জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্ত সুরকার, পরিচালক ও সংগীত শিল্পী আজাদ রহমান শনিবার বিকাল সাড়ে ৪টার কিছু সময় পর শ্যামলীর স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৭৬ বছর।
চলচ্চিত্রে সংগীত শিল্পী হিসেবে একবার, সংগীত পরিচালক হিসেবে দুইবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন আজাদ রহমান।
‘জন্ম আমার ধন্য হলো মা গো’, ‘ভালোবাসার মূল্য কত’, ‘ও চোখে চোখ পড়েছে যখনই’, ‘মনেরও রঙে রাঙাব’, ‘ডোরা কাটা দাগ দেখে বাঘ চেনা যায়’, ‘এক বুক জ্বালা নিয়ে বন্ধু তুমি’সহ বহু গানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে তার নাম।
দক্ষিণ ভারতের জনপ্রিয় অভিনেতা আল্লু অর্জুনের সর্বশেষ ফ্রাঞ্চাইজি পুষ্পা দর্শকদের মধ্যে সুপার ডুপার হিট। পুষ্পা সিনেমার বক্স অফিস কালেকশনে তা স্পষ্ট বোঝা গিয়েছিল, এমনকি এর দ্বিতীয় কিস্তি নিয়েও প্রথম ছবি দেখার পর থেকেই উত্তেজনা কাজ করছিল ভক্তদের মাঝে। তাই আল্লু অর্জুন এবং রেশমিকা মান্দানা অভিনীত পুষ্পার সিকুয়াল না বানিয়ে মেকার্সদের উপায় ছিল না।
সোমবার (১৭ জুন) ঘোষণা দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘পুষ্পা ২: দ্য রুল’ সিমেনাটির প্রকাশের তারিখ পেছানো হয়েছে। এই বছর ডিসেম্বরের ৬ তারিখ প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর আগে ভারতের স্বাধীনতা দিবসে সিনেমাটি প্রকাশ করার কথা ছিল। এখন ১৫ আগস্ট নয়, বরং ৬ ডিসেম্বর অবধি অপেক্ষা করতে হবে দর্শককে।
১ম কিস্তির ৩ বছর পর প্রকাশ পাচ্ছে পুষ্পা ২ সিনেমা। তবে কেন এর প্রকাশের তারিখ নিয়ে এত বিপত্তি- এই প্রশ্ন অধিকাংশ ভক্তের।
ভারতের স্বাধীনতা দিবসের আশেপাশে বেশ কয়েকটি সিনেমাই প্রকাশ পেতে চলেছে। দীপিকার ‘সিংহাম এগেইন’, শ্রদ্ধার ‘স্ত্রী: ২’ –এর মতো কয়েকটি সিনেমার সাথে লড়াই করতে হতো পুষ্পা টু-কে। এছাড়া, সিনেমার কিছু কাজ অবশিষ্ট আছে এমনও তথ্য রয়েছে গণমাধ্যমগুলোর কাছে।
ভারতীয় গণমাধ্যম থেকে জানা যায়, সিনেমার কিছুটা শ্যুটিং বাকি রয়েছে। কিছু দৃশ্যের রিশ্যুটও নিচ্ছেন পরিচালক সুকুমার। তাছাড়া এডিটর অ্যান্টনি রবেন নাকি এডিটিং কাজ শেষ না করেই সিনেমার কাজ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। এসব কারণেই সম্ভবত সিনেমার তারিখ পেছালো। তবে এসবই গুঞ্জন এবং ভক্তদের সন্দেহ, ঠিক কারণ এখনো জানা যায়নি।
শোবিজ তারকাদের সবকিছু নিয়েই দর্শকের আগ্রহ থাকে। কোরবানির ঈদের সময় তারা জানতে চান প্রিয় তারকারা কোথায় ঈদ কাটাবেন, কি পোশাক পরবেন, কি খাবেন কিংবা কোথায় ঘুরবেন ইত্যাদি বিষয়। জনপ্রিয় তারকার ঈদের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন মাসিদ রণ
সজল, অভিনেতা কোরবানির ঈদ মানে যতোটা না আনন্দ তার চেয়ে বেশি ত্যাগের। আমাদের ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ কিন্তু তাই শেখায়। আমারও সেই বিষয়টি মনে হয়। এজন্য কোরবানির ঈদে অনেক বেশি শপিং কিংবা এটা-ওটার চেয়ে আমি গুরুত্ব দিই নিয়ম মেনে পশু কোরবানি করা হলো কি না। এজন্য আমি গরু কেনা থেকে শুরু করে তার দেখভাল, এমনকি কোরবানি করার পর মাংস বণ্টন পর্যন্ত নিজের হাতে করি। নিজে পছন্দ করে কোরবানির গরু কেনার মধ্যে আলাদা অনুভূতি আছে। যার সঙ্গে কোনকিছুর তুলনা হয়।
