বুর্জ খলিফার পর এবার নজর কাড়বে মুন দুবাই!



তোফায়েল আহমেদ (পাপ্পু), দুবাই করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বুর্জ খলিফার পর এবার নজর কাড়বে মুন দুবাই!

বুর্জ খলিফার পর এবার নজর কাড়বে মুন দুবাই!

  • Font increase
  • Font Decrease

পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু ভবন বুর্জ খলিফা। এমনিতেই বিশ্বজোড়া তার আকর্ষণ। পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ সংযুক্ত আরব আমিরশাহির দুবাই। আর এই দুবাইয়েরই অন্যতম আকর্ষণ বুর্জ খলিফা। যা ইদানীং অসংখ্য পর্যটককে এ শহরে টেনে আনে। এবার সেই আকর্ষণ সম্ভবত বহুগুণ বাড়তে চলেছে। এবার দুবাইয়ে চাঁদের আদলে রিসোর্ট নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে। সেখানে গেলে চন্দ্রপৃষ্ঠে ভ্রমণের অনুভূতি পাওয়া যাবে।

অ্যারাবিয়ান বিজনেসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কানাডিয়ান আর্কিটেকচারাল কোম্পানি মুন ওয়ার্ল্ড রিসোর্টস ইনকর্পোরেটেড (এমডব্লিউআর) দ্বারা ৫ বিলিয়ন ডলারের প্রকল্পটি প্রস্তাব করা হয়েছে, যার নাম হবে মুন দুবাই।

মুন ওয়ার্ল্ড রিসোর্ট ইনকরপোরেশন প্রতিষ্ঠানটির সহপ্রতিষ্ঠাতা স্যান্দ্রা ম্যাথিউজ ও মাইকেল হেন্ডারসন জানান, প্রস্তাবিত রিসোর্টের ভবনের উচ্চতা হবে ৭৩৫ ফুট বা ২২৫ মিটার। অর্থাত প্রায় ৬০ তলা অট্টালিকার সমান উঁচু। প্রায় ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ হতে পারে। আগামী ৪ বছরের মধ্যে এর কাজ সম্পূর্ণ হবে।


সংযুক্ত আরব আমিরাতের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রায় ২০০ মিটারের অধিক উচ্চতাসম্পন্ন এ টাওয়ারের বাইরে অংশটি দেখতে হুবহু চাঁদের মতোই হবে। চাঁদের মতোই গোলাকার এই রিসোর্টটির ব্যাস হবে ১৯৮ মিটার। ভেতরের সমতল চাকতির মতো করে গড়ে তোলা হবে। লুনার সারফেস ঘিরে থাকবে লুনার কলোনি। যেখানে দর্শনার্থীরা জিরো র্গ্যাভিটিতে হাঁটার মতো অভিজ্ঞতা পাবেন। এমনকি পরিবেশবান্ধব স্থাপনাটিতে নভোচারীদের প্রশিক্ষণের জন্য থাকবে স্কাই ভিলা। এই চাঁদ রিসোর্ট নির্মাণ করতে কার্বন ফাইবার ব্যবহার করার পাশাপাশি নিজস্ব বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য মূল কাঠামোতে সোলার সেলও সংযুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

মুন ওয়ার্ল্ড রিসোর্টের বিশেষ সুবিধা হচ্ছে, দর্শনার্থীরা সেখানে এসে চাঁদের পিঠে ভ্রমণের মতো অনুভূতি পাবেন। কারণ, সেখানে লুনার কলোনি নামের একটি স্থান থাকবে। সেখানে বছরজুড়ে ২৫ লাখ ভ্রমণকারী চন্দ্রপৃষ্ঠে ভ্রমণের আস্বাদ নিতে পারবেন। দুবাইয়ের মুন ওয়ার্ল্ড রিসোর্টে স্কাই ভিলা থাকবে। আনুমানিক ৩০০টি 'স্কাই ভিলা' ইউনিট কেনার জন্য উপলব্ধ হবে এবং তাদের ক্রেতারা একটি বিশেষ প্রাইভেট মেম্বার ক্লাবের সদস্য হবেন। লুনার কলোনি বা 'চন্দ্র উপনিবেশ', সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) বৃহত্তম শহরটিতে অতিথিদের 'সাশ্রয়ী মূল্যের মহাকাশ পর্যটন' অনুভব করতে সহায়তা করবে।

