বাহারি ফুলে সুশোভিত লন্ডনের গ্রীষ্ম



সাঈদ চৌধুরী
বাহারি ফুলে সুশোভিত লন্ডনের গ্রীষ্ম

বাহারি ফুলে সুশোভিত লন্ডনের গ্রীষ্ম

  • Font increase
  • Font Decrease

উষ্ণ রোদ্দুরে অবারিত নীল আকাশ আর গ্রীষ্মের বাহারি ফুলের সুবাস! লন্ডন এখন চোখ জুড়ানো নান্দনিকতায় ভরপুর। রৌদ্রকরোজ্জ্বল দিনে প্রকৃতির সুতীব্র শিহরণে সবাই বিমুগ্ধ। পাশের ঘরের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক নিনা ও জেনিকার গার্ডেনে রডোডেনড্রন ফুল ফুটেছে। আরো আছে গোলাপ, জেরানিয়াম, সানফ্লাওয়ার, হলিহক, মেরিগল্ড, ক্লেমেটিস, নাস্তুরশিয়াম, লোবেলিয়া, ফুসিয়া, হেবে, গোল্ডেন রড, হানিস্কল প্রভৃতি।

রডোডেনড্রন ফুল বাসার সামনে ও পেছনে থাকায় সহজে সবার নজর কাড়ে। নোবেল জয়ী কবি রবীন্দ্রনাথের প্রিয় ফুলটি দেখে তাঁর ‘পথের বাঁধন’ কবিতা মনে পড়েছে। ’হঠাৎ কখন সন্ধ্যাবেলায়/ নামহারা ফুল গন্ধ এলায়/ প্রভাতবেলায় হেলাভরে করে/ অরুণ কিরণে তুচ্ছ/ উদ্ধত যত শাখার শিখরে/ রডোডেনড্রন গুচ্ছ।‘

রৌদ্রকরোজ্জ্বল দিনে প্রকৃতির সুতীব্র শিহরণে সবাই বিমুগ্ধ

সিলেট ও আসাম অঞ্চলে বড় গোলাপ নামে পরিচিত এই ফুল বৃটেনের রাজপ্রাসাদ উইন্ডসর ক্যাসেলেও সুবাস ছড়াচ্ছে। গ্রিক ভাষায় ‘রডোন’ অর্থ গোলাপ এবং ‘ডেনড্রন’ মানে গাছ। আদিকাল থেকে হিমালয় পর্বতের পার্শ্বদেশে বিয়ে-শাদী ও সামাজিক আচার অনুষ্ঠানে এই ফুল ব্যাপক ভাবে ব্যবহৃত হয়। নেপালে এটি জাতীয় ফুল হিসেবে স্বীকৃত।

ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি’র আমলে বৃটিশ উদ্ভিদপ্রেমী জোসেফ ডালটন হুকার (১৮১৭-১৯১১) আসাম অঞ্চল থেকে অসংখ্য মূল্যবান সম্পদ ও বৃক্ষরাজি আহরণ করেন। বড় গোলাপ নামে পরিচিত বৃটেনের রডোডেনড্রন তারই অংশ। জোসেফ এশিয়ার দেশে দেশে ঘুরে বিভিন্ন প্রজাতির ফুল আবিষ্কার করেন এবং ইউরোপ সহ সারা বিশ্ব ছড়িয়ে দেন। তার পিতা উইলিয়াম হুকার ছিলেন কিউয়ের বিখ্যাত রয়্যাল বোটানিক্যাল গার্ডেনের ডিরেক্টর।

