বাংলাদেশকে নিয়ে নেতিবাচক ধারণার দিন শেষ



উইলিয়াম পেসেক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • Font increase
  • Font Decrease

***চারটি উপায়ে মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হতে পারে সম্ভাবনাময় দেশটি

অন্য সব উন্নয়নশীল দেশ যখন কোভিড-১৯ এ ধুঁকছে, বাংলাদেশ সেখানে বেশ ব্যতিক্রম। এই যেমন, গত মে মাসে দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনীতি অচল হয়ে যাবে বলে ভাবা হচ্ছিল খুব সঙ্গত কারণেই। এ অঞ্চলের ঘনবসতিপূর্ণ শহর, সেকেলে স্বাস্থ্যসুরক্ষা পদ্ধতি আর মহামারীর জন্য অপ্রস্তুত সরকার ব্যবস্থা – সব মিলিয়ে মহাবিপর্যয় যে হবে তা সবাই ধরেই নিচ্ছিলো।

কিন্তু অবাক করে দিলো বাংলাদেশ। সাড়ে ১৬ কোটি মানুষের দেশে এখনো পর্যন্ত ৬৩০০ জন মারা গেছেন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে। তবুও সেটা কিন্তু আমার শহর নিউ ইয়র্কের কুইন্স এর চেয়ে ১০০০ কম। শুধু তাই না, এ বছর আশা করা হচ্ছে যে অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি হবে ৪ শতাংশের বেশি যা পার্শ্ববর্তী বৃহৎ বাণিজ্য শক্তি ভারতের প্রবৃদ্ধির সঙ্গেও তুলনায় আসছে।

অক্টোবরে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল এর পরিসংখ্যানে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ছিলো ভারতের চেয়ে বেশি

গত মাসে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল এর পরিসংখ্যানে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ছিলো ভারতের চেয়ে বেশি। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যেখানে ব্যর্থ, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেখানে ততটাই সফল। বিগত ১১ বছরে এতোটা উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় দেশকে নিয়ে এগিয়েছেন যে এখন আর হেনরি কিসিঞ্জারের মতো বাংলাদেশকে কেউ তলাবিহীন ঝুঁড়ি বলার সাহস করে না।

২০১৭ সাল থেকে আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চাপিয়ে দেয়া বিভিন্ন শুল্কের কারণে আসলে ভিয়েতনাম বা এরকম কিছু দেশ বাদে সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার এ দেশের তৈরি পোশাক খাতকে সমুন্নত রেখেছে। ফলে, এখানকার স্বল্প মজুরির অর্থনীতি হয়ে উঠেছে বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর আকর্ষণের জায়গা। যেমন, আমরা খেয়াল করলাম জাপানি জায়ান্ট ‘ফাস্ট রিটেইলিং’ এরএগিয়ে আসা। তাদের ব্র্যান্ড ‘ইউনিকলো’ হয়ে উঠলো বাংলাদেশে এক বড় বিনিয়োগকারী।

বাংলাদেশ সরকার এ দেশের তৈরি পোশাক খাতকে সমুন্নত রেখেছে

তবে এটি কেবল শুরু মাত্র। ভবিষ্যতে আরও সাবধানে এগোতে হবে সফলতা ধরে রাখার জন্য। কারণ, দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনীতি অনেক অনেক পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি এই অগ্রগতি ধরে রাখতে পারেন, দারিদ্র্য বিমোচন করতে পারেন, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর উন্নয়ন করেন, তাহলে আজকের মাত্র ১৯০০ ডলার থেকে মাথাপিছু আয় বেড়ে দাঁড়াবে অনেকগুণ।

বলা মুশকিল, কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় ধাপে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, ইন্ডিয়ার মতো দেশগুলোর অর্থনীতি আরো কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যদিও চীন ২ শতাংশের মতো বৃদ্ধি নিয়ে কিছুটা এগিয়ে যাচ্ছে, তাও আশানুরূপ নয়।

আমার দৃষ্টিতে ৪টি উপায় তুলে ধরছি যেগুলো অনুসরণ করলে বাংলাদেশ দ্রুত মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হতে পারবে এবং ইউনিকলো’র মত আরো বড় বড় প্রতিষ্ঠান এখানে ব্যবসা করতে আসবে।


