সুসময়ের প্রতীক্ষায়



তাহমিনা বেগম
সৌদি আরবে মসজিদে নামাজ আদায়

সৌদি আরবে মসজিদে নামাজ আদায়

  • Font increase
  • Font Decrease

৩১ মে ভোরবেলায় ফজরের আজানে শুনলাম সেই চিরপরিচিত, আজন্ম শুনে আসা বানী, ‘হাইয়া আলাস সালাহ, হাইয়া আলাল ফালাহ’।মার্চ মাসের ১৮ তারিখ থেকে সৌদি আরবসহ অন্যান্য মুসলিম দেশগুলোতে সালাতের জামাত নিষিদ্ধ করা হয়, আজানে শোনা যেতে থাকে এক অদ্ভুত বানী, ‘সাল্লু ফি বুয়ুতি কুম’। যা মানুষের জীবনের অস্বাভাবিকতাকেই নির্দেশ করে। যে আজানে শুনে এসেছি মসজিদে যাও্য়ার আহবান সেই একই আজানে বলছে ঘরে থাকতে, ঘরে সালাত আদায় করতে। মুসলিম জাতির জন্য এ এক কঠিন পরীক্ষা। তাই আজ যখন আজানে আবার আহবান করা হচ্ছে মসজিদে যেতে, মুয়াজ্জিন আবেগ আপ্লুত হয়ে সালাতের ইকামত দিচ্ছেন, তখন যদিও জানি দু’মাসে পরিস্থিতির তেমন কোন পরিবর্তন হয়নি, তবুও মনে আশা জাগে মানুষ হয়তো আবার তার পুরনো স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে শুরু করেছে।

৩১ মে সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেয়া হয় মসজিদে নববীর দরজাও। স্বাস্থ্যবিধি মেনে মুসল্লিরা মসজিদে প্রবেশ করেন। তাদের চোখে মুখে ছিল আনন্দ, আবেগ, সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা আর করোনা মহামারি থেকে মুক্তি পেয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার ইচ্ছা। তারা ইতিহাসের একটি অধ্যায়ের সাক্ষী হয়ে রইলেন।

রমজান মাসে সৌদি আরবের মসজিদগুলো থাকে সবচেয়ে ব্যস্ত। প্রায় সব মসজিদেই থাকে ইফতারের আয়োজন। এশার নামাজের পর তারাবিহ, যেখানে পুরুষদের সাথে মহিলারাও অংশগ্রহণ করেন। শেষ ১০ দিন রাত ১ টা থেকে শুরু হয় শব-ই-কদরের নামাজ। এখানে মসজিদ থেকে ইমামের কেরাত শোনা যায়। তাই সারারাতই সরব থাকে প্রতিটি মসজিদ এবং এর আশেপাশের এলাকা। কিন্তু, এ বছর পরিস্থিতি ছিল ভিন্ন। এশার আজানের পরই চারিদিকে সুনশান নীরবতা। কারফিউ এর কারণে রাস্তা থেকে ভেসে আসতো না কোন যান চলাচলের শব্দ। এ পরিস্থিতি্তেই উদযাপিত হলো ঈদ। এ দেশে ঈদের প্রধান আকর্ষণ হলো দিনের শুরুতে ঈদের জামাত। পরিবারের সবাই ঈদগাহে গিয়ে এই জামাতে অংশগ্রহণ করেন। কিন্তু, এ বছর সবাই নামাজ পড়লো যার যার বাসায়। শুধু মসজিদ থেকে শোনা গেল তাকবির। এটাই ছিল একমাত্র সান্ত্বনা।

