ট্রাম্পের নীতি পরিবর্তনে ‘কার্যনির্বাহী আদেশে’ স্বাক্ষর করবেন বাইডেন



মানসুরা চামেলী, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
জো বাইডেন ও কমলা হ্যারিস

জো বাইডেন ও কমলা হ্যারিস

  • Font increase
  • Font Decrease

*প্যারিস জলবায়ু চুক্তির আওতায় আনবেন যুক্তরাষ্ট্রকে

*প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েই করোনাভাইরাস মোকাবিলায় কাজ শুরু করবেন

*মুসলমান দেশের উপর আরোপিত ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার

*বিশ্ব সংস্থার সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপন


এবার যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন ছিল নজিরবিহীন। কয়েক শতাব্দীর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বৈশ্বিক মহামারি মধ্যে অভূতপূর্ব পরিস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে এই নির্বাচন। আর নির্বাচনের আগে ও বিজয়ের পর থেকে আলোচনায় আসছে বাইডেন নির্বাচিত হলে কোন কাজটিকে আগে গুরুত্ব দিবেন। করবেনই বা কি কি কাজ, এসব বিষয়।

তবে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জো বাইডেন দ্রুত একাধিক কার্যনির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করার পরিকল্পনা নিয়েছেন। ২০ জানুয়ারি শপথ গ্রহণের পরপরেই তিনি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এসব আদেশে স্বাক্ষর করবেন।

নির্বাচিত হওয়ার আগে বিভিন্ন প্রচারণায় যোগ দিয়ে বাইডেন জানিয়েছিলেন, দেশের রাজনীতি বদলে গেছে এবং তিনি প্রেসিডেন্ট হলে অগ্রাধিকার ভিত্তি বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়ে দেশ পরিচালনা করবেন।

ট্রাম্প পৃথিবীকে ধ্বংস হওয়া থেকে রক্ষা করা ‘প্যারিস জলবায়ু চুক্তির’ মতো আন্তর্জাতিক চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন ট্রাম্প। বিভিন্ন প্রচারণায় ও ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের কাছে জো বাইডেন বলেছেন, ভোটে জয়ী হলে তিনি পুনরায় যুক্তরাষ্ট্রকে প্যারিস জলবায়ু চুক্তির আওতায় আনবেন।

ভাইস প্রেসিডেন্ট ও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মঞ্চে জো বাইডেন

চলতি বছরের শুরুর দিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেন, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ত্যাগ করছে। বাইডেন শপথ নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় আবার যোগ দিবেন। সেই সঙ্গে ডব্লিউএইচও পুর্নর্গঠন সহযোগিতা করবেন।

এছাড়াও কয়েকটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের উপর যে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা রয়েছে-তা প্রত্যাহার করে নিবেন বাইডেন ।

সাবেক এ ভাইস প্রেসিডেন্ট ‘স্বপ্নদর্শীদের’ নাগরিকত্বের কর্মসূচি অর্থাৎ যেসব শিশুকে অবৈধভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আনা হয়েছিল, তাদের দেশে থাকার অনুমতি দিয়ে এই কর্মসূচি আবার চালু করবেন।

ক্ষমতা পরিবর্তনের সাথে সাথে ট্রাম্পের অনেক সিদ্ধান্তও বাইডেন পরিবর্তন করবেন। ট্রাম্পের নেওয়া সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে যে প্রতিশ্রুতি বাইডেন দিয়েছেন তা বাস্তবায়ন করতে পারলে তা আমেরিকার ইতিহাসের সবচেয়ে চমকপ্রদ হবে।

এদিকে তার পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়নে মাসব্যাপী কাজ করার জন্য বাইডেনের শীর্ষ উপদেষ্টারা কয়েকশ 'ট্রান্সফার অফিসার’কে বিভিন্ন ফেডারেল এজেন্সিতে কাজ করার জন্য প্রস্তুত রেখেছেন। তার এজেন্ডা কীভাবে বাস্তবায়ন করা হবে তার জন্য নীরবে কাজ করছেন তারা।

আমেরিকার ৪৬ তম প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন

বাইডেন প্রচারে তার দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে প্রাথমিক সিদ্ধান্তগুলিকে একটি বইয়ে একত্রিত করেছেন।

