নিউইয়র্কে বাংলাদেশ মিশন-কনস্যুলেটে চেনামুখী অতিথি, এরা কারা?



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
নিউইয়র্কে বাংলাদেশ মিশন-কনস্যুলেটে চেনামুখী অতিথি

নিউইয়র্কে বাংলাদেশ মিশন-কনস্যুলেটে চেনামুখী অতিথি

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল কার্যালয় ও জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নিয়মিত যাতায়াতকারী চেনামুখী অতিথিদের নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে।

শনিবার (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় প্রবাসী গণমাধ্যমকর্মী ও সামাজিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ওয়াশিংটনস্থ বাংলাদেশের নতুন রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরানের মতবিনিময় সভায় দলীয় নেতাকর্মীসহ চিরাচরিত চেনামুখী তথাকথিত অতিথিদের উপস্থিতি দেখে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশিদের মাঝে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

বাংলাদেশ যখন ভয়াবহ আর্থিক সংকটের দ্বারপ্রান্তে। ক্রমাগত সংকুচিত হয়ে আসছে ডলারের রিজার্ভ। রাষ্ট্রীয় ব্যয় সংকোচনের আহবানসহ দুর্ভিক্ষের আগাম বার্তা দিচ্ছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। সেই সময়ে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল কার্যালয়ে রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে মতবিনিময় সভার নামে পৃথক পৃথকভাবে নৈশ্যভোজ (ভুড়িভোজ)-এর ব্যবস্থা করা হয়। এতে অংশ নেন সামাজিক কথিত নেতৃবৃন্দ ও প্রবাসী গণমাধ্যমকর্মীরা। শুধু নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল কার্যালয়েই নয়, এমন দৃশ্য দেখা যায় জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের নানা অনুষ্ঠানাদিতেও। এ নিয়ে নিউইয়র্কের সর্বত্রই চলছে আলোচনার ঝড়।

শনিবার নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল কার্যালয়ে মতবিনিময় সভায় রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নে সরকার ও দূতাবাসের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণসহ প্রবাসীদের সর্বোচ্চ সেবা প্রদানের আশ্বাস দিয়ে বলেন, তার দূতাবাসের দরজা সকল প্রবাসীর জন্য খোলা। পাশাপাশি দেশের ভাবমর্যাদা বিদেশীদের কাছে তুলে ধরার জন্য তিনি দলমত নির্বিশেষে প্রবাসীদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।

তিনি বলেন, একাত্তরের বাংলাদেশ আর আজকের বাংলাদেশ এক নয়। স্বাধীনতার পঞ্চশ বছরে দেশে অনেক উন্নয়ন-অগ্রগতি হয়েছে। এই উন্নয়ন-অগ্রগতির কথা বিদেশিদের কাছে তুলে ধরার পাশাপাশি দেশের ভাবমর্যাদা তুলে ধরতে হবে। এজন্য সকল প্রবাসীকে দলমতের ঊর্ধ্বে সকলকেই একজন রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করতে হবে।

গত সেপ্টেম্বরে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত হওয়ার পর সাংবাদিক ও কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে এটাই প্রথম মতবিনিময়। এর আগে রাষ্ট্রদূত বিভিন্ন মানি ট্রান্সফার প্রতিষ্ঠানের সিইও এবং প্রেসিডেন্টদের সঙ্গে কনস্যুলেটে মতবিনিময় করেন। এ সময় তিনি বৈধপথে প্রবাসীদের দেশে বেশি বেশি অর্থ প্রেরণের উপর গুরুত্বারোপ করেন এবং কনস্যুলেট বা দূতাবাসের করণীয় সম্পর্কে মতামত গ্রহণ করেন।

নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল ড. মনিরুল ইসলামের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় ওয়াশিংটনে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার (প্রেস) এ জেড এম সাজ্জাদ হোসাইন, জাতিসংঘের বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে নিযুক্ত মিনিস্টার (প্রেস) নূর-এ ইলাহী মিনা ও সোনালী এক্সচেঞ্জ ইনক’র প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা দেবশ্রী মিত্র উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে, গত কয়েক বছর যাবত নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল কার্যালয়ে প্রতিমাসেই নানা ধরনের অনুষ্ঠান হচ্ছে। এতে থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও নৈশ্যভোজের ব্যবস্থা। এসব অনুষ্ঠানে বরাবরই দলীয় নেতাকর্মীসহ চিরাচরিত চেনামুখী তথাকথিত অতিথিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। ঘুরে ফিরে প্রতিটি অনুষ্ঠানেই তাদের চেহারাই দেখা যায়। নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের আওতাধীন ৮টি অঙ্গরাজ্য থাকলেও বাকি ৮টি অঙ্গরাজ্যের কোন অতিথিকেই কোন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয় না।

শুধু তাই নয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের বেলায়ও একই ধরনের কর্মকাণ্ড চলে আসছে। নিউ জার্সি, ম্যাসাচুসেটস, নিউ হ্যাম্পশয়ার, মেইন, কানেকটিকাট, রোড আইল্যান্ড ও ভারমন্টের ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্রতিভাবান শিল্পী ও কলা কুশলীদের কখনই আমন্ত্রণ জানানো হয় না। শুধুমাত্র নিউ ইয়র্কের দু'টি সাংস্কৃতিক সংগঠন বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব পারফর্মিং আর্টস (বিপা) ও বাংলাদেশ একাডেমি অব ফাইন আর্টস (বাফা) দিয়েই দায়সারা গোছের অনুষ্ঠান করা হয়। প্রবাসীদের ধারনা যে এ দু'টি সংস্থার সাথে নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের শত বছরের চুক্তি সম্পাদন হয়েছে।

বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল কার্যালয় ও জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের খাতায় কবে অতিথিদের তালিকায় লিপিবদ্ধ হয়েছে তা জানা যায়নি। তবে তালিকায় রয়েছে তথাকথিত গণমাধ্যমকর্মী, তথাকথিত কমিউনিটি ও দলীয় নেতাকর্মী, ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা এবং প্রবাসী ভবঘুরে ব্যক্তিবর্গ। এসব লোকদেরকে কনস্যুলেট ও বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের অনুষ্ঠানে দেখলে অনেকেই হাসাহাসি করেন। তবে অতিথিদের তালিকা সংশোধনের জন্য অনেকবার মিডিয়াকর্মীরা তাদেরকে তাগিদ হয়েছিলো কোন কাজ হয়নি।

নিউইয়র্কের জনৈক ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, নিউইয়র্কে লাখ লাখ বাংলাদেশির বসবাস। এদের মধ্যে রয়েছে ব্যবসায়ী, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন পেশার বিপুল সংখ্যক মানুষ, যারা নিয়মিত মোটা অংকের অর্থ দেশে প্রেরণ করে থাকেন। এমন ব্যক্তিদের কখনই বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল কার্যালয় ও জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয় না। যারা কালেভদ্রে দেশ টাকা পাঠান তাদেরকেই বারবার কেন কনস্যুলেট জেনারেলে ও জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে আমন্ত্রণ জানিয়ে দাওয়াত খাওয়াতে হবে তা নিয়েও প্রবাসীদের মাঝে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন? মধ্যাহ্নভোজ কিংবা নৈশ্যভোজ ব্যতিরেকে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল কার্যালয় ও জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের সকল প্রকার অনুষ্ঠানে প্রবাসীদের জন্য দ্বার উন্মুক্ত থাকা বাঞ্ছনীয় বলে মনে করেন সচেতন প্রবাসীরা।

তাদের মতে অর্থ ব্যয় করে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল কার্যালয় ও জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে গুটিকয়েক চিরাচরিত চেনামুখী তথাকথিত অতিথিদের আপ্যায়নের ব্যবস্থা না করে বড় পরিসরে জাতীয় অনুষ্ঠানগুলোর আয়োজন করলে প্রবাসীরা বেশি আনন্দ পেতো।

