ওটিটিতে কাজ করা শিল্পী-নির্মাতাদের এক হাত নিলেন আলভী



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
জাহের আলভী /  ছবি : ফেসবুক

জাহের আলভী / ছবি : ফেসবুক

  • Font increase
  • Font Decrease

বেশ লম্বা সময় ধরে ছোটপর্দায় কাজ করছেন জাহের আলভী। ধীরে ধীরে নাটেকের ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের জায়গা তৈরী করেছেন। এখন তিনি ছোটপর্দার ব্যস্ত অভিনেতাদের একজন। তবে এই অভিনেতাকে এখনো সময়ের ট্রেন্ডি মাধ্যম ওটিটিতে দেখা যায়নি। এবার ওটিটি মাধ্যমে কাজ করেন এমন তারকা, শিল্পী ও নির্মাতাদের এক হাত নিলেন। 

তিনি আজ একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন তার ফেসবুক আইডিতে। স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

‘OTT ওয়ালারা, নায়ক-নায়িকা থেকে ডিরেক্টর, এরা যে ইউটিউব ইন্ডাস্ট্রির নায়ক-নায়িকা-ডিরেক্টরদের নিয়ে নাক সিটকায়! এদের লজ্জা করেনা? এরা কিন্তু নির্লজ্জের মত আবার ইউটিউবে নাটকও করে। কেন! সার্ভাইব করতে নাকি ঈদটা ভাল কাটাতে! কাদের সাথে ভাব নিচ্ছেন?

জাহের আলভী /  ছবি : ফেসবুক

ইউটিউব ইন্ডাস্ট্রির বিস্ফোরনের কারনে একটা বড় অংশ এখনো এই শিল্পের সাথে আছে, কর্মসংস্থান হচ্ছে প্রতিনিয়ত। হারিয়ে যাওয়া নক্ষত্র থেকে শুরু করে স্বল্পযোগ্য মানুষরাও সংসার চালাচ্ছে।

শুনতে কটু হলেও কথা সত্য। আবারো বলি, কাদের সাথে ভাব দেখাচ্ছেন? খুব ভাল অভিনয় করেন? আসেন স্ক্রিন শেয়ার করি। আমিই না হয় প্রডিউস করবো। আমি অভিনয় করি। আমার জন্ম ছোটপর্দা থেকে। কয়েকশ লিটার বাইকের তেল আর জুতার তলা ক্ষয় করে আমি আলভী। আমাকে ছোটপর্দা অনেক দিয়েছে। আমার প্লাটফর্মকে, কর্মসংস্থানকে ছোট করে দেখলে আমি ছেড়ে দিবো, কিন্তু ছাড় দিবো না। 

জাহের আলভী /  ছবি : ফেসবুক

যাইহোক , OTT ওয়ালাদের নিজেদের এত পর্শ (উন্নত) ভাবার কিছু নাই। মানুষ ফ্রিতেই অনেক কিছু দেখে না। টাকা দিয়ে কতটুকু দেখে সেটা জানি। আর কিছু না বলি। আরো অনেক বছর লাগবে OTT বিস্ফোরন হতে। এই পোস্টের পর OTT এর সো কল্ড পর্শ কিডদের, ডিরেক্টরদের এবং কতিপয় প্লাটফর্মের চক্ষুশূল হবো। কাজ পাবো না, এওয়ার্ড পাবো না। লাগবেনা ভাই। আমার মেরুদন্ডই আমার এওয়ার্ড।

উল্লেখ্য : সবাই সেম না। কতিপয় ভাব দেখানো, আলগা পর্শ পার্টে থাকা মানুষগুলোর জন্য কথাগুলো লেখা।’

জাহের আলভী /  ছবি : ফেসবুক

 

   

ভারতের ইউটিউবাররাও শাকিব খানের প্রশংসায় পঞ্চমুখ



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
‘তুফান’-এর টিজারে সুপারস্টার শাকিব খান

‘তুফান’-এর টিজারে সুপারস্টার শাকিব খান

  • Font increase
  • Font Decrease

গত মঙ্গলবার বিকেলে প্রকাশ করা হয়েছে ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খান অভিনত ‘তুফান’ সিনেমার টিজার। ব্যবসাসফল নির্মাতা রায়হান রাফী পরিচালিত সিনেমাটির ঘোষণার পর থেকেই দর্শকের মধ্যে অন্য রকম এক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

