চন্দ্রাভিযানের নেপথ্য নায়কের চিরবিদায়



লুৎফে আলি মহব্বত, কন্ট্রিবিউটিং করেসপন্ডেন্ট,  বার্তা২৪.কম
তিন চন্দ্রাভিযাত্রী

তিন চন্দ্রাভিযাত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

চন্দ্রাভিযানের অন্যতম নায়ক ছিলেন তিনি। ছিলেন চন্দ্র জয়ী তিন মার্কিন মহাকাশচারীর একজন, যারা বদলে দিয়েছিলেন মানব সভ্যতার ইতিহাস। অভিযানের পাইলট মাইকেল কলিন্স চিরবিদায়ের পথে চলে গেলেন। তিনি চাঁদের মাটিতে পা না দিলেও চন্দ্রাভিযানের মূল রূপকার ও নেপথ্য নায়ক ছিলেন।

চাঁদের বুকে মানুষের পায়ের স্পর্শের ৫০ বছর পূর্ণ হয়েছে করোনাকালে ২০১৯ সালের ২০ জুলাই। ১৯৬৯ সালের ১৬ জুলাই ‘স্যাটার্ন ৫’ রকেটে চেপে চাঁদে পাড়ি দিয়েছিল ‘অ্যাপোলো ১১’। যদিও তারপর একাধিকবার সফল চন্দ্র অভিযান হয়েছে, তবু অ্যাপোলো-১১-এর অভিযান, মানব ইতিহাস ও সভ্যতার অন্যতম মাইলফলক হিসেবেই চিরস্থায়ী আসন করে নিয়েছে।

১৬ জুলাই ১৯৬৯। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় ভোর ৬টা ৪৫ মিনিটে তিন নভোচারী নীল আর্মস্ট্রং, এডউইন অলড্রিন ও মাইকেল কলিন্স তাদের নাশতা সারেন। এরপর নভোচারীর পোশাক পরেন। সবার উদ্দেশে হাত নেড়ে ধীরে ধীরে রকেটের ভেতর প্রবেশ করেন। সকাল ৯টা ৩২ মিনিটে ৭৬ লাখ পাউন্ড জ্বালানি ভরা নাসার ‘স্যাটার্ন ৫’ রকেটের ইঞ্জিন প্রজ্বলিত হয়। উড়াল দেয় মহাকাশের দিকে। চাঁদের মাটিতে পৌঁছাতে তাদের সময় লেগেছিল চার দিন।

২০ জুলাই চাঁদের কক্ষপথে প্রদক্ষিণের পর এই উপগ্রহের মাটিতে প্রথম পা রাখেন মার্কিন মহাকাশচারী নীল আর্মস্ট্রং। তারপরে এডউইন অলড্রিন। পাইলট মাইকেল কলিন্স নভোযান নিয়ন্ত্রণ করছিলেন। চরম সুযোগ পেয়েও তিনি অবতরণ করেননি। বরং অন্য দুইজনের অবতরণকে সফল ও সম্ভব করেছিলেন।

ফেরার সময় একটি ব্যাগে নমুনা হিসেবে সাড়ে ২১ কিলোগ্রাম চাঁদের মাটি এবং পাথর ভরে ফিরে এসেছিলেন তারা। পরে জানা গিয়েছিল, সেই ব্যাগটি হারিয়ে ফেলেছিল নাসা। তবে ২০১৩ সালে সেটির খোঁজ মেলে। যে রকেটে চেপে উড়েছিল অ্যাপোলো ১১, তার উচ্চতা ছিল ৩৬৪ ফুট। ওজন ছিল ২ লাখ ৩৯ হাজার ৭২৫ কিলোগ্রাম। আর অ্যাপোলো-১১-এর ওজন ছিল ৪৫ হাজার ৭০২ কিলোগ্রাম। পৃথিবী থেকে উৎক্ষেপণ এবং ফের পৃথিবীতে অবতরণ, এই মিশনটা সম্পন্ন হতে মোট সময় লেগেছিল ৮ দিন ৩ ঘণ্টা ১৮ মিনিট। আজ সারা বিশ্বই সফল ওই অভিযানের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করবে।