(১) প্রথমে যেটি করতে হবে তা হলো “ইজ অব ডুইং বিজনেস” এর স্কোর উন্নত করা অর্থাৎ সহজে ব্যবসা করতে পারার সূচকে দেশের অবস্থানকে উপরে তুলতে হবে। কারণটা বোঝা কঠিন নয়। বিভিন্ন বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের সিইও’রা পর্যন্ত বলেছেন তাদের পছন্দের জায়গা ভিয়েতনাম। কারণ, সেখানে লাল ফিতার দৌরাত্ম্য নেই, এমনকি রেগুলেটররাও জটিল নীতিমালা এড়িয়ে সহজভাবে কাজ সম্পন্ন করতে সহায়তা করেন। এজন্যেই ভিয়েতনাম এখন বিশ্বব্যাংকের বিজনেস এনভায়রনমেন্ট টেবিল-এ ৭০ তম স্থানে রয়েছে যেখানে বাংলাদেশ ১৬৮ তম। ক্যামেরুন কিংবা মিয়ানমারের মতো দেশের অবস্থানে থেকে লাভ নেই, কারণ এভাবে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ১০ হাজার ডলারে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না।

বাংলাদেশের সর্বত্র বিস্তৃত ব্র্যাক ব্যাংকের চেয়ারম্যান আহসান মনসুর বলেছেন, ব্যবসার পরিবেশ উন্নত করার পাশাপাশি অবকাঠামোগত উন্নয়নও করতে হবে। এটি চ্যালেঞ্জিং কিন্তু স্বচ্ছতা, সততা আর দক্ষতার সাথে কাজ করলে সফলতা অবশ্যই আসবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

(২) আর্থিক ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে, ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদিও ভালো উদ্দেশে এ বছরের শুরুর দিকে নিম্নমুখী ব্যাংক সেক্টরকে চাঙ্গা করতে ৯% সুদেলোন চালু করেছিলেন কেনিয়ার উদাহরণ অনুসরণ করে, তা আদতে কোনো কাজে আসেনি। কারণ, আগে থেকেই ঋণখেলাপি সমস্যায় জর্জরিত ছিলো পুরো ব্যাংকিং সেক্টর।

জুন পর্যন্তন-পারফর্মিং লোন বা খেলাপি ঋণের সংখ্যা উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে যা ছিলো সমগ্র ঋণের ৯.২ শতাংশ। তবে সুখবর হলো-শেখ হাসিনার সরকার কর্পোরেট বন্ড মার্কেট তৈরিতে আন্তরিকভাবে চেষ্টা চালাচ্ছে। এটি হয়ে গেলে ব্যাংক অর্থায়নের উপর কোম্পানিগুলোর নির্ভরতা কমবে। তবে বাংলাদেশ যদি ভিয়েতনামের মতো অবস্থানে আসতে চায়, আরও দ্রুত এবং জরুরি ভিত্তিতে কাজটিকে এগিয়ে নিতে হবে।

মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বিকাশ

(৩) মানবসম্পদ উন্নয়নে বড় বিনিয়োগ করতে হবে। উপজাতি ও গোত্র সংঘাত যেখানে পাকিস্তান ও ভারতে উন্নয়নে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে সেখানে বাংলাদেশ মুসলিম প্রধান দেশ হয়েও তা থেকে মুক্ত থাকতে পেরেছে। এমনকি বাংলাদেশ ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম-এর লৈঙ্গিক সমতার সূচকে জাপানের চেয়ে ৭১ ধাপ এগিয়ে, ভিয়েতনাম এর চেয়ে ৩৭ ধাপ এবং ভারতের চেয়ে ৬২ ধাপ এগিয়ে।