মসজিদে নববীর গেট খোলা রাখা হয়েছে

একশ বছর আগের স্প্যানিশ ফ্লুতে আক্রান্ত হয়েছিল পৃথিবীর এক তৃতীয়াংশ মানুষ। প্রথমধাপে এর প্রভাব ছিল অপেক্ষাকৃত মৃদু, কিন্তু দ্বিতীয় ধাপে তা ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করে। স্প্যানিশ ফ্লুতে মৃতের সংখ্যা প্রথম বিশ্বযুদ্ধে মৃতের সংখ্যার চেয়ে অনেক বেশি ছিল। আমাদের বিশ্বনেতারা তখন  ব্যস্ত ছিলেন প্রথম বিশ্বযুদ্ধে তাদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণে। মহামারি ছিল তাদের জন্য কম গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। এমনকি জনগণ যেন মহামারির সঠিক খবর না পায় সেটা নিশ্চিত করতে জার্মানি, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশগুলোতে সংবাদপত্রের ওপর ছিল সরকারি নিয়ন্ত্রণ। শুধুমাত্র স্পেন যেহেতু যুদ্ধে নিরপেক্ষ ভূমিকায় ছিল তারা গুরুত্বের সাথে এই ভাইরাসের খবর প্রকাশ করে। তখন ব্রিটেন ও ফ্রান্সের নেতারা ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল হিসাবে স্পেনের নাম ঘোষণা করে এবং ভাইরাসটির নাম হয়ে যায় স্প্যানিশ ফ্লু। ভাইরাসটির উৎপত্তিস্থল ছিল মূলত যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর সেনাক্যাম্পগুলো এবং সেনাদের মাধ্যমেই এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে সারাবিশ্বে। ভাইরাসের উৎপত্তি হয়তো মানব জাতির হাতে নেই কিন্তু, একে মহামারিতে পরিণত করার দায় সে কখনো এড়াতে পারবেনা।

একশ বছর পরেও আমাদের পরিস্থিতির তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি। একশ বছরে জ্ঞান, বিজ্ঞান, প্রযুক্তিতে উন্নত হয়েছে বিশ্ব, হয়ত তুলনামূলকভাবে খুব দ্রুতই করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক পেয়ে যাব আমরা। কিন্তু, সমস্যা হচ্ছে পরিবর্তন হয়নি মানুষের চরিত্রের। বিশেষজ্ঞদের মতামতের চেয়ে গুরুত্ব পাচ্ছে রাজনৈতিক কৌশল। এখনও বিশ্বনেতাদের হঠকারিতা, নীতিনির্ধারকদের দায়িত্বহীন, অদূরদর্শী সিদ্ধান্তের কারণে ভুগতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।

মসজিদে নববীতে নামাজ আদায়

বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার বার বার হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও বিভিন্ন দেশ লকডাউন তুলে নিচ্ছে। স্বাস্থ্যঝুঁকিকে গুরুত্ব না দিয়ে গুরত্ব দেয়া হচ্ছে অর্থনীতিকে। প্রশ্ন হচ্ছে জীবন আগে না জীবিকা আগে? এই সমীকরণের সমাধান খুব জটিল না। জীবিকা না থাকলে জীবিকার ব্যবস্থা করা যায়, অন্য কারো সাহায্য নেয়া যায়। কিন্তু জীবন না থাকলে? প্রতিদিন বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা, মৃতের সংখ্যা। যারা তাদের প্রিয়জন হারাচ্ছেন তাদের কাছে এ শুধু সংখ্যা নয় চরম বাস্তবতা, অপূরণীয় ক্ষতি যা কোন কিছু দিয়ে পূরণ করা সম্ভব নয়।

মুয়াজ্জিনের ভোরের আজানের সাথে যেমন কেটে যায় রাতের কালো অন্ধকার তেমনি করোনার অন্ধকার কেটে আমাদের জীবনও হয়ে উঠবে নিশ্চিন্ত, স্বাভাবিক। মুসল্লিরা মসজিদে যাবে, বাচ্চারা স্কুলে যাবার জন্য তৈরি হবে, আ্তঙ্ক ছাড়া কাটবে মানুষের দিন ও রাত। চরম অব্যবস্থাপনা, চোখের সামনে অক্সিজেনের জন্য ছটফট করতে করতে প্রিয়জনের মৃত্যু, হাসপাতালের বারান্দায় মরদেহের মিছিল পেছনে ফেলে একদিন ভোর হবে। প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙে সেই সুস্থ, নির্মল ভোরের প্রত্যাশা নিয়ে।

