দরবেশের সাম্রাজ্যে ‘দ্য সোর্ড অব টিপু সুলতান’



জিয়াউল গনি সেলিম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বঙ্গদেশে একদা শাসনভার আসিয়া পড়িয়াছিল নামের অধুনালুপ্ত দুটি দলের ওপর। দুইটি আলাদা দল হইলেও ভোটাভুটির পর গাঁট বাঁধিয়া তাহারা রাজসিংহাসনে সমাসীন হইলো। ক্ষমতার পালাবদলে সাথে সাথে সরকারি নানা প্রতিষ্ঠানও দখলে নামিলেন তাহাদের দাসগণ। ইহার ব্যতিক্রম ঘটে নাই মতিহারেও। মাত্র কিছুদিনের তফাতে মহামান্য নতুন ফরমান জারি করিলেন। এই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন উজিরে আজম নিযুক্ত করা হইলো ফারুকিয়াকে। ক্ষমতা লইয়াই তিনি মনোনিবেশ করিলেন, অনুগত পারিষদ গঠনের দিকে। এরপর মহারানীকে খুশি রাখিতে সর্বান্তকরণে উঠিয়া পড়িয়া লাগিলেন। এভাবেই শুরু হইলো ফারুকিয়া আমল।

স্বাধীন রাষ্ট্রে অবাধ স্বাধীনতা ভোগ করিবেন ফারুকি-ইহাই পণ করিয়া বসিলেন।  কারণ, মহারানীর দরবারে সেই মুচলেকা পেশ করিবার পরেই ক্যাম্পাসে শাসনকর্তা রূপে তাহার পর্দাপণ ঘটিয়াছিল। মসনদে অধিষ্ঠিত হইবার পরই মহারানীর পদদলে নিজের তখত মজবুত করিতে মনোযোগী হইলেন ফারুকী। দলীয় পায়েক-পেয়াদা থেকে শুরু করে অধ্যাপক বানানোর কারখানায় পরিণত হইলো বিশ্ববিদ্যালয়টি। দলে দলে অধ্যাপক হইলেন অধ্যাপকদের উত্তরসূরিরা। এক্ষেত্রে মতিহার প্রাঙ্গণের রেওয়াজ মানিয়া চলিলেন তিনিও। যখন যে দলের উজির-নাজির নিযুক্ত হইয়াছে, সকলেই এই একটি কর্মেই চরম নৈপূণ্য দেখাইয়াছেন। মুখে মুখে রটনা রহিয়াছে-অর্থ, তৈল ও জুতা ক্ষয় করিয়া কোনো রকমে একবার রাজকর্মচারী নিযুক্ত হইতে পারিলেই তাহার চৌদ্দগোষ্ঠিকে আর ভাতের ভাবনা ভাবিতে হয় না। বংশপরম্পরায় এই সুযোগ আসিতেই থাকে।

একদিন প্রাতঃকালে আগের মতই পূর্ব আকাশে সূর্য উদিত হইলো। কিন্তু সহসাই মতিহারের উদ্যানে দলে দলে জড়ো হইবার হিড়িক পড়িয়া গেল। আকাশে বাতাসে ধ্বনিত হলো-বিনা নোটিশে ৫৪৪জন রাজকর্মচারী নিযুক্ত করিয়াছে ফারুকিয়া প্রশাসন। এই খবরে চটিয়া গেলেন প্রাসাদেও বাইরে থাকা সিপাহীরা। তাহারা বিদ্রোহ শুরু  করিলেন। বিদ্রোহীদের  প্রধান সেনাপতির ভূমিকায় অবতীর্ণ হইলেন সত্যবাদী যুধিষ্ঠির খ্যাত সোবহানিয়া। সেই আমলে তাহার খুব বেশি নামডাক না থাকিলেও ৫৪৪ রাজকর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করিবার চেষ্টার সংগ্রামে তিনি অসামান্য অবদান রাখিয়াছিলেন। যদিও  শেষ অবধি  সফল হইতে পারেন নাই তিনি।

