ক্যাটরিনা কাইফের সঙ্গে দীর্ঘদিন চুটিয়ে প্রেম করেছেন সালমান খান এ কথা কারও অজানা নয়। কিন্তু কোন এক কারণে ভেঙে যায় তাদের সম্পর্ক। তবে তার কারণ এখনও পর্যন্ত কেউ জানে না।
এদিকে, প্রেম ভেঙে গেলেও সালমান-ক্যাটরিনাকে নিয়ে বলিউড মহলে এখনও কম আলোচনা হয় না। আর এরইমধ্যে শোনা গেলো একটি নতুন গুঞ্জন। বলিউড অভিনেতা ভিকি কৌশলের সঙ্গে নাকি চলছে ক্যাটরিনার মন দেওয়া-নেওয়া।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও প্রকাশ হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, দিওয়ালির দিন এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুর বাড়িতে একইসঙ্গে পৌঁছায় ক্যাটরিনা-ভিকি। তবে তারা আলাদা আলাদা গাড়িতে ছিলেন।
ওই বন্ধুর দিওয়ালি পার্টিতে শুধু একসঙ্গে উপস্থিত নয়, অনুষ্ঠান শেষে বলিউডের এই দুই তারকাকে একসঙ্গে বেরও হতে দেখা গেছে। এরপরই ক্যাটরিনা-ভিকির প্রেমের গুঞ্জন শুরু হয়।
ক্যাটরিনা কাইফ এখন ব্যস্ত রয়েছেন ‘সূর্যবংশী’ ছবির কাজ নিয়ে। এতে ক্যাটের সহশিল্পী হিসেবে দেখা যাবে অক্ষয় কুমারকে।
বর্তমান সঙ্গীত বিশ্বের শীর্ষ তারকা বলা হয় সংগীতশিল্পী টেইলর সুইফটকে। মুড়ি-মুড়কির মতো রেকর্ড ভাঙেন আর গড়েন। সবার উপরে যে শিল্পী, তার নতুন গান যে সবকিছু ছাড়িয়ে যাবে সেটিই স্বাভাবিক।
হলোও তাই! গত ১৯ এপ্রিল সুইফটের নতুন অ্যালবাম ‘দ্য টরচার্ড পোয়েটস ডিপার্টমেন্ট’ প্রকাশিত হয়েছে। অ্যালবাম প্রকাশের আগেই রেকর্ড গড়া শুরু করেছিলেন তিনি। প্রকাশের এক সপ্তাহের ব্যবধানে নিজেকে নিজে ছাড়িয়ে গেছেন এই তারকা।
বিলবোর্ডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘দ্য টরচার্ড পোয়েটস ডিপার্টমেন্ট’ অ্যালবাম প্রকাশের দুই সপ্তাহ আগে গত ২৮ মার্চ স্পটিফাইয়ের কাউন্টডাউন চালু করেছিল। সেখানে হুমড়ি খেয়ে পড়েছিলেন সুইফটের অনুরাগীরা। অ্যালবামটি প্রকাশের পরপরই স্পটিফাইয়ে ঝড় উঠেছে। প্রকাশের প্রথম দিনে ব্যবধানে অ্যালবামটি স্পটিফাইয়ের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৩০ কোটিবার শোনা হয়েছে।
এর আগে এই রেকর্ড বিয়োন্সের দখলে ছিল। এই গায়িকার ‘কাউবয় কার্টার’ অ্যালবামটি পুরো সপ্তাহ মিলিয়ে ৩০ কোটি ৪১ লাখবার শোনা হয়েছিল। সপ্তাহের হিসেবে বিয়োন্সেকে অনেক দূরে ফেলে যাবেন সুইফট; তা বলাই বাহুল্য।
অ্যালবারের ‘ফোর্টনাইট’ গানটি আলাদা রেকর্ড গড়েছে। স্পটিফাইয়ের ইতিহাসে এক দিনে সবচেয়ে বেশি শোনা হয়েছে গানটি।
অ্যাপল মিউজিকে সর্বকালের রেকর্ড ভেঙেছে অ্যালবামটি। অ্যাপল মিউজিক জানিয়েছে, অ্যাপল মিউজিকে এক দিনে সবচেয়ে বেশি বার শোনা হয়েছে অ্যালবামটি।
ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের বাইরে সুইফটের অ্যালবাম কিনতেও হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন শ্রোতারা। প্রথম সপ্তাহ ফুরানোর আগে ১৫ লাখ অ্যালবাম বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে ৭ লাখ ভিনাইল রেকর্ড। এই সময়ে এক সপ্তাহে এতটা ভিনাইল রেকর্ড বিক্রি খুব একটা দেখা যায় না।
১৯ এপ্রিল মুক্তি পেয়েছে ‘দ্য টর্চার্ড পোয়েটস ডিপার্টমেন্ট’ অ্যালবামটি। এতে রয়েছে ‘ফোর্টনাইট’, ‘টিটিটিপিডি’, ‘ডাউন ব্যাড’, ‘সো লং, লন্ডন’, ‘মাই বয় অনলি ব্রেকস হিজ ফেভারেট টয়’, ‘বাট ড্যাডি আই লাভ হিম’, ‘ফ্লোরিডা’, ‘আই ক্যান ডু ইট উইথ অ্যা ব্রোকেন হার্ট,’ ‘হু ইজ অ্যাফ্রেড অব লিটল ওল্ড মি?’, ‘ফ্রেশ আউট দ্য স্লামার’, ‘গিলটি অ্যাজ সিন?’, ‘আই ক্যান ফিক্স হিম (নো রিয়েলি আই ক্যান)’, ‘দ্য অ্যালকেমি’র সহ মোট ৩১টি গান।
অ্যালবামের প্রথম ১৬টি গান উন্মুক্ত করা হয় যুক্তরাজ্যের স্থানীয় সময় ভোর ৫টার দিকে। ঠিক কয়েক ঘণ্টা পরই আসে বাকি ১৫টি ট্র্যাক।
যা নিয়ে শিল্পীদের আক্রমণের সূত্রপাত, জানালেন সেই সাংবাদিক
বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
