বিশ্বসেরা নর্তকী ও ভয়ঙ্কর নারী খুনির গল্প



জাভেদ পীরজাদা, কন্ট্রিবিউটিং করেসপন্ডেন্ট
রিটা হেওয়ার্থ [অক্টোবর ১৭, ১৯১৮ - মে ১৪, ১৯৮৭]

রিটা হেওয়ার্থ [অক্টোবর ১৭, ১৯১৮ - মে ১৪, ১৯৮৭]

  • Font increase
  • Font Decrease

“আমি ঘাম ঝরিয়ে খাই। ছিনিয়ে খাই না” - রিটা হেওয়ার্থ

নিউইয়র্কের ব্রুকলিনের একটি নাইট ক্লাব। ১৯৪২ সালের ১২ মার্চ। সেই ক্লাবে নাচছিলেন রিটা হেওয়ার্থ। হঠাৎ গুলি। দর্শকদের ভয়ে ছোটাছুটি। হোটেল কর্তৃপক্ষের চেহারায় আতঙ্ক। সাত নিগ্রো তরুণ গুলি করতে করতে এগিয়ে গেল ক্যাশ কাউন্টারের দিকে। তখনও নাচছিলেন রিটা হেওয়ার্থ। এক নিগ্রো তরুণ শুধু বলল, স্টপ। রিটা জবাবে বললেন, “তোর গুলি আমি ভয় পাই না। একঘণ্টার জন্য নাচতে এসেছি। শেষ হতে বাকি চার মিনিট। চুক্তির শর্ত শেষ করেই নাচ থামাব। আমি ঘাম ঝরিয়ে খাই। ছিনিয়ে খাই না।”

তার এ কথায় সাত নিগ্রো চাঁদাবাজি তো করলই না। উল্টো রিটাকে ৩০০ ডলার দিয়ে চলে গেল। মজার ব্যাপার এ ঘটনার পরদিন তার কাছে ফিল্ম প্রডিউসার রবার্তো প্রিডের ফোনকল আসে। দেখা করেন। নাচের পাশাপাশি শুরু হয় অভিনয়। ইনফার্নো নামের মুভিতে কৈশোরে অভিনয় করলেও বড় সুযোগ পান গিল্ডা ও লেডি ফ্রম সাংহাই মুভিতে অভিনয় করে।

রিটা বিশ্বখ্যাত মার্কিন অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী ছিলেন। ১৯৪০ সাল থেকে লাইফ সাময়িকীতে পাঁচবার প্রচ্ছদচিত্রে স্থান পান রিটা। অসংখ্য মুভিতে অভিনয় করেন। আমেরিকান ফিল্ম ইনস্টিটিউট কর্তৃক সর্বকালের সেরা ১০০ তারকাদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হন।

জন্ম ১৯১৮ সালে। তার বাবা মা ছিলেন স্প্যানিশ ও আইরিশ। বাবা চাইতেন নৃত্যশিল্পী হোক, তার মা চাইতেন অভিনয় করুক। এনিয়ে মতবিরোধে তাদের ডির্ভোসও হয়। কিন্তু তিনি বাবা ও মায়ের উভয়ের ইচ্ছাই পূরণ করেছিলেন।

বিয়ে করেছিলেন একাধিক। শেষটিই টিকেছিল। ১৯৬৭ সালে অবকাশ যাপনে যান ফ্রান্সে। এক দুপুরে পানশালায় বসে বিয়ার খাচ্ছিলেন। বিয়ার খাওয়া শেষে বিল মিটিয়ে ওয়েটারকে বকশিশ দেওয়ার সময় জানলেন তার নাম আর্থার ফিলিপ। একজন নিগ্রো। উগান্ডা থেকে আমেরিকা আসা অভিবাসী। যৌবনে চাঁদাবাজি করত। ড্রাগ নিত। ১৯৪২ সালের ১২ মার্চ নাইটক্লাবে হামলার সময় রিটা হেওয়ার্থের কথা শুনে তার জীবন পাল্টে যায়। ওই যে বলেছিলেন, “ঘাম ঝরিয়ে খাই, ছিনিয়ে খাই না।” এরপর থেকে রেল শ্রমিক ও পরে ওয়েটার। নাটকীয়তার শুরু এখানেই। রিটা বিয়ে করেন অখ্যাত আর্থার ফিলিপকে।

