বিশ্বের সেরা সাত ব্যাটিং-স্বর্গ



সাফাত জামিল, কন্ট্রিবিউটিং করেসপন্ডেন্ট
ওভাল স্টেডিয়াম

ওভাল স্টেডিয়াম

  • Font increase
  • Font Decrease

সীমানা থেকে পিচের দূরত্ব কিংবা আউটফিল্ডের গতি—ক্রিকেট মাঠে এসবের পরিবর্তন খেলাটির আবহে নিয়ত যোগ করছে অনন্য মাত্রা। ইতিহাসের সাথে স্বাভাবিকভাবেই পরিবর্তিত হয়ে আসছে এসব বিষয়। পোর্ট এলিজাবেথের সেন্ট জর্জেস পার্ক-এর কথাই ধরুন। ঐতিহাসিকভাবেই বোলারদের নিরাপদ দুর্গ হিসেবে খ্যাত এই মাঠে ঊনিশ শতকের শুরুর দিকে ২০০ রানই ছিল বেশ ভালো স্কোর—একসময় যেখানে জর্জ লেম্যান মাত্র ৮ রান খরচে নিয়েছিলেন ৭ উইকেট। কালের পরিক্রমায় সেন্ট জর্জেস পার্কের পিচ এখন ব্যাটসম্যানদেরই বন্ধু। মাঠের এমন পরিবর্তনে ঔজ্জ্বল্য হারিয়েছে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড বা এমসিজিও। নতুন ড্রপ-ইন পিচ তৈরি হওয়ায় স্টেডিয়ামটি ব্যবহার করা যাচ্ছে শীতকালীন ফুটবল আয়োজনেও। তবে এই ড্রপ-ইন পিচের সংযোজন কেড়ে নিয়েছে এমসিজির গতি আর বাউন্স।

একসময় ব্যাটিং স্বর্গ হিসেবে পরিচিত অনেক মাঠই বর্তমানে হারিয়েছে নিজেদের জৌলুস। চলুন দেখে নিই তিন সংস্করণ মিলিয়ে এসময়ের শীর্ষ ৭ ব্যাটিং পিচ।

অ্যাডিলেড ওভাল

অস্ট্রেলিয়ায় ব্যাটসম্যানদের শ্রেষ্ঠ মাঠ হিসেবে বেশ প্রসিদ্ধ অ্যাডিলেড ওভাল। ফ্ল্যাট পিচ আর ছোট বর্গাকার সীমানার এই মাঠে চার-ছক্কার ফুলঝুরিতে দেখা গেছে বহু হাই-স্কোরিং ম্যাচ। অ্যাডিলেড ওভালে উইকেটপ্রতি গড় রান ৩৫.৪৯—কমপক্ষে ৫০ ম্যাচ হওয়া আর কোনো মাঠের নেই এর থেকে বেশি গড়ের রেকর্ড।

◤ অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেড ওভাল স্টেডিয়াম ◢


এ মাঠের বেশিরভাগ টেস্টই নিষ্পত্তি হয়েছে ড্র-য়ে। এছাড়া ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের কিছু টি-টুয়েন্টিও দেখেছে এই মাঠ। সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে অ্যাডিলেড ওভালের গড় ইকোনমি রেট ৮.১৫। ২০টি ডবল সেঞ্চুরির মধ্যে স্যার ডন ব্র্যাডম্যানের অপরাজিত ২৯৯-ই এখন পর্যন্ত এ মাঠের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর।

গাদ্দাফি স্টেডিয়াম

১৯৯৬ ক্রিকেট বিশ্বকাপের আয়োজক পাকিস্তানের এই মাঠ অরবিন্দ ডি সিলভার সেই ফাইনাল জেতানো সেঞ্চুরি ছাড়াও দেখেছে আরো অনেক নান্দনিক ইনিংস। টেস্ট ম্যাচগুলোয় লাহোরের এই গ্রাউন্ডে উইকেটপ্রতি গড় রান ৩৪.৯৯—ফলাফলস্বরূপ ৫৫ শতাংশ ম্যাচই হয়েছে ড্র। নয়টি ডবল সেঞ্চুরির পাশাপাশি কিউইদের বিরুদ্ধে ইনজামাম-উল-হকের অবিস্মরণীয় ৩২৯ রানের সাক্ষী এই গাদ্দাফি স্টেডিয়াম।