ফারুকিয়ার দুধের প্রতি আসক্তি ছিল। রাতের বেলা দুগ্ধ পান না করিলে ঘুম আসিতো না তাহার। নিজের শরীর-মন সতেজ ও লাবণ্যময় রাখতে নির্ভেজাল ও টাটকা দুগ্ধ পাইবার উদ্যোগ লইলেন। হৃষ্টপুষ্ট দেখিয়া অস্ট্রেলিয়ান গাভী কিনিলেন। সরকারি প্রাসাদের ভেতরেই তিনি গাভী পোষার বন্দোবস্ত হইলো। সরকারি বেতনভুক্ত  কয়েকজন পায়েক-পেয়াদা গাভীটির খেদমতে আত্মনিয়োগ করিলেন। যখন গাভীন হইলো তখন খুশি আর ধরে না তাহার মনে। দুগ্ধ পানের জন্য আর তর সহেনা তাহার। তাই যতœ-আত্তিও বাড়িয়া গেল। শীতকালে গাভীন গাইকে ঠা-া রোগ হইতে পারে। এমন ভাবিয়া কুসুম কুসুম গরম পানি খাওয়ানোর আদেশ জারি করিলেন। গরম পানির এন্তেজাম করিতে কয়েক লাখ টাকা বিদ্যুৎ খরচ করিলেন রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে। পত্রিকায় খবর বেরোলো। হইচই পড়িলো। কিন্তু কিছুই হইলো না।

তবে ক্ষান্ত হন নি ফারুকিয়া। তাহার দরবারে চা খাওয়ার রেওয়াজ চালু ছিল। চা খাইতে খাইতে যে পরিমাণ বিল ভাউচার জমা পড়িল, তাহা দেখিয়া চক্ষু চড়কগাছে উঠিলো কোষাধ্যক্ষের। পরে চা কা- তদন্তে কমিটিও গঠিত হইলো। কিন্তু কর্তার দুর্নীতি তদন্ত করিবার সাহস রাখে কোন কর্মচারী!

কালের পরিক্রমায় সুদিন হারাইলেন ফারুকিয়া। রাষ্ট্র ক্ষমতায় পালাবদল ঘটিল। মতিহারের আম্রকাননের মঞ্জুরির মিষ্টি সুবাস চর্তুদিকে ছড়াইতে শুরু করিল। ভাগ্য সুপ্রসন্ন হইলো সোবহানিয়ারও। এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান শাসনকর্তা নিযুক্ত হইলেন তিনি। ফারুকিয়া আমলের ঘোরতর বিরোধী সোবহানিয়া তাহারই পদাঙ্ক অনুসরণ করিলেন। একই কায়দায় কাটিয়া গেল চারটি বছর। তাহার বিদায়ে যেন সকলেই হাঁফ ছাড়িয়া বাঁচিলেন।

ইতোমধ্যে ইস্তেফা দিয়া অন্দরমহলে চলিয়া গেলেন তিনি। সকলেই মনে মনে ভাবিলেন, কাজেকর্মে এন্তেজাম দিতে গিয়া বড়ই পেরেশান হইয়া উঠিয়াছিলেন। তাই স্ত্রী-সন্তানদিগণের সাথে আমোদ-প্রমোদে বাকি জীবন কাটাইয়া দেবেন। সত্যি সত্যি আল্লাহর রাস্তায় মেহনতও শুরু করলেন তিনি। বহুত ফায়দায় আকাঙ্ক্ষায় মাঝে মাঝে খোদার দিদার লাভে নিরুদ্দেশও হতে লাগিলেন। 

সিংহাসন খালি। সকলেই ভাবিয়াছিলেন, এইবার বুঝি নূতন পণ্ডিত নিযুক্ত হইবেন এই বিদ্যাপীঠে। স্বরূপ ফিরিবে মতিহারের সবুজপ্রান্তরে। কলকাকলিতে মুখর হইবে বিদ্যার্থীরা। প্রণয়ের স্বপ্ন দেখিবে তরতর করে বেড়ে ওঠা তরুণ-তরুণীরা। কিন্ত সবাইকে তাক লাগাইয়া ইতিহাসের মহানায়ক রুপে আবির্ভাব ঘটিল এক দরবেশের। চতুর্দিকে রব ছড়াইয়া গেল, মহামান্যকে ধোঁকা দিয়া প্রাসাদ দখল করিয়াছেন তিনি। কেহ কেহ বলিতে লাগিলেন, সততার নজরানা হিসেবে স্বপদে ফিরিয়াছেন তিনি। বেশভূষায় দরবেশী রূপ ধরিয়া আবারো অধিপতির আসনে বসিলেন সোবহানিয়া।

দ্বিতীয় মেয়াদে আসিয়া কাহাকেও আর পরোয়া করিলেন না তিনি। দ্বিগুণ তেজে জ্বলিয়া উঠিলেন। রবীন্দ্রভক্ত ছিলেন। তাই কবিগুরুর কাব্যসমগ্র তাহার বুকসেলফে শোভা পাইতে লাগিল। একা একা মুখস্ত করিতে লাগিলেন রবীন্দ্রবাণী। বক্তৃতা-বিবৃতিতেও কেবল তাহাই আওড়াতেন। নিজেকে যুধিষ্ঠির প্রমাণে পুরস্কার ঘোষণাও করিলেন। তাহার কণ্ঠেই মতিহারে দালানে দালানে ধ্বনিতে হইতে লাগিলো কবির বাণী অমর কবিতাখানি-

