করোনায় অবরুদ্ধ জীবনে ‘অসহায়’ নিম্ন আয়ের মানুষ



নাজমুল হাসান সাগর, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
করোনায় অবরুদ্ধ জীবনে ‘অসহায়’ নিম্ন আয়ের মানুষ/ছবি: বার্তা২৪.কম

করোনায় অবরুদ্ধ জীবনে ‘অসহায়’ নিম্ন আয়ের মানুষ/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কার্যত অঘোষিত লকডাউনে অচল হয়ে পড়েছে নিম্ন আয় ও ক্ষুদ্র পেশার মানুষের জীবন ও জীবিকা। অনাহার ও অর্ধাহারে দিন কাটছে তাদের- কথা হলে এমনটাই জানিয়েছেন নিম্ন আয়ের এসব মানুষ। অন্যদিকে কারখানায় কাজ বন্ধ থাকায় ঢাকায় আটকা পড়ে বেশ বিপাকে আছেন হাজারো পোশাক শ্রমিক। এর মধ্যেই ছুটি বাড়ানোর ঘোষণায় জীবন-জীবিকার উৎস নিয়ে শঙ্কা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তারা।

অভাবের তাড়নায় দিশেহারা সদরঘাট এলাকার মাঝি, মনি বলেন, ২৬ মার্চ থাইকা আইজ পর্যন্ত গড়ে ২০০ টাকাও ইনকাম হয় নাই। গত আট-নয়দিন কেমনে সংসার চালাইতেছি এইটা বুঝায়া কইতে পারমু না। শুনলাম ‘লকডাউন’  নাকি আরও বাড়াইছে। এমুন হইলে কেমনে কি? না খায়া মরতে হইবে। এমন অবস্থায় রাস্তায়ও তো দাড়াইতে পারমু না! শহরে মানুষ নাই ভিক্ষা দেব কেডা!

পুরান ঢাকার তারা মসজিদ এলাকায় করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ায় স্থানীয় উদ্যোগে একটি মহল্লা লকডাউন করে রাখা হয়েছে। মুদি দোকান আর অল্প বিস্তর কাঁচা মালের দোকান খোলা থাকলেও সেখানে গত আট দিন থেকে কোন চায়ের দোকান খোলা নেই।  অভাবের কারণে লকডাউনের মধ্যেও ঝুঁকি নিয়ে বুধবার (১ এপ্রিল) আয়ের একমাত্র সম্বল চায়ের দোকানটি খুলেছেন আব্দুল হাদী।

কপালে চিন্তার ভাঁজ নিয়ে পঞ্চাশোর্ধ হাদী বলেন, জমাইনা ছব ট্যেকা শ্যাষ। না পাইরা আইজকা (বুধবার) দোকান খুলছি। ছকাল থাইকা এহুন পর্যন্ত এক ফ্লাক্স চা'ও ব্যাচতে পারি নাই বাজান। কেমনে কি করমু বুঝবার পারতাছি না।

ধানমন্ডি ও মোহাম্মাদপুর এলাকায় রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন আব্দুস সালাম, থাকেন রায়ের বাজার রিকশা গ্যারেজ সংলগ্ন একটি মেসে। গত ২৬ তারিখ থেকে তার আয় কমে এসেছে তিন ভাগের এক ভাগে।

ঝুঁকির মধ্যেও দোকান খুলেছেন চা-বিক্রেতা হাদী

সালামের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ভাত খেয়ে বাঁচলেই না করোনায় মরমু! রাস্তা-ঘাটে লোক নাই, রিকশা নিয়া বাইর হইলে যাত্রী পাই না! এমনও দিন গেছে সারা দিন রিকশা চালায়া জমার টাকা গ্যারেজে দিয়া খালি পকেটে ঘরে ফিরছি।

বেতন-ভাতা না দিয়েই বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে প্রায় সব গার্মেন্টস। এতে করে ঢাকায় আটকা পরে মানবেতর জীবন যাপন করছেন হাজারো পোশাক শ্রমিকরা। সাভার হেমায়েতপুরের নতুন পাড়া এলাকায় মার্স ডিজাইন লিমিটেডের সাইড সিএম অপারেটর শামীম বলেন, এক দিন সন্ধ্যায় হুট করে কারখানায় গিয়ে নোটিশ দেখে জানলাম আমাদের অফিস বন্ধ, গেটে তালা দেওয়া। করোনায় কারখানা বন্ধ করে দিয়েছে ভালো কথা কিন্তু আমাদের কোন বেতন-ভাতা দেয়নি। এতে আমরা তীব্র অর্থ কষ্টে ভুগছি। কারখানা বন্ধ থাকায় কোন দোকানও আমাদের বাকি দিচ্ছে না।