উষ্ণ রোদ্দুরে অবারিত নীল আকাশ আর গ্রীষ্মের বাহারি ফুলের সুবাস

জুন থেকে আগস্ট বৃটেনের সামার সিজন। এখানে বাংলাদেশ বা মধ্যপ্রাচ্যের মত গ্রীষ্মের দাবদাহ নেই। তারপরও ঠান্ডার দেশের মানুষ অল্প গরমে হাঁপিয়ে ওঠে। গরমের এই তাপকে ছাড়িয়ে শরীর ও মনকে ফুরফুরে রাখতে সবচেয়ে সহায়ক প্রশান্তির বৃক্ষছায়া ও বর্ণিল ফুল। এদেশে গাছের অনেক আদর। শহর ও লোকালয়ে ছোট-বড় গার্ডেন আছে। ফুলের মোহন স্পর্শ ছড়িয়ে আছে হাটে-মাঠে ও বাড়ির আঙিনায়।

প্রকৃতিপ্রেমী রথীন্দ্রনাথ ও তাঁর সহপাঠিদের পরিকল্পনায় উত্তরায়ণে ইসলামিক (মোগল) ও জাপানী স্থাপত্যের অনুকরণে উদ্যান রচিত হয়। রবীন্দ্রনাথের লেখার পরতে পরতে ছড়িয়ে আছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য-সুষমা। ‘এখানে ডালে জড়িয়ে উঠেছে ঝুমকো লতা, এখানে ফল আছে বটের, এখানে রাত্তিরে জোনাকিতে ছেয়ে যায় ঐ কামরাঙার ঝোপ, আর বাদলায় বৃষ্টি যখন ঝরতে থাকে তখন দুলতে থাকে নারকেলের ডাল ঝরঝর শব্দ করে।’

রা ফুল ভালোবাসে, তাদের মনটাও ফুলের মতো স্নিগ্ধ, নির্মল ও সুন্দর

আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবিতায় রয়েছে হৃদয় জয় করা ফুলের উদ্যান। প্রকৃতির রূপ-রস ও জীববৈচিত্র্য। কৃষ্ণচূড়া, দোলনচাঁপা, ঝিঙেফুল, রাঙাজবা, মহুয়া ইত্যাদি পুষ্পসৌরভ সে রচনাকে সুরভিত করেছে। কবি চেয়েছেন তাঁর মানসপ্রিয়া হেঁটে আসুক পুষ্পবিছানো পথ ধরে। কবির ভাষায়, ‘দিও ফুলদল বিছায়ে পথে বধূর আমার/ কৃষ্ণচূড়ার সাথে রঙ্গন অশোকে/ বুলাল রঙের মোহন তুলিকা লো../ পায়ে পায়ে দলি ঝরা সে ফুলদল/ আজি তার অভিসার।’

কবি নজরুলের প্রিয় কৃষ্ণচূড়া হচ্ছে গ্রীষ্মের আগুন রাঙ্গা ফুল। বড় বড় গাছের পুরোটাই যেন ফুলে পরিপূর্ণ। বাতাসের দোলায় ফুলের পাপড়িগুলো ছড়িয়ে পড়ছে। কৃষ্ণচূড়ার এমন বাহারি রূপে মুগ্ধ হয়ে নজরুল ইসলাম লিখেছিলেন, ‘কৃষ্ণচূড়ার রাঙা মঞ্জুরী কর্ণে/ আমি ভুবন ভুলাতে আসি গন্ধে ও বর্ণে।’ আর নজরুলের ঝিঙে ফুল তো সকল বাঙালির মুখে মুখে উচ্চারিত হয়। ’ঝিঙে ফুল! ঝিঙে ফুল।/সবুজ পাতার দেশে ফিরোজিয়া ফিঙে-কুল, ঝিঙে ফুল।/ গুল্মে পর্ণে লতিকার কর্ণে/ ঢলঢল স্বর্ণে/ ঝলমল দোলো দুল/ ঝিঙে ফুল।‘

রডোডেনড্রন ফুল

এবার বিলেতে গ্রীষ্মের শুরুতেই ডালে ডালে থোকা থোকা ফুল ফুটেছে। সাদা, হলুদ, গোলাপি ও বেগুনি রঙের ম্যাগনোলিয়া সর্বত্র ছড়িয়ে আছে। গাছে কেবল ফুল আর ফুল। চেরি ফুল, হালকা গোলাপি আর গাঢ় গোলাপি ফুল রয়েছে সবখানে।

