কয়েক’শ বার আমার গান রিজেক্ট হয়েছে : নাভেদ পারভেজ



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
নাভেদ পারভেজ /  ছবি : শিল্পীর সৌজন্যে

নাভেদ পারভেজ / ছবি : শিল্পীর সৌজন্যে

  • Font increase
  • Font Decrease

নাভেদ পারভেজ এক দশকের বেশি সময় ধরে সংগীতপরিচালক ও সুরকার হিসেবে কাজ করছেন। তার বেশকিছু গান সুপারহিট হয়েছে। তবে অনেক মিউজিশিয়ানের মতো তার মুখ দর্শক শ্রোতার কাছে পরিচিত নয়। কারণ তিনি একেতো থাকেন দেশের বাইরে, তারওপর ভীষণ প্রচারবিমূখ। অন্তরালে থাকা সেই মানুষটিকেই খুঁজে বের করে বার্তা২৪.কম মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে। তার সঙ্গে কথা বলেছেন মাসিদ রণ


আপনার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে হিট গান কি শাকিব খানের ‘লিডার আমি বাংলাদেশ’ সিনেমার ‘সুরমা সুরমা’?


আসলে আমার বেশকিছু গান আলাদা আলাদা দিক দিয়ে মাইলফলক। যেমন, ২০১৩-১৪ সালের দিকে ‘কিস্তিমাত’ সিনেমার ‘শুধু একবার বলো’ গানটি বের হয়। ওটাই আমার প্রথম বাংলা গান। অর্থাৎ চলচ্চিত্রের গান দিয়েই আমার যাত্রা শুরু। গানটি তখন মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে বেশ আলোড়ন ফেলে। ওই গানটি ‘কিস্তিমাত’ সিনেমার একটি সেলিং পয়েন্ট হিসেবে কাজ করেছিল। ‘মুসাফির’ সিনেমার টাইটেল গানটি আবার অন্যভাবে সফল। সাম্প্রতিক সময়ের বাংলা সিনেমার সেরা ৩টি টাইটেল গানের তালিকা করলে এটিও তারমধ্যে থাকবে। গানটি সে সময় যতোটা হিট হয়েছে, তার চেয়ে অনেক বেশি সাড়া ফেলেছে কোভিডের সময়। ‘অস্তত্ব’ সিনেমার ‘আয় না বল না’ গানটিও জনপ্রিয়তা পায়। এরপর ‘সুপার হিরো’ সিনেমায় গান করি। এই ছবি দিয়েই শাকিব খানের সঙ্গে পরিচয়। ২০২২-এর সুপারহিট সিনেমা ‘পরান’-এর ‘চলো নিরালায়’ গানটি সে বছরের অন্যতম জনপ্রিয় গান। সেটিও শাকিব খান শুনেছেন। তার সুবাদেই গত বছর ‘লিডার আমি বাংলাদেশ’-এ কাজ করা হয়। তিনি আমাকে তার বাসায় ইনভাইট করেছিলেন। আমি দেখা করতে গেলে এই ছবিতে গান করার কথা বলেন। এরপর তো সবাই জানেন, ‘সুরমা সুরমা’ কতোটা জনপ্রিয়তা পেয়েছে।

নাভেদ পারভেজ /  ছবি : শিল্পীর সৌজন্যে

এক দশকের সংগীত ক্যরিয়ারে বেশকিছু জনপ্রিয় গান উপহার দেওয়ার পরও তারকাখ্যাতি পাননি। বড় কোন পুরস্কারও ঘরে আসেনি। কতোটা তুষ্ট আপনি?


