করোনা ভ্যাকসিন কোনটি কতোটা কার্যকারী



শুভ্রনীল সাগর, স্পেশালিস্ট রাইটার, বার্তা২৪.কম
ছবি: Getty Images

ছবি: Getty Images

  • Font increase
  • Font Decrease

গেলো ডিসেম্বরের শেষদিকে, ৮৫ বছরের কলিন হর্সম্যান শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে ডনচেস্টার রয়েল ইনফার্মারি-তে ভর্তি হলেন। চিকিৎসকরা ভেবেছিলেন, এটি নিছক কিডনি সংক্রমণজনিত কোনো সমস্যা। খুব অল্প সময়ের মধ্যে তার কোভিড-১৯ ধরা পড়লো। সমস্যা গুরুতর হলে চিকিৎসকরা তাকে ভেন্টিলেটরে রাখেন। এর কয়েকদিন পরেই মারা যান তিনি।

একদিক দিয়ে দেখলে, মহামারীকালে হর্সম্যানের এই মৃত্যু তেমন উল্লেখযোগ্য নয়। সারা বিশ্বে যেখানে করোনায় মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষ মারা যাচ্ছে তখন এটি নিছকই একটি সংখ্যা। কিন্তু অন্য একটি জায়গায় হর্সম্যান খুবই বিশেষ ও গুরুত্বপূর্ণ একজন মানুষ। কীভাবে?

হর্সম্যানের ছেলের বরাতে ব্রিটিশ একটি সংবাদমাধ্যম বলছে, মৃত্যুর প্রায় তিন সপ্তাহ আগে তিনি ফাইজার-বায়োএনটেক (Pfizer-BioNTech) আবিষ্কৃত কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের প্রাথমিক ডোজ নিয়েছিলেন। সারাবিশ্বে তিনি ছিলেন ভ্যাকসিনের প্রাথমিক ডোজ পাওয়া অল্প সংখ্যক ব্যক্তিদের মধ্যে একজন। মৃত্যুর দুইদিন আগে তার ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ পাওয়ার কথা ছিল।

চিকিৎসকদের মতে, অধিকাংশ ভ্যাকসিন ঠিকঠাক কাজ করতে বুস্টার’র দরকার হয়। যেমন সারাবিশ্বে শিশুদের এমএমআর (measles, mumps and rubella) ভ্যাকসিন দেওয়া হয়, এই তিন প্রাণঘাতী সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা দিতে। প্রায় ৪০ শতাংশের মতো মানুষ যারা এর মাত্র একটি ডোজ নিয়েছে, তারা ওই তিন ভাইরাস থেকে পুরোপুরি সুরক্ষিত নয়। গবেষণা বলছে, বিশ্বে মাত্র চার শতাংশ মানুষ এমএমআর-এর দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছে।

বুস্টার ভ্যাকসিন কীভাবে কাজ করে

যখন শরীরের রোগ প্রতিরোধক ব্যবস্থা (ইমিউন সিস্টেম) প্রথম কোনো ভ্যাকসিনের মুখোমুখি হয়, তখন এটি দুটি গুরুত্বপূর্ণ ধরণের শ্বেত রক্ত কণিকাকে সক্রিয় করে। প্রথমটি প্লাজমা ‘বি সেল’, যা প্রাথমিকভাবে অ্যান্টিবডি তৈরিতে জোর দেয়। দুর্ভাগ্যবশত, এই বি সেল ক্ষণজীবী। তাই মানুষের শরীর অ্যান্টিবডিতে কার্যত সাঁতার কাটলেও দ্বিতীয় ডোজ না নিলে মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই দ্রুত হ্রাস পেতে থাকে।

শ্বেতরক্ত কণিকার দ্বিতীয়টি হলো, টি সেল। যা খুঁজে খুঁজে নির্দিষ্ট কোনো জীবাণু ধ্বংসের কাজ করে থাকে। এদের মধ্যে কিছু রয়েছে ‘মেমোরি টি সেল’, যারা কয়েক দশক ধরে শরীরে কাজ করে যেতে সক্ষম। শরীরভেদে এটি সারা জীবনও থাকতে পারে। কিন্তু ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ না নেওয়া অব্দি খুব বেশি মেমোরি টি সেল তৈরি হয় না। বুস্টার ডোজটি হলো অ্যান্টিজেনগুলোর সঙ্গে শরীরকে আবার পরিচিত করার একটি উপায়।

ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডন’র ইমিউনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড্যানি আল্টম্যান বলছেন, প্রথম ডোজটি নেওয়ার পরে আপনি জীবাণুগুলোকে কেবল একটি লাথি দিলেন। কাজেই জীবাণুগুলো পুরোপুরি ধরাশায়ী হয় না। এরপর বুস্টার তথা দ্বিতীয় ডোজটি নেওয়ার পর আপনার শরীরে উচ্চতর ফ্রিকোয়েন্সির মেমোরি টি সেল এবং পাশাপাশি অসংখ্যা বি সেল তৈরি হবে। এরা উচ্চ গুণমান সম্পন্ন অ্যান্টিবডি তৈরি করতে থাকবে।

কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের সিঙ্গেল ডোজ কতটা কার্যকারী ?

এই সময়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও কোটি টাকার প্রশ্ন এটি। বিশেষত ব্রিটিশ সরকার বর্তমানে অনুমোদিত সমস্ত কোভিড -১৯ ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজটি ৩/৪ থেকে ১২ সপ্তাহ পর্যন্ত স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

অন্যদিকে, রাশিয়া তাদের ‘স্পুটনিক লাইট’ নামের স্পুটনিক ভি ভ্যাকসিনের সিঙ্গেল ডোজ দিয়েই ট্রায়াল চালিয়ে যাচ্ছে। যা নিয়ে বিভিন্ন মহলে নানা প্রশ্ন উঠেছে। এখন দেখে নেওয়া যাক, অনুমোদিত সব ভ্যাকসিনগুলোর কে কতোটা কার‌্যকরী।

ফাইজার-বায়োএনটেক (Pfizer-BioNTech)

গেলো বছরের ডিসেম্বরে প্রকাশিত ফাইজারের তথ্য অনুযায়ী, তাদের ভ্যাকসিনটির প্রথম ডোজের পর কার্যকারী হার ৫২ শতাংশ। তাদের পরীক্ষার শেষ ধাপ তথা ফেজ থ্রি ট্রায়ালে ৩৬,৫২৩ জনের শরীরে দুটি ডোজ ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়, যারা করোনা সংক্রমিত ছিলেন না। পরবর্তীতে ১২১ জনের শরীরে কোভিড-১৯ উপসর্গ দেখা যায়।

তথ্য আরও বলছে, এই প্রাথমিক সুরক্ষাটি কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সতর্কতার মধ্য দিয়ে আসে। প্রথমত, ভ্যাকসিন কমপক্ষে ১২ দিন না হলে কাজ করা শুরু করে না। দ্বিতীয়ত, একটি ডোজ এখনও দুটির তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম প্রতিরক্ষামূলক। 

কিন্তু এমন খবরও অন্তর্জালজুড়ে ঘুরছে, প্রথম ডোজটিই প্রায় ৯০ শতাংশ কার্যকারী । দ্বিতীয় ডোজ না নিলেও চলবে! সেটি ফেলে দেওয়ার মতোও নয়, যখন যুক্তরাজ্যের জয়েন্ট কমিটি অন ভ্যাকসিনাজেশান অ্যান্ড ইমিউনিজেশন (জেসিভিআই) এই তথ্য দেয়। তারা ভ্যাকসিনের কার্যক্ষমতা ভিন্নভাবে হিসাব করেছেন। সংক্রমণের সংখ্যার সমস্ত ডেটা ব্যবহার করার পরিবর্তে তারা কেবল ১৫-২১ দিনের হিসাবের দিকে লক্ষ্য রাখেন।

প্রথম ডোজটি কাজ শুরু করতে যে ন্যূনতম ১২ দিন সময় নেয়, সেটিও তারা ধর্তব্যের মধ্যে রাখেননি। এই পদ্ধতি ব্যবহার করলে, ভ্যাকসিনের কার্যক্ষমতা লাফিয়ে ৮৯ শতাংশে চলে যায়। কিন্তু বিষয়টি এতো সহজে সিদ্ধান্তে আসার কোনো বিষয় নয়। শুধু দিনগুনে উপসর্গ দেখা ছাড়াও আরও প্রভাবশালী প্রভাবক রয়েছে যা ভ্যাকসিনের কার্যক্ষমতার সঙ্গে সরাসরি জড়িত বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