প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চাঁদের আদলে নির্মিত বিলাসবহুল অভিজাত এই রিসোর্টে প্রতিবছর এক কোটি দর্শনার্থী ভ্রমণ করতে পারবেন। দর্শনার্থীদের জন্য রিসর্টে থাকবে স্পা, নাইট ক্লাব, মিটিং রুম, লাউঞ্জ, থাকার জন্য রুমও। সেখানে আধুনিক ও অভিজাত সব সুযোগ-সুবিধা থাকবে। ভবনটি মহাকাশ প্রতিষ্ঠান ও নভোচারীরা প্রশিক্ষণের কাজে ব্যবহার করতে পারবেন। ভবনটির নকশা তৈরি ও নির্মাণে ব্যবহার করা হবে স্থাপত্য ও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সর্বাধুনিক কলাকৌশল ও প্রযুক্তি।

জানা যায়, প্রকল্পটি LEED (Energy and Environmental Design) গোল্ড এর সার্টিফিকেশন নিয়ে তৈরি হচ্ছে। হেন্ডারসন বলেছেন, পর্যটন, বাণিজ্যিক, আবাসন ব্যবসা, আর্থিক সেবাপ্রতিষ্ঠান, বিমান চলাচল ও মহাকাশ, জ্বালানি সম্পদ, কৃষি, প্রযুক্তি, শিক্ষা-সহ সংযুক্ত আরব আমিরশাহির প্রতিটি ক্ষেত্রে মুন ওয়ার্ল্ড রিসোর্ট তাৎপর্যপূর্ণ প্রভাব ফেলবে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের অর্থনীতিতে মুন ওয়ার্ল্ড রিসোর্ট নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে আশা উদ্যোক্তাদের।

বিশেষজ্ঞদের মতে, দুবাইয়ের উন্নতির মূলে এতদিন অপরিশোধিত তেলের ব্যবসা ছিল। তবে এই স¤পদেরও একটি সীমা রয়েছে। আগামী দিনে অপরিশোধিত তেলের ভান্ডার শেষ হওয়া বা না হওয়ার কথা চিন্তা করে নিজেকে পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে বিশ্বসেরা করে তুলতে মরিয়া দুবাই।

সংযুক্ত আরব আমিরশাহির অর্থনীতিতে মুন ওয়ার্ল্ড রিসর্ট নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে আশা উদ্যোক্তাদের। দুবাই ছাড়াও ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা ও এশিয়ায় আরও তিনটি চাঁদের আদলে বিলাসবহুল রিসর্ট নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে এমডব্লিউআরে-এর। হেন্ডারসন বলেছেন, পর্যটন, বাণিজ্যিক, আবাসন ব্যবসা, আর্থিক সেবাপ্রতিষ্ঠান, বিমান চলাচল ও মহাকাশ, জ্বালানি সম্পদ, কৃষি, প্রযুক্তি, শিক্ষা-সহ সংযুক্ত আরব আমিরশাহির প্রতিটি ক্ষেত্রে মুন ওয়ার্ল্ড রিসর্ট তাৎপর্যপূর্ণ প্রভাব ফেলবে।

   

মাঝরাতে আইসক্রিম, পিৎজা খাওয়া নিষিদ্ধ করল মিলান!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: স্কাই নিউজ

ছবি: স্কাই নিউজ

  • Font increase
  • Font Decrease

আইসক্রিম, পিৎজা অনেকের কাছেই ভীষণ পছন্দের খাবার। তবে ইউরোপসহ পশ্চিমা দেশগুলোতে মাঝরাতে এসব মুখরোচক খাবার ও পানীয় খাওয়ার প্রবণতা বেশি দেখা যায়। ইতালিতে জেলাটিনের তৈরি আইসক্রিম খুব বিখ্যাত। এজন্য ইতালিতে 'জেলাটো সংস্কৃতি' নামে একটা কালচার গড়ে উঠেছে। সম্প্রতি ইতালির মিলানের বাসিন্দাদের জন্য একটি নতুন আইন প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রতিবেদন- স্কাই নিউজ।

