ফ্ল্যাট ব্যবসায় সফল দুবাই প্রবাসী বাঙালিরা



শাহজাহান মোল্লা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আল কারামা (দুবাই) থেকে: ময়মনসিংহের মো. সাইফুল ইসলাম ২০০৫ সালে একজন শ্রমিক হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) পারি জমান। কাজ করতেন একটি লন্ড্রি দোকানে। স্বল্প আয়ে চলত বাবা-মাসহ তার ছোট্ট পরিবারের। সংসারের আর্থিক অনটনের কারণে অল্প বয়সেই বাবার সংসারে হাল ধরেন সাইফুল।

লন্ড্রির দোকানের সামান্য শ্রমিক সাইফুল এখন দুবাইয়ের আল কারামে কয়েকটি বহুতল ভবনের ফ্ল্যাটের মালিক। আর যে লন্ড্রি দোকানের শ্রমিক হিসেবে কাজ করেছিলেন তার মালিকও এখন তিনি। সাইফুল এখন একজন সফল ব্যক্তি।

ফ্ল্যাট ও লন্ড্রি ব্যবসার লাইসেন্স নিয়ে দিব্বি চলছে তার। সাইফুল ছোট ভাইকেও নিয়ে এসেছেন। নিজের সফলতার গল্প দেখাতে জন্মদাতা বাবাকে মাঝে মাঝে ‍ঘুরতে নিয়ে আসেন সাইফুল। রোববার (২২ ডিসেম্বর) আল কারামাতে তার ‍মুখেই শোনা যায় সফলতার গল্প।

দুবাইয়ের আল কারামের ফ্ল্যাট বাসা

সাইফুলের ফ্ল্যাট ব্যবসা শুরু ২০০৮ সাল থেকে। প্রথমে যে ‍রুমে ভাড়া থাকতেন সেখানে একজনকে পার্টনার রেখে ভাড়া ভাগাভাগি করে দিতেন। এরপর ওই রুমে পার্টিশন করে আরেকজনকে ভাড়া দেওয়া হয়। সেই থেকে তার শুরু। এখন দুবাইয়ের আল কারামাতে তার ২৪ টি ফ্ল্যাট। প্রতিটি ফ্ল্যাট এক বছরের জন্য কন্ট্রাক্ট নেন সাইফুল।

এরপর সেই ফ্ল্যাটের একটি রুমকে তিন থেকে চারটি রুম করেন। শুনে হয়তো বিশ্বাস হবে না এক রুমকে কী করে ৩ বা ৪ রুম করা যায়। বাস্তবে সেটিই করেছেন তিনি। রুমের ভেতর বোর্ড দিয়ে পার্টিশন করে ৩ ফুট চওড়া একটি খাট ও ১ টি ওয়্যারড্রপ দিয়ে খালাস। আর রুমে ঢুকার যে দরজা তার আয়তন মেপে দেখা গেছে মাত্র দেড় ফুট চওড়া। অর্থাৎ একজন স্বাস্থ্যবান মানুষ সোজা হয়ে ওই দরজা দিয়ে রুমে ঢুকতে পারবেন না।

উপরের সারিতে (বা থেকে) প্রবাসী ফ্ল্যাট ব্যবসায়ী মো. রমজান, ফারুক হোসেন নিচের সারিতে হাবিবুর রহমান, জামাল মাহমুদ এবং মো. সাইফুল ইসলাম

প্রশ্ন আসতে পারে তাহলে খাট কিভাবে ঢুকল? এখানে সবকিছু রেডিমেট। খাট রুমে সেট করেই পার্টিশন করা হয়। দেখা গেছে সাইফুল একটি রুম এক বছরের জন্য ১০ হাজার বা ১২ হাজার দিরহাম দিয়ে ভাড়া নিয়েছেন। সেই এক রুম চারটা বা তিনটা রুম করে মাসে ভাড়া তুলছেন ১ হাজার, ২ হাজার বা ২৫০০ দিরহাম। অর্থাৎ তিন রুম হলেও সর্বনিম্ন ৩ হাজার দিরহাম মাসে। অর্থাৎ বছরে ৩৬ হাজার দিরহাম। এটা শুধু একটি রুমের ভাড়া।

