বাংলাদেশকে তুলে ধরতে মিলানস্থ কনস্যুলেটের উদ্যোগে আলোকচিত্র প্রদর্শনী আয়োজন



ইসমাইল হোসেন স্বপন, ইতালি প্রতিনিধি
বাংলাদেশকে তুলে ধরতে মিলানস্থ কনস্যুলেটের উদ্যোগে আলোকচিত্র প্রদর্শনী আয়োজন

বাংলাদেশকে তুলে ধরতে মিলানস্থ কনস্যুলেটের উদ্যোগে আলোকচিত্র প্রদর্শনী আয়োজন

  • Font increase
  • Font Decrease

“Celebrating Colours of Bangladesh” প্রতিপাদ্যে মিলানস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলনায়তনে ৬ দিনব্যাপী একটি আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হচ্ছে। ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের মান্যবর রাষ্ট্রদূত মো. শামীম আহসান, এনডিসি ১৮ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখে এই আলোচিত্র প্রদর্শনীর শুভ উদ্বোধন করেন। দিনব্যাপী কনস্যুলার সেবার পাশাপাশি এই প্রদর্শনী ১৯-২৫ জানুয়ারি ২০২৩ পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে।

প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, মিলানের বিভিন্ন কনস্যুলেটের কনস্যুলার প্রতিনিধিবর্গ, স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মী, মিলান ও পার্শবর্তী এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার নেতৃস্থানীয় প্রবাসী বাংলাদেশি এবং বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ। এছাড়াও এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সম্মানিত সদস্য, মিলান মিউনিসিপালিটির নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, সম্মাননাপ্রাপ্ত বাংলাদেশি আলোকচিত্রগ্রাহক মুস্তাফিজ মামুন এবং বাংলাদেশ ভ্রমণকাহিনী লেখক সংগঠনের সভাপতি জনাব আশরাফুজ্জামান উজ্জ্বল। এই প্রদর্শনীতে বাংলাদেশের ৬৪টি জেলায় তোলা বাংলাদেশ-ইতালির দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সাথে সংশ্লিষ্ট প্রায়৭০ টির মতো আলোকচিত্র প্রদর্শনের জন্য রাখা হয়েছে। ১৮ তারিখের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কূটনীতিক কোরের প্রধান ও পেরুর কনসাল জেনারেল Mr. Augusto Salamanca বক্তব্য রাখেন। এসময় তিনি বলেন যে, এই প্রদর্শনীর ফলে ইতালিয় জনগণ ও বিদেশিদের মধ্যে বাংলাদেশ সম্পর্কে উৎসাহ ও উদ্দীপনা তৈরি হবে। তিনি আরও বলেন যে, তার কখনো বাংলাদেশে যাওয়ার সুযোগ না হলেও এই প্রদর্শনীর ছবিগুলো দেখে তিনি বাংলাদেশ সম্পর্কে একটি গভীর ইতবাচক ধারণা লাভ করেছেন।

রাষ্ট্রদূত মো. শামীম আহসান, এনডিসি তার সমাপনী বক্তব্যে উল্লেখ করেন যে, একজন বিদেশির জন্য বাংলাদেশ ভ্রমণের জন্য অনেক উপলক্ষ্য রয়েছে। এর মধ্যে প্রধানতম কারণ হলো বাংলাদেশের বৈচিত্র্য ও অপার সম্ভাবনাময় উদ্যোগী জনগোষ্ঠীর কর্মতৎপরতা। তার মতে, আলোকচিত্র হলো এমন একটি মাধ্যম যার দ্বারা একটি দেশের উৎকর্ষতাকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরা যায়। তিনি আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের যে মাইলফলক স্থাপন করেছে, তা বিশ্বগণমাধ্যমের সামনে সঠিকভাবে তুলে ধরতে হবে।

কনসাল জেনারেল এম জে এইচ জাবেদ এসময় প্রদর্শনীতে আসার জন্য উপস্থিত সকল অতিথিদেরকে বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে আমন্ত্রিত অতিথি ও দর্শনার্থীবৃন্দ একটি নেটওয়ার্কিং অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।

