হুমায়ূন-সাহিত্যের স্বাদ নিতে পড়ুন এ বইগুলো



তানিম কায়সার, কন্ট্রিবিউটিং করেসপন্ডেন্ট
হুমায়ূন আহমেদের কয়টি বইয়ের প্রচ্ছদ

হুমায়ূন আহমেদের কয়টি বইয়ের প্রচ্ছদ

  • Font increase
  • Font Decrease

অনেকে বলেন হুমায়ূন আহমেদের বই আয়নার মতো। পাঠক যেন তাতে নিজেকেই দেখতে পান। তাই সময় বদলায়, মানুষের জীবনে আসে কতশত পরিবর্তন। তবুও হুমায়ূন সাহিত্যের মুগ্ধতা পাঠকের কাটেই না। কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক তাঁর ব্যাপারে বলেছেন, ‘পারিবারিক সম্পর্কের মধ্যে যে চিরায়ত রসায়নটা আছে তিনি সবসময় ওইটা ব্যবহার করেছেন। যেখানে তিনি গভীর জটিলতা এড়িয়ে গেছেন বলে মনে হয় সেখানে তিনি মানবিকতার চিরন্তন মূল্যবোধগুলোকে পুঁজি করেছেন। যেটা তাকে অনেক দিন টিকিয়ে রাখবে।’

টিকে আছেন হুমায়ূন আহমেদ। আছেন মানে একেবারে গেঁথে আছেন তিনি। বৃষ্টিধারা যেমনি ভূমিতলের অন্তরে প্রবেশ করে বহু প্রাণের সঞ্চার করে, হুমায়ূন সাহিত্য তেমনি, পাঠককে সঞ্চারিত করে অন্য সাহিত্যের দিকেও। এদেশের তরুণ প্রজন্মের একটা বিরাট অংশের পাঠক হয়ে ওঠা এই হুমায়ুন আহমেদের হাত ধরেই। তাঁর রচিত বইয়ের সংখ্যা প্রায় তিনশোরও অধিক। সেখান থেকে কয়েকটি বইয়ের সারসংক্ষেপ, হুমায়ূন-সাহিত্যের স্বাদ নিতে চাইলে যা এখনই পড়ে ফেলতে পারেন।

নন্দিত নরকে

কথায় আছে “মর্নিং শোজ দ্য ডে।” হুমায়ুন আহমেদ যেন তার প্রথম বইয়েই দেখিয়ে দিয়েছিলেন তিনি আসলে সাহিত্য জগতে অতিথি হয়ে নয়, বরং এসছেন এখানে স্থায়ী বসবাস গড়তে। এখানে লেখক নিজেকে বেছে নেন উপন্যাসের কাহিনী কথক হিসেবে। নামও থাকে হুমায়ূন । বইটিতে কোনো চরিত্রকেই প্রধান চরিত্র বলা যায় না, এখানে যেন প্রধান হয়ে উঠেছে নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের জীবনসংগ্রাম , দুঃখ , কষ্ট , হাসি , কান্না, যৌনতা। গল্পে হুমায়ূনের সাথে থাকে তার অপ্রকৃতস্থ এক বছরের বড়বোন রাবেয়া, ছোট বোন রুনু, বাবা আর মা। আরো থাকে বাবার বন্ধু তাদের বাসায় আশ্রিত মাস্টার কাকা এবং বাবার প্রথম ঘরের সন্তান মন্টু। একদিন রাবেয়া হারিয়ে যায়, ওকে খুঁজে বের করে আনেন মাস্টার কাকা। কিছুদিন পরেই সন্তানসম্ভবা হয় রাবেয়া। পাগল মেয়ের সাথে কে কখন কী করেছে, রাবেয়া বলতে পারে না। এই সংকটের মধ্যে দিয়ে একটি পরিবার এগিয়ে যেতে থাকে। শেষে কারা যেন মন্টু মাস্টার কাকাকে খুন করে, কেন খুন করল জানতে হলে অসাধারণ এই বইটি আপনাকে পড়তে হবে।

দেবী

হুমায়ূন আহমেদের তৈরি চরিত্রগুলোর মধ্যে মিসির আলী অন্যতম প্রধান চরিত্র। এই দেবী উপন্যাসের মাধ্যমেই মিসির আলীর আবির্ভাব ঘটে। সম্প্রতি এই বইয়ের আলোকে তৈরি হয়েছে সিনেমা। জয়া আহসান চঞ্চল চৌধুরি অভিনীত সিনেমাটি ব্যাপক আলোচিতও হয়েছে। রানু নামের এক নববিবাহিতার কিছু অলৌকিক ঘটনা ও মানসিক সমস্যা এবং মিসির আলীর সেসব সমস্যা নির্ণয়ের চিত্র ফুটে উঠেছে খুবই সাবলীলভাবে। বইটি না পড়া থাকলে আজই পড়ে ফেলতে পারেন।

