স্পেনের সিনেটে অবৈধ অভিবাসীদের বৈধতা নিয়ে আলোচনা



স্পেন করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
স্পেনে অবৈধ অভিবাসী আছেন দুই লাখ, ছবি: সংগৃহীত

স্পেনে অবৈধ অভিবাসী আছেন দুই লাখ, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

করোনার কারণে পুরো বিশ্ব বিশাল অর্থনৈতিক সংকটে আছে। এর ব্যতিক্রম নয় ইউরোপীয় উন্নত দেশগুলোও। সেই সংকট মোকাবিলায় এরই মধ্যে বিভিন্ন দেশ অনেক রকম প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোতে সাধারণ নাগরিকদের পাশাপাশি বিশেষ করে অবৈধ অভিবাসীরা আছেন চরম বিপাকে।

তাদের কথা মাথায় রেখেই ইতালি এবং পর্তুগাল তাদের অভিবাসী নাগরিক আইনে কিছুটা পরিবর্তন এনে বিশেষ সুবিধার ঘোষণা দিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার (১৯ মে) স্পেনের সংসদ অধিবেশনে অবৈধ অভিবাসীদের বৈধকরণে একটি প্রস্তাব উঠেছে।

সিনেটর পিকরনেল গ্রেন্সনা দেশটির অভিবাসী বিষয়ক মন্ত্রীর কাছে প্রস্তাবটি তোলেন। তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতি শুরুর পর সরকার জোর দাবি দিয়ে বলে যাচ্ছে, এ ভাইরাস আমরা সবাই মিলে প্রতিহত করবে এবং এর থেকে কাউকে পেছনে পড়ে থাকতে দেব না। সরকার যদি আসলেই তা মনে করে, তাহলে স্পেনে যত অবৈধ অভিবাসী আছেন, তাদের সকলকেই এখন বৈধতা দেওয়া উচিত। বৈধ কাগজ না থাকলে তারা তাদের অধিকার ঠিকমতো আদায় করতে পারেন না। কাগজ না থাকলে কাজ থাকে না। আবার কাজ পেলেও ভালো বেতন থাকে না, কোনো ভালো বাসা থাকে না, না থাকে একটা মর্যাদাপূর্ণ জীবনব্যবস্থা। যা সমাজ থেকে তাদের আলাদা করে দেয়, তাই আমাদের তাদের প্রয়োজনে যা কিছু করা দরকার, তা করা উচিত।

তিনি পর্তুগাল এবং ইতালির উদাহরণ টেনে দেখান যে বর্তমান এ সংকটময় পরিস্থিতি মোকাবিলায় এ দুই দেশের সরকার তাদের দেশের অভিবাসীদের জন্য কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

জবাবে দেশটির সামাজিক নিরাপত্তা ও অভিবাসী বিষয়ক মন্ত্রী খোসে লুইস এসক্রিভা বেলমন্তে জানান, পর্তুগাল বা ইতালি যা করেছে, তা কিছু শর্তাবলীর ওপরে করেছে। ইউরোপীয় রিফুজি অধ্যাদেশ ২০০৮-এ বলা হয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে সাধারণভাবে অভিবাসীদের বৈধ করা যাবে না এবং তা এখনো কেউ ভঙ্গ করেনি। তবে একটু ব্যতিক্রমীভাবে পর্তুগাল যা বের করেছে, এটা স্পেনের সাথে মেলানোর কিছুই নেই, কেননা পর্তুগালে যাদের বৈধ কাগজ নেই, তারা চিকিৎসা সেবা পায় না, কিন্তু স্পেনে সেটা পায়। আর যা ইতালি করছে, একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সামাজিক অর্থনৈতিক অবস্থা ধরে রাখতে তার দেশের কৃষি কাজ করার জন্য লোক নিচ্ছে, এটাও স্পেনের সাথে যায় না, কেননা স্পেন অস্থায়ী ভিত্তিতে অবৈধ বসবাসকারী ১৮ থেকে ২১ বছরের মানুষদের জন্যও মাঠে কাজ করার সুযোগ দিয়েছে। উল্লেখ্য, এ দু’টি কারণেই স্পেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিশেষ আইনের কোনো ক্যাটাগরিতে পড়ে না, তাই স্পেনের পক্ষে বিশেষ কোনো প্রস্তাবনায় অবৈধ জনবলকে বৈধ করার সুযোগ নেই।