‘একজন মানুষের জন্য একটি ছোট পদক্ষেপ, কিন্তু মানবতার জন্য এক বিশাল অগ্রযাত্রা।’ চাঁদে অবতরণের পর এই বিখ্যাত উক্তির মাধ্যমে নীল আর্মস্ট্রং বোঝাতে চেয়েছিলেন, ৫০ বছর আগে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির কী অসামান্য অগ্রগতি অর্জিত হয়েছিল। সফল চন্দ্রাভিযানের ওই ঘটনা তখন থেকে মানব সভ্যতাকে প্রতিনিয়ত প্রভাবিত করছে। অ্যাপোলো কর্মসূচিতে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় হয়েছিল। কিন্তু সেই অর্থ কোনোভাবেই অপচয় হয়নি। কারণ মানুষের জীবনে বিজ্ঞানের পথে নবযাত্রার শুরুটা এসেছিল ওই দিনটি থেকে। পাশাপাশি মহাকাশ জয়ের প্রথম সোপানটিও রচিত হয়েছিল সেই অভিযানটি থেকে।

সফল তিন অভিযাত্রীর মধ্যে মাইকেল কলিন্স ছিলেন অপেক্ষাকৃত অনালোচিত, বিস্মৃতপ্রায় একটি নাম। না সেদিন চাঁদের মাটিতে অবতরণ করেননি মাইকেল। বরং টানা ৮দিন ৪ ঘণ্টা সময় কাটিয়েছিলেন মুন-অরবাইটারে বসে। তিনি না থাকলে হয়তো অসম্পূর্ণ থেকে যেত মানব সভ্যতার প্রথম বহির্বিশ্বজয়।

গত ২৮ এপ্রিল প্রয়াত হলেন কিংবদন্তি এই নভোচারী। বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। দীর্ঘদিন ধরেই ভুগছিলেন দুরারোগ্য ক্যানসারে। চন্দ্রজয় করলেও, মারণ রোগকে হারাতে পারেননি। হারিয়ে গেলেন ইতিহাসের এক জীবন্ত অধ্যায় হয়ে। তাঁর মৃত্যুসংবাদ নিশ্চিত করে তাঁর পরিবার। সহকর্মীর প্রতি টুইটারে শ্রদ্ধা জানান অলড্রিনও। জানা যায়, ফ্লোরিডাতে নিজের বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন ‘লোনলিয়েস্ট ম্যান ইন হিস্ট্রি’ নামে খ্যাত মাইকেল কলিন্স। কারণ দুইজন চাঁদে অবতরণ প্রকৃতপক্ষে তিনিই ছিলেন একাকী ও নিঃসঙ্গতম মানব।

মার্কিন নাগরিক হলেও কলিন্সের জন্ম ইতালির রোমে। বাবা ছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনা। প্রথম বিশ্বযুদ্ধোত্তর সময়ে ইতালিতে কর্মরত ছিলেন তিনি। সেই সূত্রেই কলিন্সের বড় হয়ে ওঠা ইতালিতে। জীবনের প্রথম ১৭ বছর তিনি কাটিয়েছেন ইতালির বিভিন্ন শহরে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার ঠিক আগে ইতালি থেকে সেনা সরিয়ে নেয় যুক্তরাষ্ট্রে। সেইসময়েই মার্কিন দেশে ফিরে আসেন কলিন্স।

মাত্র ১৫ বছর বয়সে প্রথম উড়ানের স্বপ্ন দেখা শুরু করেছিলেন তিনি। বাবার সহকর্মীদের থেকে আয়ত্ত করেছিলেন বিমানচালনা। ইতালি ছাড়ার আগে ডুয়েল ইঞ্জিন উভচর এয়ারক্র্যাফট ‘গ্রুম্যান উডগন’-এর পাইলটের আসনে বসেছেন বেশ কয়েকবার। ১৯৫২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মিলিটারি অ্যাকাডেমি থেকে ‘মিলিটারি সায়েন্স’-এ স্নাতকতা করেন কলিন্স। তারপরই আনুষ্ঠানিকভাবে অভিষেক হয় পাইলটের আসনে। দীর্ঘ এক দশকেরও বেশি সময় মার্কিন সেনাবাহিনীতে কাজ করেছেন তিনি।

