শেষ দেখাতেও ফেরদৌসকে সিনেমার প্রস্তাব দিয়েছেন বাসু চ্যাটার্জি
ঢাকার আকাশে বৃষ্টি ঝরেছে আজ। তবে এই বৃষ্টি হঠাৎ বৃষ্টি নয়। আকাশে মেঘ করা বেশ আয়োজনের এক বৃষ্টি। এই বৃষ্টিতে শরীর না ভিজলেও আজ পদ্মার ওপারের এক খবরে হঠাৎ মন ভিজেছে ‘হঠাৎ বৃষ্টি’ সিনেমার নায়ক ফেরদৌস আহমেদের।
পদ্মার ওপার থেকে সকালে খবর এসেছে, ‘হঠাৎ বৃষ্টি’ সিনেমার নির্মাতা বাসু চট্টোপাধ্যায় আর নেই। সেই থেকে মন খারাপ এই সিনেমার নায়ক ফেরদৌস আহমেদের।
ভারতের জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত পরিচালক বাসু চ্যাটার্জি তার দীর্ঘ ক্যারিয়ারে মোট ৪টি বাংলা সিনেমা নির্মাণ করেছেন; যার ৩টিতেই নায়ক চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ পেয়েছেন বাংলাদেশের ফেরদৌস আহমেদ। সেকারণে অন্য সবার চেয়ে হয়তো ফেরদৌসের শোকটা কিছুটা বেশি। সেই শোক সামলে ফেরদৌস বার্তা২৪.কমের কাছে স্মরণ করছেন বাসু চ্যাটার্জিকে।
ফেরদৌস জানিয়েছেন, বাসুদা জন্যই আমার আজকের ফেরদৌস হয়ে ওঠা। আমার ক্যারিয়ারের হাতেখড়ি উনার কাছে। তখন আমি অভিনয়ের কিছুই জানতাম না। ডানে তাকাও, বামে তাকাও বলে বাসুদা আমাকে শিখিয়েছেন ক্যামেরার সামনে কীভাবে অভিনয় করতে হয়। আমাদের ২৩ বছরের সম্পর্কের মাঝে আজ দেয়াল উঠে গেলো। উনি আজীবন আমার মেন্টর, আমার গুরু, আমার পিতা ছিলেন এবং থাকবেন।
ফেরদৌস আরও বলেন, বাসুদা ‘হঠাৎ বৃষ্টি’ই আমাকে নায়ক ফেরদৌস তৈরি করেছে। উনার সঙ্গে সিনেমা না করা হলে আমি হয়তো অন্য পেশায় চলে যেতাম। তার সিনেমাতে অভিনয় করেই জীবনের মোড় ঘুরে গিয়েছে। ২০১৯ সালের প্রথম দিকে যখন শেষ দেখা হলো তখনও বাসুদা বলেছেন আমাকে নিয়ে সিনেমা নির্মাণ করবেন। চিত্রনাট্যের কাজ চলছে। তবে তার বয়সের কারণে তার পরিবারের মানায় সিনেমাটা করা হলো না আমার।
আরও পড়ুন: ‘স্বপ্নের দিনে’ চলে গেলেন পরিচালক বাসু চ্যাটার্জি