আশ্রয় কেন্দ্র থেকে আসা কুকুর মেজর, এখন হোয়াইট হাউসে
#চার বছর পর হোয়াইট হাউসে আবারও ‘প্রাণীর পায়ের’ আওয়াজ
আবারও হোয়াইট হাউসে কুকুরের আশ্রয় হচ্ছে। গত চার বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিষ্প্রাণ করে রেখেছেন হোয়াইট হাউসকে।
২০২০ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন জো বাইডেন। বাইডেন এমন একজন মানুষ, যিনি ভালোবাসেন প্রাণী। তাই এখন প্রাণহীন হোয়াইট হাউসে এবার প্রাণের সঞ্চার হবে। আবারও পাওয়া যাবে কোন প্রাণীর পায়ের আওয়াজ। জানা গেছে- তার পোষা দুই জার্মান শেফার্ড কুকুর চ্যাম্প ও মেজরকে নিয়ে হোয়াইট হাউসে উঠবেন তিনি।
বাইডেনের পোষা কুকুর চ্যাম্প ২০০৮ সাল থেকে তার সঙ্গে আছে। তিনি চ্যাম্পকে ব্রিডারদের কাজ থেকে কিনেছিলেন এবং ২০১৮ সালে মেজরকে ডেলাওয়্যার হিউম্যান সোসাইটির একটি প্রাণী আশ্রয়কেন্দ্র থেকে তুলে এনেছেন।
আশ্রয় কেন্দ্র থেকে নেওয়ার সময় মেজরের খুব খারাপ অবস্থা ছিল। বাইডেন প্রথম মেজরকে পালক কুকুর ছানা হিসেবে নিয়েছিলেন পরে তিনি তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে তাকে স্থায়ীভাবে নেন।
সেই থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাইডেনের দুই পোষা কুকুরের নিয়মিত উপস্থিতি চোখে পড়ে। বিশেষ করে জিল বাইডেনের শেয়ার করা ছবিগুলিতে।
এদিকে মেজরকে হোয়াইট হাউসে ‘প্রথম উদ্ধারকৃত কুকুর’ হিসাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং কয়েকটি নিউজ সাইটে বর্ণনা করা হচ্ছে। তবে তা সঠিক নয়। প্রেসিডেন্ট লিন্ডন বি জনসনের একটি প্রিয় কুকুর ছিল ‘ইউকি’। তাঁর মেয়ে ১৯৬৬ সালে টেক্সাসের একটি গ্যাস স্টেশন থেকে উ্দ্ধার করে হোয়াইট হাউসে এনেছিলেন।
প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন হোয়াইট হাউসে কুকুর না নিলেও তার ‘সকস’ নামে একটি সাদা-কালো বিড়াল ছিল। কারো তাড়া খেয়ে এই বিড়ালটি আরকানসাসে চেলসি ক্লিন্টনের কোলে উঠেছিলেন। তখন থেকে বিড়ালটি ক্লিনটন ফ্যামিলিতে ছিল।
প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার মেয়ে সাশা ও মালিয়ার দুইটি পর্তুগিজ পোষা কুকুর ছিল। যাদের নাম বো ও সানি। এদের সঙ্গে হোয়াইট হাউসের লনে বরফ নিয়ে খেলা করত সাশা ও মালিয়া।