ষাটের দশকের শুরুর দিকে মহাকাশ অভিযানের প্রস্তুতি শুরু করে নাসা। খোঁজ শুরু হয় উপযুক্ত নভোচারীদের। শেষ পর্যন্ত মার্কিন বিমানবাহিনীর দক্ষ ৩১ জন পাইলটকে বেছে নেয় নাসা। সেই তালিকাতেই ছিলেন কলিন্স। সাহস ও আগ্রহের মতো কমতি ছিল না তার উৎসাহে। ফলে নতুন করে শুরু করেন পড়াশোনা ও প্রশিক্ষণ। এবার তিনি শান দিলেন সনাতন বিজ্ঞানে। দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে চলল পদার্থবিদ্যা, জিওলজির পাঠক্রম। সেইসঙ্গে ট্রেনিংও। কঠিন থেকে কঠিনতর প্রতিটি পরীক্ষাই সফলভাবে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন তিনি তারপরই সুযোগ পান সেই ঐতিহাসিক চন্দ্র অভিযানে এবং অ্যাপোলো-১১ নভোযানে।

এই অভিযানের দৌলতেই তিনি পরিচিতি পান ‘ইতিহাসের নিঃসঙ্গতম মানুষ’ হিসাবে। চন্দ্রপৃষ্ঠে নীল এবং অলড্রিন অবতরণ করলেও, অরবাইটারে থেকে যান কলিন্স। সেখান থেকেই মডিউল নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব পালন করতেন তিনি। তবে খুব সহজ ছিল না সেই কাজ। চাঁদের অন্ধকারে অংশে চলে যাওয়া মাত্রই পৃথিবীর সঙ্গে সংযোগ ছিন্ন হয়ে যেত সম্পূর্ণভাবে। থাকত না নীল আর্মস্ট্রং কিংবা অলড্রিনের সঙ্গেও বেতারে যোগাযোগ করার সুযোগ। অন্ধকারে ঘণ্টার পর ঘণ্টা শুধু প্রতীক্ষার মধ্যেই কাটিয়েছেন তিনি। সেই ঘটনাই এনে দেয় এমন পরিচিতি ও অভিধা।

অ্যাপোলো অভিযানের সময়, মহাশূন্য থেকে তোলা পৃথিবীর ছবিগুলির পিছনেও রয়েছেন তিনিই। অরবাইটার বসেই তিনি লেন্স-বদ্ধ করেছিলেন নীলগ্রহ এবং চন্দ্রপৃষ্ঠের কয়েক হাজার ছবি।

ঐতিহাসিক সেই চন্দ্র-অভিযানের পর পেরিয়ে গেছে পাঁচ দশকেরও বেশি সময়। এর মধ্যে বেশ কয়েকবার চাঁদের মাটিতে মানুষ পা দিলেও, ১৯৭২ সালের পর অধরাই থেকে গেছে উপগ্রহ-জয়। আগামী ২০২৪ সালে আবার চাঁদের মাটি ছুঁতে চলেছে মানুষ। আরও এক ইতিহাস গড়তে চলেছে নাসা। কিন্তু তার আগেই বিদায় নিলেন চন্দ্রাভিযানের সফল ইতিহাস রচয়িতা কলিন্স।

   

মস্তিস্কেও ঢুকে যাচ্ছে প্লাস্টিক



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
মস্তিস্কেও ঢুকে যাচ্ছে প্লাস্টিক