তবে মন্ত্রী সিনেটরকে পুরোপুরি আশাহত না করে জানান, তার সরকার এরই মধ্যে এ প্রস্তাবনার আলোকে কাজ করে যাচ্ছে এবং তারা নিজেরা আরো খুঁজে দেখছেন, যদি আরো কিছু করা যায়। তারা কিছু সুবিধা পেয়েছেন, আর দেখছেন যদি আরো কিছু পাওয়া যায়। বিশেষত ব্যক্তিগতভাবে রাষ্ট্রের অভিবাসী সচিব এ বিষয়ে কাজ করছেন এবং দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রীও বিষয়টি জানেন।

দেশটির বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন জানায়, স্পেনে সোশ্যালিস্ট পার্টির সরকার অভিবাসীবান্ধব সরকার হিসেবেই পরিচিত। বর্তমান সোশ্যালিস্ট পার্টির সরকারের আমলে ২০০৫ সালে অভিবাসীদের সাধারণ ক্ষমা ও সহজ শর্তে বৈধতা দেওয়া হয়।

২০১৬ সালের ২৪ জুন স্থানীয় গণমাধ্যম ‘ইউরোপা প্রেস’এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিবাসীদের নিয়ে কাজ করার কথা জানিয়েছিলেন সোশ্যালিস্ট পার্টির প্রধান পেদ্রো সানচেজ। অবৈধদের বৈধভাবে দেশটিতে বসবাস করার ব্যবস্থা নেওয়ার আগ্রহের কথা বলেছিলেন তিনি। বর্তমানে ক্ষমতায় আছে সোশ্যালিস্ট পার্টি। তাই তারা অভিবাসন নীতি নমনীয় করবে- এমনটি প্রত্যাশা করছেন স্পেনের অভিবাসীরা।

দেশটিতে অভিবাসীদের নিয়ে কাজ করা নিবন্ধনকৃত মানবাধিকার সংগঠন ‘ভালিয়েন্তে বাংলার’সভাপতি ফজলে এলাহি বলেন, সিটি কর্পোরেশন থেকে আমরা যে তথ্য পেয়েছি, তাতে পুরো স্পেনে প্রায় ১০ হাজার অবৈধ বাংলাদেশি আছেন, তারা স্পেনে বসবাস করার অনুমোদন পাওয়ার অপেক্ষায় আছেন। স্পেনের বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের সঙ্গে এ সরকারের কাছে আমরাও দাবি জানিয়েছি, যাতে অভিবাসীদের সহজ শর্তে বৈধতা দেওয়া হয়।

স্পেনে অবৈধ অভিবাসী আছেন দুই লাখ, ছবি: সংগৃহীত

স্পেনের প্রধানমন্ত্রী সানচেজ তার দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুসারে কাজ করলে স্পেনে অবৈধ অভিবাসীদের বৈধ হওয়ার সুযোগ রয়েছে বলে জানান ফজলে এলাহি। বাংলাদেশি সমাজকর্মী ও অনুবাদক নাসিরুল ওয়াহাব অপু বলেন, সরকার এ বিষয়ে চিন্তা ভাবনা করছে, হয়তো অচিরেই আমরা ভালো সংবাদ পেতে পারি।

অতীতে দেখা গেছে, সোশ্যালিস্ট পার্টি যখন স্পেনের রাষ্ট্র পরিচালনায় থাকে, তখন অভিবাসীদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ে। ২০০৪ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত দুই মেয়াদে সোশ্যালিস্ট পার্টির প্রধান খসে লুইস রদ্রিগেজ জাপাতেরো প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে অবৈধ অভিবাসীরা সহজ শর্তে স্পেনে বসবাসের বৈধতা পেয়েছেন। বিশেষ করে ২০০৫ সালে সাধারণ ক্ষমা ও সহজ শর্তে বৈধতা পেয়েছেন কয়েক হাজার অভিবাসী।

এরই মধ্যে মানবাধিকার সংগঠনগুলো স্পেনে বসবাসরত অবৈধ অভিবাসীদের বৈধ করার দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে ।

