আবার আসিবো ফিরে



নোমান মিয়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

৫৬৩ দিন!  মাসের হিসেবে ১৮ মাসেরও অধিক! দেখা হয় না দুচোখ দিয়ে ক্লাসরুম, ফুডকোর্ট, টং, শহীদ মিনার, হলের ক্যান্টিন, এক কিলো, লাইব্রেরি, ক্যাফেটেরিয়া আরো কত কি! খেলা হয় না হ্যান্ডবল গ্রাউন্ডে ও  সেন্ট্রাল ফিল্ডে, যোগ দেওয়া হয় না বিভিন্ন সাংস্কৃতি অনুষ্ঠানে, শিখা হয় না টিচার ও সিনিয়রদের কাছ থেকে নতুন নিয়ম কলা-কৌশল। শুনিনা এখন আর আড্ডায় বসে কবি বন্ধুর নতুন কবিতা, হয় না আর সিনিয়র জুনিয়র একসাথে আড্ডা, বৈশ্বিক রাজনীতি  ও পরিস্থিতি নিয়ে বিতর্ক,  মিডনাইটে বার্বিকিউ পার্টি। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের সময়টা  ফ্যাকাশে বর্ণের রং ধারণ করে একই জায়গায় স্থির।  দূরে থেকেও বন্ধুবান্ধবদের সাথে ভার্চুয়াল মাধ্যমে যোগাযোগ থাকায় কিছুটা সময় কাটে আনন্দঘন স্মৃতিপটে।  অতীতের সেই সোনালী সময়গুলোর স্মৃতিচারণায় গুনতে থাকি প্রহর।

কলেজের গন্ডি পেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা নিতান্তই একটা সংগ্রাম,ত্যাগ- তিতিক্ষার নাম। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার সেই স্বপ্ন যখন বাস্তবে রূপায়িত হয়, ঠিক তখনই বেজে উঠে মর্মর, বেদনাহত ধ্বনি।  সেই মর্মের ধ্বনিটা কোনো অশনি সংকেত নয়। তা প্রিয়জনদেরকে ছেড়ে দূরে থাকার বেদনা, পুরনো বন্ধুবান্ধবদেরকে ছেড়ে নতুনদের খোঁজার সঠিক দিগন্তের উন্মোচন করা । মনে সংশয় ঘটে, আমি কি পাবো নতুনদেরকে আমার সেই পুরনো বন্ধুবান্ধবের মতো, পারবো কি না নতুন পরিবেশে নিজেকে খাপ খাওয়াতে। কেমন হবে ক্লাস, কেমন হবে টিচারদের সহানুভূতি,  চালাতে পারবো কি নিজেকে আমার মতো এক অজপাড়াগাঁয় থেকে বেড়িয়ে আসা ছেলে বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলা বিদ্যালয়ের সাথে! নানান সংশয় আচ্ছাদিতো চিন্তাভাবনা। 

এসব অনিশ্চিত চিন্তাভাবনা নিঃশেষ হয়েছে শিক্ষক, সিনিয়র, বন্ধুসুলুভ সহপাঠীদের উপস্থিতিতে। সময় কেটেছে ক্যাম্পাসে মাত্র ৪৫ দিন। কিন্তু ক্যাম্পাস মনে হয়েছে চিরচেনা। ক্যাম্পাসে আসা আমার মতো বন্ধুরা বিশ্ববিদ্যালয়কে বানিয়ে নিয়েছে দ্বিতীয় পরিবার। আমিও এর ব্যতিক্রম নই। পরিচিতি হয়েছি বৈচিত্র্যতায় পূর্ণ এক মেলবন্ধনের সাথে । 

সকাল আটটায়  ক্লাসে উপস্থিত না থাকলে, স্যার পরে ঢুকতে দিবেনা, এই ভয়ে ঘুমের রাজ্য ভূমিকম্প হতো আটটা বাজার অনেক আগেই। শীতের সকালটা কেটেছে  ক্যাম্পাসের নির্মলতার সাথেই। সকালের সূর্যের বর্ণীল রশ্মী রাঙিয়ে দিতো ক্যাম্পাসকে। এ রূপ মনে প্রস্ফুটিত করেছে নতুন আশা ও স্বপ্নের। তাই ক্যাম্পাস যেনো হৃদয়ের গভীরে পুঁথিত এক সদ্য রোপিত বীজ। এই স্নিগ্ধতা মহীরুহে পরিণত হবে অনাগত দিনগুলোতে। 