আরো পড়ুন ➥ স্ট্যালিন ও হিটলার, নন্দিত ও নিন্দিত দুই মুখ

ফিরে আসেন ভার্জিনিয়া। মারা যান ১৯৮৭ সালে, আর্থার ফিলিপের কোলে মাথা রেখেই। বিড়বিড় করে শেষ কথা ছিল তার, “তোমার আমার দেখা হয় যেন আবার।”

“৬০০ খুনের পেছনে একটি আপেলই যথেষ্ট” - এলিজাবেথ বাথোরি

এখন পর্যন্ত তার খুনের রেকর্ড কেউ ভাঙতে পারেনি। ৫৪ বছরের জীবনে ৬০০ জনকে খুন করেছেন। গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম আছে তার। তিনি এত খুন করেছেন কিন্তু প্রতিটি খুন করার কৌশল ছিল আলাদা। জন্ম হাঙ্গেরিতে ১৫৬০ সালে। মৃত্যু ১৬১৪ সালে। নাম, এলিজাবেথ বাথোরি। নোবেল বিজয়ী হাঙ্গেরিয়ান লেখক ইমরে কার্তেজ তাকে নিয়ে ফিকশন লিখেছেন। বাথোরি এক ইন্টারভিউতে বলেছিলেন, “৬০০টি খুন করার পেছনে একটি আপেলই যথেষ্ট ছিল।”

◤ এলিজাবেথ বাথোরি [আগস্ট ৭, ১৫৬০ - আগস্ট ২১, ১৬১৪] ◢


তিনি খুনের নেশায় মত্ত হন তাঁর স্বামী ফ্র্যাংক নাডাসডি ১৬০৪ সালে মারা যাওয়ার পর। তবে আগেও খুন করেছিলেন ৪৮টি। কিন্তু বাকিগুলো এরপর। তিনি ভার্জিন নারীদের বাসার কাজে নিযুক্ত করতেন খুন করার জন্য। সবগুলো খুন করেন ১৫৮৫ থেকে ১৬০৯ সালের মধ্যে। নারীদের খুন করার ক্ষেত্রে কখনো তিনি ছাদ থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিতেন। কখনো ঘুমের মধ্যে গলায় স্কার্ফ পেঁচিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করতেন। কখনো বাথটাবে গোসল করার নামে ‘টিনসা’ নামের একধরনের পানির পাম্প দিয়ে অতিরিক্ত পানি খাইয়ে মারতেন। ফলে কোনো খুনেই প্রমাণিত করা যেত না যে বাথোরি খুন করেছেন। প্রথম খুন করেন বুদাপেস্টে এক মাতালকে গাড়ি চাপা দিয়ে, ১৫৮৫ সালের ডিসেম্বরের বড়দিনে।

আরো পড়ুন ➥ প্রেম করে বিশ্বখ্যাত খুনের দুই আসামি

তিনি ১৬১০ সালে গ্রেফতার হওয়ার পর পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তিতে বলেছিলেন, “একটি আপেল কেটে আমি শৈশবে খেয়েছিলাম। তখন মনে হয়েছিল আপেলটি কান্না করছে। এরপর টানা ছয়দিন আমি ঘুমাতে পারিনি। ডাক্তার সিডেটিভ অষুধ দিয়েছিলেন। পরে বুদাপেস্টের রাস্তায় বড়দিনে চার্চ থেকে যখন ফিরছিলাম তখন গাড়ির সামনে এক মাতাল বারবার বিচিত্র অঙ্গভঙ্গি করছিল। হর্ন দিলেও সরছিল না। হঠাৎ চোখের সামনে ভাসতে থাকল অসংখ্য আপেল। এরপর আর দেরি না করে লোকটিকে গাড়িচাপা দিই। আফসোস করি না এই ভেবে যে আপেলকে খুন করা গেলে মানুষ খুন করলে অপরাধ কোথায়?” 
(সূত্র, দ্য থট, লেখক আব্রাহাম স্মিথ)

ভার্জিন নারীদের কেন খুন করতেন এর জবাবে তিনি বলেন, “একধরনের যৌন ঈর্ষা কাজ করত। আমার মনে হতো তারা পুরুষের স্পর্শের বাইরেই থাকুক। আমি যেমন আমার স্বামী মারা যাওয়ার পর যৌনকর্ম থেকে দূরে থেকেছি। আগেও থেকেছি। অনেক সময়ই আমি খুন করার পর সুযোগ পেলে লাশ খুঁড়ে রক্ত খেতাম।”

   

মাঝরাতে আইসক্রিম, পিৎজা খাওয়া নিষিদ্ধ করল মিলান!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: স্কাই নিউজ