অনেক ফুল আমাদের দেশের মত নয়। এখানকার ক্যামেলিয়ার উজ্জ্বল ঘন সবুজ রঙের পাতা। কামিনীফুল গাছের মতো দেখতে। কিন্তু ফুলগুলো গোলাপের মত রঙ ছড়ায়। তবে নীল রঙের ফুলে আছে বিশেষ আকর্ষণ।

বিলেতের নাস্তেরিয়াম দারুণ উজ্জ্বল। একদম খাড়া হয়ে উঠে। দুর্দান্ত পুষ্পযুক্ত বহুবর্ষজীবী ফুল। আলো-ছায়াময় পরিবেশে এ লতা বেড়ে ওঠে।

বারান্দার টবে লাগানো সাদা রঙের ফুল ক্লেমেটিস। লতানো গাছের প্রতিটি শাখায় সবুজ পাতার সঙ্গে সাদা রঙের ফুলের থোকা। আমাদের সিলেট, চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিক জন্মে। বাড়ির বাগানে ব্যাপকভাবে শোভাবর্ধনকারী হিসেবে লাগানো হয়।

পাশের ঘরের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক নিনা ও জেনিকার গার্ডেনে রডোডেনড্রন ফুল ফুটেছে

জেরানিয়াম ঠান্ডা এবং জ্বলন্ত সূর্যের প্রতিরোধক। উজ্জ্বল রঙের বাহারি লতা হিসেবে ঘরের বেলকনিতে লাগানো হয়। সুগন্ধযুক্ত জেরানিয়াম কক্ষ সতেজ করে। সাদা সীমানা আকারের অদ্ভুত বিন্যাস। সৌন্দর্যের কারণে এই ফুল ছড়িয়ে পড়েছে সারা বিশ্বে।

সানফ্লাওয়ার বা সূর্যমুখী একধরনের একবর্ষী ফুলগাছ। এখানকার বাসা-বাড়িতে সূর্যমুখীর ব্যাপক আবাদ হয়। এটি পাখি ও মৌমাছির প্রিয়।

সিলেটের গেন্ধাফুল এখানে গাঁদা বা মেরিগল্ড নামে পরিচিত। উজ্জল হলুদ ও গাঢ় খয়েরী রঙের এই সুগন্ধী ফুল সর্বত্র সহজে জন্মায়।

হলিহক চিরসবুজ ঝোপঝাড়

হলিহক চিরসবুজ ঝোপঝাড়। এই ফুলের সাদা, গোলাপী, মেজেন্টা ইত্যাদি জাত আছে। হারবাল ঔষধ হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। উদিত সূর্যের আলোয় তার বর্ণ সোনারং হলুদ, কখনওবা স্নিগ্ধ গোলাপি হয়।

যারা ফুল ভালোবাসে, তাদের মনটাও ফুলের মতো স্নিগ্ধ, নির্মল ও সুন্দর। ফুল নাড়া দেয় মানুষের প্রিয়তম অনুভূতিতে। প্রভা ও বিভা উন্মুক্ত হয় সকলের মাঝে। জনপ্রিয় কবি ওয়ার্ডসওয়ার্থের প্রিয় ফুল ড্যাফোডিলের হলুদ পাপড়ি বাতাসে দুলতে দুলতে মনে হয় যেন ফুলেরা তাল মিলিয়ে নাচছে আর হাসছে। স্বাগত জানাচ্ছে আপনাকে।

লেখক: লন্ডন প্রবাসী। সময় সম্পাদক। কবি ও কথাশিল্পী।

   

