শুভ জন্মদিন, ডিয়েগো আরমান্ডো ম্যারাডোনা



সাফাত জামিল, কন্ট্রিবিউটিং করেসপন্ডেন্ট
১৯৬০ সালের আজকের দিনে জন্মগ্রহণ করেন ম্যারাডোনা

১৯৬০ সালের আজকের দিনে জন্মগ্রহণ করেন ম্যারাডোনা

  • Font increase
  • Font Decrease

“মানুষ শুধুমাত্র তখনই সফল হয়, যখন সে কঠোর পরিশ্রম করে। সাফল্যের সাথে ভাগ্যের কোনো সম্পর্ক নেই।”

১৯৬০ সালের আজকের দিনে বুয়েন্স আইরেসের লানুসে জন্ম নেওয়া আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি ডিয়েগো ম্যারাডোনার বাণীটি যেন তাঁর নিজ খেলোয়াড়ি জীবনেরই প্রতিচ্ছবি। বল পায়ে দক্ষ নিয়ন্ত্রণ, চিতার বেগে ডিফেন্ডারদের কাটিয়ে এগিয়ে যাওয়াসহ আরো অনেক ঐতিহাসিক মুহূর্ত আর গোল বিশ্বসেরা ফুটবলারের বিতর্কে তাঁকে রেখেছে বেশ উঁচু স্থানে। কারো মতে, শ্রেষ্ঠত্বের চূড়ায় জ্বলজ্বলে তারাটি একমাত্র ম্যারাডোনাই। আবার কেউ কেউ পেলে, লিওনেল মেসি কিংবা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে সে জায়গার যোগ্য দাবিদার মনে করেন। তবে ভালো-মন্দ যেভাবেই হোক, ফুটবল বিশ্বকে সবসময় বিমোহিত করেছেন একসময়ের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ম্যারাডোনা।

মাত্র দুই দশকের পেশাদার ক্যারিয়ারে ম্যারাডোনা খেলেছেন ছয়টি ক্লাবে। ষোল বছর বয়সে পা দেবার ঠিক দশদিন আগে নিজ শহরের ক্লাব আর্জেন্টিনোস জুনিয়র্সের হয়ে অভিষেক ঘটে তাঁর, বর্তমানে যাদের হোম গ্রাউন্ডের নামকরণ হয়েছে ম্যারাডোনারই নামে। সেদিন আর্জেন্টাইন প্রিমেরা ডিভিশনের সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড়ের রেকর্ডটি নিজের করে নেন ১৬ নম্বর জার্সির ছোট্ট ডিয়েগো। হুয়ান ডমিঙ্গোর দু পায়ের মাঝ দিয়ে বাড়িয়ে দেওয়া ম্যারাডোনার সেই দুর্দান্ত ‘নাটমেগ’ হয়ে গিয়েছিল ইতিহাসেরই অংশ।

◤ ম্যারাডোনার সেই দুর্দান্ত নাটমেগ ◢


আর্জেন্টিনোস জুনিয়র্সে পাঁচ মৌসুমে ১৬৭ ম্যাচে ১১৫ গোল করেন ম্যারাডোনা। পরবর্তীতে ৪ মিলিয়ন ডলার ট্রান্সফার ফি-তে স্বপ্নের ক্লাব বোকা জুনিয়র্সে যোগ দেওয়া ডিয়েগোর সামনে প্রস্তাব ছিল রিভার প্লেটের সবচেয়ে দামি খেলোয়াড় হবার। তবে সবিনয়ে তা ফিরিয়ে দেওয়া ম্যারাডোনা বোকার হয়ে অভিষেকেই পান জোড়া গোল। দারুণ এক গোল পান সে মৌসুমের প্রথম সুপার ক্লাসিকোতেও, যে ম্যাচে রিভারপ্লেটকে ৩-০ ব্যবধানে হারায় তাঁর ক্লাব। সফলতার ধারা অক্ষুণ্ণ রেখে বোকার হয়ে প্রথম মৌসুমেই ম্যারাডোনা জিতে নেন আর্জেন্টাইন ঘরোয়া লিগে নিজের একমাত্র শিরোপা।

