দুনিয়া কাঁপানো কে পপ ব্যান্ড ‘ব্ল্যাকপিংক’-এর অন্যতম জনপ্রিয় তারকা জেনি আর কোরিয়ান র্যাপার বামবামের কিছু ছবি সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
ছবিগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের একটি রেস্তোরাঁয় তাদের একসঙ্গে দেখা গেছে। ছবিকে কেন্দ্র করে দুজনের প্রেমের গুঞ্জন ডালপালা মেলেছে।
বিজ্ঞাপন
তবে জেনি আমাদের দেশের তারকা কিংবা বলিউড তারকাদের মতো নয়। নিজের ইমেজ নিয়ে দারুণ সচেতন এই তারকা। তাইতো আর বেশি দেরী করলেন। নিজের এজেন্সি ওএ এন্টারটেইনমেন্টের বরাতে আজ জেনি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা প্রেম করছেন না। দুজনের ভালো বন্ধু। একসঙ্গে খেতে গিয়েছিলেন।
এর আগে বিটিএস তারকা ভি’র সঙ্গে জেনির প্রেমের খবর প্রকাশ্যে এসেছিল। গত বছরের শেষভাগে প্যারিসে একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল ভি ও জেনিকে। তবে প্রেম নিয়ে কেউই একটা বাক্যও খরচ করেননি তারা।
বিজ্ঞাপন
তবে কে-পপ অঙ্গনে সবচেয়ে চর্চিত জুটি হিসেবে ভি ও জেনি পরিচিতি ছিল তাদের। গত বছরের ডিসেম্বরে তাদের প্রেম ভাঙার খবর এসেছিল কোরীয় সংবাদমাধ্যমে।
এদিকে, জেনি যুক্তরাষ্ট্রের রেকর্ড লেবেল কলম্বিয়া রেকর্ডসের সঙ্গে চুক্তি সেরেছেন। আসছে অক্টোবরে তার নতুন একক গান প্রকাশিত হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলে চোর সন্দেহে তোফাজ্জল নামের এক যুবককে পিটিয়ে মেরেছে আবাসিক ছাত্ররা। অন্যদিকে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে একদল শিক্ষার্থীর হামলায় আহত বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা শামীম আহমেদ ওরফে শামীম মোল্লা মারা গেছেন। সাভারের গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার রাতে তার মৃত্যু হয়। বুধবার বিকেলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে একদল শিক্ষার্থী শামীম মোল্লাকে পিটিয়ে আহত করেন।
এই ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। জাহাঙ্গীর নগর ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের হলে এমন ঘটনা মানতে পারছেন না কেউই। প্রতিবাদমুখর হয়েছেন সাধারণ মানুষ। বিষয়টি নিয়ে অনেক শোবিজ তারকার মতো কথা বলেছেন ছোটপর্দার রানী’খ্যাত অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে জাতির উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন তিনি। জানতে চেয়েছেন, গণপিটুনিকে কেন নরমালাইজ করা হচ্ছে।
অভিনেত্রীর ভক্ত-অনুরাগীরা তার সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেছেন। কমেন্ট বক্সে একজন লিখেছেন, ‘আবরার ফাহাদ সে তার শেষ সময়ে একটু পানি চেয়েছিলো এবং তোফাজ্জল ভাই কে ভাত খাওয়ানো হয়। দুই ঘটনা একই রকম মনে হয় আমার এর বিচার আজকের ভিতর করা দরকার, কে মেধাবী কে ঢাবি ছাত্র এইসব এখন আর দেখার সময় না। বিচার করতে হবে, মানে করতে হবে।’