কুয়েতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত চট্টগ্রামের আকবর



কুয়েত করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুয়েত
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কুয়েতে সড়ক দুর্ঘটনায় আকবর হোসেন নামে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। তিনি চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ উপজেলার রহমতপুর গ্রামের আদর্শ পাড়া হাদির গো বাড়ির সুলতান আহমদের ছেলে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাতে কুয়েতের রাবিয়া নামক স্থানে ইশারা আল কাসেমিতে রাস্তা পারাপারের সময় গাড়ির ধাক্কা লেগে এই দুর্ঘটনায় ঘটে।

নিহতের আত্মীয় সাখাওয়াত হোসাইন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, 'বেশ কিছুদিন যাবৎ তিনি মানসিকভাবে চাপের মধ্যে ছিলেন। শুক্রবার রাতে রাস্তা পারাপার করতে গেলে দুর্ঘটনার শিকার হয়।এতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান তিনি।'

বর্তমানে মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। যথাযথ প্রক্রিয়া শেষে তার মরদেহ দ্রুত দেশে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন তার স্বজনরা।

;

দেশের ইলিশের টানে লন্ডন থেকে গ্লাসগো



ড. হাসিন মাহবুব চেরী, সিনিয়র স্পেশালিস্ট সায়েন্টিস্ট, ইউকে
দেশের ইলিশের টানে লন্ডন থেকে গ্লাসগো

দেশের ইলিশের টানে লন্ডন থেকে গ্লাসগো

  • Font increase
  • Font Decrease

একটা বয়সের পরে আমরা আটকা পড়ি শুধুই মায়ার টানে। কোন মানুষটা আমাদের মন থেকে মায়া করে, এটাই সব কিছুর ঊর্ধ্বে বিবেচ্য হয় আমাদের কাছে (অন্তত আমার কাছে ব্যাপারটা এখন তাই)।

কারণ, আমরা বুঝতে শিখি যে, আমাদের আশেপাশে বন্ধুরূপী অসংখ্য মুখের ভিড়ে শুধু মাত্র সেই মুখগুলোই মূল্যবান - যার কাছে আমি মূল্যবান। আর ঠিক একারণেই সুদূর বিলাতের বিভূঁই পরিবেশে ফারহানা হোসেন আপু যখন বললো দেশ থেকে আসা ইলিশ তোমাকে আর Rumana Newlands কে ছাড়া খাবো না বলে তুলে রেখেছি, কবে আসবে? মনে হলো এই ভালোবাসার ডাক পাবার মতো ভাগ্য আসলে ক'জনেরই বা হয়? তাই প্রচন্ড ব্যস্ত সময়ের মধ্যেই হুট করে একবেলার জন্যে লন্ডন থেকে গ্লাসগো উড়ে চলে গেলাম।

এই ঝটিকা সফর বহু কারণেই স্মরণীয় হয়ে থাকবে, তবে অর্ধেক দিনের এই মেমরি আমাকে আবার শেখালো:

Life is not about quantity, it`s all about quality. So it doesn`t matter what you have in life, but who you have only matters.

আর জীবনে নিজের পরিবারের মানুষ ছাড়াও কারো সত্যিকারের ভালোবাসা পাওয়া আসলেই বিশাল ভাগ্যের ব্যাপার। ফারহানা আপু এবং সাজ্জাদ ভাইয়ার আন্তরিকতায় আবারো মুগ্ধ হতে হতে তাই ভাবছিলাম, যদিও আমি সবসময় সবার থেকে ভালো জিনিস গুলো শেখার চেষ্টা করি তবে কিছু কিছু কোয়ালিটি আসলে মানুষের মধ্যে আসে 'ইন বিল্ট' হয়ে, যেটা অন্য কেউ হয়তো হাজার চেষ্টা করেও আয়ত্ত্ব করতে পারে না!