১৯৮২ বিশ্বকাপের পর শুরু হয় তাঁর বার্সেলোনা অধ্যায়। তৎকালীন বিশ্বরেকর্ড ৭.৬ মিলিয়ন ডলার ট্রান্সফার ফি-তে কাতালান ক্লাবটিতে যোগ দিয়ে কোচ সিজার লুইস মেনোত্তির অধীনে কোপা ডেল রে ও স্প্যানিশ সুপার কাপ জেতেন ম্যারাডোনা। ১৯৮৩ সালে বার্নাব্যুর এল ক্লাসিকোয় বার্সাকে জিতিয়ে প্রতিপক্ষ দর্শকদের তুমুল অভিবাদন পান ম্যারাডোনা। হেপাটাইটিস আর গোড়ালির চোটে একসময় তাঁর বার্সা ক্যারিয়ারই পড়েছিল ঝুঁকির মুখে। তবে কার্যকরী পরিচর্যা আর পরিশ্রমে দ্রুতই মাঠে ফেরেন এই তারকা মিডফিল্ডার।

◤ বার্সেলোনার জার্সিতে ম্যারাডোনা ◢


১৯৮৩-৮৪ মৌসুমের শেষের দিকে বিলবাওয়ের বিরুদ্ধে কোপা ডেল রে-এর ফাইনালে ভয়ানক এক সংঘর্ষে জড়ান ‘এল ডিয়েগো’। চিরশত্রু মাদ্রিদের মাঠে ১-০ ব্যবধানে হারের দিকে এগোতে থাকা ম্যারাডোনা দর্শকদের বর্ণবাদী স্লোগান আর বিলবাও মিডফিল্ডার মিগুয়েল সোলার তির্যক মন্তব্যে ক্ষেপে যান। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সোলাকে গুঁতো মেরেই থামেননি, কনুই আর হাঁটু দিয়ে আঘাত করেন প্রতিপক্ষের আরো দুজনকে। বিলবাওয়ের বাকি খেলোয়াড়েরা ম্যারাডোনাকে ঘিরে ধরলে এগিয়ে আসে বার্সা দলও—যা পরে রুপ নেয় আরো বড় মারামারিতে।

পুরো ঘটনার চাক্ষুষ প্রমাণ হিসেবে মাঠে এক লাখ দর্শকের পাশাপাশি আরো ছিলেন স্প্যানিশ রাজা হুয়ান কার্লোস। আর গোটা স্পেনের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ টিভিতে দেখেছে এই কাণ্ড। পরবর্তীতে মাঠে উপস্থিত দর্শকরা খেলোয়াড়, কোচ আর আলোকচিত্রীদের উদ্দেশ্য করে নানা রকম ধাতব বস্তু ছুড়ে মারে, যাতে আহত হয় প্রায় ৬০ জন। এ ঘটনার মধ্য দিয়েই শেষ হয় তাঁর দুই মৌসুমের বার্সেলোনা ক্যারিয়ার। ৫৮ ম্যাচে ৩৮ গোল করা ম্যারাডোনা আবারও গড়েন ট্রান্সফার ফি’র বিশ্ব রেকর্ড—এবার ১০.৪৮ মিলিয়ন ডলারে যোগ দেন সিরি আ ক্লাব নাপোলিতে।

নেপলসে দ্য গ্রেট ম্যারাডোনাকে বরণ করে নিতে হাজির হয় প্রায় ৭৫ হাজার দর্শক। তাঁদের ভালোবাসার প্রতিদান দিতেও খুব বেশি সময় নেননি তিনি। শীঘ্রই নাপোলির অধিনায়কত্ব গ্রহণ করে ক্লাবটিকে নিয়ে যান ইতিহাসের সফলতম পর্যায়ে। মিলান, ইন্টার, জুভেন্টাস, রোমার আধিপত্য চূর্ণ-বিচূর্ণ করে ১৯৮৬-৮৭ মৌসুমে নাপোলিকে এনে দেন কাঙ্ক্ষিত সিরি আ শিরোপা। বিদ্যুতগতিতে ছড়িয়ে পড়তে লাগল ম্যারাডোনার জনপ্রিয়তা। দেয়ালে দেয়াল অঙ্কিত ছবি থেকে শুরু করে নবজাতকদের ‘ম্যারাডোনা’ নামকরণ—বাদ যায়নি কিছুই!

