মহাউৎসবের স্মৃতি



আশরাফুল ইসলাম
নেতাজির ১২৫ বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে উচ্চ পর্যায়ের  ৮৫ সদস্যের কমিটি

নেতাজির ১২৫ বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে উচ্চ পর্যায়ের ৮৫ সদস্যের কমিটি

  • Font increase
  • Font Decrease

২০০০ সালের দিকে অনেকটা অপরিণত বয়সে প্রবীণ এক সাংবাদিক ও সংগঠকের সান্নিধ্যে গিয়ে প্রথম শুনেছিলাম নামটি।  কিন্তু কোথায় যেন এক গভীর ইন্দ্রজাল আচ্ছন্ন করে ফেলেছিল। ক্রমেই সেই নামের প্রতি মহাআসক্তি অন্বেষণে পরিণতি লাভ করে। তিনি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, অখণ্ড ভারতবর্ষের প্রকৃত মুক্তিদাতা। দেশপ্রেম, সাহসিকতা, আত্মত্যাগ আর বহুমাত্রিক বিরল প্রতিভার সম্মিলিত রূপে যে সুভাষচন্দ্রকে আবিষ্কার করেছিলাম, পরবর্তী সময়গুলোতে তাঁর চর্চা ও অন্বেষণ আরও ব্যাপকতা লাভ করে।

অচিরেই এই প্রতীতি জন্মে যে, সমকালীন যে সংকটের ঘুর্ণাবর্তে আমরা প্রতিনিয়ত ঘুরপাক খাচ্ছি-তার যথার্থ পথনির্দেশ নেতাজির সংগ্রামী জীনাদর্শে। কিশোর মনের সেই প্রতীতি ঘণীভূত হয়ে আত্মপ্রকাশ লাভ করে ২০১৮ সালের ২৩ জানুয়ারিতে। সেদিন বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার বুকে সগৌরবে ঘোষিত হয়েছিল নেতাজির গৌরবগাঁথা। প্রাদেশিকতার গণ্ডিকে সরিয়ে রাখলেও একথা আমাদের স্বীকার করতেই হবে যে, পরাধীন অখণ্ড ভারতবর্ষের মুক্তির অভিযান শুরু করেছিলেন বাঙালিরাই। আমাদের জাতিসত্ত্বার রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রতিবাদ ও সংগ্রামের যে দুর্দমনীয় নেশা তা বোধহয় ভারতবর্ষে কেবল নয়-বিশ্বের কাছেও এক বিরাট দৃষ্টান্ত। 

লেখক আশরাফুল ইসলাম

ফিরে আসছি নেতাজি প্রসঙ্গেই। তথ্যানুসন্ধানে জানা যাচ্ছে যে, নব্য ঔপনিবেশিক পাকিস্তান শাসকগোষ্ঠীর পরাধীনতার শৃঙ্খলমোচনে বাঙালির যে মরণপণ সংগ্রাম ১৯৭১ এ সংঘটিত হয়েছিল সেখানেও নেতাজির গৌরবদীপ্ত ‘আজাদ হিন্দ’ এর ভারত অভিযান বিরাট প্রেরণা হয়ে শক্তি যুগিয়েছিল মুক্তিযোদ্ধাদের। মুক্তিযুদ্ধ পূর্ব ও পরবর্তী সময়ের এই অঞ্চলের বিভিন্ন ভাষায় মুদ্রিত সংবাদপত্র আমাদের কাছে স্পষ্টভাবেই এই সত্যকে মেলে ধরছে। আমি নিঃসন্দেহ চিত্তে এই পরম সত্যকে উচ্চারিত হতে দেখি সম্প্রতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু মুজিবের অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে। যেখানে একাধিক স্থানে উৎকীর্ণ নেতাজি বন্দনা। কিন্তু বেদনার বিষয় যে, বঙ্গবন্ধু মুজিবের জীবদ্দশায় সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে নেতাজির চর্চা শুরু হলেও বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর সেই চর্চার পথ বন্ধ হয়ে অন্ধকারাচ্ছন্ন এক যুগে আমরা প্রবেশ করি।

২৩ জানুয়ারি নেতাজির জন্মতিথিকে মহাসমারোহে উদযাপনে ভারত সরকারের জাতীয় কর্মসূচিটি আয়োজন করা হয় শহর কলকাতায়