তাহমিনা বেগম, অধ্যাপক, কিং খালিদ বিশ্ববিদ্যালয়, আভা,সৌদি আরব

   

কুয়েতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত চট্টগ্রামের আকবর



কুয়েত করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুয়েত
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কুয়েতে সড়ক দুর্ঘটনায় আকবর হোসেন নামে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। তিনি চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ উপজেলার রহমতপুর গ্রামের আদর্শ পাড়া হাদির গো বাড়ির সুলতান আহমদের ছেলে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাতে কুয়েতের রাবিয়া নামক স্থানে ইশারা আল কাসেমিতে রাস্তা পারাপারের সময় গাড়ির ধাক্কা লেগে এই দুর্ঘটনায় ঘটে।

নিহতের আত্মীয় সাখাওয়াত হোসাইন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, 'বেশ কিছুদিন যাবৎ তিনি মানসিকভাবে চাপের মধ্যে ছিলেন। শুক্রবার রাতে রাস্তা পারাপার করতে গেলে দুর্ঘটনার শিকার হয়।এতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান তিনি।'

বর্তমানে মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। যথাযথ প্রক্রিয়া শেষে তার মরদেহ দ্রুত দেশে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন তার স্বজনরা।

;

দেশের ইলিশের টানে লন্ডন থেকে গ্লাসগো



ড. হাসিন মাহবুব চেরী, সিনিয়র স্পেশালিস্ট সায়েন্টিস্ট, ইউকে
দেশের ইলিশের টানে লন্ডন থেকে গ্লাসগো

দেশের ইলিশের টানে লন্ডন থেকে গ্লাসগো

  • Font increase
  • Font Decrease

একটা বয়সের পরে আমরা আটকা পড়ি শুধুই মায়ার টানে। কোন মানুষটা আমাদের মন থেকে মায়া করে, এটাই সব কিছুর ঊর্ধ্বে বিবেচ্য হয় আমাদের কাছে (অন্তত আমার কাছে ব্যাপারটা এখন তাই)।

কারণ, আমরা বুঝতে শিখি যে, আমাদের আশেপাশে বন্ধুরূপী অসংখ্য মুখের ভিড়ে শুধু মাত্র সেই মুখগুলোই মূল্যবান - যার কাছে আমি মূল্যবান। আর ঠিক একারণেই সুদূর বিলাতের বিভূঁই পরিবেশে ফারহানা হোসেন আপু যখন বললো দেশ থেকে আসা ইলিশ তোমাকে আর Rumana Newlands কে ছাড়া খাবো না বলে তুলে রেখেছি, কবে আসবে? মনে হলো এই ভালোবাসার ডাক পাবার মতো ভাগ্য আসলে ক'জনেরই বা হয়? তাই প্রচন্ড ব্যস্ত সময়ের মধ্যেই হুট করে একবেলার জন্যে লন্ডন থেকে গ্লাসগো উড়ে চলে গেলাম।

এই ঝটিকা সফর বহু কারণেই স্মরণীয় হয়ে থাকবে, তবে অর্ধেক দিনের এই মেমরি আমাকে আবার শেখালো:

Life is not about quantity, it`s all about quality. So it doesn`t matter what you have in life, but who you have only matters.

আর জীবনে নিজের পরিবারের মানুষ ছাড়াও কারো সত্যিকারের ভালোবাসা পাওয়া আসলেই বিশাল ভাগ্যের ব্যাপার। ফারহানা আপু এবং সাজ্জাদ ভাইয়ার আন্তরিকতায় আবারো মুগ্ধ হতে হতে তাই ভাবছিলাম, যদিও আমি সবসময় সবার থেকে ভালো জিনিস গুলো শেখার চেষ্টা করি তবে কিছু কিছু কোয়ালিটি আসলে মানুষের মধ্যে আসে 'ইন বিল্ট' হয়ে, যেটা অন্য কেউ হয়তো হাজার চেষ্টা করেও আয়ত্ত্ব করতে পারে না!