◤ নাপোলিতে যেন প্রাণসঞ্চার করেন ম্যারাডোনা ◢


১৯৮৯-৯০ মৌসুমে আরো একটি লিগ শিরোপা জেতা ম্যারাডোনা পরবর্তীতে দুবার লিগে রানার্সআপ হন। নেপলসের ক্লাবটির হয়ে ঝুলিতে আরো পুরেছেন কোপা ইতালিয়া, উয়েফা সুপার কাপ আর ইতালিয়ান সুপার কাপ। অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার হিসেবে খেলা ডিয়েগো ১৯৮৭-৮৮ মৌসুমে ১৫ গোল নিয়ে হয়েছিলেন লিগসেরা গোলদাতা। ১১৫ গোল নিয়ে নাপোলির ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতাও ছিলেন ম্যারাডোনা, যদিও ২০১৭ সালে রেকর্ডটি নিজের করে নেন মারেক হামসিক।

তবে মাঠের বাইরের বিতর্ক আর বিশৃঙ্খলা পিছু ছাড়ছিল না তাঁর। কোকেনের নেশায় আসক্ত ডিয়েগোকে ৭০ হাজার ডলারের জরিমানা গুনতে হয় ম্যাচে আর অনুশীলনে অনুপস্থিতির জন্য। নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন কামোরা-র সাথে সখ্যসহ নানা বিতর্কে জর্জরিত ছিলেন সবসময়। অতঃপর কোকেন সেবনের দায়ে ১৫ মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে ১৯৯২ সালে নাপোলি ছাড়েন ম্যারাডোনা। তাঁর সম্মানে ১০ নম্বর জার্সিটি আজীবনের জন্য তুলে রাখে নাপোলি কর্তৃপক্ষ। লা লিগায় ফিরে সেভিয়ায় এক মৌসুম কাটান ডিয়েগো, তবে ক্লাব ক্যারিয়ারের শেষটা অবশ্য হয়েছিল স্বপ্নের বোকা জুনিয়র্সে ফিরেই।

◤ সেভিয়ার হয়ে আবারো লা লিগায় প্রত্যাবর্তন ◢


নিজেকে সেরাদের সেরা হিসেবে প্রমাণ করেছেন আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও। ১৬ বছর বয়সে ক্লাবের পাশাপাশি আর্জেন্টিনা জাতীয় দলেও অভিষেক ঘটে তাঁর, যদিও বিশ্বকাপ পর্যন্ত যেতে অপেক্ষা করেন আরো পাঁচ বছর। তার আগেই নিজের আবির্ভাব জানান দেন অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ জিতে। ম্যারাডোনা আর মেসি ছাড়া আর কারোই নেই অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ আর মূল বিশ্বকাপের গোল্ডেন বল।

নিজের প্রথম বিশ্বকাপে বেশ নিস্প্রভ ছিলেন ম্যারাডোনা। তবে অধিনায়ক হিসেবে ৮৬-এর মেক্সিকো বিশ্বকাপে পা রেখেই জ্বলে ওঠেন এই মহাতারকা। প্রতিটি ম্যাচের প্রতিটি মিনিট খেলা ম্যারাডোনার নামের পাশে ছিল ৫ করে অ্যাসিস্ট ও গোলের রেকর্ড। তবে কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে করা গোল দুটি নিয়ে আলোচনা এখনো ঝড় তোলে চায়ের কাপে। বহুল আলোচিত-সমালোচিত ‘হ্যান্ড অফ গড’ গোলটি দিয়ে শুরু করা ম্যারাডোনা পাঁচ ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে যেন শিল্পীর তুলিতে আঁকেন দ্বিতীয় গোলটি, যা পরবর্তীতে বিশ্বকাপ ইতিহাসের সেরা গোল হিসেবে নির্বাচিত হয়। সেমিফাইনালে আরো দুই গোল করা ম্যারাডোনার পাস থেকেই পশ্চিম জার্মানির বিপক্ষে ফাইনালে আসে জয়সূচক গোলটি। অলরাউন্ড পারফরমেন্সে পরম আরাধ্য বিশ্বকাপ শিরোপার সাথে টুর্নামেন্ট সেরার গোল্ডেন বলও নিজের করে নেন অধিনায়ক ডিয়েগো।

◤ ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে করা ‘গোল অফ দ্য সেঞ্চুরির’ পথে ◢


১৯৯০ সালের আসরে আবারও আলবিসেলেস্তে অধিনায়ক দলকে নিয়ে যান ফাইনালে। তবে চার বছর আগের ফাইনালের প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে সেবার আর সুবিধা করতে পারেনি আর্জেন্টিনা, ১-০ ব্যবধানে হেরে শেষ হয় শিরোপা মিশন। আর ১৯৯৪ বিশ্বকাপে মাত্র দুই ম্যাচ খেলেই যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাড়ির প্লেন ধরেন ডোপ টেস্টে নিষিদ্ধ হওয়া ম্যারাডোনা। সেই সাথে ৯১ ম্যাচে ৩৪ গোল নিয়ে সমাপ্তি ঘটে তাঁর ১৭ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের।