◤ পাকিস্তানের গাদ্দাফি স্টেডিয়াম ◢


জহির আব্বাস, মোহাম্মদ ইউসুফদের মতো গ্রেটরা ৯০ ব্যাটিং গড় নিয়ে মাতিয়েছেন গাদ্দাফির গ্যালারি। তবে বীরেন্দর শেবাগের ২৪৭ বলে ২৫৬ রানের চোখ ধাঁধানো ইনিংসটির কাছে হার মেনেছে অন্য সব পারফরমেন্স। পাকিস্তানের ৬৭৯ রানের জবাবে সে ম্যাচের একমাত্র ইনিংসে শুধু শেবাগের উইকেটটি হারিয়ে ৪১০ রান তোলে ভারত।

উইকেটপ্রতি ৩৩.৫৪ গড় রান আর মাত্র ৫.২৪ ইকোনমি রেট—বেশ ভালো পরিসংখ্যান রয়েছে গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে আয়োজিত একদিনের ম্যাচগুলোরও। শোয়েব মালিকের ঝোড়ো সেঞ্চুরির সৌজন্যে অতিসম্প্রতি এখানে ৩৭৫ রানের স্কোর গড়েছিল পাকিস্তান। মজার ব্যাপার, এই ভেন্যুতে ৫৪.২১ গড় আর ৯৬.২৬ স্ট্রাইক রেটে এক হাজারেরও বেশি রান রয়েছে মালিকের।

গ্রিন পার্ক

টেস্টে উইকেটপ্রতি ৩৫.৭৩ গড় রান আর ওয়ানডেতে ৩৬.৩৭ গড় রান নিয়ে গাদ্দাফির পরেই আসে ভারতের গ্রিন পার্কের নাম। এ মাঠে আয়োজিত অর্ধেকেরও বেশি ম্যাচ নিষ্পত্তি হয়েছে ড্র-য়ে। এক জায়গায় অবশ্য মিল আছে গাদ্দাফি আর গ্রিন পার্কের—দুই মাঠই দেখেছে ব্যক্তিগত ১৯৯ রান নিয়ে আউট হবার বেদনাদায়ক দৃশ্য। ঘরের মাটিতে ইউনিস খানের পর ভারতের কানপুরের এ মাঠে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয় মোহাম্মাদ আজহারউদ্দিনের হাতে। তবে কপিল দেবের সাথে আজহারউদ্দিনের সেই ২৭২ রানের পার্টনারশিপ এখন পর্যন্ত এই ভেন্যুতে সর্বোচ্চ।

◤ ভারতের গ্রিন পার্ক স্টেডিয়াম ◢


নড়বড়ে নব্বই নয়, বরং নড়বড়ে নব্বই-ই যেন বেশ ভীতিকর এ মাঠে খেলা ব্যাটসম্যানদের জন্য। আজহারউদ্দিন ছাড়াও আরো দুজন কিংবদন্তি—গ্যারি সোবার্স আর গর্ডন গ্রিনিজ কাটা পড়েছেন ডবল সেঞ্চুরি থেকে হাতছোঁয়া দূরত্বে থেকে। তবে ওডিআইতে রোহিত শর্মার ১৫০ ও ১৪৭ রানকে টেক্কা দিতে পারেননি আর কেউই।

বোর্দা

২০০৭ বিশ্বকাপের সময় প্রভিডেন্স স্টেডিয়াম নির্মাণকাজ সম্পন্ন হলে কয়েক ধাপ নিচে নেমে শুধুমাত্র ঘরোয়া ক্রিকেটের ভেন্যু হিসেবে পরিচিতি পেতে শুরু করে গায়ানার বোর্দা স্টেডিয়াম। বর্তমানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটহীন এই মাঠ একসময় উপহার দিয়েছে মনে রাখার মতো অনেক দুর্দান্ত ম্যাচ।

◤ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোর্দা স্টেডিয়াম ◢


এ মাঠে আয়োজিত ১১ ওডিআইয়ের দুটিই হয়েছিল টাই। যার প্রথমটি হয় ১৯৯৩ সালে—কার্ল হুপারের অপরাজিত ৬৯ রানের সুবাদে পাকিস্তানের করা ২৪৪ তুলেই থামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল। ওয়াসিম আকরাম, ওয়াকার ইউনিস, কার্টলি অ্যামব্রোস, কোর্টনি ওয়ালশ—দুদলের বোলিং ডিপার্টমেন্টের কথা চিন্তা করলে নব্বই দশকের শুরুতে অমন ওডিআই স্কোর বেশ ভালোই বলা চলে। বোর্দায় আয়োজিত টেস্টগুলোয় উইকেটপ্রতি গড় রান ছিল ৩৬.২২, আর ওয়ানডেতে ৩৩.৭২। কমপক্ষে ৩০ টেস্ট হয়েছে, এমন আর কোনো মাঠেই এর থেকে বেশি উইকেটপ্রতি গড় রান নেই। এখানে ১২৬.৩৩ গড়ে সাত ম্যাচ খেলেছেন কিংবদন্তি শিবনারায়ণ চন্দরপল। গ্যারি সোবার্স আর রিচি রিচার্ডসন—বোর্দায় দুজনেরই গড় রান ৯০।