‘রূপ নারাণের কূলে জেগে উঠিলাম/জানিলাম এ জগৎ স্বপ্ন নয়

রক্তের অক্ষরে দেখিলাম/ আপনার রূপ/ চিনিলাম আপনারে

আঘাতে আঘাতে/ বেদনায় বেদনায়

সত্য যে কঠিন,

কঠিনেরে ভালোবাসিলাম/সে কখনো করে না বঞ্চনা

কবির এই অমৃত বচন মনেপ্রাণে ধারণ করিলেন দরবেশ। কঠিন কঠিন কাজকে সত্যরূপে প্রতিষ্ঠিত করিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টারি করিবার যোগ্যতা নিচে নামাইয়া আনিলেন। প্রমাণ করিলেন, একবিংশ শতাব্দীতে শিক্ষা-দীক্ষার ধার ধারার প্রয়োজন কী! বাপজান বা শ্বশুর আব্বা মাথার ওপরে থাকিলে পুত্র, কন্যা, জামাই, ভ্রাতা, ভ্রাতুষ্পুত্র বা  স্ত্রীকূলে থাকা আদরের শ্যালক-শ্যলিকা সবাই পাক্কা যোগ্যতাবান। 

দরবেশের স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ গেল কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষের নিকট। উচ্চ আদালতে রিট হইলো। তদন্ত কমিটিও গঠন করিলো শিক্ষা মন্ত্রক। নিয়োগের বহন আর না বাড়াইতে নিষেধাজ্ঞা জারি হইলো। কিন্তু কিছুতেই দরবেশের লাগাম টানিয়া ধরা গেল না।

এরপর দরবেশ সোবহানিয়ার বিরুদ্ধে মাথা চাড়া দিলো বিদ্রোহ। তাহার সাম্রাজ্য পতনের প্রত্যয় গ্রহণ করিয়া যে ক'জন অভিযান শুরু করিবার সাহস দেখাইয়াছিলেন, তাদের অগ্রনায়ক টিপু সুলতান। তখন প্রতিদিন সন্ধ্যায় শত শত সৈন্য জড়ো হইতেন লাউঞ্জে। আর ধোঁয়া ওঠা কড়া লিকারের চায়ের সাথে তাস পেটাইতে পেটাইতে দরবেশের পতনের যুদ্ধে শহীদী তামান্না জাহির করিতেন।

কিন্তু সকালে যখন যুদ্ধের ডাক আসিতো, তখন সিপাহীদের কাহারো কাহারো শরীরে জং ধরিয়া যাইতো। কাহারো শরীরখানা ম্যাজ ম্যাজ করিতো। কেহ মর্নিং ওয়াকে বাহির হইতেন। কেহবা পতœীগণের মায়া ত্যাগ করিয়া আসিতে পারিতেন না। আবার কেহ কেহ টিপুকে ফোনে বলিতেন, ‘ভয় পাইয়েন না। আমরা যুদ্ধের জন্য বুকডাউন দিতে দিতে বেহুঁশ হইয়া পড়িতেছি।  যুদ্ধ শুরু হইলেই আমরা সর্বাগ্রে ঝাঁপাইয়া পড়িবো’।

দরবেশের প্রতনের প্রস্তুতির জন্য প্রতিদিন প্যারিস ময়দানে সৈন্যসমাবেশ ঘটাইতেন টিপু সুলতান। কিন্তু মাঠে তাহার সেপাইদের উপস্থিতি ছিল নগণ্য।  হাতে গোনা কয়েকজনই পিটি প্যারেডে আসিতেন টিপু সুলতানের ডাকে। তাতে দমিবার পাত্র ছিলেন না টিপু। টিপুর এহেন কা- দেখিয়া আড়ালে আবডালে হাসাহাসি করিতেন আর লুটোপুটি খাইতেন তার শিবিরেরই লোকজন। অনেকেই টিপুকে 'পাগল' বলিয়া আখ্যা দিতেও কুণ্ঠিতবোধ করলেন না।

একদিন প্রাতঃকালে সত্যি সত্যি যুদ্ধ শুরু হইয়া গেল প্যারিস ময়দানে। দরবেশ সোবহানিয়া তখন প্রাসাদে। উপায়ান্তর না পাইয়া পারিষদবর্গকে তলব করিলেন। বসিলেন মন্ত্রণালয়।

এইদিকে, দরবেশ বাহিনী রণসজ্জিত হইয়া রাজপ্রাসাদের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান লইলো। এসময় আত্মসমর্পণের আহ্বান জানাইতে হাজির হইলেন লড়াকু টিপু সুলতান। তাহার সাথে হাতেগোনা কয়েকজন সহচর।  কিন্তু দরবেশ আত্মসমর্পণে অস্বীকার করায় বাজিয়া উঠিল যুদ্ধের দামামা।