২০১৮ সালের ২৩ জানুয়ারি নেতাজির জন্মোৎসব আয়োজন পুরনো পরম্পরাকে ফের জাগিয়ে তুলে বৃহত্তর বাঙালি সমাজে। বাঙালির এই ‘অখণ্ড গৌরব’কে তরুণ সমাজের কাছে পৌঁছে দেয়ার ক্ষেত্রে সেই আয়োজন একরকম মাইলফলক হিসেবে কাজ করে। অনাড়ম্বর সেই আয়োজনে দুই দেশের সরকারের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি ও গবেষকদের সরব উপস্থিতি প্রায় পাঁচ দশক ধরে ব্রাত্য নেতাজি ফের স্বমহিমায় অধিষ্ঠিত হলেন। গেল তিনটি বছর এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখে আয়োজক প্রতিষ্ঠান ‘বহুমাত্রিক.কম’ ও ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর নেতাজি সুভাষ আইডিওলজি (আইসএনএসআই)। এই আয়োজনের ধারাবাহিকতায় সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য যে অগ্রগতি সাধিত হয় তা হচ্ছে-দুই দেশের প্রগতিশীলতা ও দেশপ্রেমে উৎসারিত জনগণের সঙ্গে এক নিরঙ্কুষ ঐক্যের মেলবন্ধন রচনা। এই মেলবন্ধনের স্বরূপ উন্মোচিত হয় চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি (২০২১) ভারত সরকারের নেতাজির ১২৫ বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে উচ্চ পর্যায়ের এক কমিটি গঠনের মধ্য দিয়ে। 

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কুশল বিনিময়ে আশরাফুল ইসলাম

ভারতের প্রকৃত মুক্তিদাতাকে দীর্ঘ কাল ব্রাত্য করে রাখার সুগভীর চক্রান্তের বিপরীতে বর্তমান ভারত সরকারের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বে গঠিত ৮৫ সদস্যের কমিটিতে আমাকে বাংলাদেশ থেকে একমাত্র সদস্য হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করার মধ্য দিয়ে নেতাজির চর্চার আন্তর্জাতিক ও ঐতিহাসিক বন্ধনকেই প্রকারান্তরে স্বীকৃতি দেয় দেশটির সরকার।

গেল ২৩ জানুয়ারি নেতাজির জন্মতিথিকে মহাসমারোহে উদযাপনে ভারত সরকারের জাতীয় কর্মসূচিটি আয়োজন করা হয় শহর কলকাতায়। স্বাধীনতা সংগ্রামের তীর্থ এই শহর কলকাতায় আলাদা দুটি ভেন্যুতে জমকালো যে অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়, দেশটির নেতাজি জন্মোৎসব সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির সদস্য হিসেবে আমাকেও আমন্ত্রণ করা হয় সেখানে। কেন্দ্রীয় সরকারের পাশাপাশি রাজ্য সরকার ও বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নেতাজির যে জন্মোৎসব আয়োজন করে তা রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে নানা আলোচনা-পরস্পরবিরোধী অবস্থান থাকলেও প্রকৃতঅর্থে জনগণের হৃদয়ে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু যে বিরাট আসন তার অভূতপূর্ব প্রকাশ ঘটে এবারের মহাআয়োজনে।

সামাজিক  যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর কল্যাণে প্রত্যন্ত জনপদে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে নেতাজিভক্তির অপূর্ব  ও স্বতস্ফূর্ত যে দৃশ্য সামনে আসে তা বোধহয় বিরল ঘটনা। গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ তাঁর প্রিয় ‘দেশনায়ক’ সুভাষচন্দ্র বসুকে ‘জনগণমনঅধিনায়ক’ রূপে যেভাবে বরণ করেছিলেন বাঙালি সমাজ যেন সেই আবহ থেকে নিজেদের সরিয়ে নেয়নি। ভারতের ঘরে ঘরে নেতাজির অধিষ্ঠান আজ ‘ভগবান’ রূপে। আজ এই লেখা যখন লিখছি, তার খানিক আগে কলকাতার খবরের কাগজে মুদ্রিত একটি খবরের দিকে দৃষ্টি পড়তেই চোখ ভিজে এলো। নিজ সন্তানের দ্বারা গৃহ থেকে বিতাড়িত হয়ে এক মা বিচার চাইতে এসেছেন নেতাজির কাছে! কলকাতার শ্যামবাজারে নেতাজির ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে উদ্ধার হওয়া সেই হতভাগ্য নারীর কাছে আজও মুক্তিদাতা কেবলমাত্র নেতাজিই!