বিষয়টি আরেকটু সামনে নিলে অর্থাৎ দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার সাত দিনের মধ্যে (২১-২৮ দিন) হিসাব করলে, কার্যক্ষমতা দাঁড়ায় ৯২ শতাংশ। এক পক্ষের বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সময়টিতে দ্বিতীয় ডোজ ঠিকমতো কাজ করাই শুরু করে না।

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা (Oxford-AstraZeneca)

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে বিষয়গুলো একটু আলাদা। চলতি জানুয়ারিতে প্রকাশিত একটি প্রবন্ধে লেখকের দাবি, তাদের ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজটি ৬৪.১ শতাংশ সুরক্ষা দেয়। একইভাবে দুটি ডোজ দেয় ৭০.৪ শতাংশ সুরক্ষা।

এদিকে, এইসব অপ্রকাশিত তথ্যের উপর ভিত্তি করে ভ্যাকসিন কমিটির অনুমান, তিন সপ্তাহ থেকে প্রথম ইনজেকশন দেওয়ার পরে ৯-১২ সপ্তাহ পর্যন্ত ভ্যাকসিন প্রায় ৭০ শতাংশ গুরুতর রোগ প্রতিরোধ করে। কারণ, তিন ধাপের পরীক্ষায় প্রথম এবং দ্বিতীয় ডোজের মধ্যে ছয় ও বারো সপ্তাহের দুটি ব্যবধান রয়েছে। তবে এটি অন্তত নিশ্চিত করে বলা সম্ভব, বুস্টার ডোজের আগ পর্যন্ত প্রথম ডোজ কমপক্ষে কয়েক মাস সুরক্ষা দেবে।

মর্ডানা (Moderna)

ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশান (এফডিএ)-কে জমা দেওয়া মর্ডানা’র রিপোর্ট অনুযায়ী, তাদের ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ ৮০.২ শতাংশ এবং দুটি ডোজ ৯৫.৬ সুরক্ষা দেবে। তবে ৬৫ বছরের চেয়ে বেশি বয়সীদের জন্য এই হার ৮৬.৪ শতাংশ।

করোন্যাভ্যাক (CoronaVac)

করোনাভ্যাক বেইজিংভিত্তিক একটি বায়োফার্মাচিউটিক্যাল কোম্পানি ‘সিনোভ্যাক’র বানানো ভ্যাকসিন। এই ভ্যাকসিনটিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘অস্বাভাবিক’। কারণ, এটি বেশ কয়েকটি দেশে স্বতন্ত্রভাবে পরীক্ষা করার পর ভিন্ন ভিন্ন ফলাফল দিয়েছে।

সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) প্রথম করোনাভ্যাক সম্পর্কে মতামত দেয়। তাদের দাবি, এটি ৮৬ শতাংশ কার্যকারী । তুরস্কের গবেষকদের মতে, এটি ৯১.২৫ শতাংশ সুরক্ষিত। ৬৫.৩ শতাংশ কার্যকারী বলে মত ইন্দোনেশিয়ার বিজ্ঞানীদের। অন্যদিকে, ব্রাজিলের ‘বুটানট্যান ইনস্টিটিউট’ সম্প্রতি ঘোষণা দিয়েছে, এটি ৫০.৪ শতাংশ সুরক্ষা দেয়।

তবে তাদের কেউই প্রথম ডোজের কার্যকারিতা নিয়ে কোনো তথ্য দেয়নি। এসবই দ্বিতীয় ডোজ পরবর্তী পরিসংখ্যান।

স্পুটনিক ভি (Sputnik V)

আইকনিক সোভিয়েত যুগের প্রথম আর্টিফিশিয়াল স্যাটেলাইট ‘স্পুটনিক ১’ এর নামানুসারে রাশিয়া তাদের ভ্যাকসিনটির নাম দিয়েছে ‘স্পুটনিক ভি’। ১৯৫৭ সালের অক্টোবর মাসে পৃথিবীর কক্ষপথে স্পুটনিক ১ পাঠানো হলে তিন মাস পর ব্যাটারি শেষ হয়ে বিধ্বস্ত হয়। মস্কোতে অবস্থিত ‘গামালেয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব এপিডেমিওলজি অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজি’ স্পুটনিকের স্মরণে ভ্যাকসিনটির নামকরণ করেছে।

রাশিয়ার দাবি, দুই ডোজের পর তাদের ভ্যাকসিনটি ৯১.৪ শতাংশ কার্যকর। যদিও এ বিষয়ে কোনো প্রবন্ধ-নিবন্ধ তারা প্রকাশ করেনি।

ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ কি এড়ানো যেতে পারে?

