চীনের ঝেজিয়াং বিশ্ববিদ্যালয়ে ঈদ পুনর্মিলনী



আনিসুর রহমান, চীন থেকে
চীনের ঝেজিয়াং বিশ্ববিদ্যালয়ে ঈদ পুনর্মিলনী

চীনের ঝেজিয়াং বিশ্ববিদ্যালয়ে ঈদ পুনর্মিলনী

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে চীনের ঝেজিয়াং বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে ঈদ পুনর্মিলনী।

শনিবার (৮ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের পাশ দিয়ে বয়ে চলা ইউহাংটাং নদীর তীরের এক নৈসর্গিক স্থানে এ পুনর্মিলনীর আয়োজন করা হয়।

পুনর্মিলনী আয়োজনে সার্বিক সহযোগিতা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি ও পোস্ট ডক্টরাল গবেষকদের সংগঠন বাংলাদেশ স্টুডেন্টস অ্যান্ড স্কলারস অ্যাসোসিয়েশন। সার্বিক তত্ত্বাবধান করেন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ড. আসিফ আহসান ও সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ মোহাম্মদ শাহ আলম।

 

বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঈদ পুনর্মিলনী

অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য ও তাদের পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে এবং করোনা সংক্রমণের মানসিক অশান্তি দূর করে অনুষ্ঠানটি প্রবাসে স্বদেশের ঈদ আনন্দ উপভোগের এক মহামিলন মেলায় পরিণত হয়। অনুষ্ঠানে নানা রকম সুস্বাদু বাঙালি খাবার পরিবেশন করা হয়। অনুষ্ঠানে নারী, পুরুষ ও শিশু সকলের জন্য বিভিন্ন ধরনের আনন্দদায়ক খেলা ও র‍্যাফেল ড্র-এর আয়োজন ঈদ আনন্দে ভিন্ন মাত্রা যুক্ত করে।

পোস্ট ডক্টরাল গবেষক ড. আনিসুর রহমান অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকল শিশুকে চমৎকার উপহার প্রদান করেন, যা অনুষ্ঠানকে ভিন্ন এক মাত্রা সংযোজন করে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলেই ঈদের দিনের গ্র্যান্ড ক্যানেলে ভ্রমণ এবং মনোরম পরিবেশে একটি সুন্দর ও সার্থক মিলনমেলা আয়োজনের জন্য বাংলাদেশ স্টুডেন্টস অ্যান্ড স্কলারস অ্যাসোসিয়েশনের নবগঠিত কমিটিকে অসংখ্য অভিনন্দন জানান।

উল্লেখ্য যে, পোস্ট ডক্টরাল ফেলোশিপ সাফল্যের সাথে সমাপ্ত করায় অ্যাসোসিয়েশনের সদ্য বিদায়ী সভাপতি ড. মো. আল আমীনকে অনুষ্ঠানে বিদায়ী সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

   

নিউইয়র্ক প্রবাসী শিশুসাহিত্যিক হাসানুর রহমান মারা গেছেন।



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শিরি শিশু সাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা, বনলতা শিল্পী সাহিত্যিক, নিউইয়র্ক প্রবাসী শিশুসাহিত্যিক হাসানুর রহমান মারা গেছেন। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) ভোরে নিউইয়র্কের কুইন্সের একটি রিহ্যাব সেন্টারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

হাসানুর রহমানের ছেলে রাজিব রহমান ও নিউইয়র্কের শিরি শিশু সাহিত্য কেন্দ্রের কেন্দ্রীয় প্রধান পরিচালক হাকিকুল ইসলাম খোকন তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। তিনি স্ত্রী, ২ ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

তিনি সাংস্কৃতিক ও সাংবাদিক গোষ্ঠী, যুক্তরাষ্ট্র সোহরাওয়ার্দি স্মৃতি পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং বাপসনিউজ ও আমেরিকান প্রেসক্লাব অব বাংলাদেশ অরিজিন-এর প্রধান উপদেষ্টা ছিলেন।

প্রায় তিন বছর আগে বাসায় হঠাৎ পড়ে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে গেলে তাকে নিকটস্থ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসার পর কুইন্সের একটি রিহ্যাব সেন্টারে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে প্রায় আড়াই বছর ধরে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