ম্যাক্লিন পার্ক

সুইং বোলিংয়ের আদর্শ মঞ্চ হিসেবে পরিচিত নিউজিল্যান্ডের সবুজাভ পিচ আর গুমোট আবহাওয়া ফুল-লেন্থের বোলারদের সহায়তা করেছে সবসময়। তবে টেস্টে নেপিয়ারের ম্যাক্লিন পার্কের উইকেটপ্রতি গড় রান ৩৮—কমপক্ষে ১০ টেস্ট হওয়া কোনো মাঠের হিসেবে যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ! ম্যাক্লিনে আয়োজিত ১০ টেস্টের ৭টিই শেষ হয়েছে ড্র-য়ে।

◤ নিউজিল্যান্ডের ম্যাক্লিন পার্ক স্টেডিয়াম ◢


এ মাঠে ফল বের করা কতটা কঠিন, ২০০৯ সালে তা যেন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছে নিউজিল্যান্ড ও ভারত। জেসি রাইডারের ক্যারিয়ার-সেরা ২০১ রানের সাথে ব্রেন্ডন ম্যাককালাম এবং রস টেলরের সেঞ্চুরি নিয়ে প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৫৪.৪ ওভারে ৬১৯ রান তোলে কিউইরা। রাহুল দ্রাবিড়ের ৮৩ রানে ভর করে ৩০৫-এ থমকে যায় ভারতের ইনিংস। তবে ভেট্টরি-ও’ব্রায়েনদের ঘূর্ণির সামনে ফলোঅনে পড়া ভারত সবাইকে চমকে মাত্র ৪ উইকেট হারিয়ে তোলে ৪৭৬ রান।

১০ নম্বরে নেমে অভিষিক্ত টিম সাউদির ৪০ বলে ৭৭ রানের বিধ্বংসী ইনিংসটিও এসেছে এই মাঠেই। ২০০৮ সালের সে ম্যাচে নয়টি ছক্কা হাঁকানো সাউদির নিউজিল্যান্ড অবশ্য হেরে যায় ১২১ রানে।

বিদর্ভ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন গ্রাউন্ড

ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের জন্য নাগপুরের বিদর্ভই খুব সম্ভবত সবচেয়ে সেরা মাঠ। মাত্র ১৪ ওয়ানডে আর ৯ টেস্টের আয়োজক বিদর্ভ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন গ্রাউন্ডের রয়েছে বেশ চমকপ্রদ পরিসংখ্যান। এ মাঠে টেস্টে উইকেটপ্রতি গড় রান ৩৭.২৮, আর ওয়ানডেতে ৩৬.৫৭—সমান সংখ্যক ম্যাচে এর থেকে বেশি গড় নেই আর কোনো মাঠেরই। এর থেকেও মজার তথ্য—ওডিআইতে এ মাঠে ওভারপ্রতি গড় রান ৫.৭১!

◤ ভারতের বিদর্ভ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন গ্রাউন্ড ◢


এমন পরিস্থিতিতে ১৯৯৯ সালে বিদর্ভের পিচ নতুন করে বিছানোর সিদ্ধান্ত নেয় বিসিসিআই। তাতে পাল্টায়নি চিত্র—পরের বছর শচীন টেন্ডুলকার আর অ্যান্ডি ফ্লাওয়ারের ডবল সেঞ্চুরির সৌজন্যে হাই-স্কোরিং ড্র-য়ে নিষ্পত্তি হয় ভারত ও জিম্বাবুয়ের মধ্যকার টেস্টের। এ গ্রাউন্ডে ৬ ম্যাচ খেলে ৯৭ গড়ে ৬৭৯ রান করেছেন ভারতের লিটল মাস্টার। এমনকি বিদর্ভে স্পিনার অনিল কুম্বলেরও রয়েছে তিন-তিনটি অর্ধশতক!