ক্লাস শেষে সিনিয়র ভাইদের ট্রিট, ব্যাচমেটদর সাথে আড্ডা, গ্রপিং সেলফি, পুরো ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস দিয়ে দলবেঁধে স্টেডিয়ামে খেলা দেখতে যাওয়া এ যেনো কিছুই মনে হইনি। কারণ তৃষার্ত আত্মা এগুলো উপভোগ করে যেনো আরও চাই বলে বলে অস্থির। 

ডিপার্টমেন্টের খেলা!  এ যেনো আরেক উপভোগ অধ্যায়ের নাম। অন্য ডিপার্টমেন্টের সাথে খেলা হলেই, এ যেনো নেমে এল নির্বাচনী মিছিল পুরো বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে। জয় পেলে তো একটা স্লোগানই কানে বাজে আমাদের ডিপার্টমেন্টই সেরা! সেরা!

হলের ডাইনিং এর খিচুড়িটা সকালে খুব জমতো। ক্লাসের যাওয়ার আগে না খেয়ে গেলে স্যারের লেকচারটাই যেন অতৃপ্তি লাগতো। দুপুরের দিকে ক্যাফেটেরিয়ায় বসে চায়ে চুমুক দিয়ে বন্ধুদেরকে নিয়ে হতো একরাশ মশকারা । আমারও শেষ রক্ষা হতো না তাদের সেই চায়ের আসরের হাসি-তামাশায়-ঠাট্টায়। 

দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা বন্ধুরা সত্যেই চমকে দেওয়ার মতো। 

শুরুর দিকে ক্যাম্পাসে ব্যাচমেটদের মধ্যে বিরাজ করতো ভাষার বৈচিত্রতা। সিলেটি, নোয়াখালী, রংপুর, বরিশাল, ভোলা, কক্সবাজর, সিরাজগঞ্জ, রাজশাহী, চাপাইনবাবগঞ্জ, ভোলা এইসব এলাকার বন্ধুরা চমকে দিতো আঞ্চলিক কথায় ও গানে।

সহপাঠীদের কারও বার্থডে হলে তার উপর দিয়ে যেতো সুনামির নতুন আগ্রাসন। কেক ফ্লেভার থেকে রেহাই পেতোনা তার অবয়ব, রক্ষা হত না তার মানিব্যাগের। খাওয়া চলতো দিনভর।

ক্লাসের সিআর (ক্লাস রিপ্রেজেন্টেটিভ) সে ছিলো আর একটা দমকা হাওয়া। সবাই যখন ক্লাস করার ধৈর্য্য সহকারে বসে আছে ঠিক সেই সময় সে শুনিয়ে দিতো স্যারের ব্যস্ততার কথা। বেচারা সিআর!  কি আর করবে সব দখল সহ্য করতে হয় তাকেই। 

ক্যাম্পাসের সেই ৪৫ দিনই ছিলো নতুন পরিবেশ, পরিস্থিতি, নিয়ম-কানুন,নতুন অভিজ্ঞতা। নিত্যনিতুন কিছু সংরক্ষিত হতো ব্যাক্তিগত নোটবুকের  তারিখ খচিত পৃষ্ঠাতে। 

মহামারীর কঠিন সময়টা বদলে দিলো অনেক কিছু। নানান সম্পর্কের হয়েছে পরিবর্তন। এখনও যোগাযোগ হয়, দেখা হয় ক্যাম্পাসকে। কিন্তু প্রত্যক্ষভাবে নয়, গুগল, ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জার, ওয়াটসএপ এর মতো   সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ও খবরের কাগজে। দেখি কিন্তু নেই সেই পুরনো চাঞ্চল্যতা। 

তবে ক্যাম্পাস আবার খুলবে, আবার সেই পুরনো স্মৃতিগুলোর সাথে নতুন কিছুর সম্মিলন ঘটবে, সেই প্রতীক্ষায় গুনছি প্রহর। নোটবুকের বাকী পৃষ্ঠা গুলোতে লিপিবদ্ধ হবে নতুন কোনো অজানা দৃশ্যপট।ক্যাম্পাসের নীরবতা ও ভূতুরে পরিবেশে প্রাণ ফিরাতে আমরা আবার আসিবো ফিরে। আবার আসিবো ফিরে নতুনদেরকে বরণ করে নিতে। আবার আসিবো ফিরে কালের স্বাক্ষী হয়ে। 