◤ স্বপ্নের বিশ্বকাপ হাতে ম্যারাডোনা ◢


‘ক্লাসিক নম্বর টেন’ ডিয়েগো ম্যারাডোনা সুপরিচিত ছিলেন ড্রিবলিং দক্ষতা, দূরদর্শিতা, বল নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা, পাসিং আর সৃজনশীলতার জন্য। গড়পড়তা শারীরিক উচ্চতা আর গঠন নিয়েও যে শক্তিমত্তা আর দক্ষতার ভেলকি দেখানো সম্ভব, তা দেখিয়ে গেছেন ম্যারাডোনা, আর এখন দেখাচ্ছেন স্বদেশি লিওনেল মেসি। ২০০৮ সালে মেসিদের কোচ হয়ে জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তন ঘটে তাঁর। নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে আর্জেন্টিনা নিশ্চিত করে ২০১০ বিশ্বকাপের টিকিট। মিডিয়ার সাথে তুমুল রেষারেষিতে একসময় ফিফা থেকে দুই মাসের নিষেধাজ্ঞাও পান। বিশ্বকাপে তুলনামূলক দুর্বল প্রতিপক্ষদের হারিয়ে ম্যারাডোনার দল কোয়ার্টার ফাইনালে জার্মানির কাছে হজম করে ৪ গোল। এর পরপরই বোর্ডের সাথে আরেক দফা রেষারেষিতে ইস্তফা দেন কোচের পদ থেকে।

◤ ২০১০ বিশ্বকাপে কোচ ডিয়েগো ◢


ক্লাবের কোচিংয়েও খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি ডিয়েগো। ২০১১ সালে দুবাইয়ের আল ওয়াসি ক্লাবে যোগ দিয়ে টিকতে পেরেছিলেন মোটে এক মৌসুম। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দ্বিতীয় বিভাগের দল ফুজাইরাহ-এ এক মৌসুম কাটিয়ে পাড়ি দেন মেক্সিকোয়। সর্বশেষ এ বছরের সেপ্টেম্বরে হেড কোচ হিসেবে যোগ দিয়েছেন নিজ শহরের ক্লাব জিমনাসিয়া ডে লা প্লাতায়।

রোমান ক্যাথলিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করা এই আর্জেন্টাইন মহাতারকা ক্যারিয়ারে মোট গোল করেছেন ৩৪৬টি। সমসাময়িক খেলোয়াড়েরা তাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন সবসময়। “জিদান বল পায়ে যা করত, তা সামান্য কমলালেবু পায়ে নিয়েই করতে পারতেন ম্যারাডোনা”, মজা করে বলেছিলেন ফরাসি গ্রেট মিশেল প্লাতিনি। পাওলো মালদিনির চোখে প্লাতিনি, রুমেনিগেদের চেয়ে বহু ধাপ উপরে ম্যারাডোনার স্থান। কোকেনের ভয়াল থাবা থেকে দূরে থাকতে পারলে হয়তো সর্বকালের সেরার বিতর্কটাই মাটিচাপা দিতে পারতেন চিরতরে। তবে যেটুকু করেছেন, তাতে ফুটবল বিশ্বে আজীবন কিংবদন্তির মর্যাদাই পাবেন ৫৯-এ পা রাখতে যাওয়া ডিয়েগো।

   

খাবারের পর প্লেট ধোয়া কষ্ট? তাহলে এই কৌশল আপনার জন্য!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

খাওয়ার বিষয়ে সবাই পটু। কিন্তু খাওয়ার পর থালা বাসন ধোয়াকে অনেকেই কষ্টকর কাজ মনে করেন। তাই দেখা যায় খাওয়ার পর অপরিষ্কার অবস্থায়ই থেকে যায় থালা বাসনগুলো। এবার এই কষ্ট কমাতে এক অভিনব কৌশল বেছে নিয়েছেন এক ব্যক্তি।