ময়ূরাক্ষী

হুমায়ূন আহমেদের তৈরি সবচেয়ে জনপ্রিয় চরিত্র হলো হিমু। হলুদ পাঞ্জাবী, মুখে দাড়ি, এলো চুলের হিমুর কাজ কারবার ছিল খুবই অদ্ভুত। তরুণ প্রজন্মের কাছে তাই হিমু খুবই জনপ্রিয় একটি চরিত্র। এই গল্পে দেখা যায় হিমুর বাবা ছিলেন একজন বিকারগ্রস্ত মানুষ তিনি বিশ্বাস করতেন ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার যদি প্রশিক্ষণ দিয়ে তৈরি করা যায় তবে একইভাবে মহাপুরুষও তৈরি করা সম্ভব। তিনি মহাপুরুষ তৈরির জন্য একটি বিদ্যালয় তৈরি করেছিলেন যার একমাত্র ছাত্র ছিল তার সন্তান হিমু। এই মহাপুরুষ তৈরির জন্যই সে তার স্ত্রী, হিমুর মাকে হত্যা করে। একসময় হিমু বড় হয়। মেট্রিক পাসের পর তার ফুফুর বাড়িতে আসে। সেখানেও এক সমস্যা হয়। তার ফুফাত ভাই বাদল তার সংস্পর্শে এসে তার ভক্ত হয় এবং তিনবার ইন্টারমিডিয়েটে ফেল করে। বাদল হিমুকে মহাপুরুষ মনে করে। হিমুর প্রতি রয়েছে তাঁর অগাধ বিশ্বাস।

ইউনিভার্সিটিতে পড়ার দুই বছর পর প্রথম কথা হয় রুপার সাথে। একসময় সে ভালোবেসে ফেলে হিমুকে কিন্তু হিমু তাকে ধরা দেয় না, ঠিক তেমনিই চলেও যায় না। সে তো মহাপুরুষ হওয়ার সাধনা করছে, সে কেমন করে স্বাভাবিক হয়ে রুপার কাছে যাবে। এসব টানা পোড়েনের মধ্যে দিয়ে চলতে থাকে গল্প।

দীঘির জলে কার ছায়া গো

“দীঘির জলে কার ছায়া গো
তোমার না আমার
তোমার কী আর মন চায় না এই কথাটা জানার?”
গল্পের নায়ক মুহিব। মুহিব নামটা কি একটু চেনা চেনা লাগছে? আচ্ছা মুহিবের মুহি অক্ষর দুটি উল্টালে দেখুন তো কি হয়। হুমমমম হিমু হয়। নামের কারণেই হোক আর অন্য কোনো কারণেই হোক মুহিবও হিমু পাগল। অনেক সময় তার ইচ্ছে করে হিমুর মতো হয়ে যেতে, তার মতো কার্যকলাপ করতে। সবার সাথে ভালো সম্পর্ক হলেও যে জিনিসটা মুহিব ছাড়তে পারে না সেটা হলো মিথ্যাদিবস। মুহিবের একটা মিথ্যা দিবস আছে। এইদিন মিথ্যা ছাড়া সত্যি বলে না মুহিব। এ তো গেল গল্পের নায়ক, নায়িকাও একজন আছে নাম লীলা। লীলা হলো মুহিবের কাছে রুপা। দুজনের বন্ধুত্ব অসাধারণ। এরকম আনন্দে ঝলমলে দিনগুলো যখন কাটছিল তখনই নেমে আসলো কঠিন এক ঝড়ো হাওয়া। মুহিবের বাবাকে ধর্ষণের অভিযোগে জেলে নিয়ে যাওয়া হলো। বাকি ঘটনা জানতে হলে বইটি পড়তে হবে আপনাকে।