টিজার প্রকাশের পর প্রশংসাসূচক মন্তব্যে সত্যিই যেন ‘তুফান’ এসে গেছে! শুধু বাংলাদেশের শাকিবিয়ানরাই নয়, পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় ইউটিউবাররাও মুগ্ধ ‘তুফান’-এর টিজারে। ভিডিও কনটেন্টে তারা এই টিজারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ।

কলকাতার জনপ্রিয় ইউটিউবার অরিত্র ব্যানার্জি নিজের চ্যানেল ‘অরিত্রস জ্ঞান’-এ ‘তুফান’-এর টিজার নিয়ে বলেন, ‘শাকিব খানের সুপারস্টার ইমেজ রায়হান রাফী যেভাবে তুলে ধরেছেন, সেটা আগে দেখা যায়নি। এ ছাড়া টিজারে শাকিব খানের অভিনেতা সত্তাকে বেরিয়ে আসতে দেখা গেছে।

টিজারের শেষ দৃশ্যে যেখানে বাথটাবে শাকিব বসে আসেন, চারপাশে আগুন জ্বলছে-দৃশ্যটি দেখতে ব্যাপক লাগছে। এ শাকিব চিৎকার করছেন, দৃশ্যটিতে তার অভিনয়ের দিকটাও উঠে এসেছে।’
এ ছাড়া মাত্র কয়েক সেকেন্ডের উপস্থিতিতে চঞ্চল চৌধুরী নিজের জাত চিনিয়েছেন, সেটাও উল্লেখ করেছেন অরিত্র।

পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় ইউটিউবাররাও মুগ্ধ ‘তুফান’-এর টিজারে। কোলাজ

পশ্চিমবঙ্গের আরেক জনপ্রিয় ইউটিউব চ্যানেল ‘রূপমস রিভিউ’-এর রূপস ‘তুফান’-এর টিজার নিয়ে বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে সাম্প্রতিক সময়ে যত বড় তারকার সিনেমার টিজার এসেছে, তার থেকে এটা অনেক গুণ এগিয়ে।’নির্মাতার রাফীর প্রশংসা করে রূপম আরও বলেন, ‘যাঁরা এখন মূলধারার বাণিজ্যিক সিনেমা বানাচ্ছেন, এই পরিচালকের কাছ থেকে শেখা উচিত। কারণ, এ ছবির বাজেট তো ১৫ বা ২০ কোটি নয়, কীভাবে অল্প বাজেটে এ ধরনের লুক অ্যান্ড ফিল দিতে পারেন, তাকে কুর্নিশ করা উচিত।’

শাকিবের প্রশংসা করে রূপম বলেন, ‘শাকিবকে যদি ভালো পরিচালকের সঙ্গে কাজ করতে দেওয়া হয়, তিনি দারুণ কাজ করবেন। শাকিব খানের যে লুক, সেটা দারুণ।’একই সঙ্গে তিনি টিজারের শুরুর মনোলগ আর গানেরও প্রশংসা করেন।

আরেকটি ইউটিউব চ্যানেল ‘আর্টিস্টিক সেভেন সেন্স’-এর সাগরনীল বলেন, ‘এটা এমন একটি টিজার, যেটা নিয়ে মানুষ আরও কয়েক সপ্তাহ কথা বলবে। কারণ, বাংলা ছবির যে বাজেট, সেখানে এ ধরনের টিজার স্বপ্নের অতীত। সেখানে রায়হান রাফী স্বপ্নকে সত্যি করে দেখিয়েছেন।’

আলোচিত এই ইউটিউবার ‘তুফান’-এর টিজার নিয়ে আরও বলেন, ‘ছবিটি ভালো হবে, খুব ভালো হবে, এমন প্রত্যাশা আমাদের সবারই ছিল। কিন্তু এই টিজার সে প্রত্যাশাকেও ছাড়িয়ে গেছে। টিজারে দেখে মনে হয়েছে, রাফী তারকা শাকিব খানের সঙ্গে অভিনেতা শাকিব খানকেও ছবিতে তুলে এনেছেন।’