হাসানুর রহমানের স্ত্রী রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী ও শিক্ষিকা পারভীন রহমান ও দুই ছেলে রাজিব রহমান ও আশিক রহমান যুক্তরাষ্ট্রেই থাকেন। রাজিব রহমান (আরআর) মিউজিক ডিরেক্টর ও ওয়ারফেয়ার ব্যান্ডের প্রতিষ্ঠাতা। রাজিবের স্ত্রী বিউটি দাসও একজন সঙ্গীত শিল্পী। তারা ভার্জিনিয়ায় থাকেন।

প্রবীণ শিশু সাহিত্যিক হিসেবে সুপরিচিত হাসানুর রহমান প্রায় পাঁচ দশক ধরে ছোটদের জন্যে লিখেছেন ছড়া, কবিতা, রূপকথা, গল্প-নিবন্ধ, একাঙ্কিকা। বাংলাদেশ শিল্প কৃষ্টি সংসদের হাজী মোহাম্মদ মহসিন স্বর্ণপদক, ঢাকার ভাস্কর নাট্যদলের ‘ভাস্কর নাট্যদল মিলেনিয়াম ২০০০ পুরস্কার এবং রাজশাহীর ‘খাজা স্মৃতি পাঠাগার ফেলোশিপ ২০০২'-এ ভূষিত।

হাসানুর রহমানের জন্ম ১৯৪৬ সালের ২২ আগস্ট নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলায়। হাসানুর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ থেকে ১৯৬৮ সালে বিএ (অনার্স) ও ১৯৬৯ সালে এমএ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ষাটের দশকে (১৯৬৬-৭০) ঢাকার অধুনালুপ্ত শিল্পী-সাহিত্যিক গোষ্ঠী ‘পূর্বাশা’র দপ্তর সম্পাদক ছিলেন। ১৯৭২ সালে ঢাকা থেকে প্রকাশিত অধুনালুপ্ত দৈনিক ‘সমাজ পত্রিকায় সাংবাদিকতা করেন। ১৯৯৪-৯৫ সালে পেট্রোবাংলার বাখরাবাদ গ্যাস সিস্টেমস লিমিটেডের ঢাকা লিয়াজোঁ অফিসে ব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) হিসেবে কাজ করেন। ১৯৯৬ সালের আগস্ট মাসে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে প্রবাসী হন হাসানুর রহমান। তাঁর মৃত্যুতে নিউইয়র্ক প্রবাসী বাংলাদেশিদের মাঝে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

;

মালয়েশিয়ায় অনিয়মিত প্রবাসীদের জরিমানা ৫০০ রিঙ্গিত নির্ধারণ



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাউথ-ইস্ট এশিয়া
ছবিঃ সংগৃহীত

ছবিঃ সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মেয়াদের অতিরিক্ত সময় মালয়েশিয়ায় অবস্থানকারী অবৈধ অভিবাসীরা এখন থেকে ৫০০ রিঙ্গিত বা প্রায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা প্রদান করেই বাংলাদেশে ফেরার ভ্রমণ পাশ পাবেন। চলতি মাস থেকে সকল মেয়াদের জন্যই এই ৫০০ রিঙ্গিত জরিমানা কার্যকরের কথা জানিয়েছে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ।

কুয়ালালামপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন জানিয়েছে, অনিয়মিত বাংলাদেশিদের দেশে প্রত্যাবর্তনের জন্য এতোদিন তাদের মালয়েশিয়ায় অবস্থানকৃত সময়ের উপর ভিত্তি করে ইমিগ্রেশনে জরিমানা প্রদান করে দেশে ফেরার সুযোগ ছিল। সম্প্রতি মালয়েশিয়া সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১ মার্চ ২০২৪ থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত অনিয়মিত বাংলাদেশিদের সময় নির্বিশেষে মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশনে সর্বোচ্চ ৫০০ রিঙ্গিত জরিমানা প্রদান করে দেশে ফেরার সুযোগ দিয়েছে।

এই প্রক্রিয়ায় মালয়েশিয়ার ১৪টি পয়েন্টে দ্রুত সময়ে অনিয়মিত বাংলাদেশিদের দেশে প্রত্যাবর্তনের জন্য নিবন্ধনের সুবিধা থাকবে। পয়েন্টগুলো হচ্ছে, ইমিগ্রেশন হেড অফিস, পুত্রাজায়া, জোহর, কেদাহ, কেলানতান, মেলাকা, নেগ্রি সেমবিলান, পাহাং, পেরাক, পার্লিস, পুলাউ পেনাং, সেলানগর, তেরেংগানু, ফেডারেল টেরিটরি অব কুয়ালালামপুর, ফেডারেল টেরিটরি অব লাবুয়ান।