জোছনা ও জননীর গল্প

মুক্তিযুদ্ধের ওপর যত উপন্যাস লেখা হয়েছে তার মধ্যে অনেকেরই সবচেয়ে প্রিয় উপন্যাস সম্ভবত হুমায়ূন আহমেদের ‘জোছনা ও জননীর গল্প’। এর কাহিনী শুরু হয়েছে যুদ্ধ দিয়ে নয়। বরং অন্যান্য উপন্যাসের মতোই। ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের দলিলপত্র’ থেকে বেশ কজন প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনার মাধ্যমে যুদ্ধের নয় মাসের ভয়াবহতা তুলে ধরেছেন নিপুণভাবে। সবজায়গাতেই লেখক তথ্যসূত্র ব্যবহার করেছেন ফুটনোটে, এটি বইটির অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য। বইয়ে এরপর রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের বর্ণনা। উঠে এসেছে কালজয়ী কিছু ব্যক্তিত্বের কথাও। মওলানা ভাসানী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, ইন্দিরা গান্ধী প্রমুখের তৎকালীন জীবনবর্ণনা উঠে এসেছে খুবই ভিন্নভাবে।

কৃষ্ণপক্ষ

‘কৃষ্ণপক্ষ’ হুমায়ূন আহমেদের নিজেরই অত্যন্ত প্রিয় একটি উপন্যাস। সে কথা তিনি নিজেই বিভিন্ন সময় তাঁর লেখায়, কথাবার্তায় জানিয়ে গেছেন। হুমায়ূনের পাঠকেরা লক্ষ সেরা লেখার মধ্য থেকেও এই লেখাটাকে আলাদা করে রাখতে পারবে। শুধু এই নয় যে উপন্যাসটা স্বয়ং লেখকের পছন্দের উপন্যাস।

কোথাও কেউ নেই

বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রদর্শিত এই টিভি ধারাবাহিক এতটাই জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল যে, ধারাবাহিকটির প্রতিটি পর্ব, দর্শকরা প্রবল আগ্রহ নিয়ে উপভোগ করতেন। ধারাবাহিকের অগ্রগতির সাথে সাথে দর্শকরা বাকের ভাইকে পছন্দ করে ফেলেন এবং বাকেরের পক্ষে জনমত গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে যখন বাকের ভাইয়ের ফাঁসি হবার সম্ভাবনা প্রবল হয়ে উঠে, উকিল হুমায়ূন ফরিদি শত চেষ্টাসত্ত্বেয় খেই হারিয়ে ফেলছেন এই কেসে, তখন দর্শকরা প্রতিবাদমুখর হয়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসে; চলতে থাকে মিছিল, দেয়াললিখন, সমাবেশ। ঢাকাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে লোকজন মিছিল করে স্লোগান দিতে থাকে: ‘বাকের ভাইয়ের ফাঁসি কেন, কুত্তাওয়ালী জবাব চাই’ কিংবা, ‘বাকের ভাইয়ের কিছু হলে জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে’। বইটি নিয়ে আলাদা করে কিছু বলবার আছে কি?

এইসব দিন রাত্রি

হুমায়ূন আহমেদের এই গল্পটি নিয়েও নাটক হয়েছে বিটিভিতে। সেখানে টুনি নামের একটা বাচ্চা মেয়ে ছিল। গল্পে যার মৃত্যু হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু তার যেন মৃত্যু না হয় এজন্যে হাজার হাজার মানুষ চিঠি পাঠাতে থাকেন।

মেঘ বলেছে যাব যাব

উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র হাসান এক মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। মা বাবা বোন ভাই ভাবী সবার সাথে যৌথ পরিবারে থাকে। বর্তমানে বেকার। উপন্যাসে হাসানের কাহিনী প্রধানত তার বেকার জীবন ও প্রেমে ব্যর্থতটাকে কেন্দ্র করে গড়ে তোলেন হুমায়ূন আহমেদ। হাসান ভালোবাসে তিতলিকে। সেও এক মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে। পরিবারের সবাই প্রথমে হাসানের সাথে তিতলির মেলামেশাকে প্রাধান্য দিলেও পরবর্তীতে যখন বিয়ের জন্যে বিত্তশালী ছেলে পায় তখন তারা সেই ছেলের কাছেই তিতলির অমত থাকা সত্ত্বেও বিয়ে দেয়।

   

মাঝরাতে আইসক্রিম, পিৎজা খাওয়া নিষিদ্ধ করল মিলান!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: স্কাই নিউজ