প্রসঙ্গত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হাতে নিহত তোফাজ্জলের বাড়ি বরিশালের বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার কাঁঠাল তলি ইউনিয়নে। তার বাবা-মা কেউ বেঁচে নেই। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন জানা গেছে।
এদিকে, মেহজাবীন বর্তমানে কানাডায় অবস্থান করছেন। তার প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা ‘সাবা’ নিয়ে তিনি গিয়েছিলেন সম্মানজনক টরেন্টো ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে। ছবিটি উৎসবে দারুণ সাড়া ফেলেছে।
দীর্ঘ সঙ্গীত ক্যারিয়ার দারুণ ব্যস্ততার সঙ্গে পার করেছেন ফাহমিদা নবী। উপহার দিয়েছেন অনেক জনপ্রিয় গান। পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।
বরাবরই রেকর্ডিং আর স্টেজ শো সমানতালে চালিয়ে গেছেন। শুধু দেশে নয়, মাতিয়েছেন বিদেশের অনেক বড় বড় মঞ্চ। তার আবেদনমাখা গায়কীতে বুঁদ হয়ে গেছেন মিলনায়তন ভরা দর্শক।
অথচ সেই গায়িকারই নাকি স্টেজ ভীতি তৈরী হয়েছে! এটা মানা যায়? কিন্তু ঘটনাটি সত্যি। কারণ এই তথ্য দিয়েছেন ফাহমিদা নবী নিজেই।
বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ফাহমিদা নবী বলেন, ‘‘সত্যি আমার ইদানিং স্টেজ ভীতি হয়েছে। তাই অনেক স্টেজ শো এরমধ্যে বিনয়ের সঙ্গে ‘না’ করে দিয়েছি।’’
কেন এমনটা হলো জানতে চাইলে প্রখ্যাত এই সঙ্গীত তারকা বলেন, ‘আসলে আমি এখনকার দর্শককে নিয়ে খুব চিন্তিত। তারা সবাই শুধু নাচতে চাইছে! শোতে এলেই যেন দর্শকের একমাত্র কাজ উদ্যম নাচানাচি করা! আর তাদের মন রাখতে শোয়ের শুরুতেই দেখি মিউজিশিয়ানরা ধামা ধাম বাজাচ্ছে, মানে উত্তেজিত মিউজিক। প্রত্যেকটি শিল্পীকেও ভাবতে হচ্ছে, যে করেই হোক দর্শককে নাচাতে হবে। আমি নাচতে পারি আর না পারি আমাকে নাচাতেই হবে। এটা যে সব শিল্পীর জন্য একটা যন্ত্রণা এটাও আমি বুঝি। কারণ সব শিল্পীরই ক্ষুধা থাকে একটা ভালো গান করার, দর্শককে সেটি শোনানোর। কিন্তু দর্শক ধরে রাখতে হলে তাকে নাচতেই হবে। কিন্তু আমি তো সেই দলের নই। আমি তো নৃত্যশিল্পী নই। আমি গায়িকা। গান গাওয়া আমার কাজ। ফলে যতো অস্থিরতা বাড়ছে আমি আরও ধীর স্থির হচ্ছি। আমার গান আরও শান্ত, আরও মিনিংফুল করার চেষ্টা করছি। তাই যে সব স্টেজ শো’র দর্শক নাচতে চায় সে সব শো আমি করছিও না।’
‘দর্শককে নিয়ে চিন্তিত’, এই কথাটিও ব্যাখ্যা করেছেন ফাহমিদা। তিনি বলেন, ‘গান হলো শোনার বিষয়। মন দিয়ে উপলব্ধি করার বিষয়। গানের কথা, সুর, গায়কী আর সঙ্গীতায়োজন মিলে দর্শক শ্রোতা এক ভিন্ন আবেশে হারিয়ে যাবেন এটাই তো গান। কিন্তু এখনকার বেশিরভাগ দর্শকের মধ্যে সেই স্থিরতা নেই। গান শোনার যে একাগ্রতা সেটি হারিয়ে যাচ্ছে গোটা একটা জেনারেশনের, এটা ভাবতেই খারাপ লাগে। আমি সব স্টেজে গাইতে পারছি না সেটার চেয়ে দর্শকের যে অবক্ষয় তা নিয়ে বেশি খারাপ লাগে। আমি তো স্টেজ বুঝে গাইছি, যেখানে স্থির দর্শক পাই সেখানে গাইছি। কিন্তু দর্শক শ্রোতারা যে সঙ্গীতের আস্বাদন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এই ব্যাপারটা খুবই খারাপ লাগে।’