উল্লেখ্য বিহির্বিশ্বে বাংলাদেশ কনসুলেটগুলোর মধ্যে জেদ্দার পরেই নিউ ইয়র্কের স্থান। পাসপোর্ট, ভিসাসহ যাবতীয় কনস্যুলেট সেবার কাজে বড় ধরণের আয় করে থাকেন নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল। রাষ্ট্রীয় এ তহবিলের অর্থ তথাকথিত গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জন্য নয়। এতে সকল প্রবাসীদের সমান অধিকার রয়েছে। এছাড়াও অপ্রয়োজনীয় অনুষ্ঠানাদির ওসিলায় মোটা অঙ্কের অর্থের অপচয়ের বিষয়টিও এসেছে প্রবাসীদের নানা আলোচনায়।

   

কুয়েতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত চট্টগ্রামের আকবর



কুয়েত করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুয়েত
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কুয়েতে সড়ক দুর্ঘটনায় আকবর হোসেন নামে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। তিনি চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ উপজেলার রহমতপুর গ্রামের আদর্শ পাড়া হাদির গো বাড়ির সুলতান আহমদের ছেলে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাতে কুয়েতের রাবিয়া নামক স্থানে ইশারা আল কাসেমিতে রাস্তা পারাপারের সময় গাড়ির ধাক্কা লেগে এই দুর্ঘটনায় ঘটে।

নিহতের আত্মীয় সাখাওয়াত হোসাইন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, 'বেশ কিছুদিন যাবৎ তিনি মানসিকভাবে চাপের মধ্যে ছিলেন। শুক্রবার রাতে রাস্তা পারাপার করতে গেলে দুর্ঘটনার শিকার হয়।এতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান তিনি।'

বর্তমানে মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। যথাযথ প্রক্রিয়া শেষে তার মরদেহ দ্রুত দেশে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন তার স্বজনরা।

;

দেশের ইলিশের টানে লন্ডন থেকে গ্লাসগো



ড. হাসিন মাহবুব চেরী, সিনিয়র স্পেশালিস্ট সায়েন্টিস্ট, ইউকে
দেশের ইলিশের টানে লন্ডন থেকে গ্লাসগো

দেশের ইলিশের টানে লন্ডন থেকে গ্লাসগো

  • Font increase
  • Font Decrease

একটা বয়সের পরে আমরা আটকা পড়ি শুধুই মায়ার টানে। কোন মানুষটা আমাদের মন থেকে মায়া করে, এটাই সব কিছুর ঊর্ধ্বে বিবেচ্য হয় আমাদের কাছে (অন্তত আমার কাছে ব্যাপারটা এখন তাই)।

কারণ, আমরা বুঝতে শিখি যে, আমাদের আশেপাশে বন্ধুরূপী অসংখ্য মুখের ভিড়ে শুধু মাত্র সেই মুখগুলোই মূল্যবান - যার কাছে আমি মূল্যবান। আর ঠিক একারণেই সুদূর বিলাতের বিভূঁই পরিবেশে ফারহানা হোসেন আপু যখন বললো দেশ থেকে আসা ইলিশ তোমাকে আর Rumana Newlands কে ছাড়া খাবো না বলে তুলে রেখেছি, কবে আসবে? মনে হলো এই ভালোবাসার ডাক পাবার মতো ভাগ্য আসলে ক'জনেরই বা হয়? তাই প্রচন্ড ব্যস্ত সময়ের মধ্যেই হুট করে একবেলার জন্যে লন্ডন থেকে গ্লাসগো উড়ে চলে গেলাম।

এই ঝটিকা সফর বহু কারণেই স্মরণীয় হয়ে থাকবে, তবে অর্ধেক দিনের এই মেমরি আমাকে আবার শেখালো:

Life is not about quantity, it`s all about quality. So it doesn`t matter what you have in life, but who you have only matters.

আর জীবনে নিজের পরিবারের মানুষ ছাড়াও কারো সত্যিকারের ভালোবাসা পাওয়া আসলেই বিশাল ভাগ্যের ব্যাপার। ফারহানা আপু এবং সাজ্জাদ ভাইয়ার আন্তরিকতায় আবারো মুগ্ধ হতে হতে তাই ভাবছিলাম, যদিও আমি সবসময় সবার থেকে ভালো জিনিস গুলো শেখার চেষ্টা করি তবে কিছু কিছু কোয়ালিটি আসলে মানুষের মধ্যে আসে 'ইন বিল্ট' হয়ে, যেটা অন্য কেউ হয়তো হাজার চেষ্টা করেও আয়ত্ত্ব করতে পারে না!