ছবি: স্কাই নিউজ

  • Font increase
  • Font Decrease

আইসক্রিম, পিৎজা অনেকের কাছেই ভীষণ পছন্দের খাবার। তবে ইউরোপসহ পশ্চিমা দেশগুলোতে মাঝরাতে এসব মুখরোচক খাবার ও পানীয় খাওয়ার প্রবণতা বেশি দেখা যায়। ইতালিতে জেলাটিনের তৈরি আইসক্রিম খুব বিখ্যাত। এজন্য ইতালিতে 'জেলাটো সংস্কৃতি' নামে একটা কালচার গড়ে উঠেছে। সম্প্রতি ইতালির মিলানের বাসিন্দাদের জন্য একটি নতুন আইন প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রতিবেদন- স্কাই নিউজ।

মিলানে বসবাসকারীদের অধিকাংশই মাঝরাতে রাস্তায় ঘোরাঘুরি করে আইসক্রিম, পিৎজা, ফাষ্টফুড জাতীয় খাবার ও পানীয় পান করে থাকে। এতে করে সেখানকার এলাকাবাসীদের রাতের ঘুম বিঘ্নিত হয়। নতুন প্রস্তাবিত আইনে শহরবাসীর রাতের ঘুম নির্বিঘ্ন করতে মধ্যরাতের পর পিৎজা ও পানীয়সহ সব ধরনের টেকওয়ে খাবার নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

তবে মধ্যরাতের পর আইসক্রিম নিষিদ্ধ করার চেষ্টা এবারই প্রথম নয়। ২০১৩ সালে, তৎকালীন মেয়র গিউলিয়ানো পিসাপিয়া অনুরূপ ব্যবস্থা বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু 'অকুপাই জেলাটো' আন্দোলনসহ তীব্র প্রতিক্রিয়ার পরে তিনি এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন।

এরপর আবারও মিলানে এ আইনটি প্রস্তাব করেছেন ডেপুটি মেয়র মার্কো গ্রানেল্লি। দেশটির ১২টি জেলা এই প্রস্তাবের আওতাভুক্ত হবে বলে জানিয়েছে মিলান কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে মিলানের মেয়র গ্রানেল্লি বলেন, 'আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে সামাজিকতা ও বিনোদন এবং বাসিন্দাদের শান্তি ও প্রশান্তির মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা।

প্রস্তাবটি নিম্নলিখিত এলাকাগুলোতে প্রযোজ্য হবে বলে জানিয়েছে মিলান কর্তৃপক্ষ: নোলো, লাজারেটো, মেলজো, ইসোলা, সারপি, ভায়া সিজারিয়ানো, আরকো ডেলা পেস, কোমো-গাইআউলেন্টি, পোর্টা গ্যারিবল্ডি, ব্রেরা, টিসিনিজ এবং দারসেনা-নাভিগলি।

জানা যায়, প্রস্তাবটি মে মাসের মাঝামাঝি থেকে কার্যকর থাকবে এবং নভেম্বর পর্যন্ত চলবে। এটি প্রতিদিন রাত ১২.৩০ টায় এবং সাপ্তাহিক ছুটির দিন এবং সরকারী ছুটির দিনে রাত ১.৩০ টা থেকে প্রয়োগ করা হবে। তবে এ প্রস্তাবের বিরুদ্ধে নাগরিকদের মে মাসের শুরু পর্যন্ত আপিল করার এবং আইন পরিবর্তনের পরামর্শ দেওয়ার সময় রয়েছে।

 

 

 

;

অস্ট্রেলিয়ায় নিখোঁজ কুকুর ফিরলো যুক্তরাজ্যের মালিকের কাছে



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অস্ট্রেলিয়ায় ঘুরতে এসে নিখোঁজ হয় যুক্তরাজ্যের এক দম্পতির পালিত কুকুর। যুক্তরাজ্যে আসার ১৭ দিন পর মিলো নামের কুকুরটিকে ফিরে পেয়েছেন জেসন হোয়াটনাল নিক রোল্যান্ডস দম্পতি।

হোয়াটনাল এবং তার সঙ্গী নিক সম্প্রতি তাদের কুকুর মিলোকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া পরিদর্শনে যান। তারা যখন সোয়ানসিতে বাড়িতে যাচ্ছিলেন তখন মেলবোর্ন বিমানবন্দরে তার হ্যান্ডলার থেকে কুকুরটি পালিয়ে যায়।

সাড়ে পাঁচ বছর বয়সী কুকুরটিকে অবশেষে মেলবোর্নের শহরতলিতে ১৭ দিন পর খুঁজে পাওয়া যায়।