মানবাধিকার সংগঠনগুলোর দাবি, বছরের পর বছর অবৈধ অভিবাসীরা ব্যবসাসহ বিভিন্ন রকমের পেশায় নিয়োজিত থেকে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। অথচ তাদের বৈধতা দিলে বৈধ কাজ করে নিয়মিত সরকারকে ট্যাক্স প্রদান করতে পারবেন তারা। এতে দেশটির অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে।
স্পেনের অর্থনীতির মূল খাতগুলোর মধ্যে কৃষি ও পর্যটন শিল্প প্রধান। করোনার প্রাদুর্ভাব শুরুর সময় থেকেই দেশটির পর্যটন শিল্পে ধস নামে। কৃষিখাতেও ধ্বংস অবধারিত বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কাস্তিইয়া লা মানছা, ভ্যালেন্সিয়াসহ কয়েকটি এলাকা কৃষিকাজের জন্য প্রচুর কাজের লোকের সংকট দেখা দিয়েছে।
স্পেনের অভিবাসন মন্ত্রণালয়ের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রের মাধ্যমে জানা গেছে, দেশটিতে প্রায় ১০ হাজার বাংলাদেশিসহ অবৈধ হয়ে পড়া মোট অভিবাসীর সংখ্যা দুই লাখ।

   

আমিরাতে বর্ণিল আয়োজনে বাংলা বর্ষবরণ উৎসব



তোফায়েল আহমেদ পাপ্পু, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পহেলা বৈশাখ বাঙালির সর্বজনীন উৎসব। শুধু দেশে নয়, সারা বিশ্বে বসবাসরত বাঙালিরা দিনটি সাড়ম্বরে পালন করে থাকে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে এবার ঈদের ছুটি অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ ছিল। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে পহেলা বৈশাখ। যা প্রবাসী বাংলাদেশিদের আনন্দ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। লোকায়ত সংস্কৃতির ডালা সাজিয়ে বর্ণিল উৎসব আয়োজনের মধ্যদিয়ে দেশটিতে বাংলা বর্ষবরণ উৎসব উদযাপিত হয়েছে।

ভিনদেশের মাটিতেও বাঙালি সংস্কৃতির চিরায়ত পহেলা বৈশাখ উদযাপিত হলো নানা অনুসঙ্গে। দেশটিতে বসবাসরত বাঙালিদের মধ্যেও ছিল আনন্দের কলরব। আর এই আনন্দ উচ্ছ্বাসকে সবার সঙ্গে ভাগ করে নিতে প্রবাসী সনাতনি ঐক্য পরিষদের চমৎকার আয়োজনের মধ্য দিয়ে এক নতুন মাত্রা পেয়েছে।


রোববার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে আমিরাতের সারজায় আল জায়েদ ফার্ম হাউজে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের শুরুতে পহেলা বৈশাখ ১৪৩১ বাংলা নববর্ষ বরণ করে নিতে সকাল সাড়ে ১০টায় মঙ্গল শোভযাত্রা র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়। পরে নাচ, গান, মধ্যাহৃভোজ ও নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে বর্ষবরণ উদযাপন করেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

একাকী প্রবাসজীবনে পরিবার পরিজন, বন্ধুবান্ধব থেকে দূরে থাকা, দেশীয় স্বাদ ও আমেজের জন্য সারাবছর লালায়িত থাকা এই প্রবাসীরা হাজার মাইলের দূরত্ব কষ্ট ভুলে গিয়েছিল পহেলা বৈশাখ উদযাপন অনুষ্ঠানে। আমিরাতের আবুধাবী, দুবাই, আজমান ও বিভিন্ন শহর থেকে প্রবাসীরা পরিবার নিয়ে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।


অনুষ্ঠান শেষে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কনস্যুলেট দুবাই লেডিস গ্রুপের সভাপতি আবিদা হোসেন, বাংলাদেশ কনস্যুলেট দুবাই ও উত্তর আমিরাতের কমার্শিয়াল কাউন্সেলর আশীষ কুমার সরকার, প্রবাসী সনাতনী পরিষদের সিনিয়র উপদেষ্টা বিশ্বনাথ দাশ, সভাপতি অজিত কুমার রায়, সহ সভাপতি অজিত চৌধুরী মিঠু, সাধারণ সম্পাদক উত্তম কুমার সরকার, অর্থ সম্পাদক কার্তিক সাহা, দপ্তর সম্পাদক দেবব্রত তালুকদার, ফুজাইরাহ বাংলাদেশ সমিতির সভাপতি বাবু তপন সরকার, জাতীয় হিন্দু মহাজোট ইউএই’র সিনিয়র উপদেষ্টা মিনাল কান্তি ধর প্রমুখ।