এ বিষয়ে ইউনিভার্সিটি অব সারে’র ইমিউনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডেবোরাহ ডান-ওয়াল্টারসের মত, প্রি-ক্লিনিকাল ট্রায়ালগুলোতে দেখা গেছে, প্রথম ডোজের পর যথেষ্ট পরিমাণ ইমিউনিটি তৈরি হয়নি। দুটি ডোজের পর রক্তে বেশি পরিমাণ অ্যান্টিবডি ও টি সেল মিলেছে।

ফাইজার’র প্রধান নির্বাহী আলবার্ট বরুলা’র মতে, এটা হবে ‘বিরাট ভুল’ যদি কেউ দ্বিতীয় ডোজটি না নেয়। কারণ, দ্বিতীয় ডোজটি প্রায় দ্বিগুণ সুরক্ষা নিশ্চিত করে।

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা এবং স্পুটনিক ভি ভ্যাকসিন উভয়ই অ্যাডেনোভাইরাসগুলোর সংস্করণ সংশোধন নিয়ে কাজ করে। অ্যাডেনোভাইরাস এমন একটি গোষ্ঠী যা বিভিন্ন কোষের বিভিন্ন অংশে বিভক্ত হতে পারে এবং শ্বাসকষ্টের সংক্রমণের মতো বিভিন্ন রোগের কারণ হতে পারে। অক্সফোর্ড সংস্করণে শিম্পাঞ্জি থেকে একটি অ্যাডেনোভাইরাস ব্যবহার করা হয়েছে এবং রাশিয়ার সংস্করণে রয়েছে দুটি মানব প্রকারের মিশ্রণ।

যদিও অ্যাডেনোভাইরাসগুলো বছরের পর বছর ধরে ক্যান্সার ভ্যাকসিন এবং জিন থেরাপিতে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তবে ভাইরাসজনিত সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য এগুলো কেবল একবারই ব্যবহৃত হয়েছিল। এই পদ্ধতি ব্যবহার করে ২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রে একটি ইবোলা ভ্যাকসিন অনুমোদিত হয়।

অন্যদিকে, মর্ডানা ও ফাইজার-বায়োএনটেক’র ভ্যাকসিনগুলো যুক্তিযুক্তভাবে আরও অগ্রগামী। উভয়টিতে এমআরএনএ’র (mRNA) অগণিত ক্ষুদ্র অংশ রয়েছে, যা অ্যাডেনোভাইরাসভিত্তিক ভ্যাকসিনের মতো তবে কোভিড -১৯ এর পৃষ্ঠ থেকে স্পাইক প্রোটিনকে এনকোড করে। এগুলোই একমাত্র এমআরএনএ ভ্যাকসিন যা মানুষের ব্যবহারের জন্য অনুমোদিত হয়েছে।

করোনাভ্যাক সংস্করণে আবার এসবের পরিবর্তে নিষ্ক্রিয় করোনাভাইরাসের কণা রয়েছে। এই পদ্ধতিটি কম অস্বাভাবিক – ভ্যাকসিনে মৃত রোগজীবাণু ব্যবহারের ধারণাটি ১৯ শতকের শেষ দিক থেকে চালু হয়। তবে, এই পদ্ধতিতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কতদিন স্থায়ী হবে তা স্পষ্ট নয়। কারণ, এই ভাইরাস (কোভিড-১৯) পরিবারের কোনো সদস্যের মৃত কণা ব্যবহার করে ভ্যাকসিন আগে কখনও তৈরি হয়নি।

   

খাবারের পর প্লেট ধোয়া কষ্ট? তাহলে এই কৌশল আপনার জন্য!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

খাওয়ার বিষয়ে সবাই পটু। কিন্তু খাওয়ার পর থালা বাসন ধোয়াকে অনেকেই কষ্টকর কাজ মনে করেন। তাই দেখা যায় খাওয়ার পর অপরিষ্কার অবস্থায়ই থেকে যায় থালা বাসনগুলো। এবার এই কষ্ট কমাতে এক অভিনব কৌশল বেছে নিয়েছেন এক ব্যক্তি।