মস্তিস্কেও ঢুকে যাচ্ছে প্লাস্টিক

  • Font increase
  • Font Decrease

বর্তমান পৃথিবী প্লাস্টিকময়। ছোট বড় থকে প্রায় সবরকম কাজে প্লাস্টিকের ব্যবহারের আধিক্য। তবে এই প্লাস্টিক অজৈব পদার্থে তৈরি হওয়ার কারণে সহজে পচনশীল নয়। বিভিন্ন স্থানে জমে থাকার কারণে এসব পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর।  শুধু পরিবেশ নয়, হার্ট, মগজ, সব জায়গাতেই নাকি ঢুকে রয়েছে প্লাস্টিক। সম্প্রতি এক গবেষণায় এমনটাই জানা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, হার্টের নানা রোগ, মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাঁধার পিছনেও এই প্লাস্টিকগুলির অবদান রয়েছে বলে জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।

সময়ের বিবর্তনে প্লাস্টিক বিভিন্ন আঘাতের কারণে ক্ষয় হয়ে ক্ষুদ্র আকার ধারণ করে। ৫ মিলিমিটারের চেয়ে ছোট আকারের প্লাস্টিককে মাইক্রোপ্লাস্টিক বলে। দিন দিন পরিবেশে মাইক্রোপ্লাস্টিকের পরিমাণ বেড়ে চলেছে। ইতোমধ্যে সমুদ্রে বিপুল পরিমাণে মাইক্রোপ্লাস্টিক দূষণ সৃষ্টি করেছে। পরিবেশের বিভিন্ন প্রাণী তাদের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তবে দিন দিন এই মাইক্রোপ্লাস্টিকের আধিপত্য বেড়েই চলেছে। এমনকি মানব শরীরেও মাইক্রোপ্লাস্টিকের অস্তিত্ব পাওয়া যাচ্ছে। এক গবেষণায় মস্তিস্কে মাইক্রোপ্লাস্টিক পাওয়া গেছে।

ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে নিউ ম্যাক্সিকোর এনভয়রনমেন্টাল হেলথ পারসপেক্টিভ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয় খাদ্য, পানি এমনকি বায়ুর মাধ্যমেও শরীরে প্রবেশ করে। এসব ক্ষুদ্র প্লাস্টিক কণা আমাদের স্নায়ুবিক নানান অনুভূতির উপরেও মাইক্রো প্লাস্টিক প্রভাব ফেলে।

রক্ত প্রবাহের কারণে তা শরীরের বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণ করে বেড়ায়। শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোতে তা জমা থেকে স্বাভাবিক কাজকর্মে বাধা প্রদান করে। বৃক্ক, লিভার, হৃদপিণ্ডের রক্তনালি ছাড়াও সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় মস্তিষ্ক। মাইক্রোপ্লাস্টিক এসব অঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলতে পারে। 

ডাক্তার ইয়াতিন সাগভেকার বলেন দৈনন্দিন নানা কাজের মধ্যেই শরীরে মাইক্রোপ্লাস্টিক প্রবেশ করে। তবে পারে তা ত্বক, প্রশ্বাসের বায়ু বা ইনজেশনের মাধ্যমে।     

তিনি আরও বলেন, শুধুমাত্র ২০ মাইক্রোমিটারের চেয়ে ছোট মাইক্রোপ্লাস্টিক শরীরে প্রবেশ করতে পারার কথা। এছাড়া ১০ মাইক্রোমিটার আকারের গুলো মস্তিষ্কের সুক্ষ্ম কোষের ঝিল্লির অতিক্রম করতে সক্ষম হওয়া উচিত।

প্লাস্টিক পরিবেশ্ম প্রানি এমনকি মানুষের জন্যও অনেক ক্ষতিকর। তাই সকলের উচিত যতটা সম্ভব প্লাস্টিক বর্জন করা। পাশাপাশি প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি জিনিসের ব্যবহার বাড়ানো।

;

খাবারের পর প্লেট ধোয়া কষ্ট? তাহলে এই কৌশল আপনার জন্য!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