এছাড়া একই এলাকার হ্যাভেন ফ্যাশন লিমিটেড, আলেয়া, অর্কিড, সিসাল গ্রুপ লিমিটেডসহ, এ্যাপারেল ফোর লিমিটেডের মতো পোশাক কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তারা কেউই বন্ধের সময় বেতন-ভাতা পায়নি। হুট করে কারখানা বন্ধ হওয়ায় স্থানীয় দোকানদাররা বাকিতে পণ্য বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে। এতে চরম বিপাকে আছেন তারা।

করোনার ঝুঁকি থাকায় স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্যোগের লকডাউন করা হয়েছে পুরান ঢাকার একটি এলাকা

করোনায় অবরুদ্ধ এই সময়ে নিম্ন আয়ের মানুষ যে সংকটের মুখোমুখি হয়েছেন তা থেকে কিভাবে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, দিন এনে দিন খাওয়া বা স্বল্প আয়ের মানুষদের জন্য এটা কোন আরামের সময় না। এটা তাদের জন্য বিপদ। এই শ্রেণি-পেশার মানুষদের জীবন ধারণের জন্য প্রতিদিনের কাজই গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে সব কিছু বন্ধ থাকায় যে অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে সেটা দূর করতে সরকারকে আরো আন্তরিক ও স্বচ্ছ কার্যক্রম হাতে নিতে হবে। আগামী তিন মাসের খাবার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে এবং বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।

কৃষকদের কথা যুক্ত করে এই অর্থনীতিবিদ আরো বলেন, এমন সময়ে কৃষকরা তাদের ফসল ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করতে পারছে না। কৃষকদের ফসলও সরকারি ব্যবস্থাপনায় ক্রয় করতে হবে। এই তিন ব্যবস্থা গ্রহণের মতো ভালো অর্থনৈতিক অবস্থানে আছে বর্তমান সরকার। দরকার উদ্যোগ গ্রহণ ও স্বচ্ছতা বজায় রেখে কাজ করা।

করোনার সংক্রমণ রোধে ঘরে থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রচারণা

এমন পরিস্থিতি মোকাবেলায় ত্রাণ ও দূর্যোগ মন্ত্রণালয়ের প্রস্তুতি কেমন-জানতে চাইলে দূর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান এনাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, করোনার কারণে উদ্বুদ্ধ পরিস্থিতি মোকাবেলায় গত মাসের ২৪ তারিখ থেকেই চাল ও নগদ অর্থ প্রদান করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত মোট তিন দফায়  গত ২৪,২৮ ও ৩০ মার্চ এসব বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আবার ২ এপ্রিল একটা বরাদ্দ দেওয়া হবে। গত তিন দফায় ৩৯ হাজার ৪০০ মেট্রিকটন চাল আর ১২ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। 

এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ৫৪ জন। মোট ছয় জন এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। মহামারি এ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার আহবান জানিয়ে দেশের প্রায় সব সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে, ঘোষণা করা হয়েছে সাধারণ ছুটি।

   

মাঝরাতে আইসক্রিম, পিৎজা খাওয়া নিষিদ্ধ করল মিলান!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: স্কাই নিউজ

ছবি: স্কাই নিউজ

  • Font increase
  • Font Decrease

আইসক্রিম, পিৎজা অনেকের কাছেই ভীষণ পছন্দের খাবার। তবে ইউরোপসহ পশ্চিমা দেশগুলোতে মাঝরাতে এসব মুখরোচক খাবার ও পানীয় খাওয়ার প্রবণতা বেশি দেখা যায়। ইতালিতে জেলাটিনের তৈরি আইসক্রিম খুব বিখ্যাত। এজন্য ইতালিতে 'জেলাটো সংস্কৃতি' নামে একটা কালচার গড়ে উঠেছে। সম্প্রতি ইতালির মিলানের বাসিন্দাদের জন্য একটি নতুন আইন প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রতিবেদন- স্কাই নিউজ।