মহামারি করোনাভাইরাস মোকাবিলার জন্য বাইডেন সোমবার টাস্কফোর্স গঠন করবেন। তারা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া এ মহামারি কিভাবে মোকাবিলা করা যায় তা নিয়ে কাজ করবেন। টাস্কফোর্সটি কয়েক দিনের মধ্যে একটি সভা করতে পারেন। এই টাস্কফোর্সের সহ-সভাপতি হচ্ছেন প্রাক্তন সার্জন জেনারেল বিবেক এইচ এবং সাবেক খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন কমিশনার ডেভিড ক্যাসলার।

অনেকেই ধারণা করছেন জো বাইডেন দ্রুত কার্যনির্বাহী আদেশ নিয়ে বসবেন। অনেক আইনকেও তিনি সংস্কার করতে পারেন। তবে কংগ্রেসের মাধ্যমে বড় আইন সংস্কার তার জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

যদিও কংগ্রেসে ডেমোক্র্যাটরা সংকীর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা রাখতে পারে, তবে সিনেটের চূড়ান্ত হওয়ার বিষয়টি এখনও পরিষ্কার নয়।

পলিসি টিম, ট্রানজিশন পলিসি টিম এখন নির্বাহী শক্তির উপর খুব বেশি মনোযোগ দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাইডেন অন্যতম সহযোগী, যিনি এই দলগুলোর সঙ্গে কাজ করছেন। তবে তিনি নাম প্রকাশ করতে চাননি। আমি আশা করি, সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠ থাকলে বাইডেন অবাধে কাজ করতে পারবেন।

এদিকে বাইডেনের জেতা ২ ঘণ্টা পর হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলেসি তার সঙ্গে কথা বলেছেন। বাইডেন জানিয়েছেন, তিনি ওবামা প্রশাসন ১০০টি স্বাস্থ্য ও পরিবেশগত নিয়মের  তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিস্থাপন করবেন।

বাইডেন হোয়াইট হাউসে পরিচালনার জন্য নতুন নির্দেশিকাও প্রতিষ্ঠা করবেন এবং তিনি প্রথম দিনেই তার প্রশাসনের কোন সদস্য বিচার বিভাগের তদন্তকে প্রভাবিত করবেন না বলে নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

জো বাইডেন

সারা বিশ্বের সামনে এখন সবচেয়ে বড় যে সমস্যা, তা হলো জলবায়ু পরিবর্তন। বাইডেন এরই মধ্যে ঘোষণা করেছেন, নির্বাচিত হলে তিনি প্যারিস জলবায়ু চুক্তির সঙ্গে আবার যুক্ত হবেন। ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম দিনেই তিনি এটি করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। একই সঙ্গে গোটা বিশ্বকে এই সমঝোতাকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধ করতে কাজ করবেন।

বাইডেনের দীর্ঘদিনের সহযোগী সেন ক্রিস্টোফার এ কুনস। তিনি বাইডেনের সঙ্গে প্রায় ৩৩ বছর ধরেছেন। তিনি বাইডেনকে প্রাথমিক কর্মসূচির একটি ধারণা দিয়েছেন। তিনি সেখানে জানান, ‘আমাদের এই মহামারী থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। যা ট্রাম্পের জন্য খারাপ পরিস্থিতি তৈরি করেছে। আমাদের অর্থনীতিকে  পুনর্নির্মাণ করতে হবে। যা হবে টেকসই, অন্তর্ভুক্তিমূলক, যাতে বিভাজন ও বৈষম্যের মোকাবিলা করা যায়।

করোনাভাইরাস মোকাবিলা করা প্রথম পদক্ষেপ হবে বাইডেনের

তিনি জানান, ট্রাম্প ও পেলোসি প্রায় এক বছর কথা বলেন না। কিন্তু বাইডেনের পরিকল্পনা হবে একদম আলাদা।  তিনি বিজয়ের সাথে সাথে সব দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলবেন। কারণ করোনা মোকাবিলা তার প্রধান কাজ হবে। এবং তা তিনি বিভিন্ন প্রচারণা বারবার বলেছেন।

বাইডেন আগেই বলেছেন করোনা মোকাবিলার পদক্ষেপ বাস্তবায়ন শুরুর আগে তিনি দেশের প্রধান সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ অ্যান্থনি ফাউসির কাছে যাবেন এবং তার পরামর্শ চাইবেন।

তিনি দ্রুত করোনা পরীক্ষা, ভ্যাকসিন সমন্বয়ের পাশাপাশি মাস্ক এবং পিপিইসহ কোভিড সরঞ্জাম তদারকির জন্য টিম গঠন করবেন।