প্রধানমন্ত্রীর ডাকে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার আহ্বান



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
প্রধানমন্ত্রীর ডাকে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার আহ্বান

প্রধানমন্ত্রীর ডাকে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার আহ্বান

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে কাজ করার জন্য সকলকে আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বৃহত্তর চীন শাখা আয়োজিত আলোচনা সভার বক্তারা। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে নেতৃবৃন্দ ইফতার পার্টির পরিবর্তে গরিব দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

৫৩তম মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে রোববার (২৬ মার্চ) আওয়ামী লীগ বৃহত্তর চীন শাখার উদ্যোগে গুয়াংজুতে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। একইসঙ্গে সংগঠনের উদ্যোগে ঢাকায়ও স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করা হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন চীন শাখার সভাপতি যাদব দেবনাথ। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের উপদেষ্টা তরুণ কান্তি দাশ, উপদেষ্টা ফরিদ উদ্দীন, উপদেষ্টা ওয়ালিউর রহমান ওলি, সিনিয়র সহ-সভাপতি মহসিন ইমাম চৌধুরী রুনু, সহ-সভাপতি ফরিদ উদ্দিন, সহ-সভাপতি শিশির রায়হান, সহ-সভাপতি নাজমুল মিশু, সাধারণ সম্পাদক জসিম হোসাইন, সহ-সাধারণ সম্পাদক মামুন সিকদার, সহ-সাধারণ সম্পাদক কল্লোল কান্তি, সাংগঠনিক সম্পাদক খাজা আহমেদ মজুমদার, সাংগঠনিক সম্পাদক মো: আবু শামা , আনিসুর রহমান, প্রদীপ কুমার শর্মা, মো: সাহাজাদা সায়েম, অ্যাডভোকেট পূর্ণেন্দু প্রমুখ।

;

বৈরুতস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যথাযথ মর্যাদায় বৈরুতস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। লেবাননে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আল মুস্তাহিদুর রহমান জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ করেন দিবসটি উপলক্ষে কর্মসূচির সূচনা করেন।

পরবর্তীতে দূতাবাস প্রাঙ্গণে এক আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়, স্বাধীনতা সংগ্রামের উপর নির্মিত একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয় এবং স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্যের উপর উন্মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। লেবাননে বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশিরা ও দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে এ আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।

রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যে বলেন, পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর চরম বৈষম্য ও অত্যাচার-নিপিড়ন হতে বাঙ্গালি জাতিকে মুক্তি দিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ সময়ে নানাবিদ আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাঙ্গালি জাতিকে মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করেছেন। তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতার পরে অতি অল্প সময়ে জাতির পিতা দেশকে একটি শক্ত অর্থনৈতিক ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত করেছেন। রাষ্ট্রদূত জাতির পিতার স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গঠনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও তাঁর সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের উপর আলোকপাত করেন এবং প্রধানমন্ত্রী’র নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় অধিকতর অবদান রাখার জন্য লেবাননে বসবাসরত সকল প্রবাসী বাংলাদেশিকে আহবান জানান।

;

নিউইয়র্কে লায়লা হাসান’র বৈশাখী মেলা ও বাংলা বর্ষবরণের আহ্বান



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
একুশে পদক প্রাপ্ত নৃত্য শিল্পী, বীর মুক্তিযোদ্ধা লায়লা হাসান

একুশে পদক প্রাপ্ত নৃত্য শিল্পী, বীর মুক্তিযোদ্ধা লায়লা হাসান

  • Font increase
  • Font Decrease

নিউইয়র্কে শতকণ্ঠে ১৪৩০ বাংলা বর্ষবরণ, মঙ্গল শোভাযাত্রা ও বৈশাখী মেলা উদযাপনের আহ্বান করেছেন একুশে পদক প্রাপ্ত নৃত্য শিল্পী, বীর মুক্তিযোদ্ধা লায়লা হাসান।