মিলানে বসবাসকারীদের অধিকাংশই মাঝরাতে রাস্তায় ঘোরাঘুরি করে আইসক্রিম, পিৎজা, ফাষ্টফুড জাতীয় খাবার ও পানীয় পান করে থাকে। এতে করে সেখানকার এলাকাবাসীদের রাতের ঘুম বিঘ্নিত হয়। নতুন প্রস্তাবিত আইনে শহরবাসীর রাতের ঘুম নির্বিঘ্ন করতে মধ্যরাতের পর পিৎজা ও পানীয়সহ সব ধরনের টেকওয়ে খাবার নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

তবে মধ্যরাতের পর আইসক্রিম নিষিদ্ধ করার চেষ্টা এবারই প্রথম নয়। ২০১৩ সালে, তৎকালীন মেয়র গিউলিয়ানো পিসাপিয়া অনুরূপ ব্যবস্থা বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু 'অকুপাই জেলাটো' আন্দোলনসহ তীব্র প্রতিক্রিয়ার পরে তিনি এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন।

এরপর আবারও মিলানে এ আইনটি প্রস্তাব করেছেন ডেপুটি মেয়র মার্কো গ্রানেল্লি। দেশটির ১২টি জেলা এই প্রস্তাবের আওতাভুক্ত হবে বলে জানিয়েছে মিলান কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে মিলানের মেয়র গ্রানেল্লি বলেন, 'আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে সামাজিকতা ও বিনোদন এবং বাসিন্দাদের শান্তি ও প্রশান্তির মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা।

প্রস্তাবটি নিম্নলিখিত এলাকাগুলোতে প্রযোজ্য হবে বলে জানিয়েছে মিলান কর্তৃপক্ষ: নোলো, লাজারেটো, মেলজো, ইসোলা, সারপি, ভায়া সিজারিয়ানো, আরকো ডেলা পেস, কোমো-গাইআউলেন্টি, পোর্টা গ্যারিবল্ডি, ব্রেরা, টিসিনিজ এবং দারসেনা-নাভিগলি।

জানা যায়, প্রস্তাবটি মে মাসের মাঝামাঝি থেকে কার্যকর থাকবে এবং নভেম্বর পর্যন্ত চলবে। এটি প্রতিদিন রাত ১২.৩০ টায় এবং সাপ্তাহিক ছুটির দিন এবং সরকারী ছুটির দিনে রাত ১.৩০ টা থেকে প্রয়োগ করা হবে। তবে এ প্রস্তাবের বিরুদ্ধে নাগরিকদের মে মাসের শুরু পর্যন্ত আপিল করার এবং আইন পরিবর্তনের পরামর্শ দেওয়ার সময় রয়েছে।

 

 

 

;

অস্ট্রেলিয়ায় নিখোঁজ কুকুর ফিরলো যুক্তরাজ্যের মালিকের কাছে



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অস্ট্রেলিয়ায় ঘুরতে এসে নিখোঁজ হয় যুক্তরাজ্যের এক দম্পতির পালিত কুকুর। যুক্তরাজ্যে আসার ১৭ দিন পর মিলো নামের কুকুরটিকে ফিরে পেয়েছেন জেসন হোয়াটনাল নিক রোল্যান্ডস দম্পতি।

হোয়াটনাল এবং তার সঙ্গী নিক সম্প্রতি তাদের কুকুর মিলোকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া পরিদর্শনে যান। তারা যখন সোয়ানসিতে বাড়িতে যাচ্ছিলেন তখন মেলবোর্ন বিমানবন্দরে তার হ্যান্ডলার থেকে কুকুরটি পালিয়ে যায়।

সাড়ে পাঁচ বছর বয়সী কুকুরটিকে অবশেষে মেলবোর্নের শহরতলিতে ১৭ দিন পর খুঁজে পাওয়া যায়।


হোয়াটনাল স্কাই নিউজকে বলেন, ‘মিলোকে ফিরে পাওয়াটা খুবই আশ্চর্যজনক ছিল আমার জন্য। যখন আমি আমার প্রিয় মিলোর (কুকুর) সাথে পুনরায় মিলিত হয়েছিলাম, তখন আমি কান্নায় ভেঙে পড়েছিলাম। আমার কান্না দেখে অন্যরাও কেঁদেছিল। এটি সত্যিই আবেগপ্রবণ ছিল।

