রাজপ্রাসাদ হত্যাকাণ্ডের রক্তাক্ত স্মৃতিতে নেপাল



ড. মাহফুজ পারভেজ, অ্যাসোসিয়েট এডিটর, বার্তা২৪.কম
রাজপ্রাসাদ হত্যাকাণ্ডের রক্তাক্ত স্মৃতিতে নেপাল

রাজপ্রাসাদ হত্যাকাণ্ডের রক্তাক্ত স্মৃতিতে নেপাল

  • Font increase
  • Font Decrease

১ জুন বিশ্বের ইতিহাসে নানা ঘটনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলেও দক্ষিণ এশিয়ায় দিনটি রক্তস্মৃতিতে মিশ্রিত। ২০০১ সালের এমনই ১ জুন হিমালয়কন্যা নেপালের রাজপ্রাসাদে ঘটেছিল স্মরণকালের ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ। নিহত হয়েছিল পুরো রাজপরিবার।

১৯ বছর আগের দিনটি এখনো নাড়া দেয় সবাইকে এবং ঘটনাচক্রে আমি রাজহত্যাকাণ্ডের পর পরই নেপাল গিয়েছিলাম, যে স্মৃতি রয়েছে দিব্যপ্রকাশ কর্তৃক প্রকাশিত আমার 'রক্তাক্ত নৈসর্গিক নেপালে' গ্রন্থে। সেসব কথা এখনো নাড়া দেয় আমাকে।

ঘটনার দিন রাতে নেপালের রাজধানী কাঠমুন্ডুতে অবস্থিত রাজপ্রাসাদে চলছিল রাজপরিবারের সদস্যদের পুনর্মিলনী পার্টি। পার্টিতে উপস্থিত ছিলেন নেপালের রাজা বীরেন্দ্র, রানী ঐশ্বরিয়াসহ রাজ পরিবারের বিশ জনের মতো সদস্য। প্রায় প্রতি মাসেই রাজপরিবারের সদস্যদের পুনর্মিলনী পার্টি হয়। রাজা, রানী সহ রাজপুত্র, রাজকন্যা, রাজার ভাই, তাদের ছেলেমেয়েসহ অনেকেই উপস্থিত থাকেন সেসব পার্টিতে। কিন্তু ২০০১ সালের ১ জুনের পার্টি রক্তের বন্যায় ভেসে গিয়েছিল।

রাজপ্রাসাদ হত্যাকাণ্ড নেপালসহ পুরো বিশ্বকেই অবাক করে দেয়। সপরিবারে নিহত রাজা বীরেন্দ্র বীর বিক্রম সহদেব জনগণের কাছে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বেশ পছন্দের ছিলেন। ফলে ঘটনাটি নেপালের জাতীয় ক্ষেত্রের পাশাপাশি আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। নেপালে ঘটনাটি নিয়ে চাপা উত্তেজনা ও নানা গুজব শুনতে পাই। বলার অপেক্ষা রাখেনা, বিশ্বের প্রায়-সকল রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের মতোই নেপালের রাজপ্রাসাদ হত্যাযজ্ঞও রহস্যের চাদরে আবৃত থাকে।

নেপালের ক্ষেত্রে সুপ্রাচীন রাজবংশ ছিল ঈশ্বরের অবতার স্বরূপ। প্রাসাদের ভেতরের সব কিছুই ছিল জনগণের ধরাছোঁয়ার বাইরে। তবু জানা যায়, হত্যাকারী হিসেবে নাম আসে রাজা বীরেন্দ্রর বড় ছেলে ক্রাউন প্রিন্স দীপেন্দ্রের নাম। আরো আসে তার প্রেম ও বিয়ে সংক্রান্ত নানা তথ্য। শোনা যায় প্রেমিকা দেভয়ানি রানার কথাও, যিনি ঘটনার পর পালিয়ে যান ভারতে।

ঘটনার পর পরই দীপেন্দ্র আত্মহত্যা করেন বলে জানানো হয়। কিন্তু তার মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়নি। ঘটনারও কোনো তদন্ত হয়নি। কারণ নেপালের আইনে রাজপ্রাসাদের ঘটনার তদন্ত করার নিয়ম নেই। ফলে অনেক কিছুই রহস্যের আড়ালে ঢাকা পড়ে।

