পর্যটন স্বাস্থ্য সেবায় দুবাই মধ্যপ্রাচ্যে প্রথম, বিশ্বে ৬ষ্ঠ



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবিঃ সংগৃহীত

ছবিঃ সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পর্যটন স্বাস্থ্য সেবায় দুবাই মধ্যপ্রাচ্যে প্রথম এবং বিশ্বে ৬ষ্ঠ স্থান দখল করেছে। ইন্টারন্যাশনাল হেল্থকেয়ার রিসার্চ সেন্টার বা আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্যসেবা গবেষণা কেন্দ্রের (আইএইচআরসি) সম্প্রতি প্রকাশিত গ্লোবাল মেডিকেল ট্যুরিজম ইনডেক্স অনুসারে, দুবাই টানা দ্বিতীয় বছরেও বিদেশি রোগীদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে আরব বিশ্বে শীর্ষ চিকিৎসা পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে নিজেকে ধরে রেখেছে।

সংযুক্ত আরব আমিরাত বিশ্বের অন্যতম পছন্দের পর্যটন কেন্দ্র। এ ছাড়াও স্বাস্থ্য সেবায় বিশ্বের ৪৬টি অনন্য গন্তব্যের তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে দুবাই। বিদেশি স্বাস্থ্য পর্যটকদের উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবা সরবরাহ এবং প্রতিযোগিতামূলক উন্নত মেডিকেল অবকাঠামো, সুবিধা দেওয়ার মাধ্যমে তারা এ সফলতা অর্জন করেছে।

দুবাই স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের স্বাস্থ্য রেগুলেশন সেক্টরের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডা. মারওয়ান আল মোল্লা বলেন, “সর্বশেষ স্বীকৃতিটি আবারও দুবাইকে স্বাস্থ্য পরিষেবার মান এবং বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যসেবার কেন্দ্র হিসেবে এর আকর্ষণকে জোরদার করেছে। দেশের স্বাস্থ্যকর এবং সুখী মানুষের চাহিদা মেটানোর পরেও বিদেশিদের জন্য স্বাস্থ্যসেবায় সক্ষমতা তৈরি করা গেছে আমাদের দূরদর্শী নেতৃত্বের জন্য। এই অর্জনটি আমাদের নিজস্ব চিকিৎসা ব্যবস্থার মধ্যে অবকাঠামোই বাড়ায়নি বরং বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যসেবায় দুবাই নিজেকে এক বিশেষ গন্তব্য হিসেবে অবস্থান করিয়েছে। আমাদের স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক রোগীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আমরা স্থানীয় এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের সুপারিশকৃত সমস্ত প্রয়োজনীয় সতর্কতা ব্যবস্থা রেখেছি।”

আরব দেশগুলোর মধ্যে স্বাস্থ্য সেবার সূচকের তিনটি প্রধান মানদণ্ডে উচ্চতর স্কোর করার জন্য দুবাই এই অঞ্চলে এক নম্বর র‌্যাঙ্ক ধরে রেখেছে।

২০১৯ সালে সাড়ে তিন লাখের বেশি মেডিকেল পর্যটক দুবাইয়ে স্বাস্থ্যসেবা নিয়েছে যা ২০১৮ সালের চেয়ে ৪ শতাংশ বেশী ছিল।

এশিয়ার মোট ৩৪ শতাংশ হলেও তাদের মধ্যে আরব এবং উপসাগরীয় অঞ্চলের ২৮ শতাংশ, ইউরোপের ১০ শতাংশ, আফ্রিকার ১০, আমেরিকা এবং অন্যান্য দেশের ১০ শতাংশ মেডিকেল পর্যটন সেবা নিয়েছে।

