মানুষ হিসেবে স্বীকৃতি পেল পর্বত
-
-
|

মানুষ হিসেবে স্বীকৃত পেল নিউজিল্যান্ডের একটি পর্বত
মানুষ হিসেবে স্বীকৃতি পেল নিউজিল্যান্ডের একটি পর্বত। নিউজিল্যান্ডের পার্লামেন্ট এক আইনের মাধ্যমে এ স্বীকৃতি প্রদান করে।
নিউজিল্যান্ড সরকার এবং মাওরি উপজাতির মধ্যে একটি চুক্তির প্রেক্ষিতে এ স্বীকৃতি দেওয়া হয়। উল্লেখ্য মাওরিরা ৮ হাজার ২৬১ ফুট উচ্চতার এই পর্বতকে নিজেদের পূর্বপুরুষ হিসেবে মান্য করে।

নতুন এই আইনে নিউজিল্যান্ডের তারানাকি পর্বতকে তারানাকি মাউঙ্গা হিসেবে নামকরণ করা হয়েছে। এটি একটি মাওরি শব্দ যার অর্থ এটি মানুষের সকল দায়িত্ব-কর্তব্য, ক্ষমতা এবং অধিকার প্রাপ্ত হবে।
আইনগতভাবে তারানাকি এবং পাশ্ববর্তী পর্বত ও ভূমিসহ এই অঞ্চলকে একটি জীবন্ত এবং প্রাণব্রন্ত গুহা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
নিউজিল্যান্ড সরকার মাওরিদের ৪ জন এবং রাষ্ট্রীয় পক্ষের ৪ সদস্যের মাধ্যমে একটি কমিটি গঠন করে। এই কমিটি পর্বতের জন্য একটি প্রবেশ পথ তৈরি করবে যা পর্বতের "মুখ ও কণ্ঠ" হিসেবে পরিচিত হবে। মাওরি উপজাতি এই পর্বতের সার্বিক দায়িত্বে থাকবে এবং এটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত হবে।
এ বিষয়ে চুক্তির নীতিমালা নির্ধারক পল গোল্ডস্মিথ বলেন, পর্বতটি দীর্ঘদিন ধরে সম্মান পেয়ে আসছে। মানুষের বিনোদন কেন্দ্র এবং আহারের উৎস হিসেবে এটি বিবেচিত।
১৮শ এবং ১৯শ শতাব্দীতে ঔপনিবেশকরা পর্বতটি মাওরি উপজাতির কাছ থেকে কেড়ে নেয়। ১৮৪০ সালে মাওরি উপজাতির প্রতিনিধি এবং ব্রিটিশ ক্রাউন এর প্রতিনিধিরা "ওয়েটাঙ্কি চুক্তি" স্বাক্ষর করেছিলেন, যেখানে মাওরিদের ভূমি এবং সম্পদের অধিকার রাখার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।
১৮৬৫ সালে চুক্তি ভঙ্গ করে ক্রাউন জোরপূর্বক মাওরিদের ভূমি দখল করে নেয়। এরপর প্রায় ১শ বছর মাওরিরা অধিকার বঞ্চিত হয়ে জীবনযাপন করে।
১৯৭০ এবং ৮০-এর দশকে উপজাতিরা আন্দোলনের মাধ্যমে পুনরায় তাদের ভাষা, সংস্কৃতি এবং অধিকারের স্বীকৃত লাভ করে।
২০২৩ সালে তানারাকি অঞ্চলের আটটি উপজাতির সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। যা "ওয়েটাঙ্কি চুক্তির" বিপরীতে বিলিয়ন ডলার মুল্যের সম্পত্তির সমস্যার সমাধান ছিল।