ঈদের দিনটি শুরু করেছি গোসল করে মায়ের কাছ থেকে উপহার পাওয়া সাদা পাঞ্জাবী পাজামা পরে ঈদের নামাজ আদায়ের মাধ্যমে। তার আগে মায়ের হাতে রান্না করা সেমাই খাওয়া। এরপরই গরু কোরবানির ব্যাপার চলে আসে। ওসব সারতে সারতেই তো দুপুর গড়িয়ে গেল। এরপর আবার ফ্রেশ হয়ে লাঞ্চ শেষ করে বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে বেরোনো। এভাবেই অনেকগুলো বছর ধরে ঈদের দিন পার করে আসছি। শোবিজের বন্ধুদের বাড়িতেও যাওয়া হয় কখনো কখনো। এবারও মম, বিন্দুসহ আরও কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে ঈদের দিন দেখা হওয়ার কথা ছিল।
শোবিজ তারকাদের সবকিছু নিয়েই দর্শকের আগ্রহ থাকে। কোরবানির ঈদের সময় তারা জানতে চান প্রিয় তারকারা কোথায় ঈদ কাটাবেন, কি পোশাক পরবেন, কি খাবেন কিংবা কোথায় ঘুরবেন ইত্যাদি বিষয়। জনপ্রিয় তারকার ঈদের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন মাসিদ রণ
পারসা ইভানা, অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী কোরবানির ঈদটা এবার ঢাকাতেই কাটাচ্ছি। সর্বশেষ তিন বছর আম্মু কোরবানির সময় আমাদের সঙ্গে থাকেন না। এবার আমাদের সঙ্গে তিনি ঈদ করছেন না। ফলে আমাকে আর ছোট ভাইকে ঈদ কাটাতে হচ্ছে।
রান্না তো আমাকে করতেই হতো। গরুর কালা ভুনা রান্না করতে পারি। সেটা এবার করার ইচ্ছে ছিল। কিছু ডেজার্ট আইটেমও রান্না করেছি। এছাড়া দাওয়াত তো থাকেই। খালা আর ফুফুর বাড়িতে যেতেই হয় ঈদের সময়।
আর ঈদের দিন আমি সব সময় সালোয়ার কামিজই পরি। খুব আরাম লাগে। আমাকে দেখতে যেন স্নিগ্ধ লাগে, চোখে আরাম দেয় এমন কালারই বেছে নিই। তবে ডিজাইনটা অবশ্যই স্টাইলিশ হতে হবে। ঈদের জামা কেনার সময় শপিংয়ে গিয়ে দেখি এবার কোন ট্রেন্ড চলছে। সেসব বিবেচনা করেই ঈদের জামাটা চয়েস করেছি।
শোবিজ তারকাদের সবকিছু নিয়েই দর্শকের আগ্রহ থাকে। কোরবানির ঈদের সময় তারা জানতে চান প্রিয় তারকারা কোথায় ঈদ কাটাবেন, কি পোশাক পরবেন, কি খাবেন কিংবা কোথায় ঘুরবেন ইত্যাদি বিষয়। জনপ্রিয় তারকার ঈদের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন মাসিদ রণ
সিয়াম আহমেদ, চিত্রনায়ক ছোটবেলায় কোরবানির ঈদের কথা বলতে গেলে সবচেয়ে আগে মনে পড়ে বাবার সঙ্গে গরু কিনতে হাটে যাওয়ার কথা। বাবা অনেক দেখেশুনে গরু কিনতেন। গরু কেনার পর গরুর দড়ি ধরে বাসায় নিয়ে আসার আনন্দটা এখনো অনুভব করি।
গরু কিনে যখন বাবা টাকা পরিশোধ করতেন তখন ভাবতাম যদি আমি বাবাকে গরু কেনার টাকাটা দিতে পারতাম। সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। পয়সা উপার্জনের পর থেকে প্রতি ঈদে কোরবানির গরু কেনার জন্য বাবাকে আলাদা করে টাকা দিই। এই কাজটা করতে খুবই ভালো লাগে। কিন্তু ছোটবেলার ঈদের যে আনন্দ তার ছিটেফোঁটাও যেন এখন অনুভব হয় না। আমার সব দর্শক ভক্তদের জানাই ঈদের শুভেচ্ছা।