‘তুফান’-এর টিজারে সুপারস্টার শাকিব খান

সাগরনীলও ‘তুফান এল রে’ গানটির প্রশংসা করেন। তিন ইউটিউবারই ‘তুফান’-এর প্যান ইন্ডিয়ান বা সর্বভারতীয় মুক্তি দেওয়ার পরামর্শ দেন। পবিত্র ঈদুল আজহায় মুক্তির অপেক্ষায় থাকা সিনেমাটিতে শাকিব খান ছাড়াও অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী, মিমি চক্রবর্তী, নাবিলাসহ আরও অনেকেই।

;

সোহেল চৌধুরী খুনের রায় শুনে যা বললেন মেয়ে লামিয়া



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
(বাঁমে) বাবা সোহেল চৌধুরী ও মা দিতির সঙ্গে ছোট্ট লামিয়া, বর্তমানে লামিয়া চৌধুরী (ডানে)

(বাঁমে) বাবা সোহেল চৌধুরী ও মা দিতির সঙ্গে ছোট্ট লামিয়া, বর্তমানে লামিয়া চৌধুরী (ডানে)

  • Font increase
  • Font Decrease

২৫ বছর আগে চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী খুনের ঘটনায় আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক অরুণাভ চক্রবর্তী এই রায় ঘোষণা করেন।

রায় ঘোষণার পর বৃহস্পতিবার দুপুরে সোহেল চৌধুরীর মেয়ে লামিয়া চৌধুরীর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার বাবা তো ফেরত আসবে না। উনারা (অপরাধীরা) যেটা করেছেন, সেটার জবাব উনাদেরই দিতে হবে। উনাদের যাবজ্জীবন হোক কিংবা যেটাই হোক—বাবার মৃত্যু আমার জীবনে যে প্রভাব ফেলেছে, সেটা কোনোভাবেই পরিবর্তন হবে না। রিয়েলিটি নিয়েই আমাকে থাকতে হবে। এখন তাঁদের বিচারে আমাদের কোনো কিছুই পরিবর্তন হয়নি, হবেও না।’

(বাঁমে) লামিয়া চৌধুরী, বাবা সোহেল চৌধুরীর কোলে ছোট্ট লামিয়া (ডানে)

১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানীর ট্রাম্প ক্লাবের সামনে সোহেল চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। সেই খুনের মামলায় ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আবদুল আজিজ, ট্রাম্প ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম ও আদনান সিদ্দিকীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বাকি আসামিদের খালাস দেওয়া হয়েছে।

ঢাকাই সিনেমার তারকা জুটি সোহেল চৌধুরী ও দিতির দুই সন্তানের মধ্যে লামিয়া চৌধুরী বড়। ছেলে শাফায়েত চৌধুরী কানাডার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষে করে ইউরোপে থিতু হয়েছেন। কানাডার টরন্টো ফিল্ম স্কুল থেকে পড়াশোনা শেষ করে ঢাকায় এসে নির্মাণে মনোযোগী হয়েছিলেন লামিয়া।

শৈশবেই বাবাকে হারানোর পর মা দিতির কাছেই বেড়ে উঠেছেন লামিয়া ও শাফায়েত। ২০১৬ সালে দিতির মৃত্যুর পর মা-বাবার স্মৃতিচিহ্ন নিয়েই বেঁচে আছেন তারা।

ঢাকাই সিনেমার তারকা জুটি সোহেল চৌধুরী ও দিতির দুই সন্তানের মধ্যে লামিয়া চৌধুরী বড়

এদিকেম গতকালেই লামিয়া তার নিজের কারণে আলোচনায় এসেছেন। তিনি সিনেমা নির্মাণ করতে যাচ্ছেন। ‘মেয়েদের গল্প’ শিরোনামের নারীকেন্দ্রিক সেই সিনেমাটি প্রযোজনা করবেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী আজেমেরী হক বাঁধন। এই ছবিতে অভিনয়ও করবেন বাঁধন।

;

