রোমাঞ্চকর দুবাই মরুভূমির ডেজার্ট সাফারি



তোফায়েল পাপ্পু, দুবাই (সংযুক্ত আরব আমিরাত) থেকে
দুবাই মরুভূমির ডেজার্ট সাফারি

দুবাই মরুভূমির ডেজার্ট সাফারি

  • Font increase
  • Font Decrease

দারুণ স্থাপত্যের সব অট্টালিকা নিয়েই পুরোটা শহর। এটা মূলত কোন দেশ নয়। অনেকেই এই শহরটাকে কোন একটা দেশ মনে করে থাকেন। সংযুক্ত আরব আমিরাতের একটি রাজ্য অর্থাৎ একটি সিটির নাম দুবাই। পুরো শহরজুড়ে উঁচু উঁচু দালান। একেকটা যেন আকাশ ছুঁতে চায়, ডিজাইনে-নান্দনিকতায় ছাড়িয়ে যাওয়ার লড়াইটাও স্পষ্ট। শহর থেকে একটু বাহিরে গেলেই দেখা মিলে ভিন্ন দৃশ্য। রাস্তার দু'পাশে দিগন্ত জোড়া বালুকাবেলা। অনেকটা আঁকা-বাকা রাস্তা। যেমনটা এখানকার রাজপথে তেমন একটা দেখা যায় না।

সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড উপভোগ

একদিকে যেমন বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু দালান দেখতে দর্শনার্থীরা ভিড় করেন এখানে, অন্যদিকে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ফুলের বাগান দেখতেও দর্শনার্থীদের কমতি নেই। তেমনি দুবাইয়ের মরুভূমি না দেখলে যেন মনে হবে দুবাই ভ্রমণ করা হয়নি। একটা আফসোস থেকে যাবে। বিশেষ করে আরবের দেশগুলোকে মরুভূমির দেশ বলে আখ্যায়িত করা হয়। তাই দুবাই বা সংযুক্ত আরব আমিরাতে এসে মরুভূমি না দেখলে আফসোস থেকেই যাবে। মরুভূমি দেখতে হলে যেতে হবে দুবাই শহরের বাহিরে।

মরুভূমির ডেজার্ট সাফারি

দুবাই মরুভূমি সাফারি একটি অভিনব অভিজ্ঞতা যা আপনাকে স্থানীয় জীবনধারা ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সঙ্গে পরিচিত করে দেবে। দুবাই মরুভূমি সাফারি দেশের উত্তরপশ্চিম এলাকা থেকে শুরু হয় এবং অনেক কম বর্ষার একটি সমতল এলাকায় পরিচর্যা করা হয়।

দুবাই সাফারি মরুভূমি দুবাই, সংযুক্ত আরব আমিরাতের একটি জনপ্রিয় পর্যটন আকর্ষণ। এটি একটি মরুভূমি সাফারি অভিজ্ঞতা যা দর্শকদের দুবাইয়ের বিশাল এবং সুন্দর মরুভূমির ল্যান্ডস্কেপ অন্বেষণ করার সুযোগ দেয়।

আমিরাতের একটি জনপ্রিয় পর্যটন আকর্ষণ

এমনিতে মরুভূমির কথা মনে হলে ছোটবেলা থেকে একটা ছবিই স্মরণ হতে পারে, অ্যরাবিয়াননাইটসের সেই আলিফ লায়লার কথা। ভোগ-বিলাসের সেই জীবনের কথা। ওমান সীমান্তের কাছে বা এর আশে পাশে রয়েছে মরু এলাকা। দুবাই শহর থেকে প্রায় ৮০-১০০ কিলোমিটারের বেশি দূরে অবস্থিত ডেজার্ট সাফারি এলাকা।