সম্প্রতি এমন এক ভিডিও নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি। 

হর্ষ গোয়েনকা নামে ভারতের এক শিল্পপতি তাঁর এক্স হ্যন্ডেলে (সাবেক টুইটার) ভিডিওটি শেয়ার করেন। এতে দেখা যায়, থালাবাসন পরিষ্কারের কাজ এড়াতে এক ব্যক্তি মজার এক কৌশল নিয়েছেন। এতে দেখা যায়, এক ব্যক্তি খাবার রান্না করছেন। খাবার আগে তিনি প্লাস্টিক দিয়ে প্লেট, চামচ ও পানির গ্লাস মুড়িয়ে নিচ্ছেন।

শেয়ার করে তিনি মজাচ্ছলে লিখেছেন, "যখন আপনার থালা-বাসন ধোয়ার জন্য পর্যাপ্ত পানি থাকে না..."।

ভিডিওটি শেয়ার করার পর মুহূর্তেই সেটি ভাইরাল হয়ে যায়। ভিডিওটি অনেক বিনোদনের জন্ম দিয়েছে। যদিও কেউ কেউ প্লাস্টিকের মোড়ককে হাস্যকর মনে করেন এবং এর ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

এক্স ব্যবহারকারী একজন লিখেছেন, 'পানি সংরক্ষণ ও পুনর্ব্যবহার করা হল মন্ত্র হল এমন কৌশল! তবে প্লাস্টিকের ব্যবহার নতুন করে ভাবাচ্ছে।'

অন্য একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, 'আমি আমার হোস্টেলের দিনগুলিতে এটি করেছি। আমাদের পানি সরবরাহ ছিল না এবং বারবার ধোয়ার কষ্টে এমন কৌশল নিয়েছি।'

আরেক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘মনে হচ্ছে বেঙ্গালুরুতে পানি–সংকটের সমাধান হয়ে যাচ্ছে।’

;

জলদানব ‘লক নেস’কে খুঁজে পেতে নাসার প্রতি আহ্বান



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রহস্যময় জলদানব জলদানব ‘লক নেস’কে খুঁজে পেতে নাসার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে লক নেস সেন্টার। ২০২৩ সালের এই রহস্যময় প্রাণীর শব্দের উৎস ও একে খুঁজে পেতে হাইড্রোফোন ব্যবহার করা হয়েছিল।

স্যার এডওয়ার্ড মাউন্টেনের ৯০তম অভিযানের অংশ হিসেবে আগামী ৩০ মে থেকে ২ জুন পর্যন্ত এই ‘লক নেস মনস্টার’কে খুঁজে পেতে অনুসন্ধান চালানো হবে।

রহস্যময় এই ‘লক নেস মনস্টার’কে ১৯৩৪ সালে প্রথম দেখা যায়। এ পর্যন্ত ১ হাজার ১শ ৫৬ বার দেখা গেছে বলে লক নেস সেন্টার সূত্রে জানা গেছে।

এ বিষয়ে লক নেস সেন্টারের এমি টোড বলেছেন, আমরা আশা করছি, এই রহস্যময় জলদানবকে খুঁজে পেতে মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার গবেষকেরা আমাদের সহযোগিতা করবেন। তারা আমাদের জলদানবকে খুঁজে পেতে যথাযথ নির্দেশনা দেবেন এবং এ বিষয়ে সব কিছু জানাতে সাহায্য করবেন।

তিনি বলেন, আমাদের অভিযানের বিষয়ে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছি। আমরা আশা করছি, নাসার উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে আমরা জলদানব বিষয়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজে পাবো।

রহস্যময় জলদানব খুঁজে পেতে স্বেচ্ছাসেবকের ভূপৃষ্ঠ থেকে যেমন নজর রাখবেন, তেমনি পানির ভেতরে অভিযান চালানোর বিষয়ে তাদেরকে নির্দেশনা দেওয়া হবে। রহস্যময় জলদানবকে খুঁজে পেতে ১৯৭০ দশক ও ১৯৮০ দশকের যে সব তথ্যচিত্র লক নেসের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে, সেগুলো যাচাই করে দেখা হবে।

তারপর জলদানব সম্পর্কে স্বেচ্ছাসেবকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেবেন লক নেসের পরিচালক জন ম্যাকলেভারটি।

এ নিয়ে গবেষকদের নিয়ে একটি অনলাইন বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে। যারা রহস্যময় এই জলদানবকে সচক্ষে দেখেছেন, তারাও এ লাইভ বিতর্কে অংশ নেবেন।