নন্দিত চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী খুনের আদ্যোপান্ত



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী

চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী

  • Font increase
  • Font Decrease

২৫ বছর আগে জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী খুনের ঘটনায় ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই, ট্রাম্প ক্লাবের মালিক বান্টি ইসলাম ও আদনান সিদ্দিকীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তারা তিনজনই পলাতক। বাকি ছয় আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

মামলার কাগজপত্র ও রাষ্ট্রপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানীর ট্রাম্প ক্লাবের সামনে সোহেল চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। পরে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) তদন্তে উঠে আসে আলোচিত ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই, ট্রাম্প ক্লাবের মালিক বান্টি ইসলাম ও আশীষ রায় চৌধুরীর সঙ্গে বিরোধের জেরে ভাড়াটে খুনিদের দিয়ে সোহেল চৌধুরীকে হত্যা করা হয়।

স্ত্রী চিত্রনায়িকা পারভীন সুলতানা দিতি ও কন্যা লামিয়ার সঙ্গে সোহেল চৌধুরী

আদালতে সাক্ষীরা যা বলেছিলেন

সাক্ষীরা বলেছেন, ওই দিন রাতে বনানীর ট্রাম্প ক্লাবে গান বন্ধ করতে বলেছিলেন সোহেল ও তার বন্ধুরা। গান বন্ধ করা নিয়ে আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে সোহেলের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সোহেল চৌধুরী আজিজের ওপর খেপে যান। তখন সোহেলের বন্ধু কালা নাসির আজিজ মোহাম্মদ ভাইকে গুলি করতে যান। এ সময় ক্লাবের বাথরুমে ঢুকে আত্মরক্ষা করেন আজিজ মোহাম্মদ ভাই। এই ট্রাম্প ক্লাবের মালিকানা ছিল বান্টি ও আশীষের। বিরোধের শুরু এখান থেকেই।

মামলার কাগজপত্রের তথ্য বলছে, ট্রাম্প ক্লাবের কার্যক্রম চলত বনানীর আবেদিন টাওয়ারের সপ্তম তলায়। ক্লাবের পশ্চিম পাশে ছিল একটি জামে মসজিদ। জবানবন্দিতে একাধিক সাক্ষী বলেছেন, ওই ক্লাবে নাচ-গানসহ অসামাজিক কার্যক্রম চলত। ক্লাবের অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধে স্থানীয় মুসল্লিদের পক্ষে অবস্থান নেন সোহেল চৌধুরী।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, সোহেল চৌধুরী মসজিদ কমিটির লোকজন নিয়ে ক্লাব বন্ধ করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। এ নিয়ে আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে সোহেল চৌধুরীর ঝামেলা হয়। ট্রাম্প ক্লাবের কাজ ব্যাহত হলে সোহেল চৌধুরীকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন আসামিরা।

২৪ জুলাইয়ের পার্টিতে আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে সোহেল চৌধুরীর ঝামেলার পর থেকে তার ওপর ট্রাম্প ক্লাবে ঢোকায় অলিখিত নিষেধাজ্ঞা আসে। সেটি ক্লাবের কর্মচারীরাও পুলিশকে তখন জানিয়েছিলেন।

সোহেল চৌধুরীর মা নূরজাহান বেগম আদালতকে বলেছিলেন, বনানীর ট্রাম্প ক্লাবে অসামাজিক কার্যকলাপ হতো। ক্লাবের পাশের মসজিদ কমিটি ও মুসল্লিরা এর প্রতিবাদ করেছিলেন।

পলাতক আজিজ মোহাম্মদ ভাই এই বয়সেও এমন আয়েশি জীবন কাটাচ্ছেন বিদেশে

আজিজ ও সোহেলের বিরোধ

আজিজ মোহাম্মদ ভাই ও সোহেল চৌধুরীর মধ্যে যে গন্ডগোল হয়েছিল, সেই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী মির্জা মাহাফুজ আদালত ও পুলিশের কাছে জবানবন্দি দিয়েছিলেন। ১৬১ ধারার জবানবন্দিতে তিনি পুলিশকে বলেছিলেন, ১৯৯৮ সালের ২৪ জুলাই রাত ১০টার দিকে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে ক্লাবে যান তিনি। তখন ক্লাবে আসেন আজিজ মোহাম্মদ ভাই। আজিজ মোহাম্মদ তার স্ত্রীকে গান গাইতে বলেন। অন্যদিকে সোহেল চৌধুরী ও তার কয়েক বন্ধু গান থামাতে বলেন। একপর্যায়ে সোহেল চৌধুরী ও তার দলের লোকজন মাহাফুজের টেবিলের সামনে আসেন। তখন তারা আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের পাশে বসা এক নারীকে উঠে আসতে বলেন। ওই নারী না উঠলে সোহেল চৌধুরী আরও ক্ষিপ্ত হয়ে মারতে যান।