তাই গাইতেই হয় বন্ধনার গান-

 

          আবার আসিবো ফিরে এই অঙ্গনে

           মেলবন্ধনের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করিতে

           যা হয় নি বলা, হয় নি করা ঐ কদিনে। 

           আবার আসিবো ফিরে ওই হলের ক্যান্টিনে

           খিচুরির সাথে ডিম ভাজিটা ডালের সাথে মিশাতে

           আবার আসিবো ফিরে আড্ডার আসরে

           কে কি করেছে তা নিয়ে নতুন সুর বাঁধিতে। 

           আবার আসবো ফিরে ওই রাতের ল্যাম্পপোস্টের নিচে

           নতুন পরিকল্পনার বীজ রোপন করিতে। 

           আবার আসিবে ফিরে প্রান ফিরিয়ে দিতে

            আমার প্রিয়ো ক্যাম্পাসকে।

লেখক: শিক্ষার্থী, পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগ, ১ম বর্ষ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি)

   

মস্তিস্কেও ঢুকে যাচ্ছে প্লাস্টিক



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
মস্তিস্কেও ঢুকে যাচ্ছে প্লাস্টিক

মস্তিস্কেও ঢুকে যাচ্ছে প্লাস্টিক

  • Font increase
  • Font Decrease

বর্তমান পৃথিবী প্লাস্টিকময়। ছোট বড় থকে প্রায় সবরকম কাজে প্লাস্টিকের ব্যবহারের আধিক্য। তবে এই প্লাস্টিক অজৈব পদার্থে তৈরি হওয়ার কারণে সহজে পচনশীল নয়। বিভিন্ন স্থানে জমে থাকার কারণে এসব পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর।  শুধু পরিবেশ নয়, হার্ট, মগজ, সব জায়গাতেই নাকি ঢুকে রয়েছে প্লাস্টিক। সম্প্রতি এক গবেষণায় এমনটাই জানা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, হার্টের নানা রোগ, মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাঁধার পিছনেও এই প্লাস্টিকগুলির অবদান রয়েছে বলে জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।

সময়ের বিবর্তনে প্লাস্টিক বিভিন্ন আঘাতের কারণে ক্ষয় হয়ে ক্ষুদ্র আকার ধারণ করে। ৫ মিলিমিটারের চেয়ে ছোট আকারের প্লাস্টিককে মাইক্রোপ্লাস্টিক বলে। দিন দিন পরিবেশে মাইক্রোপ্লাস্টিকের পরিমাণ বেড়ে চলেছে। ইতোমধ্যে সমুদ্রে বিপুল পরিমাণে মাইক্রোপ্লাস্টিক দূষণ সৃষ্টি করেছে। পরিবেশের বিভিন্ন প্রাণী তাদের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তবে দিন দিন এই মাইক্রোপ্লাস্টিকের আধিপত্য বেড়েই চলেছে। এমনকি মানব শরীরেও মাইক্রোপ্লাস্টিকের অস্তিত্ব পাওয়া যাচ্ছে। এক গবেষণায় মস্তিস্কে মাইক্রোপ্লাস্টিক পাওয়া গেছে।

ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে নিউ ম্যাক্সিকোর এনভয়রনমেন্টাল হেলথ পারসপেক্টিভ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয় খাদ্য, পানি এমনকি বায়ুর মাধ্যমেও শরীরে প্রবেশ করে। এসব ক্ষুদ্র প্লাস্টিক কণা আমাদের স্নায়ুবিক নানান অনুভূতির উপরেও মাইক্রো প্লাস্টিক প্রভাব ফেলে।

রক্ত প্রবাহের কারণে তা শরীরের বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণ করে বেড়ায়। শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোতে তা জমা থেকে স্বাভাবিক কাজকর্মে বাধা প্রদান করে। বৃক্ক, লিভার, হৃদপিণ্ডের রক্তনালি ছাড়াও সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় মস্তিষ্ক। মাইক্রোপ্লাস্টিক এসব অঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলতে পারে। 

ডাক্তার ইয়াতিন সাগভেকার বলেন দৈনন্দিন নানা কাজের মধ্যেই শরীরে মাইক্রোপ্লাস্টিক প্রবেশ করে। তবে পারে তা ত্বক, প্রশ্বাসের বায়ু বা ইনজেশনের মাধ্যমে।     