হোয়াটনাল স্কাই নিউজকে বলেন, ‘মিলোকে ফিরে পাওয়াটা খুবই আশ্চর্যজনক ছিল আমার জন্য। যখন আমি আমার প্রিয় মিলোর (কুকুর) সাথে পুনরায় মিলিত হয়েছিলাম, তখন আমি কান্নায় ভেঙে পড়েছিলাম। আমার কান্না দেখে অন্যরাও কেঁদেছিল। এটি সত্যিই আবেগপ্রবণ ছিল।

তিনি আরও বলেন, বিশ্বের অন্য প্রান্তে থেকে মিলোর কথা চিন্তা করে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলাম। আমরা জানতাম না মিলো কোথায় আছে। এটি বেশ হতাশাজনক ছিল আমাদের জন্য, কিছুটা আশা হারিয়ে ফেলেছিলাম। তাকে ফিরে পাবো ভাবিনি।

মিলোকে পাওয়ার জন্য সামাজিক মাধ্যমে জানিয়েছিলাম, তখন স্বেচ্ছাসেবকদের কাছ থেকে সাহায্য আসে, তারা মিলোর সন্ধান দেয়। মিলোকে আমাদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য তাদের ধন্যবাদ।

;

আমার হাতের পাখা যেন তাদের আরাম দিচ্ছে!



মৃত্যুঞ্জয় রায়, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: বার্তা২৪, তালপাতার পাখা বিক্রি করছে পাঁচ বছরের শিশু মাহমুদুল্লাহ

ছবি: বার্তা২৪, তালপাতার পাখা বিক্রি করছে পাঁচ বছরের শিশু মাহমুদুল্লাহ

  • Font increase
  • Font Decrease

আবু বক্কর (৬২)। বয়সের ভারে অসুস্থ হয়ে তিনি এখন পাকা বিক্রেতা। প্রচণ্ড তাপদাহে মানুষ যখন ঠান্ডা বাতাসের প্রশান্তি খুঁজছে, তখন তিনি গ্রামে গ্রামে গিয়ে তালপাতার পাখা বিক্রি করছেন।

আবু বক্কর বার্তা২৪.কমকে বলেন, স্ত্রীসহ ছয় মেয়ে নিয়ে আমার সংসার। তবে মেয়েদের বিয়ে দিতে পেরেছি। কিন্তু বয়সের ভারে ঠিকই আমরা একা থেকে গেলাম। শেষ বয়সে গ্রামে গ্রামে তালপাতা পাখা বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছি। শুধু সংসার না, এই টাকায় আমার পায়ের শিরার ব্যথার ওষুধও কিনতে হয়। একবেলা ওষুধ না খেলে চলতে পারি না।

এদিকে, পুরনো ব্যবসার ঋণের বোঝা আর অন্যদিকে অসুস্থ হয়ে ওষুধসহ সংসারের খরচ। শেষ বয়সে তালপাতার পাখাই আমার একমাত্র জীবনসঙ্গী বলেন আবু বক্কর।

তালপাতার পাখা বিক্রি করছেন আবু বক্কর, ছবি- বার্তা২৪.কম

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার কলাগাছি গ্রামের কবিগানের অনুষ্ঠানে সরেজমিন দেখা যায়, একপাশে তালপাতার পাখা বিক্রি করতে ব্যস্ত ছোট্ট পাঁচ বছরের শিশু মাহমুদুল্লাহ। এই গরমে যখন তার ঘরে থাকার কথা, তখন সে নানা-নানীর সঙ্গে এসে তালপাতার পাখা বিক্রি করছে। কবিগানে বসে থাকা সব শ্রোতার কাছে গিয়ে বলছে, পাখা লাগবে, পাখা! কথা বলতে চাইলেও এ পাশ ওপাশ দিয়ে চলে যাচ্ছে, ক্রেতার কাছে।

এক ফাঁকে তাকে কাছে পেয়ে জিজ্ঞাসা করা হয়, এই বয়সে পাখা বিক্রি করছো কেন! এ প্রশ্নের উত্তরে বার্তা২৪.কমকে মাহমুদুল্লাহ বলে, প্রচণ্ড গরমে স্কুল ছুটি। তাই, নানা-নানীর সঙ্গে চলে এসেছি মেলায় পাখা বিক্রি করতে। মানুষজন আমার কাছ থেকে যেন বেশি পাখা কেনে (ক্রয়), তাই আমি মেলায় তাদের সঙ্গে এসেছি।