মিলানে বসবাসকারীদের অধিকাংশই মাঝরাতে রাস্তায় ঘোরাঘুরি করে আইসক্রিম, পিৎজা, ফাষ্টফুড জাতীয় খাবার ও পানীয় পান করে থাকে। এতে করে সেখানকার এলাকাবাসীদের রাতের ঘুম বিঘ্নিত হয়। নতুন প্রস্তাবিত আইনে শহরবাসীর রাতের ঘুম নির্বিঘ্ন করতে মধ্যরাতের পর পিৎজা ও পানীয়সহ সব ধরনের টেকওয়ে খাবার নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

তবে মধ্যরাতের পর আইসক্রিম নিষিদ্ধ করার চেষ্টা এবারই প্রথম নয়। ২০১৩ সালে, তৎকালীন মেয়র গিউলিয়ানো পিসাপিয়া অনুরূপ ব্যবস্থা বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু 'অকুপাই জেলাটো' আন্দোলনসহ তীব্র প্রতিক্রিয়ার পরে তিনি এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন।

এরপর আবারও মিলানে এ আইনটি প্রস্তাব করেছেন ডেপুটি মেয়র মার্কো গ্রানেল্লি। দেশটির ১২টি জেলা এই প্রস্তাবের আওতাভুক্ত হবে বলে জানিয়েছে মিলান কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে মিলানের মেয়র গ্রানেল্লি বলেন, 'আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে সামাজিকতা ও বিনোদন এবং বাসিন্দাদের শান্তি ও প্রশান্তির মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা।

প্রস্তাবটি নিম্নলিখিত এলাকাগুলোতে প্রযোজ্য হবে বলে জানিয়েছে মিলান কর্তৃপক্ষ: নোলো, লাজারেটো, মেলজো, ইসোলা, সারপি, ভায়া সিজারিয়ানো, আরকো ডেলা পেস, কোমো-গাইআউলেন্টি, পোর্টা গ্যারিবল্ডি, ব্রেরা, টিসিনিজ এবং দারসেনা-নাভিগলি।

জানা যায়, প্রস্তাবটি মে মাসের মাঝামাঝি থেকে কার্যকর থাকবে এবং নভেম্বর পর্যন্ত চলবে। এটি প্রতিদিন রাত ১২.৩০ টায় এবং সাপ্তাহিক ছুটির দিন এবং সরকারী ছুটির দিনে রাত ১.৩০ টা থেকে প্রয়োগ করা হবে। তবে এ প্রস্তাবের বিরুদ্ধে নাগরিকদের মে মাসের শুরু পর্যন্ত আপিল করার এবং আইন পরিবর্তনের পরামর্শ দেওয়ার সময় রয়েছে।

 

 

 

;

অস্ট্রেলিয়ায় নিখোঁজ কুকুর ফিরলো যুক্তরাজ্যের মালিকের কাছে



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অস্ট্রেলিয়ায় ঘুরতে এসে নিখোঁজ হয় যুক্তরাজ্যের এক দম্পতির পালিত কুকুর। যুক্তরাজ্যে আসার ১৭ দিন পর মিলো নামের কুকুরটিকে ফিরে পেয়েছেন জেসন হোয়াটনাল নিক রোল্যান্ডস দম্পতি।

হোয়াটনাল এবং তার সঙ্গী নিক সম্প্রতি তাদের কুকুর মিলোকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া পরিদর্শনে যান। তারা যখন সোয়ানসিতে বাড়িতে যাচ্ছিলেন তখন মেলবোর্ন বিমানবন্দরে তার হ্যান্ডলার থেকে কুকুরটি পালিয়ে যায়।

সাড়ে পাঁচ বছর বয়সী কুকুরটিকে অবশেষে মেলবোর্নের শহরতলিতে ১৭ দিন পর খুঁজে পাওয়া যায়।


হোয়াটনাল স্কাই নিউজকে বলেন, ‘মিলোকে ফিরে পাওয়াটা খুবই আশ্চর্যজনক ছিল আমার জন্য। যখন আমি আমার প্রিয় মিলোর (কুকুর) সাথে পুনরায় মিলিত হয়েছিলাম, তখন আমি কান্নায় ভেঙে পড়েছিলাম। আমার কান্না দেখে অন্যরাও কেঁদেছিল। এটি সত্যিই আবেগপ্রবণ ছিল।