তিনি আরও বলেন, শুধুমাত্র ২০ মাইক্রোমিটারের চেয়ে ছোট মাইক্রোপ্লাস্টিক শরীরে প্রবেশ করতে পারার কথা। এছাড়া ১০ মাইক্রোমিটার আকারের গুলো মস্তিষ্কের সুক্ষ্ম কোষের ঝিল্লির অতিক্রম করতে সক্ষম হওয়া উচিত।

প্লাস্টিক পরিবেশ্ম প্রানি এমনকি মানুষের জন্যও অনেক ক্ষতিকর। তাই সকলের উচিত যতটা সম্ভব প্লাস্টিক বর্জন করা। পাশাপাশি প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি জিনিসের ব্যবহার বাড়ানো।

;

খাবারের পর প্লেট ধোয়া কষ্ট? তাহলে এই কৌশল আপনার জন্য!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

খাওয়ার বিষয়ে সবাই পটু। কিন্তু খাওয়ার পর থালা বাসন ধোয়াকে অনেকেই কষ্টকর কাজ মনে করেন। তাই দেখা যায় খাওয়ার পর অপরিষ্কার অবস্থায়ই থেকে যায় থালা বাসনগুলো। এবার এই কষ্ট কমাতে এক অভিনব কৌশল বেছে নিয়েছেন এক ব্যক্তি।

সম্প্রতি এমন এক ভিডিও নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি। 

হর্ষ গোয়েনকা নামে ভারতের এক শিল্পপতি তাঁর এক্স হ্যন্ডেলে (সাবেক টুইটার) ভিডিওটি শেয়ার করেন। এতে দেখা যায়, থালাবাসন পরিষ্কারের কাজ এড়াতে এক ব্যক্তি মজার এক কৌশল নিয়েছেন। এতে দেখা যায়, এক ব্যক্তি খাবার রান্না করছেন। খাবার আগে তিনি প্লাস্টিক দিয়ে প্লেট, চামচ ও পানির গ্লাস মুড়িয়ে নিচ্ছেন।

শেয়ার করে তিনি মজাচ্ছলে লিখেছেন, "যখন আপনার থালা-বাসন ধোয়ার জন্য পর্যাপ্ত পানি থাকে না..."।

ভিডিওটি শেয়ার করার পর মুহূর্তেই সেটি ভাইরাল হয়ে যায়। ভিডিওটি অনেক বিনোদনের জন্ম দিয়েছে। যদিও কেউ কেউ প্লাস্টিকের মোড়ককে হাস্যকর মনে করেন এবং এর ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

এক্স ব্যবহারকারী একজন লিখেছেন, 'পানি সংরক্ষণ ও পুনর্ব্যবহার করা হল মন্ত্র হল এমন কৌশল! তবে প্লাস্টিকের ব্যবহার নতুন করে ভাবাচ্ছে।'

অন্য একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, 'আমি আমার হোস্টেলের দিনগুলিতে এটি করেছি। আমাদের পানি সরবরাহ ছিল না এবং বারবার ধোয়ার কষ্টে এমন কৌশল নিয়েছি।'

আরেক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘মনে হচ্ছে বেঙ্গালুরুতে পানি–সংকটের সমাধান হয়ে যাচ্ছে।’

;

জলদানব ‘লক নেস’কে খুঁজে পেতে নাসার প্রতি আহ্বান



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রহস্যময় জলদানব জলদানব ‘লক নেস’কে খুঁজে পেতে নাসার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে লক নেস সেন্টার। ২০২৩ সালের এই রহস্যময় প্রাণীর শব্দের উৎস ও একে খুঁজে পেতে হাইড্রোফোন ব্যবহার করা হয়েছিল।

স্যার এডওয়ার্ড মাউন্টেনের ৯০তম অভিযানের অংশ হিসেবে আগামী ৩০ মে থেকে ২ জুন পর্যন্ত এই ‘লক নেস মনস্টার’কে খুঁজে পেতে অনুসন্ধান চালানো হবে।

রহস্যময় এই ‘লক নেস মনস্টার’কে ১৯৩৪ সালে প্রথম দেখা যায়। এ পর্যন্ত ১ হাজার ১শ ৫৬ বার দেখা গেছে বলে লক নেস সেন্টার সূত্রে জানা গেছে।