প্রবাসী সনাতনী পরিষদের সভাপতি অজিত কুমার রায় জানান, প্রবাসের মাটিতে বেড়ে ওঠা তরুণ প্রজন্মকে বাংলা সংস্কৃতির ইতিহাস ঐতিহ্যের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আগামীতে আরও বড় পরিসরে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নেয়া হবে।

 

 

;

ব্রুনাইতে হাইকমিশনার সুমনা’র বিদায়ী ঈদ পুনর্মিলনী



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাউথ-ইস্ট এশিয়া (ব্যাংকক, থাইল্যান্ড)
ব্রুনাইতে হাইকমিশনার সুমনা’র বিদায়ী ঈদ পুনর্মিলনী

ব্রুনাইতে হাইকমিশনার সুমনা’র বিদায়ী ঈদ পুনর্মিলনী

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্রুনাই দারুসসালামে বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক কর্মকর্তাদের জন্য ঈদ পরবর্তী পুনর্মিলনী বা ওপেন হাউজ আয়োজন করেছে দেশটির বাংলাদেশ হাইকমিশন। গত বৃহস্পতিবারের (এপ্রিল ১১) এই আয়োজনে আরো উপস্থিত ছিলেন, প্রবাসী বাংলাদেশি, ভারতীয় এবং স্থানীয় নাগরিকরা।

ব্রুনাই দারুসসালামে বাংলাদেশের হাইকমিশনার নাহিদা রহমান সুমনা এবং হাইকমিশনের কর্মকর্তারা অতিথিদের স্বাগত জানান।

অনুষ্ঠানে হাইকমিশনার সুমনা তার বক্তব্যে জানান, আয়োজিত ওপেন হাউজটি ব্রুনাইয়ে তার শেষ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান। কারণ তার মেয়াদ শীঘ্রই শেষ হতে চলেছে।

হাইকমিশনার বলেন, ব্রুনাইতে তার বন্ধুদের আন্তরিকতা তাকে মুগ্ধ করেছে। সুলতানাতে তার মেয়াদকালে সকল সহযোগিতা পেয়েছেন এবং ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ করেছেন।

তিনি বলেন, ব্রুনাই এবং বাংলাদেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক মিলের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে এই ঈদ-উল-ফিতরের পরের পুনর্মিলনী বা ওপেন হাউজ। যেখানে সকলের সঙ্গে দেখা হয় এবং ভাবের আদান প্রদান করা যায়।

কাম্পং তাানাহ জাম্বুতে অবস্থিত চ্যান্সারিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ঐতিহ্যবাহী খাবার ও সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়।

;

মালয়েশিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ বাংলাদেশি নিহত



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মালয়েশিয়ায় পবিত্র ঈদ উল ফিতরের দিনে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ (৩১), আলি আজগর ও মো. সোহেল মিয়া।

বুধবার (১০ এপ্রিল) ঈদের দিন স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৪৯ মিনিটে দেশটির পেরাক রাজ্যের কাম্পার এলাকায় উত্তর-দক্ষিণ এক্সপ্রেসওয়েতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

গাড়িতে থাকা ৮ বাংলাদেশির সবাই ক্যামেরন হাইল্যান্ডে একটি ফার্মে কাজ করতেন। এ খবর প্রকাশ করেছে দেশটির জনপ্রিয় অনলাইন সংবাদপত্র বারনামা।

গাড়িচালক কবির হোসেন ( ৩২), সাইফুল ইসলাম ( ২৫), রাজু মিয়া (২৭) সোহেল রানা (৩০ ) অক্ষত অবস্থায় রয়েছেন। তবে মোহাম্মদ সোহেল নামে একজনকে গুরুতর অবস্থায় পার্শ্ববর্তি তাপাহ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