টিপুর লোমশ বুকে গুলি চালাইতে উদ্যত হইলো দরবেশের পোষ্যরা। বুক পাতিয়া দিলেন টিপু। তবে এই অসীম সাহসের পরীক্ষায় পিছু হটিতে বাধ্য হইলো দরবেশের বাহিনী। পরিস্থিতি আঁচ করিয়া রাজ-কর্মচারীদের পাহারায় প্রাসাদ ছাড়িয়া পলাইলেন দরবেশ সোবহানিয়া। ক্ষুদ্র বাহিনী লইয়াই দরবেশকে পরাজিত করলেন টিপু। এই অসীম সাহসিকতা জন্য তিনি সোবহানিয়া রাজ্যে ‘দ্য সোর্ড অব টিপু সুলতান’ খেতাব অর্জন করিলেন।

এরপর কিছুদিন গুমোট পরিস্থিতির মধ্য দিয়া চলিয়া গেল। চারিদিকে কানাকানি শুরু হইল। লোকজনের মনে নানা কৌতূহলের উদয় হইল। কে- পরবর্তী শাসনকর্তার আসনে অধিষ্ঠ হইতেছেন-এ নিয়াও নানা গুঞ্জন রটিল। অবশেষে কিছুদিন পর মতিহারের আম্রকাননের মাথার ওপরে নতুন সূর্য উদিত হইল। মহামান্য ফরমান পাঠাইলেন, টিপু সুলতানই পরবর্তী যোগ্য উত্তরাধিকার...

লেখক: সাংবাদিক, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের আন্তর্জাতিক সদস্য  ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাব

ইমেইল: [email protected]

   

সুন্দরবনের জল-জঙ্গলের রূপকথা



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
খুলনার দাকোপ উপজেলার সুন্দরবন ঘেঁষা গ্রাম নলিয়ান/ছবি: নূর এ আলম

খুলনার দাকোপ উপজেলার সুন্দরবন ঘেঁষা গ্রাম নলিয়ান/ছবি: নূর এ আলম

  • Font increase
  • Font Decrease

ওপাড়ে ঘন বন জঙ্গল, মাঝখানে শিবসা নদী আর এপাড়ে বাঁধের ধারের জমিতে সারিবদ্ধ ঝুলন্ত বাড়ি। জঙ্গলে হেঁটে বেড়ায় চিত্রা হরিণ, নদীর ডাঙ্গায় দেখা মেলে ভোঁদরের। সবুজভাব নদীতে ডিঙি নৌকায় জীবিকার সন্ধানে মাছ ধরে ঝুলন্ত বাড়ির বাসিন্দা। সবমিলে যেন জল-জঙ্গলের রূপকথা।

দৃশ্যটি খুলনার দাকোপ উপজেলার সুন্দরবন ঘেঁষা গ্রাম নলিয়ানের। এখানে জল-জঙ্গলের সঙ্গে মানুষের বসবাস। সুন্দরবনের সৌন্দর্য ও উপকূ্লের তাণ্ডব সহ্য করা নলিয়ানকে ক্যামেরাবন্দি করেছেন বার্তা২৪.কম-এর ফটো এডিটর নূর এ আলম।

শিবসা নদীর বাঁধের পাশে নলিয়ান। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এখানকার মানুষের জীবন চলে ঝুঁকি নিয়ে/ছবি: নূর এ আলম


শিবসা নদীর বাঁধের পাশে নলিয়ান। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এখানকার মানুষের জীবন চলে ঝুঁকি নিয়ে। ঘূর্ণিঝড় আইলার প্রলয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়া এখনকার বাসিন্দারা এখনও মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি।

জোয়ারের পানির সমান উঁচু খুঁটির ওপর মাচা পেতে বানানো হয়েছে ঘর/ছবি: নূর এ আলম


নিজের বসতভিটা হারানোর পর ঠাঁই হয়েছে বাঁধের ধারের জমিতে। সেখানেও ঘর বানানোর মতো আর মাটি অবশিষ্ট নেই। ফলে জোয়ারের পানির সমান উঁচু খুঁটির ওপর মাচা পেতে বানানো হয়েছে ঘর।

এক একটি ঘর দাঁড়িয়ে আছে নড়বড়ে খুঁটির ওপরে/ছবি: নূর এ আলম


তাই এক একটি ঘর দাঁড়িয়ে আছে নড়বড়ে খুঁটির ওপরে। মোটামুটি মাঝারি ঝড় হলেই ঘরগুলোর ব্যাপক ক্ষতি হয়।