অনেক উৎসাহের সঙ্গে সে বলে, গরমে আমার হাতের পাখায় যেন তাদের আরাম দিচ্ছে! মেলা হলে আমি সেখানে চলে যাই পাখা বিক্রি করতে। ঘোরাঘুরিও হয় আর টাকা ইনকামও হয়। টাকার জন্য বের হয়ে পড়েছি। আমরা পাখা বিক্রি করে পেট চালাই। নানা-নানী বুড়ো হয়ে গেছে। তাই, আমি সঙ্গে এসে তাদের কষ্টটাকে একটু ভাগাভাগি করে নিচ্ছি।

যেখানে প্রচণ্ড তাপে মানুষজন নাজেহাল, সেখানে ছোট্ট মাহমুদুল্লাহ ছুটে চলেছে এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে পাখা বিক্রি করতে। ছোট্ট শিশু হলেও গরম যেন তার কাছে কিছু না, পেটের তাগিদে!

আরেক পাখা বিক্রেতা তালা উপজেলার হরিণখোলা গ্রামের বাসিন্দা ভদ্রকান্ত সরকার (৭০)। ১২-১৪ বছর ধরে এই পেশায় আছেন তিনি।

চলছে তালপাতার পাখার বিকিকিনি, ছবি- বার্তা২৪.কম

শেষ বয়সে পাখা কেন বিক্রি করছেন এমন প্রশ্নের উত্তরে বার্তা২৪.কমকে ভদ্রকান্ত বলেন, চাল কিনে খেতে হয়। খুব কষ্টের সংসার! ছেলে-মেয়ে আছে। তারা তাদের মতো কাজ করে খায়। মা বাবার বয়স হয়ে গেলে ছেলে আর আমাদের থাকে না। আমরা বৃদ্ধ বয়সে কেমন আছি, সেটা জানার সুযোগ তাদের থাকে না। শেষজীবনটা এভাবে পাখা বিক্রি করে কাটিয়ে দেবো। কী আর করবো! কপালে যা আছে, শেষপর্যন্ত তাই হবে। কপালে ছিল, এমন বৃদ্ধ বয়সে গ্রামে গ্রামে পাখা বিক্রি করতে হবে!

;

৪ লাখ বছর আগে আদিম মানুষের যাত্রা শুরু



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত, নিউ সায়েন্টিস্ট থেকে

ছবি: সংগৃহীত, নিউ সায়েন্টিস্ট থেকে

  • Font increase
  • Font Decrease

৪ লাখ বছর আগে রাশিয়ার সাইবেরিয়া থেকে আদিম মানুষের যাত্রা শুরু হয়েছিল বলে নতুন এক গবেষণা থেকে জানা গেছে। এখান থেকে যাত্রা শুরু করে এই গোত্রের মানুষ পরে উত্তর আমেরিকায় পৌঁছে যায়।

নতুন এক গবেষণা জানাচ্ছে, সাইবেরিয়ায় নতুন একটি এলাকার সন্ধান পাওয়া গেছে, যেখানে ৪ লাখ ১৭ হাজার বছর আগে হোমিনিনস (Hominins) গোত্রের মানুষের উপস্থিতি ছিল। এই গোত্রের মানুষ ডিরিং ইউরিআখ এলাকায় বাস করতেন। সেখান থেকে তারা উত্তর আমেরিকায় পৌঁছে যায় বলে জানিয়েছেন চেক প্রজাতন্ত্রের এক গবেষক।

১৬ এপ্রিল চেক অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেসের গবেষক জন জেনসেন এক সংবাদ সম্মেলন করে নতুন এ তথ্য প্রকাশ করেন। গবেষণাবিষয়ক সংবাদ সাময়িকী নিউ সায়েন্সটিস্ট এ বিষয়ে একটি খবর প্রকাশ করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে জন জেনসেন বলেন, আমরা আগে যে ধারণা করতাম, তারও আগে থেকে হোমিনিনস গোত্রের মানুষ সাইবেরিয়ার ডিরিং ইউরিআখ এলাকায় বসবাস করতেন। ৪ লাখ ১৭ বছর আগে থেকেই তারা এই এলাকায় বসবাস করতে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাদের অবস্থান ছিল উত্তর অক্ষাংশে।

তিনি বলেন, আরেকটি আদিম গোত্রের মানুষের সন্ধান পাওয়া যায়, যারা আর্কটিক অঞ্চলে বাস করতেন। ৪৫ হাজার বছর আগে তাদের সন্ধান পাওয়া যায়নি।

 

;