তিনি আরও বলেন, বিশ্বের অন্য প্রান্তে থেকে মিলোর কথা চিন্তা করে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলাম। আমরা জানতাম না মিলো কোথায় আছে। এটি বেশ হতাশাজনক ছিল আমাদের জন্য, কিছুটা আশা হারিয়ে ফেলেছিলাম। তাকে ফিরে পাবো ভাবিনি।

মিলোকে পাওয়ার জন্য সামাজিক মাধ্যমে জানিয়েছিলাম, তখন স্বেচ্ছাসেবকদের কাছ থেকে সাহায্য আসে, তারা মিলোর সন্ধান দেয়। মিলোকে আমাদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য তাদের ধন্যবাদ।

;

আমার হাতের পাখা যেন তাদের আরাম দিচ্ছে!



মৃত্যুঞ্জয় রায়, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: বার্তা২৪, তালপাতার পাখা বিক্রি করছে পাঁচ বছরের শিশু মাহমুদুল্লাহ

ছবি: বার্তা২৪, তালপাতার পাখা বিক্রি করছে পাঁচ বছরের শিশু মাহমুদুল্লাহ

  • Font increase
  • Font Decrease

আবু বক্কর (৬২)। বয়সের ভারে অসুস্থ হয়ে তিনি এখন পাকা বিক্রেতা। প্রচণ্ড তাপদাহে মানুষ যখন ঠান্ডা বাতাসের প্রশান্তি খুঁজছে, তখন তিনি গ্রামে গ্রামে গিয়ে তালপাতার পাখা বিক্রি করছেন।

আবু বক্কর বার্তা২৪.কমকে বলেন, স্ত্রীসহ ছয় মেয়ে নিয়ে আমার সংসার। তবে মেয়েদের বিয়ে দিতে পেরেছি। কিন্তু বয়সের ভারে ঠিকই আমরা একা থেকে গেলাম। শেষ বয়সে গ্রামে গ্রামে তালপাতা পাখা বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছি। শুধু সংসার না, এই টাকায় আমার পায়ের শিরার ব্যথার ওষুধও কিনতে হয়। একবেলা ওষুধ না খেলে চলতে পারি না।

এদিকে, পুরনো ব্যবসার ঋণের বোঝা আর অন্যদিকে অসুস্থ হয়ে ওষুধসহ সংসারের খরচ। শেষ বয়সে তালপাতার পাখাই আমার একমাত্র জীবনসঙ্গী বলেন আবু বক্কর।

তালপাতার পাখা বিক্রি করছেন আবু বক্কর, ছবি- বার্তা২৪.কম

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার কলাগাছি গ্রামের কবিগানের অনুষ্ঠানে সরেজমিন দেখা যায়, একপাশে তালপাতার পাখা বিক্রি করতে ব্যস্ত ছোট্ট পাঁচ বছরের শিশু মাহমুদুল্লাহ। এই গরমে যখন তার ঘরে থাকার কথা, তখন সে নানা-নানীর সঙ্গে এসে তালপাতার পাখা বিক্রি করছে। কবিগানে বসে থাকা সব শ্রোতার কাছে গিয়ে বলছে, পাখা লাগবে, পাখা! কথা বলতে চাইলেও এ পাশ ওপাশ দিয়ে চলে যাচ্ছে, ক্রেতার কাছে।

এক ফাঁকে তাকে কাছে পেয়ে জিজ্ঞাসা করা হয়, এই বয়সে পাখা বিক্রি করছো কেন! এ প্রশ্নের উত্তরে বার্তা২৪.কমকে মাহমুদুল্লাহ বলে, প্রচণ্ড গরমে স্কুল ছুটি। তাই, নানা-নানীর সঙ্গে চলে এসেছি মেলায় পাখা বিক্রি করতে। মানুষজন আমার কাছ থেকে যেন বেশি পাখা কেনে (ক্রয়), তাই আমি মেলায় তাদের সঙ্গে এসেছি।