নেস হৃদ

যে হ্রদে জলদানব অবস্থান করছে বলে জানা গেছে, অভিযানের অভিযাত্রী দল নৌকায় করে সেখানে যাবেন। এসময় তাদের সঙ্গে থাকবেন গভীর সমুদ্রে অনুসন্ধানকারী দলের ক্যাপ্টেন অ্যালিস্টার মাথিসন। তিনি লক নেস প্রজেক্টে একজন স্কিপার হিসেবে কাজ করছেন। তার সঙ্গে থাকবেন ম্যাকেন্না।

অনুসন্ধান কাজে ১৮ মিটার (৬০ ফুট) হাইড্রোফোন ব্যবহার করা হবে। এটি দিয়ে রহস্যময় শব্দের প্রতিধ্বনি রেকর্ড করা হবে।

দ্য লক নেস সেন্টার ড্রামনাড্রোচিট হোটেলে অবস্থিত। ৯০ বছর আগে অ্যালডি ম্যাককে প্রথম রিপোর্ট করেছিলেন যে তিনি একটি জলদানব দেখেছেন।

লক নেস সেন্টারের জেনারেল ম্যানেজার পল নিক্সন বলেছেন, ২০২৩ সালে নেসিকে খুঁজে পেতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ফ্রান্স, ইতালি, জাপানসহ আরো অনেক দেশ অনুসন্ধান কাজে অংশ নিয়েছিল। এটি ছিল বড় ধরনের একটি অভিযান।

তিনি বলেন, অনুসন্ধানের সময় যে অদ্ভুত শব্দ শোনা গিয়েছিল, সে শব্দের কোনো ব্যাখ্যা দাঁড় করানো যায়নি। তবে আমরা এবার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ যে, জলদানব লক নেসের রহস্য উন্মোচন করতে পারবো।

এ বিষয়ে আমরা সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করবো। এ রহস্যময় জলদানব লক নেস সম্পর্কে যাদের ধারণা আছে, তাদের সহযোগিতা নেওয়া হবে। পল নিক্সন আরো বলেন, এবার আমরা খুবই উচ্ছ্বসিত যে, জলদানবকে খুঁজে পেতে নতুন ধরনের যন্ত্রপাতি ব্যবহার করবো।

স্কটল্যান্ডের ইনভার্নেসের কাছে এক বিশাল হ্রদের নাম ‘নেস’। স্কটিশ গেলিক ভাষায় হ্রদকে লক (Loch) বলা হয়। আর উচ্চারণ করা হয় ‘লক’। গ্রেট ব্রিটেনের স্বাদুপানির সবচেয়ে একক বৃহত্তম উৎস এ হ্রদটির আয়তন ২২ বর্গ কিলোমিটার, গভীরতা ৮০০ ফুটেরও বেশি। এই হ্রদেই দেখা মিলেছিল সত্যিকারের জলদানব ‘লক নেসের’।

;

স্টেডিয়ামে খেলা দেখার জন্য অফিসে মিথ্যা বলা, শেষ রক্ষা হয়নি তার!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বহুল প্রত্যাশিত ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) শুরু হয়েছে ২২ মার্চ থেকে। বিশ্বের নামিদামী সব খেলোয়াড়ের উপস্থিতি থাকায় বিশ্বজুড়ে এই লীগের চাহিদা তুঙ্গে। তাই এর দর্শক সংখ্যাও কত হতে পারে সেটা সহজেই অনুমেয়। যাদের সুযোগ সামর্থ্য থাকে তারা স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখেন আর যাদের সুযোগ না থাকে তারা টেলভিশনের পর্দায়ই বিনোদন খোঁজেন।

সম্প্রতি, এই লীগের একটি ম্যাচ স্টেডিয়ামে দেখতে গিয়ে অদ্ভুত এক কাণ্ডের জন্ম দিয়েছেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরের নেহা নামে এক নারী ভক্ত। ওইদিন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ও লখৌন সুপার জায়ান্টসের মধ্যে ম্যাচ চলছিল। সেই খেলা মাঠে বসে দেখতে তিনি পারিবারিক সমস্যার কথা বলে আগেই অফিস থেকে বের হয়ে যান।

তারপর যথারীতি সে মাঠে বসে খেলা উপভোগ করছিল। কিন্তু বিপত্তি বাঁধে অন্য জায়গায়। খেলা চলার এক পর্যায়ে তাকে টিভি স্ক্রিনে দেখতে পায় তার অফিসের বস।