আসলে আমার কাছে সবচেয়ে বড় পুরস্কার হলো- আমার গানগুলো দর্শক এতোটা গ্রহণ করেছে সেটি। নিজের সৃষ্টিকে দর্শক শ্রোতার মনে জায়গা করাতে পারার মতো সফলতা আর কি হতে পারে? এটা সবার ভাগ্যে জোটেও না। খুব কষ্টকর কাজ কিন্তু। আরেকটি বিষয় হলো- আমি যে সিনেমাগুলোতে গান করেছি সেই গানগুলো ওই ছবির সেলিং পয়েন্ট হিসেবে কাজ করেছে। এটাও এক ধরনের সার্থকতা। প্রযোজক-পরিচালকরা আমাকে সেভাবেই মূল্যায়ন করেন সব সময়। এজন্য আমি বছরে কয়টা গান করলাম সেটি কখনোই মূখ্য ছিল না। যে গানটি করলাম সেটি কতোখানি সফল হলো তা আমার আছে অগ্রগন্য। আর তারকাখ্যাতির কথা বলতে গেলে, এর জন্য যে পরিমাণ সময় কিংবা এফোর্ট দিতে হয় সেটি আমার দিতে ইচ্ছে করে না। আমি বরং সেই সময়ে নতুন কিছু সৃষ্টির কথা ভাবি। মানুষ আমাকে চিনলে, ভালোবাসা দিলে তো ভালো লাগেই। কিন্তু এটাই আমার কাজের একমাত্র লক্ষ্য নয়। আমার কাজ বেঁচে থাকলে সেটি বরং আমার চরম সার্থকতা হবে। এখন যে গানটি মিলিয়ন মিলিয়ন ভিউ হয়েছে, সেই গানটি সার্থক হবে যদি ১০ বছর পরও মানুষের মুখে মুখে থাকে। আমি এই বিশ্বাস নিয়েই কাজ করি।

নাভেদ পারভেজ /  ছবি : শিল্পীর সৌজন্যে

‘পরান’ সিনেমার সুপারহিট গান ‘চলো নিরালায়’-এর পেছনের গল্পটি শুনতে চাই...


মজার বিষয় হলো, ‘চলো নিরালায়’ কিন্তু মুক্তির পরদিনই সাড়া ফেলেনি। প্রথম চারদিনে মাত্র ৪০ হাজার ভিউ হয়েছিল ইউটিউবে। হুট করেই পঞ্চম দিনে গানটি অন্য জায়গায় চলে যায়। এটা হয়েছিল মূলত টিকটকের কল্যানে। টিকটকে গানটি ট্রেন্ড হওয়ার পর মূল গানটিও সবাই শোনার ব্যাপারে আগ্রহী হয়। এটা তো গেল মুক্তির পরের কথা। গানটি তৈরীর সময়ও মজার গল্প আছে। যা আগে কখনো কোথাও বলিনি। পরিচালক মোস্তফা কামাল রাজ ‘তুমি যে আমার’ নামে একটি ছবি করতে চেয়েছিলেন ২০১৫ সালে। এই গানটির আইডিয়া আমি তখন সেই ছবির জন্য করেছিলাম। ছবিটি যেহেতু হয়নি, তাই আইডিয়াটা যত্ন করে রেখে দিয়েছিলাম যাতে ভালো কোথাও ব্যবহার করতে পারি। কোভিডের মধ্যে রায়হান রাফী ‘পরান’ সিনেমার জন্য আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তার গল্পে যে সিচুয়েশন তার সঙ্গে এই গানটি একেবারেই মিলে যায়। এজন্যই গানটি ‘পরান’-এ দিয়েছি।


মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে সিন্ডিকেটের কথা শোনা যায়। লবিং ছাড়া নাকি ফিল্মের গান পাওয়ায় যায় না। আপনিতো থাকেন দেশের বাইরে। তাহলে এই ভালো ভালো কাজগুলো কিভাবে পান?


অনেকেই ভাবে আমি অনেক লবিং করে কাজ করছি। কিন্তু এই অপবাদ আজ অস্বীকার করছি। ‘কিস্তিমাত’ ছবিতে গান করার সুযোগ পাওয়ার আগে শোবিজের কেউ আমার পরিচিত ছিল না। দেশের বাইরে থাকায় অনলাইনে যোগাযোগ করা ছাড়া আর কোন উপায়ও ছিল না। ফেসবুকে পরিচালক, গায়ক-গায়িকাদের খুঁজে খুঁজে মিউজিক কম্পোজিশন পাঠাতাম। কয়েক’শ বার আমার গান রিজেক্ট হয়েছে। এখন যে সিঙ্গারদের সঙ্গে কাজ করছি তাদেরও কেউ কেউ সে সময় আমাকে পাত্তা দেয়নি। হয়ত সে কথা তাদের মনেও নেই। একটা সময় ডিপ্রেশনে চলে গিয়েছিলাম। শুধু তাই নয়, ‘কিস্তমাত’-এ সুপারহিট গান উপহার দেওয়ার পরও এক বছর আমাকে কেউ কাজ দেয়নি। পরে একই পরিচালক তার ‘মুসাফির’ সিনেমায় আমাকে কাজ দেন। এসব কথা বলার কারণ হলো, আমি কখনোই লবিং করে কাজ করিনি। করলে শুরু থেকেই অনেক কাজ করতে পারতাম। আমি বেছে বেছে ভালো কিছু ছবিতে গান করেছি। কিছু ছবির মুক্তিই পায়নি। ফলে সেই গানগুলোও আলোর মুখ দেখেনি।

নাভেদ পারভেজ /  ছবি : শিল্পীর সৌজন্যে

নিজের কোন প্ল্যাটফর্ম খুললে তো গানগুলো সেখানে প্রকাশ করতে পারবেন...


