বর্ণিল বার্নিং ক্র্যাব ফেস্টিভ্যাল: ‘সাগর তীরে’ প্রাণের উচ্ছ্বাস
-
-
|

‘বার্নিং ক্র্যাব ফেস্টিভ্যাল’
যুক্তরাষ্ট্রের ব্ল্যাক রক সিটিতে হওয়া ‘বার্নিং ম্যান’ উৎসবের আদলে কক্সবাজারে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হয়েছে ৩ দিনব্যাপী ‘বার্নিং ক্র্যাব ফেস্টিভ্যাল’। নাচগানে জমজমাট এই উৎসবে যোগ দেন ১১টি দেশের বিদেশি পর্যটক। উৎসব ঘিরে আয়োজন করা হয় জমকালো আয়োজন।
যুক্তরাষ্ট্রের ব্ল্যাক রক সিটির বার্নিং ম্যান প্রজেক্টের আদলে মারমেইড বিচ রিসোর্টের এ আয়োজন সাজানো হয়।

উৎসবের কিউরেটর হিসেবে যুক্ত ছিলেন খ্যাতিমান জাপানি ফেস্টিভ্যাল আর্কিটেক্ট এবং লাইটিং ডিজাইনার জিরো এন্দো।
ডিজে পরিবেশন করেন যুক্তরাষ্ট্র, থাইল্যান্ড, জাপান থেকে আসা শিল্পীরা। বালুচরে চলে—ফায়ার শো।

আতশবাজির সঙ্গে ডিজে ফায়ার শো এবং বোট শো মিলে ভিন্ন রকমের আমেজ তৈরি হয় উৎসবে।
সন্ধ্যায় চলে ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের তরুণ-তরুণীদের বোতলনৃত্য, মারমাদের জুমনৃত্য, রাখাইনদের ছাতানৃত্য ও ম্রোদের বাঁশনৃত্য। বিদেশি শিল্পীরা ডিজে পরিবেশনের পাশাপাশি বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন সংগীত এবং নৃত্য উপভোগ করেন।
মাঝরাতে সমুদ্রের পানিতে ভাসমান ১১টি সাম্পান নৌকার সমন্বয়ে শুরু হয় দৃষ্টিনন্দন বোট শো। এছাড়া বালুচরে চলে ফায়ার শো। আতশবাজির সঙ্গে ডিজে ফায়ার শো এবং বোট শো মিলে ভিন্ন রকমের আমেজ তৈরি হয় উৎসবে।
সমুদ্রতীরে নিরিবিলি পরিবেশে উৎসবের ভেন্যু হওয়ায় আনন্দ-উল্লাস মাতেন পর্যটকরা। আয়োজকদের এমন প্রান্তবন্ত আয়োজনে মুগ্ধ বিভিন্ন দেশ থেকে আগত পর্যটকরা। তারা বলেন, এখানকার মানুষগুলো অনেক ভালো। একসঙ্গে আনন্দ করতে জানেন।
উৎসবের কিউরেটর হিসেবে যুক্ত ছিলেন খ্যাতিমান জাপানি ফেস্টিভ্যাল আর্কিটেক্ট এবং লাইটিং ডিজাইনার জিরো এন্দো। ডিজে পরিবেশন করেন যুক্তরাষ্ট্র, থাইল্যান্ড, জাপান থেকে আসা শিল্পীরা।
বার্নিং ক্র্যাব ফেস্টিভ্যালের জন্য রিসোর্টের আঙিনায় সাজানো হয় পৃথক পাঁচটি মঞ্চ। মঞ্চের সামনে দাঁড়িয়ে কয়েক শ পর্যটক সানসেট ও মুন পার্টি উপভোগ করেন।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় শিল্প ও সংস্কৃতি উৎসবগুলোর মধ্যে অন্যতম ‘বার্নিং ম্যান’ উৎসবটি যুক্তরাষ্ট্রের ব্ল্যাক রক সিটির মরুভূমিতে প্রতিবছর অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। একই আদর্শে দেশে প্রথমবারেত মতো আয়োজিত হয়েছে বার্নিং ক্র্যাব ফেস্টিভ্যাল।
ফেস্টিভ্যালে সাদা পোশাকে বাউল পরিবেশনায় মুগ্ধ হন বিদেশে পর্যটকরা। গানের ভাষা না বুঝলেও পরিবেশনা বেশ উপভোগ করেছেন তারা।