নলিয়ানবাসীর দিনতিপাত করেন মাছ ধরে এবং সুন্দরবনে জীবিকার সন্ধান করে/ছবি: নূর এ আলম


নলিয়ানবাসীর দিনতিপাত করেন মাছ ধরে এবং সুন্দরবনে জীবিকার সন্ধান করে। সুন্দরবনে জেলেরা দিনে রাতে মাছ ধরে, তারা দিন-রাতের হিসাব করে না।

 শিবসায় ঝাঁপি জাল ফেলে মাছ ধরছেন জেলে/ছবি: নূর এ আলম


 শিবসায় ঝাঁপি জাল ফেলে মাছ ধরেন তারা। কিনারা দিয়ে কাদায় হাঁটা বেশ কষ্টসাধ্য ব্যাপার।

নারীরাও মাছ ধরতে সুন্দরবনের কাঁদামাটিতে নেমে যান ঠ্যালা জাল নিয়ে/ছবি: নূর এ আলম


এরপরও নারীরাও মাছ ধরতে সুন্দরবনের কাঁদামাটিতে নেমে যান ঠ্যালা জাল নিয়ে। অনেক জেলে ডিঙি নৌকায় করে শিবসায় ঘুরে মাছ শিকার করেন।

জেলেরা ডিঙি নৌকায় করে শিবসায় ঘুরে মাছ শিকার করেন/ছবি: নূর এ আলম


বর্ষায় শিবসার জলে ডুবে থাকা নলিয়ানের এক ঘর থেকে আরেক ঘরে যাওয়ার জন্য এই ডিঙি নৌকাগুলো ব্যবহার করা হয়।

শিবসা নদী/নূর এ আলম


নলিয়ানে উপকূলের বৈরী আবহাওয়ার সঙ্গে যুদ্ধ করা চিত্র শুধু নয়, রয়েছে সুন্দরবনের নৈসর্গিক প্রকৃতি। শিবসার অপার সৌন্দর্য।

গাছে গাছে সাদা বকের উড়াউড়ি/ছবি: নূর এ আলম


নদীর পাড়ে চোখে পড়ে ঘন গাছপালার সবুজ বন। যাতে চোখ জুড়িয়ে আসে।

হোগলা পাতার ঝিরি ঝিরি শব্দ/ছবি: নূর এ আলম


যেখানে রয়েছে হোগলা পাতার ঝিরি ঝিরি শব্দ। গাছে গাছে সাদা বকের উড়াউড়ি, ভেসে আসে পাখির কিচিরমিচির। 

নলিয়ান পর্যটন কেন্দ্রে জঙ্গলের ভেতরে লোহার ব্রিজ/ছবি: নূর এ আলম


পর্যটকদের জন্য জঙ্গল ভেদ করে তৈরি করা লোহার ব্রিজ। পর্যটকরা সুন্দরবনে হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্ত হলে এই ব্রিজে হেলেন দিয়ে প্রকৃতির গন্ধ মেখে নেয়।

জঙ্গলে হরিণ খুনশুটিতে ব্যস্ত/ছবি: নূর এ আলম


সুন্দরবনের প্যাঁচেপ্যাঁচে কাঁদায় হেঁটে যেতে যেতে হঠাৎ দেখা মিলে হরিণের দলের সঙ্গে। জঙ্গলে তারা তখন নিজেদের মধ্যে খুনশুটিতে ব্যস্ত।

মায়াবী চোখে তাকিয়ে হরিণ/ছবি: নূর এ আলম


এরই ফাঁকে মায়াবী চোখ নিয়ে তাকিয়ে দেখে দু’পা বিশিষ্ট মানুষের দিকে। আড় চোখে তাকায় গাছের ডালে ঝুলে থাকা বানরের দলও। তারা সারাদিন বনে দৌড়ঝাঁপ করে।

বানরের দৌঁড়ঝাপ/ছবি: নূর এ আলম


নলিয়ানের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়। শিবসা নদীতে কুমিরও ভেসে ওঠে।

নদীর তীরে দেখা মেলে বিলুপ্তিপ্রায় প্রাণী ভোঁদরের/ছবি: নূর এ আলম


জনশ্রুতি আছে, কুমির আর মানুষের মধ্যে মাঝে মাঝে যুদ্ধও হয়।

 শিবসা নদীতে কুমিরও ভেসে ওঠে। জনশ্রুতি আছে, কুমির আর মানুষের মধ্যে মাঝে মাঝে যুদ্ধও হয়/ছবি: নূর এ আলম

বড় বড় ঘূর্ণিঝড় যারা মোকাবিলা করা নলিয়ানের কাছে কুমির আর এমন কি! সব কিছু তোয়াক্কা করে জীবন যুদ্ধে বেঁচে থাকাটাই বড় বিষয় তাদের কাছে!