অন্যকে স্পেশাল এবং গুরুত্বপূর্ণ ফিল করানোও ঠিক সেরকমই একটা ইন বিল্ট কোয়ালিটি যেটা বেশিরভাগ মানুষের মধ্যেঔ অনুপস্থিত। যেমন আপু এবং ভাইয়া (আমার দেখা দুই অন্যতম ব্রিলিয়ান্ট এবং down to earth মানুষ) যেভাবে ওয়ার্কিং ডে 'র শেষে আমাকে এয়ারপোর্ট থেকে পিক করা থেকে শুরু করে নিজের হাতে রান্না করা বহু পদের মুখরোচক খাবার এবং নিজের হাতে বানানো মিষ্টি'র আয়োজন করলেন, স্কটল্যান্ডে এসে আমার ভাইয়ের সাথে দেখা হবে না বলে আমার ভাই কেও আবেরডিন থেকে ডেকে নিয়ে আসলেন, এবং আসবার পথে একগাদা খাবার প্যাক করে ব্যাগে নিজের হাতে ঢুকিয়ে দিয়ে একদম এডিনবরা এয়ারপোর্ট এর সিকিউরিটি পর্যন্ত এসে বিদায় দিয়ে গেলেন - এই আন্তরিকতাটা বোধহয় একেবারে মনের গভীর থেকে না আসলে করা সম্ভব নয়।

আসলে জীবনে আমরা বহু অপাত্রে আমাদের ভালোবাসা এবং সময় দান করে নষ্ট করি, বহু মানুষের ব্যবহার দেখে মনে হয় সত্যিই বোধহয় স্বার্থপর না হওয়াটাই আজকাল বোকামি। তবে পরমুহূর্তেই আবার যখন এরকম সুন্দর মনের মানুষ গুলোর আন্তরিকতায় অবাক এবং মুগ্ধ হই, তখন মনে হয় এই সুন্দর মনের মানুষগুলোর উপস্থিতির জন্যেই আসলে জীবনটা এতো সুন্দর। আর এরকম মানুষের উপস্থিতি আমাদের ঠিক একইভাবে ওনাদের মতোই অন্য কারো জীবনেও নিজের উপস্থিতি দিয়ে তার জীবনের কিছু সুন্দর মুহূর্ত উপহার দিতে অনুপ্রেরণা যোগায়।

;

শেখ হাসিনার সফর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক দৃঢ় করবে: থাই সরকারের মুখপাত্র



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাউথ-ইস্ট এশিয়া (ব্যাংকক, থাইল্যান্ড)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দীর্ঘ প্রায় দুই যুগ পর থাইল্যান্ডে আসছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী বুধবার (২৪ এপ্রিল) তিনি থাইল্যান্ডে এসে পৌঁছাবেন। পাঁচদিনের সফর শেষে সোমবার (২৯ এপ্রিল) তিনি দেশে ফিরে যাবেন।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) থাই সরকারের মুখপাত্র চাই ওয়াচারানক স্থানীয় গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানান।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শ্রেত্থা থাবিসিন এর আমন্ত্রণে শেখ হাসিনা থাইল্যান্ডে আসছেন।

শেখ হাসিনার ভ্রমণের সময় উভয় দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি চুক্তি এবং এমওইউ স্বাক্ষর হবে।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সফরসঙ্গীদের জন্য গভর্মেন্ট হাউজে দুপুরের খাবারের আয়োজন করেছেন শ্রেত্থা থাবিসিন।

চাই ওয়াচারানক জানান, ২০০২ সালের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এটি প্রথম থাইল্যান্ড সফর। এই সফরে দুই দেশের কর্মকর্তারা বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে দ্বি-পাক্ষীক সম্পর্ক শক্তিশালী করতে আলোচনা করতে পারবেন। এছাড়াও বিভিন্ন খাতে সহযোগীতা বৃদ্ধি, বিশেষত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির বিষয়টি নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা করা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

এছাড়াও যোগাযোগ, পর্যটন এবং দুই দেশের মানুষের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক বৃদ্ধিতে শেখ হাসিনার এই সফর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে জানান থাই সরকারের মুখপাত্র। 