মরুভূমির সূর্যাস্ত

প্রাইভেট গাড়ি, বাস অথবা ট্যাক্সি করে যেতে হবে ওখানে। সড়কের পাশে গাড়ি পার্কিং করার পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ল্যান্ড ক্রুজার গাড়ির মাধ্যমে নিয়ে যাওয়া হবে মরুভূমির ভিতরে ক্যাম্পের পাশে। সাফারিটি সাধারণত একটি ৪ঢ৪ গাড়িতে একটি রোমাঞ্চকর ডুন ব্যাশিং রাইড দিয়ে শুরু হয়, যেখানে দর্শকরা বালির টিলায় উপরে এবং নীচে গাড়ি চালানোর অ্যাড্রেনালিন রাশ অনুভব করতে পারে। গাড়ি চালানো শুরু থেকে প্রায় ৩ থেকে ৪ মিনিট চড়ার মধ্যেই অনুভূত হবে এক অসাধারণ রোমাঞ্চ। মরুভূমির উপর দিয়ে উঁচু উঁচু বালুর টিলা বেয়ে গাড়ি চড়াটা যে কত আনন্দের তা সরেজমিন না গেলে বুঝার উপায় নেই। গাড়ি একবার বালির পাহাড়ে উঠে তো আবার নিচে। মনে হবে এই বুঝি উল্টে যাবে গাড়ি।এতোদিন যা হলিউডের সিনেমায় দেখেছেন তার অভিজ্ঞতাটা এখানে আসলে বুঝা যাবে। মরুভূমি পেরিয়ে উঁচু থেকে নিচুতে ছুটতে থাকা গাড়িগুলো যেন বালির সঙ্গে যুদ্ধ করছে। এই যে গাড়ি কাত হয়ে যাওয়া কিংবা প্রায় উল্টে যাওয়া এটিই এই ডেসার্ট সাফারির সেরা বিনোদন। এখানে যারা গাড়ি চালান তাদের প্রত্যেকের রয়েছে ডেজার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স। মনে মনে ভয় ঢুকে যাবে তাদের ড্রাইভিংয়ে। কিন্তু নিরাপদ থাকবেন আপনি। তবে হ্যা, হার্টে সমস্যা থাকলে এই রাইডে যাওয়ার ব্যাপারে কিছুটা বিধি-নিষেধও আছে!

 ঐতিহ্যবাহী আরব আতিথেয়তা

টিলা বাশিং রাইডের পরে, দর্শকরা একটি ঐতিহ্যবাহী বেদুঈন-স্টাইল ক্যাম্পসাইট উপভোগ করতে পারে যেখানে তারা ঐতিহ্যবাহী আরব আতিথেয়তা অনুভব করতে পারে এবং উটের চড়া, মেহেদি পেইন্টিং এবং শিশা ধূমপানের মতো সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড উপভোগ করতে পারেন।

মরুভূমি সাফারি

মরুভূমি সাফারি একটি ভারী জিনিস, এবং এটি সুরক্ষিত ও কর্তব্যশীল হতে হবে। এখানে যাওয়ার পূর্বে নিশ্চিত হতে হবে যে স্থানীয় গাইডসহ সাফারি করছেন যা আপনাকে সুরক্ষা এবং জিজ্ঞাসা করতে সাহায্য করবে। মরুভূমি সাফারি আপনাকে অনেক অভিজ্ঞতা দেবে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য অর্থহীন স্থানগুলো রয়েছে যেমন মরু ডেজার্ট এবং স্থানীয় বস্তুতেও অভিজ্ঞতা দেওয়া হয়। এই সাফারি পর্যটকদের সাধারণত সন্ধ্যা থেকে রাত বেলা পর্যন্ত চলে। সাফারি শুরু হয় আরব আদমির সাথে একটি জীবনযাপনে যেখানে আপনি উফানপূর্ণ আবহাওয়া এলাকার অসাধারণ দৃশ্য, শুকনো রেগিস্তান, সুন্দর সূর্যাস্ত এবং দুনিয়ার সবচেয়ে বড় স্থানীয় সাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতা দেখতে পারবেন।

মরুভূমির উট

সাফারির অংশ হিসেবে দুবাই রেগিস্তান সফারি, স্কি বোর্ড সাফারি, বাগি সাফারি এবং ফালকন সাফারি, হাম্বার রাইডিং, ক্যামেল সাফারি, বিভিন্ন আকর্ষণ যেমন হাই ডিজার্ট ক্যাম্প, বেলনা চালানো, ক্যামেল রাইড, বেল্ট বাজি শো এবং ট্রাডিশনাল আরবি ডিনার জমিয়ে থাকে। আপনি যদি চান তবে আপনি একটি টেন্টে থাকতে পারেন এবং শান্তি এবং সুবিধা একটি স্বপ্নসুঞ্চনীয় অভিজ্ঞতা।