সম্প্রতি এমন এক ভিডিও নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি। 

হর্ষ গোয়েনকা নামে ভারতের এক শিল্পপতি তাঁর এক্স হ্যন্ডেলে (সাবেক টুইটার) ভিডিওটি শেয়ার করেন। এতে দেখা যায়, থালাবাসন পরিষ্কারের কাজ এড়াতে এক ব্যক্তি মজার এক কৌশল নিয়েছেন। এতে দেখা যায়, এক ব্যক্তি খাবার রান্না করছেন। খাবার আগে তিনি প্লাস্টিক দিয়ে প্লেট, চামচ ও পানির গ্লাস মুড়িয়ে নিচ্ছেন।

শেয়ার করে তিনি মজাচ্ছলে লিখেছেন, "যখন আপনার থালা-বাসন ধোয়ার জন্য পর্যাপ্ত পানি থাকে না..."।

ভিডিওটি শেয়ার করার পর মুহূর্তেই সেটি ভাইরাল হয়ে যায়। ভিডিওটি অনেক বিনোদনের জন্ম দিয়েছে। যদিও কেউ কেউ প্লাস্টিকের মোড়ককে হাস্যকর মনে করেন এবং এর ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

এক্স ব্যবহারকারী একজন লিখেছেন, 'পানি সংরক্ষণ ও পুনর্ব্যবহার করা হল মন্ত্র হল এমন কৌশল! তবে প্লাস্টিকের ব্যবহার নতুন করে ভাবাচ্ছে।'

অন্য একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, 'আমি আমার হোস্টেলের দিনগুলিতে এটি করেছি। আমাদের পানি সরবরাহ ছিল না এবং বারবার ধোয়ার কষ্টে এমন কৌশল নিয়েছি।'

আরেক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘মনে হচ্ছে বেঙ্গালুরুতে পানি–সংকটের সমাধান হয়ে যাচ্ছে।’

;

জলদানব ‘লক নেস’কে খুঁজে পেতে নাসার প্রতি আহ্বান



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রহস্যময় জলদানব জলদানব ‘লক নেস’কে খুঁজে পেতে নাসার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে লক নেস সেন্টার। ২০২৩ সালের এই রহস্যময় প্রাণীর শব্দের উৎস ও একে খুঁজে পেতে হাইড্রোফোন ব্যবহার করা হয়েছিল।

স্যার এডওয়ার্ড মাউন্টেনের ৯০তম অভিযানের অংশ হিসেবে আগামী ৩০ মে থেকে ২ জুন পর্যন্ত এই ‘লক নেস মনস্টার’কে খুঁজে পেতে অনুসন্ধান চালানো হবে।

রহস্যময় এই ‘লক নেস মনস্টার’কে ১৯৩৪ সালে প্রথম দেখা যায়। এ পর্যন্ত ১ হাজার ১শ ৫৬ বার দেখা গেছে বলে লক নেস সেন্টার সূত্রে জানা গেছে।

এ বিষয়ে লক নেস সেন্টারের এমি টোড বলেছেন, আমরা আশা করছি, এই রহস্যময় জলদানবকে খুঁজে পেতে মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার গবেষকেরা আমাদের সহযোগিতা করবেন। তারা আমাদের জলদানবকে খুঁজে পেতে যথাযথ নির্দেশনা দেবেন এবং এ বিষয়ে সব কিছু জানাতে সাহায্য করবেন।

তিনি বলেন, আমাদের অভিযানের বিষয়ে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছি। আমরা আশা করছি, নাসার উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে আমরা জলদানব বিষয়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজে পাবো।

রহস্যময় জলদানব খুঁজে পেতে স্বেচ্ছাসেবকের ভূপৃষ্ঠ থেকে যেমন নজর রাখবেন, তেমনি পানির ভেতরে অভিযান চালানোর বিষয়ে তাদেরকে নির্দেশনা দেওয়া হবে। রহস্যময় জলদানবকে খুঁজে পেতে ১৯৭০ দশক ও ১৯৮০ দশকের যে সব তথ্যচিত্র লক নেসের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে, সেগুলো যাচাই করে দেখা হবে।

তারপর জলদানব সম্পর্কে স্বেচ্ছাসেবকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেবেন লক নেসের পরিচালক জন ম্যাকলেভারটি।

এ নিয়ে গবেষকদের নিয়ে একটি অনলাইন বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে। যারা রহস্যময় এই জলদানবকে সচক্ষে দেখেছেন, তারাও এ লাইভ বিতর্কে অংশ নেবেন।