এই স্টেডিয়ামে শেষবারের মতো আন্তর্জাতিক ম্যাচ হয় ২০০৭ সালে। ভারতের বিপক্ষে সেই ওয়ানডেতে ৩৩৮ রানের লক্ষ্যে মাত্র ১৪ রান বাকি থাকতে থামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, বৃথা যায় চন্দরপলের ১৪৯ রানের কাব্যিক ইনিংস।

অ্যান্টিগা রিক্রিয়েশন গ্রাউন্ড

২২ টেস্টে উইকেটপ্রতি ৩৮.১৭ গড় রানের পরিসংখ্যানই বলে দেয় ব্যাটিং স্বর্গের তালিকায় অ্যান্টিগা রিক্রিয়েশন গ্রাউন্ডের অবস্থান। সমতল পিচের এই গ্রাউন্ডকে তাই প্রায়শই বলা হয় ‘পালকশোভিত বিছানা’।

বর্তমান সময়ের যে কোনো বোলারের জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর মানেই তৃপ্তিকর অভিজ্ঞতার হাতছানি। বলা বাহুল্য, অ্যান্টিগা রিক্রিয়েশন গ্রাউন্ডে আবারও আন্তর্জাতিক ম্যাচের আয়োজন হলে দৃশ্যটি একটু অন্যরকমই হতো। ২০০৪ সালে এই মাঠেই ১৬ বছরের মধ্যে প্রথম অ্যাশেজ জেতা ইংল্যান্ড বোলিং লাইনআপের বিরুদ্ধে ক্যারিবিয়ান গ্রেট ব্রায়ান লারা গড়েন টেস্টের সর্বোচ্চ ইনিংসের বিশ্বরেকর্ড। অপরাজিত ৪০০ রানের সেই মহাকাব্যিক ইনিংস শেষে দলীয় সংগ্রহ ৭৫১-এ ইনিংস ঘোষণা করেন ক্যাপ্টেন লারা। একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে এ মাঠেই ১৯৯৪ সালে ৩৭৫ রানের ম্যারাথন ইনিংস খেলেন তিনি।

◤ ওয়েস্ট ইন্ডিজের অ্যান্টিগা রিক্রিয়েশন গ্রাউন্ড ◢


অ্যান্টিগা রিক্রিয়েশন গ্রাউন্ডে ২০০৫ সালে সফররত দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৩১৭ রান করেন ক্রিস গেইল—যাকে থামাতে দলের ১১ জনই বাইশ গজে নেমে পড়েন বল হাতে। মাত্র ১৭ উইকেটের বিনিময়ে সে ম্যাচে দুদলের সম্মিলিত স্কোর দাঁড়িয়েছিল ১৪৬২ রান।

জয়ের জন্য সর্বোচ্চ লক্ষ্য সফলভাবে তাড়া করার রেকর্ড ক্রিকেট বিশ্ব দেখেছে এ মাঠেই। চন্দরপল ও সারওয়ানের ২১৪ রানের চতুর্থ উইকেট জুটিতে প্রায় ১৫ বছর আগে অস্ট্রেলিয়ার ৪১৮ রানের লক্ষ্য তিন উইকেট হাতে রেখে পার করে ফেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এর আগে ১৯৮৬ সালে এই অ্যান্টিগা রিক্রিয়েশন গ্রাউন্ডে টেস্টের দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েন ভিভ রিচার্ডস। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তাঁর সেই ঝোড়ো শতক আসে মাত্র ৫৬ বলে।

◤ সেই মহাকাব্যিক ইনিংস খেলছেন লারা ◢


ত্রিশ বছরে বহু রেকর্ড ভাঙা-গড়ার পর এই গ্রাউন্ডে আয়োজিত উত্তেজনায় ঠাসা শেষ টেস্টে উইন্ডিজদের জয়ের জন্য ৫০৩ রানের টার্গেট দেয় ইংল্যান্ড। অনেক দূর গিয়েও শেষ পর্যন্ত অ্যান্ডারসন-ব্রড-হার্মিসনদের বোলিং লাইনআপ পরাস্ত করতে ব্যর্থ হয় ক্যারিবিয়রা, শেষ উইকেট হাতে নিয়ে ৩৭০ রানে শেষ হয় তাদের লড়াই।

   

খাবারের পর প্লেট ধোয়া কষ্ট? তাহলে এই কৌশল আপনার জন্য!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

খাওয়ার বিষয়ে সবাই পটু। কিন্তু খাওয়ার পর থালা বাসন ধোয়াকে অনেকেই কষ্টকর কাজ মনে করেন। তাই দেখা যায় খাওয়ার পর অপরিষ্কার অবস্থায়ই থেকে যায় থালা বাসনগুলো। এবার এই কষ্ট কমাতে এক অভিনব কৌশল বেছে নিয়েছেন এক ব্যক্তি।