পরে এই ঘটনাটির একটি ভিডিও তিনি তার ইন্সটাগ্রাম একাউন্টে শেয়ার করেন। সেখানে তিনি পুরো বিষয়টি নিয়ে খোলাসা করেন।

ওই ভিডিওতে নেহা বলেন, অফিস থেকে পারিবারিক সমস্যার কথা বলে মাঠে এসে খেলা দেখেছি। আমি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর একজন ভক্ত। কিন্তু টিভি স্ক্রিনে আমার বস আমাকে দেখে ফেলে। পরে তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করেছেন আমি কোন দলের সমর্থক হিসেবে খেলা দেখছি। আমি বলেছি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।

এরপর বস বলেন, তাহলে আপনি নিশ্চয় গতকাল খুব অসন্তুষ্ট ছিলেন। ওরা ফিল্ডিংয়ে একটি ক্যাচ মিস করার সময় আপনাকে খুব উদ্বিগ্ন চেহারায় দেখেছি। ১৬.৩ ওভারে যখন কিপার ক্যাচ মিস করলো, তখন।

হাতেনাতে ধরা পড়ে যাওয়ার পর নেহা স্বীকার করে নেন, ওটা তিনিই ছিলেন। বলেন, হ্যাঁ, অনুজ রাওয়াত ক্যাচ মিস করেছিল।

এরপর নেহার বস বলেন, মাত্র কয়েক সেকেন্ডের জন্য ক্যামেরায় আপনাকে দেখিয়েছিল। আর তাতেই আমি চিনে ফেলেছি। তাহলে এটাই ছিল গতকাল দ্রুত বেরিয়ে যাওয়ার কারণ।

এরপর তিনি একটি হাসির ইমোজি দিয়ে কথপোকথন শেষ করেন।

ভিডিওটি শেয়ার করার পর রাতারাতি সেটি ভাইরাল হয়ে যায়।

পোস্টের নিচে অনেকেই নিজেদের অভিমত ব্যক্ত করেছেন।

একজন লিখেছেন, এটা ঠিক আছে। ম্যানেজারের উচিত কর্মচারীকে স্বাধীনতা প্রদান করা। যাতে সে সত্য বলতে পারে বা নিজের জীবনকে স্বাধীনভাবে উপভোগ করতে পারে।

আরেকজন লিখেছেন, আপনাকে এর জন্য চাকরি থেকে বরখাস্ত করা উচিত। একে তো আপনি অফিস থেকে মিথ্যা কথা বলে বের হয়েছে আবার নিজেদের ব্যক্তিগত কথা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেছেন।

;

নওগাঁয় কালের সাক্ষী কয়েক শ বছরের পুরোনো বটগাছ



শহিদুল ইসলাম, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নওগাঁ সদর উপজেলার বক্তারপুর ইউনিয়নের মুরাদপুর গ্রামে বট ও পাকুড় গাছের মেল বন্ধন প্রায় ৩০০ বছরের অধিক সময়ের। প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম কালের সাক্ষী হয়ে এখনো দাঁড়িয়ে আছে রহস্যময় এই বট গাছটি। প্রায় ৫ থেকে ৬ একর জমির ওপরে শাখা-প্রশাখা ছড়িয়ে দর্শনার্থীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে এই পুরাতন বটগাছটি।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বট ও পাকুর মিলে বিশাল জায়গাজুড়ে কাল্পনিক এক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়েছে। বট গাছের কাণ্ড থেকে কাণ্ড শাখা থেকে প্রশাখা মাটিয়ে লুটে পড়ে আরেক বটগাছের জন্ম দিয়েছে। কাণ্ডগুলো দেখলে বোঝার উপায় নেই যে এটির মূল শাখা কোনটি। লতা থেকে মাটিতে পড়ে সৃষ্টি হয়েছে আরেকটি বটগাছ এভাবে অনেকটা জায়গাজুড়ে এক অন্যরকম সৌন্দর্যে বিমোহিত হয়েছে স্থানটি। বটগাছের নিচে ও পাশে রয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কালি মন্দির যেখানে কয়েকদিন পর পর বিভিন্ন অনুষ্ঠান করেন তারা।