জায়গা বুঝে ভাড়ার হার নির্ধারিত হয়। দুবাই শহরের বুর্জ আল খলিফার একেবারেই কাছে আল আরাহা ভবনের ২৫, ২৪ ও ১৬ তলায় একটি করে ফ্ল্যাট কন্ট্রাকে নিয়ে সেখানে কোনো রুমে ৪টি, কোনটির ৫টি করে রুম করেছেন। সেখানে প্রতি রুমের ভাড়া ২৫০০-৩০০০ দিরহাম।

সাইফুল ইসলামের কথাতেই তার মাসিক আয় এক থেকে দেড় লাখ দিরহাম। সফল বলেই তিনি এখন একটির পর একটি ফ্ল্যাট বাড়িয়ে চলছেন। দুবাই শহরে বিভিন্ন দেশ থেকে আসা শ্রমিকরা মূলত রুমগুলো ভাড়া নেন। তার ফ্ল্যাটে আফ্রিকান, মরক্কো, আফগানিস্তান এবং রাশিয়ার বাসিন্দারাও ভাড়া থাকেন। বিশেষ করে, দুবাইয়ে যারা চাকরি বা কোন সুপার শপে কাজ করেন তারাই থাকেন এসব রুমে।

কর্মচারী থেকে দোকান মালিক সাইফুল

আল কারামাতে শুধু সাইফুল না। এরকম প্রায় ৩ হাজার প্রবাসী বাঙালি রয়েছেন যাদের প্রত্যেকে ফ্ল্যাট ব্যবসা করেন। রোববার রাতে অন্তত ৭ থকে ৮ জনকে পাওয়া যায় যারা সবাই চাকরি ছেড়ে এখন সফল ব্যবসায়ী। এই দলে আছেন চট্টগ্রামের জামাল মাহমুদ। আছেন হাবিবুর রহমান, ফারুক হোসেন, মো. রমজান ও শাহাদত হোসেন। এরা সকলেই বয়সে তরুণ।

লেবার হিসেবে আসলেও এখন তারা সফল ব্যবসায়ী। এদের কাজ ফ্ল্যাট ভাড়া নেওয়া আর সেই ফ্ল্যাটকে কেটে কয়েক ভাগ করে ভাড়া দেওয়া। রুম সাজাতে কিছু খরচ হয়। যারা তরুণ এবং শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে আসছিলেন তারাই এখন দেশ থেকে শ্রমিক আনার জন্য উদগ্রিব। তাদের এই ব্যবসা দেখতেই প্রচুর লোক দরকার।

ফ্ল্যাটের ভাড়া তোলা, পরিষ্কার, পরিচ্ছন্নতা, ইলেকট্রিক কাজ, রুম ডেকোরেটরের কাজসহ বিভিন্ন কাজে তাদের এখন লোক দরকার। এদিকে ২০১২ সালের পর সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা বন্ধ হওয়ার পর তাদের ব্যবসায় একটু স্থবিরতা আসছে।

এ বিষয়ে মো. রমজান বলেন, ব্যবসা হবে কিভাবে? আমার এখানে লোক দরকার। আমি তো আনতে পারছি না। এই দেশে ঢুকতে সমস্যা না থাকলেও বাংলাদেশ বিমানবন্দর থেকে ঢুকতে দিচ্ছে না। আমার ব্যবসা চালাতে নেপাল, ভুটান বা অন্য দেশের শ্রমিক নিতে হচ্ছে। তাদের বেতন বেশি দিতে হয়। আবার ওরা অনেক সময় থাকতে চান না। তাছাড়া বাঙালি শ্রমিক যতটুক কাজ করে অন্যরা ততটুক করে না।