খাওয়ার বিষয়ে সবাই পটু। কিন্তু খাওয়ার পর থালা বাসন ধোয়াকে অনেকেই কষ্টকর কাজ মনে করেন। তাই দেখা যায় খাওয়ার পর অপরিষ্কার অবস্থায়ই থেকে যায় থালা বাসনগুলো। এবার এই কষ্ট কমাতে এক অভিনব কৌশল বেছে নিয়েছেন এক ব্যক্তি।

সম্প্রতি এমন এক ভিডিও নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি। 

হর্ষ গোয়েনকা নামে ভারতের এক শিল্পপতি তাঁর এক্স হ্যন্ডেলে (সাবেক টুইটার) ভিডিওটি শেয়ার করেন। এতে দেখা যায়, থালাবাসন পরিষ্কারের কাজ এড়াতে এক ব্যক্তি মজার এক কৌশল নিয়েছেন। এতে দেখা যায়, এক ব্যক্তি খাবার রান্না করছেন। খাবার আগে তিনি প্লাস্টিক দিয়ে প্লেট, চামচ ও পানির গ্লাস মুড়িয়ে নিচ্ছেন।

শেয়ার করে তিনি মজাচ্ছলে লিখেছেন, "যখন আপনার থালা-বাসন ধোয়ার জন্য পর্যাপ্ত পানি থাকে না..."।

ভিডিওটি শেয়ার করার পর মুহূর্তেই সেটি ভাইরাল হয়ে যায়। ভিডিওটি অনেক বিনোদনের জন্ম দিয়েছে। যদিও কেউ কেউ প্লাস্টিকের মোড়ককে হাস্যকর মনে করেন এবং এর ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

এক্স ব্যবহারকারী একজন লিখেছেন, 'পানি সংরক্ষণ ও পুনর্ব্যবহার করা হল মন্ত্র হল এমন কৌশল! তবে প্লাস্টিকের ব্যবহার নতুন করে ভাবাচ্ছে।'

অন্য একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, 'আমি আমার হোস্টেলের দিনগুলিতে এটি করেছি। আমাদের পানি সরবরাহ ছিল না এবং বারবার ধোয়ার কষ্টে এমন কৌশল নিয়েছি।'

আরেক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘মনে হচ্ছে বেঙ্গালুরুতে পানি–সংকটের সমাধান হয়ে যাচ্ছে।’

;

জলদানব ‘লক নেস’কে খুঁজে পেতে নাসার প্রতি আহ্বান



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রহস্যময় জলদানব জলদানব ‘লক নেস’কে খুঁজে পেতে নাসার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে লক নেস সেন্টার। ২০২৩ সালের এই রহস্যময় প্রাণীর শব্দের উৎস ও একে খুঁজে পেতে হাইড্রোফোন ব্যবহার করা হয়েছিল।

স্যার এডওয়ার্ড মাউন্টেনের ৯০তম অভিযানের অংশ হিসেবে আগামী ৩০ মে থেকে ২ জুন পর্যন্ত এই ‘লক নেস মনস্টার’কে খুঁজে পেতে অনুসন্ধান চালানো হবে।

রহস্যময় এই ‘লক নেস মনস্টার’কে ১৯৩৪ সালে প্রথম দেখা যায়। এ পর্যন্ত ১ হাজার ১শ ৫৬ বার দেখা গেছে বলে লক নেস সেন্টার সূত্রে জানা গেছে।

এ বিষয়ে লক নেস সেন্টারের এমি টোড বলেছেন, আমরা আশা করছি, এই রহস্যময় জলদানবকে খুঁজে পেতে মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার গবেষকেরা আমাদের সহযোগিতা করবেন। তারা আমাদের জলদানবকে খুঁজে পেতে যথাযথ নির্দেশনা দেবেন এবং এ বিষয়ে সব কিছু জানাতে সাহায্য করবেন।

তিনি বলেন, আমাদের অভিযানের বিষয়ে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছি। আমরা আশা করছি, নাসার উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে আমরা জলদানব বিষয়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজে পাবো।