;

ইতিহাসে ২৮ মার্চ: বর্ণবাদের প্রতিবাদে কিংয়ের পক্ষে ২৫ হাজার মানুষ



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
বর্ণবাদের বিরুদ্ধে মিছিলে নামেন মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র

বর্ণবাদের বিরুদ্ধে মিছিলে নামেন মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র

  • Font increase
  • Font Decrease

মানব ইতিহাস আমাদের অতীতের কথা বলে। আজ যা কিছু বর্তমান তার ভিত্তি তৈরি হয়েছিল আমাদের অতীতের কারণেই। সেই অতীতের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলো ছাপ রেখে যায় ইতিহাসের পাতায়।  

আজ ২৮ মার্চ, ২০২৪। ইতিহাসের পাতা ওল্টালে দেখঅ যাবে, আজকে ঘটেছিল নানা ঐতিহাসিক ঘটনা। জেনে নেয়া যাক, কি ঘটেছিল আজকের তারিখে!

*মার্টিন লুথার কিং ছিলেন বর্ণবাদের বিপরীত আন্দোলনকারী আফ্রিকান নেতা। ১৯৬৫ সালে তিনি কৃষ্ণাঙ্গদের প্রতি বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামেন। সেখানে ২৫ হাজারেরও বেশি মানুষ তাকে সমর্থন করে মিছিলে নেমেছিলেন আজকের তারিখে। এই বিক্ষোভ পরবর্তীতে আলাবামায় জাতি, ধর্ম বা বর্ণ নির্বিশেষে সমান অধিকার তৈরিতে বিশেষ প্রভাব ফেলেছিল।    

*যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়ায় থ্রি মাইল আইল্যান্ড পারমাণবিক কেন্দ্রে ১৯৭৯ সালে পানির পাম্প ভেঙে দুর্ঘটনা ঘটে। সেখান থেকে চারপাশে তেজস্ক্রিয় বাষ্প এবং আয়োডিন ছড়াতে শুরু করে। নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্টে কর্মরত ৫০০ জন কর্মী এই বাষোপর সংস্পর্শে আসায় শারীরিক সমস্যার আশঙ্কায় ছিল। আমেরিকার জনগণ এই ঘটনায় দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হয়ে পড়ে।  

*১৯৮৬ সালে অ্যাচেসন এবং লিলিয়েনথাল পারমারবিক শক্তি সম্পর্কিত একটি রিপোর্ট তৈরি করেন। সেখানে আন্তর্জাতিকভাবে পারমাণবিক শক্তির নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনা উল্লেখ করেন তারা। ২৮ মার্চ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট তাদের সেই রিপোর্টটি প্রকাশ করে।

*হিলসবোরো দুর্ঘটনায় প্রায় ১শ লোকের প্রায় গিয়েছিল ১৯৯১ সালে। শেফিল্ডে পিষ্ট হয়ে ৯৬ জন লিভারপুল ফুটবল সমর্থক নিহত হন। এছাড়া আরও দেড় শতাধিক ভক্ত আহত হন। এই বিপর্যয়ে আদালতের রায়ে অসন্তুষ্ট ছিল নিহতদের পরিবার। তাই, আজকের তারিখে তারা রায়ের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছিল।

*১৯৩৬ সালে শুরু হওয়া স্পেনের গৃহযুদ্ধ ১৯৩৯ সালের ২৮ মার্চ শেষ হয়েছিল।

;

তালপাতার পাখায় ঘোরে সংসারের চাকা



মাহবুবা পারভীন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বগুড়া
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আঁকাবাঁকা রাস্তার দুই ধারে দাঁড়িয়ে আছে সারি সারি তালগাছ। যা দেখে মনে পড়ে যায় রবী ঠাকুরের কবিতা ‘তালগাছ এক পায়ে দাঁড়িয়ে, সব গাছ ছাড়িয়ে, উঁকি মারে আকাশে।’ বলছি বগুড়ার কাহালু উপজেলার আড়োলা গ্রামের কথা। বর্তমানে গ্রামটি তাল পাখার গ্রাম নামে পরিচিত। এই গ্রামে প্রবেশ করতেই দেখা যায় নারী-পুরুষ সবাই তালপাতা দিয়ে পাখা বানানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। গরমে তালপাতার পাখার বাতাস গা জুড়িয়ে যায়।

বগুড়ার কাহালু উপজেলার পাইকড় ইউনিয়নের পাশাপাশি দুটি গ্রাম। একটির নাম যোগীরভবন, অপরটি আড়োলা আতালপাড়া। ইতোমধ্যে গ্রাম দুটি পাখার গ্রাম হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।

