জলবায়ু সম্মেলনে ইউরোপিয়ান অ্যাকশন গ্রুপের কর্মতৎপরতা



কন্ট্রিবিউটিং করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যুক্তরাজ্য
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গ্লাসগোতে কপ২৬ সম্মেলনে ইউরোপ ভিত্তিক বাঙালিদের জলবায়ু পরিবর্তন ক্যাম্পেনিং সংগঠন ‘ইউরোপিয়ান অ্যাকশন গ্রুপ অন ক্লাইমেট চেঞ্জ ইন বাংলাদেশ’ এর প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেছেন।

গত ৭ নভেম্বর জলবায়ু ইভেন্ট, তরুণদের সম্পৃক্ততা করতে অনুষ্ঠান ‘হ্যালো ইয়ুথ: কপ২৬এর আগে এবং পরে’ মেরিহিল বার্গ হলে অনুষ্টিত হয়। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন গ্লাসগো (বাগ), ইউরোপিয়ান অ্যাকশন গ্রুপের সহযোগিতায়। আরও সহায়তা করে ব্রিটিশ কাউন্সিল, গ্লাসগো মিউজিয়াম ও রয়্যাল নেভি। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন গ্লাসগো সংগঠনের সভাপতি ড. তারেক আব্দুল্লাহ।

শুরুতেই বক্তব্য রাখে তরুণ প্রজন্মের রাজিন হক, সাজেদ চৌধুরী, আরিয়ান কামাল ও সাহিল আমিন। তারা তাদের বক্তব্যে কিভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি কমানো যায় তার কিছু উদাহরণ তুলে ধরে। আরো বক্তব্য রাখেন ইউরোপিয়ান অ্যাকশন গ্রুপের সভাপতি সৈয়দ এনামুল ইসলাম ও বাংলদেশ আগত ক্যাম্পেইন ফর সাসটেনবল রুরাল লাইভলিহুডস এর জিয়াউল হক মুক্তা।

এছাড়া অনুষ্ঠানে ইউরোপিয়ান অ্যাকশন গ্রুপের একটি ভিডিও ফিল্ম 'হাউলিং ফ্রম বাংলাদেশ: ক্যান ইউ হিয়ার ইট? বাংলাদেশের আর্তনাদ: শুনতে কি পাও?’ দেখানো হয়। ভিডিওটি পরিচলন করেন ইউরোপিয়ান অ্যাকশন গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানী। এছাড়া ইউরোপিয়ান অ্যাকশন গ্রুপের পিটার মাসগ্রেভ তার বাংলাদেশ সফরের উপর ভিত্তি করে একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন করেন। অনুষ্ঠানে আরও অংশগ্রহণ করেন ইউরোপিয়ান অ্যাকশন গ্রুপের প্রতিষ্টাতা সভাপতি আনসার আহমেদ উল্লাহ, ড. রায়হান রশিদ, আরজু আক্তার ও সাংবাদিক রুমানা আফরোজ রাখি।

এর আগের দিন ৬ নভেম্বর প্রায় এক লাখ মানুষের সাথে ইউরোপিয়ান অ্যাকশন গ্রুপের সদস্যরা জলবায়ু সংকটের বিষয়ে আরও পদক্ষেপের দাবিতে গ্লাসগোতে মিছিল মিছিল করে সমাবেশে যোগ দেন। কপ২৬ শীর্ষ সম্মেলনের সময় তিন মাইল দীর্ঘ এই বিক্ষোভটি ছিল  গ্লাসগোওতে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড়। জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক আন্দোলনে সাড়া জাগানো সুইডিশ পরিবেশকর্মী গ্রেটা থানবার্গ মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন।

গ্লোবাল ডে অফ অ্যাকশন ফর ক্লাইমেট জাস্টিস মিছিলটি শহরের পশ্চিমে কেলভিংগ্রোভ পার্ক থেকে শুরু হয়ে গ্লাসগো গ্রীনে গিয়ে শেষ হয়।

গত ৭ নভেম্বর ইউরোপিয়ান অ্যাকশন গ্রুপের নেতৃবৃন্দ গ্রীন জোনে বিভিন্ন বেসরকারি ও কর্পোরেট সংস্থার স্টল পরিদর্শন করেন এবং জলবায়ু ন্যায়বিচারের বিষয়ে মতবিনিময় করেন। গত ৮ নভেম্বর ইউরোপিয়ান অ্যাকশন গ্রুপের নেতারা প্রশংসিত ফিচার ফিল্ম ‘নুনা জলের কাব্য’ দেখেন এবং এর পরিচালক শাহরিয়ার অনিক ও প্রযোজকের সাথে মতবিনিময় সভা করেন। এছাড়াও তারা বিশ্বের দুই শীর্ষস্থানীয় বাংলাদেশি জলবায়ু বিজ্ঞানী অধ্যাপক আইনুন নিশাত ও অধ্যাপক আতিক রহমানের সঙ্গে বৈঠক করেন।