কাম্পার পুলিশের পক্ষ থেকে আরো জানানো হয়, দুপুর ১ টা ৪৯ মিনিটে এ দুর্ঘটনা ঘটে। কুয়ালালামপুর আশার পথে চলন্ত গাড়ির টায়ার ফেটে গেলে চালক নিয়ন্ত্রণ হারান এবং গার্ডরেলে ধাক্কা লেগে গাড়িটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। পরে পেছন থেকে একটি লরি সজোরে ধাক্কা দেয়। ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়।

;

আমিরাতে ঈদ আনন্দে শামিল প্রবাসীরা



তোফায়েল আহমেদ পাপ্পু, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে। নিজেদের মতো করে ঈদ উদযাপন করছেন প্রবাসীরা। উৎসবের আনন্দ সবার সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার চেষ্টা করছেন।

বুধবার (১০ এপ্রিল) আবুধাবিতে সকাল ৬টা ২২ মিনিটে, দুবাইয়ে সকাল ৬টা ২০ মিনিটে, শারজাহ ও আজমানে ৬টা ১৭ মিনিটে, রাস আল খাইমায় সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে, ফুজাইরাহ ও খোরফাক্কানে ৬টা ১৪ মিনিটে এবং উম্ম আল কুওয়াইনে সকাল ৬টা ১৩ মিনিটে ঈদগাহ ময়দানে ও মসজিদে ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

এছাড়া অন্যান্য অঞ্চলের মধ্যে আল আইনে ৬টা ১৫ মিনিটে ও জায়েদ সিটিতে ৬টা ২৬ মিনিটে ঈদ জামায়াত অনুষ্ঠিত হবে।

তবে ঈদের সবচেয়ে বড় জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে রাজধানী আবুধাবির শেখ জায়েদ মসজিদে। সূর্য ওঠার আগেই বিশাল ঈদগাহ ময়দান কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে যায়। সেখানে বেশিরভাগ মুসল্লি বাংলাদেশি, পাকিস্তানি ও ভারতীয়। জামাত শেষে দেশ, জাতি ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।

ঈদের নামাজ শেষ করে প্রবাসীরা মোবাইল ফোনে দেশের প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। বাসায় ফিরে আরব দেশের প্রধান খাদ্য খেজুর, পায়েস, বিরিয়ানি-পোলাও ও বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি জাতীয় খাবার খান সবাই। ঈদের আনন্দ উদযাপনে বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ঘুরে বেড়াবেন অনেকেই।

সিলেটের রায়হান আহমেদ রিয়াদ বলেন, দেশের মতো আনন্দটা তেমন নেই বললেই চলে। প্রবাসে ঈদ মানে সকালে ঘুম থেকে উঠে ঈদগাহে নামাজ পড়ে রুমে এসে পরিচিতজনের সাথে কোলাকুলি করে ঘুমানো, পরিবার-পরিজনের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলে সময় পার করা।

প্রবাসী কামরান চৌধুরী জানান, প্রবাসে ঈদের দিনে সবচেয়ে বেশি মনে পড়ে দেশে প্রিয়জনদের সঙ্গে কাটানোর ঈদের দিনগুলোর কথা। তারপরও আমরা আমাদের মতো করে ঈদের আনন্দকে নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেওয়ার চেষ্টা করি।প্রবাসীদের ঈদের দিনগুলোকে অন্যান্য দিনগুলোর সঙ্গে পার্থক্য করা কঠিন। কারণ অনেক প্রবাসীকেই ঈদের দিনও তাদের নির্ধারিত ডিউটি করতে হয়।

ঈদ মানেই আনন্দ। তবে পরিবার-পরিজন, বন্ধু-বান্ধব, শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিয়ে ঈদ উদযাপন করলে ঈদের উল্লাস আরও গাঢ় হয়। প্রবাসীদের জীবনে এই উল্লাসের সুযোগ নেই। প্রবাসীদের ঈদ উদযাপন অন্যদের চেয়ে আলাদা। প্রবাসে বাংলাদেশের মতো ঈদের আমেজ পুরোপুরি থাকে না। তবুও সবাই সাধ্যমতো চেষ্টা করেন একে অন্যের সঙ্গে কুশল বিনিময়, কোলাকুলি, খাওয়া-দাওয়া এবং ঘুরে বেড়ানোর মধ্য দিয়ে ঈদের আনন্দ উদযাপন করতে।

;