বিনোদন
খল অভিনেতা শিবা শানু ও নায়ক জয় চৌধুরীর নেতৃত্বে সাংবাদিকদের ব্যাপক মারধর করেছে জুনিয়র শিল্পীরা। এ ঘটনায় ৯-১০ জন সাংবাদিক আহত হয়েছে। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। আহত হয়েছেন খবরের কাগজের মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিক মিঠুন আল মামুন। কিন্তু কেন এই সাংবাদিক আক্রমণের ঘটনা?
এ বিষয়ে মিঠুন আল মামুন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমাকে নিয়ে মূলত ঘটনার সূত্রপাত। স্টার কিডদের প্রতি সবার আগ্রহ থাকে। তাই আমি চিত্রনায়িকা ময়ূরীর মেয়ের সঙ্গে কথা বলছিলাম যে তিনি ইন্টারভিউ দেবেন কি না। তখন ময়ূরীর মেয়ে আমাকে জিজ্ঞেস করেন, কী প্রশ্ন? আমি তখন বলছিলাম, আপনি আপনার মায়ের অভিনীত সিনেমা দেখেছেন কি না? এফডিসিতে আসা-যাওয়া আছে, আপনিও সিনেমায় আসবেন কি না? এ সময় শিবা শানু এসে আমাকে ধাক্কা দেওয়া শুরু করে। তখন আমার হাতে ক্যামেরার ট্রাইপড ছিল। আমার ক্যামেরা পারসনও আশেপাশে ছিল না। আমি শিবা শানুকে পরিচয় দেই, তিনি শোনেননি, ধাক্কাতে শুরু করেন। এই ঘটনার পর সাংবাদিকরা একত্রিত হয়ে এগিয়ে আসেন। প্রতিবাদ করতে থাকেন। তখন সদ্য নির্বাচিত সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরী ক্ষিপ্ত হয়ে সাংবাদিকদের ওপর আক্রমণ করার নির্দেশ দেন। ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজ থেকে এমনটাই দেখা গেছে।’
সাংবাদিক মিঠুন আরও বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখছি, আমি নাকি ময়ূরীর আইটেম গান নিয়ে তার মেয়েকে প্রশ্ন করেছি। কেউ কেউ ছড়িয়েছে আমি নাকি মায়ের অশ্লীল সিনেমার কথাও বলেছি মেয়েকে। আমি তো ইন্টারভিউ নেওয়া শুরুই করিনি, তাহলে এসব প্রশ্ন করলাম কখন? আমি বরং ময়ুরীর মেয়ের কাছে জানতে চাইছিলাম, তিনি ইন্টারভিউ দেবেন কি না। আপনারা চাইলে শিল্পী সমিতির সিসি টিভির ফুটেজ দেখেন, স্পষ্ট দেখা যাবে।'
এ বিষয়ে ময়ূরী গণমাধ্যমকে বলছেন, আমার মেয়েকে কয়েকজন ইউটিউবার বিরক্ত করছিল। তারা বারবার জানতে চাইছিল মায়ের অশ্লীল সিনেমা দেখেছ কি না, আমার মেয়ে এসব বোঝে না। তাকে এসব প্রশ্ন করার অর্থ হয় না।
গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির শপথ অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়ান শিল্পীরা। একসময় ঘটে মারামারি এবং ধস্তাধস্তির ঘটনা। এতে আহত হন ১০জন। গুরুতর আঘাত নিয়ে একাধিক সাংবাদিককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এক সাংবাদিক কিডনিতে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন বলেও খবর এসেছে। এফডিসিতে নবনির্বাচিত শিল্পী সমিতির অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় এখন তোলপাড় মিডিয়াপাড়া।
এ ঘটনায় হতবাক সাংবাদিক, দর্শক, ভক্ত এবং শিল্পীরাও। নিন্দার ঝড় বইছে সামাজিক মাধ্যমে। সাধারণ মানুষ, সাংবাদিক, দর্শকদের পাশাপাশি বিষয়টিকে ন্যক্কারজনক বলছেন শোবিজ অঙ্গনের তারকারাও।
সাংবাদিকদের ওপর বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে এর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চেয়েছেন জনপ্রিয় চিত্রনায়ক রিয়াজ আহমেদও। গত মঙ্গলবার রাতেই নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে স্ট্যাটাসে দেন রিয়াজ। লিখেছেন, ‘প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা, একজন চলচ্চিত্রশিল্পী হিসেবে আজকে আমি লজ্জিত ও আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আমি আপনাদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’
পাশাপাশি এ নিয়ে গণমাধ্যমেও কথা বলেছেন নায়ক। এ ঘটনা নিয়ে যারপরনাই ক্ষুব্ধ রিয়াজ। বলেছেন, ‘এফডিসিতে যে ঘটনা ঘটেছে, তা কোনোভাবেই প্রত্যাশিত নয়। যদিও এ ঘটনার সময় আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম না। সোশ্যাল মিডিয়া ও বিভিন্ন অনলাইন গণমাধ্যম সূত্রে এ ঘটনা সম্পর্কে জেনেছি।’