অনেক উৎসাহের সঙ্গে সে বলে, গরমে আমার হাতের পাখায় যেন তাদের আরাম দিচ্ছে! মেলা হলে আমি সেখানে চলে যাই পাখা বিক্রি করতে। ঘোরাঘুরিও হয় আর টাকা ইনকামও হয়। টাকার জন্য বের হয়ে পড়েছি। আমরা পাখা বিক্রি করে পেট চালাই। নানা-নানী বুড়ো হয়ে গেছে। তাই, আমি সঙ্গে এসে তাদের কষ্টটাকে একটু ভাগাভাগি করে নিচ্ছি।

যেখানে প্রচণ্ড তাপে মানুষজন নাজেহাল, সেখানে ছোট্ট মাহমুদুল্লাহ ছুটে চলেছে এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে পাখা বিক্রি করতে। ছোট্ট শিশু হলেও গরম যেন তার কাছে কিছু না, পেটের তাগিদে!

আরেক পাখা বিক্রেতা তালা উপজেলার হরিণখোলা গ্রামের বাসিন্দা ভদ্রকান্ত সরকার (৭০)। ১২-১৪ বছর ধরে এই পেশায় আছেন তিনি।

চলছে তালপাতার পাখার বিকিকিনি, ছবি- বার্তা২৪.কম

শেষ বয়সে পাখা কেন বিক্রি করছেন এমন প্রশ্নের উত্তরে বার্তা২৪.কমকে ভদ্রকান্ত বলেন, চাল কিনে খেতে হয়। খুব কষ্টের সংসার! ছেলে-মেয়ে আছে। তারা তাদের মতো কাজ করে খায়। মা বাবার বয়স হয়ে গেলে ছেলে আর আমাদের থাকে না। আমরা বৃদ্ধ বয়সে কেমন আছি, সেটা জানার সুযোগ তাদের থাকে না। শেষজীবনটা এভাবে পাখা বিক্রি করে কাটিয়ে দেবো। কী আর করবো! কপালে যা আছে, শেষপর্যন্ত তাই হবে। কপালে ছিল, এমন বৃদ্ধ বয়সে গ্রামে গ্রামে পাখা বিক্রি করতে হবে!

;

৪ লাখ বছর আগে আদিম মানুষের যাত্রা শুরু



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত, নিউ সায়েন্টিস্ট থেকে

ছবি: সংগৃহীত, নিউ সায়েন্টিস্ট থেকে

  • Font increase
  • Font Decrease

৪ লাখ বছর আগে রাশিয়ার সাইবেরিয়া থেকে আদিম মানুষের যাত্রা শুরু হয়েছিল বলে নতুন এক গবেষণা থেকে জানা গেছে। এখান থেকে যাত্রা শুরু করে এই গোত্রের মানুষ পরে উত্তর আমেরিকায় পৌঁছে যায়।

নতুন এক গবেষণা জানাচ্ছে, সাইবেরিয়ায় নতুন একটি এলাকার সন্ধান পাওয়া গেছে, যেখানে ৪ লাখ ১৭ হাজার বছর আগে হোমিনিনস (Hominins) গোত্রের মানুষের উপস্থিতি ছিল। এই গোত্রের মানুষ ডিরিং ইউরিআখ এলাকায় বাস করতেন। সেখান থেকে তারা উত্তর আমেরিকায় পৌঁছে যায় বলে জানিয়েছেন চেক প্রজাতন্ত্রের এক গবেষক।

১৬ এপ্রিল চেক অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেসের গবেষক জন জেনসেন এক সংবাদ সম্মেলন করে নতুন এ তথ্য প্রকাশ করেন। গবেষণাবিষয়ক সংবাদ সাময়িকী নিউ সায়েন্সটিস্ট এ বিষয়ে একটি খবর প্রকাশ করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে জন জেনসেন বলেন, আমরা আগে যে ধারণা করতাম, তারও আগে থেকে হোমিনিনস গোত্রের মানুষ সাইবেরিয়ার ডিরিং ইউরিআখ এলাকায় বসবাস করতেন। ৪ লাখ ১৭ বছর আগে থেকেই তারা এই এলাকায় বসবাস করতে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাদের অবস্থান ছিল উত্তর অক্ষাংশে।

তিনি বলেন, আরেকটি আদিম গোত্রের মানুষের সন্ধান পাওয়া যায়, যারা আর্কটিক অঞ্চলে বাস করতেন। ৪৫ হাজার বছর আগে তাদের সন্ধান পাওয়া যায়নি।

 

;