মীরজাফরের হালনাগাদ সালতামামি



জাভেদ পীরজাদা, কন্ট্রিবিউটিং করেসপন্ডেন্ট
মীরজাফর

মীরজাফর

  • Font increase
  • Font Decrease

নবাব সিরাজউদ্দৌলার পলাশীর প্রান্তরে পরাজয়ের পর পরবর্তী সময়ে মীর জাফরসহ তার বংশধররা নবাবী পদ অলঙ্কৃত করলেও তারা ছিলেন নামমাত্র নবাব। ইংরেজরা তাদের হাতে কোনো ক্ষমতায় দেয়নি বরং পলাশীর বিশ্বাসঘাতকতার নজরানাস্বরূপ তাদের ভাগ্যে জুটেছিল আর্থিক সুবিধা। বিশ্বাসঘাতকতার মাধ্যমে দেশের শাসনভার ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হাতে তুলে দিয়ে সে অর্থে তারা শুধু ভোগবিলাসই করে গেছেন। বাংলা প্রায় ২শ’ বছরের জন্য স্বাধীনতা হারিয়েছিল। বাংলার মানুষের ভাগ্যে নেমে এসেছিল অবর্ণনীয় দুঃখ-দুর্দশা। জাতির গলায় পরাধীনতার জিঞ্জির তুলে দিয়ে মীরজাফর ও তার বংশের কথিত নবাবরা ইনাম হিসেবে যা পেয়েছিলেন তা দিয়ে তারা ইন্দ্রিয়বিলাসই করে গেছেন। মনের মাধুরী মিশিয়ে জীবনকে উপভোগ করেছেন। সাধারণ মানুষকে নিয়ে তাদের পক্ষে ভাববার কোনো সুযোগই ছিল না। কিন্তু সেসবও বেশি দিন নয়। সেসবের জৌলুসও ফুরায়। কেড়ে নেওয়া হয় ‘নবাবী’ খেতাব। শুরু হয় মীরজাফরের বংশধর হিসেবে ঘৃণা পাওয়ার পালা। ফলে বর্তমানে মীরজাফরের বংশধরেরা নিরুপায় হয়ে যে যেখানে পারেন সেখানেই নিজের পরিচয় গোপন করে বেঁচে থাকেন। এদের মধ্যে কেউ ঠাঁই নিয়েছিলেন পাকিস্তানে। কেউ ভারতে। তারও আগে ছিল নবাবী বংশ থেকে বাঈজী বংশে পরিণত হওয়ার করুণ গল্প।

নবাব বংশ থেকে বাঈজী বংশ

নবাব আলীবর্দী খানের বৈমাত্রেয় বোন শাহ খানমের গর্ভজাত এবং মীর জাফরের ঔরসজাত সন্তান মীর সাদেক আলী খান মিরনের বজ্রপাতে মৃত্যু হলে সুবে বাংলায় শুরু হয়-বাঈজী বংশের কথিত নবাবী। ১৭৬৫ সালে মীরজাফরের মৃত্যুর পর তার ঔরসজাত এবং বাঈজী মুন্নী বাঈয়ের গর্ভজাত নজমউদ্দৌলাকে (১৭৬৫-৬৬ খ্রিঃ) কোম্পানি বাংলার নবাব বানায়। ঐতিহ্যবাহী বাংলায় শুরু হয় বাঈজী বংশের তথাকথিত নবাবী। বাঈজী বংশের দ্বিতীয় নবাব হন মুন্নী বাঈর অপর সন্তান সাইফউদ্দৌলা। বাঈজী বব্বু বাঈও ভাগ্যবতী রমণী ছিলেন। নবাব মাতা হতে তিনিও বাদ পড়েননি। সুবে বাংলায় পরবর্তী নবাব হন বব্বু বাঈর গর্ভজাত সন্তান মোবারক উদ্দৌলা (১৭৭১-৯৩)। মুন্নী বাঈয়ের চাইতে বব্বু বাঈ ভাগ্যবতী রমণী ছিলেন। মুন্নী দেখতে সুন্দরী ছিলেন। তার চেয়েও সুন্দরী ছিলেন আন্নাবাঈ। রাজস্থানে তিনি নেচে রোজগার করেছেন মৃত্যুর আগে অব্দি।