২৩ জানুয়ারি নেতাজির জন্মতিথিকে মহাসমারোহে উদযাপনে ভারত সরকারের জাতীয় কর্মসূচিটি আয়োজন করা হয় শহর কলকাতায়

নেতাজির মহাউৎসবে যোগ দিতে গেল ২২ জানুয়ারি অপরাহ্নে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কলকাতার পথে যাত্রা করবার পূর্বেও মনে হয়নি চেনা শহর কলকাতাকে কী রূপে দেখতে চলেছি। দেশটির কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের আমন্ত্রণে কলকাতায় পা রেখে সর্বত্র দেখা গেল গোটা শহর নেতাজিময়। নিশ্চিতভাবেই বলা যায়, এই আবহ নির্মাণে কেন্দ্রীয় বা রাজ্য সরকারের প্রয়াস ছাপিয়ে সাধারণ জনগণের আবেগ কোনোভাবেই সামান্য নয়। মুচির দোকানে, চা’য়ের স্টলে, বিদ্যায়নের প্রবেশপথে, যানবাহনের অগ্রভাগে, বিপণীবিতানে কিংবা প্রকাণ্ড আবাসন পল্লীতে-কোথায় নেই তিনি।

আলো জ্বলমল শহর কলকতায় অতিথিদের রাখবার ব্যবস্থা হয়েছিল হোটেল তাজ বেঙ্গলে। কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের কর্তাব্যক্তিগণ অপরাপর অতিথিদের সঙ্গে পরম সৌহার্দ্যে যখন আমাদের স্বাগত জানাচ্ছিলেন তখন চমকে যাওয়ার মতো দেখতে পাই আমার নিকটেই নেতাজির আজাদ হিন্দ ফৌজের দুই বীর সেনানিকে। ১৯৪৪-৪৫ এ উত্ত্যপ্ত বিশ্বযুদ্ধ পরিস্থিতির মাঝে পরাক্রমশালী ব্রিটিশ-আমেরিকাকে চ্যালেঞ্জ করে যুদ্ধ ঘোষণা করা নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু যে বীর সন্তানদের উদ্বুদ্ধ করে রণাঙ্গনে পাঠিয়েছিলেন পরাধীন দেশমাতাকে মুক্ত করতে-সাড়ে ৭ দশক পর সেই বীরদের সামনে পাওয়ার অনুভূতি লিপিকুশলতায় তুলে ধরা যায় না।

খানিকটা বাষ্পরুদ্ধ আমি আজাদ হিন্দের নারী বিগ্রেড ঝাঁসির রাণীর অকুতোভয় সেনানি আশা সহায় ও নায়েক লালতিরামের পাশে দণ্ডায়মান হয়ে তাদের পূণ্যপদস্পর্শে নিজেকে ধন্য করি। বার্মা ও মণিপুরের দুর্গম পর্বতে কী অসীম সাহসিকতা নিয়েই তারা মাতৃভূমির মুক্তির অভিযানে নিজেদের সঁপে দিয়েছিলেন এবং তা করতে পেরেছিলেন কেবল তাদের কমান্ডার ইন চিফ নেতাজি সুভাষের প্রেরণায়। সাত দশক পেরিয়ে মুক্ত স্বদেশে নেতাজির মহাউৎসবে তাদের উপস্থিতি নিঃসন্দেহে এক গৌরবদীপ্ত আবহ সঞ্চার করে। 

নেতাজিকে নিয়ে আশরাফুল ইসলামের বিশেষ নিবন্ধ

পূণ্যতিথি ২৩ জানুয়ারির প্রভাতে ন্যাশনাল লাইব্রেরির অঙ্গনে সর্বত্র নেতাজির আবহ। তাঁর বলিষ্ঠ উন্নত শির যেন জীবন্ত স্বরূপে তাঁরই কীর্তি স্বমহিমায় ঘোষণা করছিল। লক্ষ্য করার বিষয় ছিল কেন্দ্রীয় সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রকের আয়োজনে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে ও ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে আলাদা অনুষ্ঠানে জ্যেষ্ঠদের সঙ্গে মূল আনুষ্ঠানিকতায় যোগ দিতে পেরেছিলেন বহু তরুণরাও।