তিনি আরও বলেন, বিশ্বের অন্য প্রান্তে থেকে মিলোর কথা চিন্তা করে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলাম। আমরা জানতাম না মিলো কোথায় আছে। এটি বেশ হতাশাজনক ছিল আমাদের জন্য, কিছুটা আশা হারিয়ে ফেলেছিলাম। তাকে ফিরে পাবো ভাবিনি।

মিলোকে পাওয়ার জন্য সামাজিক মাধ্যমে জানিয়েছিলাম, তখন স্বেচ্ছাসেবকদের কাছ থেকে সাহায্য আসে, তারা মিলোর সন্ধান দেয়। মিলোকে আমাদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য তাদের ধন্যবাদ।

;

আমার হাতের পাখা যেন তাদের আরাম দিচ্ছে!



মৃত্যুঞ্জয় রায়, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: বার্তা২৪, তালপাতার পাখা বিক্রি করছে পাঁচ বছরের শিশু মাহমুদুল্লাহ

ছবি: বার্তা২৪, তালপাতার পাখা বিক্রি করছে পাঁচ বছরের শিশু মাহমুদুল্লাহ

  • Font increase
  • Font Decrease

আবু বক্কর (৬২)। বয়সের ভারে অসুস্থ হয়ে তিনি এখন পাকা বিক্রেতা। প্রচণ্ড তাপদাহে মানুষ যখন ঠান্ডা বাতাসের প্রশান্তি খুঁজছে, তখন তিনি গ্রামে গ্রামে গিয়ে তালপাতার পাখা বিক্রি করছেন।

আবু বক্কর বার্তা২৪.কমকে বলেন, স্ত্রীসহ ছয় মেয়ে নিয়ে আমার সংসার। তবে মেয়েদের বিয়ে দিতে পেরেছি। কিন্তু বয়সের ভারে ঠিকই আমরা একা থেকে গেলাম। শেষ বয়সে গ্রামে গ্রামে তালপাতা পাখা বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছি। শুধু সংসার না, এই টাকায় আমার পায়ের শিরার ব্যথার ওষুধও কিনতে হয়। একবেলা ওষুধ না খেলে চলতে পারি না।

এদিকে, পুরনো ব্যবসার ঋণের বোঝা আর অন্যদিকে অসুস্থ হয়ে ওষুধসহ সংসারের খরচ। শেষ বয়সে তালপাতার পাখাই আমার একমাত্র জীবনসঙ্গী বলেন আবু বক্কর।

তালপাতার পাখা বিক্রি করছেন আবু বক্কর, ছবি- বার্তা২৪.কম

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার কলাগাছি গ্রামের কবিগানের অনুষ্ঠানে সরেজমিন দেখা যায়, একপাশে তালপাতার পাখা বিক্রি করতে ব্যস্ত ছোট্ট পাঁচ বছরের শিশু মাহমুদুল্লাহ। এই গরমে যখন তার ঘরে থাকার কথা, তখন সে নানা-নানীর সঙ্গে এসে তালপাতার পাখা বিক্রি করছে। কবিগানে বসে থাকা সব শ্রোতার কাছে গিয়ে বলছে, পাখা লাগবে, পাখা! কথা বলতে চাইলেও এ পাশ ওপাশ দিয়ে চলে যাচ্ছে, ক্রেতার কাছে।

এক ফাঁকে তাকে কাছে পেয়ে জিজ্ঞাসা করা হয়, এই বয়সে পাখা বিক্রি করছো কেন! এ প্রশ্নের উত্তরে বার্তা২৪.কমকে মাহমুদুল্লাহ বলে, প্রচণ্ড গরমে স্কুল ছুটি। তাই, নানা-নানীর সঙ্গে চলে এসেছি মেলায় পাখা বিক্রি করতে। মানুষজন আমার কাছ থেকে যেন বেশি পাখা কেনে (ক্রয়), তাই আমি মেলায় তাদের সঙ্গে এসেছি।