নবাব আলীবর্দী খান


মুর্শিদাবাদের নবাবী খেতাব ফিরে পাওয়ার চেষ্টা

তবে মুর্শিদাবাদের নবাবী খেতাব ফিরে পাবার জন্য মীর জাফরের বংশধররা আদালতে যে দীর্ঘ আইনি লড়াই চালাচ্ছিলেন সে লড়াইয়ে তারা প্রাথমিকভাবে বিজয়ী হয়েছিলেন। তারা ফিরে পাননি নবাবী খেতাব। আসলে বিশ্বাসঘাতকতার পুরস্কার হিসেবেই লর্ড ক্লাইভ মীরজাফরকে মুর্শিদাবাদের নবাবের আসনে বসিয়েছিলেন। সেই সময় ব্রিটিশ পার্লামেন্ট মীর জাফরের পরিবারকেই নবাবের স্বীকৃতি দিয়েছিল। আর ১৯৬৯ সালে কলকাতায় মারা গিয়েছিলেন মুর্শিদাবাদেরর শেষ নবাব ওয়ারিশ আলি মীর্জা। এই সময়ই ভারত সরকার মুর্শিদাবাদের নবাবের উত্তরসুরী কে তা জানতে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল। তা ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। আর এখন পর্যন্ত সে ধারাটিই বিশ্বাসঘাতকতার সুবিধাভোগী ও খেতাবধারী। এর কিছুদিনের মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের বামফ্রন্ট সরকার হাজার দুয়ারিসহ মুর্শিদাবাদের নবাবের সব সম্পত্তি অধিগ্রহণ করে নেয়। নবাবী খেতাবও হারান মীর জাফরের উত্তরসূরীরা।

কেমন আছেন বংশধরেরা

মির্জা জাফর আলম: পলাশীর যুদ্ধের আড়াইশ’ বছর পরেও বিশ্বাসঘাতকতার অভিশাপ থেকে মুক্তি মেলেনি মীর জাফরের বংশধরদের। পূর্বপুরুষদের বিশ্বসঘাতকতার গ্লানি এখনো বংশ পরস্পরায় বয়ে যাচ্ছেন তারা। লজ্জায় স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারেন না। গোপন রাখেন আত্মপরিচয়। ভারতের মুর্শিদাবাদে ছড়িয়ে আছে মীর জাফরের বংশধররা। জানা গেছে, কোনো এলাকায় তাদের পরিচয় প্রকাশ হয়ে গেলে তারা অন্য এলাকায় পাড়ি জমান। মুর্শিদাবাদের মীর জাফরের প্রাসাদের প্রধান গেটটি আজও ‘নেমক হারাম দেউরি’ নামে পরিচিত। এখানকার কবি সলিল ঘোষ জানান, এলাকাবাসী ‘নেকম হারাম দেউড়ি’-তে ঢুকে মীর জাফরের বংশধরদের গালাগাল করত। টিকতে না পেরে তারা বিভিন্ন এলাকায় পরিচয় গোপন করে বসবাস করছে। এটি দুঃখজনক। কারণ মীরজাফরের অপরাধের দায় কেন নেবেন তার বংশধরেরা। সলিল ঘোষের সহপাঠী জাফর আলম মির্জা হচ্ছেন মীর জাফরের অষ্টম বংশধর। এখন ‘নেকম হারাম দেউড়ি প্রাসাদ ছেড়ে হাজার দুয়ারী এলাকায় বসবাস করছেন। জাফর আলম মির্জা একসময় শিক্ষকতা করতেন। এখন অবসর নিয়েছেন। শিক্ষকতা করার সময়ও অনেক শিক্ষার্থী তাকে কটুক্তি করত। তিনি একটি বইও লিখেছিলেন। সে বইয়ের নাম, ‘আমি মীরজাফর না।’ পরে সমালোচনা মুখে এ বইটি জাফর আলম মির্জা বাজার থেকে তুলে নেন।

সলিল ঘোষ বলেন, এই বংশের ওপর সাধারণ মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি খারাপ। এমনকি এই বংশের ভালো লোকগুলোকেও এখন কেউ বিশ্বাস করে না। এই কলঙ্ক থেকে বাঁচতে একটি বই লিখেছিলেন জাফর আলম। এই বইয়ে তিনি বিভিন্ন যুক্তি দিয়ে প্রমাণের চেষ্টা করেছেন যে, মীর জাফর বিশ্বাসঘাতক ছিলেন না। এ নিয়ে বেশ তোলপাড় হলে বইটি বাজার থেকে সরিয়ে ফেলা হয়। মির্জা জাফর আলম আপাদমস্তক একজন ভালো মানুষ। তাকে নিয়ে আমি আনন্দবাজারেও লিখেছি।’