নেস হৃদ

যে হ্রদে জলদানব অবস্থান করছে বলে জানা গেছে, অভিযানের অভিযাত্রী দল নৌকায় করে সেখানে যাবেন। এসময় তাদের সঙ্গে থাকবেন গভীর সমুদ্রে অনুসন্ধানকারী দলের ক্যাপ্টেন অ্যালিস্টার মাথিসন। তিনি লক নেস প্রজেক্টে একজন স্কিপার হিসেবে কাজ করছেন। তার সঙ্গে থাকবেন ম্যাকেন্না।

অনুসন্ধান কাজে ১৮ মিটার (৬০ ফুট) হাইড্রোফোন ব্যবহার করা হবে। এটি দিয়ে রহস্যময় শব্দের প্রতিধ্বনি রেকর্ড করা হবে।

দ্য লক নেস সেন্টার ড্রামনাড্রোচিট হোটেলে অবস্থিত। ৯০ বছর আগে অ্যালডি ম্যাককে প্রথম রিপোর্ট করেছিলেন যে তিনি একটি জলদানব দেখেছেন।

লক নেস সেন্টারের জেনারেল ম্যানেজার পল নিক্সন বলেছেন, ২০২৩ সালে নেসিকে খুঁজে পেতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ফ্রান্স, ইতালি, জাপানসহ আরো অনেক দেশ অনুসন্ধান কাজে অংশ নিয়েছিল। এটি ছিল বড় ধরনের একটি অভিযান।

তিনি বলেন, অনুসন্ধানের সময় যে অদ্ভুত শব্দ শোনা গিয়েছিল, সে শব্দের কোনো ব্যাখ্যা দাঁড় করানো যায়নি। তবে আমরা এবার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ যে, জলদানব লক নেসের রহস্য উন্মোচন করতে পারবো।

এ বিষয়ে আমরা সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করবো। এ রহস্যময় জলদানব লক নেস সম্পর্কে যাদের ধারণা আছে, তাদের সহযোগিতা নেওয়া হবে। পল নিক্সন আরো বলেন, এবার আমরা খুবই উচ্ছ্বসিত যে, জলদানবকে খুঁজে পেতে নতুন ধরনের যন্ত্রপাতি ব্যবহার করবো।

স্কটল্যান্ডের ইনভার্নেসের কাছে এক বিশাল হ্রদের নাম ‘নেস’। স্কটিশ গেলিক ভাষায় হ্রদকে লক (Loch) বলা হয়। আর উচ্চারণ করা হয় ‘লক’। গ্রেট ব্রিটেনের স্বাদুপানির সবচেয়ে একক বৃহত্তম উৎস এ হ্রদটির আয়তন ২২ বর্গ কিলোমিটার, গভীরতা ৮০০ ফুটেরও বেশি। এই হ্রদেই দেখা মিলেছিল সত্যিকারের জলদানব ‘লক নেসের’।

;

স্টেডিয়ামে খেলা দেখার জন্য অফিসে মিথ্যা বলা, শেষ রক্ষা হয়নি তার!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বহুল প্রত্যাশিত ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) শুরু হয়েছে ২২ মার্চ থেকে। বিশ্বের নামিদামী সব খেলোয়াড়ের উপস্থিতি থাকায় বিশ্বজুড়ে এই লীগের চাহিদা তুঙ্গে। তাই এর দর্শক সংখ্যাও কত হতে পারে সেটা সহজেই অনুমেয়। যাদের সুযোগ সামর্থ্য থাকে তারা স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখেন আর যাদের সুযোগ না থাকে তারা টেলভিশনের পর্দায়ই বিনোদন খোঁজেন।

সম্প্রতি, এই লীগের একটি ম্যাচ স্টেডিয়ামে দেখতে গিয়ে অদ্ভুত এক কাণ্ডের জন্ম দিয়েছেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরের নেহা নামে এক নারী ভক্ত। ওইদিন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ও লখৌন সুপার জায়ান্টসের মধ্যে ম্যাচ চলছিল। সেই খেলা মাঠে বসে দেখতে তিনি পারিবারিক সমস্যার কথা বলে আগেই অফিস থেকে বের হয়ে যান।

তারপর যথারীতি সে মাঠে বসে খেলা উপভোগ করছিল। কিন্তু বিপত্তি বাঁধে অন্য জায়গায়। খেলা চলার এক পর্যায়ে তাকে টিভি স্ক্রিনে দেখতে পায় তার অফিসের বস।