কিন্তু মানুষের মনে সন্দেহ ও প্রশ্ন থেমে থাকে না। কেন গোলাগুলি শুরু হবার পরেও প্রাসাদের নিরাপত্তাকর্মীরা কিছু করেনি, এমন প্রশ্ন সামনে আসে। রাজা বীরেন্দ্রর ভাই জ্ঞানেন্দ্র ঘটনার পর রাজা হন। তাকে নিয়েও প্রশ্ন উত্থাপিত হয়। সবাই হাজির তাকলেও সেদিন পার্টিতে তিনি কেন অনুপস্থিত ছিলেন?

অনেকেই মনে করেন, জ্ঞানেন্দ্রর রাজ সিংহাসনে বসার একটি মাত্র উপায় ছিল। রাজা বীরেন্দ্র ও তার দুই ছেলে দীপেন্দ্র ও নিরঞ্জনের মৃত্যু। সেদিন দীপেন্দ্র বাবা, ভাইদের সাথে বোন ও তাদের স্বামীদেরও হত্যা  করে। সবাইকে হত্যা করতেও জ্ঞানেন্দ্রর কিছু হয়নি। কারণ, ঐদিন জ্ঞানেন্দ্র নিজে ছিলেন অনুপস্থিত, তার স্ত্রীর হাতে গুলি লাগলেও অন্যদের তুলনায় তার আঘাত ছিল খুবই সামান্য। এমনকি জ্ঞানেন্দ্রর ছেলে পরশ কোনো প্রকার আঘাত ছাড়াই বেঁচে যান, যা সবাইকে ভীষণ অবাক করে।

জ্ঞানেন্দ্র ও পুত্র পরশ দুজনই জনগণের কাছে খুব একটা জনপ্রিয় ছিলেন না। তবু তারাই ক্ষমতায় আসেন। মানুষের মধ্যে প্রেম-প্রণয়ের ইস্যুর পাশাপাশি নেপালের ক্ষমতার রাজনীতি ও বহিস্থ নানা ইস্যু গুঞ্জরিত হয়।

কারণ, রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে চীনপন্থী মাওবাদীরা সরব ছিল এবং রাজা বীরেন্দ্র তাদের সঙ্গে আলাপের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করার নরমপন্থার অনুসারী ছিলেন। এজন্যই তাদের সরে যেতে হয় বলে ধারণা অনেকের।

তবে জ্ঞানেন্দ্র রাজা হয়েও নেপালের রাজতন্ত্র রক্ষা করতে পারেননি। রাজহত্যা নেপালের শাসন কাঠামোকে প্রবলভাবে নাড়িয়ে দেয়। এবং সুপ্রাচীন রাজতন্ত্রের প্রতি জনগণ আস্থা হারায়, যদিও নেপালে রাজতন্ত্র ছিল ঈশ্বরের প্রতিনিধি স্বরূপ। শেষ পরিণতিতে বিশ্বের একমাত্র হিন্দু রাজতন্ত্রের অবসান হয়ে নেপালে গণতান্ত্রিক শাসন কায়েম হয়। 

প্রায় দুই যুগ হতে চললেও বিশ্বের বহু রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের মতো নেপালের রাজপ্রাসাদ হত্যাযজ্ঞ সম্পর্কেও প্রকৃত তথ্য মানুষ জানতে পারেনি। যারা সব বলতে পারতেন, তাদের সবাই সেদিন মারা যান। ফলে পুরো বিষয়টিই রয়ে গেছে রহস্যের অন্তরালে।

তবে, এই হত্যাকাণ্ড রাজতান্ত্রিক নেপালের গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথে অনুঘটকের কাজ করে। সপরিবারে নিহত হয়ে রাজা বীরেন্দ্র নিজেই রাজতন্ত্রের সমাধি রচনা করেন আর গণতান্ত্রিক নেপালের পথ উন্মোচন করে দেন। রাজতন্ত্র না থাকলেও নির্মমভাবে নিহত নেপালের এই রাজাকে মানুষ ভুলতে পারেনা।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সংস্থা 'সার্ক' গঠনের সময় রাজা বীরেন্দ্র ঢাকায় এসেছিলেন মধ্য আশি দশকে। সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে তিনি রোপণ করেছিলেন একটি বৃক্ষ, যা এখন অনেক বড় হয়েছে তার স্মৃতিকে বুকে নিয়ে।            