মূলতঃ ‘রিভিজিটিং দ্য লিগেসি অব নেতাজি সুভাষ ইন টোয়েন্টিফার্স্ট সেঞ্চুরি’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সেমিনারে যোগ দিয়ে ‘স্ট্রাগল অব আজাদ হিন্দ, লিবারেশন ওয়্যার ’৭১ অ্যান্ড আদার ইস্যুজ’ শিরোনামে প্রবন্ধ উপস্থানের সুযোগ পাই আমি। ডিস্টিংগুইস্ট স্পিকার হিসেবে  নির্ধারিত বিষয়ে বক্তব্য উপস্থাপনে আজাদ হিন্দের রক্তাক্ত ভারত অভিযানের সঙ্গে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের পরম্পরাকে তুলে ধরবার সঙ্গে আমি বাঙালির দুই অবিসংবাদিত নেতা সুভাষ-মুজিব আদর্শিক সম্পর্কের মধুর সম্মিলনকেও তুলে ধরার প্রয়াস পাই।

পরিসমাপ্তিতে আমি শ্রদ্ধার সঙ্গে উল্লেখ করি গুরুদেব রবীন্দ্রনাথের সেই অবিস্মরণীয় বাণী, যা তিনি তাঁর প্রিয় দেশনায়কের সমক্ষে উচ্চারণ করেছিলেন মহাজাতি সদনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের সময়ে। কবি বলেছিলেন, ‘বাঙালির বাহু ভারতের বাহুকে বল দিক/বাঙালির বাণী ভারতের বাণীকে সত্য করুক’।

আবেগমথিত এই স্মরণোক্তি সেমিনারে উপস্থিতিকে কতোটা আন্দোলিত করে তা সমাপ্তির পর বুঝতে পারি। এখানে বক্তার কৃতিত্ব কিছু নেই, বাঙালি হৃদয়ে স্বদেশের প্রতি আবেগ ও ভালোবাসার যে প্রগাঢ় উপস্থিতি তা খানিকটা আন্দোলিত হওয়ার সুযোগ পেলেই প্রবলবেগে আছড়ে পড়ে। প্রাদেশিকতার অভিযোগকে সরিয়ে আদি ও অকৃত্রিম ভারতবর্ষের অন্তর্নিহিত যে শক্তি তা যে বঙ্গীয় জনপদে প্রোথিত তা বিভিন্ন প্রদেশ থেকে আসা বিশিষ্ট বক্তাগণও দ্ব্যর্থহীন ভাষায় স্বীকার করেন। কবিগুরুর সেই অমোঘ বাণী তাই তেইশের নেতাজি প্রণামে সত্যিই ‘অকৃত্রিম সত্যতা লাভ করে’।  

সেমিনারের সমাপনাত্বে ঐতিহাসিক বেলভেডার হাউসের প্রশস্ত করিডোরের মধ্যাহ্নভোজে বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার বিশিষ্টজনরা অখণ্ড স্বদেশের স্মৃতিচারণে মেতে উঠেন। তাদের মুখে অখন্ড ভারতবর্ষের বিভিন্ন অঞ্চলের সঙ্গে ঢাকা, ফরিদপুর, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, সিলেট, বরিশাল, খুলনা, পাবনা কিংবা রাজশাহীর নাম এমন ভাবাবেগে উচ্চারিত হয় যে, অনেককে অশ্রুসিক্ত হতেও দেখা যায়। নেতাজির অখণ্ড অসাম্প্রদায়িক স্বদেশ ভাবনা তাঁরই পূণ্যতিথিতে ফের আচ্ছন্ন করলো পুরো অঙ্গনকে।