পরে এই ঘটনাটির একটি ভিডিও তিনি তার ইন্সটাগ্রাম একাউন্টে শেয়ার করেন। সেখানে তিনি পুরো বিষয়টি নিয়ে খোলাসা করেন।

ওই ভিডিওতে নেহা বলেন, অফিস থেকে পারিবারিক সমস্যার কথা বলে মাঠে এসে খেলা দেখেছি। আমি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর একজন ভক্ত। কিন্তু টিভি স্ক্রিনে আমার বস আমাকে দেখে ফেলে। পরে তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করেছেন আমি কোন দলের সমর্থক হিসেবে খেলা দেখছি। আমি বলেছি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।

এরপর বস বলেন, তাহলে আপনি নিশ্চয় গতকাল খুব অসন্তুষ্ট ছিলেন। ওরা ফিল্ডিংয়ে একটি ক্যাচ মিস করার সময় আপনাকে খুব উদ্বিগ্ন চেহারায় দেখেছি। ১৬.৩ ওভারে যখন কিপার ক্যাচ মিস করলো, তখন।

হাতেনাতে ধরা পড়ে যাওয়ার পর নেহা স্বীকার করে নেন, ওটা তিনিই ছিলেন। বলেন, হ্যাঁ, অনুজ রাওয়াত ক্যাচ মিস করেছিল।

এরপর নেহার বস বলেন, মাত্র কয়েক সেকেন্ডের জন্য ক্যামেরায় আপনাকে দেখিয়েছিল। আর তাতেই আমি চিনে ফেলেছি। তাহলে এটাই ছিল গতকাল দ্রুত বেরিয়ে যাওয়ার কারণ।

এরপর তিনি একটি হাসির ইমোজি দিয়ে কথপোকথন শেষ করেন।

ভিডিওটি শেয়ার করার পর রাতারাতি সেটি ভাইরাল হয়ে যায়।

পোস্টের নিচে অনেকেই নিজেদের অভিমত ব্যক্ত করেছেন।

একজন লিখেছেন, এটা ঠিক আছে। ম্যানেজারের উচিত কর্মচারীকে স্বাধীনতা প্রদান করা। যাতে সে সত্য বলতে পারে বা নিজের জীবনকে স্বাধীনভাবে উপভোগ করতে পারে।

আরেকজন লিখেছেন, আপনাকে এর জন্য চাকরি থেকে বরখাস্ত করা উচিত। একে তো আপনি অফিস থেকে মিথ্যা কথা বলে বের হয়েছে আবার নিজেদের ব্যক্তিগত কথা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেছেন।

;

নওগাঁয় কালের সাক্ষী কয়েক শ বছরের পুরোনো বটগাছ



শহিদুল ইসলাম, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নওগাঁ সদর উপজেলার বক্তারপুর ইউনিয়নের মুরাদপুর গ্রামে বট ও পাকুড় গাছের মেল বন্ধন প্রায় ৩০০ বছরের অধিক সময়ের। প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম কালের সাক্ষী হয়ে এখনো দাঁড়িয়ে আছে রহস্যময় এই বট গাছটি। প্রায় ৫ থেকে ৬ একর জমির ওপরে শাখা-প্রশাখা ছড়িয়ে দর্শনার্থীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে এই পুরাতন বটগাছটি।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বট ও পাকুর মিলে বিশাল জায়গাজুড়ে কাল্পনিক এক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়েছে। বট গাছের কাণ্ড থেকে কাণ্ড শাখা থেকে প্রশাখা মাটিয়ে লুটে পড়ে আরেক বটগাছের জন্ম দিয়েছে। কাণ্ডগুলো দেখলে বোঝার উপায় নেই যে এটির মূল শাখা কোনটি। লতা থেকে মাটিতে পড়ে সৃষ্টি হয়েছে আরেকটি বটগাছ এভাবে অনেকটা জায়গাজুড়ে এক অন্যরকম সৌন্দর্যে বিমোহিত হয়েছে স্থানটি। বটগাছের নিচে ও পাশে রয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কালি মন্দির যেখানে কয়েকদিন পর পর বিভিন্ন অনুষ্ঠান করেন তারা।