আমার নিজের নামে ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে। সেখান থেকে একেবারেই নিজের পছন্দমতো কিছু গান প্রকাশ করছি। কিছুদিন আগে বেলাল খান আর কনার গাওয়া একটি গান এসেছে। এছাড়া যারা ভালো লিখতে পারে, গাইতে পারে তাদেরও সুযোগ দিচ্ছি। কেউ যদি মনে করেন আপনি মেধাবী তাহলে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। আমি তাদের সঙ্গে কাজ করতে পারি। তবে যে গানগুলো আটকে আছে সেগুলো নিজের চ্যানেলে প্রকাশ করার উপায় নেই। কারণ গানগুলোর স্বত্ত্বতো ওই সিনেমার প্রযোজকের। তিনি তো আমাকে পারিশ্রমিক দিয়েই কাজটি করিয়েছেন।


সম্প্রতি বিয়ে করলেন। বিয়ের গল্পটা কেমন ছিল?


পারিবারিকভাবে বিয়ে করেছি। এটা শুনলে অনেকে বিশ্বাসই করতে চায় না। বিয়ের আগে কোন প্রেমও করিনি! এদিকে বিয়ের বয়সও হয়েছে অনেক আগে। তাই পরিবার থেকে চাপ ছিল। আমেরিকাতে সদ্য আইটি জব পেয়ে ভেবেছিলাম আরেকটু গুছিয়ে নিয়ে বিয়ের কথা ভাবব। কিন্তু এরইমধ্যে আমার ঘনিষ্ট এক বন্ধু বলল, কিরে বিয়ে সাদি কি করবি না? আমি বলেছিলাম, তোমরা তো পাত্রী দেখ না! সিরিয়াসলি বললেও সে ভেবেছে মজা করছি। কিছুদিন পর আবারও একই প্রসঙ্গ। আমি একই উত্তর দিলাম। এবার সে সিরিয়াস হলো। অল্পদিনের মধ্যেই আমাকে পাত্রীর ছবি ও সিভি দেখালো। বলল, মেয়েটি তার বন্ধবীর ফ্রেন্ড। আমি আমিও সেই বন্ধুর বান্ধবীকে চিনি, নিউ ইয়র্কে থাকে। এজন্য আমি সিরিয়াসলি নিলাম বিষয়টি। বায়োডাটা, ছবি সব মিলিয়ে আমার ভালো লাগলো। পরিবারের সঙ্গে কথা বললাম, তারাও খুব পছন্দ করলো। এরপর ফোনে কথা বলে দেখলাম মেয়েটি খুবই পজিটিভ মানসিকতার। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, সেও খুব সংস্কৃতিমনা। ফোনে কথা বলেই মোটামুটি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললাম। দেশে ফিরে একদিন মাত্র দেখা করার পরই বিয়ের দিনক্ষন পাকা হয়ে গেল। এরপর তো বিয়ে। তবে বিয়ের অনুষ্ঠানটি করেছি আরও কয়েক মাস পরে। আমার স্ত্রীর নাম ফারহানা বিনতি। তিনি এখনো ঢাকাতেই থাকেন। আমি ঢাকা-নিউ ইয়র্ক যাওয়া-আসার মধ্যে আছি।

নাভেদ পারভেজ /  ছবি : শিল্পীর সৌজন্যে
   

কানে একবারই এসেছিলেন মেরিল! এবার পাচ্ছেন স্বর্ণপাম, চমক থাকছে আরও



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
মেরিল স্ট্রিপ / ছবি : ইনস্টাগ্রাম

মেরিল স্ট্রিপ / ছবি : ইনস্টাগ্রাম

  • Font increase
  • Font Decrease

তিনবার অস্কারজয়ী হলিউড অভিনেত্রী মেরিল স্ট্রিপকে এবার কান চলচ্চিত্র উৎসবের সম্মানসূচক স্বর্ণপাম দেওয়া হবে। শুধু তাই নয়, এবারের কানে আরও চমক রয়েছে এই কিংবদন্তি অভিনেত্রীকে ঘিরে।