;

আমিরাতে বর্ণিল আয়োজনে বাংলা বর্ষবরণ উৎসব



তোফায়েল আহমেদ পাপ্পু, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পহেলা বৈশাখ বাঙালির সর্বজনীন উৎসব। শুধু দেশে নয়, সারা বিশ্বে বসবাসরত বাঙালিরা দিনটি সাড়ম্বরে পালন করে থাকে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে এবার ঈদের ছুটি অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ ছিল। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে পহেলা বৈশাখ। যা প্রবাসী বাংলাদেশিদের আনন্দ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। লোকায়ত সংস্কৃতির ডালা সাজিয়ে বর্ণিল উৎসব আয়োজনের মধ্যদিয়ে দেশটিতে বাংলা বর্ষবরণ উৎসব উদযাপিত হয়েছে।

ভিনদেশের মাটিতেও বাঙালি সংস্কৃতির চিরায়ত পহেলা বৈশাখ উদযাপিত হলো নানা অনুসঙ্গে। দেশটিতে বসবাসরত বাঙালিদের মধ্যেও ছিল আনন্দের কলরব। আর এই আনন্দ উচ্ছ্বাসকে সবার সঙ্গে ভাগ করে নিতে প্রবাসী সনাতনি ঐক্য পরিষদের চমৎকার আয়োজনের মধ্য দিয়ে এক নতুন মাত্রা পেয়েছে।


রোববার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে আমিরাতের সারজায় আল জায়েদ ফার্ম হাউজে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের শুরুতে পহেলা বৈশাখ ১৪৩১ বাংলা নববর্ষ বরণ করে নিতে সকাল সাড়ে ১০টায় মঙ্গল শোভযাত্রা র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়। পরে নাচ, গান, মধ্যাহৃভোজ ও নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে বর্ষবরণ উদযাপন করেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

একাকী প্রবাসজীবনে পরিবার পরিজন, বন্ধুবান্ধব থেকে দূরে থাকা, দেশীয় স্বাদ ও আমেজের জন্য সারাবছর লালায়িত থাকা এই প্রবাসীরা হাজার মাইলের দূরত্ব কষ্ট ভুলে গিয়েছিল পহেলা বৈশাখ উদযাপন অনুষ্ঠানে। আমিরাতের আবুধাবী, দুবাই, আজমান ও বিভিন্ন শহর থেকে প্রবাসীরা পরিবার নিয়ে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।


অনুষ্ঠান শেষে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কনস্যুলেট দুবাই লেডিস গ্রুপের সভাপতি আবিদা হোসেন, বাংলাদেশ কনস্যুলেট দুবাই ও উত্তর আমিরাতের কমার্শিয়াল কাউন্সেলর আশীষ কুমার সরকার, প্রবাসী সনাতনী পরিষদের সিনিয়র উপদেষ্টা বিশ্বনাথ দাশ, সভাপতি অজিত কুমার রায়, সহ সভাপতি অজিত চৌধুরী মিঠু, সাধারণ সম্পাদক উত্তম কুমার সরকার, অর্থ সম্পাদক কার্তিক সাহা, দপ্তর সম্পাদক দেবব্রত তালুকদার, ফুজাইরাহ বাংলাদেশ সমিতির সভাপতি বাবু তপন সরকার, জাতীয় হিন্দু মহাজোট ইউএই’র সিনিয়র উপদেষ্টা মিনাল কান্তি ধর প্রমুখ।

প্রবাসী সনাতনী পরিষদের সভাপতি অজিত কুমার রায় জানান, প্রবাসের মাটিতে বেড়ে ওঠা তরুণ প্রজন্মকে বাংলা সংস্কৃতির ইতিহাস ঐতিহ্যের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আগামীতে আরও বড় পরিসরে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নেয়া হবে।

 

 

;