সম্প্রতি গিয়ে দেখা যায়, দুটি গ্রামে একেক পাড়ায় একেক ধরনের পাখা তৈরি হয়। যোগীরভবন গ্রামে নারীরা তৈরি করেন হাতলপাখা বা ডাঁটপাখা। আর আড়োলা আতালপাড়ায় তৈরি হয় ঘোরানো পাখা বা ঘুন্নী পাখা আর পকেট পাখা। পাখা তৈরির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন দুটি গ্রামের সব নারী। শীতের শেষে বসন্তকালে, অর্থাৎ ফাল্গুন মাস থেকে পাখা তৈরির কাজ শুরু হয়।

পাখা তৈরিতে ব্যস্ত নারী

গ্রামে প্রবেশ করতেই চোখে পড়ে বাড়ির উঠানে রং তুলির আঁচড়ে ঘুরানো পাখা রাঙিয়ে তুলছেন সখিনা বেগম। রাঙানো পাখা বাঁধায় করছেন গোলজার। বাঁধা হয়ে গেলে পাখাটি বিক্রি করবেন তিনি।

হাতপাখার গ্রামে এবার ২০ লাখ পাখা বিক্রির প্রস্তুতি চলছে। এই পাখা চৈত্র মাস থেকে ভাদ্র মাস পর্যন্ত বিক্রি হবে।

গ্রামের নারী-পুরুষ, শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধরা অবসর সময়ে পাখা তৈরির কাজ করেন। বংশ পরম্পরায় এই দুই গ্রামের মানুষ তালপাখা তৈরির কাজ করে আসছেন বলে জানান গ্রামের বাসিন্দারা। গরমে ঘনঘন লোডশেডিংয়ের কারণে দিন দিন বাড়ছে পাখার চাহিদা, সেই সঙ্গে বাড়ছে পাখা তৈরির কাজের পরিধি।

আড়োলা গ্রামের খন্দকার বলেন, দাদার আমল থেকে তারা তাল পাতা দিয়ে হাতপাখা তৈরির কাজ করে আসছেন। কৃষি কাজের পাশাপাশি তালপাখা তৈরির কাজ করেন তিনি। তার স্ত্রীও সংসারের কাজের ফাঁকে রঙের আচর দিয়ে তাল পাখার সৌন্দর্য বৃদ্ধির কাজ করে থাকেন। আকরাম আকন্দ বলেন, গত বছর তিনি পাখা বিক্রি করে সংসার খরচ বাদে এক লাখ টাকা সঞ্চয় করেছেন। তার মতে গত বছর দুই গ্রাম থেকে ১৫ লাখ তালপাখা বিক্রি হয়েছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। এবার চাহিদা বাড়ায় ২০ লাখ পাখা বিক্রি হবে বলে তিনি জানান।

জানা যায়, তালগাছের পাতা (স্থানীয় ভাষায় তালের ডাগুর) দিয়ে তিন ধরনের পাখা তৈরি হয়। স্থানীয়ভাবে নাম দেয়া হয়েছে- পকেট পাখা, ঘুরানী পাখা এবং ডাগুর পাখা।

পাখা তৈরিতে তালের পাতা ছাড়াও বাঁশ, সুতা এবং লোহার তার প্রয়োজন হয়। পাখা তৈরির পর বিভিন্ন রঙের আচর দিয়ে সৌন্দর্য বাড়ানো হয়। ১০ টাকায় কেনা তাল গাছের একটি পাতা বা ডাগুড় দিয়ে তৈরি হয় বড় পাখা বা ডাগুর পাখা ২টি, ঘুরানী পাখা ৪টি এবং পকেট পাখা ৬টি।

তালপাতার পাখা

পাখা তৈরির কারিগর জানান, বছরের আশ্বিন মাস থেকে শুরু হয় বাঁশ এবং তালপাতা সংগ্রহের কাজ। এরপর বাঁশ ছোট ছোট আকারে কাটতে হয়। তালপাতাও কেটে পাখা তৈরির উপযোগী করা হয়। ফাল্গুন মাস পর্যন্ত চলে পাখা তৈরির কাজ। চৈত্র মাসের শুরু থেকে পাখার সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য বাহারি রঙ করে বিক্রয় উপযোগী করা হয়।

রাজধানী ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, রংপুর, সৈয়দপুর, কুড়িগ্রাম, নীলফামারি থেকে শুরু করে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যাপারীরা আসেন তালপাখা কিনতে।