এ বিষয়ে লক নেস সেন্টারের এমি টোড বলেছেন, আমরা আশা করছি, এই রহস্যময় জলদানবকে খুঁজে পেতে মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার গবেষকেরা আমাদের সহযোগিতা করবেন। তারা আমাদের জলদানবকে খুঁজে পেতে যথাযথ নির্দেশনা দেবেন এবং এ বিষয়ে সব কিছু জানাতে সাহায্য করবেন।

তিনি বলেন, আমাদের অভিযানের বিষয়ে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছি। আমরা আশা করছি, নাসার উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে আমরা জলদানব বিষয়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজে পাবো।

রহস্যময় জলদানব খুঁজে পেতে স্বেচ্ছাসেবকের ভূপৃষ্ঠ থেকে যেমন নজর রাখবেন, তেমনি পানির ভেতরে অভিযান চালানোর বিষয়ে তাদেরকে নির্দেশনা দেওয়া হবে। রহস্যময় জলদানবকে খুঁজে পেতে ১৯৭০ দশক ও ১৯৮০ দশকের যে সব তথ্যচিত্র লক নেসের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে, সেগুলো যাচাই করে দেখা হবে।

তারপর জলদানব সম্পর্কে স্বেচ্ছাসেবকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেবেন লক নেসের পরিচালক জন ম্যাকলেভারটি।

এ নিয়ে গবেষকদের নিয়ে একটি অনলাইন বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে। যারা রহস্যময় এই জলদানবকে সচক্ষে দেখেছেন, তারাও এ লাইভ বিতর্কে অংশ নেবেন।

নেস হৃদ

যে হ্রদে জলদানব অবস্থান করছে বলে জানা গেছে, অভিযানের অভিযাত্রী দল নৌকায় করে সেখানে যাবেন। এসময় তাদের সঙ্গে থাকবেন গভীর সমুদ্রে অনুসন্ধানকারী দলের ক্যাপ্টেন অ্যালিস্টার মাথিসন। তিনি লক নেস প্রজেক্টে একজন স্কিপার হিসেবে কাজ করছেন। তার সঙ্গে থাকবেন ম্যাকেন্না।

অনুসন্ধান কাজে ১৮ মিটার (৬০ ফুট) হাইড্রোফোন ব্যবহার করা হবে। এটি দিয়ে রহস্যময় শব্দের প্রতিধ্বনি রেকর্ড করা হবে।

দ্য লক নেস সেন্টার ড্রামনাড্রোচিট হোটেলে অবস্থিত। ৯০ বছর আগে অ্যালডি ম্যাককে প্রথম রিপোর্ট করেছিলেন যে তিনি একটি জলদানব দেখেছেন।

লক নেস সেন্টারের জেনারেল ম্যানেজার পল নিক্সন বলেছেন, ২০২৩ সালে নেসিকে খুঁজে পেতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ফ্রান্স, ইতালি, জাপানসহ আরো অনেক দেশ অনুসন্ধান কাজে অংশ নিয়েছিল। এটি ছিল বড় ধরনের একটি অভিযান।

তিনি বলেন, অনুসন্ধানের সময় যে অদ্ভুত শব্দ শোনা গিয়েছিল, সে শব্দের কোনো ব্যাখ্যা দাঁড় করানো যায়নি। তবে আমরা এবার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ যে, জলদানব লক নেসের রহস্য উন্মোচন করতে পারবো।

এ বিষয়ে আমরা সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করবো। এ রহস্যময় জলদানব লক নেস সম্পর্কে যাদের ধারণা আছে, তাদের সহযোগিতা নেওয়া হবে। পল নিক্সন আরো বলেন, এবার আমরা খুবই উচ্ছ্বসিত যে, জলদানবকে খুঁজে পেতে নতুন ধরনের যন্ত্রপাতি ব্যবহার করবো।

স্কটল্যান্ডের ইনভার্নেসের কাছে এক বিশাল হ্রদের নাম ‘নেস’। স্কটিশ গেলিক ভাষায় হ্রদকে লক (Loch) বলা হয়। আর উচ্চারণ করা হয় ‘লক’। গ্রেট ব্রিটেনের স্বাদুপানির সবচেয়ে একক বৃহত্তম উৎস এ হ্রদটির আয়তন ২২ বর্গ কিলোমিটার, গভীরতা ৮০০ ফুটেরও বেশি। এই হ্রদেই দেখা মিলেছিল সত্যিকারের জলদানব ‘লক নেসের’।

