পঁচিশে বৈশাখে স্বপ্নীলের অর্ঘ্য ‘ভালোবেসে সখী’র গানচিত্র
তরুণ রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী স্বপ্নীল সজীব বেশ আগে থেকেই ছক ভেঙে বের হতে চেয়েছেন। রবীন্দ্রনাথের গান শুধু নির্দিষ্ট ঢংয়ে উপস্থাপন করতে হবে সেটি তিনি মানতে নারাজ। রবীন্দ্র সংগীতের ভেতরের আবেদন ঠিক রেখে তাকে আধুনিকভাবে উপস্থাপনের প্রচেষ্টা সব সময়ের জন্য স্বপ্নীলের।
তারই ধারাবাহিক নব প্রয়াস গুরুদেবের অন্যতম জনপ্রিয় গীত ‘ভালোবেসে সখী নিভৃত যতনে’র গানচিত্র। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্ম জয়ন্তী অর্থাৎ পঁচিশে বৈশাখে তার প্রতি এটি দুই বাংলায় পরিচিতি পাওয়া স্বপ্নীল সজীবের অর্ঘ্য নিবেদন।
স্বপ্নীল সজীবের এই গানচিত্রটি তার অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ পেলেও শোনা যাবে সকল আন্তর্জাতিক অডিও স্ট্রিমিং প্লাটফর্মে। গানে নলিনী চরিত্রে স্বপ্নীলের সাথে থাকছেন মডেল ড. মিয়ামী খুলদ। গানচিত্রটি পরিচালনা করেছেন ইয়ামিন এলান।
স্বপ্নীল সজীবের ভাষ্য, ‘প্রেমের কবি রবীন্দ্রনাথ তার জীবনকালে রচনা করেন অসংখ্য প্রেমের কবিতা ও গান। যার মাঝে লুকিয়ে আছে প্রেম, বিরহ, ব্যাকুলতা আর নি:সঙ্গের এক মহাউপাখ্যান। তার লেখা প্রতিটি শব্দই যেন আমার-আপনার কথাই বলে, পাওয়া না পাওয়ার গোলমেলে হিসাব স্মৃতি হাতড়ে বেড়ায়। যতই গানে, সংগীতায়োজনে আধুনিকতা আসুক না কেন, রবীন্দ্রসংগীত টিকে থাকবে আপন মহিমায়। গুরুদেবের জন্মদিনে তার এই গান আমার বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি এই গানের মাধ্যমে।’
স্বপ্নীল সজীব রবীন্দ্রনাথের গানের কারণে বিশেষ সমাদৃত হলেও বাংলা সংগীতের নানা ধারার গান গেয়ে থাকেন। দেশের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, দুবাই, ব্রুনাই, মরোক্কো, ইরান, মালেশিয়া, নেপাল ও প্রতিবেশী দেশ ভারতে সংগীত পরিবেশন করে সুনাম কুড়িয়েছেন।
গানে হাতেখড়ি লুৎফুন নাহার লতার কাছে। এরপর রবীন্দ্র সংগীতে তালিমা নিয়েছে ড. রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ও ওয়াহিদুল হকের কাছে। এছাড়া তাকে বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী হিসেবে অভিজ্ঞানপত্র দিয়ে সম্মান প্রদান করেছে ইউএসএ’র সিনেটর, লস এঞ্জেলসের মেয়র, ভারতীয় হাই কমিশন, ইউ এস অ্যাম্বাসি, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, শ্রী অরবিন্দ ইন্সটিটিউট অব কালচার, ইন্দিরা গান্ধি কালচারাল সেন্টার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক আয়োজিত, জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে তিনি স্বর্ণপদক পান।