বাইডেনে এসব পদক্ষেপ দেখাশুনা করছেন তার কাছের উপদেষ্টা টেড কাউফম্যান। ২০০৯ সালে বাইডেন ভাইস প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরে তার স্থানে সিনেটর হয়েছিলেন কাউফম্যান। ওই সময় একটি আইন প্রণয়ন ও ট্রানজিশনের হালনাগাদ লিখতে সহায়তা করেছিলেন তিনি। যা ২০১৫ সালে পাস হয়েছিল এবং প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার স্বাক্ষর করেছিলেন।

বাইডেনের ট্রানজিশন টিমকে সরকারের ইস্যু করা কম্পিউটার, আইফোন প্রদান করা হবে। সেই সাথে ওয়াশিংটনের হারবার্ট সি হুভার ভবনে এক হাজার বর্গফুট অফিস স্পেস দেওয়া হবে। যদিও করোনাভাইরাসের কারণে বেশির ভাগ সময় ভার্চুয়ালি কাজ পরিচালনা হবে। বাইডেনের ট্রানজিশন টিমের সদস্যদের এফবিআই থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।

বিজয় নিশ্চিতের পর জাতির উদ্দেশে ভাষণে জো বাইডেন

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ২৯০ ইলেকটোরাল ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন জো বাইডেন। তবে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনও পরাজয় স্বীকার করেননি। তিনি ভোটে কারচুপি ও জালিয়াতির অভিযোগ এনেছেন। কয়েকটি রাজ্যে জালিয়াতির অভিযোগ এনে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছেন। তবে এখন পর্যন্ত তার অভিযোগের বিষয়ে কোন সুনির্দিষ্ট প্রমাণ দিতে পারেননি।

সূত্র: ওয়াশিংটন পোস্ট

   

ইসরায়েলি হামলায় ৩৬ সিরীয় সেনা নিহত



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সিরিয়ার আলেপ্পো প্রদেশে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে অন্তত ৩৬ সিরীয় সেনা নিহত হয়েছেন।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) একটি যুদ্ধ পর্যবেক্ষক সংস্থা 'ওয়ার মনিটর' এ তথ্য জানিয়েছে।

যুদ্ধ পর্যবেক্ষক সংস্থা 'ওয়ার মনিটর' জানিয়েছে, হামলায় কমপক্ষে "লেবানিজ গ্রুপ হিজবুল্লাহর রকেট ডিপোর কাছাকাছি একটি এলাকাকে লক্ষ্যবস্তু করে চালানো হামলায় ৩৬ সিরীয় সৈন্য" নিহত হয়েছে"।

সংস্থাটি জানায়, ইসরায়েলের হামলায় অন্তত ৩৬ জন নিহত হওয়ার পাশাপাশি আরও অনেক মানুষ আহত হয়েছেন।

এর আগে মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে চালানো সিরিয়ায় বিমান হামলায় হামলায় ১৩ জন নিহত হন। তাদের মধ্যে ইরানপন্থি অন্তত ৯ জনসহ একজন কমান্ডার ছিলেন।

গত কয়েক বছর ধরেই সিরিয়ায় হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। কিন্তু কখনই তারা এসব হামলার দায় স্বীকার করে না।

;

রাশিয়ার ২৬ ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি ইউক্রেনের



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে গুলি করে রাশিয়ার ২৮টি অ্যাটাক ড্রোনের মধ্যে ২৬টি ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি করেছে ইউক্রেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ইউক্রেনের বিমান বাহিনী জানিয়েছে, ইরান নির্মিত ড্রোনগুলো ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চল, দক্ষিণাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ধ্বংস করা হয়েছে।

জাপোরিঝিয়া অঞ্চলের গভর্নর টেলিগ্রামে বলেছেন, রাজধানীতে বিধ্বস্ত ড্রোনের ধ্বংসাবশেষের আঘাতে দুই নারী আহত হয়েছেন। বিধ্বস্ত তিনটি ড্রোনের ধ্বংসাবশেষের আঘাতে একটি রেস্তোরাঁ, একটি স্টোর এবং বেশ কয়েকটি অফিস ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ইউক্রেনের বিমান বাহিনী আরও জানিয়েছে, সারারাত ধরে করা হামলায় ড্রোনের পাশাপাশি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে রাশিয়ান বাহিনী। ব্ল্যাক সি’য়ের ওপর থেকে রাশিয়ান বিমানের নিক্ষেপ করা ওই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো তাদের যুদ্ধক্ষমতা হারিয়েছে।

