গাজায় আবারও ইসরাইলের হামলা
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ উপত্যকা গাজায় মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) রাতভর হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। দেশটির সেনাবাহিনী জানিয়েছে, হামাসের বিভিন্ন অবস্থান লক্ষ্য করে এসব হামলা চালানো হয়। তাদের দাবি, গত কয়েক দিন ফিলিস্তিনি উপত্যকা থেকে বিস্ফোরক ভর্তি বেলুন ইসরাইলের অভ্যন্তরে পাঠানোর প্রতিশোধ নিতে এই হামলা চালানো হয়েছে।
বুধবার (১২ আগস্ট) ইসরাইল এক বিবৃতিতে জানায়, ওই হামলায় ব্যবহার হয়েছে যুদ্ধবিমান, অ্যাটাক হেলিকপ্টার ও ট্যাংক। তবে এই হামলা নিয়ে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনে যুক্ত সংগঠন হামাস।
জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের স্বীকৃতি এবং নিজ ভূমিতে ফেরার দাবিতে ২০১৮ সালে গাজার ইসরাইলি সীমান্তে তীব্র বিক্ষোভে নামে ফিলিস্তিনি নাগরিকরা। ওই বিক্ষোভের মধ্যে প্রথমবারের মতো অস্ত্র হিসেবে বিস্ফোরক বাঁধা বেলুন ও ঘুড়ির ব্যবহার দেখা যায়। এতে ইসরাইলের বেশ কিছু খামার ও বসতিতে আগুন ধরে যায়। এসব বেলুন ও ঘুড়ি পাঠানোর জন্য গাজা উপত্যকার নির্বাচিত শাসকদল হামাসকে দায়ী করে থাকে ইসরাইল।
ইসরাইলের অভিযোগ, সম্প্রতি আবারও ওই ধরনের বেলুন ওড়ানোর ঘটনা বেড়েছে। এর জবাবে ইসরাইলি অবরোধের কারণে পৃথিবীর বৃহত্তম উন্মুক্ত কারাগারে পরিণত হওয়ায় গাজা উপত্যকার কেরেম শ্যালম চেকপোস্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ওই চেকপোস্ট দিয়ে গাজায় পণ্য পরিবহন করা হতো। একে ‘ইসরাইলি আগ্রাসন’-এর আরও একটি পদক্ষেপ বলে আখ্যা দিয়েছে হামাস। পরে মঙ্গলবার রাতে গাজায় হামলা চালায় ইসরাইলি বাহিনী।
ইসরাইলের দাবি, মঙ্গলবার রাতের হামলায় হামাসের বেশ কয়েকটি ভূগর্ভের অবকাঠামো ও পর্যবেক্ষণ পোস্ট গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে হামলায় হতাহতের বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলের ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিস্ফোরক ভর্তি বেলুনের কারণে শুধু মঙ্গলবারই ৬০টি অগ্নিকাণ্ড হয়েছে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি।
-আলজাজিরা অবলম্বনে