অন্যকে স্পেশাল এবং গুরুত্বপূর্ণ ফিল করানোও ঠিক সেরকমই একটা ইন বিল্ট কোয়ালিটি যেটা বেশিরভাগ মানুষের মধ্যেঔ অনুপস্থিত। যেমন আপু এবং ভাইয়া (আমার দেখা দুই অন্যতম ব্রিলিয়ান্ট এবং down to earth মানুষ) যেভাবে ওয়ার্কিং ডে 'র শেষে আমাকে এয়ারপোর্ট থেকে পিক করা থেকে শুরু করে নিজের হাতে রান্না করা বহু পদের মুখরোচক খাবার এবং নিজের হাতে বানানো মিষ্টি'র আয়োজন করলেন, স্কটল্যান্ডে এসে আমার ভাইয়ের সাথে দেখা হবে না বলে আমার ভাই কেও আবেরডিন থেকে ডেকে নিয়ে আসলেন, এবং আসবার পথে একগাদা খাবার প্যাক করে ব্যাগে নিজের হাতে ঢুকিয়ে দিয়ে একদম এডিনবরা এয়ারপোর্ট এর সিকিউরিটি পর্যন্ত এসে বিদায় দিয়ে গেলেন - এই আন্তরিকতাটা বোধহয় একেবারে মনের গভীর থেকে না আসলে করা সম্ভব নয়।

আসলে জীবনে আমরা বহু অপাত্রে আমাদের ভালোবাসা এবং সময় দান করে নষ্ট করি, বহু মানুষের ব্যবহার দেখে মনে হয় সত্যিই বোধহয় স্বার্থপর না হওয়াটাই আজকাল বোকামি। তবে পরমুহূর্তেই আবার যখন এরকম সুন্দর মনের মানুষ গুলোর আন্তরিকতায় অবাক এবং মুগ্ধ হই, তখন মনে হয় এই সুন্দর মনের মানুষগুলোর উপস্থিতির জন্যেই আসলে জীবনটা এতো সুন্দর। আর এরকম মানুষের উপস্থিতি আমাদের ঠিক একইভাবে ওনাদের মতোই অন্য কারো জীবনেও নিজের উপস্থিতি দিয়ে তার জীবনের কিছু সুন্দর মুহূর্ত উপহার দিতে অনুপ্রেরণা যোগায়।

;

শেখ হাসিনার সফর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক দৃঢ় করবে: থাই সরকারের মুখপাত্র



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাউথ-ইস্ট এশিয়া (ব্যাংকক, থাইল্যান্ড)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দীর্ঘ প্রায় দুই যুগ পর থাইল্যান্ডে আসছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী বুধবার (২৪ এপ্রিল) তিনি থাইল্যান্ডে এসে পৌঁছাবেন। পাঁচদিনের সফর শেষে সোমবার (২৯ এপ্রিল) তিনি দেশে ফিরে যাবেন।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) থাই সরকারের মুখপাত্র চাই ওয়াচারানক স্থানীয় গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানান।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শ্রেত্থা থাবিসিন এর আমন্ত্রণে শেখ হাসিনা থাইল্যান্ডে আসছেন।

শেখ হাসিনার ভ্রমণের সময় উভয় দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি চুক্তি এবং এমওইউ স্বাক্ষর হবে।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সফরসঙ্গীদের জন্য গভর্মেন্ট হাউজে দুপুরের খাবারের আয়োজন করেছেন শ্রেত্থা থাবিসিন।

চাই ওয়াচারানক জানান, ২০০২ সালের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এটি প্রথম থাইল্যান্ড সফর। এই সফরে দুই দেশের কর্মকর্তারা বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে দ্বি-পাক্ষীক সম্পর্ক শক্তিশালী করতে আলোচনা করতে পারবেন। এছাড়াও বিভিন্ন খাতে সহযোগীতা বৃদ্ধি, বিশেষত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির বিষয়টি নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা করা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