জরিমানার অর্থ প্রবাসীরা ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড এবং ই-ওয়ালেট টাচ এন্ড গো'র মাধ্যমে দিতে পারবেন।

অনিয়মিত বাংলাদেশিদের ট্রাভেল পারমিটের জন্য কুয়ালালামপুরের উইলাইয়াহ পেরসেকুতায়ানে সাউথগেট কমার্শিয়াল সেন্টারে এক্সপাট সার্ভিস এসডিএন বিএইচডি'র কাছে নিবন্ধনের জন্য বলা হয়েছে। এখানে ছবিতোলা ও সার্ভিস চার্জসহ অভিবাসীদের ৬৯ রিঙ্গিত বা প্রায় ১৪০০ টাকা প্রদান করতে হবে।

দেশে ফেরত যেতে অনিয়মিত অভিবাসীদের অসাধু ব্যবসায়ী ও প্রতারক থেকে সতর্ক থাকার অনুরোধ করা হয়েছে।

;

রমজান উপলক্ষে আরব আমিরাতে নিত্যপণ্যে মূল্যছাড়



তোফায়েল আহমেদ (পাপ্পু), সংযুক্ত আরব আমিরাত (দুবাই) থেকে
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে ৫০ শতাংশের ওপরে বিশেষ মূল্য ছাড়ের ঘোষণা দিয়েছে আরব আমিরাতের রিটেইলার প্রতিষ্ঠানগুলো।

সম্প্রতি সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

দাম কমানো এসব আইটেমের বেশিরভাগই অত্যাবশ্যকীয় খাদ্য পণ্য। এছাড়া রান্নার তেল এবং ময়দার মতো পণ্যের দামও ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত হ্রাস পাবে।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমস বলছে, শারজাহ কো-অপারেটিভ সোসাইটি গত বুধবার ঘোষণা করেছে। তারা ২০২৪ সালের পবিত্র রমজান মাসের জন্য ৩৫ মিলিয়ন দিরহাম বরাদ্দ করেছে এবং প্রায় ১০ হাজার আইটেমের দাম কমিয়েছে। দাম কমানো এই আইটেমগুলোর প্রায় ৮০ শতাংশই অত্যাবশ্যকীয় খাদ্য পণ্য এবং সমগ্র আমিরাত জুড়ে অবস্থিত তাদের ৬৭টি শাখায় এগুলো পাওয়া যাবে। রান্নার তেল, ময়দা এবং চালের মতো প্রধান মুদি পণ্যের দাম ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত হ্রাস পাবে।

মাজিদ আল ফুত্তাইম-এর মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান কেয়ারফোর গত ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রায় ৬ হাজার পণ্যের ওপরে ৫০ শতাংশ মূল্যছাড়ের ঘোষণা দেয়। এমনকি রমজানে যাতে নিত্যপণ্যের চাহিদায় ঘাটতি না হয়, সেজন্য আরও ১৫ শতাংশ পণ্য বেশি পরিমাণে খুচরা প্রতিষ্ঠানটিতে মজুদ থাকবে বলে জানান তারা।

শারজাহ কো-অপারেটিভ সোসাইটির সিইও মাজিদ আল জুনায়েদ জানান, বিশ্বব্যাপী সরবরাহ শৃঙ্খল সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও শারজাহ কো-অপারেটিভ সোসাইটি তার সব শাখায় প্রয়োজনীয় সমস্ত পণ্যের পর্যাপ্ত সরবরাহের নিশ্চয়তা দিয়েছে।


তিনি বলেন, পবিত্র রমজান মাসে সম্ভাব্য মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে গ্রাহকদের উদ্বেগ থাকলেও সোসাইটি সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য হাতে তুলে দেয়ার ব্যাপারে জনসাধারণকে আশ্বস্ত করেছে।

আল আদিল ট্রেডিংয়ের পক্ষ থেকেও বিশেষ মূল্য ছাড়ে পণ্য বিক্রির মাধ্যমে রমজানে সমাজের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. ধনাঞ্জয় দাতার। রমজানের প্রায় ১৫ দিন আগে থেকে শুরু করে পুরো মাস জুড়ে তাদের ক্যাম্পেইন চলবে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, প্রায় ৪০০ পণ্যের উপর ৫০ শতাংশের উপর মূল্য ছাড়ে বাজারে ক্যাম্পেইন করতে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। বিশেষ করে রমজানের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মধ্যে চালের গুঁড়া, ছোলা, চিনি, জুস, সিরাপ এবং তাজা সবজির ব্যবস্থাও থাকবে।