ইস্কান্দার মির্জা: পাকিস্তানের শাসন ক্ষমতায় সামরিক বাহিনীর অবৈধ ভূমিকার কুশীলব হিসেবে ভাবা হয় মেজর জেনারেল ইস্কান্দার মির্জাকে। ব্রিটিশ শাসনামলে ইংরেজদের পা-চাটা সামরিক অফিসার ছিলেন তিনি। বেসামরিক আমলা হিসেবেও অভিন্ন ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। সবারই জানা, পলাশীর প্রান্তরে বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার নবাব সিরাজউদ্দৌলা পরাজিত হয়েছিলেন তার প্রধান সেনাপতি মীরজাফরের কারসাজিতে। নবাব বাহিনীর বড় অংশ যুদ্ধে নির্বিকার ভূমিকা পালন করে ইংরেজের বিরুদ্ধে। ফলে শক্তির বিচারে ইংরেজের তুলনায় এগিয়ে থাকলেও নবাব বাহিনীর পরাজয় অনিবার্য হয়ে দাঁড়ায়। এ পরাজয়ে বাংলা-বিহার-উড়িষ্যা তার স্বাধীনতা হারায়। বিশাল এ ভূখণ্ডে ইংরেজ শাসন কায়েম হয়। বিশ্বাসঘাতকতার এনাম হিসেবে মীরজাফর বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার নবাব হিসেবে অধিষ্ঠিত হন। তবে তিনি ছিলেন ক্ষমতাহীন। দেশের সম্পদ লুণ্ঠনে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে সহায়তা করা ছিল তার একমাত্র দায়িত্ব। মীরজাফরের বিশ্বাসঘাতকতার কারণেই পলাশী যুদ্ধের পর কালক্রমে ভারতীয় উপমহাদেশের সর্বত্র ইংরেজ শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়। ইস্কান্দার মির্জা ছিলেন মীরজাফরের চতুর্থ অধস্তন বংশধর। মীরজাফর ইস্কান্দার মির্জার দাদার বাবা।

ইস্কান্দার মির্জার জন্ম ১৮৯৯ সালের ১৩ মে। তবে তার শৈশব কেটেছে ভারতের মুম্বাই নগরীতে। মুম্বাইয়ের এলফিনস্টোন কলেজে তিনি তার প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন। অতঃপর ১৯১৮ সালে স্যান্ডহার্স্টে রয়্যাল মিলিটারি একাডেমিতে পড়াশোনা করেন। ১৯২০ সালে তিনি ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন। একই বছর তিনি ক্যামেরোনিয়ান দ্বিতীয় ব্যাটালিয়নে সংযুক্ত হন। তিনি ১৯২১ সালে কোদাদ-খেল ও ১৯২৪ সালে ওয়াজিরিস্তানে সামরিক কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। মেজর জেনারেল ইস্কান্দার মির্জা ১৯২৬ সালে সেনাবাহিনী ত্যাগ করে ভারতীয় পলিটিক্যাল সার্ভিসে যোগ দেন। তিনি অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার হিসেবে অ্যাবোটাবাদ (১৯২৬-২৮), বান্নু (১৯২৮-৩০), নওশেরা (১৯৩০-৩৩) ও টল্কে (১৯৩৩) এবং ডেপুটি কমিশনার পদে হাজারা (১৯৩৩-৩৬) ও মর্দানে (১৯৩৬-৩৮) দায়িত্ব পালন করেন। পরে তিনি খাইবারে (১৯৩৮-৪০) পলিটিক্যাল রিপ্রেজেনটেটিভ, পেশোয়ারে ডেপুটি কমিশনার (১৯৪০-৪৫) এবং উড়িষ্যায় পলিটিক্যাল রিপ্রেজেনটেটিভ পদে (১৯৪৫-৪৬) কাজ করেন। ইস্কান্দার মির্জা ১৯৪৬ সালে ভারত সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে যুগ্মসচিব এবং দেশ বিভাগের পর পাকিস্তান সরকারের প্রতিরক্ষা সচিব নিযুক্ত হন। পূর্ববাংলা প্রদেশে যুক্তফ্রন্ট সরকার বাতিল ও গভর্নর জেনারেলের শাসন জারির পর তিনি ’৫৪ সালের ৩০ মে গভর্নর নিযুক্ত হন। গভর্নর নিযুক্ত হওয়ার পরপরই ইস্কান্দার মির্জা আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের অজুহাতে নিপীড়নমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তিনি এক মাসের মধ্যে ৩৩ জন প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন অধ্যাপকসহ ১ হাজার ৫১ জনকে গ্রেফতার করেন। সভা ও মিছিল নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন, সংবাদপত্রের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন এবং কমিউনিস্ট পার্টির কার্যক্রমের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেন। গভর্নর হাউসকে সুসজ্জিত করেন এবং নাচ-গানসহ সেখানে প্রায় নিয়মিত জাঁকজমকপূর্ণ নৈশভোজের আয়োজন করতেন।

