঞ্জে তার গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

সোমবার (১৮ মার্চ) রাত ১১টায় রাজধানীর গ্রিন রোড জামে মসজিদে খালিদের জানাজা হয়। এই শিল্পীকে শেষ বিদায় জানাতে সেখানে উপস্থিত ছিলেন সংগীত শিল্পী সামিনা চৌধুরী, ফাহমিদা নবী, গীতিকার কবির বকুল, চিত্রনায়ক সাইমন সাদিক, সংগীত শিল্পী জয় শাহরিয়ারসহ অনেকে।

পরিবারের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের জানানো হয়, মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) যোহরের নামাজের পর গোপালগঞ্জ শহরের কোর্ট মসজিদ প্রাঙ্গণে আরেক দফা জানাজা হবে। তারপর শহরের নয়া গোরস্থানে শায়িত হবেন খালিদ।

গোপালগঞ্জে তার বড় ভাই আছেন, তিনিই সব প্রস্তুতি দেখছেন।

সোমবার সন্ধ্যায় গ্রিনরোডের বাসায় হৃদরোগে আক্রান্ত হন খালিদ, সঙ্গে সঙ্গে তাকে নেওয়া হয় কমফোর্ট হাসপাতালে। সন্ধ্যা ৭টায় চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এই শিল্পীর পুরো নাম খালিদ সাইফুল্লাহ। আশি ও নব্বইয়ের দশকের ব্যান্ড সংগীতের শ্রোতারা তাকে খালিদ নামেই চেনেন। ১৯৬৫ সালের ১ অগাস্ট গোপালগঞ্জে জন্ম নেওয়া এ শিল্পী স্ত্রী ও এক ছেলে রেখে গেছেন।

গানের জগতে খালিদের যাত্রা ১৯৮১ সালে। ব্যান্ড দল ‘চাইম’- এ যোগ দেন ১৯৮৩ সালে।

'সরলতার প্রতিমা’, ‘যতটা মেঘ হলে বৃষ্টি নামে’, ‘কোনো কারণেই ফেরানো গেল না তাকে’, ‘হয়নি যাবারও বেলা’, ‘যদি হিমালয় হয়ে দুঃখ আসে’, ‘তুমি নেই তাই’ এমন বহু শ্রোতাপ্রিয় গানে কণ্ঠ দিয়েছেন খালিদ।

১৯৮৯ সালে ‘নাতি খাতি বেলা গেল’ গানটির তুমুল জনপ্রিয়তার পর প্রথম বিদেশ সফরের ডাক আসে। সেবার কাতারের দোহায় একটি অনুষ্ঠানে গান করতে গিয়েছিলেন খালিদ।

গত কয়েক বছর ধরে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছিলেন। সেখান থেকে সম্প্রতি দেশে ফেরেন। খালিদের স্ত্রী ও ছেলে যুক্তরাষ্ট্রেই রয়েছেন।গ্রামের বাড়ির পথে খালিদের কফিন

;

খালিদের সেরা ৫ গান



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী খালিদ

জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী খালিদ

  • Font increase
  • Font Decrease

নব্বই দশকের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী খালিদ। ৬০ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অন্যলোকে পাড়ি দিলেন তিনি। কিন্তু তার স্মৃতি, গায়কী থেকে গেছে শ্রোতাদের মাঝে। এই লেখায় থাকল খালিদের জনপ্রিয় পাঁচটি গানের কথা।

সরলতার প্রতিমা
খালিদের সবচেয়ে জনপ্রিয় গান সরলতার প্রতিমা। গানটি লিখেছিলেন তরুণ। সুর ও সঙ্গীত করেছিলেন জুয়েল-বাবু।

যতটা মেঘ হলে বৃষ্টি নামে
মধ্য নব্বইতে গেয়েছিলেন এই গান। লিখেছিলেন লতিফুল ইসলাম শিবলী। সুর করেছিলেন প্রিন্স মাহমুদ। কাব্যধর্মী গানটি অনেকেরই বেশ পছন্দের।

কোনো কারণেই
প্রিন্স মাহমুদের লেখা ও সুর করা গান। খালিদের কণ্ঠের এই গান শ্রোতাদের কাছে বিরহগীতি হিসেবেই পরিচিত।

যদি হিমালয় হয়ে দুঃখ আসে
এই গানটিও প্রিন্স মাহমুদের কথা ও সুরে। খালিদের অসাধারণ গায়কী গানটিকে শ্রোতাদের হৃদয়ে স্থান করে দেয়। গানটি দেড় দশক পরেও জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছে।

নাতি খাতি বেলা গেল
হাফিজুর রহমানের এই গানটি করেছিল চাইম। গেয়েছিলেন খালিদ। চাচীর দুঃখ অ্যালবামে স্থান পেয়েছিল লোকগানটি, যার মধ্যেও খালিদ তার স্বাক্ষর রেখে গেছেন।

;

খালিদের সেই গান আজও ফিরে মুখে মুখে



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
সংগীতশিল্পী খালিদ

সংগীতশিল্পী খালিদ

  • Font increase
  • Font Decrease

যার গান শুনে অনেক অনেক তরুণ-তরুণীর বিকেল ঘনিয়ে সন্ধ্যা পেরিয়েছে সেই 'চাইম' ব্যান্ডের ভোকালিস্ট খালিদ পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেছেন। তার বিদায়ে সঙ্গীতাঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

গোপালগঞ্জে জন্ম নেওয়া এই শিল্পী ১৯৮১ সাল থেকে গানের ভুবনে পথচলা শুরু করেন। তিনি আশি ও নব্বইয়ের দশকে ভোকালিস্ট হিসেবে ‘চাইম’ ব্যান্ডে যোগ দিয়েছিলেন। খুব অল্প সময়ের মধ্যে তরুণ প্রজন্মের শ্রোতাদের হৃদয় জয় করেন।

তার গাওয়া জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে- ‘সরলতার প্রতিমা’, ‘যতটা মেঘ হলে বৃষ্টি নামে’, ‘কোনো কারণেই ফেরানো গেল না তাকে’, ‘হয়নি যাবারও বেলা’, ‘যদি হিমালয় হয়ে দুঃখ আসে’, ‘তুমি নেই তাই’ ইত্যাদি। গানগুলো এখনও ফিরে মানুষের মুখে মুখে।

অনেকদিন ধরেই গানের সঙ্গে নেই খালিদ। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে একেবারেই গান থেকে যেনো দূরে সরেন। বেছে নেন প্রবাস জীবন। আমেরিকার নাগরিকত্ব নিয়ে নিউইয়র্কে বসবাস করতেন। তার এক ছেলে সেখানে পড়াশুনা করেন। মাঝে মাঝে দেশে আসলেও একাই থাকতেন খালিদ। নিজের গন্ডির বাইরে খুব একটা বের হতেন না। কিছুদিন থাকতেন ফের উড়াল দিতেন প্রবাসে। এবারও এলেন। কিন্তু আর প্রবাসে ফেরা হলো না। ফিরলেন অনন্তের পথে।

;