এদিকে, অচিরেই নতুন গান হাজির হতে যাচ্ছেন ফাহমিদা নবী। ‘কাছের মানুষ কেন দূরে যায়’ শিরোনামের গানটি গাওয়ার পাশাপাশি সুরও করেছেন তিনি। কথা লিখেছেন ইলা মজিদ।
নতুন গানটি নিয়ে ফাহমিদা নবী বলেন, ‘গানটি অনেক আগেই গীতিকার ইলা আপা আমাকে দিয়েছিলেন। নানা ব্যস্ততার আর রেকর্ড করা হয়নি। কদিন আগে তিনি মনে আবার মনে করিয়ে দিলেন গানটির কথা। বললেন, নুমা তোমাকেই সুর করতে হবে। আমি আবার সুরের বেলায় খুব খুতখুতে। ইদানিং সেমি ক্ল্যাসিকাল, গজল- এই আঙ্গিকের সুরের দিকে আমার ঝোঁক। আমি নানা আঙ্গিকের চার-পাঁচটি সুর করেছিলাম। সুর করার সময় আমি ভেবে নিয়েছি রাস্তার মাঝে আমি একা দাঁড়িয়ে, চারপাশ দিয়ে কত মানুষ কতো রিকশা গাড়ি চলে যাবে। কেউ কাউকে দেখার নেই, সবাই ব্যস্ত। যারা কাছে ছিলো তারা দূরে চলে যাচ্ছে আর যারা দূরে ছিলো তারা আমার কাছ দিয়ে চলে যাচ্ছে। এমন কেন হয়? যে সুরটি অবশেষে বেছে নিয়েছি তাতে এই অনুভূতির বহিঃপ্রকাশ রয়েছে।’
গত ৮ সেপ্টেম্বর প্রথম সন্তানের মা-বাবা হয়েছেন বলিউডের পাওয়ার কাপল দীপিকা পাড়ুকোন ও রণবীর সিং। বাড়িতে এই ছোট্ট নতুন অতিথির আগমণকে স্পেশ্যাল করে রাখতে কোন কিছুর কমতি রাখছেন না দীপবীর। কন্যাকে দেখভাল করার জন্য মা দীপিকা তো লম্বা কর্মবিরতি নেবেন বলে জানিয়েছিলেন। এবার জানা গেলো, বাবা রণবীর সিংও কাজ থেকে বিরতি নিয়েছেন। তাই ‘ডন থ্রি’ সিনেমার শুটিং পিছিয়ে দিয়েছেন তিনি।
এদিকে, একমাত্র কন্যাসন্তানের মুখ এখনো প্রকাশ্যে না আনলেও তাকে নিয়ে নতুন বাড়িতে উঠতে চলেছেন এই তারকা দম্পতি। তারা মুম্বাইয়ের বান্দ্রা এলাকায় একটি বহুতল ভবনের একটি ফ্ল্যাট কিনেছেন। ১২ সেপ্টেম্বর তাদের সেই নতুন ফ্ল্যাটের রেজিস্ট্রেশন হয়েছে। সাগর রেশম আবাসনের ১৫ তলায় অবস্থিত রণবীর দীপিকার নতুন ফ্ল্যাট।
তাদের এই প্রপার্টি অভিনেতার মা অঞ্জু ভবানীর বাড়ির খুব কাছেই অবস্থিত। সমুদ্রঘেঁষা এই ফ্ল্যাট কিনতে পকেটে ভালোই খরচ হয়েছে তারকা দম্পতির।
জানা গেছে, ১৭ কোটি ৮০ লাখ রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৫ কোটি টাকা) দিয়ে তারা ফ্ল্যাটটি কিনেছেন। নতুন ফ্ল্যাট ১ হাজর ৮৪৫ বর্গফুটের। তবে এটাই নয়, এর আগেও শাহরুখ খানের মান্নতের কাছে বান্দ্রায় কয়েক বছর আগেও দীপিকা-রণবীর একটি বাড়ি কিনেছিলেন। তাদের এই বিলাসবহুল বাড়ির দাম প্রায় ১০০ কোটি রুপি পড়েছিল। এ ছাড়া ২০২১ সালে আলীবাগে ২২ কোটি রুপির বিনিময়ে আরও একটি বাড়ি কেনেন এই তারকা দম্পতি।