সম্প্রতি এমন এক ভিডিও নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি। 

হর্ষ গোয়েনকা নামে ভারতের এক শিল্পপতি তাঁর এক্স হ্যন্ডেলে (সাবেক টুইটার) ভিডিওটি শেয়ার করেন। এতে দেখা যায়, থালাবাসন পরিষ্কারের কাজ এড়াতে এক ব্যক্তি মজার এক কৌশল নিয়েছেন। এতে দেখা যায়, এক ব্যক্তি খাবার রান্না করছেন। খাবার আগে তিনি প্লাস্টিক দিয়ে প্লেট, চামচ ও পানির গ্লাস মুড়িয়ে নিচ্ছেন।

শেয়ার করে তিনি মজাচ্ছলে লিখেছেন, "যখন আপনার থালা-বাসন ধোয়ার জন্য পর্যাপ্ত পানি থাকে না..."।

ভিডিওটি শেয়ার করার পর মুহূর্তেই সেটি ভাইরাল হয়ে যায়। ভিডিওটি অনেক বিনোদনের জন্ম দিয়েছে। যদিও কেউ কেউ প্লাস্টিকের মোড়ককে হাস্যকর মনে করেন এবং এর ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

এক্স ব্যবহারকারী একজন লিখেছেন, 'পানি সংরক্ষণ ও পুনর্ব্যবহার করা হল মন্ত্র হল এমন কৌশল! তবে প্লাস্টিকের ব্যবহার নতুন করে ভাবাচ্ছে।'

অন্য একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, 'আমি আমার হোস্টেলের দিনগুলিতে এটি করেছি। আমাদের পানি সরবরাহ ছিল না এবং বারবার ধোয়ার কষ্টে এমন কৌশল নিয়েছি।'

আরেক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘মনে হচ্ছে বেঙ্গালুরুতে পানি–সংকটের সমাধান হয়ে যাচ্ছে।’

;

জলদানব ‘লক নেস’কে খুঁজে পেতে নাসার প্রতি আহ্বান



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রহস্যময় জলদানব জলদানব ‘লক নেস’কে খুঁজে পেতে নাসার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে লক নেস সেন্টার। ২০২৩ সালের এই রহস্যময় প্রাণীর শব্দের উৎস ও একে খুঁজে পেতে হাইড্রোফোন ব্যবহার করা হয়েছিল।

স্যার এডওয়ার্ড মাউন্টেনের ৯০তম অভিযানের অংশ হিসেবে আগামী ৩০ মে থেকে ২ জুন পর্যন্ত এই ‘লক নেস মনস্টার’কে খুঁজে পেতে অনুসন্ধান চালানো হবে।

রহস্যময় এই ‘লক নেস মনস্টার’কে ১৯৩৪ সালে প্রথম দেখা যায়। এ পর্যন্ত ১ হাজার ১শ ৫৬ বার দেখা গেছে বলে লক নেস সেন্টার সূত্রে জানা গেছে।

এ বিষয়ে লক নেস সেন্টারের এমি টোড বলেছেন, আমরা আশা করছি, এই রহস্যময় জলদানবকে খুঁজে পেতে মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার গবেষকেরা আমাদের সহযোগিতা করবেন। তারা আমাদের জলদানবকে খুঁজে পেতে যথাযথ নির্দেশনা দেবেন এবং এ বিষয়ে সব কিছু জানাতে সাহায্য করবেন।

তিনি বলেন, আমাদের অভিযানের বিষয়ে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছি। আমরা আশা করছি, নাসার উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে আমরা জলদানব বিষয়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজে পাবো।

রহস্যময় জলদানব খুঁজে পেতে স্বেচ্ছাসেবকের ভূপৃষ্ঠ থেকে যেমন নজর রাখবেন, তেমনি পানির ভেতরে অভিযান চালানোর বিষয়ে তাদেরকে নির্দেশনা দেওয়া হবে। রহস্যময় জলদানবকে খুঁজে পেতে ১৯৭০ দশক ও ১৯৮০ দশকের যে সব তথ্যচিত্র লক নেসের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে, সেগুলো যাচাই করে দেখা হবে।

তারপর জলদানব সম্পর্কে স্বেচ্ছাসেবকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেবেন লক নেসের পরিচালক জন ম্যাকলেভারটি।