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবীতে স্কটল্যাণ্ডের গ্লাসগোতে বিক্ষোভ করছে শত শত মানুষ। জলবায়ু পরিবর্তনের বিধ্বংসী প্রভাব থেকে বাংলাদেশকে বাঁচাতে ৭ দফার সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপের দাবিতে গ্লাসগোতে জড়ো হওয়া কপ২৬ এর প্রতিনিধিদের এবং জলবায়ু কর্মীদের মধ্যে  ইউরোপিয়ান অ্যাকশন গ্রুপ হাজার হাজার লিফলেট বিতরণ করে। জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৬ সামনে রেখে গত ৩০ অক্টোবর, শনিবার বিক্ষোভ করেন তারা। বিশ্বনেতাদের প্রতি একই দাবী নিয়ে রাজপথে আছেন অনেক পরিবেশকর্মী। এ পটভূমিতেই গত ৩২ অক্টোবর শুরু হয়েছে জলবায়ু সম্মেলন। জলবায়ুর পরিবর্তনজনিত বিপর্যয় থেকে পৃথিবীকে রক্ষায় পদক্ষেপ নিতে বিশ্বনেতাদের চাপে ফেলতে বিভিন্ন দেশের পরিবেশ আন্দোলনকর্মীদের সাথে থাকবেন ইউরোপিয়ান অ্যাকশন গ্রুপের সৈয়দ এনামুল ইসলাম, গোলাম রব্বানী, আরজু আক্তার, ড. রায়হান রশিদ, সৈকত আচার্য ও মুরাদ কোরেশী ১২ নভেম্বর পর্যন্ত।

   

কুয়েতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত চট্টগ্রামের আকবর



কুয়েত করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুয়েত
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কুয়েতে সড়ক দুর্ঘটনায় আকবর হোসেন নামে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। তিনি চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ উপজেলার রহমতপুর গ্রামের আদর্শ পাড়া হাদির গো বাড়ির সুলতান আহমদের ছেলে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাতে কুয়েতের রাবিয়া নামক স্থানে ইশারা আল কাসেমিতে রাস্তা পারাপারের সময় গাড়ির ধাক্কা লেগে এই দুর্ঘটনায় ঘটে।

নিহতের আত্মীয় সাখাওয়াত হোসাইন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, 'বেশ কিছুদিন যাবৎ তিনি মানসিকভাবে চাপের মধ্যে ছিলেন। শুক্রবার রাতে রাস্তা পারাপার করতে গেলে দুর্ঘটনার শিকার হয়।এতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান তিনি।'

বর্তমানে মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। যথাযথ প্রক্রিয়া শেষে তার মরদেহ দ্রুত দেশে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন তার স্বজনরা।

;

দেশের ইলিশের টানে লন্ডন থেকে গ্লাসগো



ড. হাসিন মাহবুব চেরী, সিনিয়র স্পেশালিস্ট সায়েন্টিস্ট, ইউকে
দেশের ইলিশের টানে লন্ডন থেকে গ্লাসগো

দেশের ইলিশের টানে লন্ডন থেকে গ্লাসগো

  • Font increase
  • Font Decrease

একটা বয়সের পরে আমরা আটকা পড়ি শুধুই মায়ার টানে। কোন মানুষটা আমাদের মন থেকে মায়া করে, এটাই সব কিছুর ঊর্ধ্বে বিবেচ্য হয় আমাদের কাছে (অন্তত আমার কাছে ব্যাপারটা এখন তাই)।

কারণ, আমরা বুঝতে শিখি যে, আমাদের আশেপাশে বন্ধুরূপী অসংখ্য মুখের ভিড়ে শুধু মাত্র সেই মুখগুলোই মূল্যবান - যার কাছে আমি মূল্যবান। আর ঠিক একারণেই সুদূর বিলাতের বিভূঁই পরিবেশে ফারহানা হোসেন আপু যখন বললো দেশ থেকে আসা ইলিশ তোমাকে আর Rumana Newlands কে ছাড়া খাবো না বলে তুলে রেখেছি, কবে আসবে? মনে হলো এই ভালোবাসার ডাক পাবার মতো ভাগ্য আসলে ক'জনেরই বা হয়? তাই প্রচন্ড ব্যস্ত সময়ের মধ্যেই হুট করে একবেলার জন্যে লন্ডন থেকে গ্লাসগো উড়ে চলে গেলাম।

এই ঝটিকা সফর বহু কারণেই স্মরণীয় হয়ে থাকবে, তবে অর্ধেক দিনের এই মেমরি আমাকে আবার শেখালো:

Life is not about quantity, it`s all about quality. So it doesn`t matter what you have in life, but who you have only matters.