যে কার্যাদেশগুলো চীন বা ভারতের হাতছাড়া হচ্ছে সেখানে বাংলাদেশের সুযোগ রয়েছে। এর জন্য শিক্ষা, প্রশিক্ষণ এবং উত্পাদনশীলতা বৃদ্ধিতে যথেষ্ট পরিমাণ ব্যয় করতে হবে। করোনাকালে ভিয়েতনাম দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ‘বিগ উইনার’ হয়ে ওঠার মূল কারণ হলো এটি অন্যান্য সফল এশীয় দেশগুলোর পথ অনুসরণ করেছে এবং শ্রমশক্তিকে আরও দক্ষ করে গড়ে তুলেছে। বাংলাদেশ যদিও আগের চেয়ে অনেক এগিয়ে চলেছে, মানবসম্পদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে বিনিয়োগ বাড়ালে উন্নয়নের গতি আরো বাড়বে।

(৪) অর্থনীতিকে ডিজিটালাইজ করতে হবে। গত ফেব্রুয়ারিতে, করোনাভাইরাস সবকিছু বদলে দেয়ার আগে, আমি প্রায় পাঁচ কোটি গ্রাহকের বিশ্বস্ত মোবাইল ব্যাংকিং সেবা বিকাশ-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও কামাল কাদীরের সাথে একদিন সময় কাটিয়েছিলাম। এতো বড় প্রতিষ্ঠানের অংশীদাররাও অনেক বড়, যেমন- বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন, বিশ্বব্যাংকের ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স কর্পোরেশন এবং জ্যাক মা'র অ্যান্ট গ্রুপ।


 বিকাশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীর

কামাল কাদীর এবং তার প্রতিষ্ঠান বিকাশকে যেমনটা অনুপ্রেরণাদায়ক জায়গায় দেখলাম তা যেন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটা অগ্রসরমান জাতির ডিজিটালাইজেশন উদ্যোগের ফসল। এই বিকাশ আর্থিক অন্তর্ভুক্তির বাইরে থাকা দেশের ৫০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যাকে দ্রুতই আর্থিক নেটওয়ার্কের ভেতরে নিয়ে আসছে। এ অগ্রযাত্রা যেন আভাস দিচ্ছে ভারতই শুধু দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একমাত্র পরাশক্তি নয়, সম্ভাবনা আছে অন্যদেরও।

(লেখক পরিচিতি:উইলিয়াম পেসেক প্রখ্যাত এবং একাধিক পুরষ্কারপ্রাপ্ত সাংবাদিকতিনি ব্যারন ব্লুমবার্গের কলামিস্ট ছিলেন এবং "জাপানাইজেশন: হোয়াট দ্য ওয়ার্ল্ড ক্যান লার্ন ফ্রম জাপান লস্ট ডেকেডস" বই এর লেখক নিক্কি এশিয়া-তে রিভিউ আর্টিকেল এবং অন্যান্য অনেক কাজের জন্যসোসাইটি অব পাবলিশার্স ইন এশিয়াতাকে ২০১৮ সালে পুরষ্কৃত করে)

লেখাটি সংবাদমাধ্যম নিক্কেই এশিয়া থেকে অনূদিত

   

মাঝরাতে আইসক্রিম, পিৎজা খাওয়া নিষিদ্ধ করল মিলান!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: স্কাই নিউজ

ছবি: স্কাই নিউজ

  • Font increase
  • Font Decrease

আইসক্রিম, পিৎজা অনেকের কাছেই ভীষণ পছন্দের খাবার। তবে ইউরোপসহ পশ্চিমা দেশগুলোতে মাঝরাতে এসব মুখরোচক খাবার ও পানীয় খাওয়ার প্রবণতা বেশি দেখা যায়। ইতালিতে জেলাটিনের তৈরি আইসক্রিম খুব বিখ্যাত। এজন্য ইতালিতে 'জেলাটো সংস্কৃতি' নামে একটা কালচার গড়ে উঠেছে। সম্প্রতি ইতালির মিলানের বাসিন্দাদের জন্য একটি নতুন আইন প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রতিবেদন- স্কাই নিউজ।

মিলানে বসবাসকারীদের অধিকাংশই মাঝরাতে রাস্তায় ঘোরাঘুরি করে আইসক্রিম, পিৎজা, ফাষ্টফুড জাতীয় খাবার ও পানীয় পান করে থাকে। এতে করে সেখানকার এলাকাবাসীদের রাতের ঘুম বিঘ্নিত হয়। নতুন প্রস্তাবিত আইনে শহরবাসীর রাতের ঘুম নির্বিঘ্ন করতে মধ্যরাতের পর পিৎজা ও পানীয়সহ সব ধরনের টেকওয়ে খাবার নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