রহস্যময় জলদানব খুঁজে পেতে স্বেচ্ছাসেবকের ভূপৃষ্ঠ থেকে যেমন নজর রাখবেন, তেমনি পানির ভেতরে অভিযান চালানোর বিষয়ে তাদেরকে নির্দেশনা দেওয়া হবে। রহস্যময় জলদানবকে খুঁজে পেতে ১৯৭০ দশক ও ১৯৮০ দশকের যে সব তথ্যচিত্র লক নেসের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে, সেগুলো যাচাই করে দেখা হবে।

তারপর জলদানব সম্পর্কে স্বেচ্ছাসেবকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেবেন লক নেসের পরিচালক জন ম্যাকলেভারটি।

এ নিয়ে গবেষকদের নিয়ে একটি অনলাইন বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে। যারা রহস্যময় এই জলদানবকে সচক্ষে দেখেছেন, তারাও এ লাইভ বিতর্কে অংশ নেবেন।

নেস হৃদ

যে হ্রদে জলদানব অবস্থান করছে বলে জানা গেছে, অভিযানের অভিযাত্রী দল নৌকায় করে সেখানে যাবেন। এসময় তাদের সঙ্গে থাকবেন গভীর সমুদ্রে অনুসন্ধানকারী দলের ক্যাপ্টেন অ্যালিস্টার মাথিসন। তিনি লক নেস প্রজেক্টে একজন স্কিপার হিসেবে কাজ করছেন। তার সঙ্গে থাকবেন ম্যাকেন্না।

অনুসন্ধান কাজে ১৮ মিটার (৬০ ফুট) হাইড্রোফোন ব্যবহার করা হবে। এটি দিয়ে রহস্যময় শব্দের প্রতিধ্বনি রেকর্ড করা হবে।

দ্য লক নেস সেন্টার ড্রামনাড্রোচিট হোটেলে অবস্থিত। ৯০ বছর আগে অ্যালডি ম্যাককে প্রথম রিপোর্ট করেছিলেন যে তিনি একটি জলদানব দেখেছেন।

লক নেস সেন্টারের জেনারেল ম্যানেজার পল নিক্সন বলেছেন, ২০২৩ সালে নেসিকে খুঁজে পেতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ফ্রান্স, ইতালি, জাপানসহ আরো অনেক দেশ অনুসন্ধান কাজে অংশ নিয়েছিল। এটি ছিল বড় ধরনের একটি অভিযান।

তিনি বলেন, অনুসন্ধানের সময় যে অদ্ভুত শব্দ শোনা গিয়েছিল, সে শব্দের কোনো ব্যাখ্যা দাঁড় করানো যায়নি। তবে আমরা এবার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ যে, জলদানব লক নেসের রহস্য উন্মোচন করতে পারবো।

এ বিষয়ে আমরা সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করবো। এ রহস্যময় জলদানব লক নেস সম্পর্কে যাদের ধারণা আছে, তাদের সহযোগিতা নেওয়া হবে। পল নিক্সন আরো বলেন, এবার আমরা খুবই উচ্ছ্বসিত যে, জলদানবকে খুঁজে পেতে নতুন ধরনের যন্ত্রপাতি ব্যবহার করবো।

স্কটল্যান্ডের ইনভার্নেসের কাছে এক বিশাল হ্রদের নাম ‘নেস’। স্কটিশ গেলিক ভাষায় হ্রদকে লক (Loch) বলা হয়। আর উচ্চারণ করা হয় ‘লক’। গ্রেট ব্রিটেনের স্বাদুপানির সবচেয়ে একক বৃহত্তম উৎস এ হ্রদটির আয়তন ২২ বর্গ কিলোমিটার, গভীরতা ৮০০ ফুটেরও বেশি। এই হ্রদেই দেখা মিলেছিল সত্যিকারের জলদানব ‘লক নেসের’।

;