ছবি: স্কাই নিউজ

  • Font increase
  • Font Decrease

আইসক্রিম, পিৎজা অনেকের কাছেই ভীষণ পছন্দের খাবার। তবে ইউরোপসহ পশ্চিমা দেশগুলোতে মাঝরাতে এসব মুখরোচক খাবার ও পানীয় খাওয়ার প্রবণতা বেশি দেখা যায়। ইতালিতে জেলাটিনের তৈরি আইসক্রিম খুব বিখ্যাত। এজন্য ইতালিতে 'জেলাটো সংস্কৃতি' নামে একটা কালচার গড়ে উঠেছে। সম্প্রতি ইতালির মিলানের বাসিন্দাদের জন্য একটি নতুন আইন প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রতিবেদন- স্কাই নিউজ।

মিলানে বসবাসকারীদের অধিকাংশই মাঝরাতে রাস্তায় ঘোরাঘুরি করে আইসক্রিম, পিৎজা, ফাষ্টফুড জাতীয় খাবার ও পানীয় পান করে থাকে। এতে করে সেখানকার এলাকাবাসীদের রাতের ঘুম বিঘ্নিত হয়। নতুন প্রস্তাবিত আইনে শহরবাসীর রাতের ঘুম নির্বিঘ্ন করতে মধ্যরাতের পর পিৎজা ও পানীয়সহ সব ধরনের টেকওয়ে খাবার নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

তবে মধ্যরাতের পর আইসক্রিম নিষিদ্ধ করার চেষ্টা এবারই প্রথম নয়। ২০১৩ সালে, তৎকালীন মেয়র গিউলিয়ানো পিসাপিয়া অনুরূপ ব্যবস্থা বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু 'অকুপাই জেলাটো' আন্দোলনসহ তীব্র প্রতিক্রিয়ার পরে তিনি এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন।

এরপর আবারও মিলানে এ আইনটি প্রস্তাব করেছেন ডেপুটি মেয়র মার্কো গ্রানেল্লি। দেশটির ১২টি জেলা এই প্রস্তাবের আওতাভুক্ত হবে বলে জানিয়েছে মিলান কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে মিলানের মেয়র গ্রানেল্লি বলেন, 'আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে সামাজিকতা ও বিনোদন এবং বাসিন্দাদের শান্তি ও প্রশান্তির মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা।

প্রস্তাবটি নিম্নলিখিত এলাকাগুলোতে প্রযোজ্য হবে বলে জানিয়েছে মিলান কর্তৃপক্ষ: নোলো, লাজারেটো, মেলজো, ইসোলা, সারপি, ভায়া সিজারিয়ানো, আরকো ডেলা পেস, কোমো-গাইআউলেন্টি, পোর্টা গ্যারিবল্ডি, ব্রেরা, টিসিনিজ এবং দারসেনা-নাভিগলি।

জানা যায়, প্রস্তাবটি মে মাসের মাঝামাঝি থেকে কার্যকর থাকবে এবং নভেম্বর পর্যন্ত চলবে। এটি প্রতিদিন রাত ১২.৩০ টায় এবং সাপ্তাহিক ছুটির দিন এবং সরকারী ছুটির দিনে রাত ১.৩০ টা থেকে প্রয়োগ করা হবে। তবে এ প্রস্তাবের বিরুদ্ধে নাগরিকদের মে মাসের শুরু পর্যন্ত আপিল করার এবং আইন পরিবর্তনের পরামর্শ দেওয়ার সময় রয়েছে।

 

 

 

;

অস্ট্রেলিয়ায় নিখোঁজ কুকুর ফিরলো যুক্তরাজ্যের মালিকের কাছে



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অস্ট্রেলিয়ায় ঘুরতে এসে নিখোঁজ হয় যুক্তরাজ্যের এক দম্পতির পালিত কুকুর। যুক্তরাজ্যে আসার ১৭ দিন পর মিলো নামের কুকুরটিকে ফিরে পেয়েছেন জেসন হোয়াটনাল নিক রোল্যান্ডস দম্পতি।

হোয়াটনাল এবং তার সঙ্গী নিক সম্প্রতি তাদের কুকুর মিলোকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া পরিদর্শনে যান। তারা যখন সোয়ানসিতে বাড়িতে যাচ্ছিলেন তখন মেলবোর্ন বিমানবন্দরে তার হ্যান্ডলার থেকে কুকুরটি পালিয়ে যায়।

সাড়ে পাঁচ বছর বয়সী কুকুরটিকে অবশেষে মেলবোর্নের শহরতলিতে ১৭ দিন পর খুঁজে পাওয়া যায়।