দুবাইয়ের এমন রোমাঞ্চের জীবন খুঁজতে চাইলে মরুভূমিতে যেন আসতেই হবে! সামগ্রিকভাবে, দুবাই সাফারি মরুভূমি একটি অনন্য এবং অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা যা দর্শকদের ঐতিহ্যবাহী বেদুঈদ জীবনধারা এবং আরবীয় মরুভূমির সৌন্দর্যের একটি আভাস দেয়।

   

সংযুক্ত আরব আমিরাতে আজ বৃষ্টির সম্ভাবনা



সংযুক্ত আরব আমিরাত (দুবাই) থেকে তোফায়েল পাপ্পু:
সংযুক্ত আরব আমিরাতে আজ বৃষ্টির সম্ভাবনা

সংযুক্ত আরব আমিরাতে আজ বৃষ্টির সম্ভাবনা

  • Font increase
  • Font Decrease

সংযুক্ত আরব আমিরাতে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বাতাসে ধুলিকণা সৃষ্টি করে কিছু উপকূলীয় এবং অভ্যন্তরীণ এলাকায় মঙ্গলবার রাত এবং বুধবার সকাল পর্যন্ত আর্দ্রতা থাকবে। আমিরাতের ন্যাশনাল সেন্টার অফ মেটিওরোলজি (এনসিএম) এর তথ্যমতে সারা দেশে আবহাওয়ার অবস্থা রৌদ্রোজ্জ্বল হবে বলে আশা করা হচ্ছে, তবে কিছু অংশে কুয়াশাচ্ছন্ন আকাশ এবং বৃষ্টিপাতের সাথে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে।

কিছু উপকূলীয় এবং অভ্যন্তরীণ এলাকায় মঙ্গলবার রাত এবং বুধবার সকাল পর্যন্ত আর্দ্র থাকবে। হালকা থেকে মাঝারি বাতাসের কারণে ধুলো উড়বে।

এদিতে কারও যদি ধূলিকণার অ্যালার্জি থাকে এমন কেউ বাইরের দিকে না যায় এবং বাহিরে যেসব শ্রমিক কাজ করছেন তাদেরও সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কেননা কখনও কখনও হালকা থেকে মাঝারি বাতাস, ১৫-২৫ বেগে, ৪৫ কিমি/ঘন্টা বেগে, ধুলো এবং বালি উড়তে পারে।"

দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১-৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫-২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।


উপকূলীয় অঞ্চলে তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ৩৭-৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং পার্বত্য অঞ্চলে ৩০-৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকবে। পার্বত্য অঞ্চলে আর্দ্রতা ৬০-৮০ শতাংশ মাঝারি থাকবে, যেখানে উপকূলীয় অঞ্চলে এটি ৭০-৯০ শতাংশ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এনসিএম আরও বলেছে যে মঙ্গলবার রাত এবং বুধবার সকালে আপেক্ষিক আর্দ্রতা বাড়তে পাওে এবং কিছু অভ্যন্তরীণ এবং উপকূলীয় এলাকায় কুয়াশা এবং কুয়াশা তৈরি হচ্ছে। মাঝারি বাতাস প্রত্যাশিত এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের উপকূলরেখা বরাবর সমুদ্র তুলনামূলকভাবে শান্ত থাকবে।

;

মালয়েশিয়ায় পুলিশের মোটরসাইকেল কিনে বিপাকে বাংলাদেশি



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, সাউথ-ইস্ট এশিয়া, ব্যাংকক, থাইল্যান্ড
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মালয়েশিয়ান পুলিশের ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল মাত্র ১ হাজার ৫০০ রিঙ্গিত বা ৩০ হাজার টাকায় কেনেন একজন প্রবাসী বাংলাদেশি। সেটা চালানোও শুরু করেন। কিন্তু বিপত্তি ঘটলো টিকটকে বড় কথা বলতে গিয়ে।

ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়াই মালয়েশিয়ান পুলিশের মোটরসাইকেল চালানোর বিষয়টি টিকটকে বড়াই করে জানান দেন প্রবাসী। ভিডিওটিও ভাইরাল হয়ে পড়ে। আর সেটা চোখে পড়ে মালয়েশিয়ান পুলিশের। অবশেষে খুঁজে বের করা হয় তাকে।

সেপাং জেলা পুলিশের প্রধান সহকারী কমিশনার ওয়ান কামারুল আজরান ওয়ান ইওসুফ বলেন, সেপাং পুলিশ হেডকোয়ার্টারের একজন সদস্যের মোটরসাইকেল ছিল সেটি। আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি।

তিনি বলেন, পুলিশ সদস্য তার মোটর সাইকেলটি মেকানিক দোকানে নিয়ে যান কিছু যান্ত্রিক ত্রুটি ঠিক করতে।

মোটরসাইকেলটি অনেকদিন ধরেই পরিচর্যা করা হয়নি। পরে মেকানিক দোকানের বাংলাদেশি কর্মচারী বলেন, ১ হাজার ৫০০ রিঙ্গিতের বিনিময়ে তিনি মোটরসাইকেলটি কিনতে চান। মোটর সাইকেলের মালিক এই প্রস্তাবে রাজি হন।

এরপর ক্রেতা বাংলাদেশি টিকটকে একটি ভিডিও প্রকাশ করলে সেটি ভাইরাল হয়ে যায়। যেখানে তিনি নিজেই বলেন যে, ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়াই তিনি গাড়িটা চালাচ্ছেন। এবং দ্বি-চক্র যানটির সড়ক কর পরিশোধ করা নেই।

এছাড়াও ১৫০০ রিঙ্গিত দিয়ে একজন পুলিশ কর্মকর্তার কাছ থেকে মোটরসাইকেলটি কিনেছেন বলেও জানান তিনি।

ওয়ান কামারুল আজরান বলেন, ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে পড়লে গত শনিবার ওই বাংলাদেশি ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা হয়।

রোড ট্রান্সপোর্ট অ্যাক্ট ১৯৮৭ এর ২৬ (১) ধারায় তাকে জরিমানাসহ শাস্তি দেয়া হয়েছে বিনা লাইসেন্সে মোটর সাইকেল চালনার জন্য।

;

প্রবাস স্কিম নিয়ে বৈরুতস্থ দূতাবাসের আলোচনা সভা



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
প্রবাস স্কিম নিয়ে লেবানন দূতাবাসের আলোচনা সভা

প্রবাস স্কিম নিয়ে লেবানন দূতাবাসের আলোচনা সভা

  • Font increase
  • Font Decrease

সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় প্রবাস স্কিম সম্পর্কে জানাতে আলোচনা সভার আয়োজন করেছে লেবাননের বৈরুতস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস।

বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে দূতাবাস প্রাঙ্গণে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। লেবাননে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এয়ার ভাইস মার্শাল জাভেদ তানভীর খান সভায় সভাপতিত্ব করেন।

রাষ্ট্রদূত বলেন, সর্বজনীন পেনশন স্কিম বাংলাদেশের সকল নাগরিকের টেকসই ভবিষ্যৎ আর্থিক ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় ইচ্ছা ও তার দূরদর্শী নেতৃত্বের বহিঃপ্রকাশ। এ সময় রাষ্ট্রদূত লেবাননে অবস্থানকারী বাংলাদেশি প্রবাসীদেরকে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় প্রবাস স্কিমে অংশগ্রহণ করার জন্য আহ্বান জানান।

সভায় প্রবাসী বাংলাদেশিরা স্বতঃস্ফুর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। এ সময় অনেক প্রবাসী সর্বজনীন পেনশন স্কিমের প্রবাস স্কিমে রেজিস্ট্রশন করার আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং এ স্কিম সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করেন।

;

আরব আমিরাতে মঞ্চায়িত হলো ‘জনকের অনন্তযাত্রা’



তোফায়েল আহমেদ (পাপ্পু), দুবাই করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
জনকের অনন্তযাত্রা