১৯৫৪ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর তিনি ঢাকা ত্যাগ করেন এবং তাকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় অভ্যন্তরীণ ও সীমান্ত এলাকা বিষয়ক মন্ত্রী নিয়োগ করা হয়। ৫৫ সালের ৫ আগস্ট অসুস্থতার জন্য পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল গোলাম মোহাম্মদ ছুটিতে গেলে তিনি প্রথমে পাকিস্তানের ভারপ্রাপ্ত গভর্নর জেনারেল এবং পরে গভর্নর জেনারেল নিযুক্ত হন। পাকিস্তানের ’৫৬ সালের প্রথম সংবিধান অনুযায়ী গভর্নর জেনারেল পদকে প্রেসিডেন্ট পদে রূপান্তর করা হয় এবং ইস্কান্দার মির্জা প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। দেশে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার অভিযোগে তিনি ’৫৮ সালের ৭ অক্টোবর সামরিক আইন জারি করেন এবং সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আইয়ুব খানকে সামরিক আইন প্রশাসক নিযুক্ত করেন। এর মাত্র ২০ দিন পর আইয়ুব খান এক রক্তপাতহীন সামরিক ক্যুর মাধ্যমে নিজেকে প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেন। তিনি ইস্কান্দার মির্জাকে লন্ডনে নির্বাসনে পাঠান। ’৬৯ সালের ১২ নভেম্বর ইস্কান্দার মির্জা লন্ডনে মৃত্যুবরণ করেন। জেনারেল ইয়াহিয়া খানের সামরিক সরকার তার লাশ পাকিস্তানে সমাহিত করতে অনুমতি দেয়নি। সে কারণে তার মৃতদেহ তেহরানে নিয়ে যাওয়া হয়। ইরানের শাহ একজন রাষ্ট্রপ্রধানের মর্যাদায় তার মৃতদেহ রাষ্ট্রীয়ভাবে সমাহিত করার ব্যবস্থা করেন।

   

খাবারের পর প্লেট ধোয়া কষ্ট? তাহলে এই কৌশল আপনার জন্য!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

খাওয়ার বিষয়ে সবাই পটু। কিন্তু খাওয়ার পর থালা বাসন ধোয়াকে অনেকেই কষ্টকর কাজ মনে করেন। তাই দেখা যায় খাওয়ার পর অপরিষ্কার অবস্থায়ই থেকে যায় থালা বাসনগুলো। এবার এই কষ্ট কমাতে এক অভিনব কৌশল বেছে নিয়েছেন এক ব্যক্তি।

সম্প্রতি এমন এক ভিডিও নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি। 

হর্ষ গোয়েনকা নামে ভারতের এক শিল্পপতি তাঁর এক্স হ্যন্ডেলে (সাবেক টুইটার) ভিডিওটি শেয়ার করেন। এতে দেখা যায়, থালাবাসন পরিষ্কারের কাজ এড়াতে এক ব্যক্তি মজার এক কৌশল নিয়েছেন। এতে দেখা যায়, এক ব্যক্তি খাবার রান্না করছেন। খাবার আগে তিনি প্লাস্টিক দিয়ে প্লেট, চামচ ও পানির গ্লাস মুড়িয়ে নিচ্ছেন।