খানিক পরেই সেমিনারের বিশিষ্ট বক্তাগণের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঔদার্যপূর্ণ শুভেচ্ছা বিনিময় পর্বে বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে আমার অংশগ্রহণ নিঃসন্দেহে অপূর্ব সংযোজন ছিল। কেননা আপোষহীন জননায়ক সুভাষচন্দ্র বসু গোপনে দেশত্যাগ করবার পূর্বে শেষ সফরটি পূর্ববাংলাতেই করেছিলেন। পূর্ব বাংলার জনগণের থেকেই তিনি সবচেয়ে বেশি সমর্থন-সহযোগিতা লাভ করেছিলেন। তাঁর পূণ্যতিথির মহাউৎসবে তাই সেই বাংলার জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে ভারত সরকার কেবল ঐতিহানিক ও ঐতিহ্যিক পরম্পরাকেই সম্মান জানায়নি, চিরবন্ধুপ্রতীম প্রতিবেশি বাংলাদেশের সঙ্গে সৌহার্দ্য ও মৈত্রীর বন্ধনকেও মর্যদা দিলো।

লেখক: বহুমাত্রিক.কম এর প্রধান সম্পাদক এবং বাংলাদেশে নেতাজির জন্মোৎসব উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নেতৃত্বে গঠিত সুভাষবর্ষের ৮৫ সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের কমিটির অন্যতম সদস্য।

ইমেইল:[email protected]  

   

মস্তিস্কেও ঢুকে যাচ্ছে প্লাস্টিক



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
মস্তিস্কেও ঢুকে যাচ্ছে প্লাস্টিক

মস্তিস্কেও ঢুকে যাচ্ছে প্লাস্টিক

  • Font increase
  • Font Decrease

বর্তমান পৃথিবী প্লাস্টিকময়। ছোট বড় থকে প্রায় সবরকম কাজে প্লাস্টিকের ব্যবহারের আধিক্য। তবে এই প্লাস্টিক অজৈব পদার্থে তৈরি হওয়ার কারণে সহজে পচনশীল নয়। বিভিন্ন স্থানে জমে থাকার কারণে এসব পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর।  শুধু পরিবেশ নয়, হার্ট, মগজ, সব জায়গাতেই নাকি ঢুকে রয়েছে প্লাস্টিক। সম্প্রতি এক গবেষণায় এমনটাই জানা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, হার্টের নানা রোগ, মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাঁধার পিছনেও এই প্লাস্টিকগুলির অবদান রয়েছে বলে জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।

সময়ের বিবর্তনে প্লাস্টিক বিভিন্ন আঘাতের কারণে ক্ষয় হয়ে ক্ষুদ্র আকার ধারণ করে। ৫ মিলিমিটারের চেয়ে ছোট আকারের প্লাস্টিককে মাইক্রোপ্লাস্টিক বলে। দিন দিন পরিবেশে মাইক্রোপ্লাস্টিকের পরিমাণ বেড়ে চলেছে। ইতোমধ্যে সমুদ্রে বিপুল পরিমাণে মাইক্রোপ্লাস্টিক দূষণ সৃষ্টি করেছে। পরিবেশের বিভিন্ন প্রাণী তাদের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তবে দিন দিন এই মাইক্রোপ্লাস্টিকের আধিপত্য বেড়েই চলেছে। এমনকি মানব শরীরেও মাইক্রোপ্লাস্টিকের অস্তিত্ব পাওয়া যাচ্ছে। এক গবেষণায় মস্তিস্কে মাইক্রোপ্লাস্টিক পাওয়া গেছে।

ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে নিউ ম্যাক্সিকোর এনভয়রনমেন্টাল হেলথ পারসপেক্টিভ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয় খাদ্য, পানি এমনকি বায়ুর মাধ্যমেও শরীরে প্রবেশ করে। এসব ক্ষুদ্র প্লাস্টিক কণা আমাদের স্নায়ুবিক নানান অনুভূতির উপরেও মাইক্রো প্লাস্টিক প্রভাব ফেলে।

রক্ত প্রবাহের কারণে তা শরীরের বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণ করে বেড়ায়। শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোতে তা জমা থেকে স্বাভাবিক কাজকর্মে বাধা প্রদান করে। বৃক্ক, লিভার, হৃদপিণ্ডের রক্তনালি ছাড়াও সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় মস্তিষ্ক। মাইক্রোপ্লাস্টিক এসব অঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলতে পারে। 

ডাক্তার ইয়াতিন সাগভেকার বলেন দৈনন্দিন নানা কাজের মধ্যেই শরীরে মাইক্রোপ্লাস্টিক প্রবেশ করে। তবে পারে তা ত্বক, প্রশ্বাসের বায়ু বা ইনজেশনের মাধ্যমে।     