দুবাইতে অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধাসহ আধুনিক হাসপাতাল তৈরি এবং বিভিন্ন শাখায় আন্তর্জাতিক চিকিৎসকদের আকর্ষণ করার জন্য যথেষ্ট বিনিয়োগের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ২০২০ সালের প্রথমার্ধে, দুবাই হেল্থ অথরিটি (ডিএইচএ) দুবাইয়ে স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানকে ৩,৯৯৭টি লাইসেন্স দিয়েছে। এদের মধ্যে ৪৫টি নতুন স্বাস্থ্যকেন্দ্র, একটি হাসপাতাল এবং ১০টি সাধারণ ও বিশেষায়িত মেডিকেল ক্লিনিক উদ্বোধন করা হয়েছিল। তদুপরি, দুবাইতে প্রচলিত, পরিপূরক এবং ২০টি অলটারনেটিভ মেডিসিন (টিসিএএম) বিশেষজ্ঞ লাইসেন্সপ্রাপ্ত কেন্দ্র রয়েছে। এই কেন্দ্রগুলো বর্তমানে আটটি ঐতিহ্যবাহী, পরিপূরক এবং অলটারনেটিভ মেডিসিন (টিসিএএম) পরিষেবা সরবরাহ করে এবং ২৩৪ জন পেশাদার নিয়োগ করেছে।

স্বাস্থ্য পর্যটন বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ আল মেহরি বলেন, “আমাদের অনেক চিকিৎসক গ্রুপের সদস্য স্বাস্থ্যসেবা সুবিধা দ্বিতীয় পদ্ধতি টেলিযোগাযোগ প্রচার করছে। আমরা স্বাস্থ্য পর্যটকদের তাদের চিকিৎসার বিভিন্ন বিষয় জানিয়েছি বর্তমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে আটকে আছে।

তিনি বলেন, “কোভিড -১৯ এর মধ্যে দুবাই তার উল্লেখযোগ্য স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবা সরবরাহ করে চলেছে। সমস্ত রোগী, চিকিৎসক কর্মী এবং বৃহত্তর স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সদস্যদের স্বাস্থ্য রক্ষায় তার প্রচেষ্টার জন্য ধন্যবাদ। দুবাই বিশ্বজুড়ে চিকিৎসা পর্যটকদের জন্য অন্যতম নিরাপদ গন্তব্য।”

   

হিজাব না পরা নারীদের প্রতি কঠোর হচ্ছে ইরান



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হিজাব না পরে রাস্তায় বের হওয়া নারী ও তরুণীদের প্রতি কঠোর হচ্ছে ইরান। গত ১৩ এপ্রিল থেকে ‘নুর’ নামের একটি নতুন ক্যাম্পেইন শুরু করে দেশটি। এরপরই থেকেই হিজাব আইন কার্যকরে কঠোরতা শুরু হয়েছে।

ইরানে হিজাব পরিধানে কঠোর আইন রয়েছে। যারা এই আইন ভঙ্গ করেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

নারীদের ওপর চালানো ধরপাকড়ের কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেগুলোতে দেখা যাচ্ছে, হিজাব ছাড়া বাইরে বের হওয়া নারীদের ‘নৈতিকতা পুলিশের’ সদস্যরা জোরপূর্বক গাড়িতে করে তুলে নিয়ে যাচ্ছে।

একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, রাজধানী তেহরানের ব্যস্ততম তেহরান স্কয়ার দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন এক মা ও মেয়ে। ওই সময় তাদের ঘিরে ধরেন পুলিশের পাঁচ নারী ও দুই পুরুষ সদস্য। যখন তারা গ্রেফতার এড়ানোর চেষ্টা করেন তখন তাদের সজোরে ধাক্কা মেরে গাড়িতে তোলা হয়।

তেহরানের শহীদী বেহেস্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দিনা গালিবাফ নামের এক নারী শিক্ষার্থী মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে লেখেন, তাকে মেট্রোতে উঠতে বাধা দেওয়া হয়। যখন তিনি জোরাজুরি করেন তখন তাকে একটি রুমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে মারধর ও যৌন হেনস্তা করা হয় বলে দাবি করেন তিনি।  