কারণ, ৭৭তম কানের আসর উদ্বোধন করবেন মেরিল। ফ্রান্সের ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল কানের পালে দে ফেস্টিভ্যাল ভবনের গ্র্যান্ড থিয়েটার লুমিয়েরে আগামী ১৪ মে এই আয়োজনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সম্পন্ন হবে।

অস্কার হাতে মেরিল স্ট্রিপ / ছবি : ইনস্টাগ্রাম

মেরিল কান উৎসবে মাত্র একবারই পা রেখেছিলেন। এটা ভাবা যায়! যে অভিনেত্রী হলিউডের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশিবার অস্কারের মনোনয়ন পেয়েছেন তাকে মাত্র একবার পেয়েছে কান উৎসব!

১৯৮৯ সালে কানের ৪২তম আসরে ‘এভিল অ্যাঞ্জেলস’ চলচ্চিত্রের সুবাদে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার জেতেন তিনি। এতে নিজের শিশুসন্তান হত্যার জন্য অভিযুক্ত মায়ের ভূমিকায় দেখা গেছে তাকে। একই কাজের জন্য অস্কারে সেরা অভিনেত্রী বিভাগের মনোনয়ন পেয়েছিলেন তিনি।

১৯৮৯ সালে কানের সমূদ্র সৈকতে তরুণী মেরিল স্ট্রিপ / ছবি : ইনস্টাগ্রাম


৩৫ বছর পর দ্বিতীয়বারের মতো কান উৎসবে হাজির হচ্ছেন মেরিল স্ট্রিপ। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘মর্যাদাপূর্ণ স্বর্ণপাম প্রাপ্তির খবর জেনে আমি অত্যন্ত সম্মানিত। কানে পুরস্কার পাওয়া যেকোনও চলচ্চিত্র শিল্পীর কাছেই কৃতিত্বের। যারা আগে এই পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন তাদের কাতারে দাঁড়াতে পারা রোমাঞ্চকর ব্যাপার। সবাইকে ব্যক্তিগতভাবে ধন্যবাদ জানাতে ফ্রান্সে আসার অপেক্ষায় আছি!’

কানের সভাপতি ইরিস নোব্লোক ও উৎসব পরিচালক থিয়েরি ফ্রেমোঁ এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমাদের সবার ভেতরে মেরিল স্ট্রিপের কিছু না কিছু আছে! প্রায় ৫০ বছরের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে অনেক মাস্টারপিস কাজ করেছেন তিনি। মেরিল স্ট্রিপ আমাদের যৌথ কল্পনার অংশ এবং সিনেমার প্রতি আমাদের ভাগ করা ভালোবাসা।’

মেরিল স্ট্রিপ / ছবি : ইনস্টাগ্রাম

২০১৯ সালে ‘লিটল উইমেন’ ছবিতে গ্রেটা গারউইগের পরিচালনায় অভিনয় করেন মেরিল স্ট্রিপ। কানে এবারের আসরে মূল প্রতিযোগিতা বিভাগের প্রধান বিচারক থাকছেন গ্রেটা। উদ্বোধনী মঞ্চে এই দুই খ্যাতিমান নারীকে একসঙ্গে দেখা যাবে।

নাটক নিয়ে পড়াশোনা ও নিউইয়র্ক সিটি মঞ্চে সাফল্য পাওয়ার পর ১৯৭৮ সালে ‘দ্য ডিয়ার হান্টার’ ছবির মাধ্যমে বড় পর্দায় যাত্রা শুরু করেন মেরিল স্ট্রিপ। এতে তার সহশিল্পী ছিলেন রবার্ট ডি নিরো। ‘ক্র্যামার ভার্সেস ক্র্যামার’, “সোফি’স চয়েস” ও ‘দ্য আয়রন লেডি’র জন্য অস্কার জিতেছেন তিনি। এছাড়া রেকর্ডসংখ্যক ২১টি মনোনয়ন পেয়েছেন মেরিল স্ট্রিপ।

তরুণী মেরিল স্ট্রিপ / ছবি : ইনস্টাগ্রাম

মেরিল স্ট্রিপ অভিনীত বিখ্যাত ছবির তালিকায় আরও আছে ‘আউট অব আফ্রিকা’, ‘দ্য ব্রিজেস অব ম্যাডিসন কাউন্টি’, ‘দ্য ডেভিল ওয়্যারস প্রাডা’, ‘মামা মিয়া!’, ‘পোস্টকার্ডস ফ্রম দ্য এজ’, ‘ডেথ বিকামস হার’, ‘দ্য আওয়ার্স’, ‘দ্য লাস্ট শো’, ‘ফ্লোরেন্স ফস্টার জেনকিন্স’, ‘জুলি অ্যান্ড জুলিয়া’, ‘লায়নস ফর ল্যাম্বস’, ‘পেন্টাগন পেপারস’, “ডো’ন্ট লুক আপ” ইত্যাদি।