অন্যকে স্পেশাল এবং গুরুত্বপূর্ণ ফিল করানোও ঠিক সেরকমই একটা ইন বিল্ট কোয়ালিটি যেটা বেশিরভাগ মানুষের মধ্যেঔ অনুপস্থিত। যেমন আপু এবং ভাইয়া (আমার দেখা দুই অন্যতম ব্রিলিয়ান্ট এবং down to earth মানুষ) যেভাবে ওয়ার্কিং ডে 'র শেষে আমাকে এয়ারপোর্ট থেকে পিক করা থেকে শুরু করে নিজের হাতে রান্না করা বহু পদের মুখরোচক খাবার এবং নিজের হাতে বানানো মিষ্টি'র আয়োজন করলেন, স্কটল্যান্ডে এসে আমার ভাইয়ের সাথে দেখা হবে না বলে আমার ভাই কেও আবেরডিন থেকে ডেকে নিয়ে আসলেন, এবং আসবার পথে একগাদা খাবার প্যাক করে ব্যাগে নিজের হাতে ঢুকিয়ে দিয়ে একদম এডিনবরা এয়ারপোর্ট এর সিকিউরিটি পর্যন্ত এসে বিদায় দিয়ে গেলেন - এই আন্তরিকতাটা বোধহয় একেবারে মনের গভীর থেকে না আসলে করা সম্ভব নয়।

আসলে জীবনে আমরা বহু অপাত্রে আমাদের ভালোবাসা এবং সময় দান করে নষ্ট করি, বহু মানুষের ব্যবহার দেখে মনে হয় সত্যিই বোধহয় স্বার্থপর না হওয়াটাই আজকাল বোকামি। তবে পরমুহূর্তেই আবার যখন এরকম সুন্দর মনের মানুষ গুলোর আন্তরিকতায় অবাক এবং মুগ্ধ হই, তখন মনে হয় এই সুন্দর মনের মানুষগুলোর উপস্থিতির জন্যেই আসলে জীবনটা এতো সুন্দর। আর এরকম মানুষের উপস্থিতি আমাদের ঠিক একইভাবে ওনাদের মতোই অন্য কারো জীবনেও নিজের উপস্থিতি দিয়ে তার জীবনের কিছু সুন্দর মুহূর্ত উপহার দিতে অনুপ্রেরণা যোগায়।

;

শেখ হাসিনার সফর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক দৃঢ় করবে: থাই সরকারের মুখপাত্র



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাউথ-ইস্ট এশিয়া (ব্যাংকক, থাইল্যান্ড)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দীর্ঘ প্রায় দুই যুগ পর থাইল্যান্ডে আসছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী বুধবার (২৪ এপ্রিল) তিনি থাইল্যান্ডে এসে পৌঁছাবেন। পাঁচদিনের সফর শেষে সোমবার (২৯ এপ্রিল) তিনি দেশে ফিরে যাবেন।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) থাই সরকারের মুখপাত্র চাই ওয়াচারানক স্থানীয় গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানান।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শ্রেত্থা থাবিসিন এর আমন্ত্রণে শেখ হাসিনা থাইল্যান্ডে আসছেন।

শেখ হাসিনার ভ্রমণের সময় উভয় দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি চুক্তি এবং এমওইউ স্বাক্ষর হবে।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সফরসঙ্গীদের জন্য গভর্মেন্ট হাউজে দুপুরের খাবারের আয়োজন করেছেন শ্রেত্থা থাবিসিন।

চাই ওয়াচারানক জানান, ২০০২ সালের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এটি প্রথম থাইল্যান্ড সফর। এই সফরে দুই দেশের কর্মকর্তারা বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে দ্বি-পাক্ষীক সম্পর্ক শক্তিশালী করতে আলোচনা করতে পারবেন। এছাড়াও বিভিন্ন খাতে সহযোগীতা বৃদ্ধি, বিশেষত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির বিষয়টি নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা করা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