এ নিয়ে গবেষকদের নিয়ে একটি অনলাইন বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে। যারা রহস্যময় এই জলদানবকে সচক্ষে দেখেছেন, তারাও এ লাইভ বিতর্কে অংশ নেবেন।

নেস হৃদ

যে হ্রদে জলদানব অবস্থান করছে বলে জানা গেছে, অভিযানের অভিযাত্রী দল নৌকায় করে সেখানে যাবেন। এসময় তাদের সঙ্গে থাকবেন গভীর সমুদ্রে অনুসন্ধানকারী দলের ক্যাপ্টেন অ্যালিস্টার মাথিসন। তিনি লক নেস প্রজেক্টে একজন স্কিপার হিসেবে কাজ করছেন। তার সঙ্গে থাকবেন ম্যাকেন্না।

অনুসন্ধান কাজে ১৮ মিটার (৬০ ফুট) হাইড্রোফোন ব্যবহার করা হবে। এটি দিয়ে রহস্যময় শব্দের প্রতিধ্বনি রেকর্ড করা হবে।

দ্য লক নেস সেন্টার ড্রামনাড্রোচিট হোটেলে অবস্থিত। ৯০ বছর আগে অ্যালডি ম্যাককে প্রথম রিপোর্ট করেছিলেন যে তিনি একটি জলদানব দেখেছেন।

লক নেস সেন্টারের জেনারেল ম্যানেজার পল নিক্সন বলেছেন, ২০২৩ সালে নেসিকে খুঁজে পেতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ফ্রান্স, ইতালি, জাপানসহ আরো অনেক দেশ অনুসন্ধান কাজে অংশ নিয়েছিল। এটি ছিল বড় ধরনের একটি অভিযান।

তিনি বলেন, অনুসন্ধানের সময় যে অদ্ভুত শব্দ শোনা গিয়েছিল, সে শব্দের কোনো ব্যাখ্যা দাঁড় করানো যায়নি। তবে আমরা এবার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ যে, জলদানব লক নেসের রহস্য উন্মোচন করতে পারবো।

এ বিষয়ে আমরা সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করবো। এ রহস্যময় জলদানব লক নেস সম্পর্কে যাদের ধারণা আছে, তাদের সহযোগিতা নেওয়া হবে। পল নিক্সন আরো বলেন, এবার আমরা খুবই উচ্ছ্বসিত যে, জলদানবকে খুঁজে পেতে নতুন ধরনের যন্ত্রপাতি ব্যবহার করবো।

স্কটল্যান্ডের ইনভার্নেসের কাছে এক বিশাল হ্রদের নাম ‘নেস’। স্কটিশ গেলিক ভাষায় হ্রদকে লক (Loch) বলা হয়। আর উচ্চারণ করা হয় ‘লক’। গ্রেট ব্রিটেনের স্বাদুপানির সবচেয়ে একক বৃহত্তম উৎস এ হ্রদটির আয়তন ২২ বর্গ কিলোমিটার, গভীরতা ৮০০ ফুটেরও বেশি। এই হ্রদেই দেখা মিলেছিল সত্যিকারের জলদানব ‘লক নেসের’।

;

স্টেডিয়ামে খেলা দেখার জন্য অফিসে মিথ্যা বলা, শেষ রক্ষা হয়নি তার!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বহুল প্রত্যাশিত ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) শুরু হয়েছে ২২ মার্চ থেকে। বিশ্বের নামিদামী সব খেলোয়াড়ের উপস্থিতি থাকায় বিশ্বজুড়ে এই লীগের চাহিদা তুঙ্গে। তাই এর দর্শক সংখ্যাও কত হতে পারে সেটা সহজেই অনুমেয়। যাদের সুযোগ সামর্থ্য থাকে তারা স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখেন আর যাদের সুযোগ না থাকে তারা টেলভিশনের পর্দায়ই বিনোদন খোঁজেন।

সম্প্রতি, এই লীগের একটি ম্যাচ স্টেডিয়ামে দেখতে গিয়ে অদ্ভুত এক কাণ্ডের জন্ম দিয়েছেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরের নেহা নামে এক নারী ভক্ত। ওইদিন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ও লখৌন সুপার জায়ান্টসের মধ্যে ম্যাচ চলছিল। সেই খেলা মাঠে বসে দেখতে তিনি পারিবারিক সমস্যার কথা বলে আগেই অফিস থেকে বের হয়ে যান।