 

;

নাটকের চেনা মুখ রিমু খন্দকার হাসপাতালে



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
অভিনেত্রী রিমু রোজা খন্দকার

অভিনেত্রী রিমু রোজা খন্দকার

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রয়াত চিত্রনায়িকা টিনা খানের মেয়ে হলেও মায়ের পরিচয়ে নয়, বরং নিজগুণেই শোবিজ অঙ্গনে নিজের জায়গা করে নিয়েছেন অভিনেত্রী রিমু রোজা খন্দকার। বিজ্ঞাপন, সিনেমা, শর্টফিল্ম থেকে নাটক এবং সিনেমা- সব ধারাতে দেখা গেছে তাকে। সাবলীল অভিনয়ের মাধ্যমে ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন রিমু। এই অভিনেত্রী এখন অসুস্থ হয়ে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার সহকর্মীরা।

গত বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে রিমুর অসুস্থতার বিষয়টি নিশ্চিত করে অভিনেত্রীর একটি ছবি পোস্ট করেন সহকর্মী অভিনেত্রী মনিরা আক্তার মিঠুও। ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘রিমু অসুস্থ। তার জন্য সব্বাই দোয়া করবেন।’

পাশাপাশি নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেও সদ্য মুক্তি পাওয়া নাটকের ইউটিউব লিংক শেয়ার করে অসুস্থতার কথা জানান অভিনেত্রী। লিখেছেন, ‘জানি না কবে সুস্থ হয়ে আবার শুটিংয়ে ফিরতে পারব। তবে আজ আমার এই নাটকটা রিলিজ হয়েছে। দয়া করে সবাই দেখবেন।’

 অভিনেত্রী রিমু রোজা খন্দকার

অভিনেত্রীর শেয়ার করা নতুন নাটকের নাম ‘ইশারা’। অভিনয় করেছেন মুশফিক ফারহান আর সামিরা খান মাহি।

২০০৮ সালে ‘পৃথিবীর সব রূপ মিশে আছে ঘাসে’ নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে অভিনয় জগতে পা দেন রিমু। পাশাপাশি তাঁর অভিনীত প্রথম সিনেমা ‘গুরু ভাই’। এরপর ‘ভালোবাসলেই ঘর বাধা যায় না’, ‘জীবন ঢুলী’, ‘বৃত্তের বাইরে’, ‘লাভ স্টেশন’, ‘কিং খান’ সিনেমায় দেখা গেছে তাঁকে। পাশাপাশি টেলিভিশন, অর্থাৎ ছোট পর্দার নিয়মিত ও জনপ্রিয় মুখ রিমু।

 

;

একই দিনে দক্ষিণ ভারতের দুই সংগীত তারকার বিদায়!



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
উমা রামানন ও প্রবীণ কুমার

উমা রামানন ও প্রবীণ কুমার

  • Font increase
  • Font Decrease

খুব অল্প বয়সে পৃথিবী থেকে চিরতরে বিদায় নিলেন জনপ্রিয় তামিল সুরকার–সংগীতশিল্পী প্রবীণ কুমার। মাত্র ২৮ বছর বয়সে মিউজিক কম্পোজারের মৃত্যুর খবরে শোকস্তব্ধ সংগীতাঙ্গন ও বিনোদনজগৎ। শিল্পীর মৃত্যুর সংবাদ পাওয়ার পর থেকেই ভেঙে পড়েছেন তার ভক্ত-অনুরাগীরা। তাকে নিয়ে স্মৃতিচারণা করছেন সহকর্মী থেকে শুরু করে ভক্ত–অনুরাগীরা। 

কিডনির জটিলতা নিয়ে গত বুধবার হাসপাতালে ভর্তি হন প্রবীণ কুমার। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ছয়টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তার। ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে, দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন প্রবীণ কুমার। ‘মেঠাগু’ ও ‘রাকাধন’-এর মতো ছবিতে গান গেয়েছেন তিনি। প্রবীণ কুমার সংগীতজগতের উঠতি নাম। তার গান চিরদিন মনে থেকে যাবে ভক্তদের।