তার দাবি ভিজিট ভিসা যদি সমস্যাই থাকত তাহলে এদেশের সরকার ভিসা দিত না। আর এই দেশে ঢুকতেও দিত না। আসলে ভিজিট ভিসা বন্ধ না। আমাদের দেশের বিমানবন্দরে কিছু অসাধু লোক টাকা খাওয়ার জন্য এই হয়রানি করে। জনপ্রতি ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ খরচ করলে ঠিকই ঢুকতে দেয়। তাই সরকারের কাছে অনুরোধ আমাদের ভিসা জটটা যেন খুলে দেন। আমরা যাতে এই দেশে বিনিয়োগ করতে পারি।

আরও পড়ুন: সুখ-দুঃখের প্রবাস জীবন

মনোমুগ্ধকর শারজাহ সমুদ্র সৈকত

'দেশে গেলি ফিঙ্গার মাইরে দিবে'

   

আমিরাতে বর্ণিল আয়োজনে বাংলা বর্ষবরণ উৎসব



তোফায়েল আহমেদ পাপ্পু, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পহেলা বৈশাখ বাঙালির সর্বজনীন উৎসব। শুধু দেশে নয়, সারা বিশ্বে বসবাসরত বাঙালিরা দিনটি সাড়ম্বরে পালন করে থাকে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে এবার ঈদের ছুটি অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ ছিল। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে পহেলা বৈশাখ। যা প্রবাসী বাংলাদেশিদের আনন্দ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। লোকায়ত সংস্কৃতির ডালা সাজিয়ে বর্ণিল উৎসব আয়োজনের মধ্যদিয়ে দেশটিতে বাংলা বর্ষবরণ উৎসব উদযাপিত হয়েছে।

ভিনদেশের মাটিতেও বাঙালি সংস্কৃতির চিরায়ত পহেলা বৈশাখ উদযাপিত হলো নানা অনুসঙ্গে। দেশটিতে বসবাসরত বাঙালিদের মধ্যেও ছিল আনন্দের কলরব। আর এই আনন্দ উচ্ছ্বাসকে সবার সঙ্গে ভাগ করে নিতে প্রবাসী সনাতনি ঐক্য পরিষদের চমৎকার আয়োজনের মধ্য দিয়ে এক নতুন মাত্রা পেয়েছে।


রোববার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে আমিরাতের সারজায় আল জায়েদ ফার্ম হাউজে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের শুরুতে পহেলা বৈশাখ ১৪৩১ বাংলা নববর্ষ বরণ করে নিতে সকাল সাড়ে ১০টায় মঙ্গল শোভযাত্রা র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়। পরে নাচ, গান, মধ্যাহৃভোজ ও নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে বর্ষবরণ উদযাপন করেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

একাকী প্রবাসজীবনে পরিবার পরিজন, বন্ধুবান্ধব থেকে দূরে থাকা, দেশীয় স্বাদ ও আমেজের জন্য সারাবছর লালায়িত থাকা এই প্রবাসীরা হাজার মাইলের দূরত্ব কষ্ট ভুলে গিয়েছিল পহেলা বৈশাখ উদযাপন অনুষ্ঠানে। আমিরাতের আবুধাবী, দুবাই, আজমান ও বিভিন্ন শহর থেকে প্রবাসীরা পরিবার নিয়ে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।


অনুষ্ঠান শেষে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কনস্যুলেট দুবাই লেডিস গ্রুপের সভাপতি আবিদা হোসেন, বাংলাদেশ কনস্যুলেট দুবাই ও উত্তর আমিরাতের কমার্শিয়াল কাউন্সেলর আশীষ কুমার সরকার, প্রবাসী সনাতনী পরিষদের সিনিয়র উপদেষ্টা বিশ্বনাথ দাশ, সভাপতি অজিত কুমার রায়, সহ সভাপতি অজিত চৌধুরী মিঠু, সাধারণ সম্পাদক উত্তম কুমার সরকার, অর্থ সম্পাদক কার্তিক সাহা, দপ্তর সম্পাদক দেবব্রত তালুকদার, ফুজাইরাহ বাংলাদেশ সমিতির সভাপতি বাবু তপন সরকার, জাতীয় হিন্দু মহাজোট ইউএই’র সিনিয়র উপদেষ্টা মিনাল কান্তি ধর প্রমুখ।