শেয়ার করে তিনি মজাচ্ছলে লিখেছেন, "যখন আপনার থালা-বাসন ধোয়ার জন্য পর্যাপ্ত পানি থাকে না..."।

ভিডিওটি শেয়ার করার পর মুহূর্তেই সেটি ভাইরাল হয়ে যায়। ভিডিওটি অনেক বিনোদনের জন্ম দিয়েছে। যদিও কেউ কেউ প্লাস্টিকের মোড়ককে হাস্যকর মনে করেন এবং এর ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

এক্স ব্যবহারকারী একজন লিখেছেন, 'পানি সংরক্ষণ ও পুনর্ব্যবহার করা হল মন্ত্র হল এমন কৌশল! তবে প্লাস্টিকের ব্যবহার নতুন করে ভাবাচ্ছে।'

অন্য একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, 'আমি আমার হোস্টেলের দিনগুলিতে এটি করেছি। আমাদের পানি সরবরাহ ছিল না এবং বারবার ধোয়ার কষ্টে এমন কৌশল নিয়েছি।'

আরেক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘মনে হচ্ছে বেঙ্গালুরুতে পানি–সংকটের সমাধান হয়ে যাচ্ছে।’

;

জলদানব ‘লক নেস’কে খুঁজে পেতে নাসার প্রতি আহ্বান



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রহস্যময় জলদানব জলদানব ‘লক নেস’কে খুঁজে পেতে নাসার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে লক নেস সেন্টার। ২০২৩ সালের এই রহস্যময় প্রাণীর শব্দের উৎস ও একে খুঁজে পেতে হাইড্রোফোন ব্যবহার করা হয়েছিল।

স্যার এডওয়ার্ড মাউন্টেনের ৯০তম অভিযানের অংশ হিসেবে আগামী ৩০ মে থেকে ২ জুন পর্যন্ত এই ‘লক নেস মনস্টার’কে খুঁজে পেতে অনুসন্ধান চালানো হবে।

রহস্যময় এই ‘লক নেস মনস্টার’কে ১৯৩৪ সালে প্রথম দেখা যায়। এ পর্যন্ত ১ হাজার ১শ ৫৬ বার দেখা গেছে বলে লক নেস সেন্টার সূত্রে জানা গেছে।

এ বিষয়ে লক নেস সেন্টারের এমি টোড বলেছেন, আমরা আশা করছি, এই রহস্যময় জলদানবকে খুঁজে পেতে মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার গবেষকেরা আমাদের সহযোগিতা করবেন। তারা আমাদের জলদানবকে খুঁজে পেতে যথাযথ নির্দেশনা দেবেন এবং এ বিষয়ে সব কিছু জানাতে সাহায্য করবেন।

তিনি বলেন, আমাদের অভিযানের বিষয়ে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছি। আমরা আশা করছি, নাসার উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে আমরা জলদানব বিষয়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজে পাবো।

রহস্যময় জলদানব খুঁজে পেতে স্বেচ্ছাসেবকের ভূপৃষ্ঠ থেকে যেমন নজর রাখবেন, তেমনি পানির ভেতরে অভিযান চালানোর বিষয়ে তাদেরকে নির্দেশনা দেওয়া হবে। রহস্যময় জলদানবকে খুঁজে পেতে ১৯৭০ দশক ও ১৯৮০ দশকের যে সব তথ্যচিত্র লক নেসের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে, সেগুলো যাচাই করে দেখা হবে।

তারপর জলদানব সম্পর্কে স্বেচ্ছাসেবকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেবেন লক নেসের পরিচালক জন ম্যাকলেভারটি।

এ নিয়ে গবেষকদের নিয়ে একটি অনলাইন বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে। যারা রহস্যময় এই জলদানবকে সচক্ষে দেখেছেন, তারাও এ লাইভ বিতর্কে অংশ নেবেন।

নেস হৃদ

যে হ্রদে জলদানব অবস্থান করছে বলে জানা গেছে, অভিযানের অভিযাত্রী দল নৌকায় করে সেখানে যাবেন। এসময় তাদের সঙ্গে থাকবেন গভীর সমুদ্রে অনুসন্ধানকারী দলের ক্যাপ্টেন অ্যালিস্টার মাথিসন। তিনি লক নেস প্রজেক্টে একজন স্কিপার হিসেবে কাজ করছেন। তার সঙ্গে থাকবেন ম্যাকেন্না।