তিনি আরও বলেন, শুধুমাত্র ২০ মাইক্রোমিটারের চেয়ে ছোট মাইক্রোপ্লাস্টিক শরীরে প্রবেশ করতে পারার কথা। এছাড়া ১০ মাইক্রোমিটার আকারের গুলো মস্তিষ্কের সুক্ষ্ম কোষের ঝিল্লির অতিক্রম করতে সক্ষম হওয়া উচিত।

প্লাস্টিক পরিবেশ্ম প্রানি এমনকি মানুষের জন্যও অনেক ক্ষতিকর। তাই সকলের উচিত যতটা সম্ভব প্লাস্টিক বর্জন করা। পাশাপাশি প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি জিনিসের ব্যবহার বাড়ানো।

;

খাবারের পর প্লেট ধোয়া কষ্ট? তাহলে এই কৌশল আপনার জন্য!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

খাওয়ার বিষয়ে সবাই পটু। কিন্তু খাওয়ার পর থালা বাসন ধোয়াকে অনেকেই কষ্টকর কাজ মনে করেন। তাই দেখা যায় খাওয়ার পর অপরিষ্কার অবস্থায়ই থেকে যায় থালা বাসনগুলো। এবার এই কষ্ট কমাতে এক অভিনব কৌশল বেছে নিয়েছেন এক ব্যক্তি।

সম্প্রতি এমন এক ভিডিও নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি। 

হর্ষ গোয়েনকা নামে ভারতের এক শিল্পপতি তাঁর এক্স হ্যন্ডেলে (সাবেক টুইটার) ভিডিওটি শেয়ার করেন। এতে দেখা যায়, থালাবাসন পরিষ্কারের কাজ এড়াতে এক ব্যক্তি মজার এক কৌশল নিয়েছেন। এতে দেখা যায়, এক ব্যক্তি খাবার রান্না করছেন। খাবার আগে তিনি প্লাস্টিক দিয়ে প্লেট, চামচ ও পানির গ্লাস মুড়িয়ে নিচ্ছেন।

শেয়ার করে তিনি মজাচ্ছলে লিখেছেন, "যখন আপনার থালা-বাসন ধোয়ার জন্য পর্যাপ্ত পানি থাকে না..."।

ভিডিওটি শেয়ার করার পর মুহূর্তেই সেটি ভাইরাল হয়ে যায়। ভিডিওটি অনেক বিনোদনের জন্ম দিয়েছে। যদিও কেউ কেউ প্লাস্টিকের মোড়ককে হাস্যকর মনে করেন এবং এর ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

এক্স ব্যবহারকারী একজন লিখেছেন, 'পানি সংরক্ষণ ও পুনর্ব্যবহার করা হল মন্ত্র হল এমন কৌশল! তবে প্লাস্টিকের ব্যবহার নতুন করে ভাবাচ্ছে।'

অন্য একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, 'আমি আমার হোস্টেলের দিনগুলিতে এটি করেছি। আমাদের পানি সরবরাহ ছিল না এবং বারবার ধোয়ার কষ্টে এমন কৌশল নিয়েছি।'

আরেক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘মনে হচ্ছে বেঙ্গালুরুতে পানি–সংকটের সমাধান হয়ে যাচ্ছে।’

;

জলদানব ‘লক নেস’কে খুঁজে পেতে নাসার প্রতি আহ্বান



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রহস্যময় জলদানব জলদানব ‘লক নেস’কে খুঁজে পেতে নাসার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে লক নেস সেন্টার। ২০২৩ সালের এই রহস্যময় প্রাণীর শব্দের উৎস ও একে খুঁজে পেতে হাইড্রোফোন ব্যবহার করা হয়েছিল।

স্যার এডওয়ার্ড মাউন্টেনের ৯০তম অভিযানের অংশ হিসেবে আগামী ৩০ মে থেকে ২ জুন পর্যন্ত এই ‘লক নেস মনস্টার’কে খুঁজে পেতে অনুসন্ধান চালানো হবে।

রহস্যময় এই ‘লক নেস মনস্টার’কে ১৯৩৪ সালে প্রথম দেখা যায়। এ পর্যন্ত ১ হাজার ১শ ৫৬ বার দেখা গেছে বলে লক নেস সেন্টার সূত্রে জানা গেছে।