মামলার আরেক সাক্ষী গোলাম মোহাম্মদ। তিনি সোহেলের বন্ধু। সাক্ষী হিসেবে তিনি তখন ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে বিচারককে বলেছিলেন, খুন হওয়ার আগে আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে সোহেল চৌধুরীর ঝগড়া হয়। বিষয়টি তার সামনে ঘটেছে। এ ছাড়া ট্রাম্প ক্লাবের বান্টি ইসলামের সঙ্গে সোহেলের দুই থেকে তিনবার ঝগড়া হয়। পরে তা মিটেও যায়। তবে আশীষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতলের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। আশীষ চৌধুরীই সোহেল চৌধুরীকে ক্লাব থেকে বের করে দেন। ভবিষ্যতে সোহেলকে ক্লাবে না আসার জন্য হুমকিও দেন।

তরুণ সোহেল চৌধুরী

খুনের ১৫ দিন আগে সোহেলকে টেলিফোনে হুমকি

সোহেল চৌধুরী হত্যা নিয়ে তার মা নূরজাহান বেগম আদালতকে বলেন, তাদের বাসার উল্টো দিকে ট্রাম্প ক্লাব। হত্যাকাণ্ডের দিন রাত দুইটায় সোহেল বাসায় ফেরেন। ক্লাবের সামনে জামে মসজিদ। পরে সোহেল আবার ক্লাবে গেলে সন্ত্রাসীরা তাকে দুটি গুলি করলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। সোহেল চৌধুরীর মা আদালতকে আরও বলেছিলেন, সোহেল খুন হওয়ার ১৫ থেকে ২০ দিন আগে টেলিফোনে আজিজ মোহাম্মদ ভাই ও বান্টি ইসলামের লোকজন হত্যার হুমকি দিয়েছিলেন। তারা বলেছিলেন, সোহেলের মৃত্যুর দিন ঘনিয়ে আসছে।

যেভাবে খুন

সোহেল চৌধুরীকে কীভাবে গুলি করা হয়েছিল, সে ব্যাপারে অভিযোগপত্রে বলা হয়, সেদিন সোহেল চৌধুরী ক্লাবে ঢুকতে চেয়েছিলেন। তবে তাকে ক্লাবে ঢোকার অনুমতি না দিয়ে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। পরে রাত তিনটার দিকে সোহেল চৌধুরী আবার ক্লাবের সামনে আসেন। তখন পেশাদার খুনিদের দিয়ে সোহেল চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

স্ত্রী পারভীন সুলতানা দিতি ও দুই সন্তানের সঙ্গে চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী

মামলার সাক্ষী আবুল কালাম পুলিশের কাছে দেওয়া জবানবন্দিতে বলেন, সেদিন সোহেলসহ সাত থেকে আটজন লোক ক্লাবের সামনে গেলে হঠাৎ গুলি করা হয়। তার পেটে গুলি লাগে। তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান। সন্ত্রাসীদের গুলিতে আরও গুলিবিদ্ধ হন নীরব ও দাইয়ান। আর সোহেল গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। গুলি করার পর ইমন, মামুন, লিটন, ফারুক গাড়িতে করে পালিয়ে যান। সোহেলের সঙ্গে আজিজ মোহাম্মদ ভাই, বান্টি ইসলাম ও আশীষ রায় চৌধুরীর আগের ঝগড়ার জেরে তাকে ঠান্ডা মাথায় ভাড়াটে খুনি দিয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়।

;

‘পুনর্জন্ম’, ‘দ্য সাইলেন্স’র নির্বাহী প্রযোজকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
অকালপ্রয়াত প্রযোজক মাসুদুল মাহমুদ রূহান