এছাড়াও যোগাযোগ, পর্যটন এবং দুই দেশের মানুষের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক বৃদ্ধিতে শেখ হাসিনার এই সফর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে জানান থাই সরকারের মুখপাত্র। 

;

আমিরাতে বর্ণিল আয়োজনে বাংলা বর্ষবরণ উৎসব



তোফায়েল আহমেদ পাপ্পু, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পহেলা বৈশাখ বাঙালির সর্বজনীন উৎসব। শুধু দেশে নয়, সারা বিশ্বে বসবাসরত বাঙালিরা দিনটি সাড়ম্বরে পালন করে থাকে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে এবার ঈদের ছুটি অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ ছিল। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে পহেলা বৈশাখ। যা প্রবাসী বাংলাদেশিদের আনন্দ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। লোকায়ত সংস্কৃতির ডালা সাজিয়ে বর্ণিল উৎসব আয়োজনের মধ্যদিয়ে দেশটিতে বাংলা বর্ষবরণ উৎসব উদযাপিত হয়েছে।

ভিনদেশের মাটিতেও বাঙালি সংস্কৃতির চিরায়ত পহেলা বৈশাখ উদযাপিত হলো নানা অনুসঙ্গে। দেশটিতে বসবাসরত বাঙালিদের মধ্যেও ছিল আনন্দের কলরব। আর এই আনন্দ উচ্ছ্বাসকে সবার সঙ্গে ভাগ করে নিতে প্রবাসী সনাতনি ঐক্য পরিষদের চমৎকার আয়োজনের মধ্য দিয়ে এক নতুন মাত্রা পেয়েছে।


রোববার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে আমিরাতের সারজায় আল জায়েদ ফার্ম হাউজে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের শুরুতে পহেলা বৈশাখ ১৪৩১ বাংলা নববর্ষ বরণ করে নিতে সকাল সাড়ে ১০টায় মঙ্গল শোভযাত্রা র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়। পরে নাচ, গান, মধ্যাহৃভোজ ও নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে বর্ষবরণ উদযাপন করেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

একাকী প্রবাসজীবনে পরিবার পরিজন, বন্ধুবান্ধব থেকে দূরে থাকা, দেশীয় স্বাদ ও আমেজের জন্য সারাবছর লালায়িত থাকা এই প্রবাসীরা হাজার মাইলের দূরত্ব কষ্ট ভুলে গিয়েছিল পহেলা বৈশাখ উদযাপন অনুষ্ঠানে। আমিরাতের আবুধাবী, দুবাই, আজমান ও বিভিন্ন শহর থেকে প্রবাসীরা পরিবার নিয়ে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।


অনুষ্ঠান শেষে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কনস্যুলেট দুবাই লেডিস গ্রুপের সভাপতি আবিদা হোসেন, বাংলাদেশ কনস্যুলেট দুবাই ও উত্তর আমিরাতের কমার্শিয়াল কাউন্সেলর আশীষ কুমার সরকার, প্রবাসী সনাতনী পরিষদের সিনিয়র উপদেষ্টা বিশ্বনাথ দাশ, সভাপতি অজিত কুমার রায়, সহ সভাপতি অজিত চৌধুরী মিঠু, সাধারণ সম্পাদক উত্তম কুমার সরকার, অর্থ সম্পাদক কার্তিক সাহা, দপ্তর সম্পাদক দেবব্রত তালুকদার, ফুজাইরাহ বাংলাদেশ সমিতির সভাপতি বাবু তপন সরকার, জাতীয় হিন্দু মহাজোট ইউএই’র সিনিয়র উপদেষ্টা মিনাল কান্তি ধর প্রমুখ।

প্রবাসী সনাতনী পরিষদের সভাপতি অজিত কুমার রায় জানান, প্রবাসের মাটিতে বেড়ে ওঠা তরুণ প্রজন্মকে বাংলা সংস্কৃতির ইতিহাস ঐতিহ্যের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আগামীতে আরও বড় পরিসরে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নেয়া হবে।

 

 

;