তারপর যথারীতি সে মাঠে বসে খেলা উপভোগ করছিল। কিন্তু বিপত্তি বাঁধে অন্য জায়গায়। খেলা চলার এক পর্যায়ে তাকে টিভি স্ক্রিনে দেখতে পায় তার অফিসের বস।

পরে এই ঘটনাটির একটি ভিডিও তিনি তার ইন্সটাগ্রাম একাউন্টে শেয়ার করেন। সেখানে তিনি পুরো বিষয়টি নিয়ে খোলাসা করেন।

ওই ভিডিওতে নেহা বলেন, অফিস থেকে পারিবারিক সমস্যার কথা বলে মাঠে এসে খেলা দেখেছি। আমি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর একজন ভক্ত। কিন্তু টিভি স্ক্রিনে আমার বস আমাকে দেখে ফেলে। পরে তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করেছেন আমি কোন দলের সমর্থক হিসেবে খেলা দেখছি। আমি বলেছি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।

এরপর বস বলেন, তাহলে আপনি নিশ্চয় গতকাল খুব অসন্তুষ্ট ছিলেন। ওরা ফিল্ডিংয়ে একটি ক্যাচ মিস করার সময় আপনাকে খুব উদ্বিগ্ন চেহারায় দেখেছি। ১৬.৩ ওভারে যখন কিপার ক্যাচ মিস করলো, তখন।

হাতেনাতে ধরা পড়ে যাওয়ার পর নেহা স্বীকার করে নেন, ওটা তিনিই ছিলেন। বলেন, হ্যাঁ, অনুজ রাওয়াত ক্যাচ মিস করেছিল।

এরপর নেহার বস বলেন, মাত্র কয়েক সেকেন্ডের জন্য ক্যামেরায় আপনাকে দেখিয়েছিল। আর তাতেই আমি চিনে ফেলেছি। তাহলে এটাই ছিল গতকাল দ্রুত বেরিয়ে যাওয়ার কারণ।

এরপর তিনি একটি হাসির ইমোজি দিয়ে কথপোকথন শেষ করেন।

ভিডিওটি শেয়ার করার পর রাতারাতি সেটি ভাইরাল হয়ে যায়।

পোস্টের নিচে অনেকেই নিজেদের অভিমত ব্যক্ত করেছেন।

একজন লিখেছেন, এটা ঠিক আছে। ম্যানেজারের উচিত কর্মচারীকে স্বাধীনতা প্রদান করা। যাতে সে সত্য বলতে পারে বা নিজের জীবনকে স্বাধীনভাবে উপভোগ করতে পারে।

আরেকজন লিখেছেন, আপনাকে এর জন্য চাকরি থেকে বরখাস্ত করা উচিত। একে তো আপনি অফিস থেকে মিথ্যা কথা বলে বের হয়েছে আবার নিজেদের ব্যক্তিগত কথা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেছেন।

;

নওগাঁয় কালের সাক্ষী কয়েক শ বছরের পুরোনো বটগাছ



শহিদুল ইসলাম, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নওগাঁ সদর উপজেলার বক্তারপুর ইউনিয়নের মুরাদপুর গ্রামে বট ও পাকুড় গাছের মেল বন্ধন প্রায় ৩০০ বছরের অধিক সময়ের। প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম কালের সাক্ষী হয়ে এখনো দাঁড়িয়ে আছে রহস্যময় এই বট গাছটি। প্রায় ৫ থেকে ৬ একর জমির ওপরে শাখা-প্রশাখা ছড়িয়ে দর্শনার্থীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে এই পুরাতন বটগাছটি।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বট ও পাকুর মিলে বিশাল জায়গাজুড়ে কাল্পনিক এক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়েছে। বট গাছের কাণ্ড থেকে কাণ্ড শাখা থেকে প্রশাখা মাটিয়ে লুটে পড়ে আরেক বটগাছের জন্ম দিয়েছে। কাণ্ডগুলো দেখলে বোঝার উপায় নেই যে এটির মূল শাখা কোনটি। লতা থেকে মাটিতে পড়ে সৃষ্টি হয়েছে আরেকটি বটগাছ এভাবে অনেকটা জায়গাজুড়ে এক অন্যরকম সৌন্দর্যে বিমোহিত হয়েছে স্থানটি। বটগাছের নিচে ও পাশে রয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কালি মন্দির যেখানে কয়েকদিন পর পর বিভিন্ন অনুষ্ঠান করেন তারা।