   

মস্তিস্কেও ঢুকে যাচ্ছে প্লাস্টিক



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
মস্তিস্কেও ঢুকে যাচ্ছে প্লাস্টিক

মস্তিস্কেও ঢুকে যাচ্ছে প্লাস্টিক

  • Font increase
  • Font Decrease

বর্তমান পৃথিবী প্লাস্টিকময়। ছোট বড় থকে প্রায় সবরকম কাজে প্লাস্টিকের ব্যবহারের আধিক্য। তবে এই প্লাস্টিক অজৈব পদার্থে তৈরি হওয়ার কারণে সহজে পচনশীল নয়। বিভিন্ন স্থানে জমে থাকার কারণে এসব পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর।  শুধু পরিবেশ নয়, হার্ট, মগজ, সব জায়গাতেই নাকি ঢুকে রয়েছে প্লাস্টিক। সম্প্রতি এক গবেষণায় এমনটাই জানা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, হার্টের নানা রোগ, মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাঁধার পিছনেও এই প্লাস্টিকগুলির অবদান রয়েছে বলে জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।

সময়ের বিবর্তনে প্লাস্টিক বিভিন্ন আঘাতের কারণে ক্ষয় হয়ে ক্ষুদ্র আকার ধারণ করে। ৫ মিলিমিটারের চেয়ে ছোট আকারের প্লাস্টিককে মাইক্রোপ্লাস্টিক বলে। দিন দিন পরিবেশে মাইক্রোপ্লাস্টিকের পরিমাণ বেড়ে চলেছে। ইতোমধ্যে সমুদ্রে বিপুল পরিমাণে মাইক্রোপ্লাস্টিক দূষণ সৃষ্টি করেছে। পরিবেশের বিভিন্ন প্রাণী তাদের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তবে দিন দিন এই মাইক্রোপ্লাস্টিকের আধিপত্য বেড়েই চলেছে। এমনকি মানব শরীরেও মাইক্রোপ্লাস্টিকের অস্তিত্ব পাওয়া যাচ্ছে। এক গবেষণায় মস্তিস্কে মাইক্রোপ্লাস্টিক পাওয়া গেছে।

ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে নিউ ম্যাক্সিকোর এনভয়রনমেন্টাল হেলথ পারসপেক্টিভ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয় খাদ্য, পানি এমনকি বায়ুর মাধ্যমেও শরীরে প্রবেশ করে। এসব ক্ষুদ্র প্লাস্টিক কণা আমাদের স্নায়ুবিক নানান অনুভূতির উপরেও মাইক্রো প্লাস্টিক প্রভাব ফেলে।

রক্ত প্রবাহের কারণে তা শরীরের বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণ করে বেড়ায়। শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোতে তা জমা থেকে স্বাভাবিক কাজকর্মে বাধা প্রদান করে। বৃক্ক, লিভার, হৃদপিণ্ডের রক্তনালি ছাড়াও সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় মস্তিষ্ক। মাইক্রোপ্লাস্টিক এসব অঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলতে পারে। 

ডাক্তার ইয়াতিন সাগভেকার বলেন দৈনন্দিন নানা কাজের মধ্যেই শরীরে মাইক্রোপ্লাস্টিক প্রবেশ করে। তবে পারে তা ত্বক, প্রশ্বাসের বায়ু বা ইনজেশনের মাধ্যমে।     

তিনি আরও বলেন, শুধুমাত্র ২০ মাইক্রোমিটারের চেয়ে ছোট মাইক্রোপ্লাস্টিক শরীরে প্রবেশ করতে পারার কথা। এছাড়া ১০ মাইক্রোমিটার আকারের গুলো মস্তিষ্কের সুক্ষ্ম কোষের ঝিল্লির অতিক্রম করতে সক্ষম হওয়া উচিত।