এমন পোস্ট দেওয়ার একদিন পরই এই শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করা হয় এবং তাকে ইভিন কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান গ্রেফতার হওয়া কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেছে। তাদের একজন সংবাদমাধ্যমটিকে বলেছেন, গত শনিবার পুলিশের আট সদস্য তাকে ঘিরে ধরে। ওই সময় ‘বেশ্যা’, ‘নগ্ন আমেরিকার বেশ্যাপ্রেমী’ বলে তাকে গালাগালি করে। এছাড়া নারী পুলিশ সদস্য ছাড়াও পুরুষরাও গ্রেফতার করা সময় তাকে স্পর্শ করেছে বলে দাবি করেছেন এই তরুণী।




;

ফিলিপাইনে তীব্র তাপদাহে নিঃশ্বাস নেওয়া যাচ্ছে না



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিপাইনে তীব্র তাপদাহে সবকিছু ঝলসে যাচ্ছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দেশটির কর্তৃপক্ষ বুধবার (২৪ এপ্রিল) কিছু এলাকার স্কুল বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে এবং লোকজনকে বাইরে থাকার বিষয় সতর্কতা জারি করেছে।

রয়টার্স জানিয়েছে, মার্চ, এপ্রিল ও মে সাধারণত ফিলিপাইন দ্বীপপুঞ্জের সবচেয়ে উষ্ণ ও শুষ্কতম মাস। তবে এই বছর এল নিনোর আবহাওয়ার প্রভাবে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে।

ম্যানিলার দক্ষিণে ক্যাভিট প্রদেশের একটি সমুদ্র তীরবর্তী রিসোর্টে কাজ করেন ৬০ বছর বয়সি এরলিন তুমারন।

তিনি বলেন, ‘এত গরম যে, আপনি নিশ্বাস নিতে পারবেন না।’ রিসোর্টটিতে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) তাপ সূচক ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে।

এরলিন তুমারন বলেন, ‘এটা আশ্চর্যজনক যে, আমাদের পুলগুলো এখনও খালি। এই গরমে আপনি আশা করতে পারেন যে, লোকেরা এসে পুলগুলোতে সাঁতার কাটবে। কিন্তু মনে হচ্ছে তারা গরমের কারণে বাড়ির বাইরে যেতে নারাজ।’

দেশটির আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বুধবার অন্তত ৩০টি শহর ও পৌরসভায় তাপ সূচক ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি বিপদজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

রাজ্যের আবহাওয়া পূর্বাভাসের প্রধান জলবায়ু বিশেষজ্ঞ আনা সোলিস বলেছেন, আগামী দিনগুলোতে তাপ আরো তীব্র হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

সোলিস এএফপিকে বলেন, ‘আমাদের বাইরে কাটানো সময় সীমিত করতে হবে, প্রচুর পানি পান করতে হবে, বাইরে যাওয়ার সময় ছাতা ও টুপি ব্যবহার করতে হবে।’

সোলিস বলেন, এল নিনোর কারণে ‘চরম তাপ’ দেশের বিভিন্ন অংশকে প্রভাবিত করছে। দেশটির প্রায় অর্ধেক প্রদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে খরায় রয়েছে।

অ্যাপাররি উত্তর পৌরসভায় মঙ্গলবার তাপমাত্রা ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠেছে, যা দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

;

ইউক্রেন-ইসরায়েল সহায়তা ও টিকটক নিষিদ্ধকরণ বিলে বাইডেনের স্বাক্ষর



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে পাস হওয়া ইউক্রেন, ইসরায়েল ও তাইওয়া সহায়তা বিল এবং টিকটক নিষিদ্ধকরণ বিলে স্বাক্ষর করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দেশটির সিনেটে বিলগুলো অনুমোদনের পর এটি অপেক্ষায় ছিল বাইডেনের স্বাক্ষরের। অবশেষে তার স্বাক্ষরের পর বিলগুলো চূড়ান্ত আইনে পরিণত হলো।

অনুমোদিত টিকটক বিলের শর্তে বলা হয়েছে, টিকটকের চীনা মালিক প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্সকে আগামী নয় মাসের মধ্যে তাদের শেয়ার বিক্রি করতে হবে। নয়তো এই অ্যাপটি যুক্তরাষ্ট্রে ব্লক করে দেওয়া হবে।