অকালপ্রয়াত প্রযোজক মাসুদুল মাহমুদ রূহান

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্মাতা ভিকি জাহেদের তুমুল জনপ্রিয় ওয়েব ফিল্ম ‘পুনর্জন্ম’, ‘দ্য সাইলেন্স’, ‘আরারাত’-এর নির্বাহী প্রযোজক মাসুদুল মাহমুদ রূহান আর নেই। রাজধানীর মোহাম্মদপুরের একটি বাসা থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রূহানের মৃত্যুর খবর প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেন নির্মাতা ভিকি জাহেদ।

তার বন্ধু-সহকর্মীরা জানিয়েছেন, আত্মহত্যা করেছেন রূহান। রাত দেড়টার দিকে নিজের রুমে সিলিং ফ্যানে ঝুলছিলেন তিনি। ভিকি জাহেদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘রাত ১২টার দিকে ওর রুমমেট দরজা খুলে দেখে, রূহান ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছে।’ নির্মাতা আরও জানান, ছেলের মৃত্যুর খবর শুনে রূহানের মা–বাবা রংপুর থেকে ঢাকায় রওনা হয়েছেন। তারা ঢাকায় ফিরলে লাশের ময়নাতদন্ত হবে।

ওয়েব ফিল্ম ‘পুনর্জন্ম’র পোস্টার

জানা গেছে, সম্প্রতি স্ত্রীর সঙ্গে রূহানের বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। ঘনিষ্ঠজনেরা জানান, এর পর থেকেই হতাশায় ভুগছিলেন রূহান। সামাজিক মাধ্যম দেখলেও বোঝা যায় হতাশায় ডুবে ছিলেন রূহান। 

সর্বশেষ ৪ মে একটি পোস্ট তিনি লিখেছেন, ‘আমার চেনা পৃথিবীর বুকে যেমন তুমি নাই, তোমার বুকেও আমি নাই! তাহলে কেন সেদিন বলেছিলে? আমার সঙ্গেই এই জন্ম কাটিয়ে দেবে? ভুল বুঝিও না। আমি দোষ দিচ্ছি না। জাস্ট বললাম আর কি!’ রূহানের এই অনুভূতির পোস্টে তাকে অকালে হারিয়ে শোকবার্তা দিচ্ছেন সহকর্মী-বন্ধুরা।

ওয়েব ফিল্ম ‘আরারাত’-এর নির্বাহী প্রযোজক ছিলেন মাসুদুল মাহমুদ রূহান

রূহানের এই অকালপ্রয়াণের খবরে শোকে মুষড়ে পড়েছেন বন্ধু-সহকর্মীরা। সামাজিক মাধ্যম ভরে উঠেছে শোকবার্তায়। রূহানের সঙ্গে তোলা একটি ভিডিও শেয়ার করে অভিনেতা শ্যামল মওলা লিখেছেন, ‘এই হাসি আর কখনো হাসবে না…ওপারে দেখা হবে…রূহান।’

জনপ্রিয় অভিনেতা তৌসিফ মাহবুব অকালপ্রয়াত এই প্রযোজকের ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘কেন করলি রুহান???? কেন করলি রুহান???? কেন করলি রুহান????’

সিনেমাটোগ্রাফার বিদ্রোহী দীপনের সঙ্গে অকালপ্রয়াত প্রযোজক মাসুদুল মাহমুদ রূহান (ডানে)

‘পুনর্জন্ম’, ‘রেডরাম’, ‘চম্পা হাউজ’, ‘শুক্লপক্ষ’, ‘দ্য সাইলেন্স’, ‘আরারাত’–এর মতো জনপ্রিয় ওয়েব ফিল্ম, নাটক-সিরিজের নির্বাহী প্রযোজক তিনি। ভিকি জাহেদের বেশির ভাগ কাজেরই নির্বাহী প্রযোজক ছিলেন রূহান। গত ঈদুল ফিতরে মুক্তি পাওয়া চঞ্চল চৌধুরী অভিনীত সিরিজ ‘রুমি’রও লাইন প্রোডিউসার ছিলেন রূহান। এ সিরিজটিরও নির্মাতা ছিলেন ভিকি জাহেদ।

;