অনুসন্ধান কাজে ১৮ মিটার (৬০ ফুট) হাইড্রোফোন ব্যবহার করা হবে। এটি দিয়ে রহস্যময় শব্দের প্রতিধ্বনি রেকর্ড করা হবে।

দ্য লক নেস সেন্টার ড্রামনাড্রোচিট হোটেলে অবস্থিত। ৯০ বছর আগে অ্যালডি ম্যাককে প্রথম রিপোর্ট করেছিলেন যে তিনি একটি জলদানব দেখেছেন।

লক নেস সেন্টারের জেনারেল ম্যানেজার পল নিক্সন বলেছেন, ২০২৩ সালে নেসিকে খুঁজে পেতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ফ্রান্স, ইতালি, জাপানসহ আরো অনেক দেশ অনুসন্ধান কাজে অংশ নিয়েছিল। এটি ছিল বড় ধরনের একটি অভিযান।

তিনি বলেন, অনুসন্ধানের সময় যে অদ্ভুত শব্দ শোনা গিয়েছিল, সে শব্দের কোনো ব্যাখ্যা দাঁড় করানো যায়নি। তবে আমরা এবার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ যে, জলদানব লক নেসের রহস্য উন্মোচন করতে পারবো।

এ বিষয়ে আমরা সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করবো। এ রহস্যময় জলদানব লক নেস সম্পর্কে যাদের ধারণা আছে, তাদের সহযোগিতা নেওয়া হবে। পল নিক্সন আরো বলেন, এবার আমরা খুবই উচ্ছ্বসিত যে, জলদানবকে খুঁজে পেতে নতুন ধরনের যন্ত্রপাতি ব্যবহার করবো।

স্কটল্যান্ডের ইনভার্নেসের কাছে এক বিশাল হ্রদের নাম ‘নেস’। স্কটিশ গেলিক ভাষায় হ্রদকে লক (Loch) বলা হয়। আর উচ্চারণ করা হয় ‘লক’। গ্রেট ব্রিটেনের স্বাদুপানির সবচেয়ে একক বৃহত্তম উৎস এ হ্রদটির আয়তন ২২ বর্গ কিলোমিটার, গভীরতা ৮০০ ফুটেরও বেশি। এই হ্রদেই দেখা মিলেছিল সত্যিকারের জলদানব ‘লক নেসের’।

;

স্টেডিয়ামে খেলা দেখার জন্য অফিসে মিথ্যা বলা, শেষ রক্ষা হয়নি তার!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বহুল প্রত্যাশিত ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) শুরু হয়েছে ২২ মার্চ থেকে। বিশ্বের নামিদামী সব খেলোয়াড়ের উপস্থিতি থাকায় বিশ্বজুড়ে এই লীগের চাহিদা তুঙ্গে। তাই এর দর্শক সংখ্যাও কত হতে পারে সেটা সহজেই অনুমেয়। যাদের সুযোগ সামর্থ্য থাকে তারা স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখেন আর যাদের সুযোগ না থাকে তারা টেলভিশনের পর্দায়ই বিনোদন খোঁজেন।

সম্প্রতি, এই লীগের একটি ম্যাচ স্টেডিয়ামে দেখতে গিয়ে অদ্ভুত এক কাণ্ডের জন্ম দিয়েছেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরের নেহা নামে এক নারী ভক্ত। ওইদিন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ও লখৌন সুপার জায়ান্টসের মধ্যে ম্যাচ চলছিল। সেই খেলা মাঠে বসে দেখতে তিনি পারিবারিক সমস্যার কথা বলে আগেই অফিস থেকে বের হয়ে যান।

তারপর যথারীতি সে মাঠে বসে খেলা উপভোগ করছিল। কিন্তু বিপত্তি বাঁধে অন্য জায়গায়। খেলা চলার এক পর্যায়ে তাকে টিভি স্ক্রিনে দেখতে পায় তার অফিসের বস।

পরে এই ঘটনাটির একটি ভিডিও তিনি তার ইন্সটাগ্রাম একাউন্টে শেয়ার করেন। সেখানে তিনি পুরো বিষয়টি নিয়ে খোলাসা করেন।

