ট্রাম্পকে পরাজয় মেনে নেয়ার আহ্বান শীর্ষস্থানীয় জিওপি নেতাদের
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পরাজয় মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সাবেক হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারি টম রিজসহ শীর্ষস্থানীয় জিওপি (রিপাবলিক ন্যাশনাল কমিটি) নেতারা।
সোমবার (২৩ নভেম্বর) কংগ্রেসনীয় রিপাবলিকানদের ট্রাম্পকে নির্বাচনে পরাজয় মেনে অবিলম্বে জো বাইডেনের কাছে হার স্বীকার করার আহ্বান জানিয়েছেন তারা। এবং বাইডেনকে প্রশাসনিক কার্যক্রমে ট্রাম্পকে সহযোগিতার করার আহ্বান জানান তারা।
শীর্ষস্থানীয় ১০০ জিওপি নেতারা এক বিবৃতিতে বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ক্ষমতা স্থানান্তর প্রক্রিয়া প্রত্যাখ্যান করলে আমাদের জাতীয় সুরক্ষার জন্য ঝুঁকি তৈরি করবে।
মার্কিন দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্ট–এর খবরে বলা হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বব্যাপী এখন মহামারির মুখোমুখি, এমন সময় ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় জটিলতা সৃষ্টি হলে দেশটির বৈশ্বিক বিরোধীরা, সন্ত্রাসবাদী দল আমাদের জন্য হুমকি তৈরি করবে বলে তারা জানান।
ওই বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন- সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লু বুশের অধীনে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করা টম রিজ, জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার সাবেক পরিচালক মাইকেল হেইডেন ও সাবেক গোয়েন্দা পরিচালক জন ডি নেগ্রোপন্টে ।
বিবৃতিতে রিপাবলিকান নেতাদের বিশেষ করে কংগ্রেসের নেতাদের বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে গণতন্ত্রবিরোধী আচরণ বন্ধ করতে বলুন।
এদিকে, ট্রাম্প ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেনের কাছে তার পরাজয়কে অস্বীকার করেছেন এবং নির্বাচনে নিজেকে ‘জয়ী’ ঘোষণার পাশাপাশি নির্বাচনের ফল বদলের জন্য বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে বেশ কয়েকটি মামলা করেছে ট্রাম্প শিবির। একের পর এক মামলায় পরাজিত হলেও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই পথ থেকে সরছেন না। কিন্তু এখন আর প্রেসিডেন্টের এই উন্মত্ততা নিতে পারছেন না রিপাবলিকান নেতারা। জো বাইডেন প্রায় ৬০ লাখ জনপ্রিয় ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে আছেন।
বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীরা রিপাবলিকান নেতাদেরকে রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তাদের ইলেকটোরাল কলেজের ভোট ঠেকাতে ট্রাম্পের হুমকি ও ভয় দেখানো বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
নির্বাচনের বৈধতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করা, রাষ্ট্রীয় নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অব্যাহত প্রচেষ্টা আমাদের গণতন্ত্রকে ক্ষুণ্ন করে এবং আমাদের প্রতিষ্ঠানের দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি হবে বলে বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
এবারে হোয়াইট হাউস তাৎক্ষণিকভাবে কোনও জবাব দেয়নি।