এর আগে মঙ্গলবার ইউক্রেন, ইসরায়েল ও তাইওয়ানের জন্য ৯৫ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা প্যাকেজ অনুমোদন দেয় মার্কিন সিনেট।

এক বিবৃতিতে বিলটি পাস করায় আইনপ্রণেতাদের প্রশংসা করেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। তিনি বলেন, গুরুত্বপূর্ণ এই আইন আমাদের দেশ ও বিশ্বকে আরও বেশি সুরক্ষিত করবে। আমরা আমাদের সেই বন্ধুদের সহায়তা করছি, যারা সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও (রুশ প্রেসিডেন্ট) ভ্লাদিমির পুতিনের মতো স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে নিজেদের রক্ষায় লড়াই করছে।

এদিকে সহায়তা প্যাকেজ অনুমোদনের পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, এটি গণতন্ত্রের আলোকবর্তিকা এবং মুক্ত বিশ্বের নেতা হিসেবে আমেরিকার ভূমিকাকে শক্তিশালী মনে করে।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে পাস হওয়া বিদেশি সহায়তা প্যাকেজে ইসরায়েলে সামরিক ও গাজায় মানবিক সহায়তা হিসেবে ২৬ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ রয়েছে। এছাড়া এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের মার্কিন মিত্র তাইওয়ানের জন্য ৮ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার সহায়তা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কমিউনিস্ট শাসিত চীনকে মোকাবিলায় এই অর্থ সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।

;

‘ইরানের সঙ্গে ব্যবসা করা দেশগুলো নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকির সম্মুখীন হবে’



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরানের সঙ্গে ব্যবসা করা দেশগুলো সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকির সম্মুখীন হবে বলে সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির পাকিস্তান সফরকে উদ্দেশ্য করে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এ মন্তব্য করা হয়েছে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।

রয়টার্স জানিয়েছে, রাইসির সফরে ইরান ও পাকিস্তানের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা ও ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাণিজ্য বাড়ানো নিয়ে আটটি সমঝোতা চুক্তি হয়েছে।

প্রসঙ্গত, সোমবার (২২ এপ্রিল) ইসলামাবাদে আকস্মিক সফরে আসেন রাইসি। এ বছরের শুরুতে পাকিস্তান ও ইরানের পাল্টাপাল্টি হামলার পর সম্পর্ক জোরদার করার উদ্যোগ হিসেবে রাইসি পাকিস্তান সফর করেন।

গত সপ্তাহে ইরান ও ইসরায়েলের পাল্টাপাল্টি হামলার পর মধ্যপ্রাচ্যে ব্যাপক উত্তেজনার মধ্যেই রাইসির এ সফর অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এদিকে, ইসলামাবাদ সফরে এসে ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন রাইসি। তিনি বাণিজ্য, জ্বালানি, যোগাযোগসহ নানা বিষয়ে পাকিস্তানের বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।

রাইসির পাকিস্তান সফর ও বিভিন্ন ক্ষেত্রে সমঝোতা স্বাক্ষর সই নিয়ে প্রশ্নের জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ভেদান্ত প্যাটেল সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞা ঝুঁকির কথা বলেন।

ভেদান্ত প্যাটেল বলেন, ‘আমরা ইরানের সঙ্গে ব্যবসায়িক চুক্তি বিবেচনায় নিষেধাজ্ঞার সম্ভাব্য ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিই। তবে পাকিস্তান সরকার তাদের নিজস্ব পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণের কথা জানাতে পারে।’

গত সপ্তাহে চীন ও বেলারুশের তিন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে পাকিস্তানকে ক্ষেপণাস্ত্র যন্ত্রাংশ সরবরাহ করায় নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে তিনি বলেন, এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল, কারণ সেসব এমন উপকরণ ছিল, যা গণবিধ্বংসী অস্ত্র বিস্তারে ভূমিকা রেখেছে।

;