যোগীর ভবন গ্রামের মামুনুর রশিদ বলেন, তিনি প্রতি বছর ১৭ থেকে ১৮ হাজার ডাগুর পাখা তৈরি করেন। এই পাখাগুলো বরিশাল, সিরাজগঞ্জ, নওগাঁসহ বিভিন্ন জেলায় বিক্রি হয়। গত বছরের তুলনায় এ বছর পাখার চাহিদা বেশি বলে জানান মামুনুর রশিদ। তিনি বলেন, একটি তাল পাতা বা ডাগুরের দাম ১০ টাকা হলেও বাঁশ ও রঙের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে খরচ বেড়ে গেছে।

আতাইল পাড়া গ্রামের পারভীন, মর্জিনা, সাবিনা, বেবি, সুমি জানান, তারা প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০টি হাত পাখা তৈরি করে বিক্রি করেন। বছরের ছয় মাস সংসারের কাজের ফাঁকে হাতপাখা তৈরির কাজ করে তারা বাড়তি আয় করছেন। এইসব নারীরা তাদের সৌখিন জিনিস কিনে থাকেন নিজের টাকায়।

পকেট পাখা ১১ টাকা, ঘুরানী পাখা ২০ টাকা এবং ডাগুর পাখা ৩০ টাকা দরে ব্যাপারীরা পাইকারি কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। তারা আবার বিভিন্ন মেলা কিংবা হাটে বাজারে খুচরা বিক্রেতার কাছে বিক্রি করছেন।

গরমের সময় বিদ্যুতের লোডশেডিং বেড়ে যাওয়ার কারণে হাতপাখার চাহিদা বাড়ছে বলে পাখা কিনতে আসা ব্যাপারী করিম জানান। শহর এবং গ্রামে তীব্র গরম থেকে একটু প্রশান্তি পেতে ধনী-গরিব সবাই হাত পাখার ব্যবহার করে আসছেন যুগ যুগ ধরে।

;

ইতিহাসে ২৭ মার্চ:স্পেনে জোড়া বিমান সংঘর্ষে নিহত ৫৮৩



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
স্পেনে জোড়া বিমান সংঘর্ষে নিহত ৫৮৩

স্পেনে জোড়া বিমান সংঘর্ষে নিহত ৫৮৩

  • Font increase
  • Font Decrease

সময় এবং নদীর স্রোত কারো জন্য অপেক্ষা করে না। সময়ের সাথে বছরের পর বছর কেটে যায়। বর্তমান হয় অতীত। তার সাথেই তৈরি হয় ইতিহাসের। মানব সভ্যতায় ঘটে যাওয়া ইতিহাস হয়ে থাকে জাতির কাছে স্মরণীয়। প্রতি বছর যখন ক্যালেন্ডারে একই তারিখগুলো ফিরে আসে, মানুষ পুরনো ঘটনার স্মৃতিচারণ করে।

আজ ২৭ মার্চ, ২০২৪। বিগত বছরগুলোতে এই তারিখে ঘটা অনেক ঘটনা হয়েছে স্মৃতিতে অমলিন। ইতিহাসের পাতায় জুড়ে গেছে নতুন নতুন ঘটনা। চলুন জেনে নিই,আজকের তারিখে কি ঘটেছিল!    

১৯৭৭ সালে স্পেনে টেনেরিফ বিমান দুর্ঘটনা ঘটে। ডাচ এয়ারলাইনের সেই দুর্ঘটনায় কাউকেই জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। রানওয়েতে দু’টো জেট বিমানের সংঘর্ষে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। সেখানে উৎপন্ন বিধ্বংসী দাবানলে সর্বমোট ৫৮৩ জনের মৃত্যু নিশ্চিত হয়।

বিশাল এক ঢেউয়ের আঘাতে ১৯৮০ সালে উত্তর সাগরের প্ল্যাটফর্ম ধসে পড়ে। রিগটি ডান্ডি থেকে ২৩৫ মাইল পূর্বে সেই আবাসন প্ল্যাটফর্ম দুর্ঘটনায় ১২৩ জন শ্রমিক মারা যান।

১৯৮৯ সালে সোভিয়েত সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই নির্বাচনে কমিউনিটি পার্টির অনেক রাশিয়ান উচ্চতর কর্মকর্তা পরাজিত হন। তৎকালীন সময়ে এই ঘটনাকে একটি বিদ্রোহ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছিল।     

১৯৬৩ সালে ব্রিটেনে রেললাইন কম ব্যবহৃত হওয়ার কারণে অর্থনৈতিকভাবে বিপুল ক্ষতি হয়। তাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় মোট রেলব্যবস্থার এক-চতুর্থাংশ সেবা কমিয়ে দেওয়া হবে। এই নিয়ে সুদূরপ্রসারী একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছিল ২৭ মার্চ।

তথ্যসূত্র: বিবিসি

;