তবে মধ্যরাতের পর আইসক্রিম নিষিদ্ধ করার চেষ্টা এবারই প্রথম নয়। ২০১৩ সালে, তৎকালীন মেয়র গিউলিয়ানো পিসাপিয়া অনুরূপ ব্যবস্থা বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু 'অকুপাই জেলাটো' আন্দোলনসহ তীব্র প্রতিক্রিয়ার পরে তিনি এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন।

এরপর আবারও মিলানে এ আইনটি প্রস্তাব করেছেন ডেপুটি মেয়র মার্কো গ্রানেল্লি। দেশটির ১২টি জেলা এই প্রস্তাবের আওতাভুক্ত হবে বলে জানিয়েছে মিলান কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে মিলানের মেয়র গ্রানেল্লি বলেন, 'আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে সামাজিকতা ও বিনোদন এবং বাসিন্দাদের শান্তি ও প্রশান্তির মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা।

প্রস্তাবটি নিম্নলিখিত এলাকাগুলোতে প্রযোজ্য হবে বলে জানিয়েছে মিলান কর্তৃপক্ষ: নোলো, লাজারেটো, মেলজো, ইসোলা, সারপি, ভায়া সিজারিয়ানো, আরকো ডেলা পেস, কোমো-গাইআউলেন্টি, পোর্টা গ্যারিবল্ডি, ব্রেরা, টিসিনিজ এবং দারসেনা-নাভিগলি।

জানা যায়, প্রস্তাবটি মে মাসের মাঝামাঝি থেকে কার্যকর থাকবে এবং নভেম্বর পর্যন্ত চলবে। এটি প্রতিদিন রাত ১২.৩০ টায় এবং সাপ্তাহিক ছুটির দিন এবং সরকারী ছুটির দিনে রাত ১.৩০ টা থেকে প্রয়োগ করা হবে। তবে এ প্রস্তাবের বিরুদ্ধে নাগরিকদের মে মাসের শুরু পর্যন্ত আপিল করার এবং আইন পরিবর্তনের পরামর্শ দেওয়ার সময় রয়েছে।

 

 

 

;

অস্ট্রেলিয়ায় নিখোঁজ কুকুর ফিরলো যুক্তরাজ্যের মালিকের কাছে



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অস্ট্রেলিয়ায় ঘুরতে এসে নিখোঁজ হয় যুক্তরাজ্যের এক দম্পতির পালিত কুকুর। যুক্তরাজ্যে আসার ১৭ দিন পর মিলো নামের কুকুরটিকে ফিরে পেয়েছেন জেসন হোয়াটনাল নিক রোল্যান্ডস দম্পতি।

হোয়াটনাল এবং তার সঙ্গী নিক সম্প্রতি তাদের কুকুর মিলোকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া পরিদর্শনে যান। তারা যখন সোয়ানসিতে বাড়িতে যাচ্ছিলেন তখন মেলবোর্ন বিমানবন্দরে তার হ্যান্ডলার থেকে কুকুরটি পালিয়ে যায়।

সাড়ে পাঁচ বছর বয়সী কুকুরটিকে অবশেষে মেলবোর্নের শহরতলিতে ১৭ দিন পর খুঁজে পাওয়া যায়।


হোয়াটনাল স্কাই নিউজকে বলেন, ‘মিলোকে ফিরে পাওয়াটা খুবই আশ্চর্যজনক ছিল আমার জন্য। যখন আমি আমার প্রিয় মিলোর (কুকুর) সাথে পুনরায় মিলিত হয়েছিলাম, তখন আমি কান্নায় ভেঙে পড়েছিলাম। আমার কান্না দেখে অন্যরাও কেঁদেছিল। এটি সত্যিই আবেগপ্রবণ ছিল।