মুরাদপুর গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা গৌরাঙ্গ সাহা ( ৫০) এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, আসলে এই গাছটির সঠিক বয়স কত সেটি আমরা কেউ জানিনা। আমার বাবা-দাদা তারাও এখানে পূজা করতেন তবে তারা আমাদেকে সঠিক বয়স বলতে পারেনি। আমার দাদার মুখে শুনেছি উনার ছোটবেলাতে সেখানে গিয়ে খেলাধুলা করতেন সে সময় গাছটি ঠিক এমন-ই ছিল। তবে অনুমান করা যায়, এই গাছের বয়স প্রায় ৩০০ থেকে ৪০০ বছরের অধিক হতে পারে।

একই গ্রামের গৃহবধূ লাইলী বেগম ( ৫৫) বলেন, আমার বিয়ে হয়েছে প্রায় ৩০ বছর হলো আর তখন থেকেই এই গাছটি দেখে আসছি। বাড়ি কাছে হওয়ায় প্রতিদিন আশেপাশে আসতে হয় বিভিন্ন কাজে। মূল গাছটি আমরা অনেক খুঁজেছি কিন্তু পাইনি। একটা গাছ থেকে এতগুলো গাছের সৃষ্টি হয়েছে দেখতে ভালোই লাগে। তবে যদি এটি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করলে আরো কয়েকশ বছর টিকবে বলে মনে করি।

হালঘোষপাড়া থেকে আসা রায়হান নামের এক দর্শনার্থী বলেন, শুনেছিলাম এখানে অনেক পুরাতন বটগাছ আছে আজকে দেখতে আসলাম। চারিদিকে ছড়িয়ে গেছে এমন বটগাছ আমাদের এলাকায় নেই। দেখে খুব ভালো লাগছে এখন থেকে মাঝেমধ্যেই আসব।


কল্পনা রানী ( ৪৮) বলেন, আমার স্বামীর বাবার মুখ থেকে শুনেছি এটির বয়স প্রায় ৩০০ বছরের অধিক। কিছুদিন পর পর এখানে পূজা হয় বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ এসে পূজা দেয়। এমন সুন্দর বটগাছ আমি কোনোদিন দেখিনি।

বিমল সাহা নামের এক শিক্ষার্থী জানান, আমরা প্রতিদিন আমরা এখানে এসে ক্রিকেট খেলি। এতো পুরাতন একটি বটের গাছ দেখতে পেয়ে আমাদের খুব ভালো লাগে।

এ বিষয়ে নওগাঁ সরকারি কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এনায়েতুস সাকালাইন বার্তা২৪.কমকে বলেন, প্রাকৃতিকভাবে একেকটা উদ্ভিদের আয়ু একেক রকম হয়ে থাকে সেরকম বটগাছ দীর্ঘজীবি উদ্ভিদ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, কোনো কোনো জায়গায় ৫০০ বছর বা অধিক সময়ের বেশি বেঁচে থাকে। এই উদ্ভিদগুলোর অভিযোজন ক্ষমতা অনেক বেশি ও পরিবেশের সাথে এদের খাপখাইয়ে নেওয়ার ক্ষমতাও বেশি এবং যেকোনো প্রতিকূল পরিবেশে এরা মোকাবিলা করতে সক্ষম। বটগাছ গুলো বেশি পানি না পেলেও দীর্ঘদিন বেঁচে থাকে আবার খুব বেশি তাপমাত্রা বা তাপমাত্রা নিচে নেমে গেলেও এ ধরনের উদ্ভিদ সে সময় টিকে থাকতে পারে সেজন্য অনেক সময় বিল্ডিং বাড়ির দেয়ালেও এদের বিস্তার দেখা যায়।

তিনি আরও বলেন, বট গাছগুলোর একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য আছে সেটি হলো ওপরের দিকে একটু বেড়ে অনেকদিকে বিস্তার লাভ করে বেশ বড় জায়গা দখল করে তখন এই উদ্ভিদগুলোর ওপরের অংশের ভার বহন করার জন্য ঠেসমূল গঠন করে তারা। মূল কাণ্ড থেকে আস্তে আস্তে মাটিতে ঠেসমূল নেমে আসে তখন ধীরে ধীরে মোটা হতে থাকে। মূল যে কাণ্ডটা তার থেকে বয়সের সাথে সাথে আরো তৈরি হয় যাতে গাছের ভার বহন করতে সক্ষম হয় এবং এভাবে বিশাল জায়গাজুড়ে একে একে বিস্তার লাভ করে কাণ্ডগুলো। বটগাছে এ ধরনের কর্মকাণ্ড লক্ষ্য করা যায় কিন্তু পাকুড় জাতীয় গাছে কম লক্ষ্য করা যায়।

;