ওডেসার গভর্নর ওলেহ কিপার বলেছেন, পরবর্তীতে রাশিয়া সকালে আরও একবার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। তবে ওই হামলায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এই হামলায় রাশিয়ার লক্ষ্যবস্তু সম্পর্কে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেননি তিনি।

;

গাজায় দুর্ভিক্ষ বন্ধে ইসরায়েলকে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ আন্তর্জাতিক আদালতের



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দুর্ভিক্ষ ছড়িয়ে পড়া বন্ধে ইসরায়েলকে প্রয়োজনীয় এবং কার্যকর পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে)।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) আন্তর্জাতিক আদালত সর্বসম্মতভাবে ইসরায়েলকে এই নির্দেশ দিয়েছে। তবে হামাস নেতারা বলেছে, মানবিক সংকট ঠেকাতে যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন।

গাজায় রাষ্ট্র পরিচালিত গণহত্যার জন্য ইসরায়েলকে অভিযুক্ত করা মামলার অংশ হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকা নতুন ব্যবস্থার অনুরোধ করেছিল আদালতকে। পরে আদালত এই নির্দেশ দেয়।

বার্তা সংস্থা রয়র্টাসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ফিলিস্তিনি জনগোষ্ঠীর জন্য মৌলিক খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে এবং দুর্ভিক্ষ ছড়িয়ে পড়া বন্ধে প্রয়োজনীয় ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ইসরায়েলকে নির্দেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক আদালত। গাজার আল শিফা হাসপাতালের চারপাশে ইসরায়েলি বাহিনী এবং ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা লড়াই করার সময় এই আদেশটি এলো।

আদালতের বিচারকরা বলেছেন, গাজার মানুষরা আরও খারাপ অবস্থার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে। বিচারকরা আদেশে বলেছেন, আদালত পর্যবেক্ষণ করেছে যে গাজার মানুষেরা শুধুমাত্র দুর্ভিক্ষের ঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছে না বরং সেখানে দুর্ভিক্ষ শুরু হয়ে গেছে।

হামাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বাসেম নাইম বলেছেন, এই রায়টি যথেষ্ট নয়। দুর্ভোগ বন্ধ করতে ইসরায়েলকে অবশ্যই সামরিক আক্রমণ বন্ধ করার নির্দেশ দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, গাজায়, বিশেষ করে উত্তর গাজা উপত্যকায় মানবিক ট্র্যাজেডির অবসান ঘটানোর জন্য যেকোনও নতুন দাবিকে আমরা স্বাগত জানাই, তবে আমরা আশা করি যে গাজায় আমাদের লোকেরা যে সমস্ত দুর্দশার মধ্য দিয়ে বসবাস করছে তার সমাধান হিসেবে আদালত যুদ্ধবিরতির আদেশ দেবেন।

আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ের বিষয়ে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ মঙ্গলবার অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং সমস্ত জিম্মিদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে ভোট দিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভোট থেকে বিরত ছিল, কিন্তু ভেটো দেয়নি।

;

গ্যাংস্টার থেকে রাজনীতিবিদ হওয়া মুখতার আনসারি মারা গেছেন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কারাগারে থাকা গ্যাংস্টার থেকে রাজনীতিবিদ হয়ে ওঠা মুখতার আনসারি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

৬৩ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ)  রাত সাড়ে আটটার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।

এর আগে, গত মঙ্গলবার কারাগারে অজ্ঞান হয়ে গেলে জেল কর্তৃপক্ষ তাকে জেলার রানী দুর্গাবতী মেডিকেল কলেজে নিয়ে যায়। পরে নয়জন ডাক্তারের একটি দল তাকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সেবা প্রদান করেছিল। কিন্তু, তাদের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও ১৪ ঘণ্টা আইসিইউতে থাকার পর তার মৃত্যু হয়।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, উত্তর প্রদেশের ৫ বারের এই সংসদ সদস্য ২০০৫ সাল থেকেই কারাগারে বন্দি ছিলেন।

বার্তা সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, আনসারিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরেই হাসপাতালের বাইরে পুলিশের একটি বড় দল মোতায়েন করা হয়েছিল এবং তার মৃত্যুর পরে উত্তরপ্রদেশ জুড়ে ১৪৪ ধারার অধীনে নিষেধাজ্ঞামূলক আদেশ জারি করা হয়েছে।

উত্তরপ্রদেশের পুলিশের মহাপরিচালক প্রশান্ত কুমার বলেছেন, বান্দা, মাউ, গাজিপুর এবং বারাণসী জেলায় অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সও মোতায়েন করা হয়েছে।

;