জনকের অনন্তযাত্রা

  • Font increase
  • Font Decrease

সংযুক্ত আরব আমিরাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যাকাণ্ডের পরবর্তী ঘটনা প্রবাহ নিয়ে রচিত নাটক ‘জনকের অনন্তযাত্রা’ মঞ্চস্থ হয়েছে । ইতিমধ্যে নাটকটি সরকারিভাবে বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় মঞ্চস্থ হয়েছে।

বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল দুবাইয়ের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ও প্রবাসীদের নাট্যদল হিজল নাট্যমঞ্চর প্রথম প্রযোজনা জনকের অনন্তযাত্রা। মাসুম রেজার রচনা ও নির্দেশনায় নাটকটি শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) মঞ্চস্থ হয় আরব বিশ্বের সংস্কৃতির রাজধানী শারজার একটি অডিটোরিয়ামে। এসময় অভিনেতাদের অনবদ্য অভিনয় ও নাটকের বিষয়বস্তু সাড়ে তিন শতাধিক প্রবাসীদের হৃদয়ে নাড়া দিয়েছে। নাটকটি মঞ্চস্থ হওয়া অবস্থায় বহু দর্শককে কাঁদতে দেখা যায়।

এতে অভিনয় করেন দেশের প্রথমসারির বেশ কয়েকজন অভিনেতা। তাদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেন প্রবাসী অভিনেতারাও। এর মধ্যে আছেন- আজিজুল হাকিম, শামছি আরা সায়েকা, রামিজ রাজু, শিবলী আল সাদিক, এসএম শাফায়েত, উচ্ছ্বাস, নাজমুল হক, মেহেদি হাসান, জাহুর হোসাইন শাহীন, জসিম উদ্দিন, পলাশ, নাজমা জর্জ প্রমুখ।

এ নাটক প্রসঙ্গে মাসুম রেজা বলেন, জনকের অনন্তযাত্রা শুধু একটি নাটক নয়, বরং বাঙালি জাতির নির্মম ইতিহাস। নাটকটির প্রতিটি চরিত্রের জন্য যখন আমি স্ক্রিপ্ট লিখি, তখন নিজেই কান্না করেছি। যে মানুষটি দেশকে স্বাধীন করল, তাকেই হত্যা করা হয়েছে। সঙ্গে পুরো পরিবারকে, যেখানে ছিল ১০ বছর বয়সী একজন শিশুও। পরদিন ভোরে পরিবারের সবাইকে সমাধিস্থ করা হয় রাজধানীর বনানী কবরস্থানে। কেবল বঙ্গবন্ধুকে কফিনে করে নিয়ে যাওয়া হয় তার চিরচেনা নিজভূমি টুঙ্গিপাড়ায়। একজন মুসলমানকে যেভাবে সমাধিস্থ করা হয়, সেভাবেই হয়েছিল পিতার অন্তিম শয়ান।

তিনি বলেন, তথ্য ও গবেষণার মাধ্যমে ১৬ আগস্টের সারা দিনের খন্ডচিত্র জোড়া দিয়ে সাজানো হয়েছে জনকের অনন্তযাত্রা নাটকের গল্প। এ নাট্যে সেদিনের ইতিহাস হয়ে উঠেছে গল্পনির্ভর, আর গল্পটা হয়েছে ইতিহাস নির্ভর।

কনসাল জেনারেল বিএম জামাল হোসেন বলেন, ৭৫-এর ঘাতকেরা জাতির পিতার দাফন নিয়ে যে নির্মমতা দেখিয়েছিল নাটকটিতে আমরা তা দেখতে পেলাম। হত্যাকাণ্ড ও দাফন নিয়ে ইতিহাস বিকৃতকারীদের জন্য নাটকটি সঠিক জবাব দিচ্ছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রবাসীরা মুগ্ধ হয়ে নাটকটি দেখেছেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, কনস্যুলেটের শ্রম সচিব মুহাম্মদ আব্দুস সালাম, পাসপোর্ট সচিব কাজী ফয়সাল, প্রথম সচিব শাহনাজ পারভীনসহ কনস্যুলেটের কর্মকর্তা, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়ার প্রতিনিধিরা।

;