প্রবাসী সনাতনী পরিষদের সভাপতি অজিত কুমার রায় জানান, প্রবাসের মাটিতে বেড়ে ওঠা তরুণ প্রজন্মকে বাংলা সংস্কৃতির ইতিহাস ঐতিহ্যের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আগামীতে আরও বড় পরিসরে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নেয়া হবে।

 

 

;

ব্রুনাইতে হাইকমিশনার সুমনা’র বিদায়ী ঈদ পুনর্মিলনী



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাউথ-ইস্ট এশিয়া (ব্যাংকক, থাইল্যান্ড)
ব্রুনাইতে হাইকমিশনার সুমনা’র বিদায়ী ঈদ পুনর্মিলনী

ব্রুনাইতে হাইকমিশনার সুমনা’র বিদায়ী ঈদ পুনর্মিলনী

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্রুনাই দারুসসালামে বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক কর্মকর্তাদের জন্য ঈদ পরবর্তী পুনর্মিলনী বা ওপেন হাউজ আয়োজন করেছে দেশটির বাংলাদেশ হাইকমিশন। গত বৃহস্পতিবারের (এপ্রিল ১১) এই আয়োজনে আরো উপস্থিত ছিলেন, প্রবাসী বাংলাদেশি, ভারতীয় এবং স্থানীয় নাগরিকরা।

ব্রুনাই দারুসসালামে বাংলাদেশের হাইকমিশনার নাহিদা রহমান সুমনা এবং হাইকমিশনের কর্মকর্তারা অতিথিদের স্বাগত জানান।

অনুষ্ঠানে হাইকমিশনার সুমনা তার বক্তব্যে জানান, আয়োজিত ওপেন হাউজটি ব্রুনাইয়ে তার শেষ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান। কারণ তার মেয়াদ শীঘ্রই শেষ হতে চলেছে।

হাইকমিশনার বলেন, ব্রুনাইতে তার বন্ধুদের আন্তরিকতা তাকে মুগ্ধ করেছে। সুলতানাতে তার মেয়াদকালে সকল সহযোগিতা পেয়েছেন এবং ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ করেছেন।

তিনি বলেন, ব্রুনাই এবং বাংলাদেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক মিলের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে এই ঈদ-উল-ফিতরের পরের পুনর্মিলনী বা ওপেন হাউজ। যেখানে সকলের সঙ্গে দেখা হয় এবং ভাবের আদান প্রদান করা যায়।

কাম্পং তাানাহ জাম্বুতে অবস্থিত চ্যান্সারিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ঐতিহ্যবাহী খাবার ও সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়।

;

মালয়েশিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ বাংলাদেশি নিহত



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মালয়েশিয়ায় পবিত্র ঈদ উল ফিতরের দিনে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ (৩১), আলি আজগর ও মো. সোহেল মিয়া।

বুধবার (১০ এপ্রিল) ঈদের দিন স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৪৯ মিনিটে দেশটির পেরাক রাজ্যের কাম্পার এলাকায় উত্তর-দক্ষিণ এক্সপ্রেসওয়েতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

গাড়িতে থাকা ৮ বাংলাদেশির সবাই ক্যামেরন হাইল্যান্ডে একটি ফার্মে কাজ করতেন। এ খবর প্রকাশ করেছে দেশটির জনপ্রিয় অনলাইন সংবাদপত্র বারনামা।

গাড়িচালক কবির হোসেন ( ৩২), সাইফুল ইসলাম ( ২৫), রাজু মিয়া (২৭) সোহেল রানা (৩০ ) অক্ষত অবস্থায় রয়েছেন। তবে মোহাম্মদ সোহেল নামে একজনকে গুরুতর অবস্থায় পার্শ্ববর্তি তাপাহ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

কাম্পার পুলিশের পক্ষ থেকে আরো জানানো হয়, দুপুর ১ টা ৪৯ মিনিটে এ দুর্ঘটনা ঘটে। কুয়ালালামপুর আশার পথে চলন্ত গাড়ির টায়ার ফেটে গেলে চালক নিয়ন্ত্রণ হারান এবং গার্ডরেলে ধাক্কা লেগে গাড়িটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। পরে পেছন থেকে একটি লরি সজোরে ধাক্কা দেয়। ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়।