অমর নায়ক সালমান শাহ’র আগমনের দিনে (১৯ সেপ্টেম্বর) না ফেরার দুনিয়ায় পাড়ি জমালেন তারই ক্যারিয়ারের অন্যতম প্রযোজক দেওয়ান হাবিবুর রহমান হাবিব। যিনি একাধারে নাট্য-প্রযোজক, সাংবাদিক ও প্রকাশক।
নায়ক সালমান শাহ’র সিনেমা ক্যারিয়ার শুরু হয় ১৯৯৩ সালে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমার মধ্য দিয়ে। ১৯৯৫ সালে তিনি সিনেমার সুপারস্টারে পরিণত হয়েছেন। এমন সময় সবাইকে চমকে দিয়ে দেওয়ান হাবিব নাটকে নিয়ে আসেন সালমান শাহকে। ‘নয়ন’ নামের সেই নাটকে সালমান শাহ’র বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন শমী কায়সার। অরুণ চৌধুরীর চিত্রনাট্যে নাটকটি বানিয়েছেন আহমেদ রিয়াজ। বিটিভিতে প্রচার হওয়া ‘নয়ন’ সে সময়ের সবচেয়ে আলোচিত নাটক। এমন একটি নাটক প্রযোজনা করার মতো সাহসী মানুষ খুব একটা ছিলো না তখন। সালমান শাহ ও শমী কায়সারের মতো দুই সুপারস্টারকে নিয়ে যে সাহসটি দেখিয়েছিলেন দেওয়ান হাবিব। শ্রেষ্ঠ একক নাটক হিসেবে ‘নয়ন’ বাচসাস পুরস্কার লাভ করে। সাংস্কৃতিক অঙ্গনে যে পুরস্কারের কদর ছিলো তখন সবার ওপরে।
গতকাল রাত ১১টা ৩৩ মিনিটের দিকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে সেই দেওয়ান হাবিব শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। এর আগে দেওয়ান হাবিব লম্বা সময় ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করছিলেন। গত কয়েকদিন ছিলেন লাইফ সাপোর্টে।
নায়ক সালমান শাহ’র ৫৪তম জন্মদিনে তারই সবচেয়ে আলোচিত নাটকের প্রযোজক দেওয়ান হাবিব পাড়ি জমালেন না ফেরার দেশে। যেটাকে অকাল প্রয়াত প্রিয় নায়কের জন্মদিনে, একজন প্রযোজকের জীবন উৎসর্গ-উপহারও বলছেন অনেকে!
পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আজ জুমার নামাজের পর রাজধানীর সোবহানবাগ মসজিদে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। তাতে বন্ধু-স্বজন সবাইকে অংশগ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
দেওয়ান হাবিব স্ত্রী, এক ছেলে ও মেয়ে ছাড়াও অসংখ্য গুণগ্রাহী-স্বজন রেখে গেছেন। বিশেষ করে, গত চার দশকের সিনে-ইন্ডাস্ট্রির শিল্পী-সাংবাদিক-পরিচালক-প্রযোজকসহ প্রায় সবাই দেওয়ান হাবিবকে একনামে চিনতেন, জানতেন এবং মান্য করতেন। প্রযোজনার বাইরে দেওয়ান হাবিবের আরেকটি বড় পরিচিতি সিনে-সাংবাদিকতায়। তিনি তিন দশক ধরে দেশের অন্যতম বিনোদন ঘরানার পাক্ষিক ম্যাগাজিন পত্রিকা ‘বিনোদন বিচিত্রা’র সম্পাদক ও প্রকাশক হিসেবে কাজ করেছেন নিরলস। এই পত্রিকার ব্যানারে তিনি আয়োজন করেছেন বেশ কয়েকটি সুন্দরী প্রতিযোগিতা। যার মাধ্যমে দেওয়ান হাবিবের হাত ধরে ইন্ডাস্ট্রি পেয়েছে অনেক মডেল ও নায়িকা। তার প্রস্থানে বিনোদন অঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে সোশ্যাল হ্যান্ডেল রূপ নিয়েছে শোকবই-এ।