এ বিষয়ে লক নেস সেন্টারের এমি টোড বলেছেন, আমরা আশা করছি, এই রহস্যময় জলদানবকে খুঁজে পেতে মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার গবেষকেরা আমাদের সহযোগিতা করবেন। তারা আমাদের জলদানবকে খুঁজে পেতে যথাযথ নির্দেশনা দেবেন এবং এ বিষয়ে সব কিছু জানাতে সাহায্য করবেন।

তিনি বলেন, আমাদের অভিযানের বিষয়ে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছি। আমরা আশা করছি, নাসার উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে আমরা জলদানব বিষয়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজে পাবো।

রহস্যময় জলদানব খুঁজে পেতে স্বেচ্ছাসেবকের ভূপৃষ্ঠ থেকে যেমন নজর রাখবেন, তেমনি পানির ভেতরে অভিযান চালানোর বিষয়ে তাদেরকে নির্দেশনা দেওয়া হবে। রহস্যময় জলদানবকে খুঁজে পেতে ১৯৭০ দশক ও ১৯৮০ দশকের যে সব তথ্যচিত্র লক নেসের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে, সেগুলো যাচাই করে দেখা হবে।

তারপর জলদানব সম্পর্কে স্বেচ্ছাসেবকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেবেন লক নেসের পরিচালক জন ম্যাকলেভারটি।

এ নিয়ে গবেষকদের নিয়ে একটি অনলাইন বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে। যারা রহস্যময় এই জলদানবকে সচক্ষে দেখেছেন, তারাও এ লাইভ বিতর্কে অংশ নেবেন।

নেস হৃদ

যে হ্রদে জলদানব অবস্থান করছে বলে জানা গেছে, অভিযানের অভিযাত্রী দল নৌকায় করে সেখানে যাবেন। এসময় তাদের সঙ্গে থাকবেন গভীর সমুদ্রে অনুসন্ধানকারী দলের ক্যাপ্টেন অ্যালিস্টার মাথিসন। তিনি লক নেস প্রজেক্টে একজন স্কিপার হিসেবে কাজ করছেন। তার সঙ্গে থাকবেন ম্যাকেন্না।

অনুসন্ধান কাজে ১৮ মিটার (৬০ ফুট) হাইড্রোফোন ব্যবহার করা হবে। এটি দিয়ে রহস্যময় শব্দের প্রতিধ্বনি রেকর্ড করা হবে।

দ্য লক নেস সেন্টার ড্রামনাড্রোচিট হোটেলে অবস্থিত। ৯০ বছর আগে অ্যালডি ম্যাককে প্রথম রিপোর্ট করেছিলেন যে তিনি একটি জলদানব দেখেছেন।

লক নেস সেন্টারের জেনারেল ম্যানেজার পল নিক্সন বলেছেন, ২০২৩ সালে নেসিকে খুঁজে পেতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ফ্রান্স, ইতালি, জাপানসহ আরো অনেক দেশ অনুসন্ধান কাজে অংশ নিয়েছিল। এটি ছিল বড় ধরনের একটি অভিযান।

তিনি বলেন, অনুসন্ধানের সময় যে অদ্ভুত শব্দ শোনা গিয়েছিল, সে শব্দের কোনো ব্যাখ্যা দাঁড় করানো যায়নি। তবে আমরা এবার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ যে, জলদানব লক নেসের রহস্য উন্মোচন করতে পারবো।

এ বিষয়ে আমরা সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করবো। এ রহস্যময় জলদানব লক নেস সম্পর্কে যাদের ধারণা আছে, তাদের সহযোগিতা নেওয়া হবে। পল নিক্সন আরো বলেন, এবার আমরা খুবই উচ্ছ্বসিত যে, জলদানবকে খুঁজে পেতে নতুন ধরনের যন্ত্রপাতি ব্যবহার করবো।

স্কটল্যান্ডের ইনভার্নেসের কাছে এক বিশাল হ্রদের নাম ‘নেস’। স্কটিশ গেলিক ভাষায় হ্রদকে লক (Loch) বলা হয়। আর উচ্চারণ করা হয় ‘লক’। গ্রেট ব্রিটেনের স্বাদুপানির সবচেয়ে একক বৃহত্তম উৎস এ হ্রদটির আয়তন ২২ বর্গ কিলোমিটার, গভীরতা ৮০০ ফুটেরও বেশি। এই হ্রদেই দেখা মিলেছিল সত্যিকারের জলদানব ‘লক নেসের’।

