অনিয়মে ‘ন ডরাই’ মুক্তি, সিদ্ধান্ত মাস শেষে
নিয়ম না মেনে গেল ২৯ নভেম্বর দেশের ৮টি সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছে ‘স্টার সিনেপ্লেক্স’ প্রযোজিত প্রথম সিনেমা ‘ন ডরাই’। উৎসব ছাড়া একই সপ্তাহে দুটির বেশি সিনেমা মুক্তি পাবে না এই নিয়ম না মেনে গত সপ্তাহেই মুক্তি পায় সিনেমাটি। যার ফলে দেশের সিনেমা হলে গেল সপ্তাহে ৩টি সিনেমা মুক্তি পায়।
আর এই নিয়ম না মানায় গেল ৩০ নভেম্বর সিনেমাটির প্রযোজকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতি। সম্প্রতি সেই নোটিশের উত্তর দিয়েছেন সিনেমাটির প্রযোজক মাহবুব রহমান। সেই নোটিশের উত্তর তিনি জানিয়েছেন,আমি প্রযোজক সমিতির একেবারেই নতুন সদস্য। অনেক কিছুই জানা ছিল না। এটা অনাকাঙ্ক্ষিত ভুল। আমরা প্রযোজক সমিতির কাছে সুন্দর সমাধান চাইছি। আমরা সবার সঙ্গে থেকেই চলচ্চিত্র নিয়ে কাজ করতে চাই।
এদিকে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতি পক্ষে থেকে জানানো হয়েছে, এই প্রসঙ্গে চলতি মাসের শেষে মিটিং করে সিদ্ধান্ত জানাবে তারা।
যদিও সিনেমাটি মুক্তির ১দিন আগে এই প্রসঙ্গে স্টার সিনেপ্লেক্সের সিনিয়র ম্যানেজার, মার্কেটিং ও মিডিয়া মেসবাহ উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেছিলেন, ‘আমরা এই জটিলতার ব্যাপারটি জানি। তাই আগামীকাল আমাদের ৩টি সিনেপ্লেক্স, যমুনা ব্লকবাস্টার, শ্যামলী সিনেমা হলে মুক্তি পাচ্ছে ‘ন ডরাই’। এছাড়া চট্রগ্রামের সিলভার স্ক্রিনে মুক্তির ব্যাপারে কথাবার্তা চলছে। তবে পরের সপ্তাহে অর্ধ শতাধিক সিনেমা হলে মুক্তি পাবে সিনেমাটি।’
সে সময় চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতি থেকে জানানো হয়েছিল, ২৯ নভেম্বর ‘পাসওয়ার্ড’ ও ‘ইন্দুবালা’র মুক্তি চূড়ান্ত। ‘ন ডরাই’ এখনো মুক্তির ব্যাপারে আবেদন করেনি সমিতিতে। যেহেতু প্রতি সপ্তাহে দেশের সিনেমা হলে মাত্র দুটি সিনেমা মুক্তির নিয়ম তাই শেষ মুহুর্তে আবেদন করলেও ‘ন ডরাই’ শুধুমাত্র সিনেপ্লেক্সে মুক্তি দিতে পারবে।
বৃহত্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের ভাষায় নির্মিত সিনেমাটি নারী সার্ফার নাসিমার জীবনের সত্যি ঘটনা অবলম্বনে তৈরি করা হয়েছে। এতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন সুনেরাহ বিনতে কামাল। তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন শরিফুল রাজ।
‘ন ডরাই’ সিনেমাটি প্রযোজনাও করেছে দেশের সর্বাধুনিক প্রেক্ষাগৃহ ‘স্টার সিনেপ্লেক্স’। এর ইংরেজি নাম ‘ডেয়ার টু সার্ফ’। চিত্রনাট্য লিখেছেন ভারতের ‘বুনোহাঁস’ ও ‘পিংক’ সিনেমার চিত্রনাট্যকার শ্যামল সেনগুপ্ত। পরিচালনা করেছে তানিম রহমান অংশু। সিনেমাটির দৃশ্য ধারণ হয়েছে কক্সবাজার ও সেন্টমার্টিনে।