গত বছরের তুলনায় এই বছর বাজারপণ্যে আরও মূল্যছাড় এবং অন্যান্য সুবিধা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান এই রিটেইলার প্রতিষ্ঠানের পরিচালক। এই জন্য তিনি ফসলের ভালো ফলন এবং পরিবহন সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করেন।

সংযুক্ত আরব আমিরাতে পুরো রমজান জুড়ে প্রায় ৫০টিরও বেশি সুপারমার্কেটে মূল্যছাড়ের বিশেষ ক্যাম্পেইন চালু হবে বলে জানা যায়।

;

ভার্জিনিয়ার জেনারেল অ্যাসেম্বলিতে সম্মাননা পেলো ডব্লিউইউএসটি



বিশেষ সংবাদদাতা, বার্তা২৪.কম
ভার্জিনিয়া জেনারেল অ্যাসেম্বলি ভবনের সামনে ডব্লিউইউএসটির প্রতিনিধি দল

ভার্জিনিয়া জেনারেল অ্যাসেম্বলি ভবনের সামনে ডব্লিউইউএসটির প্রতিনিধি দল

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়াস্থ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি অগ্রসরতার নতুন নতুন ধাপ পার করছে। মিলছে নতুন স্বীকৃতি ও সম্মাননা। সবশেষ ভার্জিনিয়া স্টেট অ্যাসেম্বলিতে বিশেষ স্বীকৃতি ও সম্মাননা পেলো এই বিশ্ববিদ্যালয়। যার মালিকানায় রয়েছেন বাংলাদেশি-আমেরিকান আইটি ও শিক্ষা উদ্যোক্তা ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ। 

এর আগে ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ভার্জিনিয়া স্টেট সিনেটে সম্মাননা ও স্বীকৃতি পায় ডব্লিউইউএসটি।সেবার ৪০ জন সিনেটরের পক্ষ থেকে সাইটেশন পাবার পর এবার জেনারেল অ্যাসেম্বলিতে ভার্জিনিয়ার ১০০ সদস্যের হাউজ অব ডেলিগেটসে বিশেষ সম্মাননা পেলো ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি-ডব্লিউইউএসটি।

গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সোমবার ভার্জিনিয়ার রাজধানী শহর রিচমন্ডের অ্যাসেম্বলি হলে ফেয়ারফ্যাক্স কাউন্টির ডিস্ট্রিক্ট সেভেনের ডেমোক্র্যাট ডেলিগেট ক্যারেন কিইস গামাররা তার উপস্থাপনায় তুলে আনেন এই বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রসঙ্গ। জানান, চেয়ারম্যান ও চ্যান্সেলর ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ ও প্রেসিডেন্ট ড. হাসান কারাবার্কে নেতৃত্বে ডব্লিউইউএসটি অগ্রসরতার কথা। যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চ শিক্ষার বিস্তার এবং ভবিষ্যতের জন্য আশা জাগানিয়া অবদান রাখার জন্য সম্মাননা প্রস্তাব তোলেন ক্যারেন কিইস গামাররা। তার উপস্থাপনা শেষ হতে স্পিকার ডন স্কটের নেতৃত্বে ১শ ডেলিগেটস ও গ্যালারিতে উপস্থিত সকল অতিথিগণ তুমুল করতালির মাধ্যমে সম্মননা জানান ডব্লিউইউএসটিকে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ ও প্রেসিডেন্ট ড. হাসান কারাবার্কের নেতৃত্বে ১৩সদস্যের এই প্রতিনিধি দল এসময় অ্যাসেম্বলি হলে উপস্থিত ছিলেন। অন্যদের মধ্যে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএফও ফারহানা হানিপ, আবুবকর হানিপ ও ফারহানা হানিপের জ্যেষ্ঠ কন্যা সাইবার সিকিউরিটির শিক্ষার্থী নাফিসা নওশিন, স্কুল অব বিজনেসের পরিচালক অধ্যাপক ড. মার্ক রবিনসন, স্কুল অব বিজনেস ও জেনারেল এডুকেশন ফ্যাকাল্টি প্রফেসর সালমান এলবাদর, জেনারেল এডুকেশন অ্যান্ড সেন্টার ফর স্টুডেন্ট সাকসেস এর অ্যাসিসট্যান্ট ডিরেক্টর ড. হুয়ান লি, বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং ডিরেক্টর হোসে উর্তেগা, স্টুডেন্ট সাকসেস ও ক্যারিয়ার সার্ভিস ম্যানেজার র্যাচেল রোজ, ক্যারিয়ার সার্ভিস ও আইটি ম্যানেজার অমিত গুপ্ত, স্টুডেন্ট গর্ভামেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট সেলিন ইগিত এবং ইনফরমেশন টেকনলজির মাস্টার্সের শিক্ষার্থী মো. নাঈম হাসান।