দুঃখ প্রকাশ করে রিয়াজ বলেন, ‘সাংবাদিক ভাইয়েরা আমাদের কাজের সঙ্গে দর্শকদের সেতুবন্ধ বা মেলবন্ধন তৈরি করে দেন। সেই সাংবাদিক ভাইদের এমন নির্মমভাবে এফডিসির অভ্যন্তরে পেটানো হয়েছে, এটা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক একটি ঘটনা। সোশ্যাল মিডিয়ায় এ ঘটনার যেসব ছবি ও ভিডিও দেখেছি, তাতে আমার খুবই খারাপ লেগেছে। এমনটা আসলে হতে পারে না। চলচ্চিত্রশিল্পী ও সন্ত্রাসীর মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। চলচ্চিত্রশিল্পীরা সন্ত্রাসীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারেন না।’
এই ন্যক্কারজনক ঘটনার বিচারের জন্য সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছেন এই নায়ক। তিনি বলেন, ‘আমি আহত সাংবাদিক ভাইবোনদের প্রতি ও তাঁদের পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা জানাচ্ছি। সবার সঙ্গে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই।’
সাংবাদিকদের ওপর আক্রমণের দ্রুত বিচারের অঙ্গীকার মিশা- ডিপজলের
বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
বিনোদন
গতকাল মঙ্গলবার শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত প্যানেলের শপথগ্রহণ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের ওপর শিল্পীরা আক্রমণ করে। এতে আহত হন ১০জন। গুরুতর আঘাত নিয়ে একাধিক সাংবাদিককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এক সাংবাদিক কিডনিতে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন বলেও খবর এসেছে।
এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি। এমনকি যত দ্রুত সম্ভব এ ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অঙ্গীকারও করেছে সংগঠনটি। সংগঠনের সভাপতি মিশা সওদাগরের পাঠানো লিখিত বক্তব্যে এমনটি জানানো হয়েছে।
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন ডিপজলের পক্ষ থেকে পাঠানো এই চিঠিতে জানানো হয়েছে, ‘আজ মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটায় বিএফডিসির বাগানে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সদ্য নির্বাচিত কমিটির বিজয় উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে আমাদের আমন্ত্রণে বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিক ভাইবোনেরা সংবাদ গ্রহণ করতে এসেছিলেন। তখন অনাহূত পরিস্থিতিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে শিল্পী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির কতিপয় নির্বাচিত সদস্য ও সাধারণ সদস্যদের হাতাহাতি হয়। আমরা জানতে পেরেছি, এ ঘটনায় বেশ কজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন, যা আমাদের ব্যথিত করেছে। আমরা এ ঘটনার জন্য সব গণমাধ্যমের সাংবাদিক ভাইবোনদের কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। পাশাপাশি যত দ্রুত সম্ভব এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে যাচ্ছি।’
মিশা ও ডিপজলের পাঠানো লিখিত বক্তব্যে এ–ও জানানো হয়, এরই মধ্যে শিল্পী সমিতির নেতা ও সাংবাদিক নেতাদের যৌথ আলোচনায় প্রযোজক আরশাদ আদনানকে প্রধান উপদেষ্টা করে ১১ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এখানে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে লিমন আহমেদ, রাহাত সাইফুল, আহমেদ তাওকীর, বুলবুল আহমেদ ও আবুল কালাম এবং শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে মিশা সওদাগর, ডি এ তায়েব, নানাশাহ, রুবেল ও রত্না রয়েছেন।
শিল্পী সমিতির নতুন নেতৃত্ব আশা করছে, আগের মতো ভবিষ্যতেও সাংবাদিকদের সঙ্গে তাদের সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি বজায় থাকবে।