প্লাস্টিক পরিবেশ্ম প্রানি এমনকি মানুষের জন্যও অনেক ক্ষতিকর। তাই সকলের উচিত যতটা সম্ভব প্লাস্টিক বর্জন করা। পাশাপাশি প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি জিনিসের ব্যবহার বাড়ানো।

;

খাবারের পর প্লেট ধোয়া কষ্ট? তাহলে এই কৌশল আপনার জন্য!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

খাওয়ার বিষয়ে সবাই পটু। কিন্তু খাওয়ার পর থালা বাসন ধোয়াকে অনেকেই কষ্টকর কাজ মনে করেন। তাই দেখা যায় খাওয়ার পর অপরিষ্কার অবস্থায়ই থেকে যায় থালা বাসনগুলো। এবার এই কষ্ট কমাতে এক অভিনব কৌশল বেছে নিয়েছেন এক ব্যক্তি।

সম্প্রতি এমন এক ভিডিও নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি। 

হর্ষ গোয়েনকা নামে ভারতের এক শিল্পপতি তাঁর এক্স হ্যন্ডেলে (সাবেক টুইটার) ভিডিওটি শেয়ার করেন। এতে দেখা যায়, থালাবাসন পরিষ্কারের কাজ এড়াতে এক ব্যক্তি মজার এক কৌশল নিয়েছেন। এতে দেখা যায়, এক ব্যক্তি খাবার রান্না করছেন। খাবার আগে তিনি প্লাস্টিক দিয়ে প্লেট, চামচ ও পানির গ্লাস মুড়িয়ে নিচ্ছেন।

শেয়ার করে তিনি মজাচ্ছলে লিখেছেন, "যখন আপনার থালা-বাসন ধোয়ার জন্য পর্যাপ্ত পানি থাকে না..."।

ভিডিওটি শেয়ার করার পর মুহূর্তেই সেটি ভাইরাল হয়ে যায়। ভিডিওটি অনেক বিনোদনের জন্ম দিয়েছে। যদিও কেউ কেউ প্লাস্টিকের মোড়ককে হাস্যকর মনে করেন এবং এর ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

এক্স ব্যবহারকারী একজন লিখেছেন, 'পানি সংরক্ষণ ও পুনর্ব্যবহার করা হল মন্ত্র হল এমন কৌশল! তবে প্লাস্টিকের ব্যবহার নতুন করে ভাবাচ্ছে।'

অন্য একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, 'আমি আমার হোস্টেলের দিনগুলিতে এটি করেছি। আমাদের পানি সরবরাহ ছিল না এবং বারবার ধোয়ার কষ্টে এমন কৌশল নিয়েছি।'

আরেক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘মনে হচ্ছে বেঙ্গালুরুতে পানি–সংকটের সমাধান হয়ে যাচ্ছে।’

;

জলদানব ‘লক নেস’কে খুঁজে পেতে নাসার প্রতি আহ্বান



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রহস্যময় জলদানব জলদানব ‘লক নেস’কে খুঁজে পেতে নাসার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে লক নেস সেন্টার। ২০২৩ সালের এই রহস্যময় প্রাণীর শব্দের উৎস ও একে খুঁজে পেতে হাইড্রোফোন ব্যবহার করা হয়েছিল।

স্যার এডওয়ার্ড মাউন্টেনের ৯০তম অভিযানের অংশ হিসেবে আগামী ৩০ মে থেকে ২ জুন পর্যন্ত এই ‘লক নেস মনস্টার’কে খুঁজে পেতে অনুসন্ধান চালানো হবে।

রহস্যময় এই ‘লক নেস মনস্টার’কে ১৯৩৪ সালে প্রথম দেখা যায়। এ পর্যন্ত ১ হাজার ১শ ৫৬ বার দেখা গেছে বলে লক নেস সেন্টার সূত্রে জানা গেছে।

এ বিষয়ে লক নেস সেন্টারের এমি টোড বলেছেন, আমরা আশা করছি, এই রহস্যময় জলদানবকে খুঁজে পেতে মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার গবেষকেরা আমাদের সহযোগিতা করবেন। তারা আমাদের জলদানবকে খুঁজে পেতে যথাযথ নির্দেশনা দেবেন এবং এ বিষয়ে সব কিছু জানাতে সাহায্য করবেন।