;

আমিরাতে ঈদ আনন্দে শামিল প্রবাসীরা



তোফায়েল আহমেদ পাপ্পু, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে। নিজেদের মতো করে ঈদ উদযাপন করছেন প্রবাসীরা। উৎসবের আনন্দ সবার সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার চেষ্টা করছেন।

বুধবার (১০ এপ্রিল) আবুধাবিতে সকাল ৬টা ২২ মিনিটে, দুবাইয়ে সকাল ৬টা ২০ মিনিটে, শারজাহ ও আজমানে ৬টা ১৭ মিনিটে, রাস আল খাইমায় সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে, ফুজাইরাহ ও খোরফাক্কানে ৬টা ১৪ মিনিটে এবং উম্ম আল কুওয়াইনে সকাল ৬টা ১৩ মিনিটে ঈদগাহ ময়দানে ও মসজিদে ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

এছাড়া অন্যান্য অঞ্চলের মধ্যে আল আইনে ৬টা ১৫ মিনিটে ও জায়েদ সিটিতে ৬টা ২৬ মিনিটে ঈদ জামায়াত অনুষ্ঠিত হবে।

তবে ঈদের সবচেয়ে বড় জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে রাজধানী আবুধাবির শেখ জায়েদ মসজিদে। সূর্য ওঠার আগেই বিশাল ঈদগাহ ময়দান কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে যায়। সেখানে বেশিরভাগ মুসল্লি বাংলাদেশি, পাকিস্তানি ও ভারতীয়। জামাত শেষে দেশ, জাতি ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।

ঈদের নামাজ শেষ করে প্রবাসীরা মোবাইল ফোনে দেশের প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। বাসায় ফিরে আরব দেশের প্রধান খাদ্য খেজুর, পায়েস, বিরিয়ানি-পোলাও ও বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি জাতীয় খাবার খান সবাই। ঈদের আনন্দ উদযাপনে বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ঘুরে বেড়াবেন অনেকেই।

সিলেটের রায়হান আহমেদ রিয়াদ বলেন, দেশের মতো আনন্দটা তেমন নেই বললেই চলে। প্রবাসে ঈদ মানে সকালে ঘুম থেকে উঠে ঈদগাহে নামাজ পড়ে রুমে এসে পরিচিতজনের সাথে কোলাকুলি করে ঘুমানো, পরিবার-পরিজনের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলে সময় পার করা।

প্রবাসী কামরান চৌধুরী জানান, প্রবাসে ঈদের দিনে সবচেয়ে বেশি মনে পড়ে দেশে প্রিয়জনদের সঙ্গে কাটানোর ঈদের দিনগুলোর কথা। তারপরও আমরা আমাদের মতো করে ঈদের আনন্দকে নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেওয়ার চেষ্টা করি।প্রবাসীদের ঈদের দিনগুলোকে অন্যান্য দিনগুলোর সঙ্গে পার্থক্য করা কঠিন। কারণ অনেক প্রবাসীকেই ঈদের দিনও তাদের নির্ধারিত ডিউটি করতে হয়।

ঈদ মানেই আনন্দ। তবে পরিবার-পরিজন, বন্ধু-বান্ধব, শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিয়ে ঈদ উদযাপন করলে ঈদের উল্লাস আরও গাঢ় হয়। প্রবাসীদের জীবনে এই উল্লাসের সুযোগ নেই। প্রবাসীদের ঈদ উদযাপন অন্যদের চেয়ে আলাদা। প্রবাসে বাংলাদেশের মতো ঈদের আমেজ পুরোপুরি থাকে না। তবুও সবাই সাধ্যমতো চেষ্টা করেন একে অন্যের সঙ্গে কুশল বিনিময়, কোলাকুলি, খাওয়া-দাওয়া এবং ঘুরে বেড়ানোর মধ্য দিয়ে ঈদের আনন্দ উদযাপন করতে।

;