এছাড়াও যোগাযোগ, পর্যটন এবং দুই দেশের মানুষের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক বৃদ্ধিতে শেখ হাসিনার এই সফর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে জানান থাই সরকারের মুখপাত্র। 

;

আমিরাতে বর্ণিল আয়োজনে বাংলা বর্ষবরণ উৎসব



তোফায়েল আহমেদ পাপ্পু, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পহেলা বৈশাখ বাঙালির সর্বজনীন উৎসব। শুধু দেশে নয়, সারা বিশ্বে বসবাসরত বাঙালিরা দিনটি সাড়ম্বরে পালন করে থাকে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে এবার ঈদের ছুটি অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ ছিল। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে পহেলা বৈশাখ। যা প্রবাসী বাংলাদেশিদের আনন্দ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। লোকায়ত সংস্কৃতির ডালা সাজিয়ে বর্ণিল উৎসব আয়োজনের মধ্যদিয়ে দেশটিতে বাংলা বর্ষবরণ উৎসব উদযাপিত হয়েছে।

ভিনদেশের মাটিতেও বাঙালি সংস্কৃতির চিরায়ত পহেলা বৈশাখ উদযাপিত হলো নানা অনুসঙ্গে। দেশটিতে বসবাসরত বাঙালিদের মধ্যেও ছিল আনন্দের কলরব। আর এই আনন্দ উচ্ছ্বাসকে সবার সঙ্গে ভাগ করে নিতে প্রবাসী সনাতনি ঐক্য পরিষদের চমৎকার আয়োজনের মধ্য দিয়ে এক নতুন মাত্রা পেয়েছে।


রোববার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে আমিরাতের সারজায় আল জায়েদ ফার্ম হাউজে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের শুরুতে পহেলা বৈশাখ ১৪৩১ বাংলা নববর্ষ বরণ করে নিতে সকাল সাড়ে ১০টায় মঙ্গল শোভযাত্রা র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়। পরে নাচ, গান, মধ্যাহৃভোজ ও নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে বর্ষবরণ উদযাপন করেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

একাকী প্রবাসজীবনে পরিবার পরিজন, বন্ধুবান্ধব থেকে দূরে থাকা, দেশীয় স্বাদ ও আমেজের জন্য সারাবছর লালায়িত থাকা এই প্রবাসীরা হাজার মাইলের দূরত্ব কষ্ট ভুলে গিয়েছিল পহেলা বৈশাখ উদযাপন অনুষ্ঠানে। আমিরাতের আবুধাবী, দুবাই, আজমান ও বিভিন্ন শহর থেকে প্রবাসীরা পরিবার নিয়ে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।


অনুষ্ঠান শেষে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কনস্যুলেট দুবাই লেডিস গ্রুপের সভাপতি আবিদা হোসেন, বাংলাদেশ কনস্যুলেট দুবাই ও উত্তর আমিরাতের কমার্শিয়াল কাউন্সেলর আশীষ কুমার সরকার, প্রবাসী সনাতনী পরিষদের সিনিয়র উপদেষ্টা বিশ্বনাথ দাশ, সভাপতি অজিত কুমার রায়, সহ সভাপতি অজিত চৌধুরী মিঠু, সাধারণ সম্পাদক উত্তম কুমার সরকার, অর্থ সম্পাদক কার্তিক সাহা, দপ্তর সম্পাদক দেবব্রত তালুকদার, ফুজাইরাহ বাংলাদেশ সমিতির সভাপতি বাবু তপন সরকার, জাতীয় হিন্দু মহাজোট ইউএই’র সিনিয়র উপদেষ্টা মিনাল কান্তি ধর প্রমুখ।

প্রবাসী সনাতনী পরিষদের সভাপতি অজিত কুমার রায় জানান, প্রবাসের মাটিতে বেড়ে ওঠা তরুণ প্রজন্মকে বাংলা সংস্কৃতির ইতিহাস ঐতিহ্যের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আগামীতে আরও বড় পরিসরে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নেয়া হবে।

 

 

;