তিনি বলেন, আমাদের অভিযানের বিষয়ে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছি। আমরা আশা করছি, নাসার উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে আমরা জলদানব বিষয়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজে পাবো।

রহস্যময় জলদানব খুঁজে পেতে স্বেচ্ছাসেবকের ভূপৃষ্ঠ থেকে যেমন নজর রাখবেন, তেমনি পানির ভেতরে অভিযান চালানোর বিষয়ে তাদেরকে নির্দেশনা দেওয়া হবে। রহস্যময় জলদানবকে খুঁজে পেতে ১৯৭০ দশক ও ১৯৮০ দশকের যে সব তথ্যচিত্র লক নেসের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে, সেগুলো যাচাই করে দেখা হবে।

তারপর জলদানব সম্পর্কে স্বেচ্ছাসেবকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেবেন লক নেসের পরিচালক জন ম্যাকলেভারটি।

এ নিয়ে গবেষকদের নিয়ে একটি অনলাইন বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে। যারা রহস্যময় এই জলদানবকে সচক্ষে দেখেছেন, তারাও এ লাইভ বিতর্কে অংশ নেবেন।

নেস হৃদ

যে হ্রদে জলদানব অবস্থান করছে বলে জানা গেছে, অভিযানের অভিযাত্রী দল নৌকায় করে সেখানে যাবেন। এসময় তাদের সঙ্গে থাকবেন গভীর সমুদ্রে অনুসন্ধানকারী দলের ক্যাপ্টেন অ্যালিস্টার মাথিসন। তিনি লক নেস প্রজেক্টে একজন স্কিপার হিসেবে কাজ করছেন। তার সঙ্গে থাকবেন ম্যাকেন্না।

অনুসন্ধান কাজে ১৮ মিটার (৬০ ফুট) হাইড্রোফোন ব্যবহার করা হবে। এটি দিয়ে রহস্যময় শব্দের প্রতিধ্বনি রেকর্ড করা হবে।

দ্য লক নেস সেন্টার ড্রামনাড্রোচিট হোটেলে অবস্থিত। ৯০ বছর আগে অ্যালডি ম্যাককে প্রথম রিপোর্ট করেছিলেন যে তিনি একটি জলদানব দেখেছেন।

লক নেস সেন্টারের জেনারেল ম্যানেজার পল নিক্সন বলেছেন, ২০২৩ সালে নেসিকে খুঁজে পেতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ফ্রান্স, ইতালি, জাপানসহ আরো অনেক দেশ অনুসন্ধান কাজে অংশ নিয়েছিল। এটি ছিল বড় ধরনের একটি অভিযান।

তিনি বলেন, অনুসন্ধানের সময় যে অদ্ভুত শব্দ শোনা গিয়েছিল, সে শব্দের কোনো ব্যাখ্যা দাঁড় করানো যায়নি। তবে আমরা এবার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ যে, জলদানব লক নেসের রহস্য উন্মোচন করতে পারবো।

এ বিষয়ে আমরা সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করবো। এ রহস্যময় জলদানব লক নেস সম্পর্কে যাদের ধারণা আছে, তাদের সহযোগিতা নেওয়া হবে। পল নিক্সন আরো বলেন, এবার আমরা খুবই উচ্ছ্বসিত যে, জলদানবকে খুঁজে পেতে নতুন ধরনের যন্ত্রপাতি ব্যবহার করবো।

স্কটল্যান্ডের ইনভার্নেসের কাছে এক বিশাল হ্রদের নাম ‘নেস’। স্কটিশ গেলিক ভাষায় হ্রদকে লক (Loch) বলা হয়। আর উচ্চারণ করা হয় ‘লক’। গ্রেট ব্রিটেনের স্বাদুপানির সবচেয়ে একক বৃহত্তম উৎস এ হ্রদটির আয়তন ২২ বর্গ কিলোমিটার, গভীরতা ৮০০ ফুটেরও বেশি। এই হ্রদেই দেখা মিলেছিল সত্যিকারের জলদানব ‘লক নেসের’।