তিনি আরও বলেন, বিশ্বের অন্য প্রান্তে থেকে মিলোর কথা চিন্তা করে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলাম। আমরা জানতাম না মিলো কোথায় আছে। এটি বেশ হতাশাজনক ছিল আমাদের জন্য, কিছুটা আশা হারিয়ে ফেলেছিলাম। তাকে ফিরে পাবো ভাবিনি।

মিলোকে পাওয়ার জন্য সামাজিক মাধ্যমে জানিয়েছিলাম, তখন স্বেচ্ছাসেবকদের কাছ থেকে সাহায্য আসে, তারা মিলোর সন্ধান দেয়। মিলোকে আমাদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য তাদের ধন্যবাদ।

;

আমার হাতের পাখা যেন তাদের আরাম দিচ্ছে!



মৃত্যুঞ্জয় রায়, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: বার্তা২৪, তালপাতার পাখা বিক্রি করছে পাঁচ বছরের শিশু মাহমুদুল্লাহ

ছবি: বার্তা২৪, তালপাতার পাখা বিক্রি করছে পাঁচ বছরের শিশু মাহমুদুল্লাহ

  • Font increase
  • Font Decrease

আবু বক্কর (৬২)। বয়সের ভারে অসুস্থ হয়ে তিনি এখন পাকা বিক্রেতা। প্রচণ্ড তাপদাহে মানুষ যখন ঠান্ডা বাতাসের প্রশান্তি খুঁজছে, তখন তিনি গ্রামে গ্রামে গিয়ে তালপাতার পাখা বিক্রি করছেন।

আবু বক্কর বার্তা২৪.কমকে বলেন, স্ত্রীসহ ছয় মেয়ে নিয়ে আমার সংসার। তবে মেয়েদের বিয়ে দিতে পেরেছি। কিন্তু বয়সের ভারে ঠিকই আমরা একা থেকে গেলাম। শেষ বয়সে গ্রামে গ্রামে তালপাতা পাখা বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছি। শুধু সংসার না, এই টাকায় আমার পায়ের শিরার ব্যথার ওষুধও কিনতে হয়। একবেলা ওষুধ না খেলে চলতে পারি না।

এদিকে, পুরনো ব্যবসার ঋণের বোঝা আর অন্যদিকে অসুস্থ হয়ে ওষুধসহ সংসারের খরচ। শেষ বয়সে তালপাতার পাখাই আমার একমাত্র জীবনসঙ্গী বলেন আবু বক্কর।

তালপাতার পাখা বিক্রি করছেন আবু বক্কর, ছবি- বার্তা২৪.কম

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার কলাগাছি গ্রামের কবিগানের অনুষ্ঠানে সরেজমিন দেখা যায়, একপাশে তালপাতার পাখা বিক্রি করতে ব্যস্ত ছোট্ট পাঁচ বছরের শিশু মাহমুদুল্লাহ। এই গরমে যখন তার ঘরে থাকার কথা, তখন সে নানা-নানীর সঙ্গে এসে তালপাতার পাখা বিক্রি করছে। কবিগানে বসে থাকা সব শ্রোতার কাছে গিয়ে বলছে, পাখা লাগবে, পাখা! কথা বলতে চাইলেও এ পাশ ওপাশ দিয়ে চলে যাচ্ছে, ক্রেতার কাছে।

এক ফাঁকে তাকে কাছে পেয়ে জিজ্ঞাসা করা হয়, এই বয়সে পাখা বিক্রি করছো কেন! এ প্রশ্নের উত্তরে বার্তা২৪.কমকে মাহমুদুল্লাহ বলে, প্রচণ্ড গরমে স্কুল ছুটি। তাই, নানা-নানীর সঙ্গে চলে এসেছি মেলায় পাখা বিক্রি করতে। মানুষজন আমার কাছ থেকে যেন বেশি পাখা কেনে (ক্রয়), তাই আমি মেলায় তাদের সঙ্গে এসেছি।

অনেক উৎসাহের সঙ্গে সে বলে, গরমে আমার হাতের পাখায় যেন তাদের আরাম দিচ্ছে! মেলা হলে আমি সেখানে চলে যাই পাখা বিক্রি করতে। ঘোরাঘুরিও হয় আর টাকা ইনকামও হয়। টাকার জন্য বের হয়ে পড়েছি। আমরা পাখা বিক্রি করে পেট চালাই। নানা-নানী বুড়ো হয়ে গেছে। তাই, আমি সঙ্গে এসে তাদের কষ্টটাকে একটু ভাগাভাগি করে নিচ্ছি।

যেখানে প্রচণ্ড তাপে মানুষজন নাজেহাল, সেখানে ছোট্ট মাহমুদুল্লাহ ছুটে চলেছে এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে পাখা বিক্রি করতে। ছোট্ট শিশু হলেও গরম যেন তার কাছে কিছু না, পেটের তাগিদে!