;

স্টেডিয়ামে খেলা দেখার জন্য অফিসে মিথ্যা বলা, শেষ রক্ষা হয়নি তার!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বহুল প্রত্যাশিত ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) শুরু হয়েছে ২২ মার্চ থেকে। বিশ্বের নামিদামী সব খেলোয়াড়ের উপস্থিতি থাকায় বিশ্বজুড়ে এই লীগের চাহিদা তুঙ্গে। তাই এর দর্শক সংখ্যাও কত হতে পারে সেটা সহজেই অনুমেয়। যাদের সুযোগ সামর্থ্য থাকে তারা স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখেন আর যাদের সুযোগ না থাকে তারা টেলভিশনের পর্দায়ই বিনোদন খোঁজেন।

সম্প্রতি, এই লীগের একটি ম্যাচ স্টেডিয়ামে দেখতে গিয়ে অদ্ভুত এক কাণ্ডের জন্ম দিয়েছেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরের নেহা নামে এক নারী ভক্ত। ওইদিন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ও লখৌন সুপার জায়ান্টসের মধ্যে ম্যাচ চলছিল। সেই খেলা মাঠে বসে দেখতে তিনি পারিবারিক সমস্যার কথা বলে আগেই অফিস থেকে বের হয়ে যান।

তারপর যথারীতি সে মাঠে বসে খেলা উপভোগ করছিল। কিন্তু বিপত্তি বাঁধে অন্য জায়গায়। খেলা চলার এক পর্যায়ে তাকে টিভি স্ক্রিনে দেখতে পায় তার অফিসের বস।

পরে এই ঘটনাটির একটি ভিডিও তিনি তার ইন্সটাগ্রাম একাউন্টে শেয়ার করেন। সেখানে তিনি পুরো বিষয়টি নিয়ে খোলাসা করেন।

ওই ভিডিওতে নেহা বলেন, অফিস থেকে পারিবারিক সমস্যার কথা বলে মাঠে এসে খেলা দেখেছি। আমি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর একজন ভক্ত। কিন্তু টিভি স্ক্রিনে আমার বস আমাকে দেখে ফেলে। পরে তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করেছেন আমি কোন দলের সমর্থক হিসেবে খেলা দেখছি। আমি বলেছি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।

এরপর বস বলেন, তাহলে আপনি নিশ্চয় গতকাল খুব অসন্তুষ্ট ছিলেন। ওরা ফিল্ডিংয়ে একটি ক্যাচ মিস করার সময় আপনাকে খুব উদ্বিগ্ন চেহারায় দেখেছি। ১৬.৩ ওভারে যখন কিপার ক্যাচ মিস করলো, তখন।

হাতেনাতে ধরা পড়ে যাওয়ার পর নেহা স্বীকার করে নেন, ওটা তিনিই ছিলেন। বলেন, হ্যাঁ, অনুজ রাওয়াত ক্যাচ মিস করেছিল।

এরপর নেহার বস বলেন, মাত্র কয়েক সেকেন্ডের জন্য ক্যামেরায় আপনাকে দেখিয়েছিল। আর তাতেই আমি চিনে ফেলেছি। তাহলে এটাই ছিল গতকাল দ্রুত বেরিয়ে যাওয়ার কারণ।

এরপর তিনি একটি হাসির ইমোজি দিয়ে কথপোকথন শেষ করেন।

ভিডিওটি শেয়ার করার পর রাতারাতি সেটি ভাইরাল হয়ে যায়।

পোস্টের নিচে অনেকেই নিজেদের অভিমত ব্যক্ত করেছেন।

একজন লিখেছেন, এটা ঠিক আছে। ম্যানেজারের উচিত কর্মচারীকে স্বাধীনতা প্রদান করা। যাতে সে সত্য বলতে পারে বা নিজের জীবনকে স্বাধীনভাবে উপভোগ করতে পারে।

আরেকজন লিখেছেন, আপনাকে এর জন্য চাকরি থেকে বরখাস্ত করা উচিত। একে তো আপনি অফিস থেকে মিথ্যা কথা বলে বের হয়েছে আবার নিজেদের ব্যক্তিগত কথা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেছেন।

;