হোয়াটনাল স্কাই নিউজকে বলেন, ‘মিলোকে ফিরে পাওয়াটা খুবই আশ্চর্যজনক ছিল আমার জন্য। যখন আমি আমার প্রিয় মিলোর (কুকুর) সাথে পুনরায় মিলিত হয়েছিলাম, তখন আমি কান্নায় ভেঙে পড়েছিলাম। আমার কান্না দেখে অন্যরাও কেঁদেছিল। এটি সত্যিই আবেগপ্রবণ ছিল।

তিনি আরও বলেন, বিশ্বের অন্য প্রান্তে থেকে মিলোর কথা চিন্তা করে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলাম। আমরা জানতাম না মিলো কোথায় আছে। এটি বেশ হতাশাজনক ছিল আমাদের জন্য, কিছুটা আশা হারিয়ে ফেলেছিলাম। তাকে ফিরে পাবো ভাবিনি।

মিলোকে পাওয়ার জন্য সামাজিক মাধ্যমে জানিয়েছিলাম, তখন স্বেচ্ছাসেবকদের কাছ থেকে সাহায্য আসে, তারা মিলোর সন্ধান দেয়। মিলোকে আমাদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য তাদের ধন্যবাদ।

;

আমার হাতের পাখা যেন তাদের আরাম দিচ্ছে!



মৃত্যুঞ্জয় রায়, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: বার্তা২৪, তালপাতার পাখা বিক্রি করছে পাঁচ বছরের শিশু মাহমুদুল্লাহ

ছবি: বার্তা২৪, তালপাতার পাখা বিক্রি করছে পাঁচ বছরের শিশু মাহমুদুল্লাহ

  • Font increase
  • Font Decrease

আবু বক্কর (৬২)। বয়সের ভারে অসুস্থ হয়ে তিনি এখন পাকা বিক্রেতা। প্রচণ্ড তাপদাহে মানুষ যখন ঠান্ডা বাতাসের প্রশান্তি খুঁজছে, তখন তিনি গ্রামে গ্রামে গিয়ে তালপাতার পাখা বিক্রি করছেন।

আবু বক্কর বার্তা২৪.কমকে বলেন, স্ত্রীসহ ছয় মেয়ে নিয়ে আমার সংসার। তবে মেয়েদের বিয়ে দিতে পেরেছি। কিন্তু বয়সের ভারে ঠিকই আমরা একা থেকে গেলাম। শেষ বয়সে গ্রামে গ্রামে তালপাতা পাখা বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছি। শুধু সংসার না, এই টাকায় আমার পায়ের শিরার ব্যথার ওষুধও কিনতে হয়। একবেলা ওষুধ না খেলে চলতে পারি না।

এদিকে, পুরনো ব্যবসার ঋণের বোঝা আর অন্যদিকে অসুস্থ হয়ে ওষুধসহ সংসারের খরচ। শেষ বয়সে তালপাতার পাখাই আমার একমাত্র জীবনসঙ্গী বলেন আবু বক্কর।

তালপাতার পাখা বিক্রি করছেন আবু বক্কর, ছবি- বার্তা২৪.কম

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার কলাগাছি গ্রামের কবিগানের অনুষ্ঠানে সরেজমিন দেখা যায়, একপাশে তালপাতার পাখা বিক্রি করতে ব্যস্ত ছোট্ট পাঁচ বছরের শিশু মাহমুদুল্লাহ। এই গরমে যখন তার ঘরে থাকার কথা, তখন সে নানা-নানীর সঙ্গে এসে তালপাতার পাখা বিক্রি করছে। কবিগানে বসে থাকা সব শ্রোতার কাছে গিয়ে বলছে, পাখা লাগবে, পাখা! কথা বলতে চাইলেও এ পাশ ওপাশ দিয়ে চলে যাচ্ছে, ক্রেতার কাছে।

এক ফাঁকে তাকে কাছে পেয়ে জিজ্ঞাসা করা হয়, এই বয়সে পাখা বিক্রি করছো কেন! এ প্রশ্নের উত্তরে বার্তা২৪.কমকে মাহমুদুল্লাহ বলে, প্রচণ্ড গরমে স্কুল ছুটি। তাই, নানা-নানীর সঙ্গে চলে এসেছি মেলায় পাখা বিক্রি করতে। মানুষজন আমার কাছ থেকে যেন বেশি পাখা কেনে (ক্রয়), তাই আমি মেলায় তাদের সঙ্গে এসেছি।