স্টেডিয়ামে খেলা দেখার জন্য অফিসে মিথ্যা বলা, শেষ রক্ষা হয়নি তার!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বহুল প্রত্যাশিত ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) শুরু হয়েছে ২২ মার্চ থেকে। বিশ্বের নামিদামী সব খেলোয়াড়ের উপস্থিতি থাকায় বিশ্বজুড়ে এই লীগের চাহিদা তুঙ্গে। তাই এর দর্শক সংখ্যাও কত হতে পারে সেটা সহজেই অনুমেয়। যাদের সুযোগ সামর্থ্য থাকে তারা স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখেন আর যাদের সুযোগ না থাকে তারা টেলভিশনের পর্দায়ই বিনোদন খোঁজেন।

সম্প্রতি, এই লীগের একটি ম্যাচ স্টেডিয়ামে দেখতে গিয়ে অদ্ভুত এক কাণ্ডের জন্ম দিয়েছেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরের নেহা নামে এক নারী ভক্ত। ওইদিন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ও লখৌন সুপার জায়ান্টসের মধ্যে ম্যাচ চলছিল। সেই খেলা মাঠে বসে দেখতে তিনি পারিবারিক সমস্যার কথা বলে আগেই অফিস থেকে বের হয়ে যান।

তারপর যথারীতি সে মাঠে বসে খেলা উপভোগ করছিল। কিন্তু বিপত্তি বাঁধে অন্য জায়গায়। খেলা চলার এক পর্যায়ে তাকে টিভি স্ক্রিনে দেখতে পায় তার অফিসের বস।

পরে এই ঘটনাটির একটি ভিডিও তিনি তার ইন্সটাগ্রাম একাউন্টে শেয়ার করেন। সেখানে তিনি পুরো বিষয়টি নিয়ে খোলাসা করেন।

ওই ভিডিওতে নেহা বলেন, অফিস থেকে পারিবারিক সমস্যার কথা বলে মাঠে এসে খেলা দেখেছি। আমি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর একজন ভক্ত। কিন্তু টিভি স্ক্রিনে আমার বস আমাকে দেখে ফেলে। পরে তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করেছেন আমি কোন দলের সমর্থক হিসেবে খেলা দেখছি। আমি বলেছি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।

এরপর বস বলেন, তাহলে আপনি নিশ্চয় গতকাল খুব অসন্তুষ্ট ছিলেন। ওরা ফিল্ডিংয়ে একটি ক্যাচ মিস করার সময় আপনাকে খুব উদ্বিগ্ন চেহারায় দেখেছি। ১৬.৩ ওভারে যখন কিপার ক্যাচ মিস করলো, তখন।

হাতেনাতে ধরা পড়ে যাওয়ার পর নেহা স্বীকার করে নেন, ওটা তিনিই ছিলেন। বলেন, হ্যাঁ, অনুজ রাওয়াত ক্যাচ মিস করেছিল।

এরপর নেহার বস বলেন, মাত্র কয়েক সেকেন্ডের জন্য ক্যামেরায় আপনাকে দেখিয়েছিল। আর তাতেই আমি চিনে ফেলেছি। তাহলে এটাই ছিল গতকাল দ্রুত বেরিয়ে যাওয়ার কারণ।

এরপর তিনি একটি হাসির ইমোজি দিয়ে কথপোকথন শেষ করেন।

ভিডিওটি শেয়ার করার পর রাতারাতি সেটি ভাইরাল হয়ে যায়।

পোস্টের নিচে অনেকেই নিজেদের অভিমত ব্যক্ত করেছেন।

একজন লিখেছেন, এটা ঠিক আছে। ম্যানেজারের উচিত কর্মচারীকে স্বাধীনতা প্রদান করা। যাতে সে সত্য বলতে পারে বা নিজের জীবনকে স্বাধীনভাবে উপভোগ করতে পারে।

আরেকজন লিখেছেন, আপনাকে এর জন্য চাকরি থেকে বরখাস্ত করা উচিত। একে তো আপনি অফিস থেকে মিথ্যা কথা বলে বের হয়েছে আবার নিজেদের ব্যক্তিগত কথা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেছেন।

;