মুরাদপুর গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা গৌরাঙ্গ সাহা ( ৫০) এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, আসলে এই গাছটির সঠিক বয়স কত সেটি আমরা কেউ জানিনা। আমার বাবা-দাদা তারাও এখানে পূজা করতেন তবে তারা আমাদেকে সঠিক বয়স বলতে পারেনি। আমার দাদার মুখে শুনেছি উনার ছোটবেলাতে সেখানে গিয়ে খেলাধুলা করতেন সে সময় গাছটি ঠিক এমন-ই ছিল। তবে অনুমান করা যায়, এই গাছের বয়স প্রায় ৩০০ থেকে ৪০০ বছরের অধিক হতে পারে।

একই গ্রামের গৃহবধূ লাইলী বেগম ( ৫৫) বলেন, আমার বিয়ে হয়েছে প্রায় ৩০ বছর হলো আর তখন থেকেই এই গাছটি দেখে আসছি। বাড়ি কাছে হওয়ায় প্রতিদিন আশেপাশে আসতে হয় বিভিন্ন কাজে। মূল গাছটি আমরা অনেক খুঁজেছি কিন্তু পাইনি। একটা গাছ থেকে এতগুলো গাছের সৃষ্টি হয়েছে দেখতে ভালোই লাগে। তবে যদি এটি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করলে আরো কয়েকশ বছর টিকবে বলে মনে করি।

হালঘোষপাড়া থেকে আসা রায়হান নামের এক দর্শনার্থী বলেন, শুনেছিলাম এখানে অনেক পুরাতন বটগাছ আছে আজকে দেখতে আসলাম। চারিদিকে ছড়িয়ে গেছে এমন বটগাছ আমাদের এলাকায় নেই। দেখে খুব ভালো লাগছে এখন থেকে মাঝেমধ্যেই আসব।


কল্পনা রানী ( ৪৮) বলেন, আমার স্বামীর বাবার মুখ থেকে শুনেছি এটির বয়স প্রায় ৩০০ বছরের অধিক। কিছুদিন পর পর এখানে পূজা হয় বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ এসে পূজা দেয়। এমন সুন্দর বটগাছ আমি কোনোদিন দেখিনি।

বিমল সাহা নামের এক শিক্ষার্থী জানান, আমরা প্রতিদিন আমরা এখানে এসে ক্রিকেট খেলি। এতো পুরাতন একটি বটের গাছ দেখতে পেয়ে আমাদের খুব ভালো লাগে।

এ বিষয়ে নওগাঁ সরকারি কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এনায়েতুস সাকালাইন বার্তা২৪.কমকে বলেন, প্রাকৃতিকভাবে একেকটা উদ্ভিদের আয়ু একেক রকম হয়ে থাকে সেরকম বটগাছ দীর্ঘজীবি উদ্ভিদ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, কোনো কোনো জায়গায় ৫০০ বছর বা অধিক সময়ের বেশি বেঁচে থাকে। এই উদ্ভিদগুলোর অভিযোজন ক্ষমতা অনেক বেশি ও পরিবেশের সাথে এদের খাপখাইয়ে নেওয়ার ক্ষমতাও বেশি এবং যেকোনো প্রতিকূল পরিবেশে এরা মোকাবিলা করতে সক্ষম। বটগাছ গুলো বেশি পানি না পেলেও দীর্ঘদিন বেঁচে থাকে আবার খুব বেশি তাপমাত্রা বা তাপমাত্রা নিচে নেমে গেলেও এ ধরনের উদ্ভিদ সে সময় টিকে থাকতে পারে সেজন্য অনেক সময় বিল্ডিং বাড়ির দেয়ালেও এদের বিস্তার দেখা যায়।

তিনি আরও বলেন, বট গাছগুলোর একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য আছে সেটি হলো ওপরের দিকে একটু বেড়ে অনেকদিকে বিস্তার লাভ করে বেশ বড় জায়গা দখল করে তখন এই উদ্ভিদগুলোর ওপরের অংশের ভার বহন করার জন্য ঠেসমূল গঠন করে তারা। মূল কাণ্ড থেকে আস্তে আস্তে মাটিতে ঠেসমূল নেমে আসে তখন ধীরে ধীরে মোটা হতে থাকে। মূল যে কাণ্ডটা তার থেকে বয়সের সাথে সাথে আরো তৈরি হয় যাতে গাছের ভার বহন করতে সক্ষম হয় এবং এভাবে বিশাল জায়গাজুড়ে একে একে বিস্তার লাভ করে কাণ্ডগুলো। বটগাছে এ ধরনের কর্মকাণ্ড লক্ষ্য করা যায় কিন্তু পাকুড় জাতীয় গাছে কম লক্ষ্য করা যায়।

;