আরেক পাখা বিক্রেতা তালা উপজেলার হরিণখোলা গ্রামের বাসিন্দা ভদ্রকান্ত সরকার (৭০)। ১২-১৪ বছর ধরে এই পেশায় আছেন তিনি।

চলছে তালপাতার পাখার বিকিকিনি, ছবি- বার্তা২৪.কম

শেষ বয়সে পাখা কেন বিক্রি করছেন এমন প্রশ্নের উত্তরে বার্তা২৪.কমকে ভদ্রকান্ত বলেন, চাল কিনে খেতে হয়। খুব কষ্টের সংসার! ছেলে-মেয়ে আছে। তারা তাদের মতো কাজ করে খায়। মা বাবার বয়স হয়ে গেলে ছেলে আর আমাদের থাকে না। আমরা বৃদ্ধ বয়সে কেমন আছি, সেটা জানার সুযোগ তাদের থাকে না। শেষজীবনটা এভাবে পাখা বিক্রি করে কাটিয়ে দেবো। কী আর করবো! কপালে যা আছে, শেষপর্যন্ত তাই হবে। কপালে ছিল, এমন বৃদ্ধ বয়সে গ্রামে গ্রামে পাখা বিক্রি করতে হবে!

;

৪ লাখ বছর আগে আদিম মানুষের যাত্রা শুরু



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত, নিউ সায়েন্টিস্ট থেকে

ছবি: সংগৃহীত, নিউ সায়েন্টিস্ট থেকে

  • Font increase
  • Font Decrease

৪ লাখ বছর আগে রাশিয়ার সাইবেরিয়া থেকে আদিম মানুষের যাত্রা শুরু হয়েছিল বলে নতুন এক গবেষণা থেকে জানা গেছে। এখান থেকে যাত্রা শুরু করে এই গোত্রের মানুষ পরে উত্তর আমেরিকায় পৌঁছে যায়।

নতুন এক গবেষণা জানাচ্ছে, সাইবেরিয়ায় নতুন একটি এলাকার সন্ধান পাওয়া গেছে, যেখানে ৪ লাখ ১৭ হাজার বছর আগে হোমিনিনস (Hominins) গোত্রের মানুষের উপস্থিতি ছিল। এই গোত্রের মানুষ ডিরিং ইউরিআখ এলাকায় বাস করতেন। সেখান থেকে তারা উত্তর আমেরিকায় পৌঁছে যায় বলে জানিয়েছেন চেক প্রজাতন্ত্রের এক গবেষক।

১৬ এপ্রিল চেক অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেসের গবেষক জন জেনসেন এক সংবাদ সম্মেলন করে নতুন এ তথ্য প্রকাশ করেন। গবেষণাবিষয়ক সংবাদ সাময়িকী নিউ সায়েন্সটিস্ট এ বিষয়ে একটি খবর প্রকাশ করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে জন জেনসেন বলেন, আমরা আগে যে ধারণা করতাম, তারও আগে থেকে হোমিনিনস গোত্রের মানুষ সাইবেরিয়ার ডিরিং ইউরিআখ এলাকায় বসবাস করতেন। ৪ লাখ ১৭ বছর আগে থেকেই তারা এই এলাকায় বসবাস করতে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাদের অবস্থান ছিল উত্তর অক্ষাংশে।

তিনি বলেন, আরেকটি আদিম গোত্রের মানুষের সন্ধান পাওয়া যায়, যারা আর্কটিক অঞ্চলে বাস করতেন। ৪৫ হাজার বছর আগে তাদের সন্ধান পাওয়া যায়নি।

 

;