রোববার (১৯ মার্চ) সন্ধ্যায় তিনি নিউইয়র্কে জ্যাকসন হাইটসের জুইস সেন্টারে শতকণ্ঠে বর্ষবরণের এ আয়োজনের চতুর্থ মহড়ায় অংশ নেন। এর আগে আরো তিনটি মহড়া অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানটি আয়োজন করছেন এনআরবি ওয়ার্ল্ড ওয়াইড, সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল লিটন জানান, এতে গান গাইবেন বাংলাদেশের প্রখ্যাত রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা এবং কলকাতা থেকে অংশ নিবেন কমলিনী মুখোপাধ্যায় ও আরো অনেকে।

জ্যাকসন হাইটসের জুইস সেন্টারে শতকণ্ঠে বর্ষবরণ আয়োজনের চতুর্থ মহড়া

এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন লেখক, চিকিৎসক হুমায়ুন কবির, সংগীত পরিচালক মহিতোষ তালকদার তাপস এবং উপমহাদেশের খ্যাতনামা সঙ্গীতজ্ঞ মুত্তালিব বিশ্বাস। মুত্তালিব বিশ্বাস বলেন, “আমি মুগ্ধ হয়ে ৪ ঘণ্টার মহড়া উপভোগ করেছি। আমাদের শত বিভাজনের মধ্যে এক হওয়ার মূল মন্ত্র বাঙালিয়ানা সংস্কৃতি আমাদের একত্রিত করে। বিশাল এই আয়োজনটি সফল করতে সবার সার্বিক সহযোগিতা প্রয়োজন।”

হুমায়ুন কবির বলেন, “আমাদের প্রথম ও শেষ কথা আমরা বাঙালি। বিশ্বব্যাপী আমাদের এই বাঙালিয়ানা প্রকাশ করার সুযোগ পাওয়া যায় এমন বৃহৎ আয়োজনে। নানান প্রভাবে আমরা মানবিকতা থেকে দূরে সরে যাচ্ছি, কিন্তু সংস্কৃতি আমাদের মানবিক করে তোলে। এই আয়োজন শতকণ্ঠের হলেও এখানে যুক্ত হবে কোটি কণ্ঠ এই প্রত্যাশা করি।”


আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা লায়লা হাসান বলেন, “উপমহাদেশের খ্যাতনামা সঙ্গীতজ্ঞ মুত্তালেব বিশ্বাসের উপস্থিতিতে সবাই মিলে আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছেন তাতে আমি সম্মানিত বোধ করছি। আহ্বায়ক হিসেবে আমি আন্তরিকভাবে কাজ করব। সবার সহযোগিতা নিয়ে ঐতিহাসিক এ আয়োজনকে সাফল্যমণ্ডিত করতে চাই।” তিনি আগামী ১৪ ও ১৫ এপ্রিলের এ উৎসবে উত্তর আমেরিকার সব অভিবাসীদের অংশগ্রহণেরও আহ্বান জানান।

;

রোমাঞ্চকর দুবাই মরুভূমির ডেজার্ট সাফারি



তোফায়েল পাপ্পু, দুবাই (সংযুক্ত আরব আমিরাত) থেকে
দুবাই মরুভূমির ডেজার্ট সাফারি

দুবাই মরুভূমির ডেজার্ট সাফারি

  • Font increase
  • Font Decrease

দারুণ স্থাপত্যের সব অট্টালিকা নিয়েই পুরোটা শহর। এটা মূলত কোন দেশ নয়। অনেকেই এই শহরটাকে কোন একটা দেশ মনে করে থাকেন। সংযুক্ত আরব আমিরাতের একটি রাজ্য অর্থাৎ একটি সিটির নাম দুবাই। পুরো শহরজুড়ে উঁচু উঁচু দালান। একেকটা যেন আকাশ ছুঁতে চায়, ডিজাইনে-নান্দনিকতায় ছাড়িয়ে যাওয়ার লড়াইটাও স্পষ্ট। শহর থেকে একটু বাহিরে গেলেই দেখা মিলে ভিন্ন দৃশ্য। রাস্তার দু'পাশে দিগন্ত জোড়া বালুকাবেলা। অনেকটা আঁকা-বাকা রাস্তা। যেমনটা এখানকার রাজপথে তেমন একটা দেখা যায় না।

সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড উপভোগ

একদিকে যেমন বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু দালান দেখতে দর্শনার্থীরা ভিড় করেন এখানে, অন্যদিকে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ফুলের বাগান দেখতেও দর্শনার্থীদের কমতি নেই। তেমনি দুবাইয়ের মরুভূমি না দেখলে যেন মনে হবে দুবাই ভ্রমণ করা হয়নি। একটা আফসোস থেকে যাবে। বিশেষ করে আরবের দেশগুলোকে মরুভূমির দেশ বলে আখ্যায়িত করা হয়। তাই দুবাই বা সংযুক্ত আরব আমিরাতে এসে মরুভূমি না দেখলে আফসোস থেকেই যাবে। মরুভূমি দেখতে হলে যেতে হবে দুবাই শহরের বাহিরে।

মরুভূমির ডেজার্ট সাফারি

দুবাই মরুভূমি সাফারি একটি অভিনব অভিজ্ঞতা যা আপনাকে স্থানীয় জীবনধারা ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সঙ্গে পরিচিত করে দেবে। দুবাই মরুভূমি সাফারি দেশের উত্তরপশ্চিম এলাকা থেকে শুরু হয় এবং অনেক কম বর্ষার একটি সমতল এলাকায় পরিচর্যা করা হয়।

দুবাই সাফারি মরুভূমি দুবাই, সংযুক্ত আরব আমিরাতের একটি জনপ্রিয় পর্যটন আকর্ষণ। এটি একটি মরুভূমি সাফারি অভিজ্ঞতা যা দর্শকদের দুবাইয়ের বিশাল এবং সুন্দর মরুভূমির ল্যান্ডস্কেপ অন্বেষণ করার সুযোগ দেয়।

আমিরাতের একটি জনপ্রিয় পর্যটন আকর্ষণ

এমনিতে মরুভূমির কথা মনে হলে ছোটবেলা থেকে একটা ছবিই স্মরণ হতে পারে, অ্যরাবিয়াননাইটসের সেই আলিফ লায়লার কথা। ভোগ-বিলাসের সেই জীবনের কথা। ওমান সীমান্তের কাছে বা এর আশে পাশে রয়েছে মরু এলাকা। দুবাই শহর থেকে প্রায় ৮০-১০০ কিলোমিটারের বেশি দূরে অবস্থিত ডেজার্ট সাফারি এলাকা।

মরুভূমির সূর্যাস্ত

প্রাইভেট গাড়ি, বাস অথবা ট্যাক্সি করে যেতে হবে ওখানে। সড়কের পাশে গাড়ি পার্কিং করার পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ল্যান্ড ক্রুজার গাড়ির মাধ্যমে নিয়ে যাওয়া হবে মরুভূমির ভিতরে ক্যাম্পের পাশে। সাফারিটি সাধারণত একটি ৪ঢ৪ গাড়িতে একটি রোমাঞ্চকর ডুন ব্যাশিং রাইড দিয়ে শুরু হয়, যেখানে দর্শকরা বালির টিলায় উপরে এবং নীচে গাড়ি চালানোর অ্যাড্রেনালিন রাশ অনুভব করতে পারে। গাড়ি চালানো শুরু থেকে প্রায় ৩ থেকে ৪ মিনিট চড়ার মধ্যেই অনুভূত হবে এক অসাধারণ রোমাঞ্চ। মরুভূমির উপর দিয়ে উঁচু উঁচু বালুর টিলা বেয়ে গাড়ি চড়াটা যে কত আনন্দের তা সরেজমিন না গেলে বুঝার উপায় নেই। গাড়ি একবার বালির পাহাড়ে উঠে তো আবার নিচে। মনে হবে এই বুঝি উল্টে যাবে গাড়ি।এতোদিন যা হলিউডের সিনেমায় দেখেছেন তার অভিজ্ঞতাটা এখানে আসলে বুঝা যাবে। মরুভূমি পেরিয়ে উঁচু থেকে নিচুতে ছুটতে থাকা গাড়িগুলো যেন বালির সঙ্গে যুদ্ধ করছে। এই যে গাড়ি কাত হয়ে যাওয়া কিংবা প্রায় উল্টে যাওয়া এটিই এই ডেসার্ট সাফারির সেরা বিনোদন। এখানে যারা গাড়ি চালান তাদের প্রত্যেকের রয়েছে ডেজার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স। মনে মনে ভয় ঢুকে যাবে তাদের ড্রাইভিংয়ে। কিন্তু নিরাপদ থাকবেন আপনি। তবে হ্যা, হার্টে সমস্যা থাকলে এই রাইডে যাওয়ার ব্যাপারে কিছুটা বিধি-নিষেধও আছে!

