রামেকের হিমঘরে এন্ড্রু কিশোরের মরদেহ, আসছে না ঢাকায়
জন্মশহর রাজশাহী মহানগরীর মহিষবাথান এলাকায় বড় বোনের বাড়িতে সোমবার (৬ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টা ৫৫ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষবার দম নিয়েছেন ‘হায়রে মানুষ, রঙ্গীন ফানুস, দম ফুরাইলেই ঠুস’ গানের শিল্পী এন্ড্রু কিশোর।
তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে সংগীতাঙ্গনসহ শোবিজে।
এদিকে এন্ড্রু কিশোর একটি পারিবারিক সূত্র বার্তা২৪.কমকে জানিয়েছে, মৃত্যুর আগে এন্ড্রু কিশোর বলে গিয়েছেন তাকে যেনো মায়ের পাশেই যেন সমাহিত করা হয়। সেই ইচ্ছাতেই মায়ের পাশেই তাকে সমাহিত করা হবে। তবে কখন এটা এখনো ঠিক করা হয়নি। তার ছেলে ও মেয়ে বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় রয়েছেন। তারা সেখান থেকে দেশে ফেরার চেষ্টা করছেন। ছেলে-মেয়ে দেশে ফিরলেই শেষকৃত্যের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই পারিবারিক সূত্র আরও জানিয়েছে, এন্ড্রু কিশোরের মরদেহ রাতেই রাজশাহী মেডিকেল কলেজের হিমঘরে রাখা হবে। শেষকৃত্যের আগ পর্যন্ত সেখানেই থাকবে তার মরদেহ। দীর্ঘদিন ঢাকার মিরপুরে বসবাস করলেও তার মরদেহ ঢাকাই নিয়ে যাওয়া হবে না বলে নিশ্চিত করেছে সূত্রটি।
১৯৫৫ সালের ৪ নভেম্বর জন্ম নেওয়া এন্ড্রু কিশোরকে বলা হয় ‘প্লেব্যাক সম্রাট’। ১৯৭৭ সালে মেইল ট্রেন চলচ্চিত্রের ‘অচিনপুরের রাজকুমারী নেই যে তাঁর কেউ’ গানের মাধ্যমে তাঁর প্লেব্যাক যাত্রা শুরু। যদিও ১৯৭৯ সালে মুক্তি পাওয়া প্রতীজ্ঞা সিনেমার ‘এক চোর যায় চলে’ গানের মাধ্যমে প্রথম জনপ্রিয়তা লাভ করেন এন্ড্রু কিশোর।
এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। বাংলা চলচ্চিত্রে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে প্লেব্যাক করে। গেয়েছেন জীবনের গল্প আছে বাকি অল্প, হায়রে মানুষ রঙের ফানুস, ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে, আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি, আমার বুকের মধ্যে খানে, আমার বাবার মুখে প্রথম যেদিন শুনেছিলাম গান, ভেঙেছে পিঞ্জর মেলেছে ডানা, সবাই তো ভালোবাসা চায় মত অসংখ্য জনপ্রিয় গান। বাংলা চলচ্চিত্রের গানে অবদানের জন্য তিনি আটবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেছেন।