এলিয়েন রয়েছে নতুন মতে, উদ্বেগ ছিল হকিংয়েরও



শুভ্রনীল সাগর, স্পেশালিস্ট রাইটার, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

২০২০ নানাভাবে আমাদের বিস্মিত-দুঃখিত করেই চলেছে! বছর শেষ হতে এখনও প্রায় দিন পনেরো বাকি। যাওয়ার আগে, শেষ পাতে দইয়েই মতো, এলিয়েন নিয়ে নতুন করে শোরগোল তুলে দিলেন ইসরায়েলের সাবেক স্পেস সিকিউরিটি প্রোগ্রামের প্রধান হাইম এশেদ। তার বক্তব্য, এলিয়েন রয়েছে এবং এমনকি ‘গ্যালাকটিক ফেডারেশেন’-এও যুক্ত রয়েছে তারা।

বর্তমানে অধ্যাপনার সঙ্গে যুক্ত হাইম বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল বহু বছর ধরেই এলিয়েন নিয়ে কাজ করে আসছে। এমনকি মঙ্গলগ্রহে মানুষ ও এলিয়েন প্রতিনিধিদের একটি আন্ডারগ্রাউন্ড বাঙ্কারও রয়েছে।

৮৭ বছর বয়সী এ অধ্যাপক ইসরায়েলের হিব্রু সংবাদপত্র ‘ইয়েডিয়ট আহারোনট’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, অজানা ওই উড়ন্ত বস্তুরা (সম্ভাব্য এলিয়েন) তাদের বলেছে, তারা যে এইখানে রয়েছে তা প্রকাশ না করতে। মানুষ এখনও এজন্য প্রস্তুত নয়। 

ইউএস প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও নাকি এলিয়েনদের বিষয়ে অবগত এবং প্রায় জনসম্মুখে প্রকাশও করে দিচ্ছিলেন কিন্তু গ্যালাকটিক ফেডারেশন তাকে আটকালে খবর বাইরে আসেনি। এই খবর প্রকাশ না করার মধ্য দিয়ে গ্যালাকটিক ফেডারেশন আসলে গণ হিস্টেরিয়া রুখতে চাচ্ছিল। কারণ, ফেডারেশন বিশ্বাস করে, মানবজাতির বিকশিত হয়ে এমন একটি জায়গায় পৌঁছানো দরকার যেখানে আমরা থাকবো.. মহাকাশ ও মহাকাশযান কী তা আরও ভালোভাবে বুঝবো, যোগ করেন তিনি।

এনবিসি নিউজ অবসরপ্রাপ্ত এই জেনারেলের উদ্ধৃতি দিয়ে জানাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এলিয়েনদের একটি চুক্তি হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী, তারা পৃথিবীতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাতে পারবে।

অধ্যাপক হাইমের কাছে প্রশ্ন ছিল, কেন তিনি এতোদিন পর বিশেষ করে ২০২০ সালের শেষের দিকেই এসব তথ্য জানাচ্ছেন?

এর উত্তরে তিনি বলেন, আমি এখন যা বলছি তা যদি আরও পাঁচ বছর আগে বলতাম তাহলে আমাকে হাসপাতালে যেতে হতো। আজ তারা ভিন্নভাবে কথা বলছে। আমার হারানোর কিছু নেই। আমি আমার ডিগ্রি ও অ্যাওয়ার্ডগুলো পেয়েছি। বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও আমি সম্মানিত।

গত বছর ট্রাম্প প্রশাসন তাদের সশস্ত্র বাহিনীর ষষ্ঠ বাহু ‘স্পেস ফোর্স’ উন্মুক্ত করেছে। এ নিয়ে ট্রাম্পের বক্তব্য ছিল, প্রতিরক্ষা ও ক্ষতি, দুই দিক দিয়েই মহাশূন্য হতে যাচ্ছে ভবিষ্যৎ।

স্পেস ফোর্স মহাশূন্যে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক এখতিয়ার দেখভাল করবে। ভূ-রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করতে যোগাযোগের ক্ষেত্রে তারা ব্যবহার করবে তাদের নিয়ন্ত্রাণাধীন স্যাটেলাইটগুলো।

এলিয়েন নিয়ে সতর্ক করেছিলেন স্টিফেন হকিংও

পৃথিবীতে মানুষের সংখ্যা যেভাবে বাড়ছে, এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির ব্যবহার। খ্যাতিমান জোতির্বিজ্ঞানী ও মহাকাশতত্ত্ববিদ স্টিফেন হকিংয়ের অনুমান ছিল, ২৬০০ সাল নাগাদ পৃথিবী পুরোপুরিই মানুষের জন্য বসবাসের অনুপোযোগী হয়ে উঠবে। এই অনুমানকে সামনে এনে ২০১৭ সালের ২০ জুন মাসে নরওয়ের একটি আর্টস অ্যান্ড সায়েন্স ফেস্টিভ্যালে তাকে প্রশ্ন করা হয়, আমাদের কি উচিত নয় পৃথিবীর গণ্ডি ছেড়ে মহাকাশেও মানুষের বসবাসের সম্ভাবনা খোঁজা? তার সরাসরি উত্তর ছিল, না।

পৃথিবী নানান দিক থেকে হুমকির মুখে। কাজেই আমার জন্য ইতিবাচক হওয়া কঠিন, হকিং বলেন।

এরও আগে থেকে তিনি এলিয়েনের ব্যাপারে সতর্ক করে আসছেন। তিনি বলেন, এলিয়েন সভ্যতার সন্ধান ও তাদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের ক্ষেত্রে মানুষের সাবধান হওয়া উচিত।

বুদ্ধিমান এলিয়েনরা হতে পারে প্রাণহরণকারী লুটেরা। সম্পদের খোঁজ ও তা লুটপাটে মহাজগতজুড়ে বিচরণ করছে। পৃথিবীর মতো গ্রহগুলো দখল করে তারা উপনিবেশ গড়ে তুলতে পারে বলে তার অনুমান।

কিউরিওসিটি স্ট্রিম নামে একটি ভিডিও স্ট্রিমিং সাইটের ডকুমেন্টারি ‘স্টিফেন হকিং’স ফেভারিট প্লেসেস’-এ তিনি এলিয়েন নিয়ে এসব উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

গ্লিজ৮৩২সি (Gliese 832c) নামক একটি গ্রহ এলিয়েনের সম্ভাব্য বাসস্থান হতে পারে অনুমান করে ডকুমেন্টারিতে তিনি বলেন, কোনো একদিন, এরকমই কোনো গ্রহ থেকে আমরা এলিয়েনদের কাছ থেকে সংকেত পেতে পারি।

কিন্তু আমাদের প্রতিউত্তর দেওয়ার ক্ষেত্রে সাবধান হওয়া উচিত। একটি অত্যাধুনিক সভ্যতার সাক্ষাৎ হবে অনেকটা আদি আমেরিকানদের কলম্বাসের মুখোমুখি হওয়ার মতো। সেটার পরিণতি ভালো হয়নি, যোগ করেন তিনি।       

হকিংয়ের এই উদ্বেগকে আবার অন্য জোতির্বিজ্ঞানীরা ‘অযৌক্তিক’ হিসেবে মত দিয়েছেন। তারা বলছেন, মানুষ ১৯০০ সালের পর থেকেই মহাকাশে বিচরণ করছে। গত ১শ বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রতিনিয়ত মানুষ রেডিও ও টিভি সিগন্যাল পাঠিয়ে যাচ্ছে। যদি সেরকম অত্যাধুনিক কোনো এলিয়েন সভ্যতা থেকেই থাকে তাহলে এতোদিন মহাশূন্যে মানুষের অস্তিত্ব অবশ্যই তারা টের পেতো। হকিংয়ের অনুমান ধরে নিলে, হয় তারা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করতো অথবা পৃথিবীকে বানাতো তাদের কলোনি।

মত থাকলে দ্বিমত অবশ্যই থাকবে। বিপুলা এই বিশ্ব-ব্রহ্মাণ্ডের আমরা কতটুকুই জানি! অনন্ত এ নক্ষত্রবীথির বিচারে পৃথিবী এতো এতোটাই ক্ষুদ্র যে পুরোটাই অপার রহস্যময় শূন্যতা। সেখানে ভিনগ্রহীরা যে নেই, একথা নিশ্চিত করে বলা যায় না। আবার বিজ্ঞান চলবে প্রমাণ সাপেক্ষে। দেখা যাক, কোন পক্ষ কাদের আগে খুঁজে বের করতে পারে!

   

মস্তিস্কেও ঢুকে যাচ্ছে প্লাস্টিক



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
মস্তিস্কেও ঢুকে যাচ্ছে প্লাস্টিক

মস্তিস্কেও ঢুকে যাচ্ছে প্লাস্টিক

  • Font increase
  • Font Decrease

বর্তমান পৃথিবী প্লাস্টিকময়। ছোট বড় থকে প্রায় সবরকম কাজে প্লাস্টিকের ব্যবহারের আধিক্য। তবে এই প্লাস্টিক অজৈব পদার্থে তৈরি হওয়ার কারণে সহজে পচনশীল নয়। বিভিন্ন স্থানে জমে থাকার কারণে এসব পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর।  শুধু পরিবেশ নয়, হার্ট, মগজ, সব জায়গাতেই নাকি ঢুকে রয়েছে প্লাস্টিক। সম্প্রতি এক গবেষণায় এমনটাই জানা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, হার্টের নানা রোগ, মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাঁধার পিছনেও এই প্লাস্টিকগুলির অবদান রয়েছে বলে জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।

সময়ের বিবর্তনে প্লাস্টিক বিভিন্ন আঘাতের কারণে ক্ষয় হয়ে ক্ষুদ্র আকার ধারণ করে। ৫ মিলিমিটারের চেয়ে ছোট আকারের প্লাস্টিককে মাইক্রোপ্লাস্টিক বলে। দিন দিন পরিবেশে মাইক্রোপ্লাস্টিকের পরিমাণ বেড়ে চলেছে। ইতোমধ্যে সমুদ্রে বিপুল পরিমাণে মাইক্রোপ্লাস্টিক দূষণ সৃষ্টি করেছে। পরিবেশের বিভিন্ন প্রাণী তাদের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তবে দিন দিন এই মাইক্রোপ্লাস্টিকের আধিপত্য বেড়েই চলেছে। এমনকি মানব শরীরেও মাইক্রোপ্লাস্টিকের অস্তিত্ব পাওয়া যাচ্ছে। এক গবেষণায় মস্তিস্কে মাইক্রোপ্লাস্টিক পাওয়া গেছে।

ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে নিউ ম্যাক্সিকোর এনভয়রনমেন্টাল হেলথ পারসপেক্টিভ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয় খাদ্য, পানি এমনকি বায়ুর মাধ্যমেও শরীরে প্রবেশ করে। এসব ক্ষুদ্র প্লাস্টিক কণা আমাদের স্নায়ুবিক নানান অনুভূতির উপরেও মাইক্রো প্লাস্টিক প্রভাব ফেলে।

রক্ত প্রবাহের কারণে তা শরীরের বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণ করে বেড়ায়। শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোতে তা জমা থেকে স্বাভাবিক কাজকর্মে বাধা প্রদান করে। বৃক্ক, লিভার, হৃদপিণ্ডের রক্তনালি ছাড়াও সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় মস্তিষ্ক। মাইক্রোপ্লাস্টিক এসব অঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলতে পারে। 

ডাক্তার ইয়াতিন সাগভেকার বলেন দৈনন্দিন নানা কাজের মধ্যেই শরীরে মাইক্রোপ্লাস্টিক প্রবেশ করে। তবে পারে তা ত্বক, প্রশ্বাসের বায়ু বা ইনজেশনের মাধ্যমে।     

তিনি আরও বলেন, শুধুমাত্র ২০ মাইক্রোমিটারের চেয়ে ছোট মাইক্রোপ্লাস্টিক শরীরে প্রবেশ করতে পারার কথা। এছাড়া ১০ মাইক্রোমিটার আকারের গুলো মস্তিষ্কের সুক্ষ্ম কোষের ঝিল্লির অতিক্রম করতে সক্ষম হওয়া উচিত।

প্লাস্টিক পরিবেশ্ম প্রানি এমনকি মানুষের জন্যও অনেক ক্ষতিকর। তাই সকলের উচিত যতটা সম্ভব প্লাস্টিক বর্জন করা। পাশাপাশি প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি জিনিসের ব্যবহার বাড়ানো।

;

খাবারের পর প্লেট ধোয়া কষ্ট? তাহলে এই কৌশল আপনার জন্য!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

খাওয়ার বিষয়ে সবাই পটু। কিন্তু খাওয়ার পর থালা বাসন ধোয়াকে অনেকেই কষ্টকর কাজ মনে করেন। তাই দেখা যায় খাওয়ার পর অপরিষ্কার অবস্থায়ই থেকে যায় থালা বাসনগুলো। এবার এই কষ্ট কমাতে এক অভিনব কৌশল বেছে নিয়েছেন এক ব্যক্তি।

সম্প্রতি এমন এক ভিডিও নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি। 

হর্ষ গোয়েনকা নামে ভারতের এক শিল্পপতি তাঁর এক্স হ্যন্ডেলে (সাবেক টুইটার) ভিডিওটি শেয়ার করেন। এতে দেখা যায়, থালাবাসন পরিষ্কারের কাজ এড়াতে এক ব্যক্তি মজার এক কৌশল নিয়েছেন। এতে দেখা যায়, এক ব্যক্তি খাবার রান্না করছেন। খাবার আগে তিনি প্লাস্টিক দিয়ে প্লেট, চামচ ও পানির গ্লাস মুড়িয়ে নিচ্ছেন।

শেয়ার করে তিনি মজাচ্ছলে লিখেছেন, "যখন আপনার থালা-বাসন ধোয়ার জন্য পর্যাপ্ত পানি থাকে না..."।

ভিডিওটি শেয়ার করার পর মুহূর্তেই সেটি ভাইরাল হয়ে যায়। ভিডিওটি অনেক বিনোদনের জন্ম দিয়েছে। যদিও কেউ কেউ প্লাস্টিকের মোড়ককে হাস্যকর মনে করেন এবং এর ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

এক্স ব্যবহারকারী একজন লিখেছেন, 'পানি সংরক্ষণ ও পুনর্ব্যবহার করা হল মন্ত্র হল এমন কৌশল! তবে প্লাস্টিকের ব্যবহার নতুন করে ভাবাচ্ছে।'

অন্য একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, 'আমি আমার হোস্টেলের দিনগুলিতে এটি করেছি। আমাদের পানি সরবরাহ ছিল না এবং বারবার ধোয়ার কষ্টে এমন কৌশল নিয়েছি।'

আরেক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘মনে হচ্ছে বেঙ্গালুরুতে পানি–সংকটের সমাধান হয়ে যাচ্ছে।’

;

জলদানব ‘লক নেস’কে খুঁজে পেতে নাসার প্রতি আহ্বান



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রহস্যময় জলদানব জলদানব ‘লক নেস’কে খুঁজে পেতে নাসার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে লক নেস সেন্টার। ২০২৩ সালের এই রহস্যময় প্রাণীর শব্দের উৎস ও একে খুঁজে পেতে হাইড্রোফোন ব্যবহার করা হয়েছিল।

স্যার এডওয়ার্ড মাউন্টেনের ৯০তম অভিযানের অংশ হিসেবে আগামী ৩০ মে থেকে ২ জুন পর্যন্ত এই ‘লক নেস মনস্টার’কে খুঁজে পেতে অনুসন্ধান চালানো হবে।

রহস্যময় এই ‘লক নেস মনস্টার’কে ১৯৩৪ সালে প্রথম দেখা যায়। এ পর্যন্ত ১ হাজার ১শ ৫৬ বার দেখা গেছে বলে লক নেস সেন্টার সূত্রে জানা গেছে।

এ বিষয়ে লক নেস সেন্টারের এমি টোড বলেছেন, আমরা আশা করছি, এই রহস্যময় জলদানবকে খুঁজে পেতে মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার গবেষকেরা আমাদের সহযোগিতা করবেন। তারা আমাদের জলদানবকে খুঁজে পেতে যথাযথ নির্দেশনা দেবেন এবং এ বিষয়ে সব কিছু জানাতে সাহায্য করবেন।

তিনি বলেন, আমাদের অভিযানের বিষয়ে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছি। আমরা আশা করছি, নাসার উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে আমরা জলদানব বিষয়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজে পাবো।

রহস্যময় জলদানব খুঁজে পেতে স্বেচ্ছাসেবকের ভূপৃষ্ঠ থেকে যেমন নজর রাখবেন, তেমনি পানির ভেতরে অভিযান চালানোর বিষয়ে তাদেরকে নির্দেশনা দেওয়া হবে। রহস্যময় জলদানবকে খুঁজে পেতে ১৯৭০ দশক ও ১৯৮০ দশকের যে সব তথ্যচিত্র লক নেসের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে, সেগুলো যাচাই করে দেখা হবে।

তারপর জলদানব সম্পর্কে স্বেচ্ছাসেবকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেবেন লক নেসের পরিচালক জন ম্যাকলেভারটি।

এ নিয়ে গবেষকদের নিয়ে একটি অনলাইন বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে। যারা রহস্যময় এই জলদানবকে সচক্ষে দেখেছেন, তারাও এ লাইভ বিতর্কে অংশ নেবেন।

নেস হৃদ

যে হ্রদে জলদানব অবস্থান করছে বলে জানা গেছে, অভিযানের অভিযাত্রী দল নৌকায় করে সেখানে যাবেন। এসময় তাদের সঙ্গে থাকবেন গভীর সমুদ্রে অনুসন্ধানকারী দলের ক্যাপ্টেন অ্যালিস্টার মাথিসন। তিনি লক নেস প্রজেক্টে একজন স্কিপার হিসেবে কাজ করছেন। তার সঙ্গে থাকবেন ম্যাকেন্না।

অনুসন্ধান কাজে ১৮ মিটার (৬০ ফুট) হাইড্রোফোন ব্যবহার করা হবে। এটি দিয়ে রহস্যময় শব্দের প্রতিধ্বনি রেকর্ড করা হবে।

দ্য লক নেস সেন্টার ড্রামনাড্রোচিট হোটেলে অবস্থিত। ৯০ বছর আগে অ্যালডি ম্যাককে প্রথম রিপোর্ট করেছিলেন যে তিনি একটি জলদানব দেখেছেন।

লক নেস সেন্টারের জেনারেল ম্যানেজার পল নিক্সন বলেছেন, ২০২৩ সালে নেসিকে খুঁজে পেতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ফ্রান্স, ইতালি, জাপানসহ আরো অনেক দেশ অনুসন্ধান কাজে অংশ নিয়েছিল। এটি ছিল বড় ধরনের একটি অভিযান।

তিনি বলেন, অনুসন্ধানের সময় যে অদ্ভুত শব্দ শোনা গিয়েছিল, সে শব্দের কোনো ব্যাখ্যা দাঁড় করানো যায়নি। তবে আমরা এবার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ যে, জলদানব লক নেসের রহস্য উন্মোচন করতে পারবো।

এ বিষয়ে আমরা সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করবো। এ রহস্যময় জলদানব লক নেস সম্পর্কে যাদের ধারণা আছে, তাদের সহযোগিতা নেওয়া হবে। পল নিক্সন আরো বলেন, এবার আমরা খুবই উচ্ছ্বসিত যে, জলদানবকে খুঁজে পেতে নতুন ধরনের যন্ত্রপাতি ব্যবহার করবো।

স্কটল্যান্ডের ইনভার্নেসের কাছে এক বিশাল হ্রদের নাম ‘নেস’। স্কটিশ গেলিক ভাষায় হ্রদকে লক (Loch) বলা হয়। আর উচ্চারণ করা হয় ‘লক’। গ্রেট ব্রিটেনের স্বাদুপানির সবচেয়ে একক বৃহত্তম উৎস এ হ্রদটির আয়তন ২২ বর্গ কিলোমিটার, গভীরতা ৮০০ ফুটেরও বেশি। এই হ্রদেই দেখা মিলেছিল সত্যিকারের জলদানব ‘লক নেসের’।