ওই ভিডিওতে নেহা বলেন, অফিস থেকে পারিবারিক সমস্যার কথা বলে মাঠে এসে খেলা দেখেছি। আমি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর একজন ভক্ত। কিন্তু টিভি স্ক্রিনে আমার বস আমাকে দেখে ফেলে। পরে তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করেছেন আমি কোন দলের সমর্থক হিসেবে খেলা দেখছি। আমি বলেছি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।

এরপর বস বলেন, তাহলে আপনি নিশ্চয় গতকাল খুব অসন্তুষ্ট ছিলেন। ওরা ফিল্ডিংয়ে একটি ক্যাচ মিস করার সময় আপনাকে খুব উদ্বিগ্ন চেহারায় দেখেছি। ১৬.৩ ওভারে যখন কিপার ক্যাচ মিস করলো, তখন।

হাতেনাতে ধরা পড়ে যাওয়ার পর নেহা স্বীকার করে নেন, ওটা তিনিই ছিলেন। বলেন, হ্যাঁ, অনুজ রাওয়াত ক্যাচ মিস করেছিল।

এরপর নেহার বস বলেন, মাত্র কয়েক সেকেন্ডের জন্য ক্যামেরায় আপনাকে দেখিয়েছিল। আর তাতেই আমি চিনে ফেলেছি। তাহলে এটাই ছিল গতকাল দ্রুত বেরিয়ে যাওয়ার কারণ।

এরপর তিনি একটি হাসির ইমোজি দিয়ে কথপোকথন শেষ করেন।

ভিডিওটি শেয়ার করার পর রাতারাতি সেটি ভাইরাল হয়ে যায়।

পোস্টের নিচে অনেকেই নিজেদের অভিমত ব্যক্ত করেছেন।

একজন লিখেছেন, এটা ঠিক আছে। ম্যানেজারের উচিত কর্মচারীকে স্বাধীনতা প্রদান করা। যাতে সে সত্য বলতে পারে বা নিজের জীবনকে স্বাধীনভাবে উপভোগ করতে পারে।

আরেকজন লিখেছেন, আপনাকে এর জন্য চাকরি থেকে বরখাস্ত করা উচিত। একে তো আপনি অফিস থেকে মিথ্যা কথা বলে বের হয়েছে আবার নিজেদের ব্যক্তিগত কথা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেছেন।

;

নওগাঁয় কালের সাক্ষী কয়েক শ বছরের পুরোনো বটগাছ



শহিদুল ইসলাম, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নওগাঁ সদর উপজেলার বক্তারপুর ইউনিয়নের মুরাদপুর গ্রামে বট ও পাকুড় গাছের মেল বন্ধন প্রায় ৩০০ বছরের অধিক সময়ের। প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম কালের সাক্ষী হয়ে এখনো দাঁড়িয়ে আছে রহস্যময় এই বট গাছটি। প্রায় ৫ থেকে ৬ একর জমির ওপরে শাখা-প্রশাখা ছড়িয়ে দর্শনার্থীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে এই পুরাতন বটগাছটি।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বট ও পাকুর মিলে বিশাল জায়গাজুড়ে কাল্পনিক এক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়েছে। বট গাছের কাণ্ড থেকে কাণ্ড শাখা থেকে প্রশাখা মাটিয়ে লুটে পড়ে আরেক বটগাছের জন্ম দিয়েছে। কাণ্ডগুলো দেখলে বোঝার উপায় নেই যে এটির মূল শাখা কোনটি। লতা থেকে মাটিতে পড়ে সৃষ্টি হয়েছে আরেকটি বটগাছ এভাবে অনেকটা জায়গাজুড়ে এক অন্যরকম সৌন্দর্যে বিমোহিত হয়েছে স্থানটি। বটগাছের নিচে ও পাশে রয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কালি মন্দির যেখানে কয়েকদিন পর পর বিভিন্ন অনুষ্ঠান করেন তারা।

মুরাদপুর গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা গৌরাঙ্গ সাহা ( ৫০) এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, আসলে এই গাছটির সঠিক বয়স কত সেটি আমরা কেউ জানিনা। আমার বাবা-দাদা তারাও এখানে পূজা করতেন তবে তারা আমাদেকে সঠিক বয়স বলতে পারেনি। আমার দাদার মুখে শুনেছি উনার ছোটবেলাতে সেখানে গিয়ে খেলাধুলা করতেন সে সময় গাছটি ঠিক এমন-ই ছিল। তবে অনুমান করা যায়, এই গাছের বয়স প্রায় ৩০০ থেকে ৪০০ বছরের অধিক হতে পারে।