অ্যাসেম্বলি হলে সম্মাননা অনুষ্ঠান শেষে ভার্জিনিয়ার ৪৮তম অ্যাটর্নি জেনারেল জেসন মিয়ারেসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ডব্লিউইউএসটি প্রতিনিধি দল। কমনওয়েলথ অব ভার্জিনিয়ার বারবারা জনস বিল্ডিংয়ে এই সাক্ষাতের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হন স্টেট অ্যাটর্নি জেনারেল। ডব্লিউইউএসটির পক্ষ থেকে রিপাবলিকান এই অ্যাটর্নি জেনারেলের হাতে স্যুভেনির তুলে দেয়া হয়। পরে ফটোসেশনের মাধ্যমে এই বৈঠক শেষ হয়।

এদিকে এশিয়ান কমিউনিটি নিয়ে বহুবছর ধরে সফলতার সাথে ভার্জিনিয়ার রিচমন্ডে কাজ করে আসছে এমন চারটি সংগঠনের আয়োজনে একটি মিট অ্যান্ড গ্রিট অনুষ্ঠান ছিলো সন্ধ্যায়। যেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভার্জিনিয়ার ৭৪তম গভর্নর রিপাবলিকান দলের গ্লেন ইয়ংকিন। বেশ কয়েকজন সিনেটর ও হাউজ অব ডেলিগেটস এতে উপস্থিত ছিলেন, যেখানে আমন্ত্রণ জানানো হয় ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির প্রতিনিধি দলকে। ভার্জিনিয়ার শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ নানা কথা উঠে আসে গভর্নর গ্লেন ইয়ংকিনের বক্তৃতায়। নতুন নতুন প্রোগ্রামের মাধ্যমে ইন্ড্রাস্টিতে কিভাবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ভূমিকা রাখছে তা উল্লেখ করেন তিনি।

এই অনুষ্ঠানেও ডব্লিউইউএসটির সফলতার কথা তুলে ধরেন ডিস্ট্রিক সেভেনের ডেলিগেট ক্যারেন কিইস গামাররা।

আর স্টেটে শিক্ষা সেবায় অনন্য ভূমিকা রাখায় ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ ও প্রেসিডেন্ট ড. হাসান কারাবার্কে সাধুবাদ জানান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সফলতা কামনা করেন গভর্ণর গ্লেন ইয়ংকিন। ডিনারের মধ্য দিয়ে শেষ হয় এই আয়োজন।

এই স্বীকৃতিকে পাথেয় করে নতুন উদ্যম ও উদ্দীপনা নিয়ে রিচমন্ড থেকে ভার্জিনিয়ায় ফিরে আসে ডব্লিউইএসটি টিম।

২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়টি ২০২০ সালের অক্টোবর থেকে ও বাংলাদেশি-আমেরিকান আইটি ও শিক্ষা উদ্যোক্তা ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপের ব্যবস্থাপনা ও নেতৃত্বে পরিচালিত হচ্ছে। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়টি শিক্ষণ ও পরিচালন পদ্ধতিতে আসে ব্যাপক পরিবর্তন। যার মধ্য দিয়ে ঘটেছে দ্রুত প্রসার, শিক্ষার্থীদের কাছে হয়ে উঠে জনপ্রিয়। তিনবছরের ব্যবধানে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থী সংখ্যা ৩০০ থেকে বেড়ে দাড়িয়েছে ১৭০০।

এখানে তথ্য-প্রযুক্তি, সাইবার সিকিউরিটি ও ব্যবসায়িক প্রশাসনের উপর ব্যাচেলর ও মাস্টার্স কোর্সে বর্তমানে বিশ্বের ১২১ দেশের শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে। সম্প্রতি ভার্জিনিয়ার আলেক্সান্দ্রিয়ায় বৃহৎ ভবনে গড়ে তোলা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির নতুন ক্যাম্পাস।

;