;

স্টেডিয়ামে খেলা দেখার জন্য অফিসে মিথ্যা বলা, শেষ রক্ষা হয়নি তার!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বহুল প্রত্যাশিত ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) শুরু হয়েছে ২২ মার্চ থেকে। বিশ্বের নামিদামী সব খেলোয়াড়ের উপস্থিতি থাকায় বিশ্বজুড়ে এই লীগের চাহিদা তুঙ্গে। তাই এর দর্শক সংখ্যাও কত হতে পারে সেটা সহজেই অনুমেয়। যাদের সুযোগ সামর্থ্য থাকে তারা স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখেন আর যাদের সুযোগ না থাকে তারা টেলভিশনের পর্দায়ই বিনোদন খোঁজেন।

সম্প্রতি, এই লীগের একটি ম্যাচ স্টেডিয়ামে দেখতে গিয়ে অদ্ভুত এক কাণ্ডের জন্ম দিয়েছেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরের নেহা নামে এক নারী ভক্ত। ওইদিন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ও লখৌন সুপার জায়ান্টসের মধ্যে ম্যাচ চলছিল। সেই খেলা মাঠে বসে দেখতে তিনি পারিবারিক সমস্যার কথা বলে আগেই অফিস থেকে বের হয়ে যান।

তারপর যথারীতি সে মাঠে বসে খেলা উপভোগ করছিল। কিন্তু বিপত্তি বাঁধে অন্য জায়গায়। খেলা চলার এক পর্যায়ে তাকে টিভি স্ক্রিনে দেখতে পায় তার অফিসের বস।

পরে এই ঘটনাটির একটি ভিডিও তিনি তার ইন্সটাগ্রাম একাউন্টে শেয়ার করেন। সেখানে তিনি পুরো বিষয়টি নিয়ে খোলাসা করেন।

ওই ভিডিওতে নেহা বলেন, অফিস থেকে পারিবারিক সমস্যার কথা বলে মাঠে এসে খেলা দেখেছি। আমি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর একজন ভক্ত। কিন্তু টিভি স্ক্রিনে আমার বস আমাকে দেখে ফেলে। পরে তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করেছেন আমি কোন দলের সমর্থক হিসেবে খেলা দেখছি। আমি বলেছি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।

এরপর বস বলেন, তাহলে আপনি নিশ্চয় গতকাল খুব অসন্তুষ্ট ছিলেন। ওরা ফিল্ডিংয়ে একটি ক্যাচ মিস করার সময় আপনাকে খুব উদ্বিগ্ন চেহারায় দেখেছি। ১৬.৩ ওভারে যখন কিপার ক্যাচ মিস করলো, তখন।

হাতেনাতে ধরা পড়ে যাওয়ার পর নেহা স্বীকার করে নেন, ওটা তিনিই ছিলেন। বলেন, হ্যাঁ, অনুজ রাওয়াত ক্যাচ মিস করেছিল।

এরপর নেহার বস বলেন, মাত্র কয়েক সেকেন্ডের জন্য ক্যামেরায় আপনাকে দেখিয়েছিল। আর তাতেই আমি চিনে ফেলেছি। তাহলে এটাই ছিল গতকাল দ্রুত বেরিয়ে যাওয়ার কারণ।

এরপর তিনি একটি হাসির ইমোজি দিয়ে কথপোকথন শেষ করেন।

ভিডিওটি শেয়ার করার পর রাতারাতি সেটি ভাইরাল হয়ে যায়।

পোস্টের নিচে অনেকেই নিজেদের অভিমত ব্যক্ত করেছেন।

একজন লিখেছেন, এটা ঠিক আছে। ম্যানেজারের উচিত কর্মচারীকে স্বাধীনতা প্রদান করা। যাতে সে সত্য বলতে পারে বা নিজের জীবনকে স্বাধীনভাবে উপভোগ করতে পারে।

আরেকজন লিখেছেন, আপনাকে এর জন্য চাকরি থেকে বরখাস্ত করা উচিত। একে তো আপনি অফিস থেকে মিথ্যা কথা বলে বের হয়েছে আবার নিজেদের ব্যক্তিগত কথা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেছেন।

;