অনেক উৎসাহের সঙ্গে সে বলে, গরমে আমার হাতের পাখায় যেন তাদের আরাম দিচ্ছে! মেলা হলে আমি সেখানে চলে যাই পাখা বিক্রি করতে। ঘোরাঘুরিও হয় আর টাকা ইনকামও হয়। টাকার জন্য বের হয়ে পড়েছি। আমরা পাখা বিক্রি করে পেট চালাই। নানা-নানী বুড়ো হয়ে গেছে। তাই, আমি সঙ্গে এসে তাদের কষ্টটাকে একটু ভাগাভাগি করে নিচ্ছি।

যেখানে প্রচণ্ড তাপে মানুষজন নাজেহাল, সেখানে ছোট্ট মাহমুদুল্লাহ ছুটে চলেছে এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে পাখা বিক্রি করতে। ছোট্ট শিশু হলেও গরম যেন তার কাছে কিছু না, পেটের তাগিদে!

আরেক পাখা বিক্রেতা তালা উপজেলার হরিণখোলা গ্রামের বাসিন্দা ভদ্রকান্ত সরকার (৭০)। ১২-১৪ বছর ধরে এই পেশায় আছেন তিনি।

চলছে তালপাতার পাখার বিকিকিনি, ছবি- বার্তা২৪.কম

শেষ বয়সে পাখা কেন বিক্রি করছেন এমন প্রশ্নের উত্তরে বার্তা২৪.কমকে ভদ্রকান্ত বলেন, চাল কিনে খেতে হয়। খুব কষ্টের সংসার! ছেলে-মেয়ে আছে। তারা তাদের মতো কাজ করে খায়। মা বাবার বয়স হয়ে গেলে ছেলে আর আমাদের থাকে না। আমরা বৃদ্ধ বয়সে কেমন আছি, সেটা জানার সুযোগ তাদের থাকে না। শেষজীবনটা এভাবে পাখা বিক্রি করে কাটিয়ে দেবো। কী আর করবো! কপালে যা আছে, শেষপর্যন্ত তাই হবে। কপালে ছিল, এমন বৃদ্ধ বয়সে গ্রামে গ্রামে পাখা বিক্রি করতে হবে!

;

৪ লাখ বছর আগে আদিম মানুষের যাত্রা শুরু



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত, নিউ সায়েন্টিস্ট থেকে

ছবি: সংগৃহীত, নিউ সায়েন্টিস্ট থেকে

  • Font increase
  • Font Decrease

৪ লাখ বছর আগে রাশিয়ার সাইবেরিয়া থেকে আদিম মানুষের যাত্রা শুরু হয়েছিল বলে নতুন এক গবেষণা থেকে জানা গেছে। এখান থেকে যাত্রা শুরু করে এই গোত্রের মানুষ পরে উত্তর আমেরিকায় পৌঁছে যায়।

নতুন এক গবেষণা জানাচ্ছে, সাইবেরিয়ায় নতুন একটি এলাকার সন্ধান পাওয়া গেছে, যেখানে ৪ লাখ ১৭ হাজার বছর আগে হোমিনিনস (Hominins) গোত্রের মানুষের উপস্থিতি ছিল। এই গোত্রের মানুষ ডিরিং ইউরিআখ এলাকায় বাস করতেন। সেখান থেকে তারা উত্তর আমেরিকায় পৌঁছে যায় বলে জানিয়েছেন চেক প্রজাতন্ত্রের এক গবেষক।

১৬ এপ্রিল চেক অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেসের গবেষক জন জেনসেন এক সংবাদ সম্মেলন করে নতুন এ তথ্য প্রকাশ করেন। গবেষণাবিষয়ক সংবাদ সাময়িকী নিউ সায়েন্সটিস্ট এ বিষয়ে একটি খবর প্রকাশ করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে জন জেনসেন বলেন, আমরা আগে যে ধারণা করতাম, তারও আগে থেকে হোমিনিনস গোত্রের মানুষ সাইবেরিয়ার ডিরিং ইউরিআখ এলাকায় বসবাস করতেন। ৪ লাখ ১৭ বছর আগে থেকেই তারা এই এলাকায় বসবাস করতে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাদের অবস্থান ছিল উত্তর অক্ষাংশে।

তিনি বলেন, আরেকটি আদিম গোত্রের মানুষের সন্ধান পাওয়া যায়, যারা আর্কটিক অঞ্চলে বাস করতেন। ৪৫ হাজার বছর আগে তাদের সন্ধান পাওয়া যায়নি।

 

;