মুরাদপুর গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা গৌরাঙ্গ সাহা ( ৫০) এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, আসলে এই গাছটির সঠিক বয়স কত সেটি আমরা কেউ জানিনা। আমার বাবা-দাদা তারাও এখানে পূজা করতেন তবে তারা আমাদেকে সঠিক বয়স বলতে পারেনি। আমার দাদার মুখে শুনেছি উনার ছোটবেলাতে সেখানে গিয়ে খেলাধুলা করতেন সে সময় গাছটি ঠিক এমন-ই ছিল। তবে অনুমান করা যায়, এই গাছের বয়স প্রায় ৩০০ থেকে ৪০০ বছরের অধিক হতে পারে।

একই গ্রামের গৃহবধূ লাইলী বেগম ( ৫৫) বলেন, আমার বিয়ে হয়েছে প্রায় ৩০ বছর হলো আর তখন থেকেই এই গাছটি দেখে আসছি। বাড়ি কাছে হওয়ায় প্রতিদিন আশেপাশে আসতে হয় বিভিন্ন কাজে। মূল গাছটি আমরা অনেক খুঁজেছি কিন্তু পাইনি। একটা গাছ থেকে এতগুলো গাছের সৃষ্টি হয়েছে দেখতে ভালোই লাগে। তবে যদি এটি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করলে আরো কয়েকশ বছর টিকবে বলে মনে করি।

হালঘোষপাড়া থেকে আসা রায়হান নামের এক দর্শনার্থী বলেন, শুনেছিলাম এখানে অনেক পুরাতন বটগাছ আছে আজকে দেখতে আসলাম। চারিদিকে ছড়িয়ে গেছে এমন বটগাছ আমাদের এলাকায় নেই। দেখে খুব ভালো লাগছে এখন থেকে মাঝেমধ্যেই আসব।


কল্পনা রানী ( ৪৮) বলেন, আমার স্বামীর বাবার মুখ থেকে শুনেছি এটির বয়স প্রায় ৩০০ বছরের অধিক। কিছুদিন পর পর এখানে পূজা হয় বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ এসে পূজা দেয়। এমন সুন্দর বটগাছ আমি কোনোদিন দেখিনি।

বিমল সাহা নামের এক শিক্ষার্থী জানান, আমরা প্রতিদিন আমরা এখানে এসে ক্রিকেট খেলি। এতো পুরাতন একটি বটের গাছ দেখতে পেয়ে আমাদের খুব ভালো লাগে।

এ বিষয়ে নওগাঁ সরকারি কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এনায়েতুস সাকালাইন বার্তা২৪.কমকে বলেন, প্রাকৃতিকভাবে একেকটা উদ্ভিদের আয়ু একেক রকম হয়ে থাকে সেরকম বটগাছ দীর্ঘজীবি উদ্ভিদ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, কোনো কোনো জায়গায় ৫০০ বছর বা অধিক সময়ের বেশি বেঁচে থাকে। এই উদ্ভিদগুলোর অভিযোজন ক্ষমতা অনেক বেশি ও পরিবেশের সাথে এদের খাপখাইয়ে নেওয়ার ক্ষমতাও বেশি এবং যেকোনো প্রতিকূল পরিবেশে এরা মোকাবিলা করতে সক্ষম। বটগাছ গুলো বেশি পানি না পেলেও দীর্ঘদিন বেঁচে থাকে আবার খুব বেশি তাপমাত্রা বা তাপমাত্রা নিচে নেমে গেলেও এ ধরনের উদ্ভিদ সে সময় টিকে থাকতে পারে সেজন্য অনেক সময় বিল্ডিং বাড়ির দেয়ালেও এদের বিস্তার দেখা যায়।

তিনি আরও বলেন, বট গাছগুলোর একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য আছে সেটি হলো ওপরের দিকে একটু বেড়ে অনেকদিকে বিস্তার লাভ করে বেশ বড় জায়গা দখল করে তখন এই উদ্ভিদগুলোর ওপরের অংশের ভার বহন করার জন্য ঠেসমূল গঠন করে তারা। মূল কাণ্ড থেকে আস্তে আস্তে মাটিতে ঠেসমূল নেমে আসে তখন ধীরে ধীরে মোটা হতে থাকে। মূল যে কাণ্ডটা তার থেকে বয়সের সাথে সাথে আরো তৈরি হয় যাতে গাছের ভার বহন করতে সক্ষম হয় এবং এভাবে বিশাল জায়গাজুড়ে একে একে বিস্তার লাভ করে কাণ্ডগুলো। বটগাছে এ ধরনের কর্মকাণ্ড লক্ষ্য করা যায় কিন্তু পাকুড় জাতীয় গাছে কম লক্ষ্য করা যায়।

;