 ঐতিহ্যবাহী আরব আতিথেয়তা

টিলা বাশিং রাইডের পরে, দর্শকরা একটি ঐতিহ্যবাহী বেদুঈন-স্টাইল ক্যাম্পসাইট উপভোগ করতে পারে যেখানে তারা ঐতিহ্যবাহী আরব আতিথেয়তা অনুভব করতে পারে এবং উটের চড়া, মেহেদি পেইন্টিং এবং শিশা ধূমপানের মতো সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড উপভোগ করতে পারেন।

মরুভূমি সাফারি

মরুভূমি সাফারি একটি ভারী জিনিস, এবং এটি সুরক্ষিত ও কর্তব্যশীল হতে হবে। এখানে যাওয়ার পূর্বে নিশ্চিত হতে হবে যে স্থানীয় গাইডসহ সাফারি করছেন যা আপনাকে সুরক্ষা এবং জিজ্ঞাসা করতে সাহায্য করবে। মরুভূমি সাফারি আপনাকে অনেক অভিজ্ঞতা দেবে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য অর্থহীন স্থানগুলো রয়েছে যেমন মরু ডেজার্ট এবং স্থানীয় বস্তুতেও অভিজ্ঞতা দেওয়া হয়। এই সাফারি পর্যটকদের সাধারণত সন্ধ্যা থেকে রাত বেলা পর্যন্ত চলে। সাফারি শুরু হয় আরব আদমির সাথে একটি জীবনযাপনে যেখানে আপনি উফানপূর্ণ আবহাওয়া এলাকার অসাধারণ দৃশ্য, শুকনো রেগিস্তান, সুন্দর সূর্যাস্ত এবং দুনিয়ার সবচেয়ে বড় স্থানীয় সাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতা দেখতে পারবেন।

মরুভূমির উট

সাফারির অংশ হিসেবে দুবাই রেগিস্তান সফারি, স্কি বোর্ড সাফারি, বাগি সাফারি এবং ফালকন সাফারি, হাম্বার রাইডিং, ক্যামেল সাফারি, বিভিন্ন আকর্ষণ যেমন হাই ডিজার্ট ক্যাম্প, বেলনা চালানো, ক্যামেল রাইড, বেল্ট বাজি শো এবং ট্রাডিশনাল আরবি ডিনার জমিয়ে থাকে। আপনি যদি চান তবে আপনি একটি টেন্টে থাকতে পারেন এবং শান্তি এবং সুবিধা একটি স্বপ্নসুঞ্চনীয় অভিজ্ঞতা।

দুবাইয়ের এমন রোমাঞ্চের জীবন খুঁজতে চাইলে মরুভূমিতে যেন আসতেই হবে! সামগ্রিকভাবে, দুবাই সাফারি মরুভূমি একটি অনন্য এবং অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা যা দর্শকদের ঐতিহ্যবাহী বেদুঈদ জীবনধারা এবং আরবীয় মরুভূমির সৌন্দর্যের একটি আভাস দেয়।

;