;

স্টেডিয়ামে খেলা দেখার জন্য অফিসে মিথ্যা বলা, শেষ রক্ষা হয়নি তার!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বহুল প্রত্যাশিত ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) শুরু হয়েছে ২২ মার্চ থেকে। বিশ্বের নামিদামী সব খেলোয়াড়ের উপস্থিতি থাকায় বিশ্বজুড়ে এই লীগের চাহিদা তুঙ্গে। তাই এর দর্শক সংখ্যাও কত হতে পারে সেটা সহজেই অনুমেয়। যাদের সুযোগ সামর্থ্য থাকে তারা স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখেন আর যাদের সুযোগ না থাকে তারা টেলভিশনের পর্দায়ই বিনোদন খোঁজেন।

সম্প্রতি, এই লীগের একটি ম্যাচ স্টেডিয়ামে দেখতে গিয়ে অদ্ভুত এক কাণ্ডের জন্ম দিয়েছেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরের নেহা নামে এক নারী ভক্ত। ওইদিন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ও লখৌন সুপার জায়ান্টসের মধ্যে ম্যাচ চলছিল। সেই খেলা মাঠে বসে দেখতে তিনি পারিবারিক সমস্যার কথা বলে আগেই অফিস থেকে বের হয়ে যান।

তারপর যথারীতি সে মাঠে বসে খেলা উপভোগ করছিল। কিন্তু বিপত্তি বাঁধে অন্য জায়গায়। খেলা চলার এক পর্যায়ে তাকে টিভি স্ক্রিনে দেখতে পায় তার অফিসের বস।

পরে এই ঘটনাটির একটি ভিডিও তিনি তার ইন্সটাগ্রাম একাউন্টে শেয়ার করেন। সেখানে তিনি পুরো বিষয়টি নিয়ে খোলাসা করেন।

ওই ভিডিওতে নেহা বলেন, অফিস থেকে পারিবারিক সমস্যার কথা বলে মাঠে এসে খেলা দেখেছি। আমি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর একজন ভক্ত। কিন্তু টিভি স্ক্রিনে আমার বস আমাকে দেখে ফেলে। পরে তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করেছেন আমি কোন দলের সমর্থক হিসেবে খেলা দেখছি। আমি বলেছি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।

এরপর বস বলেন, তাহলে আপনি নিশ্চয় গতকাল খুব অসন্তুষ্ট ছিলেন। ওরা ফিল্ডিংয়ে একটি ক্যাচ মিস করার সময় আপনাকে খুব উদ্বিগ্ন চেহারায় দেখেছি। ১৬.৩ ওভারে যখন কিপার ক্যাচ মিস করলো, তখন।

হাতেনাতে ধরা পড়ে যাওয়ার পর নেহা স্বীকার করে নেন, ওটা তিনিই ছিলেন। বলেন, হ্যাঁ, অনুজ রাওয়াত ক্যাচ মিস করেছিল।

এরপর নেহার বস বলেন, মাত্র কয়েক সেকেন্ডের জন্য ক্যামেরায় আপনাকে দেখিয়েছিল। আর তাতেই আমি চিনে ফেলেছি। তাহলে এটাই ছিল গতকাল দ্রুত বেরিয়ে যাওয়ার কারণ।

এরপর তিনি একটি হাসির ইমোজি দিয়ে কথপোকথন শেষ করেন।

ভিডিওটি শেয়ার করার পর রাতারাতি সেটি ভাইরাল হয়ে যায়।

পোস্টের নিচে অনেকেই নিজেদের অভিমত ব্যক্ত করেছেন।

একজন লিখেছেন, এটা ঠিক আছে। ম্যানেজারের উচিত কর্মচারীকে স্বাধীনতা প্রদান করা। যাতে সে সত্য বলতে পারে বা নিজের জীবনকে স্বাধীনভাবে উপভোগ করতে পারে।

আরেকজন লিখেছেন, আপনাকে এর জন্য চাকরি থেকে বরখাস্ত করা উচিত। একে তো আপনি অফিস থেকে মিথ্যা কথা বলে বের হয়েছে আবার নিজেদের ব্যক্তিগত কথা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেছেন।

;