বার্ষিক ক্রিকেট টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে টাইগার মাদ্রিদ
স্পেনে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক ক্রিকেট টুর্নামেন্ট বেশ জমে উঠেছে। ক্রীড়ামোদী দর্শকদের কাছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্টটি বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।
প্রতিটি খেলা উপভোগ করতে মাঠে বিপুল সংখ্যক দর্শক সমাগম ঘটে। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে জয় লাভ করে তৃতীয় বারের মতো সেমিফাইনালে উঠেছে স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদে বসবাসরত বাংলাদেশি স্প্যানিওলদের ক্রিকেট ক্লাব ‘টাইগার মাদ্রিদ’।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) মাদ্রিদের এল কাসেল পার্ক ক্রিকেট মাঠে বি গ্রুপের শেষ ম্যাচে হবিগঞ্জ ইয়ং স্টার ক্রিকেট ক্লাবকে ১৫ রানে হারায় টাইগার মাদ্রিদ। এ জয়ের সুবাদে সরাসরি সেমিফাইনালে উঠে গেল ‘টাইগার মাদ্রিদ’।
টস হেরে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ১৬ ওভারে সব ক’টি উইকেটের বিনিময়ে ১১৫ রান করে টাইগার মাদ্রিদ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে টাইগার মাদ্রিদের অলরাউন্ডার শাহিন, বিলাল, রাব্বী এবং আসলামের বোলিং তোপে একে একে সব ক’টি উইকেট হারিয়ে ৯৯ রানে থামে হবিগঞ্জ ইয়ং স্টার। এ সময় মাঠে এসে খেলা উপভোগ করেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ইন স্পেনের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান সুন্দর, অল ইউরোপ বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং টাইগার মাদ্রিদ ক্রিকেট দলের ম্যানেজার কবির আল মাহমুদ, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ইন স্পেনের সহ-ক্রীড়া সম্পাদক জাহিদ হাসানসহ অনেকে। খেলা পরিচালনায় ছিলেন ক্রীড়া সংগঠক জামান সরকার, জনি মিয়া এবং জাহিদ হাসান।
পরে বিজয়ী টাইগার মাদ্রিদের খেলোয়াড়দের সম্মানে স্থানীয় মেহমান খানা রেস্টুরেন্টে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ইন স্পেনের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান সুন্দর, বিলাল আহমদ, শাওন আহমদ, হুমায়ুন কবির রিগ্যান, তুহিন আরেহমান, বিলাল আহমেদ, খালেদ মালিক রাব্বী, শাহিনুর রহমান, জুনেল আহমদ, মাসুম আহমেদ প্রমুখ।
ইংরেজি নববর্ষ পরবর্তী এ ক্রিকেট ম্যাচ উপভোগ করতে আসেন বিপুল সংখ্যক প্রবাসী ক্রিকেটপ্রেমী।
বিজয়ী দলের ম্যান অব দ্যা ম্যাচ শাহিনুর রহমানের পুরস্কার তুলে দেন অতিথিরা। টুর্নামেন্টে উপস্থিত স্পেন প্রবাসীরা মনে করেন, এ রকম আয়োজন স্পেনে বাংলাদেশি কমিউনিটিকে শক্তিশালী ও ঐকবদ্ধ করতে ভূমিকা রাখবে। প্রবাসে নতুন প্রজন্মকে খেলাধূলায় আগ্রহী করতে এ রকম টুর্নামেন্ট আয়োজনে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান বক্তারা।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান সুন্দর বলেন, স্পেনের ক্রিকেটের ব্যাপকতা বাড়াতেই এমন আয়োজন। তাছাড়া খেলাধুলা মানুষকে শৃঙ্খলা শেখায়, ভ্রাতৃত্ববোধ গড়ে তোলে। পরবাসে খেলাধুলার মাধ্যমে বিনোদনের পাশাপাশি দেশকেও সহজে তুলে ধরা যায় বহির্বিশ্বে।