;

স্টেডিয়ামে খেলা দেখার জন্য অফিসে মিথ্যা বলা, শেষ রক্ষা হয়নি তার!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বহুল প্রত্যাশিত ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) শুরু হয়েছে ২২ মার্চ থেকে। বিশ্বের নামিদামী সব খেলোয়াড়ের উপস্থিতি থাকায় বিশ্বজুড়ে এই লীগের চাহিদা তুঙ্গে। তাই এর দর্শক সংখ্যাও কত হতে পারে সেটা সহজেই অনুমেয়। যাদের সুযোগ সামর্থ্য থাকে তারা স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখেন আর যাদের সুযোগ না থাকে তারা টেলভিশনের পর্দায়ই বিনোদন খোঁজেন।

সম্প্রতি, এই লীগের একটি ম্যাচ স্টেডিয়ামে দেখতে গিয়ে অদ্ভুত এক কাণ্ডের জন্ম দিয়েছেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরের নেহা নামে এক নারী ভক্ত। ওইদিন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ও লখৌন সুপার জায়ান্টসের মধ্যে ম্যাচ চলছিল। সেই খেলা মাঠে বসে দেখতে তিনি পারিবারিক সমস্যার কথা বলে আগেই অফিস থেকে বের হয়ে যান।

তারপর যথারীতি সে মাঠে বসে খেলা উপভোগ করছিল। কিন্তু বিপত্তি বাঁধে অন্য জায়গায়। খেলা চলার এক পর্যায়ে তাকে টিভি স্ক্রিনে দেখতে পায় তার অফিসের বস।

পরে এই ঘটনাটির একটি ভিডিও তিনি তার ইন্সটাগ্রাম একাউন্টে শেয়ার করেন। সেখানে তিনি পুরো বিষয়টি নিয়ে খোলাসা করেন।

ওই ভিডিওতে নেহা বলেন, অফিস থেকে পারিবারিক সমস্যার কথা বলে মাঠে এসে খেলা দেখেছি। আমি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর একজন ভক্ত। কিন্তু টিভি স্ক্রিনে আমার বস আমাকে দেখে ফেলে। পরে তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করেছেন আমি কোন দলের সমর্থক হিসেবে খেলা দেখছি। আমি বলেছি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।

এরপর বস বলেন, তাহলে আপনি নিশ্চয় গতকাল খুব অসন্তুষ্ট ছিলেন। ওরা ফিল্ডিংয়ে একটি ক্যাচ মিস করার সময় আপনাকে খুব উদ্বিগ্ন চেহারায় দেখেছি। ১৬.৩ ওভারে যখন কিপার ক্যাচ মিস করলো, তখন।

হাতেনাতে ধরা পড়ে যাওয়ার পর নেহা স্বীকার করে নেন, ওটা তিনিই ছিলেন। বলেন, হ্যাঁ, অনুজ রাওয়াত ক্যাচ মিস করেছিল।

এরপর নেহার বস বলেন, মাত্র কয়েক সেকেন্ডের জন্য ক্যামেরায় আপনাকে দেখিয়েছিল। আর তাতেই আমি চিনে ফেলেছি। তাহলে এটাই ছিল গতকাল দ্রুত বেরিয়ে যাওয়ার কারণ।

এরপর তিনি একটি হাসির ইমোজি দিয়ে কথপোকথন শেষ করেন।

ভিডিওটি শেয়ার করার পর রাতারাতি সেটি ভাইরাল হয়ে যায়।

পোস্টের নিচে অনেকেই নিজেদের অভিমত ব্যক্ত করেছেন।

একজন লিখেছেন, এটা ঠিক আছে। ম্যানেজারের উচিত কর্মচারীকে স্বাধীনতা প্রদান করা। যাতে সে সত্য বলতে পারে বা নিজের জীবনকে স্বাধীনভাবে উপভোগ করতে পারে।

আরেকজন লিখেছেন, আপনাকে এর জন্য চাকরি থেকে বরখাস্ত করা উচিত। একে তো আপনি অফিস থেকে মিথ্যা কথা বলে বের হয়েছে আবার নিজেদের ব্যক্তিগত কথা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেছেন।

;