আর জীবনে নিজের পরিবারের মানুষ ছাড়াও কারো সত্যিকারের ভালোবাসা পাওয়া আসলেই বিশাল ভাগ্যের ব্যাপার। ফারহানা আপু এবং সাজ্জাদ ভাইয়ার আন্তরিকতায় আবারো মুগ্ধ হতে হতে তাই ভাবছিলাম, যদিও আমি সবসময় সবার থেকে ভালো জিনিস গুলো শেখার চেষ্টা করি তবে কিছু কিছু কোয়ালিটি আসলে মানুষের মধ্যে আসে 'ইন বিল্ট' হয়ে, যেটা অন্য কেউ হয়তো হাজার চেষ্টা করেও আয়ত্ত্ব করতে পারে না!

অন্যকে স্পেশাল এবং গুরুত্বপূর্ণ ফিল করানোও ঠিক সেরকমই একটা ইন বিল্ট কোয়ালিটি যেটা বেশিরভাগ মানুষের মধ্যেঔ অনুপস্থিত। যেমন আপু এবং ভাইয়া (আমার দেখা দুই অন্যতম ব্রিলিয়ান্ট এবং down to earth মানুষ) যেভাবে ওয়ার্কিং ডে 'র শেষে আমাকে এয়ারপোর্ট থেকে পিক করা থেকে শুরু করে নিজের হাতে রান্না করা বহু পদের মুখরোচক খাবার এবং নিজের হাতে বানানো মিষ্টি'র আয়োজন করলেন, স্কটল্যান্ডে এসে আমার ভাইয়ের সাথে দেখা হবে না বলে আমার ভাই কেও আবেরডিন থেকে ডেকে নিয়ে আসলেন, এবং আসবার পথে একগাদা খাবার প্যাক করে ব্যাগে নিজের হাতে ঢুকিয়ে দিয়ে একদম এডিনবরা এয়ারপোর্ট এর সিকিউরিটি পর্যন্ত এসে বিদায় দিয়ে গেলেন - এই আন্তরিকতাটা বোধহয় একেবারে মনের গভীর থেকে না আসলে করা সম্ভব নয়।

আসলে জীবনে আমরা বহু অপাত্রে আমাদের ভালোবাসা এবং সময় দান করে নষ্ট করি, বহু মানুষের ব্যবহার দেখে মনে হয় সত্যিই বোধহয় স্বার্থপর না হওয়াটাই আজকাল বোকামি। তবে পরমুহূর্তেই আবার যখন এরকম সুন্দর মনের মানুষ গুলোর আন্তরিকতায় অবাক এবং মুগ্ধ হই, তখন মনে হয় এই সুন্দর মনের মানুষগুলোর উপস্থিতির জন্যেই আসলে জীবনটা এতো সুন্দর। আর এরকম মানুষের উপস্থিতি আমাদের ঠিক একইভাবে ওনাদের মতোই অন্য কারো জীবনেও নিজের উপস্থিতি দিয়ে তার জীবনের কিছু সুন্দর মুহূর্ত উপহার দিতে অনুপ্রেরণা যোগায়।

;

শেখ হাসিনার সফর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক দৃঢ় করবে: থাই সরকারের মুখপাত্র



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাউথ-ইস্ট এশিয়া (ব্যাংকক, থাইল্যান্ড)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দীর্ঘ প্রায় দুই যুগ পর থাইল্যান্ডে আসছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী বুধবার (২৪ এপ্রিল) তিনি থাইল্যান্ডে এসে পৌঁছাবেন। পাঁচদিনের সফর শেষে সোমবার (২৯ এপ্রিল) তিনি দেশে ফিরে যাবেন।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) থাই সরকারের মুখপাত্র চাই ওয়াচারানক স্থানীয় গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানান।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শ্রেত্থা থাবিসিন এর আমন্ত্রণে শেখ হাসিনা থাইল্যান্ডে আসছেন।

শেখ হাসিনার ভ্রমণের সময় উভয় দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি চুক্তি এবং এমওইউ স্বাক্ষর হবে।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সফরসঙ্গীদের জন্য গভর্মেন্ট হাউজে দুপুরের খাবারের আয়োজন করেছেন শ্রেত্থা থাবিসিন।