একই দিন না ফেরার দেশে দক্ষিণের বিখ্যাত গায়িকা উমা রামাননও। ইলাইয়ারাজার সঙ্গে জুটি বেঁধে বহু হিট গান উপহার দিয়েছেন তিনি। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে বুধবার ৭২ বছর বয়সে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান এই শিল্পী। মৃত্যুর সময় চেন্নাইয়ে ছিলেন গায়িকা।


জীবদ্দশায় ছয় হাজারের বেশি কনসার্টে গান গেয়েছেন উমা রামানন। তিনি একজন সুদক্ষ ক্লাসিক্যাল গায়িকা। ১৯৭৭ সালে প্রথম ‘শ্রীকৃষ্ণ লীলা’ ছবির জন্য প্লেব্যাক করেছিলেন প্রয়াত উমা রামানন। তাঁর মৃত্যুতেও শোকের ছায়া নেমে আসে সংগীতাঙ্গনে। স্মৃতিচারণা করছেন বহুদিনের সহশিল্পী থেকে শুরু করে ভক্ত–অনুরাগীরা।

;

চলে এলো কোক স্টুডিও বাংলার নতুন গান ‘মা লো মা’



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
‘মা লো মা’ গানের পোস্টার

‘মা লো মা’ গানের পোস্টার

  • Font increase
  • Font Decrease

কোক স্টুডিও বাংলা’র তৃতীয় সিজনের দ্বিতীয় গান ‘মা লো মা’ প্রকাশ হলো আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৬ টায় । গানটির ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও কম্পোজার প্রীতম হাসানকে। সঙ্গে রয়েছেন সাগর দেওয়ান, আরিফ দেওয়ান এবং র‍্যাপার আলী হাসান। নতুন এই গান দর্শক-শ্রোতাদের নিয়ে যায় জীবন ও নিজেকে আবিষ্কারের এক অনন্য যাত্রায়।

গানটির সঙ্গীত প্রযোজক প্রীতম তার নিজস্ব কিছু টুইস্টও যোগ করেছেন। তার সাথে আছেন দেওয়ান পরিবারের দুই সদস্য: সাগর দেওয়ান এবং আরিফ দেওয়ান। তাদের পূর্বপুরুষই মা লো মা ঝি লো ঝি নামের গানটির মূল রচয়িতা। মা লো মা গানটি জীবন যে একটি নিরন্তর যাত্রা তা আমাদের বুঝতে শেখায়। এই জীবনে অনিবার্যভাবে বড় কিংবা বুড়ো হওয়া এবং নস্টালজিয়া যেন একই মুদ্রার দুটো পিঠ।

এই অবধারিত পরিবর্তনকে মেনে নিয়েই একটি কথোপকথনের মতো করে এগিয়ে যায় গানটি। এখানে ভাঙা নৌকার উপমা দিয়ে জীবনকে বোঝানো হয়েছে আর নদী দ্বারা বোঝানো হয়েছে পৃথিবীকে।

‘মা লো মা’ গানে প্রীতম হাসান

‘ছাদ পেটানো গানের’ সংযুক্তি এই গানের গভীরতা আরও বাড়িয়ে তুলেছে। লোকসঙ্গীত ‘সারি গানের’ এই ধারাটির শুরু মোগল আমলে। এই গানের একটি শহুরে সংস্করণ দেখতে পাওয়া যায় আশি ও নব্বই দশকের রাজমিস্ত্রীদের মাঝে। জীবিকার জন্য শহরে পাড়ি দেওয়া এই শ্রমিকরা কংক্রিটের ছাদ তৈরির সময় এ ধরনের গান গাইতেন। ছাদ পেটানোর ছন্দের সাথে গানের কথা মিলে একঘেয়েমি দূর করার পাশাপাশি কাজের সময় একটি উৎসবের পরিবেশ সৃষ্টি করে। ‘মা লো মা’ শুধুই একটি গান নয়। সব বয়সের দর্শক-শ্রোতা এই গানের সাথে একাত্ম হতে পারেন। নিজেকে গ্রহণ করে নেওয়া আর বিকাশের যাত্রার মধ্যে যে সৌন্দর্য আছে গানটি সবাইকে সেই কথাই মনে করিয়ে দেয়।

কোক স্টুডিও বাংলা’র অফিশিয়াল ইউটিউব এবং স্পটিফাই চ্যানেলে এই গান শোনা যাচ্ছে।

;