একই গ্রামের গৃহবধূ লাইলী বেগম ( ৫৫) বলেন, আমার বিয়ে হয়েছে প্রায় ৩০ বছর হলো আর তখন থেকেই এই গাছটি দেখে আসছি। বাড়ি কাছে হওয়ায় প্রতিদিন আশেপাশে আসতে হয় বিভিন্ন কাজে। মূল গাছটি আমরা অনেক খুঁজেছি কিন্তু পাইনি। একটা গাছ থেকে এতগুলো গাছের সৃষ্টি হয়েছে দেখতে ভালোই লাগে। তবে যদি এটি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করলে আরো কয়েকশ বছর টিকবে বলে মনে করি।

হালঘোষপাড়া থেকে আসা রায়হান নামের এক দর্শনার্থী বলেন, শুনেছিলাম এখানে অনেক পুরাতন বটগাছ আছে আজকে দেখতে আসলাম। চারিদিকে ছড়িয়ে গেছে এমন বটগাছ আমাদের এলাকায় নেই। দেখে খুব ভালো লাগছে এখন থেকে মাঝেমধ্যেই আসব।


কল্পনা রানী ( ৪৮) বলেন, আমার স্বামীর বাবার মুখ থেকে শুনেছি এটির বয়স প্রায় ৩০০ বছরের অধিক। কিছুদিন পর পর এখানে পূজা হয় বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ এসে পূজা দেয়। এমন সুন্দর বটগাছ আমি কোনোদিন দেখিনি।

বিমল সাহা নামের এক শিক্ষার্থী জানান, আমরা প্রতিদিন আমরা এখানে এসে ক্রিকেট খেলি। এতো পুরাতন একটি বটের গাছ দেখতে পেয়ে আমাদের খুব ভালো লাগে।

এ বিষয়ে নওগাঁ সরকারি কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এনায়েতুস সাকালাইন বার্তা২৪.কমকে বলেন, প্রাকৃতিকভাবে একেকটা উদ্ভিদের আয়ু একেক রকম হয়ে থাকে সেরকম বটগাছ দীর্ঘজীবি উদ্ভিদ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, কোনো কোনো জায়গায় ৫০০ বছর বা অধিক সময়ের বেশি বেঁচে থাকে। এই উদ্ভিদগুলোর অভিযোজন ক্ষমতা অনেক বেশি ও পরিবেশের সাথে এদের খাপখাইয়ে নেওয়ার ক্ষমতাও বেশি এবং যেকোনো প্রতিকূল পরিবেশে এরা মোকাবিলা করতে সক্ষম। বটগাছ গুলো বেশি পানি না পেলেও দীর্ঘদিন বেঁচে থাকে আবার খুব বেশি তাপমাত্রা বা তাপমাত্রা নিচে নেমে গেলেও এ ধরনের উদ্ভিদ সে সময় টিকে থাকতে পারে সেজন্য অনেক সময় বিল্ডিং বাড়ির দেয়ালেও এদের বিস্তার দেখা যায়।

তিনি আরও বলেন, বট গাছগুলোর একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য আছে সেটি হলো ওপরের দিকে একটু বেড়ে অনেকদিকে বিস্তার লাভ করে বেশ বড় জায়গা দখল করে তখন এই উদ্ভিদগুলোর ওপরের অংশের ভার বহন করার জন্য ঠেসমূল গঠন করে তারা। মূল কাণ্ড থেকে আস্তে আস্তে মাটিতে ঠেসমূল নেমে আসে তখন ধীরে ধীরে মোটা হতে থাকে। মূল যে কাণ্ডটা তার থেকে বয়সের সাথে সাথে আরো তৈরি হয় যাতে গাছের ভার বহন করতে সক্ষম হয় এবং এভাবে বিশাল জায়গাজুড়ে একে একে বিস্তার লাভ করে কাণ্ডগুলো। বটগাছে এ ধরনের কর্মকাণ্ড লক্ষ্য করা যায় কিন্তু পাকুড় জাতীয় গাছে কম লক্ষ্য করা যায়।

;