চাই ওয়াচারানক জানান, ২০০২ সালের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এটি প্রথম থাইল্যান্ড সফর। এই সফরে দুই দেশের কর্মকর্তারা বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে দ্বি-পাক্ষীক সম্পর্ক শক্তিশালী করতে আলোচনা করতে পারবেন। এছাড়াও বিভিন্ন খাতে সহযোগীতা বৃদ্ধি, বিশেষত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির বিষয়টি নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা করা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

এছাড়াও যোগাযোগ, পর্যটন এবং দুই দেশের মানুষের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক বৃদ্ধিতে শেখ হাসিনার এই সফর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে জানান থাই সরকারের মুখপাত্র। 

;

আমিরাতে বর্ণিল আয়োজনে বাংলা বর্ষবরণ উৎসব



তোফায়েল আহমেদ পাপ্পু, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পহেলা বৈশাখ বাঙালির সর্বজনীন উৎসব। শুধু দেশে নয়, সারা বিশ্বে বসবাসরত বাঙালিরা দিনটি সাড়ম্বরে পালন করে থাকে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে এবার ঈদের ছুটি অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ ছিল। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে পহেলা বৈশাখ। যা প্রবাসী বাংলাদেশিদের আনন্দ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। লোকায়ত সংস্কৃতির ডালা সাজিয়ে বর্ণিল উৎসব আয়োজনের মধ্যদিয়ে দেশটিতে বাংলা বর্ষবরণ উৎসব উদযাপিত হয়েছে।

ভিনদেশের মাটিতেও বাঙালি সংস্কৃতির চিরায়ত পহেলা বৈশাখ উদযাপিত হলো নানা অনুসঙ্গে। দেশটিতে বসবাসরত বাঙালিদের মধ্যেও ছিল আনন্দের কলরব। আর এই আনন্দ উচ্ছ্বাসকে সবার সঙ্গে ভাগ করে নিতে প্রবাসী সনাতনি ঐক্য পরিষদের চমৎকার আয়োজনের মধ্য দিয়ে এক নতুন মাত্রা পেয়েছে।


রোববার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে আমিরাতের সারজায় আল জায়েদ ফার্ম হাউজে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের শুরুতে পহেলা বৈশাখ ১৪৩১ বাংলা নববর্ষ বরণ করে নিতে সকাল সাড়ে ১০টায় মঙ্গল শোভযাত্রা র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়। পরে নাচ, গান, মধ্যাহৃভোজ ও নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে বর্ষবরণ উদযাপন করেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

একাকী প্রবাসজীবনে পরিবার পরিজন, বন্ধুবান্ধব থেকে দূরে থাকা, দেশীয় স্বাদ ও আমেজের জন্য সারাবছর লালায়িত থাকা এই প্রবাসীরা হাজার মাইলের দূরত্ব কষ্ট ভুলে গিয়েছিল পহেলা বৈশাখ উদযাপন অনুষ্ঠানে। আমিরাতের আবুধাবী, দুবাই, আজমান ও বিভিন্ন শহর থেকে প্রবাসীরা পরিবার নিয়ে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।


অনুষ্ঠান শেষে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কনস্যুলেট দুবাই লেডিস গ্রুপের সভাপতি আবিদা হোসেন, বাংলাদেশ কনস্যুলেট দুবাই ও উত্তর আমিরাতের কমার্শিয়াল কাউন্সেলর আশীষ কুমার সরকার, প্রবাসী সনাতনী পরিষদের সিনিয়র উপদেষ্টা বিশ্বনাথ দাশ, সভাপতি অজিত কুমার রায়, সহ সভাপতি অজিত চৌধুরী মিঠু, সাধারণ সম্পাদক উত্তম কুমার সরকার, অর্থ সম্পাদক কার্তিক সাহা, দপ্তর সম্পাদক দেবব্রত তালুকদার, ফুজাইরাহ বাংলাদেশ সমিতির সভাপতি বাবু তপন সরকার, জাতীয় হিন্দু মহাজোট ইউএই’র সিনিয়র উপদেষ্টা মিনাল কান্তি ধর প্রমুখ।

প্রবাসী সনাতনী পরিষদের সভাপতি অজিত কুমার রায় জানান, প্রবাসের মাটিতে বেড়ে ওঠা তরুণ প্রজন্মকে বাংলা সংস্কৃতির ইতিহাস ঐতিহ্যের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আগামীতে আরও বড় পরিসরে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নেয়া হবে।

 

 

;