অনেক উৎসাহের সঙ্গে সে বলে, গরমে আমার হাতের পাখায় যেন তাদের আরাম দিচ্ছে! মেলা হলে আমি সেখানে চলে যাই পাখা বিক্রি করতে। ঘোরাঘুরিও হয় আর টাকা ইনকামও হয়। টাকার জন্য বের হয়ে পড়েছি। আমরা পাখা বিক্রি করে পেট চালাই। নানা-নানী বুড়ো হয়ে গেছে। তাই, আমি সঙ্গে এসে তাদের কষ্টটাকে একটু ভাগাভাগি করে নিচ্ছি।

যেখানে প্রচণ্ড তাপে মানুষজন নাজেহাল, সেখানে ছোট্ট মাহমুদুল্লাহ ছুটে চলেছে এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে পাখা বিক্রি করতে। ছোট্ট শিশু হলেও গরম যেন তার কাছে কিছু না, পেটের তাগিদে!

আরেক পাখা বিক্রেতা তালা উপজেলার হরিণখোলা গ্রামের বাসিন্দা ভদ্রকান্ত সরকার (৭০)। ১২-১৪ বছর ধরে এই পেশায় আছেন তিনি।

চলছে তালপাতার পাখার বিকিকিনি, ছবি- বার্তা২৪.কম

শেষ বয়সে পাখা কেন বিক্রি করছেন এমন প্রশ্নের উত্তরে বার্তা২৪.কমকে ভদ্রকান্ত বলেন, চাল কিনে খেতে হয়। খুব কষ্টের সংসার! ছেলে-মেয়ে আছে। তারা তাদের মতো কাজ করে খায়। মা বাবার বয়স হয়ে গেলে ছেলে আর আমাদের থাকে না। আমরা বৃদ্ধ বয়সে কেমন আছি, সেটা জানার সুযোগ তাদের থাকে না। শেষজীবনটা এভাবে পাখা বিক্রি করে কাটিয়ে দেবো। কী আর করবো! কপালে যা আছে, শেষপর্যন্ত তাই হবে। কপালে ছিল, এমন বৃদ্ধ বয়সে গ্রামে গ্রামে পাখা বিক্রি করতে হবে!

;

৪ লাখ বছর আগে আদিম মানুষের যাত্রা শুরু



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত, নিউ সায়েন্টিস্ট থেকে

ছবি: সংগৃহীত, নিউ সায়েন্টিস্ট থেকে

  • Font increase
  • Font Decrease

৪ লাখ বছর আগে রাশিয়ার সাইবেরিয়া থেকে আদিম মানুষের যাত্রা শুরু হয়েছিল বলে নতুন এক গবেষণা থেকে জানা গেছে। এখান থেকে যাত্রা শুরু করে এই গোত্রের মানুষ পরে উত্তর আমেরিকায় পৌঁছে যায়।

নতুন এক গবেষণা জানাচ্ছে, সাইবেরিয়ায় নতুন একটি এলাকার সন্ধান পাওয়া গেছে, যেখানে ৪ লাখ ১৭ হাজার বছর আগে হোমিনিনস (Hominins) গোত্রের মানুষের উপস্থিতি ছিল। এই গোত্রের মানুষ ডিরিং ইউরিআখ এলাকায় বাস করতেন। সেখান থেকে তারা উত্তর আমেরিকায় পৌঁছে যায় বলে জানিয়েছেন চেক প্রজাতন্ত্রের এক গবেষক।

১৬ এপ্রিল চেক অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেসের গবেষক জন জেনসেন এক সংবাদ সম্মেলন করে নতুন এ তথ্য প্রকাশ করেন। গবেষণাবিষয়ক সংবাদ সাময়িকী নিউ সায়েন্সটিস্ট এ বিষয়ে একটি খবর প্রকাশ করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে জন জেনসেন বলেন, আমরা আগে যে ধারণা করতাম, তারও আগে থেকে হোমিনিনস গোত্রের মানুষ সাইবেরিয়ার ডিরিং ইউরিআখ এলাকায় বসবাস করতেন। ৪ লাখ ১৭ বছর আগে থেকেই তারা এই এলাকায় বসবাস করতে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাদের অবস্থান ছিল উত্তর অক্ষাংশে।

তিনি বলেন, আরেকটি আদিম গোত্রের মানুষের সন্ধান পাওয়া যায়, যারা আর্কটিক অঞ্চলে বাস করতেন। ৪৫ হাজার বছর আগে তাদের সন্ধান পাওয়া যায়নি।

 

;